প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
এক দফা দাবি: আন্দোলনকারীরা এখন শাহবাগে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
রাজধানীর শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন ঘোষণার পর শাহবাগ অভিমুখে পদযাত্রা করেন হাজার হাজার জনগণ।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের সমাগম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা তাদের এক দফা দাবি ঘোষণা করে এটিকে ‘শিক্ষার্থীদের দাবি’ বলে অভিহিত করেছেন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিশাল সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলমসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্য সমন্বয়করা।
শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল খুলে দিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দিয়েছেন তারা।
অসহযোগ আন্দোলনের পয়েন্ট ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, রবিবার থেকে তারা আন্দোলন বাস্তবায়ন করবেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত ২
বরিশালে পুলিশ ও বক্স ও আমর্ড ব্যাটালিয়নের গাড়ি ভাঙচুর, আহত ৪
৪ মাস আগে
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনে ‘এক দফা’ দাবি ঘোষণা
আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের পদত্যাগ চেয়ে এক দফা দাবি ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। এই দাবিকে তারা ‘শিক্ষার্থীদের দাবি’ বলে অভিহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে 'অসহযোগ আন্দোলনের' জরুরি নির্দেশনা
শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিশাল সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলমসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়করা।
অসহযোগ আন্দোলনের পয়েন্ট ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, রবিবার থেকে তারা আন্দোলন বাস্তবায়ন করবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলেন শিক্ষার্থীরা
কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-আ. লীগ কর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
৪ মাস আগে
বিটিভি ভবনের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে হামলায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে তিনি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের দেওয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবনের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: মিরপুর-১০ নম্বরে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এসময় রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন কেন্দ্রটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন বিটিভির মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এছাড়াও রাজধানীর রামপুরায় একই প্রাঙ্গণে অবস্থিত বিটিভি ভবন ও বিটিভির প্রধান কার্যালয়ে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র নিয়ে একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন দেখানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: অপরাধীদের রুখতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে: মেট্রোরেলে তাণ্ডব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
৪ মাস আগে
গ্রেট হল অব পিপলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
বুধবার সকালে বেইজিংয়ে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য গ্রেট হল অব দ্য পিপলে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপল প্রাঙ্গণে পৌঁছালে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং তাকে স্বাগত জানান।
পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে সুসজ্জিত মঞ্চে যান এবং চীনা সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অতিথিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
এ সময় ২ দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। শেখ হাসিনা সালাম গ্রহণ করেন এবং গার্ড পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনকে সহায়তা করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর
সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে গান স্যালুটের আয়োজন করা হয়।
উভয় প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন।
এদিকে স্বাগত অনুষ্ঠানের পর গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং চীনা প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
গ্রেট হল অব পিপল রাষ্ট্রীয় ভবন যা চীন সরকার ও চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি কর্তৃক আইনসভা ও আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন: বুধবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
চার দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে চার দিনের সরকারি সফরে বেইজিং পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৮ জুলাই) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা) বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইট। এর আগে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
চীনে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে (১০ জুলাই) পৃথক বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে সই হতে পারে ২০ সমঝোতা স্মারক
এছাড়া বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ বিষয়ে একটি শীর্ষ বৈঠকে (৯ জুলাই) যোগ দেবেন।
দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে ২০টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে এবং কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণাও আসতে পারে।
গ্রেট হল অব দ্য পিপলে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
সেখানে ১০ জুলাই চীনের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত অভ্যর্থনা ভোজে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
এর আগে ৯ জুলাই ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিং ও এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। এছাড়াও তিয়েনআনমেন স্কয়ারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
আগামী ১১ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে চীন থেকে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: চার দিনের সরকারি সফরে বেইজিং যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রোগীদের প্রকৃত চাহিদা বিবেচনা করেই সরকারি হাসপাতালের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বানও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
বুধবার (৩ জুলাই) গণভবনে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় স্বাস্থ্য খাতের রূপান্তরবিষয়ক একটি উপস্থাপনা দেখার সময় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের জানান, উপস্থাপনাটি দেখে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বাধীনতার পর স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, গত দেড় দশকে দেশের অন্যান্য খাতগুলোর মতো স্বাস্থ্য খাতেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
তার সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের অর্জনকে টেকসই করে স্বাস্থ্য খাতে এগিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় আরও ছিলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান।
আরও পড়ুন: ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে এডিবিকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক অন্যদের জন্য মডেল: প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২১-২২ জুনের রাষ্ট্রীয় সফরসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ভারতের
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২১-২২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করবেন বলে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের খবর অনুযায়ী, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের পর ভারতে সরকার গঠনের পর এটাই হবে প্রথম দ্বিপক্ষীয় রাষ্ট্রীয় সফর।
সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ছাড়াও দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
গত ৯ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গেও যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ২১-২২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হবে। এছাড়া নতুন কিছু উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বেশ কিছু দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: জি-২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তারা বলেন, দুই দিনের এই রাষ্ট্রীয় সফরে ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতার কিছু নির্দেশনা থাকতে পারে।
১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে এটি হবে নয়া দিল্লিতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর।
মঙ্গলবার(১৮ জুন) এক জেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে সুনির্দিষ্টভাবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিতে কোনো অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তবে বিষয়টি আলোচনায় থাকবে। বিস্তৃত তিস্তা উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক প্রকল্প নিয়ে সম্ভাব্য আলোচনা হবে।
এর আগে গত ৯ মে ভারত বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নের আগ্রহ প্রকাশ করে, যা 'তিস্তা রিভার কম্প্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টুরেশন প্রজেক্ট' নামে পরিচিত।
গত ৯ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, 'আপনারা জানেন, তিস্তা নিয়ে আমরা একটা বড় প্রজেক্ট নিয়েছি। এই প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চায় ভারত। আমাদের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা আমাদের চাহিদা পূরণ দেখতে চাই।’
গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির নবায়ন করার বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সম্প্রতি বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সইয়ের কথা রয়েছে এবং সহযোগিতার কিছু ক্ষেত্র নিয়ে কিছু ঘোষণা দেওয়ার বিষয় রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সম্প্রতি এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ফাঁকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'সম্পর্কের ধারাবাহিকতা থাকবে এবং আমরা আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু নতুন উদ্যোগ দেখার আশা করি।’
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, নতুন ম্যান্ডেটের ধারাবাহিকতায় দুই প্রতিবেশী দেশে নতুন সরকার গঠিত হওয়ায় তারা আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।
প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা আকাশচুম্বী উল্লেখ করে শুক্রবার তিনি বলেন, '২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে আমরা যা রেখে এসেছি তা নিয়ে একটি স্টক-টেকিং হবে এবং আমরা আগামী পাঁচ বছরে সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত সফরকালে আগের আলোচনার কথা স্মরণ করে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন সম্পর্কিত অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি সম্পাদনের জন্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেন, যেটির খসড়া ২০১১ সালে চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে আন্তঃসীমান্ত যোগাযোগের উদ্যোগ, তিস্তা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতের বিনিয়োগ, মোংলা বন্দরের ব্যবস্থাপনা এবং বিদ্যুৎ বাণিজ্য।
আরও পড়ুন: ভারত সফরে বিজেপির প্রবীণ নেতা আদভানির সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ
এছাড়া একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে আলোচনারও আশা করা হচ্ছে।
গত এক দশক ধরে একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অসংখ্য আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ চালু করা হয়েছে।
আগামী ২২ জুনের মোদি-হাসিনা শীর্ষ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ বলছে ভারত বন্ধুপ্রতিম দেশ। আর বাংলাদেশ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে অন্য কারো সঙ্গে তুলনা করে না। ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের পাশে ছিল। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বহুমুখী। ভারতের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত রয়েছে। আমরা একে অপরকে সমর্থন করি।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট শুক্রবার দুপুর ২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।
ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় নয়া দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বিমানবন্দরে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় (দিল্লি সময়) প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে নয়া দিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন এবং রাত ৯টার দিকে ঢাকায় অবতরণ করবেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গতিশীল করবে: গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
৬ মাস আগে
সেচ পাম্পগুলো পুরোপুরি সৌরবিদ্যুতে চলবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার দেশের সেচ ব্যবস্থাকে পুরোপুরি সৌরবিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসতে চায়।
তিনি বলেন, ‘সেচ ব্যবস্থাকে পুরোপুরি সৌরবিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল করতে চাই। প্রাথমিকভাবে এক্ষেত্রে কিছু বিনিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমাবে।’
শনিবার (১৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষক লীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বিষয়ে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি চমৎকার পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয়েছে। সোলার প্যানেল দিয়ে সজ্জিত একটি ছাতা একটি কূপের উপরে স্থাপন করা হবে যেখানে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা হবে। সৌরশক্তি দিয়ে সেচ করা হবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এ ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য বিপুল পরিমাণ জমি নষ্ট করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে সোলার প্যানেল তৈরি করা হচ্ছে এবং আমরা সেচ করার জন্য নিকটবর্তী গ্রামে সোলার প্যানেল স্থাপন করতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশকে শিল্পায়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে সবুজ করতে তার দলের নেতা-কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
তিনি সবুজ আন্দোলনকে জোরদার করতে নদীর বাঁধ, উপকূলীয় অঞ্চল, রাস্তার ধারে, ছাদে, বাড়িতে চারা রোপণের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান উপলক্ষে গণভবনে ৩টি গাছের চারা রোপণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকারও বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীমা শাহরিয়ার।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর নবনিযুক্ত প্রেস সচিবের শ্রদ্ধা
৬ মাস আগে
বিশ্ব নেতাদের জোটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে চায় গ্লোবাল ফান্ড
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্লোবাল ফান্ডের শীর্ষ জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় গ্লোবাল ফান্ড ও স্টপ টিবি পার্টনারশিপ।
বুধবার (১২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান গ্লোবাল ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক পিটার স্যান্ডস এবং স্টপ টিবি পার্টনারশিপের নির্বাহী পরিচালক ড. লুসিকা দিতিউ।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা তাদের জোটের নেতাদের তালিকায় রয়েছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, এই দুটি সংস্থা মূলত বাংলাদেশে যক্ষ্মা, এইচআইভি ও ম্যালেরিয়া এবং এর অর্থায়ন নিয়ে কাজ করে।
তিনি আরও বলেন,‘তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক সম্প্রসারণ ও গভীর করতে চান।’
প্রেস সচিব নাইমুল বলেন, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্ব নেতাদের যোগাযোগ ও নেটওয়ার্ককে তাদের তহবিল সংগ্রহের জন্য কাজে লাগাতে চান।
নাইমুল বলেন, দুই নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, যক্ষ্মা, এইচআইভি ও ম্যালেরিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর গভীর জ্ঞান বিস্ময়কর।
তিনি উল্লেখ করেন, পার্বত্য এলাকা ছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকায় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং বাংলাদেশের এইচআইভি পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এসব অর্জন তুলে ধরবেন।’
আগামী দিনে তাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান তারা।
তারা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘আপনি এলে বাংলাদেশের সাফল্যগুলো বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা হবে। আর এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দাবি আরও জোরদার হবে।’
তারা উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যেই এই সাফল্য অর্জন করেছে। যদি আরও সহায়তা পায় তবে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে আরও সফল হবে বাংলাদেশ এবং এর মাধ্যমে এই রোগগুলো নির্মূল হবে।আরও পড়ুন: প্রতিটি গ্রামকে নাগরিক সুবিধার আওতায় আনা হবে: প্রধানমন্ত্রী
গ্লোবাল ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক পিটার স্যান্ডস এবং স্টপ টিবি পার্টনারশিপের নির্বাহী পরিচালক ড. লুসিকা দিতিউ দাবি করেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৪০ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যায়।
নাঈমুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংখ্যার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের তা খতিয়ে দেখতে বলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের তথ্য অনুযায়ী দেশে প্রতি বছর ২৬ থেকে ২৭ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যান।
নাইমুল খান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যক্ষ্মায় মৃত্যুর সংখ্যা বের করতে একটি জরিপের নির্দেশ দিয়েছেন।’
এক্ষেত্রে গ্লোবাল ফান্ড বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
তারা যক্ষ্মা দ্রুত শনাক্ত করতে এআই সংযোজিত হাই-টেক এক্স-রে মেশিনের মাধ্যমে দেশে ভ্রাম্যমাণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনায় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাহী পরিচালকরা দেশের এইচআইভি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, 'এইচআইভি সম্পর্কিত বিষয়গুলো মোকাবিলায় আমাদের প্রচেষ্টা বন্ধ করা উচিত হবে না, যদিও বাংলাদেশ এই ইস্যুতে খুব ভালো কাজ করছে। এতে যেন আত্মতুষ্টি তৈরি না হয়, যা দুঃসংবাদ বয়ে আনতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সচেতনতামূলক কর্মসূচি আরও জোরালোভাবে অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে বাংলাদেশের অর্জন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং দেশকে আরও ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারি।
আরও পড়ুন: জিসিএ লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়ন্স অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, যক্ষ্মার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে অপুষ্টি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, তারা এই সাফল্যকে ধরে রাখতে আগ্রহী এবং বাংলাদেশের জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করতে প্রস্তুত।
কমিউনিটি ক্লিনিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কার্যক্রম এবং এটি কীভাবে সহায়তা করছে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন।
সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন
এইচআইভি, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়াকে পরাজিত করতে এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যকর, নিরাপদ ও সমতাভিত্তিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে গ্লোবাল ফান্ড বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করছে।
তারা মারাত্মক সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই এবং অন্যায়কে রুখে দিতে সহায়তা দেওয়াসহ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০০টিরও বেশি দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং মহামারি মোকাবিলার প্রস্তুতির গ্রহণের জন্য বছরে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ সংগ্রহ ও বিনিয়োগ করে।
২০২২ সালে এইচআইভি, টিবি এবং ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ, কোভিড-১৯ রেসপন্স মেকানিজম (সি১৯ আরএম) কার্যক্রমকে সমর্থন এবং স্বাস্থ্যের জন্য সিস্টেমগুলোকে শক্তিশালী করতে রেকর্ড ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিতরণ করেছে গ্লোবাল ফান্ড।
তারা বিশ্ব নেতা, সম্প্রদায়, নাগরিক সমাজ, স্বাস্থ্যকর্মী এবং বেসরকারি খাতকে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে এমন সমাধান খুঁজে বের করতে এবং বিশ্বব্যাপী তাদের তুলে ধরতে একত্রিত করে।
স্টপ টিবি পার্টনারশিপ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেস (ইউএনওপিএস) -এর সহযোগিতায় পরিচালিত।
এটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পার্টনারশিপ ১ হাজার ৬০০ অংশীদার সংস্থাকে একত্রিত করে।
আরও পড়ুন: গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকসহ ১৪ আসামি পলাতক: প্রধানমন্ত্রী
৬ মাস আগে
সরকার সুষম ও টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাস করে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সুষম ও টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাস করে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো উন্নয়নই মানবজাতির জন্য উপকারী হতে পারে না, যদি সেটা টেকসই না হয়। প্রধানমন্ত্রী এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকার টেকসই উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।
আরও পড়ুন: সরকার-নাগরিকের অংশীদারিত্ব তৈরি হলে সমস্যা সমাধান সহজ হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমরা শুধু উন্নয়নেই বিশ্বাস করিনা, আমরা সুষম ও টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাস করি। এ জন্য জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের অধিকাংশ সূচকে বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে ভালো করেছে। এটিই প্রমাণ করে শেখ হাসিনার সরকার টেকসই উন্নয়নে কতটা গুরুত্ব দেয়।
শুক্রবার (২৪ মে) বিকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে দুইদিন ব্যাপী আয়োজিত লিডারশিপ, টেকনোলজি অ্যান্ড ট্রেন্ডজ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন 'ইনফোকম ঢাকা ২০২৪' এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, দি ডেইলি স্টার, আইসাকা ঢাকা চ্যাপ্টার এবং জেসিআই বাংলাদেশের সহযোগিতায় ভারতের এবিপি গ্রুপ এই সম্মেলন আয়োজন করে।
সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সাসটেইনেবল ডিসরাপশন’।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে যে পরিবর্তনগুলো ঘটছে, সেটাকে আমরা এখন টেকসই করার চিন্তা করছি। এটা ভালো একটা বিষয়। প্রযুক্তির মাধ্যমে কোন কিছুর পরিবর্তনের ফলাফল যদি ইতিবাচক হয়, সেটাকে টেকসই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবনা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির বিশ্বে আমাদের ডাটা সুরক্ষায় যদি পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকে তাহলে এক্ষেত্রে আমাদের সার্বভৌমত্ব থাকবে না। এ জন্য ডাটা ব্যবস্থাপনাসহ এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে পুনরায় চিন্তা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য প্রযুক্তির বিষয়টি মাথায় রেখেই একসঙ্গে সম্পূর্ণ নতুন এক বিশ্ব তৈরির ব্যাপারে নতুন করে ভাবতে হবে। এ বিষয়টি সব ধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে হবে। মানবতা, মানবাধিকার এবং মানুষের কল্যাণই মূল বিষয়। দেশ-রাষ্ট্র নির্বিশেষে ভালো চিন্তার মানুষগুলোকে একত্রিত হতে হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি ভালো পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য একসঙ্গে চেষ্টা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যত বেশি আমাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা একসঙ্গে চলতে পারব, তত ভালো আউটপুট তৈরি সম্ভব হবে এবং আমরা উন্নত বিশ্ব তৈরি করতে পারব। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের জনগণ উপকৃত হবে। তাই সবকিছুর মূলে জনগণ এবং জনগণের সুবিধা বিবেচনায় নিতে হবে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ের গল্প তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৭ মাস আগে