প্রধানমন্ত্রী
অধ্যাপক ইউনূসকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফোন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরীফ।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ফোনালাপে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার ওপর জোর দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করায় অধ্যাপক ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্য তাদের জনগণের কল্যাণে যথেষ্ট সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কে রূপান্তরিত হবে।
অধ্যাপক ইউনূস ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের পর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণের পর শরীফের কাছ থেকে ফোন কল পাওয়া এবং তার কাছ থেকে অভিনন্দন বার্তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের ওপর হামলার নিন্দা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের
বাংলাদেশের বন্যার্তদের জন্য পাকিস্তানের জনগণের সহানুভূতি ও সংহতি জানিয়ে বার্তা পাঠানোর জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
শরীফ বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনা এবং যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের মতো প্রক্রিয়া পুনরায় চালুর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সার্ক প্রক্রিয়া কার্যকর করার ওপরও জোর দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে শীর্ষ আঞ্চলিক ফোরাম হিসেবে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি নিয়মিত সার্ক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। যত দ্রুত সম্ভব সার্কভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ইউনূস।
অধ্যাপক ইউনূস দু'দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও উভয় দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ জোরদারের আহ্বান জানান।
আর পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনূসকে শাহবাজ শরীফের অভিনন্দন
২ মাস আগে
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কলেজ অধ্যক্ষদের সঙ্গে গণভবনে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী
পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক ও কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে মত বিনিময় করছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলেন শিক্ষার্থীরা
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সূত্র জানায়, রাত সোয়া ৮টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের সমন্বয়ক এক দফা দাবি ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
আরও পড়ুন: সংলাপের জন্য গণভবনের দরজা খোলা আছে: কোটা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
৩ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলেন শিক্ষার্থীরা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের নেতারা।
প্ল্যাটফর্মটির অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, 'এ বিষয়ে অনেকে প্রশ্ন করছেন, বিশেষ করে সাংবাদিক বন্ধুরা। আমরা এই খুনি সরকারের সঙ্গে কোনো সংলাপে বসতে রাজি নই; আর রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানাতে শহীদ মিনারে রিকশাচালকদের ভিড়
আসিফ তার পোস্টে বলেন, ‘তাদের সঙ্গে কথা বলার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমাদের দাবি খুব স্পষ্ট; তাদের কোনো বক্তব্য থাকলে তা গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও জনগণের সিদ্ধান্তই আমাদের সিদ্ধান্ত। বুলেট ও সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনো সংলাপ নেই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চলমান পরিস্থিতি সমাধানে শিক্ষার্থীদের সংলাপের জন্য গণভবনের দরজা সব সময় খোলা।
তিনি বলেন, 'গণভবনের দরজা খোলা, যখনই আন্দোলনকারীরা এই সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনায় বসতে চায়, আমি তাদের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে 'অসহযোগ আন্দোলনের' জরুরি নির্দেশনা
কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-আ. লীগ কর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
৩ মাস আগে
সংলাপের জন্য গণভবনের দরজা খোলা আছে: কোটা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট সহিংস পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘গণভবনের দরজা খোলা। তাদের সঙ্গে আমি বসতে চাই, তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না।’
শনিবার (৩ আগস্ট) গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন, ‘আমি আবারও বলছি, আন্দোলনকারীরা চাইলে আমি এখনো আলোচনায় রাজি। তারা যেকোনো সময় (গণভবনে) আসতে পারে। দরকার হলে তারা তাদের অভিভাবকদের নিয়েও আসতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাই। আমি তাদের কথা শুনতে চাই; শুনতে চাই- তাদের কী কী দাবি অপূর্ণ রয়ে গেছে।’
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হওয়ার প্রায় এক মাস পর এই প্রথম তিনি এ ধরনের ইঙ্গিত দিলেন।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি কারো দাবির অপেক্ষায় থাকিনি।’
আরও পড়ুন: কোটা সহিংসতার প্রতিটি ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই এর সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন, পুলিশ হোক বা অন্য কেউ, তার বিচার হোক। যাদের কাছে অস্ত্র ছিল এবং যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের সবার বিচার ও তদন্ত হওয়া উচিত।’
শুধু ঢাকায় নয়, দেশের অন্যত্রও যেসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটেছে, তার তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি।
হাসিনা বলেন, ‘এজন্য আমি বিচার বিভাগীয় কমিশনে আরও দুজন বিচারক এবং তিনজন সদস্য নিয়োগ দিয়েছি।’
তদন্ত যাতে সুষ্ঠু হয়, সে কারণে তিনি কমিশনের কাজের পরিধি ও সময়ও বাড়িয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
যারা ‘হত্যাকাণ্ড’ ঘটিয়েছে তাদের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনতে চান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সেটাই চাই। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন, তাকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে; তদন্ত করে জড়িতদের চিহ্নিত করা হবে।’
রংপুরে পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে পুলিশ সদস্য এ ঘটনার জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার ব্যাপারে অভিযোগের তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকেও বিচারের আওতায় আনা হবে।’
সহিংসতা ঘিরে গ্রেপ্তারদের মধ্যে থেকে শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একইসঙ্গে আটক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে যারা একেবারেই জড়িত নন, তাদের মুক্তি দেওয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি; এটি শুরু হচ্ছে।’
যারা দোষী সাব্যস্ত হবে, তারাই কেবল কারাগারে থাকবে এবং বাকিরা মুক্তি পাবে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে জামায়াত, শিবির ও বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী এসময় বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রস্তাবিত সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিল করার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এটি পুরোপুরি বাতিল করছি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ‘২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে এটি আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার ছিল। এরপর সার্বিক বিষয়গুলো মাথায় রেখেই আমরা এই প্রকল্প চালু করি। আমরা সেখানে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রেখেছিলাম।’
প্রসঙ্গত, প্রত্যয় স্কিমকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে এটি বাতিল করতে গত ১ জুলাই থেকে আন্দোলন করে আসছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
৩ মাস আগে
কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে জামায়াত, শিবির ও বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি কোটা সংস্কারের জন্য ছাত্রদের আন্দোলনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দেশব্যাপী সাম্প্রতিক সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (জামায়াত-শিবির ও বিএনপি) ছাত্রদের শুধু ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।’
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব নূরএলাহি মিনা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সহিংসতার পর চিকিৎসা নেওয়া আহতদের দেখতে তিনি বিভিন্ন হাসপাতালে গেছেন।
তিনি বলেন, 'আমরা সবাইকে সমানভাবে চিকিৎসা সুবিধা দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ সবকিছু ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে।
তিনি বলেন, সারা দেশ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় এসেছে। এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেল স্টেশনের ভাঙা টোল প্লাজাগুলোর সেবা চালু করতে কিছুটা সময় লাগছে।
ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, নৈরাজ্যবাদীরা বাংলাদেশের আধুনিকায়নের প্রতীকগুলোকে টার্গেট করেছে।
তিনি জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে শোক প্রকাশ করেছেন।
মিনা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এসব ভাঙচুরের পেছনে থাকা অপরাধীদের বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রদূত।’
হলি আর্টিজানে হামলার পর সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের পদক্ষেপ ও সাফল্যের প্রশংসা করেন তিনি।
ইতালির রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে মিনা বলেন, 'হলি আর্টিজানের ঘটনার মতো ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে সন্ত্রাসবাদ দমন করতে বাংলাদেশ সক্ষম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।’
সাম্প্রতিক হামলা ও ভাঙচুর মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপের প্রশংসা করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, প্রায় দুই লাখেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি এই সম্পর্কের সেতুবন্ধন এবং তারা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
আলেসান্দ্রো বলেন, দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে কাজ করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করল সরকার
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, জ্বালানি, এসএমই, মহাকাশ প্রযুক্তি ও জাহাজ নির্মাণ ক্ষেত্রগুলো এই ক্ষেত্রের কাজের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
তিনি ইতালিতে বৈধ অভিবাসনের বিষয়টি এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তার দেশের পুলিশ সদস্যদের বিশাল অভিজ্ঞতা থাকায় বিক্ষোভ ও দমন-পীড়নের মতো বিভিন্ন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশকে 'স্কুল অব পাবলিক অর্ডার'-এ প্রশিক্ষণ দিতে তার দেশের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি একটি ভালো প্রস্তাব উল্লেখ করে বলেন, এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোটা সহিংসতার প্রতিটি ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
৩ মাস আগে
‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শুধু নৌ সেক্টর নয় সব ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শুধু নৌ সেক্টর নয় সব ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথের নাব্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। নৌ সেক্টরের সার্বিক ব্যবস্থার আরও উন্নয়নের জন্য কাজ করছে সরকার।
বুধবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ নৌপরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ১২ দফা দাবি বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশে এমন একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি হবে, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সক্ষমতা ও সম্পদ বাড়ছে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে। নতুন বন্দর পায়রা বন্দর নির্মাণ করা হয়েছে। মাতারবাড়ীতে সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থায় সি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়ে সম্মানিত হয়েছে। নতুন পর্যটকবাহী ক্রুজ জাহাজ আসছে। বিআইডব্লিউটিয়ের সেবার পেমেন্ট অনলাইনে নেওয়া হচ্ছে।’
ফ্রান্সে অলিম্পিক গেমসের জাহাজে করে নদীতে মার্চপাস্ট হওয়ার প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারের ধারাবহিকতা থাকলে বাংলাদেশেও বুড়িগঙ্গায় এ ধরনের জাহাজ চলবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে ভিন্ন অবস্থা বিরাজ করছে। ছাত্ররা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে আন্দোলন করে। দেশের স্বাধীনতায় ছাত্ররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্রদের প্রতি স্নেহ ও ভালোবাসা আছে।’
প্রতিমন্ত্রী নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
এসময় তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে।’
শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের দাবির বিষয়ে বিভিন্ন মহলে কথা বলব। প্রতিটি জিনিস শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে, নিয়মের মধ্যে আসতে হবে। সে মানসিকতা তৈরি করতে হবে। আমাদের সক্ষমতা হয়েছে। মানবকাঠামো তৈরি করতে হবে। তাহলে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারব।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম, বিআইডব্লিউটিয়ের চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, নৌপরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এবিএম সফিউল আলম বুলু, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বেপারী ও সহসভাপতি মাহবুব হোসেন।
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক ঘটনা সারা পৃথিবীতে ভিন্নভাবে প্রচার হয়েছে যা দুঃখজনক: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
পুলিশের পোশাক পরে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
৩ মাস আগে
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি যেন সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্ত করতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিকে যথাযথ ও মানসম্মত করতে বৈদেশিক কারিগরি সহায়তা গ্রহণ করব।’
মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে সেসময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দেশপ্রেম থাকলে তারা উন্নয়ন কাঠামো ধ্বংস করত না: প্রধানমন্ত্রী
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রসঙ্গত, দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সব নিহতের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: শিবির-ছাত্রদল, বিএনপি ও জামায়াত জঙ্গি, কোটা সংস্কার ইস্যু ছিল না: প্রধানমন্ত্রী
৩ মাস আগে
দেশপ্রেম থাকলে তারা উন্নয়ন কাঠামো ধ্বংস করত না: প্রধানমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের মধ্যে দেশপ্রেম থাকলে তারা উন্নয়ন কাঠামো ধ্বংস করত না।
সোমবার (২৯ জুলাই) গণভবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নারী নেত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তাদের যদি এত দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধ থাকে, তাহলে তারা উন্নয়ন কাঠামো ধ্বংস করতে পারত না।’
শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে তার সরকারের প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে আমরা দিনরাত পরিশ্রম করেছি। আমি বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে এসিছি এবং তারা এটিকে ধ্বংস করেছে। এটা দুঃখজনক।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন তুলে বালে,‘এত টাকা তারা কোথায় পায়? তাদের দৈনন্দিন চলাফেরায় অর্থায়ন করছে কারা?'
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার সারা দেশে শোক
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও জনগণের কল্যাণে এর নেতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই আন্দোলনের ফল আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট এবং মানুষের মৌলিক চাহিদা ধ্বংস হচ্ছে।
বিএনপি-জামায়াতের 'সন্ত্রাসীরা' কোটা সংস্কার আন্দোলনকে নিজেদের এজেন্ডা হাসিলের জন্য ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এই আন্দোলনের ঘাড়ে ভর করে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা সুযোগ নিয়েছিল। এখন আমার প্রশ্ন, আমি কী অপরাধ করেছি?'
নিজের অর্জনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি বাংলাদেশকে সম্মান বয়ে এনেছি। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আজকে যদি দেখেন বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে, সেটা সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে। তাদের আন্দোলন কীভাবে বাংলাদেশকে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে এবং আমাকে হেয় করছে তারা তা চিন্তাও করে না।’
আরও পড়ুন: শিবির-ছাত্রদল, বিএনপি ও জামায়াত জঙ্গি, কোটা সংস্কার ইস্যু ছিল না: প্রধানমন্ত্রী
৩ মাস আগে
শিবির-ছাত্রদল, বিএনপি ও জামায়াত জঙ্গি, কোটা সংস্কার ইস্যু ছিল না: প্রধানমন্ত্রী
ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, বিএনপি ও জামায়াতের জঙ্গি কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা জাতিকে হেয় প্রতিপন্ন করছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) সরকারি বাসভবন গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'শিবির, ছাত্রদল, বিএনপি ও জামায়াত হচ্ছে জঙ্গি, যারা বাংলাদেশের ওপর তাদের থাবা বসিয়েছে।’
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনাগুলোর কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এগুলো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়, জঙ্গিবাদের কাজ।
আরও পড়ুন: ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন মেরামতে জাপানের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, এ ধরনের অগ্রগতি দেশের অবস্থানকে সুদৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, 'আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে মর্যাদাশালী করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কারের সঙ্গে সাম্প্রতিক অস্থিরতার সম্পর্ককে প্রত্যাখ্যান করে এর সঙ্গে থাকা অসৎ উদ্দেশ্যকে দায়ী করেন। তিনি বলেন,‘তাদের অসৎ উদ্দেশ্য দৃশ্যমান ছিল, কোটা সংস্কার মোটেও কোনো ইস্যু ছিল না।’
সরকারি অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য 'জঙ্গিদের' সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। জনগণকে সেবা ও সুবিধা প্রদানকারী কাঠামো ধ্বংস করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার শেখ হাসিনার
৩ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান গণতন্ত্র মঞ্চের
দেশের ইতিহাসে নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড চালিয়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য সরকারকে দায়ী করে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
সোমবার (২৯ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী জোটটি এই আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীদের হত্যাসহ পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তসহ ছয় দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
রাজধানীর মেহরাবাবা প্লাজায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেল বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক দাবিগুলো তুলে ধরেন।
সাইফুল ইসলাম বলেন, 'অব্যাহত রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়ার সম্পূর্ণ দায় নিয়ে আমরা অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে, যা পুরো সরকারের পদত্যাগের পথ সুগম করবে। ‘এই সংবাদ সম্মেলন থেকে আমরা এই দাবি জানাচ্ছি।’
সাইফুল হক বলেন, ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ সমাধানে ব্যর্থ হয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সরকার ও ক্ষমতাসীন দল সম্পূর্ণরূপে দায়ী।
আরও পড়ুন: দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির উদ্দেশ্যেই 'গণতন্ত্র মঞ্চ' পুলিশের ওপর চড়াও হয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে সরকার দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। জীবন ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দায় নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’
তিনি বলেন, হত্যা, গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও মিথ্যাচার করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান সংকটের সমাধান সরকার কোনোভাবেই করতে পারবে না। ‘এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সরকারকে রাজনৈতিক সমাধানের পথ বেছে নিতে হবে। তা না হলে দেশের মানুষের নিজের ও দেশকে রক্ষার জন্য সরকারকে উৎখাত করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’
কয়েকটি বিরোধী দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- দ্রুত কারফিউ প্রত্যাহার এবং বিজিবিসহ সশস্ত্র বাহিনী ও বিশেষ বাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া, ইন্টারনেট সেবা সম্পূর্ণরূপে সচল করা, গণমাধ্যমে সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধ করা, যারা আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর গুলি চালিয়েছে এবং যারা হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিয়েছে এবং তা কার্যকর করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনা, গ্রেপ্তার বিরোধী দলের নেতা ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের মুক্তি দেওয়া, ডিবি পুলিশের হেফাজতে থাকা ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের মুক্তি দেওয়া, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া;, ঢাকায় ব্লক রেইড বন্ধ করা এবং শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া।
সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের উসকানি ও বিদ্বেষপূর্ণ নাশকতামূলক প্রচেষ্টা পরিহার করে বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকল গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলসহ সকল সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান সাইফুল হক।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা ফখরুলের
৩ মাস আগে