আমদানি
সীমান্তে আটকে ৬ শতাধিক ট্রাক, আমদানির সময় শেষের আগেই চালের বাজার গরম
দেশে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বেসরকারি পর্যায়ে সরকারের শুল্কমুক্ত সুবিধা গ্রহণ চাল আমদানির সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী পরশু (১৫ এপ্রিল)।
কিন্তু ২ আগে এরই মধ্যে আমদানি করা চালের কেজিতে দাম বেড়েছে অন্তত ২ থেকে ৩ টাকা করে। ফলে বাজারে এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে পয়লা বৈশাখের সরকারি ছুটি দিনেও সোমবার বন্দরে ভারত থেকে চালসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকরা। তবে আজ (রবিবার) বিকাল ৫টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে এ বিষয়ে অনুমতি মেলেনি।
আরও পড়ুন: ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বন্দরের আমদানিকারকরা জানান, শুল্কমুক্ত সুবিধায় চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। এই অবস্থায় বেশ কিছুদিন ধরে ভারত থেকে বেশি পরিমাণে চাল আমদানি করা হচ্ছে। এর আগে সরকার দুই দফায় আমদানির সময়সীমা বাড়িয়ে চলতি মাসের ১৫ তারিখ (মঙ্গলবার) পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। মেয়াদ বাড়ানো হলেও আমদানিকারকরা তাদের বরাদ্দকৃত চাল সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে এলসি জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে আমদানি করতে পারেননি। তাই তৃতীয় দফায় মেয়াদ বাড়ানো গেলে বরাদ্দকৃত চালের চালান দেশে পুরোপুরি আমদানি করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তারা।
তারা আরও জানান, বেশ কিছুদিন থেকে বেশি পরিমাণে আমদানি অব্যাহত রাখা হলেও দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের হিলি ট্রাক পার্কিংয়ে ৬ শতাধিক আমদানিকৃত চালবোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে।
আজ (রবিবার) হিলি স্থলবন্দরের মোকামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোপূর্বে ভারত থেকে যেখানে ৪০-৫০টি ভারতীয় চালবোঝাই ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশ করত, সেখানে ঈদের ছুটির পর থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০০ থেকে ১২০টি ট্রাক দেশে ঢুকছে।
হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমাদের দেশের কৃষকের উৎপাদিত বোরো চাল বাজারে আসতে এখনো অন্তত মাসের অধিক সময় লাগবে। এদিকে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত চাল আমদানির সময়সীমা রয়েছে। আমদানির মেয়াদ শেষ হওয়ার খবরে ইতোমধ্যে বাজারে চালের দামে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে; অনেক চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি জানান, স্বর্ণা ৫ জাতের চালের দাম ছিল ৫২ টাকা, এখন সেই চাল ৫৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সম্পা কাটারি জাতের চাল বিক্রি হচ্ছিল ৬৭ টাকায়, এখন কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে।
এই আমদানিকারকের দাবি, বাজার আরও অস্থির হয়ে পড়তে পারে। ভারতের হিলিতে পাইপলাইনে ৬ শতাধিক চালবোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। সরকারের উচিত হবে সেগুলো দেশে প্রবেশে আমদানির মেয়াদ আরও অন্তত ১৫ দিন বাড়ানো।
হিলি বন্দরে নওগাঁ থেকে চাল কিনতে আসা পাইকার তোতা কুমার দাস বলেন, ‘২/৩ দিন আগে ৬৭ টাকা কেজি দরে ১২০ টন সম্পা কাটারি জাতের চাল কিনেছি। অথচ গত শনিবার তা ৬৯ টাকা দরে কিনতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতে দাম বাড়েনি, কিন্ত দেশে কেন দাম বেড়ে যাচ্ছে বুঝতে পারছি না।’
হিলি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী স্বপন কুমার পাল জানান, ভারত থেকে আমদানি করা স্বর্ণা ৫ জাতের চাল কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা, সম্পা কাটারি জাতের চাল ৩ টাকা বেড়ে ৭১ টাকা, মিনিকেট ৫ টাকা বেড়ে ৭৪ টাকা, গুটি জাতের চাল ৪ টাকা বেড়ে ৫৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আটদিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু হিলি স্থলবন্দরে
হিলি স্থলবন্দর রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) মো. শফিউল বলেন, ‘এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে নন-বাসমতি দুই ধরনের চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। গত ১১ নভেম্বর থেকে এই শনিবার (১২ এপ্রিল) পর্যন্ত ৪ হাজার ৯২৬টি ভারতীয় ট্রাকে মোট ২ লাখ ৮ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল এবং ৯৪৮টি ট্রাকে ৪০ হাজার টন নন-বাসমতি আতপ চাল শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাল (সোমবার) পয়লা বৈশাখের দিন সরকারি ছুটি। এদিনও ভারত থেকে চাল আমদানি করার জন্য বন্দরে আমদানিসহ কার্যক্রম চালু রাখতে আজ দুপুরে বন্দরের কাস্টমস সহকারী কমিশনারের সঙ্গে বন্দরের ব্যবসায়ী নেতারা বৈঠক করেছেন।’
৩ দিন আগে
ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
টানা ৮ দিন বন্ধ থাকার পর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রবিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা বলেন, ‘আজ (রবিবার) থেকে বন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। ঈদের ছুটি ও সাপ্তাহিক বন্ধের কারণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঘোজাডাঙা ও ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২৯ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।’
আরও পড়ুন: আটদিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু হিলি স্থলবন্দরে
ভোমরা স্থলবন্দরের উপপরিচালক মো. রুহুল আমিন (ট্রাফিক) বলেন, ‘ভারত থেকে পণ্যবাহী গাড়ি বন্দরে এসেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে ট্রাকগুলো বন্দরে এসেছে।’
এদিকে ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সূত্রে জানা গেছে, ছুটির মধ্যেও দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক ছিল। যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই সীমান্ত অতিক্রম করতে পেরেছেন
১০ দিন আগে
ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
দেশের খাদ্য মজুত বাড়াতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল (বাসমতি নয়) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২৫৯ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ টন সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়।
ভারতের মেসার্স ভগদিয় ব্রদার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই চাল আনা হবে। প্রতি টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২৪.৭৭ ডলার। সে হিসেবে ৫০ হাজার টন চালের দাম পড়বে ২ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ ডলার।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে এলো আরও সাড়ে ১১ হাজার টন চাল
এর আগে, গত ১৪ মার্চ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের মেসার্স এস পাত্তাভি অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সে সময় প্রতি টন চালের দাম ধরা হয় ৪২৯.৫৫ ডলার। সে হিসেবে ৫০ হাজার টন চালের দাম ধরা হয় ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ ডলার।
তার আগে ২০ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোনচা করে অনুমোদন দেয়। ভারতের এমএস বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট থেকে এই চাল আমদানি করার অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ ডলার।
তারও আগে ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুর থেকে চাল আমদানি অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর মধ্যে ভারত থেকে দুই দফায় ৫০ হাজার টন করে এক লাখ টন, পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন করে এবং ভিয়েতনাম থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে চালের মোট চাহিদা ৩৯ দশমিক ৭৮ লাখ টন। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ লাখ টন।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান থেকে আমদানির ৩৭২৫০ টন চাল দেশে এসেছে
২০ দিন আগে
সিঙ্গাপুর-যুক্তরাজ্য থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন
দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দরপত্রের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৮৭ লাখ ৮২ হাজার ৪০০ টাকা।
এরমধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এবং যুক্তরাজ্য থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মর্চ) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে (১৪-১৫ এপ্রিল ২০২৫ সময়ে ১৫তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
সূত্রটি জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ৬৭৫ কোটি ২৮ লাখ ৫৮ হাজার ১১২ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ’র মূল্য ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ০৮ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: চাহিদা মেটাতে এলএনজি, সার, মসুর ডাল আমদানি করবে সরকার
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে (১৪-১৫ এপ্রিল ২০২৫ সময়ে ১৬তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
যুক্তরাজ্যের মেসার্স টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে এই এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ৬৯১ কোটি ৫৯ লাখ ২৪ হাজার ২৮৮ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ’র দাম ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ৫৭ মার্কিন ডলার।
২০ দিন আগে
ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি কমলেও বেড়েছে রাজস্ব
চলতি অর্থবছরে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি কমলেও রাজস্ব আয় বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। গত অর্থবছরের প্রথম আট মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বন্দরে পণ্য আমদানিতে সরকারের রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬২ কোটি টাকা বেশি হয়েছে।
বন্দর সংশ্লিষ্ট ও ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য বেশি হওয়ায় রাজস্ব আয় বেড়েছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভোমরা স্থলবন্দরের জন্য চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ৯৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে গেল আট মাসের অর্থাৎ জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ৫৮৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। কিন্তু বন্দরটিতে ওই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে ৭৫১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬২ কোটি ২৪ লাখ টাকা বেশি।
অন্যদিকে গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৮৫৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। যার প্রথম আট মাসের রাজস্ব আদায় লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ৪৯৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। অথচ ওই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয় ৫০৮ কোটি ৪ লাখ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে রাজস্ব বেড়েছে ২৪৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়শনের সভাপতি আবু হাসান জানান, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি কম হলেও সরকারের রাজস্ব বেড়েছে। তবে বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা যদি সব ধরনের পণ্য আমদানি করতে পারতো, তাহলে রাজস্ব আয় আরও কয়েকগুণ বেশি হতো।
আরও পড়ুন: বন্দর থেকে নিধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: নৌ উপদেষ্টা
‘কিন্তু এখানকার ব্যবসায়ীরা সব প্রকার পণ্য আমদানি করতে পারেন না। তাছাড়া অন্যান্য বন্দরের তুলনায় ভোমরা বন্দর অনেক বৈষম্যের শিকার। পাশেই বেনাপোল বন্দরে ফল আমদানিতে ব্যবসায়ীরা যে সুযোগ-সুবিধা পায়, ভোমরাতে তা পায় না। অথচ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুবই সম্ভাবনাময় স্থলবন্দর ভোমরা। এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন ভালো, তেমনি বন্দরে পণ্য বা যানজট থাকে না। সহজে বন্দর ত্যাগ করতে পারে পণ্যবাহী পরিবহনগুলো।’
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্ব থাকা কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার আবুল কালাম আজাদ জানান, গত আট মাসের রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। সেখানে আদায় হয়েছে ৭৫১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আয় বেড়েছে ১৬২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখায় চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী ও যাত্রী সাধারণ যাতে সর্বোচ্চ সেবা পায় সে দিকটাও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি কেউ অনৈতিক সুযোগ যাতে নিতে না পারে সে ব্যবহারের কঠোরভাবে খেয়াল করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
৩৮ দিন আগে
চাহিদা মেটাতে এলএনজি, সার, মসুর ডাল আমদানি করবে সরকার
অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে এলএনজি, সার ও মসুর ডাল আমদানি করতে কয়েকটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটি।
বুধবার (৫ মার্চ) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এক সভায় এসব প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী, স্থানীয় গ্যাসের চাহিদা মেটাতে দুই কার্গো এলএনজি আমদানি করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পেট্রোবাংলা।
সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড ৭৫৪ কোটি ৪২ লাখ টাকায় একটি কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে।যার প্রতি এমএমবিটিইউ মূল্য ১৫ দশমিক ৭৩ ডলার। এছাড়া সিঙ্গাপুরের গানভর সিঙ্গাপুর পিটিই ৭৪১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আরেকটি এলএনজি কার্গো সরবরাহ করবে। যার প্রতি এমএমবিটিইউ মূল্য ১৫ দশমিক ৪৭ ডলার।
আরও পড়ুন: এলএনজি আমদানি না করে দেশীয় উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ: সিপিডি
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রস্তাব অনুযায়ী সংস্থাটি স্থানীয় উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনবে।
শেখ এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকা বাল্ক মসুর ডাল ৯৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে সরবরাহ করবে। যার প্রতি কেজির দর পড়বে ৯৫ টাকা ৪০ পয়সা।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকে ১৫৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন ব্যাগযুক্ত গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করবে। যার প্রতি টনের দাম পড়বে ৪২২ দশমিক ৬২৫ ডলার।
৪২ দিন আগে
ভারত-পাকিস্তান থেকে আমদানির ৩৭২৫০ টন চাল দেশে এসেছে
ভারত ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা ৩৭ হাজার ২৫০ টন চাল নিয়ে দুটি জাহাজা চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
বুধবার (৫ মার্চ) সকালে এসব চাল দেশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম।
তিনি বলেন, জি টু জি ভিত্তিতে পাকিস্তান থাকে আমদানির ২৬ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে এমভি এসআইবিআই এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের (প্যাকেজ-০৫) আওতায় ভারত থেকে আমদানির ১১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে এমভি এইচটি ইউনাইট জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ৫৩ বছর পর মোংলা বন্দরে আসছে পাকিস্তানের চাল
জাহাজ দুটিতে আনা চালের নমুনা পরীক্ষা শেষে আজই খালাসের কার্যক্রম শুরু হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
৪২ দিন আগে
আমদানি কমলেও বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব আদায় বেড়েছে
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি কমলেও প্রথম ৬ মাসে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৬ শতাংশের বেশি।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে আমদানিতে। এর ফলে কমেছে বাণিজ্যের গতি। তবুও রাজস্ব আদায়ের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বেনাপোল কাস্টম হাউস।
চলতি অর্থবছরে এই স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় এবার ৭৫৭ কোটি টাকা বেশি আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে।
সূত্র জানায়, যদিও এ সময়ে স্থলবন্দরটি দিয়ে আগের তুলনায় আমদানি ৬ শতাংশ কমেছে, তা সত্ত্বেও এই অর্জনের মধ্য দিয়ে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। একই সঙ্গে পৌঁছে গেছে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার দ্বারপ্রান্তে। এই সময় (জুলাই-ডিসেম্বর) ৩ হাজার ২২৫ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি, যা বছর জুড়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার প্রায় অর্ধেক।
আরও পড়ুন: দুইদিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি শুরু
বেনাপোলে বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, ‘বৈশ্বিক মন্দা, ডলারের বিনিময় হারে ঊর্ধ্বগতি আর সংকটের কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গত কয়েক বছর ধরে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলার সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এতে আমদানি কমায় বছরের শুরুতে রাজস্ব ঘাটতি ছিল প্রায় দ্বিগুণ। তবে বছরের শেষে উচ্চ শুল্কহারে পণ্য আমদানি বেশি হওয়ায় কাস্টম হাউসের রাজস্ব আদায় বেশি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজ করতে বেনাপোল বন্দরের শূন্য রেখায় ৪১ একর জমিতে চালু হয়েছে কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল, যা বন্দরের সক্ষমতা বাড়িয়েছে। এই টার্মিনাল চালুর ফলে বাণিজ্য সম্প্রসারণের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা ভবিষ্যতে আমদানি ও রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করবে।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘বছরজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা আর ব্যাংকে তারল্য সংকটে আমদানি কমলেও ডলারের বাড়তি দাম ও কাস্টমসের নানা পদক্ষেপে রাজস্ব থেকে আয় বেড়েছে। আমদানি কিছুটা কমলেও রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ হয়েছে। সবার সহযোগিতায় রাজস্ব আয়ে সফলতা এসেছে।’
৬৭ দিন আগে
মাংস নয়, গবাদি পশুর মানোন্নয়নে গরু আমদানি হবে: উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘গরুর মাংসের দাম সস্তা করানোর কথা বলে অনেকেই মাংস আমদানির অনুরোধ করে থাকেন। তবে মাংস খাওয়ার জন্য বিদেশ থেকে আমদানি নয়, বরং গবাদি পশুর মানোন্নয়নে গরু আমদানি করা হবে।’
মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সম্মিলিত খামারি পরিষদ আয়োজিত প্রান্তিক খামারি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দুধ আছে, কিন্তু ভান্ডার নেই। এবার আমরা ক্যাটেল হাব তৈরির মাধ্যমে দুধের ভান্ডার গড়ে তুলব। সরাসরি খামারিদের থেকে টাটকা দুধ মানুষ যাতে কিনতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হবে।’
শৈলকুপাসহ জেলার খামারিদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার একটি সুস্থ ও মানবিক পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। সমাজে বৈষম্য থাকবে না—এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বিল, বাওড় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কাছে ইজারা দিতে হবে। অমৎস্যজীবীদের হাতে বাওড়ের ইজারা দেওয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘তিন মন্ত্রণালয় ইজারা ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে। আশা করা যায়, দ্রুতই এর সমাধান হবে।’
তিনি কৃষকদের তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করে ফরিদা আখতার বলেন, ‘এসব জমিতে ধানসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করতে হবে।’
তরিকুল ইসলাম তুরকির সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি গ্যাব্রিয়েল পিনেদাছ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন ড. আমিনুল হক, এলডিডিপি প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বেগমপাড়ার সম্পত্তি উদ্ধারে কানাডার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
খামারিদের পক্ষে বক্তৃতা দেন মনীষা সেনানি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারেক রেজা। স্বাগত বক্তৃতা দেন কনক রহমান, সঞ্চালনায় ছিলেন শৈলকূপা সম্মিলিত খামারি পরিষদের মুখপাত্র তানজীর আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, ব্রির আঞ্চলিক কার্যালয় প্রধান ড. মো. জাকারিয়া ইবনে বাকী, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সরকার, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম জাহাঙ্গীর কবির, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আতিকুর রহমান, ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. মাসুম বিল্লাহ।
৭০ দিন আগে
বাড়তি শুল্ক: আজও বেনাপোল দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ
ফল আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক অরোপ করায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধ ঘোষণা দিয়েছেন আমদানিকারকরা। এর ফলে দ্বিতীয় দিনের মতো এই স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে বাড়ছে ফলের দাম। আমদানি বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের লোকসান হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফল আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেন আমদানিকারকরা। এর ধারাবাহিকতায় আজও (বুধবার) আমদানি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশন।
এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ ট্রাক ফল আমদানি হয়। এর মধ্যে রয়েছে— আপেল, আঙুর, কমলা, মালটা ও আঙুরসহ বিভিন্ন ফল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফল আমদানিকারক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ফল আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য সরকারকে এর আগে বাংলদেশ ফ্রেস ফুড অ্যাসোসিয়েশন আল্টিমেটাম দিয়েছে। যেহেতু সেটা সরকার প্রত্যাহার করেনি, সেজন্য আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছি। আসন্ন রমজান উপলক্ষে ফল আমদানিতে শুল্ক যদি কমানো না হয়, তাহলে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বাজারে। এতে করে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে ফলের দাম। ফলে ভোগান্তিতে পড়বে সাধারণ মানুষ।’
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, ‘হঠাৎ করে গত মাসের ৯ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করেছে সরকার, যার প্রভাব পড়েছে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরে।’
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি নূরউদ্দীন আহম্মেদ বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ১০ শতাংশ অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় ফল আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। আজকের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত শুল্কারোপ, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল অমদানি বন্ধ
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, ‘ফল ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে। আজও ভারত থেকে কোনো ফলের ট্রাক বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেনি।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সুশান্ত পাল বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। সকাল থেকে কোনো ফলের ট্রাক এই বন্দরে প্রবেশ করেনি। অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধের আলটিমেটাম দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ীরা। আগে প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক ফল আমদানি হতো। এখন তা কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে।’
এভাবে চললে আসন্ন রমজান মাসে ফলের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
৭০ দিন আগে