আমদানি
ওএমএস কর্মসূচির জন্য সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে টিসিবি
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তাদের উন্মুক্ত বাজারে বিক্রি (ওএমএস) কর্মসূচির জন্য বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে। একই সঙ্গে স্থানীয় চাহিদা মেটাতে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সার আমদানি করবে বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।
রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলা আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২০ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব
বুধবার (৮ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু প্রস্তাবসহ এ সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, টিসিবি ইন্টারন্যাশনাল ডাইরেক্ট পারচেজ মেথডের (ডিপিএম) আওতায় গ্রিন নেশন বিল্ডার্স অ্যান্ড ডেভেলপারস, ইন্ডিয়া (লোকাল এজেন্ট: এনএস কনস্ট্রাকশন, ঢাকা) থেকে ১৪০ দশমিক ৯৯ টাকা দরে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করবে। এতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৬৯ টাকা।
ভারতের উমাএক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড (লোকাল এজেন্ট: স্পিড মার্কেটিং করপোরেশন, ঢাকা) থেকে ৯৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ হাজার টন মসুর ডাল আমদানি করা হবে এবং বিঅ্যান্ডসি ইনকরপোরেশন ও সেনা কল্যাণ সংস্থা থেকে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ১৫ হাজার টন মসুর ডাল আমদানি করা হবে। এগুলোর প্রতি কেজির দাম পড়বে ১০০ টাকা
শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, বিসিআইসি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ১২৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার এবং কাতারের মুনতাজাত থেকে ১২৭ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া আমদানি করা হবে।
পেট্রোবাংলা ৭১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সুইজারল্যান্ডের টোটালএনার্জিজ গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ ধারণ ক্ষমতার একটি কার্গো লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমলো
ওএমএস-এর জন্য ২.২০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে টিসিবি
অবশেষে আমদানি করা ডিম আসছে, প্রতি পিস ডিমের দাম মাত্র ৭ টাকা
ভারত থেকে ডিমের প্রথম চালান দেশে এসে পৌঁছেছে। শুল্কসহ একটি ডিমের দাম ৭ টাকা ২৩ পয়সা। ভারত থেকে আমদানি করা এই ডিম সোমবার যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে একটি ট্রাকে করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
সরকার ১ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। প্রথম চালানে ব্যক্তিগতভাবে একজন ব্যবসায়ী আমদানি করেন ৬১ হাজার ৯৫০টি। রবিবার রাত ১০টার দিকে ট্রাকটি বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ছেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্ট সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর প্রথম চালান হিসেবে একটি ভারতীয় কার্গো ট্রাকে ৬১ হাজার ৯৫০টি ডিম আমদানি করে ঢাকার বিডিএস করপোরেশন।
একটি ডিমের আমদানি মূল্য ধরা হয়েছে ৫ টাকা ৪৩ পয়সা, যার ওপর প্রতি ডিমের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয় ১ টাকা ৮ পয়সা।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, রবিবার সন্ধ্যায় ভারত থেকে একটি ট্রাকে করে ডিমের প্রথম চালানটি আসে। ভারতীয় ট্রাক থেকে স্থানান্তরের পর রাত ১০টার দিকে ডিমগুলো নিয়ে বন্দর ত্যাগ করে বাংলাদেশি ট্রাক।
ডিম আমদানিকারকের সিএন্ডএফ এজেন্ট এমই এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি সৈয়দ মাহিদুল হক বলেন, এর সঙ্গে পরিবহন খরচ যোগ হবে।
আরও পড়ুন: আমদানি করা ডিম বাজারে আসবে এ সপ্তাহেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
আরও ৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার
১ লাখ ১৫ হাজার টন সার আমদানি করা হবে
এক লাখ ১৫ হাজার টন সার আমদানিসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিজিপি)।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় এ অনুমোদন জানানো হয়।
আরও পড়ুন: আজ মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট
শিল্প মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী, এর অধীনস্থ সংস্থা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ৬০ হাজার টন সার কিনবে।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদি আরবভিত্তিক এসএবিআইসি এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩ লাখ টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে আরও ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া আমদানি করা হবে।
কৃষিমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী, এর অধীনস্থ সংস্থা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) তিউনিসিয়ার জিসিটি থেকে ২৫ হাজার টন এবং রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক কর্পোরেশন (প্রোডিন্টর্গ) থেকে ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় বাজেট উপস্থাপন ৯ জুন: মুস্তফা কামাল
বৈদেশিক ঋণ প্রাপ্তিতে নিরাপদ অবস্থানে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
পূজায় ৭ দিন বন্ধ হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি, খোলা ইমিগ্রেশন
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ৭ দিন বন্ধ থাকবে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
তবে স্বাভাবিক থাকবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে পাসপোর্টধারীদের পারাপার। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে দুই দেশের আমদানি ও রপ্তানিকারকরা আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
হিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত জানান, ৭ দিন বন্দরে ছুটি থাকবে। ফলে বন্ধ থাকবে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি। ছুটি শেষে ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে আবার স্বাভাবিক হবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
হিলি ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারীদের সুবিধার্থে ইমিগ্রেশন সচল থাকবে।
আরও পড়ুন: হিলিতে মোটরসাইকেলচাপায় আদিবাসী নারী নিহত, চালক আটক
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি ৮দিন বন্ধ থাকবে
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা আটদিন বন্ধ থাকবে বুড়িমারী স্থলবন্দর। এ সময়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে বুড়িমারী কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুজ্জামান ছায়েদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২১ অক্টোবর শনিবার থেকে ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছয়দিন এবং ২০ ও ২৭ অক্টোবর সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় টানা আটদিন বুড়িমারী বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ভারতে ছুটি থাকায় একদিন পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি পুনরায় শুরু
তিনি আরও জানান, তবে ২৮ অক্টোবর থেকে যথারীতি বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে। তবে এ সময় বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত অব্যাহত থাকবে।
বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল বলেন, দুর্গাপূজায় ভারতের চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার ও ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১ অক্টোবর শনিবার থেকে ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
বুড়িমারী ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) মো. হাসান কবির বলেন, পূজায় ব্যবসায়ীদের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও স্থলবন্দর দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: পূজা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ৭ দিন
বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
এ বছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আমাদের দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ বছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়নি।
তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে বিদেশে চাল রপ্তানি করা যায় কিনা আমরা তা খতিয়ে দেখছি।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের জীবনে পানির ব্যবহার সর্বত্র। পানির সদ্ব্যবহার করতে হবে। পানি না হলে ফসল উৎপাদন হবে না। ফসল না হলে আমরা বাঁচতে পারবো না।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধরে রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
অনেকে বলেন, এক কেজি ধান উৎপাদনে চার হাজার লিটার পানি লাগে। কৃষকরা অনেক সময় প্রয়োজনরে তুলনায় বেশি পানি সেচ কাজে ব্যবহার করেন। সচেতনতা বাড়িয়ে পানির অপচয় কমাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ মানুষ সরু ও চকচকে চাল খেতে পছন্দ করে। বারবার ছাটাই করায় চালের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। প্রায় ২০ লাখ মেট্রিকটন চাল হাওয়া হয়ে যায়। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এখন লাল চাল খায়। কারণ লাল চালে পুষ্টি বেশি।
চকচকে চাল খাওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ভোক্তারা লাল চাল খেলে মিল মালিকরাও ব্যবসায়িক কারণে চকচকে চাল তৈরির আগ্রহ হারাবে। আমরা জনগণের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই লাল চাল খাওয়ার কথা বলি।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে জমি কমেছে, কিন্তু জনসংখ্যা বেড়েছে। সরকার জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে। বাংলাদেশ চাল, মাছ, আম ও সবজি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
তিনি বলেন, অনেক ফসল মৌসুমের সময় সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়। প্রসেসিং করে আম ও সবজি রপ্তানি করতে পারলে আমাদের কৃষকরা লাভবান হবেন।
মন্ত্রী বলেন, বোরো ফসল ভালো হয়েছিল। বোরোর মতো আমনের ফসলেরও বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। খাদ্য সংকট নাই, আমাদের দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। তবে ব্যবসায়ীদের সচেতন হতে হবে, ভোক্তাবান্ধব হতে হবে। দিনাজপুরে যে দামে চাল বিক্রয় হয়, সে চাল ঢাকায় এসে অনেক বেড়ে যায়। এ প্রবণতা ছাড়তে হবে।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীরা মায়ের কোলে থেকেই ব্যবসা করছেন: খাদ্যমন্ত্রী
আমন মৌসুমে ৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
আমদানি করা ডিম বাজারে আসবে এ সপ্তাহেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিন-চার দিনের মধ্যে আমদানি করা ডিম দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়ানো এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১৫ কোটি ডিম আমদানির জন্য ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে সাতটি প্রতিষ্ঠান এলসি খুলেছে। আশা করা হচ্ছে চলতি সপ্তাহে ডিম আমদানির প্রথম চালান দেশে প্রবেশ করবে।
রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিপণনের অক্টোবর মাসের কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: আগামী জানুয়ারির মধ্যে টিসিবির স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি হলো এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মুক্ত বলে রপ্তানিকারক দেশের সরকারের দেওয়া সনদ দাখিল করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে এর আগে ডিম আমদানি হয়নি এবং এই সনদ পেতে আমদানিকারদের কিছুটা সময় লাগায় ডিম আসতে দেরি হচ্ছে।
আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে কি না- এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, আমরা দেশে এখনো আলু আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিইনি। দেশে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ আছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।
মন্ত্রী বলেন, বাজার মনিটরিং চলছে। যদি দাম আরও ঊর্ধ্বগতির দিকে যায় তাহলে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে আলু আমদানির উদ্যোগ নেবে সরকার।
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জুলাই মাস থেকে টিসিবির তেল, চিনি, ডালের পাশাপাশি চাল দেওয়া শুরু হয়। এ মাস থেকে পেঁয়াজ দেওয়া শুরু হলো। যা রাজধানীর মধ্যে আপাতত সীমাবদ্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি বৈশ্বিক কারণে বেশ কয়েকটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখতে। কিন্তু আমদানি করা পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। যার জন্য চাইলেও কমানো সম্ভব হয় না। তবে আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
টিপু মুনশি বলেন, টিসিবির কার্ড বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ১ কোটি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে। এ মাসের শেষ নাগাদ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন: ৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশি ব্যবসায়ীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
পূজা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ৭ দিন
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৭ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে স্বাভাবিক থাকবে চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার।
শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সোমবার (৯ অক্টোবর) হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
তিনি বলেন, ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে ২৫ অক্টোবর বুধবার পর্যন্ত ৭ দিন ভারতের সঙ্গে এ বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বন্ধ থাকবে বন্দরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম। ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক হবে।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, শুধু সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিতে বন্দরের পানামা পোর্টের অফিসসহ আমদানি-রপ্তানি ও পণ্য উঠা-নামার কাজ বন্ধ থাকে।
তিনি আরও বলেন, ২৪ অক্টোবর দূর্গাপুজার দশমীর দিন। এদিন সরকারি ছুটি থাকায় সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তারপর থেকে পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিকে হিলি স্থলশুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার মো. বায়জিদ হোসেন জানান, ২৪ অক্টোবর দূর্গাপুজার কারণে সরকারি ছুটি রয়েছে। এর পরের দিন কাস্টমস অফিসের কার্যক্রম চালু হবে।
তিনি আরও জানান, ব্যবসায়ীরা চাইলে বন্দরের অভ্যন্তরে থাকা তাদের আমদানি করা পণ্যের চালান শুল্ককর পরিশোধ করে খালাস করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ছুটি থাকায় একদিন পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি পুনরায় শুরু
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
আরও ৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার
বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে রবিবার ৫টি কোম্পানিকে আরও ৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি কোম্পানি এক কোটি ডিম আমদানি করতে পারবে।
কোম্পানিগুলো হলো- ইউনিয়ন ভেঞ্চার লিমিটেড, জেএফজে প্যারাডাইস কানেকশন, লায়েক এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স লাকি এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স পিংকি ট্রেডার্স।
আরও পড়ুন: আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
তবে যেসব দেশ থেকে ডিম আমদানি করা হবে সেসব দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে ২৩ আগস্ট বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ঘোষণা দেন, প্রয়োজনে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সদস্যরা নগরীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করছেন।
আরও পড়ুন: ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার: বাণিজ্য সচিব
আলু, পেঁয়াজ, চিনি, সয়াবিন ও ডিমের দাম নির্ধারণ করেছে সরকার
আলু আমদানির বিপক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়
অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় আলু আমদানির পরিকল্পনার বিরোধিতা করে মতামত দিয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের আলু আমদানির অনুমতি দিতে পারেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে শনিবার (৭ অক্টোবর) ইউএনবিকে জানান, আগামী দুই মাস বা তার বেশি সময়ের জন্য দেশীয় ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত আলু মজুদ রয়েছে। তাই আলু আমদানির প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: ফের রাশিয়ায় আলু সরবরাহ করবে বাংলাদেশ
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, নভেম্বরের শেষের দিকে নতুন জাতের আলু বাজারে আসতে শুরু করবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার কয়েকটি এলাকায় আগাম জাতের আলুর চাষ হয়েছে।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসব জেলা থেকে আগাম জাতের আলু পুরোদমে বাজারে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
দেশে কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিতে হয়। তবে আলুসহ অন্যান্য কিছু কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়।
আরও পড়ুন: আলুর সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি: কৃষিমন্ত্রী
বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে আলু আমদানি করা হবে: ভোক্তা অধিকারের ডিজি