আমদানি
আমনের ফসলহানীতে সৃষ্ট ঘাটতি ঠেকাতে চাল আমদানি করা হচ্ছে: খাদ্য উপদেষ্টা
আমন মৌসমে ফসলহানী হওয়ায় সৃষ্ট ঘাটতি মোকাবিলায় চাল আমদানির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
তিনি বলেন, আমনে ফসলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। সেটা মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আমি সে বিষয়ে অবগত হলাম। আমার মনে হয় সঠিক পথেই আছি। গতি আরও বাড়বে ইনশাআল্লাহ।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর সোমবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ের এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমন মৌসুমের ধান-চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের ফসল প্রকৃতি নির্ভর। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর, আবার ২০০৭ সালের নভেম্বরে সিডর হয়েছিল। আমরা দোয়া করি, বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়। তাহলে আশা করছি, আমনে ফসলহানী হয়েছে, সেটা কাটিয়ে উঠতে পারব। এটা পূরণের জন্য বিদেশ থেকেও আমদানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেগুলো পাইপ লাইনে আছে।’
উপদেষ্টা মজুমদার বলেন, ‘আপনার পকেটে ১০ হাজার টাকা থাকতে পারে, কিন্তু খাদ্য না থাকলে আপনি দুই দিনও বাঁচবেন না, মরে যাবেন। এছাড়া কৃষক ফসল ফলায়, তাদের সবচেয়ে বড় অবদান। বেসরকারি খাত খাদ্যশস্য আমদানি করে, এটাকেও আমরা উৎসাহিত করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারিভাবে আমদানি করে মজুত রাখা হয়। পরে যেন মার্কেটে ছাড়া যায়। বেসরকারিভাবে খাদ্য আমদানি সকল ট্যাক্স উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবেও আমদানি বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিছু শিপমেন্টেও আছে।’
কৃত্রিম খাদ্য সংকটের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সেটা যেন না হতে পারে, আমাদের মন্ত্রণালয়ের কাজ আছে। আমরা খাদ্য মজুদ করে মার্কেটে ইনজেক্ট করি যেন দাম ঠিক থাকে। ওএমএসের মাধ্যমে আমরা যখন বিক্রি করছি তখন মার্কেটের ওপর চাপ কমছে। মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ হচ্ছে। এগুলো চলমান আছে ও জোরদার করা হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ২-৩ দিনে চালের দাম বাড়েনি, এর আগে কিছুটা বেড়েছিল। আমন ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। উত্তরাঞ্চল আমাদের খাদ্যভান্ডার (ফুড বাস্কেট)। উত্তরাঞ্চলে ধান নিরাপদে তুলতে পারলে, খাদ্য সংকট হবে না।’
রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিদিনই নির্বাচনের কথা বলছেন আপনারা সংস্কারের মধ্যে আছেন। এতে আপনারা চাপ অনুভব করছেন কী না কিংবা কাজের সমস্যা হচ্ছে কী না- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর কনফিডেন্স আছে, তারা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ আছে, সংলাপ (ডায়ালগ) আছে।’
আরও পড়ুন: পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করল সরকার
১ সপ্তাহ আগে
চাল আমদানিতে শুল্ক কমল
চাল আমদানির ওপর শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক হ্রাস এবং আগাম কর প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানো, দেশের আপামর জনগণের ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর চিন্তা করছে সরকার
রবিবার (২০ অক্টোবর) এনবিআর থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চালের ওপর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, বিদ্যমান রেগুলেটরি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চাল আমদানিতে শুল্ক-করাদি হ্রাস করার ফলে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের মূল্য ১৪ দশমিক ৪০ টাকা কমবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, আমদানি শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক হ্রাস এবং আগাম কর প্রত্যাহারের ফলে বাজারে চালের সরবরাহ বাড়বে, দেশের আপামর জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রথম চালানে ১২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি
১ মাস আগে
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৩১৮৪০ ডিম আমদানি
ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ভারতীয় একটি ট্রাকে করে এসব ডিম আমদানি করা হয়।
বেনাপোল কাস্টমস চেকপোস্টের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম ও মুরগি ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে: উপদেষ্টা
দ্বিতীয়বারের মতো বন্দর দিয়ে ডিমের চালান আমদানি হলো। এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম আমদানি হয় এ বন্দর দিয়ে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, ১ হাজার ১০৪ বাক্স ডিম নিয়ে একটি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রতি বক্সে ২১০টি করে ডিম রয়েছে। এসব ডিমের মূল্য ৯ হাজার ৯৬৯ মার্কিন ডলার। প্রতি ডজন ডিমের আমদানি মূল্য শূন্য দশমিক ৪৩ ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য ৫ টাকা ১৬ পয়সা। প্রতি ডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে ও সব খরচ মিলিয়ে ১ টাকা ৮৪ পয়সা। প্রতিটি ডিমের মোট মূল্য দাঁড়ায় ৭ টাকা।
ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রো ল্যান্ড সলুশন ভারত থেকে এই ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিম আমদানি করেছে। ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কোলকাতার শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভান্ডার। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ বলেন, ‘আমদানি করা ডিম খাওয়ার উপযোগী কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। ফলাফল ইতিবাচক হয়েছে। আমদানিকারকের আমদানি ডকুমেন্টস পেয়েছি। ডিমের চালানটি দ্রুত খালাসের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহ বলেন, ডিমের চালান বেনাপোল বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে রাখা হয়েছে। রাজস্ব আদায় করে যত দ্রুত সম্ভব ডিমের চালানটি খালাসের অনুমতি দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ের বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডের কাস্টমস কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজারের চেয়ে বেশি দামে ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া এবং ত্রুটিপূর্ণ নির্ধারণ প্রক্রিয়া শুভংকরের ফাঁকি
১ মাস আগে
এলএনজি-সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিশন
এলএনজি ও সার আমদানিসহ মোট ৭টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি (এসিসিজিপি)।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সার ও গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এসব প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা আশা করছি চলতি মৌসুমে সারের সরবরাহে কোনো ঘাটতি হবে না। এছাড়া সরকার এলএনজি আমদানির মাধ্যমে গ্যাসের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করছে।’
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে সিঙ্গাপুরভিত্তিক গানভর সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড থেকে দুই কার্গো এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: সামিটের এলএনজি টার্মিনালের মেরামত সম্পন্ন, পরিষেবা পেতে লাগবে ২০ দিন
এর মধ্যে প্রথম কার্গোতে ৩৩লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টন এমএমবিটিইউ রয়েছে। এর দাম পড়বে ৬৪০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউয়ের দর ১৩ দশমিক ৫৭ ডলার। সম পরিমাণের দ্বিতীয় কার্গোর দাম পড়বে ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউয়ের দাম পড়ছে ১৩ দশমিক ৭৭ ডলার।
পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস, ২০০৮ এর অধীনে কোটেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরবরাহকারী নির্বাচন করে পেট্রোবাংলা।
সার আমদানির জন্য বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) পক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০,০০০ মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া আমদানি করবে বিসিআইসি। এর খরচ হবে ১২৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা এবং প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৩৪৬.৩৩ ডলার। একইসঙ্গে, ৩০,০০০ মেট্রিক টন ব্যাগ গ্রানুলার ইউরিয়া কার্নফুলি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ১২০ কোটি ৭৮ লাখ টাকায় আমদানি করা হবে; যেখানে প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৩৩৫.৫০ ডলার।
নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহে ২টি বাফার গোডাউন নির্মাণের দরপত্র বাতিলের জন্য বিসিআইসির আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি।
সার আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এর মধ্যে একটি হলো- বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন মরক্কোর ওসিপি এসএ থেকে ১৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানি করবে।প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৪১৫ ডলার।
এছাড়া সৌদি আরবের মা'দেন থেকে প্রতি মেট্রিক টন ৫৮১ মার্কিন ডলার দরে ২৭৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করবে বিএডিসি।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে তালিকাভুক্ত ২৩ কোম্পানি থেকে উন্মুক্ত দরপত্রে এলএনজি কিনবে সরকার
সেপ্টেম্বরের আগে সামিটের এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম শুরুর সম্ভাবনা নেই
১ মাস আগে
৬ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম আমদানি করবে সরকার
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দুই লাখ মেট্রিক টন চাল ও চার লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করবে সরকার।
বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির বৈঠকে নীতিগত এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সাধারণত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন (পিপিএ) ২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) ২০০৮ অনুযায়ী সরবরাহকারীদের পণ্য সরবরাহের জন্য ৪২ দিন সময় দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চলতি বছরের মধ্যেই বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ: অর্থ উপদেষ্টা
কিন্তু এসিইএ'র অনুমোদনের পর খাদ্যের যাতে ঘাটতি না হয় সেজন্য দ্রুত আমদানির সুবিধার্থে সরবরাহের মেয়াদ কমিয়ে ১৫ দিন করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আমদানির বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, সরকার খাদ্য সরবরাহে ঘাটতি দেখতে চায় না বলেই চাল ও গম আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এগুলো তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজন নেই, তবে সরকার আমাদের সরবরাহের জন্য মজুদ প্রস্তুত রাখতে চায়।’
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দুই লাখ মেট্রিক টন এবং জিটুজি (সরকার টু সরকার) পদ্ধতিতে ৪ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকার আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১৯ লাখ ২৩ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
এছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৭ লাখ এবং অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আপনাদের দেখে যেন করদাতারা ভয় না পায়’: কর কর্মকর্তাদের প্রতি অর্থ উপদেষ্টা
ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সবচেয়ে বেশি জরুরি: অর্থ উপদেষ্টা
২ মাস আগে
বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে শতভাগ নগদ মার্জিন নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈদেশিক মুদ্রা পেতে স্বর্ণ, প্রসাধনী, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, কোমল পানীয় ও চামড়াজাত পণ্যসহ ১৪টি বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে শতভাগ নগদ অর্থের মার্জিন রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনাটি আজ থেকেই কার্যকর হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দেশের মুদ্রা ও ঋণ ব্যবস্থাপনাকে আরও সুসংহত রাখতে আমদানি ঋণ প্রতিষ্ঠায় নগদ মার্জিন হার নির্ধারণের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার বাড়ায় রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ঋণ ব্যয়বহুল হচ্ছে
বিলাসবহুল পণ্য এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আমদানি বিকল্পের জন্য আমদানি ঋণ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিন বজায় রাখা হবে।
পণ্য, মোটরকার, ইলেকট্রনিক্স হোম বা অফিস অ্যাপ্লায়েন্স, স্বর্ণ ও জুয়েলারি, মূল্যবান ধাতু ও মুক্তা, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, আসবাবপত্র ও সাজসজ্জার সামগ্রী, ফল ও ফুল, নন-সিরিয়াল খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পানীয় বা টিনজাত (ক্যান) খাবার, চকলেট, বিস্কুট, জুস, কফি, কোমল পানীয় ইত্যাদি, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় ও তামাক, তামাকজাত পণ্য বা বিকল্প পণ্য আমদানিতে ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে তালিকাভুক্ত ২৩ কোম্পানি থেকে উন্মুক্ত দরপত্রে এলএনজি কিনবে সরকার
২ মাস আগে
ভোমরা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক
শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর বাজার স্বাভাবিক রাখতে সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ৫০টি ট্রাক ভোমরা বন্দরে এসেছে। এছাড়া প্রায় শতাধিক ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। একইসঙ্গে পণ্য রপ্তানিও শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোমরা বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় পেঁয়াজের ১৫০ ট্রাক
বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, স্থলবন্দরে সব কার্যক্রম স্বাভাবিক। এ বন্দর দিয়ে বর্তমানে পাথর, পেঁয়াজ, আদা, টমেটো ও ক্যাপসিকাম বেশি আসছে।
এছাড়া বুধবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে প্রায় ২০০টি ট্রাক বন্দরে এসে পৌঁছেছে বলে জানান বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
ভোমরা স্থলবন্দরের উপপরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ‘বুধবার সকাল থেকে ভোমরা বন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। ব্যাংক কার্যক্রম স্বাভাবিক হলে বন্দরে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ আরও বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘গত দুদিন এই বন্দরে কোনো বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।’
আরও পড়ুন: ভোমরা বন্দর দিয়ে ২৮৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি
ভোমরা বন্দরে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
৩ মাস আগে
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো পণ্যের চালান রপ্তানি করেনি ভারত।
এছাড়া ভারতের পেট্রাপোল থেকে পণ্যবোঝাই কোনো ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি, কোনো ট্রাক ভারতে যায়নি। বন্দরে পণ্য খালাসও বন্ধ রয়েছে।
বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর বন্দরেও অস্থিরতা শুরু হয়। পণ্য ওঠানো-নামানো ঠিকাদার ও শ্রমিক সরদারদের বেশিরভাগ আওয়ামী লীগের সমর্থক হওয়ায় তারা বন্দর থেকে সরে পড়েন। মূলত এ কারণে পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
বেনাপোল-পেট্রাপোলে প্রায় দুই হাজারের মতো পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকা রয়েছে। এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪০০-৪৫০ ট্রাক পণ্য আমদানি এবং ২০০-২৫০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে।
তারা আরও জানান, আটকে থাকা পণ্যের মধ্যে বেশিরভাগই শিল্পের কাঁচামাল, রাসায়নিক দ্রব্য ও মেশিনারিজ পণ্য। পাশাপাশি কিছু পচনশীল পণ্যও রয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ক্ষতি এড়াতে দ্রুত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু করার দাবি জানান তার।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘নিরাপত্তার কারণে বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বেনাপোল ও পেট্রাপোলে পণ্যবোঝাই দেড় হাজারের বেশি ট্রাক আটকে রয়েছে। আমরা বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তবে দ্রুত কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করছি।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘নিরাপত্তাহীনতার কারণে সোমবার সকাল থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পেট্রাপোল পোর্ট ম্যানেজারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।’
৩ মাস আগে
৪ দিন পর বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ইন্টারনেট সংযোগ চালু হওয়ায় চার দিন পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়, পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে ভোগান্তি
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বেনাপোল দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম এবং বন্দর থেকে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়। এতে বন্দরে সহস্রাধিক পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে।’
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল চার দিন। তবে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকলেও অন্যান্য দিনের চেয়ে যাত্রী যাতায়াত ছিল অনেক কম।’
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘চার দিন ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছিল বেনাপোল বন্দরের সব কার্যক্রম। তবে বুধবার সকাল থেকে ইন্টারনেট সংযোগ চালু হওয়ায় পুনরায় দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।’
আরও পড়ুন: বেনাপোলের দৌলতপুর সীমান্তে ৯টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বেনাপোলে পাসপোর্ট যাত্রীদের ওপর পুলিশের ‘লাঠিচার্জ’, আহত ১০
৩ মাস আগে
চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা রপ্তানি করব: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা রপ্তানি করব। বিগত দুই বছর সরকার চাল আমদানি করেনি। এবারও চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না।’
রবিবার (৭ জুলাই) সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই, চালও নেই: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষি প্রণোদনা সরকারের পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি প্রণোদনা দিয়ে- ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কৃষিকে প্রযুক্তিবান্ধব করতে কাজ করে যাচ্ছেন। যে প্রণোদনা আজ বিতরণ করা হচ্ছে সেটা সঠিক ব্যবহার হলে বেশি জমিতে চাষাবাদ আর উৎপাদন বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত চিন্তাধারায় অল্প জমিতে বেশি ফসল ফলাতে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। অধিক জনসংখ্যার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষকের জন্য আশির্বাদ। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক পতিত জমিতেও এখন চাষাবাদ হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু কৃষকের উৎপাদন খরচের খবর কেউ নিচ্ছে না। দাম বাড়লে ভোক্তার সমস্যা আর পণ্যের দাম কমলে কৃষকের সমস্যা।’
উৎপাদন খরচ না উঠলে কৃষক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অধীনে ভর্তুকি মূল্যে চাল আটা বিক্রি করা হচ্ছে।’
এর আগে তিনি সাপাহার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন এবং স্টল পরিদর্শন করেন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে সরকারি আমন প্রণোদনা বিতরণ করেন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক ও বাইসাইকেল বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: জীবনে বড় হতে হলে বইকে আপন করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঙালি সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
৪ মাস আগে