আগামী রমজান মাস শেষ হওয়ার আগে কোনো পণ্যের আমদানি শুল্কে সরকার পরিবর্তন আনবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১ মার্চ মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান শুরু হতে পারে।
রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ও দামের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ছোলা, ডাল, খেজুর ইতিমধ্যে আমদানি করা হয়েছে। সয়াবিনও কিছুটা সহনীয় হয়ে এসেছে। যদি দরকার হয় আমরা আবার সয়াবিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো এখন থেকে বাজার মনিটরিংটা আরও জোরদার করতে হবে। শুধু ভোক্তা সংরক্ষণ আইন দিয়ে হবে না।’
‘এখন ২০০ টাকার পেঁয়াজ ৪০ টাকায় নেমে এসেছে। আমাদের দেশে পণ্যের দাম বেড়ে যায় আবার নেমে যায়। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে দাম কিন্তু মোটামুটি স্থিতিশীল থাকে।’
নতুন করে আবার পেঁয়াজ আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে কিনা— জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা রোজা যাওয়ার আগে আর কোনো ডিউটি (শুল্ক) কাঠামো পরিবর্তন করব না। মেসেজ দেওয়া হয়েছে, রোজা শেষ হওয়া পর্যন্ত আমরা শুল্কে কোনো পরিবর্তন আনব না।’
চালের বাজার সহনীয় রাখতে প্রয়োজনে বিশেষ ওএমএস
চালের দাম সহনীয় রাখতে প্রয়োজনে বিশেষ ওএমএস (খোলা বাজারে চাল বিক্রি) চালু করা হবে বলে জানান উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
চালের দাম বাড়ছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘একটি স্পেসিফিক (নির্দিষ্ট) চালের ক্ষেত্রে দাম কিছুটা বেড়েছে। অন্যান্যগুলোর (দাম) ওভারঅল খুব বেশি বেড়েছে, তা নয়। সাপ্লাই চেইনের কারণে এটা (চালের দাম বৃদ্ধি) হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আইএমএফের শর্ত নয়, রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য ভ্যাট বাড়ানো হবে: অর্থ উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘মাধ্যসত্ত্বভোগীদের কারণে চালের দাম যাতে না বাড়ে, তা আমরা দেখছি। এটা মেজর কনসার্ন। চালের দাম একটু যখন বাড়ছিল তখন আমি সঙ্গে সঙ্গেই খাদ্য ও বাণিজ্য উপদেষ্টাকে বলেছি।’
আজ ক্রয় কমিটির সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়কে নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানি করতে বলা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বলেছি, আপনারা যেখান থেকে পারেন চাল আমদানি করা শুরু করেন। প্রয়োজনে বাফার স্টক করে রাখেন। সরকারের যদি একটা স্টক থাকে বাইরে যারা আছেন তারা একটু সংযত হয়। দরকার হলে আমরা বলেছি স্পেশাল ওএমএস করে দেব।’