স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মানুষের উপকারে আসবে এমন হাসপাতাল তৈরির কাজই আমি করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, মানুষের উপকারে আসবে এমন প্রকল্প বা হাসপাতাল তৈরির কাজই আমি করব।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা বিভাগীয় শহরে বার্ন ইউনিট, ক্যান্সার, কার্ডিয়াক, নেফ্রোলজির যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করাটা আমার লক্ষ্য। একজন দরিদ্র মানুষ রংপুর থেকে ডায়ালাইসিসের জন্য ঢাকা আসবেন, সেটা তো হয় না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এমন প্রকল্প নিয়েই কাজ করব, যেটা শেষ করতে পারব। সেটা এখন থেকেই করতে হবে। স্বাস্থ্যখাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেটার সদ্ব্যবহার করতে পারলে অনেক কিছুই করা সম্ভব।’
সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) কর্তৃক আয়োজিত বিপর্যয়কর স্বাস্থ্য অভিঘাতের ফলে বাংলাদেশে দারিদ্র্য শীর্ষক সেমিনারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: সিজারিয়ান অপারেশনের সংখ্যা কমিয়ে আনার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি বিগত ৪৮ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্যসেবা বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক সব জায়গা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। আমি বিশ্বাস করি, প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণের যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা যদি নিশ্চিত করতে না পারি, আমি ঢাকায় বসে যতই লেকচার দিই না কেন কোনও লাভ হবে না। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে ও প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করাটাকে আমি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আমি নিজে প্রত্যেক জায়গায় গিয়ে চেকআপ করি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখি মেশিন ঠিক আছে কিনা। আমি ওখানে গিয়ে দেখলাম হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিসের রোগী অনেক বেশি। আমি রোগীদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি, সব জায়গায় রোগীদের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। আমরা যদি ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিসের যথাযথ চিকিৎসা ও ওষুধ দিতে পারি তাহলে ঢাকা শহরে এত বড় বড় বিশেষায়িত হাসপাতালের দরকার হবে না।’
এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রেসক্রিপশন ছাড়া সামান্য সর্দি জ্বর হলেই এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে। এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেসিস্টেন্ট ভয়ানক একটা জিনিস। এ প্রসঙ্গে আমি বলব ডিজি ড্রাগকে আরও শক্ত হতে হবে। ফার্মেসিতে গিয়ে কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এন্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে আমরা ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন সিস্টেম চালু করার চেষ্টা করছি। ইলেকট্রনিক প্রেসক্রিপশন সিস্টেম যদি চালু করা যায় তাহলে যথাযথ মনিটরিং করা সম্ভব হবে, ওষুধের যথেচ্ছ ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।’
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মন্ত্রী হবার মেয়াদ ছয় মাস। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে আমি অন্তত সাতটি সভা করেছি। রোগী ও চিকিৎসক উভয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করাটা আমার দ্বায়িত্ব।’
স্বাস্থ্যখাতের সমস্যা মোকাবিলায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতের সমস্যা নিরসনে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপার জনমত তৈরি করতে হবে। সাংবাদিকদের সহযোগিতায় ও সৃষ্ট জনমতের কারণে পাঁচ বেড থেকে ৫০০ বেডের বার্ন হাসপাতাল তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বার্ন হসপিটাল। একটা রোগীও বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে না। রোগীরা আইসিইউতেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন।’
বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গবেষক ড. আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ পারিবারিক আয় ব্যয় জরিপের ২০২২ (এইচআইইএস) ভিত্তিতে তার গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডিএসের গবেষক, শিক্ষক শিক্ষার্থী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
আরও পড়ুন: মেডিকেল কলেজগুলোতে উন্নত শিক্ষা দিলে সুদক্ষ চিকিৎসক তৈরি হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য বিভাগের সব সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৫ মাস আগে
মেডিকেল কলেজগুলোতে উন্নত শিক্ষা দিলে সুদক্ষ চিকিৎসক তৈরি হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘আমাদের মেডিকেল কলেজগুলোর মান বাড়লে ও উন্নত শিক্ষা দিলে আমরা আরও সুদক্ষ চিকিৎসক পাব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মেডিকেল কলেজগুলো চিকিৎসক তৈরি করে। তাই মেডিকেল কলেজগুলোর সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।’
আরও পড়ুন: বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রবিবার (১৪ জুলাই) দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মেডিকেল পেশাজীবী ও রোগীদের সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরি শেষ পর্যায়ে আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা অনেকবার এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়ে সভা করেছি। এই আইন রোগী ও ডাক্তার উভয়কেই সুরক্ষা দেবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম ডাক্তারদের বিদ্যমান সব সাবজেক্টে পোস্ট গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ডাক্তারদের জন্য সুপার নিউমারারি পদ সৃষ্টির উদ্যোগের কথা বলেন।
এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ. এফ. এম. নূরুউল্লাহর সভাপতিত্বে এই মত বিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ স্বাস্থ্য বিভাগের ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য বিভাগের সব সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সিজারিয়ান অপারেশনের সংখ্যা কমিয়ে আনার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
৫ মাস আগে
স্বাস্থ্য বিভাগের সব সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠপর্যায়ে যেসব সমস্যা আছে, তা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়। এ সমস্য সমাধানে কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবার জন্য যা যা করা দরকার, তা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সবার আগে আমাদের স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায়ও যদি আমরা উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারি তাহলে সারাদেশ থেকে মানুষ চিকিৎসা নিতে ঢাকামুখী হবে না। আর ঢাকার সাহেবরা বিদেশমুখী হবে না।’
আরও পড়ুন: রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম বাংলাদেশের প্রত্যেক হাসপাতালে আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জে শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ২০ শয্যা বিশিষ্ট ডায়াবেটিস হাসপাতাল উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকদের মান অন্যান্য উন্নত দেশের চিকিৎসকদের চেয়ে কোনো অংশে কম না। শুধু আমাদের চিকিৎসার মান ও যন্ত্রপাতির উন্নয়ন করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকদের একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, কাগজে কলমে ভুল হলে তা সংশোধন করা সম্ভব। কিন্তু ভুল চিকিৎসা দিলে তা সংশোধন করা সম্ভব হয় না। আমরা দেশের প্রান্তিক এলাকার সাধারণ মানুষের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের উন্নতি করতে পারব না।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজউদ্দীন আহম্মেদ, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. মাহাবুর রহমান, পীরগঞ্জ ডায়াবেটিস হাসপাতালের পরিচালক ফয়জুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সিজারিয়ান অপারেশনের সংখ্যা কমিয়ে আনার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৫ মাস আগে
বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহতদের চিকিৎসার সব ব্যয় সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
সোমবার (৮ জুলাই) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রথযাত্রায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন দুই রোগীকে দেখা শেষে এ কথা জানান তিনি।
চিকিৎসাধীন কেউই শঙ্কামুক্ত নন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়ে আহতদের আত্মীয়-স্বজনদের সান্ত্বনা দেন এবং তাদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে তাদের আশ্বস্ত করেছি যে সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার সব খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রথযাত্রায় যে দুর্ঘটনা হয়েছে তা খুবই মর্মান্তিক এবং শোকাবহ। যে দুজন ভর্তি হয়েছে তাদের কেউই আশঙ্কামুক্ত নন।’
আহতদের অনেকেই স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন উল্লেখ করে সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ বগুড়া ও বার্নে চিকিৎসকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আহতদের যথাযথ ও সুষ্ঠু চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বগুড়ায় সরকারি হাসপাতালের পরিচালক ও সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের কর্মকর্তারা।
রবিবার বগুড়া জেলা শহরে রথযাত্রা চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজন নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়।
সেউজগাড়ি আমতলা মোড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমরুল কায়েসকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
৫ মাস আগে
ব্রেস্ট ক্যান্সার যত দ্রুত সম্ভব শনাক্তকরণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ব্রেস্ট ক্যান্সার যত দ্রুত সম্ভব শনাক্তকরণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নতির কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘আমার খুবই কষ্ট লাগে যখন গ্রাম থেকে মায়েরা আসেন ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে। তারা এত দেরিতে আসেন তখন তাদের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। এজন্য যত দ্রুত সম্ভব ব্রেস্ট ক্যান্সার শনাক্তকরণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শুরুর স্টেজে এটা শনাক্ত করা গেলে যথাযথ চিকিৎসা করা যায়।’
উপস্থিত নারী চিকিৎসকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে ব্রেস্ট ক্যান্সারের বিষয়টি সাধারণ মায়েরা অবহেলা করে। আপনাদের কাছে যখন রোগী আসবে তখন খেয়াল করবেন ব্রেস্টে কোনো লাম্প আছে কি না। যদি সেরকম কোনো রোগী পান তাহলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠাবেন। সেখানে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ ব্রেস্ট স্ক্রিনিংয়ের সেরা ফ্যাসিলিটি আছে। আপনারা যদি এইরকম ১০-১৫ জন করে রোগী পাঠান আমরা বিনামূল্যে সবরকমের টেস্ট করে তাদের চিকিৎসা করব।’
বুধবার (২৬ জুন) সকালে হাজারীবাগে শহীদ শামসুননেছা আরজু মনি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় শহীদ শামসুননেছা আরজু মনি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রকে আরও উন্নতমানের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, লেখক, সাংবাদিক ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির সহধর্মিণী শহীদ শামসুননেছা আরজু মনি। একজন মহীয়সী নারীর নামে প্রতিষ্ঠিত এই কল্যাণ কেন্দ্রের উন্নয়নে যা যা করা দরকার সবই আমি করব।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা এবং ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।
৫ মাস আগে
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জরুরি নির্দেশনা
সিলেটের বন্যাকবলিত এলাকার চিকিৎসকদের জন্য জরুরি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বুধবার সচিবালয়ে অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে সিলেট বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা খাতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনাসভায় এ নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঢামেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে যাতে কোনো বিবাদ না হয়: পরিচালককে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ওষুধ মজুদ রাখতে হবে।
এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালগুলো বিষধর সাপের প্রতিষেধক পর্যাপ্ত এন্টিভেনম মজুদ রাখার জন্য নির্দেশ দেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে, বন্যার সময় ও পরবর্তী রোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় যুক্ত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরসহ সিলেট বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা খাতের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: লোকবল না থাকলে কোনো হাসপাতাল নতুন যন্ত্রপাতি কিনতে পারবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলা সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৬ মাস আগে
লোকবল না থাকলে কোনো হাসপাতাল নতুন যন্ত্রপাতি কিনতে পারবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চালানোর মতো লোক না থাকলে কোনো হাসপাতাল নতুন কোনো যন্ত্রপাতি কিনতে পারবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার কোটি কোটি টাকা দিয়ে মেডিকেলের যন্ত্রপাতি কিনছে। কিন্তু সেগুলো সংরক্ষণ বা পরিচালনার জন্য বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোনো পদ নেই।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব যন্ত্রপাতি চালানোর মতো লোক আছে, শুধু সেসবই কেনা হবে।
রবিবার (৯ জুন) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: প্রধান লক্ষ্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগে দেখব হাসপাতালে ওই যন্ত্র চালানোর মতো কোনো লোক আছে কি না। যদি থাকে তবে আমি কিনব, না হয় কিনব না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস। আমি আমার যে হাসপাতাল তৈরি করেছি, সেখানেও একটা পোস্ট রেখেছি বায়োমেডিকেলের, আমরা এ বিষয়ে কাজ করব।’
তিনি বলেন, ‘আমি যদি প্রাইমারি হেলথ কেয়ারকে ইমপ্রুভ করতে পারি, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মায়েদের যদি বোঝাতে পারি, তারা যেন হাসপাতালে এসে ডেলিভারি করায়, মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে পারব বলে আমি মনে করি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাচ্চাদের পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে আজকে আমরা একটা মিটিং করলাম। আমরা যদি গ্রামে আঁচল নামে শিশুদের চাইল্ড কেয়ার করি, মায়েরা যখন কাজ করে তখন সেখানে বাচ্চারা থাকবে। এ বিষয়ে আরও কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেগুলো নিয়ে আমি কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে বলেছি, প্রতিটি উপজেলায় হাসপাতালের ভবন, ডাক্তারদের থাকার ব্যবস্থা, ওটি- এগুলোকে যেন মানসম্মত করা হয়। তাহলে, তখন আমি ডাক্তারকে চাপ দিতে পারব।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অনেক সমস্যা রয়েছে। আমি সেখানে গতকাল (শনিবার) গিয়েছিলাম। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল, অত্যাধুনিক একটি হাসপাতাল পড়ে আছে। আমরা এ সপ্তাহে এগুলো নিয়ে বসব।
তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী নিয়োগ হয়েছে কি না আমি জানি না, কাগজপত্র দেখে এ নিয়োগগুলো কেন স্থগিত হয়েছে, যারা নিয়োগ পেয়েছে তারা কেন কাজ করতে পারছে না, তা আমরা খতিয়ে দেখব। খতিয়ে দেখে দ্রুত এটির সুরাহা করার চেষ্টা করব।
ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপের আশ্বাস
ইচ্ছে মতো ওষুধের দাম না বাড়াতে সম্প্রতি নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। ওষুধের দাম বাড়ানো বা না বাড়ানোর বিষয়ে স্বাস্থ্য আদালতকে নির্দেশনা দিতে হয়।
সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কী- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি এটার ব্যাপারে একটা বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। সেটা এ মুহূর্তে এখানে বলব না।
তিনি আরও বলেন, আমি একবার না কয়েকবারই বলেছি- ওষুধের দাম যেন না বাড়ে। সরকার যে খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে এর বাইরে গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি বলেছি। এটা আমি আরও গুরুত্ব সহকারে দেখব।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলা সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢামেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে যাতে কোনো বিবাদ না হয়: পরিচালককে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৬ মাস আগে
হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলা সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না বলে হঁশিয়ার করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেছেন, ‘চিকিৎসা এমন একটি বিষয়, এখানে গাফিলতি করলে মানুষের জীবন চলে যায়। সুতরাং এখানে দুইবার চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের বৈশ্বিক সুনাম ধরে রাখার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
রবিবার বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে সিলেটে কয়েকজনকে কর্মস্থলে না পেয়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান ডা. সামন্ত লাল সেন।
কর্মস্থলে ডাক্তারদের অনুপস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটে যাদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত পেয়েছি সঙ্গে সঙ্গে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেছি। আমার পরিকল্পনা আছে ঢাকার বাইরে কিছু হাসপাতালে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুশকিল হলো কোনো না কোনোভাবে সবাই জেনে যায় আমি আসব! কারণ একজন মন্ত্রী যখন কোথাও যায় তার প্রটোকল এমন থাকে...আমি বলছিলাম দরকার হলে আমি সিএনজি করে চলে যাই। তাও যাই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তবে আমি একটা কাজ করব। ধরুন আমি রংপুর যাব। রংপুর গিয়ে প্রথম দিনই হাসপাতালে যাব না। হঠাৎ করে হাসপাতালে যাব।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
আরও পড়ুন: ঢামেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে যাতে কোনো বিবাদ না হয়: পরিচালককে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রধান লক্ষ্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৬ মাস আগে
ঢামেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে যাতে কোনো বিবাদ না হয়: পরিচালককে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেন সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো বিবাদ না হয়, সেই বিষয়ে পরিচালককে ডেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
রবিবার (৯ জুন) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ নির্মূলে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।
বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
কর্তপক্ষের অনুমতি ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার বা বক্তব্য দিতে পারবেন না বলে নোটিশ জারি করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
পরিচালকের এই নোটিশের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি আজকে সকালে পরিচালককে ফোন করেছিলাম, কেন এ রকম একটি ঘটনা হচ্ছে। আমার কাছে কিছু ভূল তথ্য আজ আসছে। পরিচালক আমাকে বললেন, ‘স্যার আপনার সঙ্গে আমি দেখা করব।’ তিনি কিছুক্ষণ আগে আমার কাছে এসেছিলেন।”
তিনি বলেন, 'আমি ওনাকে বলেছি, সাংবাদিকদের তাদের মতো কাজ করতে বলেন। এখানে যেন কোনোরকম বৈষম্য বা কোনোরকম বিবাদ না হয়। এটা আমি উনাকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি।'
সামন্ত লাল সেন বলেন, 'নিজেকে সামলে নিয়ে কাজ করতে হয়। সেটা আমিও ওনাকে (ঢামেক পরিচালক) বলেছি, এখানে যেন সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ না করা হয়। এটা আমি সকালে উনাকে ডেকে বলে দিয়েছি।'
আরও পড়ুন: প্রধান লক্ষ্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের বৈশ্বিক সুনাম ধরে রাখার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
৬ মাস আগে
২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ নির্মূলে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে কুষ্ঠ নির্মূলে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ নির্মূলে যে অঙ্গীকার করেছেন, তা পূরণে স্বাস্থ্য বিভাগ অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
আরও পড়ুন: ২০৪০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ তামাকমুক্ত হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাসাকাওয়া ইয়োহেইর সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে বাংলাদেশ সরকার বড় রকমের সফলতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাসাকাওয়া ইয়োহেইকে বলেন, ১৯৯১ সালে প্রতি ১০ হাজার জনের মধ্যে কুষ্ঠ বিস্তারের হার ছিল ১৩ দশমিক ৬। সরকারের ঐকান্তিক চেষ্টার ফলে বর্তমানে সেটি দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জিরো কুষ্ঠ অর্জনে ইতোমধ্যে বিশদ কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পঞ্চম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর প্রোগ্রামের আওতায় কুষ্ঠ নির্মূলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
এ জন্য যথা শিগগিরই কুষ্ঠ শনাক্তকরণ, যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ, কুষ্ঠ রোগীদের পুনর্বাসন, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানামুখী প্রচেষ্টা চলছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বৈঠকে সাসাকাওয়া ইয়োহেইকে বাংলাদেশে কুষ্ঠ নির্মূলে অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশে কুষ্ঠ রোগীদের জন্য বিশেষায়িত একটা হাসপাতাল নির্মাণে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তিনি।
কুষ্ঠ রোগ ছাড়াও স্বাস্থ্য সেবার নানান পর্যায়ে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশন যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে বলেও অবহিত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বিশ্বস্বাস্থ্য) ড. মো. জিয়াউদ্দীন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. মাহফুজুর রহমান সরকারসহ নিপ্পন ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করার ক্ষেত্রে কোনো চাপে নেই, আবার অভিযান শুরু হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
‘ভিটামিন এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন সফল করতে জনগণের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৬ মাস আগে