রবিবার বিকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুমে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনায় মাস্ক ব্যবহার না করে মানুষ এখন টু মাচ কনফিডেন্ট এটিটিউট দেখাচ্ছে, যা কিছুটা চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছে। এজন্য সরকার এখন কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে।’
করোনা থেকে বাঁচতে হলে এখন মানুষের মুখে মাস্ক পরার বিকল্প কিছুই নেই বলেও মনে করেন স্বাস্থ্য ও পরিববার কল্যাণ মন্ত্রী।
করোনায় বেসরকারি হাসপাতালের ভূমিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার প্রথম পর্যায়ে দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্য থেকে অন্তত ৭৫টি হাসপাতাল করোনা নিয়ে কোনো না কোনোভাবে কাজ করেছে। এদের মধ্যে ১৫টি হাসপাতাল ছিল কোভিড ডেডিকেটেড।’
‘করোনার দুঃসময়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মাধ্যমে প্রায় ১২ হাজার কোভিড রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং লক্ষাধিক করোনা টেস্ট করা হয়েছে,’ বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলো যেভাবে সরকারের সাথে থেকে করোনার প্রথম পর্যায়ে কাজ করে গেছে দ্বিতীয় পর্যায়েও ঠিক সেভাবেই কাজ করবে। এর সাথে দেশের মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনার দ্বিতীয় পর্বেও দেশের মানুষ এখনকার মতো করেই নিরাপদে থাকতে পারবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো কোনো দেশকেই ভ্যাকসিন ব্যবহার করার অনুমোদন দেয়নি। তবে সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে। সংস্থাটি বিশ্বের কোথাও কাউকে ভ্যাকসিন ব্যবহারে অনুমতি দিলে বাংলাদেশও সাথে সাথেই ভ্যাকসিন পেয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খানের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব আনোয়ার হোসেন খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর থেকে আসা বেসরকারি মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।