প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সকল গৃহহীন মানুষের ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার সব গৃহহীন মানুষ যাতে জমিসহ বাড়ি পায় তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন বা ভূমিহীন থাকবে না। আমরা এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি।’
ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৪র্থ দফায় আরও ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি দুই দশমিক ৩৬ শতাংশ জমি প্রদানের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তার পক্ষে জনপ্রতিনিধিরা-মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান--এর পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা-বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সারা দেশে ৪৯৩টি উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের স্থানে উপস্থিত থেকে তারা সুবিধাভোগীদের হাতে বাড়ির সার্টিফিকেট ও জমির কাগজপত্র তুলে দেন।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ৪র্থ ধাপের ঘর বিতরণের ফলে নয়টি জেলা ও ২১১টি উপজেলায় এখন বাড়ি ও ভূমিহীন কেউ নেই।
এর আগে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রকল্প আশ্রয়ণ-২-এর আওতায় প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় দফায় ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং তৃতীয় দফায় ৫৯ হাজার ১৩৩টি বাড়ি প্রদান করেন শেখ হাসিনা।
চতুর্থ দফায় ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর বিতরণের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি।
প্রধানমন্ত্রী আরও সাতটি জেলা এবং আরও ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন। সাতটি জেলা হলো মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপন গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী
কিশোর গ্যাং বন্ধ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাইবার ক্রাইম ও কিশোর গ্যাং-এর প্রবণতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদর দপ্তরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটির ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সাইবার ক্রাইম মনিটর করতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’
তার সরকার দেশকে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' হিসেবে গড়ে তুলেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটালাইজেশনের পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার ক্রাইমও বেড়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা, দুর্দশা সৃষ্টি করা নয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ক্রস-পার্টি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা
তিনি বলেন, ‘কিছু রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি রয়েছে। বাংলাদেশ যত অগ্রগতিই অর্জন করুক না কেন, তারা কিছুই দেখতে পায় না। আর একটি অংশ আছে যারা বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের বদনাম করে এবং এর মাধ্যমে আর্থিক বা অন্যান্য সুবিধা অর্জন করে।’
র্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বাহিনীটির সদস্যদের তাদের সম্পর্কে অন্যরা যা বলে তাতে কান না দিয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘এটা আমাদের দেশ যা রক্তের আত্মত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে… আমরা জানি কে কী করে এবং আমরা সেই অনুযায়ী মূল্যায়ন করব। আমাদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ-ভারত জ্বালানি পাইপলাইন: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা অপপ্রচার চালায় ও বাংলাদেশের বদনাম করে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। কেন তারা এটা করছে এবং তাদের উদ্দেশ্য আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশিরা বিচার করতে পারে কে ভালো বা মন্দ কাজ করেছে। কেউ যদি কোনো অপরাধ করে, তাহলে আমাদের অবশ্যই তা নিয়ে কথা বলতে হবে। কিছু মানুষ কী বলছে তা নিয়ে মর্মাহত হবেন না। আপনাদেরকে আত্মসম্মান এবং আত্মবিশ্বাসের অনুভূতি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
কিশোর গ্যাংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সংস্কৃতি বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি অভিভাবক, শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধিদের অবশ্যই দায়িত্ব নিতে হবে। কিশোর গ্যাং বন্ধ করতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিশুদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ক্রস-পার্টি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে শনিবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাজ্যের ক্রস-পার্টির একটি প্রতিনিধিদল।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন পল ব্রিস্টো এমপি, জেন হান্ট এমপি, পলেট হ্যামিল্টন এমপি, এন্টনি হিগিনবোথাম এমপি ও টম হান্ট এমপি। বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যা, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন।
প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিশেষ করে ওষুধ ও নারী উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ-ভারত জ্বালানি পাইপলাইন: প্রধানমন্ত্রী
তারা মানসিক স্বাস্থ্য মোকাবিলায় শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুব বেশি সচেতন ছিল না এবং তার মেয়ে সায়মা এটিকে দেশে পরিচিত করে তুলেছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধি দলকে বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ওষুধ রপ্তানি করছে।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ চায় আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হোক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত বৈদেশিক নীতির (সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়) কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘যে কোনো বড় সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।’
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
এই পদক্ষেপের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে নারীরা এখন সংসদের নেতা, উপনেতা ও স্পিকার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সরকারের সচিব এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কেউ যেন গৃহহীন ও ভূমিহীন না থাকে সেজন্য তারা আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিশুদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় ধাপে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন।
বৃহস্পতিবার তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এই মডেল মসজিদগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ ওজু ও নামাজের জন্য পৃথক জায়গা রয়েছে।
এছাড়া হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের পূর্বে আচার-অনুষ্ঠান, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজ-খানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও ইসলামী দাওয়াতের জন্য সম্মেলন কক্ষ, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য বসার ব্যবস্থা থাকবে।
আরও পড়ুন: ইসলামের মর্মবাণী প্রচারে আরও ৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এর আগে ২০২১ সালের ১০ জুন এবং ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ধর্ম সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করতে ইসলামের প্রকৃত বাণী প্রচারের লক্ষ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে একযোগে সারাদেশে ১০০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন।
এ প্রকল্পের আওতায় দেশে মোট ৫৬৪টি মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামী ভ্রাতৃত্ব বোধ ও এর মূল্যবোধের প্রচার এবং উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের সারমর্ম প্রচার করা।
'এ' ক্যাটাগরির আওতায় ৬৪টি জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় লিফট সুবিধা সম্পন্ন ৬৯টি চারতলা মসজিদ এবং দুই হাজার ৩৬০ দশমিক ০৯ বর্গমিটার ফ্লোর স্পেস নির্মাণ করা হচ্ছে।
'বি' ক্যাটাগরিতে এক হাজার ৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গমিটার ফ্লোর স্পেসসহ ৪৭৫টি মসজিদ এবং উপকূলীয় এলাকায় 'সি' ক্যাটাগরির ১৬টি মসজিদে দুই হাজার ৫২ দশমিক ১২ বর্গমিটার করে ফ্লোর স্পেস নির্মাণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৩ বছরেও শেষ হয়নি দিঘলিয়ায় মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদি বিনিয়োগকারীদের জমির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) সৌদি আরবের বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য জমির প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সফররত সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি-এর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ প্রস্তাব দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবকে বাংলাদেশে একটি তেল শোধনাগার স্থাপনের আহ্বান জানান, যেখানে অপরিশোধিত তেলসহ সব ধরনের তেল পরিশোধন করা যাবে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে সৌদি মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন।
প্রেস সচিব বলেন, সৌদি আরবের প্রধান বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। এই প্রেক্ষাপটে তিনি আমলাতান্ত্রিক বিলম্বের সমাধান করে বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সালমান এফ রহমানের বৈঠক
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ ও ত্বরান্বিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোতে বিশাল বাজার রয়েছে উল্লেখ করে বলেন যে তার সরকার নৌপথসহ সব ধরনের যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন সহজ করতে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার নদীগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য ড্রেজিংয়ের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সৌদি আরবে যাওয়ার আগে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভালোভাবে আরবি ভাষা জানার সুবিধার্থে একটি আরবি ভাষা ইনস্টিটিউট গড়ে তুলতে চায়, যাতে তারা সহজেই আরবি ভাষাভাষী মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
সৌদি মন্ত্রী যখন বলেন যে তাদের ক্রাউন প্রিন্স বাংলাদেশ সফরের জন্য আগ্রহী, তখন তার দেশ সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্সকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
আরও পড়ুন: সৌদির রাজধানী রিয়াদে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত
সৌদি মন্ত্রী দেশটির ক্রাউন প্রিন্স-এর বাংলাদেশ সফরে আগ্রহের বিষয় উল্লেখ করলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ ক্রাউন প্রিন্সকে গ্রহণ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
সৌদি মন্ত্রী ওমরাহ পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সৌদি আরব সফরের আমন্ত্রণ জানান।
সৌদি মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি ও উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের দ্রুত উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে সৌদি আরবের মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
মন্ত্রী ড. মাজিদ বলেন যে বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি।
তিনি বলেন, গত ১০ মাসে সাড়ে ছয় লাখ বাংলাদেশি চাকরি নিয়ে সৌদি আরবে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ঢাকায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আইসিটি খাতে অংশীদারিত্বে সৌদির আগ্রহ প্রকাশ
দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখুন, বিদেশের আইনকে সম্মান করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বাগতিক দেশগুলোর আইন কঠোরভাবে মেনে চলতে এবং বৈধ মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে বলেছেন।
দোহায় বাংলাদেশ এমএইচএম স্কুলে দেয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘কোনও ব্যক্তি যদি (আয়োজক দেশে) অপরাধ করে এবং এইভাবে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে তাহলে তা আর সহ্য করা হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার কয়েক বছর ধরে সার্বক্ষণিক কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে গেছে এবং বিদেশি ভূখণ্ডে কিছু লোকের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, যা অন্যান্য বাংলাদেশিদের কাজের জন্য বিদেশে পাঠানোর সুযোগকে বাধাগ্রস্ত করছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সাহায্য বাড়ানোর কথা বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি প্রবাসীদের অবশ্যই তারা যে দেশে অবস্থান করছে সে দেশের বিদ্যমান আইন ও নিয়ম মেনে চলতে হবে। আমি স্পষ্ট বলেছি যে যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবে তাদের আমরা বাঁচানোর চেষ্টা করব না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশি চাকরিপ্রার্থীদের আইনি চ্যানেল ব্যবহার করতে বলেছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা আরও বেশি লোককে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ হারিয়ে ফেলেছি।
তিনি বলেন, কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি বিদেশে অপরাধ করলে তার দায়ভার সরকার নেবে না।
রেমিট্যান্স সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লিগ্যাল চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠান। আমরা আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছি (ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য)।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদারে বাংলাদেশি কূটনীতিকদের সক্রিয় হতে হবে: দোহায় প্রধানমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এলডিসিতে প্রকৃত কাঠামোগত রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি পুনর্নবীকরণ করতে হবে: দোহা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কাঠামোগত রূপান্তরের অঙ্গীকার পূরণ ও নবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেহেতু দেশগুলো ‘চ্যারিটি’ দাবি করে না।
রবিবার জাতিসংঘের পঞ্চম এলডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী পূর্ণাঙ্গ সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দোহা প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য আশার আরেকটি নিশ্চয়তা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে প্রকৃত কাঠামোগত রূপান্তরের জন্য তার প্রতিশ্রুতি পুনর্নবীকরণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে তালিকা থেকে উন্নীত করার লক্ষ্যে পারফরম্যান্সের জন্য কিছু প্রণোদনা থাকা উচিত এবং তাদের বর্ধিত সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ব্যবস্থা উপভোগ করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের উৎপাদনশীল সক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য তাদের বর্ধিত বিনিয়োগ ও জ্ঞান প্রয়োজন। তাদের জন্য কিছু উদ্ভাবনী এবং ক্রান্তিকালীন অর্থায়ন ব্যবস্থা থাকতে পারে।’
আরও পড়ুন: এলডিসি-৫ সম্মেলন: দোহার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি উন্নত দেশগুলোকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশগুলোও দরকষাকষিতে তাদের পক্ষ নেবে। এই দেশগুলো দান-খয়রাত চায় না; আমরা যা চাই তা হল আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির অধীনে আমাদের পাওনা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বৈশ্বিক বাণিজ্যে তাদের অংশ দ্বিগুণ করার জন্য টেকসই সহায়তা প্রয়োজন এবং উন্নত দেশগুলো থেকে এলডিসির জন্য ওডিএ লক্ষ্যমাত্রা পূরণের দাবি রাখে।
তিনি দাবি জানান, ‘আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে ঋণের স্থায়িত্বকে সমর্থন করার উপায় রয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়নকে নমনীয় ও অনুমানযোগ্য করতে হবে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে প্রযুক্তি হস্তান্তর বাস্তব ও অর্থবহ হতে হবে।’
তিনি বলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের তাদের অধিকার ও কল্যাণের জন্য সুরক্ষা প্রয়োজন। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ২২ কোটি ৬০ লাখ তরুণকে আমরা ব্যর্থ করতে পারি না।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে কাতারে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মহামারি ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে এসব দেশের অধিকাংশ দেশে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে জলবায়ু সংকট এবং কিছু স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে দীর্ঘস্থায়ী দ্বন্দ্ব।
তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে আমরা তাৎক্ষণিক কোনো সমাধান ছাড়াই কাজ করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছে এবং এখন ২০২৬ সালে উত্তরণের অপেক্ষায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী এলডিসি-৫ সম্মেলনে যোগ দিতে দোহার উদ্দেশে রওনা হবেন শনিবার
বিএনপির চতুর্থ বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পরপর তিন নির্বাচনে বিএনপির বিপর্যয় হয়েছে। আগামী নির্বাচনে তাদের চতুর্থ বারের মতো বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন দেখে মানুষ খুবই খুশি। জনগণ উন্নয়নের প্রশংসা করছে। স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ নির্মাণের, সে লক্ষ্যেই দেশ এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: রোজায় নিত্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রী
শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের কুমুদিনী সরকারি কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনও সংবিধান অনুযায়ী হবে। চেষ্টা করব বিএনপিকে নির্বাচনে আনার। না এলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হবে।
তিনি বলেন, তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। বিএনপির অস্তিত্বের স্বার্থে তাদের নেতারা একপর্যায়ে নির্বাচনে আসতে বাধ্য হবে।
পোলট্রি মুরগির দাম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. রাজ্জাক বলেন, করোনার শুরু থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন যাবৎ পোল্ট্রি ব্যবসায়ী, খামারি, উদ্যোক্তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন, লস দিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে গত দুই মাস ধরে পোল্ট্রি মুরগির দাম অনেক বেশি। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলের প্রান্তিক খামারিরাও ঠিকমতো দাম পাচ্ছেন না। বিষয়টি আমি সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে তুলে ধরব। এমন একটা নীতি আমাদের নির্ধারণ করতে হবে, যার মাধ্যমে পোলট্রির দাম সহনশীল রাখা যাবে, যাতে করে নিম্নআয়ের, সীমিত আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ী, খামারি এবং উদ্যোক্তারাও লাভবান হয়।
কুমুদিনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বদরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, মো. ছানোয়ার হোসেন এমপি, খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল করিম মিঞা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: জেল দিয়ে কী কোনদিন কারো রাজনীতি বন্ধ করা যাবে: প্রশ্ন কৃষিমন্ত্রীর
জাপানে আম রপ্তানি শুরু হবে শিগগিরই: কৃষিমন্ত্রী
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে।
রবিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোস ইনস্টিটিউট অব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রিসার্চের জীববিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক টিমোথি ই ওয়ালশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে এ প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক বাংলাদেশের সর্বত্র পাওয়া যায় এবং ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এ জাতীয় ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে হবে।’
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষককে বলেন, ‘এক সময় দেশের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হতো। কিন্তু এখন তা বন্ধ করা হয়েছে। এখন চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে সরকারি হাসপাতাল থেকে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়।’
আরও পড়ুন: প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না: মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন
অ্যান্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সর্বত্র যাতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না হয় তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
টিমোথি ই ওয়ালশ বলেন, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) এখন বিশ্বের আটটি দেশে মহামারি আকার ধারণ করেছে। এখনই প্রতিরোধ করা না গেলে ভবিষ্যতে এটি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে উল্লেখ করে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে এর ফলে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
তিনি গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপ অন এএমআর-এর কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের মতো বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে লাইসেন্স বাতিল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন যে তার সরকার কৃষি, মৌলিক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি ২০০টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে পিএইচডি, পোস্ট-ডক্টরাল ও গবেষণা ক্ষেত্রে ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এই অধ্যাপক ফেলোশিপের আওতায় চিকিৎসা ও মৌলিক বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইনোস ইনস্টিটিউট অব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রিসার্চ থেকে বঙ্গবন্ধু আইওআই ফেলোশিপ চালুর প্রস্তাব করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের জন্য নীতিগত সম্মতি দেন।
এছাড়াও টিমোথি ই ওয়ালশ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ককাসের সঙ্গে এএমআর বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের অংশীদারিত্বের প্রস্তাব করেন এবং প্রধানমন্ত্রী তার ইতিবাচক সাড়া দেন।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সদস্য দেশগুলোকে তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা দুরন্ত বিপ্লবের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সম্প্রতি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া দুরন্ত বিপ্লবের লেখা ‘বঙ্গবন্ধু ভালোবাসার অপর নাম’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বলেন যে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে রবিবারের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিপ্লবের মা রোকেয়া আক্তার খাতুন, তার ভাই দুর্জয় বিপ্লব ও বোন শাশ্বতী বিপ্লব উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় উপ-কমিটির সাবেক সদস্য বিপ্লব গত ৭ নভেম্বর বুড়িগঙ্গা নদীতে তার নৌকাকে লঞ্চ ধাক্কা দিলে তিনি ডুবে মারা যান।
মায়ের সঙ্গে দেখা করতে কেরানীগঞ্জ থেকে মোহাম্মদপুর যাচ্ছিলেন ৫১ বছর বয়সী এই উদ্যোক্তা।
আরও পড়ুন: ‘রেণু থেকে বঙ্গমাতা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে অধ্যাপক আনোয়ারুল করিমের বইয়ের উদ্বোধন