আমদানি
পদক্ষেপ সত্ত্বেও দেশে দৈনিক গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেবে ১০০০ এমএমসিএফডি: পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান
গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকার কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও, দেশে প্রতিদিন প্রায় ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের (এমএমসিএফডি) ঘাটতি থাকবে।
বৃহস্পতিবার জ্বালানি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় ১০০০ এমএমসিএফডি গ্যাস আমদানি করে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি যা সংযুক্ত নেটওয়ার্কের অধীনে ৪০০০ এমএমসিএফডির চাহিদার বিপরীতে সামগ্রিক সরবরাহকে ৩০০০ এমএমসিএফডিতে বাড়াবে।’
তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির অধীনে কাতার ও ওমান থেকে গ্যাস আমদানির পাশাপাশি সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে ১২টি এলএনজি কার্গো আমদানির অনুমোদন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্যাস ও বিদ্যুৎ পেতে গ্রাহকদের প্রকৃত খরচ দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, এ পরিকল্পনার আওতায় চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে একটি বা দুটি কার্গো আমদানি করবে পেট্রোবাংলা।
‘আমরা আশা করি এই আমদানি একটি বিশাল ঘাটতি সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নতিতে একটি ভাল প্রভাব ফেলবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে এটি একটি খুব ভাল খবর যে স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম কমছে।
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে গ্যাসের দাম অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে গত বছরের জুলাইয়ে আমদানি স্থগিত করার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এলএনজি আমদানি আবার শুরু করে সরকার।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আরও জানান, এলএনজি আমদানি বাড়াতে কাতার ও ওমানের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
বর্তমানে, দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির অধীনে এই বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত কাতার এবং ওমানের সঙ্গে মোট ৫৬টি এলএনজি কার্গো আমদানি করা হবে।
তবে কী দামে কতটুকু গ্যাস আমদানি করা যায় তা সিদ্ধান্ত নিতে আরও সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
জেনেন্দ্র নাথ বলেন, সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্রে ৪৬টি কূপ খনন করার, যখন দেশের গ্যাসের চাহিদা ৫৬০০ এমএমসিএফডি-তে পৌঁছবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার কিছু এলাকায় ৮ ঘণ্টা ও নারায়ণগঞ্জে ৯ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
কিছু শর্তে ভারতীয় ছবি আমদানিতে সম্মত চলচ্চিত্র পরিষদ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, কিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে দেশে ভারতীয় ছবি আমদানিতে সম্মত হয়েছে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এসব শর্ত বা দাবির বিষয় নিয়ে তিনি আলাপ করবেন।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে একথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাজনীতি করে খালেদা ও তারেকের জন্য, জনগণের জন্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই একমত হয়ে নির্দিষ্ট কিছু শর্তসাপেক্ষে ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানির ব্যাপারে একমত হয়েছেন। অতীতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আমার কাছে দাবি করা হয়েছিল ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানি করার জন্য। এটা আমি বারবার বলে এসেছি যে, সব সমিতি যদি একমত হয় (তাহলে বাস্তবায়ন সম্ভব), না হলে সেক্ষেত্রে আমরা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারব না। কারণ অতীতে দেখা গেছে এরকম উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল; পরে শিল্পী সমিতি আপত্তি জানিয়েছিল।
তিনি বলেন, অনেক শিল্পীও আপত্তি জানিয়েছিল। সবাই একমত হলে পরে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারব বলে সেটি বলেছিলাম। আপনারা একমত হয়েছেন, সবাই স্বাক্ষর করেছেন। একমত হওয়ার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমাদের দেশে সিনেমা ভালো হচ্ছে আগের তুলনায় এবং অনেক সিনেমা বক্স অফিস হিট করছে; কিন্তু এখনো প্রতি সপ্তাহে ভালোভাবে চালানোর মতো সিনেমা সব সময় হচ্ছে না, এটি বাস্তবতা। আপনারা ভেবেচিন্তে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন যে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভারতীয় হিন্দি ছবি যদি আমদানি হয় তাহলে অনেকে আবার হলমুখী হবে এবং বাংলা ছবি বা আমাদের ছবিও দেখতে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আপনাদের প্রস্তাব অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। বিষয়টি আমাকে প্রধানমন্ত্রীর নজরেও আনতে হবে।
আমি এরইমধ্যে বলেছি, আপনারা যে আসবেন আজকে; সেটিও তাকে জানিয়েছিলাম। আমরা এখন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারব।
আরও পড়ুন: রাজনীতির টোকাইদের নিয়ে জোট করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
উৎসবে দেশেও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর সংস্কৃতি চালু করুন: তথ্যমন্ত্রী
রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডলার সংকটের প্রভাব
১৩২০ মেগাওয়াট রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তার আংশিক উৎপাদন পুনরায় শুরু করেছে। তবে কর্মকর্তারা এখনও ডলার সংকটের কারণে এটির নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ প্ল্যান্টের প্রধান জ্বালানি ‘কয়লা’ আমদানি আবার ব্যাহত হতে পারে।
কয়লা ঘাটতির কারণে এক মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে কয়লাভিত্তিক প্ল্যান্টের ইউনিট-১ পুনরায় উৎপাদন শুরু করেছে।
গত মাসে বন্ধ হওয়ার আগে আগস্টে শুরু হওয়া প্ল্যান্টটি এখনও পরীক্ষামূলকভাবে চলছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) কর্মকর্তারা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার একটি ব্রিফিংয়ে রামপাল প্লান্টের বিআইএফপিসিএলের প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে বলেন, প্লান্টটি চালু রাখতে হলে কয়লা আমদানির বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: কয়লার অভাবে ৮ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ
তিনি প্ল্যান্ট পরিদর্শনকারী একদল জ্বালানি বিষয়ক সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্ল্যান্টে ব্যবহৃত কয়লা উচ্চমানের এবং উপমহাদেশে পাওয়া যায় না।’
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কয়লা সরবরাহের ঘাটতির কারণে ১৪ জানুয়ারি ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ইউনিট-১ বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
ডলার সংকটের কারণে কয়লা আমদানির কোনো লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলতে পারছে না বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
সরকারের নীতিগত পর্যায়ে অনেক বোঝানোর পর কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলার অনুমতি দেয়া হয় এবং সরবরাহকারী ৩০ হাজার মেট্রিক টনের একটি চালান পাঠায়।
বিআইএফপিসিএল কর্মকর্তারা জানান, প্ল্যান্টের জন্য কয়লা আমদানির পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।
বিআইএফপিসিএল ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এনটিপিসি এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) যৌথভাবে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিক ও পরিচালক।
ওই কর্মকর্তা জানান, ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লার আরেকটি চালানও শিগগিরই দেশে আসছে।
আরও পড়ুন: রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ: প্রণয় ভার্মা
কয়লার বর্তমান মজুদ থাকায় প্ল্যান্টটি চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত চলতে পারে উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, ইউনিট-১ পূর্ণ ক্ষমতার সঙ্গে চালু রাখতে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন।
প্রকল্প কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউনিট-২ চলতি বছরের জুন মাসে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং সেই সময়ে প্রতিদিন প্রায় ৯ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে।’
তিনি বলেন, ইউনিট-১ এখন পরীক্ষাধীন রয়েছে। কারণ বিআইএফপিসিএলের সঙ্গে বিপিডিবি’র বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) রয়েছে, তারা এখনও প্ল্যান্টের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি দেয়নি।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ চুক্তি জিতল বসুন্ধরা গ্রুপ
রোজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি
রোজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে তিন হাজার ৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ১১০ টি ট্রাকে করে ভারতীয় মসুরের ডালের বড় চালান এসে পৌঁছায় বন্দরের ট্রান্সসিপমেন্ট ইয়ার্ডে।
বৃহস্পতিবার রাত ১ টা পর্যন্ত কাস্টমস ও বন্দরের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে মসুরের ডালের চালানটি বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে এক কোটি টাকা সমমূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার
এক হাজার ১৩৬.১৩ মার্কিন ডলার মূল্যে প্রতি মেট্রিক টন মসুরের ডাল আমদানি করা হয়েছে ভারত থেকে।
সিএন্ডএফ এজেন্ট কনফিডেন্স ট্রেড অ্যাসোসিয়েট মসুরের ডাল খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাবমিট করেন বেনাপোল কাস্টমস হাউজে।
সিএন্ডএফ এজেন্ট কনফিডেন্স ট্রেড অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার মুর্তজা শরীফ জানান, আজ চার হাজার মেট্রিক টন মসুরের ডাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। চার হাজার টন এলসির বিপরীতে ১১০টি ভারতীয় ট্রাকে তিন হাজার ৮০০ টন মসুরের ডাল বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
তিন হাজার ৮০০ মেট্রিক টন মসুরের ডাল বন্দর থেকে খালাস নেয়া হলেও বাকি ২০০ টন ডাল দ্রুত আসবে ভারত থেকে।
তিনি আরও জানান, এ মসুরের ডাল আমদানি করতে প্রতি কেজি খরচ পড়ছে ১২৫ টাকা। এ বন্দর থেকে মসুরের ডাল দ্রুত খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।
শুক্রবার সকালেও ডালের ট্রাক বন্দর থেকে খালাস দেয়া হয়েছে।
কাস্টমস কমিশনার আব্দুল হাকিম জানান, টিসিবির ডালের চালান দ্রুত খালাস করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের ডাইরেক্টর আব্দুল জলিল জানান, ভারত থেকে তিন হাজার ৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি হয়েছে। বন্দর থেকে দ্রুত মসুরের ডালের চালানটি ছাড় হয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, সে জন্য তারা সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেন থেকে বিদেশি সিগারেট মদ জব্দ
সাইকেলে হজযাত্রায় বেনাপোল হয়ে ভারত গেলেন থাই নাগরিক সালাম
দুই দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
দুই দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে।
শনিবার বেলা ১২টায় আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে ভারতীয় ট্রাকগুলো দেশে প্রবেশ করে।
গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে এই দুইদিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ
বন্দরের বাংলাহিলি কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন জানান, ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত হয়। একারণে সেখানে সরকারি ছুটি থাকায় ভারতের ব্যবসায়ীরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আবার গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। এই দুই কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকে। শনিবার বেলা ১২টায় ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
এদিকে বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, দুইদিন বন্ধ ছিল আমদানি-রপ্তানি। আজ থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। এর ফলে বন্দরের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের মধ্যে কর্মচঞ্চলতা ফিরে এসেছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: পেপার স্প্রে করে জঙ্গি ছিনতাই: হিলি সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা
হিলি চেকপোস্টে পাসপোর্টধারী যাত্রীর মৃত্যু
চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি ফাঁকা, আমদানি-রপ্তানিতে ভাটা
দেশের আমদানি রপ্তানির প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন বছরের শুরুতেই অনেকগুলো জেটি ফাঁকা পড়ে আছে। এর মধ্যে খোলা পণ্য নামানোর জেটি যেমন আছে, তেমনি আছে কনটেইনার জেটিও।
বহির্নোঙরে পণ্যবাহী জাহাজ অপেক্ষমাণ না থাকায় বন্দরের ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ জেটির মধ্যে সাতটিই এখন জাহাজের অপেক্ষায় বসে আছে।
এছাড়া বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগে বন্দরে জেটিতে ভেড়ার অপেক্ষায় থাকতে হতো বিদেশি জাহাজকে। কখনও কখনও তিন থেকে ১৫ দিনও অপেক্ষা করতে হয়েছে। বর্তমানে সেই চিত্র নেই।
বহির্নোঙরে অপেক্ষা না করেই সরাসরি জেটিতে ঢুকছে জাহাজ। এর পরও শূন্য থাকছে জেটি।
বছরের শুরুতে এমন পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে ব্যবসায়ী ও বন্দর সংশ্লিষ্টদের।
প্রায় সাড়ে ৩১ লাখ একক কনটেইনার ওঠানামা দিয়ে ২০২২ সাল শেষ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর।
আগের বছরের তুলনায় দুই শতাংশ কনটেইনার ওঠানামা কমেছে এই বন্দরে। আর খোলা পণ্য ওঠানামা বেড়েছে আড়াই শতাংশ।
আরও পড়ুন: লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘট, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ
ভারত ও সিঙ্গাপুর থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে সরকার
আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এক লাখ মেট্রিক টন (এমটি) চাল আমদানি করবে সরকার।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক দু’টি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে গম, ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে চাল আমদানি করবে সরকার
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া একটি প্রস্তাবনায়, খাদ্য অধিদপ্তর এম/এস বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে ভারত থেকে ২১০ দশমিক ৩৫ কোটি টাকার ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানি করবে।
সরবরাহকারীকে উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছিল এবং প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম পড়বে ৩৯৩ দশমিক ১৯ মার্কিন ডলার। একই ধরনের চালের আগের দাম ছিল ৪৪৩ দশমিক ০৫ মার্কিন ডলার।
একই মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রস্তাবের অধীনে, খাদ্য অধিদপ্তর সিঙ্গাপুর থেকে ২১৩ দশমিক ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল এম/এস এগ্রোক্রোপ ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেড এর মাধ্যমে আমদানি করবে।
উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সরবরাহকারী নির্বাচন করা হয়েছে এবং প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম হবে ৩৯৭ দশমিক ০৩ ডলার। এর আগে একই ধরনের চালের আমদানি খরচ হয়েছিল প্রতি মেট্রিক টনে ৩৯৩ দশমিক ১৯ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: আরও ২০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিতে চিঠি
মিয়ানমার থেকে ২ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ
আমদানিকৃত ভোজ্যতেলের ওপর ৫% ভ্যাট কমানোর মেয়াদ বাড়ল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত
সরকার ভোজ্য তেলের ওপর হ্রাসকৃত পাঁচ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) সময়সীমা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে পূর্ববর্তী নোটিশের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার পর এই মেয়াদ ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন লিটারে কমল ৫ টাকা, কার্যকর রবিবার
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমদানির সময় সয়াবিন তেল এবং অপরিশোধিত পাম তেলের ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে এবং গত বছরের মার্চ মাসে উৎপাদন ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছে।
ভোজ্যতেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগের মধ্যেই ভোজ্যতেলের ওপর ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: দেশে জুলাই-ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ২৭.২২ বিলিয়ন ডলার
খাদ্যপণ্য আমদানিতে ভারতের কাছে বার্ষিক কোটা সুবিধার অনুরোধ: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ডালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের প্রধান সরবরাহকারী দেশ ভারতের কাছে এ সকল পণ্য আমদানিতে বার্ষিক কোটা সুবিধা প্রদানে অনুরোধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের সভা ২২-২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী শ্রী পিয়ুশ গয়ালের নেতৃত্বে দু'দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে অনুষ্ঠিত সভায় দ্বি-পক্ষীয় বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট অবস্থায় ভারতের কাছে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ডালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আমদানিতে বার্ষিক কোটা সুবিধার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সভায় আমাদের পক্ষ থেকে এসব পণ্যের আমদানির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণের কোটার কথা তুলে ধরা হয়।
তবে ভারত বলেছে, যে পরিমাণ পণ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশ সেই পরিমাণ পণ্য ভারত থেকে আমদানি করে না।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
তাছাড়া, বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য পাটজাত সামগ্রীর ওপর ২০১৭ সাল থেকে আরোপিত অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি আর বহাল না রাখার জন্য ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের একটি দাবি ছিল দীর্ঘ মেয়াদী ভিসা, সেটি নিয়ে কথা হয়েছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী একটি বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছিলেন ভারত থেকে উচ্চ ফলনশীল রাবার ক্লোন আমদানি করার বিষয়ে।
এর কারণ আমাদের দেশের রাবার খুব বেশি ভালো হয় না।
এছাড়া কারেন্সির বিষয়ে কথা হয়েছে, দুই দেশের বাণিজ্যে বিনিময় মাধ্যম হিসাবে ডলারের পরিবর্তে ভারতীয় রুপি ব্যবহারের। এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত কিছু বলতে পারিনি, কারণ এক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ লাগবে।
আমরা বলেছি আলোচনা হতে পারে। তারা রাশিয়া এবং ইরানের সঙ্গে এটি শুরু করেছে। এটা পারব কিনা সেই হিসাবের ব্যাপারও আছে।
এছাড়াও বর্ডার হাট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সবগুলো আলোচনা নিয়েই আমরা সন্তুষ্ট।
টিপু মুনশি বলেন, পণ্য ইম্পোর্টে যে কোটার কথা বলেছি সেখানে পরিমাণ উল্লেখ করেছিলাম। তারা বলেছে, পরিমাণ তো আমরা (বাংলাদেশ) আন্দাজ করে বলেছি, সেক্ষেত্রে সঠিক কতো পরিমাণ পণ্য প্রয়োজন হবে সেটি নির্ধারণ করতে বলেছে।
আমরা একটু বেশি করেই চেয়েছিলাম।
তারা বলেছে, অতীতের ৭-৮ বছরের রেকর্ড বলে না তোমাদের (বাংলাদেশ) এতো দরকার। বাংলাদেশের জন্য রাখার পর যদি না নেয় তাহলে সেগুলো নষ্ট হবে। সেজন্য দুইপক্ষ আলোচনা করে ঠিক করতে বলেছে।
ব্যবসায়ীদের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী ভিসা প্রদানে ভারতের আপত্তি নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা বলেছে এক থেকে দেড় মাস একটু অপেক্ষা করতে হবে। করোনার পর মেডিকেল ভিসার জন্য প্রচুর চাপ পড়েছে। সেটা দিতেই তাদের সমস্যা হচ্ছে। তারা বলছে, জানুয়ারির শেষ দিকে তাদের প্রেসার কমে আসবে। তখন তারা রেগুলার ভিসা, ট্যুরিস্ট ভিসা, মাল্টিপল ভিসা, ব্যবসায়ীদের ভিসার ব্যবস্থা করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছিলাম একটা সিইও ফোরাম করার বিষয়ে। আমাদের দেশের ১০টি বড় প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং তাদের দেশের ১০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সিইও নিয়ে এটি করা যেতে পারে। যেমন আমাদের দেশে প্রাণ, এফবিসিসিআই এর মতো প্রতিষ্ঠান আছে, সেই প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। তারা (ভারত) বলছে, তাদের নামগুলো সিলেক্ট করতে একটু দেরি হচ্ছে, তারপরও তারা আশাবাদী এই দশটি নাম দিলে দুই দেশের ১০টি করে প্রতিষ্ঠানের সিইওদের নিয়ে ফোরাম গঠিত হবে।
বিভিন্ন বাণিজ্যিক ইস্যুতে তারা আলোচনা করবেন। সরকারকে তারা আলোচনা করে কোন পরামর্শ থাকলে দেবেন।
সভায় প্রস্তাবিত বাংলাদেশ-ভারত কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশীপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) সম্পাদনের লক্ষ্যে নেগোসিয়েশন শুরুর বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বিভিন্ন দ্বি-পক্ষীয় ও আঞ্চলিক ফোরাম পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদান, বিভিন্ন প্রকার শুল্ক/অশুল্ক বাধা অপসারণের মাধ্যমে বাণিজ্য সহজীকরণ, ভারতের পক্ষ থেকে করোনার কারণে বন্ধ থাকা বর্ডার হাটসমূহ পুনরায় চালু করার বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে শিগগিরই সেগুলো চালুর কার্যক্রম ইতোমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের বৃহৎ ব্যবসায়িক অংশীদার বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী
ঘরে ঘরে শিক্ষিত সন্তান থাকলে মানুষের অভাব থাকবে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এলসি জিরো মার্জিন অথবা নূন্যতম মার্জিন করা হয়েছে। পরবর্তীতে নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাস পর সেই পণ্যের বকেয়া পরিশোধ করতে পারবেন।
এছাড়া এলসি ওপেনের কারণে অন্য ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বাংলাদেশকে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর ডায়াবেটিক সমিতির উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করে সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে আমদানি নির্ভর পণ্য ডাল, তেল, চিনি এগুলোর দাম কিছুটা বেড়েছে। কারণ বিশ্ববাজারে এসব পণ্যের দাম বেশি। তবে দেশে কৃষিজাত পণ্যের দাম কম রয়েছে। দুই-তিন মাস এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে। এছাড়া দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
তাই যতদিন পর্যন্ত প্রয়োজন ততদিন টিসিবি’র মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দেয়া হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমদানির ক্ষেত্রে বাজারের অবস্থা বিবেচনা করে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে রেমিট্যান্সের টাকা কম দেয়া হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ডলারের দাম বাড়ার কারণে আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে। সে হিসাবে ডলারের মূল্য ধরে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। তাই অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে মুদ্রাস্ফীতি কম রয়েছে। এছাড়া আমদানি ব্যয় কমাতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের সাশ্রয়ী হতে বলেছেন।
বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে দেশের শতকরা ৪০ ভাগ বিদ্যুত খরচ কম হয়েছে। বর্তমানে আমদানি ও রপ্তানি সূচকের মধ্যে পার্থক্য কমে এসেছে।
বিলাসবহুল পণ্য আমদানি কমিয়ে ডলার সাশ্রয় করা হচ্ছে।
দেশের চলমান রাজনীতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দল হিসাবে বিএনপি আন্দোলন করবে এটা তাদের অধিকার। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের শেষ কথা।
রাজপথে থেকে কেউ কাউকে ক্ষমতা থেকে উঠিয়ে দেবে, এটা সম্ভব নয়। আগামী নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ করা উচিত।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং পীরগাছা উপজেলায় তাম্বুলপুর ইউনিয়নে তাফসিল মাহফিলে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইতালির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ আছে: বাণিজ্যমন্ত্রী