রমজান
তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই, চুয়াডাঙ্গায় বসন্তেই গ্রীষ্মের আঁচ
চলছে বসন্ত; গ্রীষ্ম আসতে এখনও বাকি অন্তত দুই সপ্তাহ, এর মধ্যেই চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকাল ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ। পাশাপাশি বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ১৮ শতাংশ থাকায় গরমের অনুভূতি আরও বেড়েছে।
রমজানের শেষ পর্যায়ে এসে এমন তীব্র গরমে নাকাল জেলার সাধারণ মানুষ। প্রচণ্ড রোদ আর গরমে রোজাদারদের কষ্ট বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। কেউ কেউ শরীরে দুর্বলতা অনুভব করছেন, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা ভুগছেন বেশি।
চুয়াডাঙ্গা শহরের বাসিন্দা নাসির উদ্দীন বলেন, ‘রোজা রেখে এই গরম সহ্য করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। দুপুরের পর বাইরে বের হওয়া যায় না। গরমে মাথা ঘুরছে, শরীরও দুর্বল লাগছে।’
নিম্ন-আয়ের শ্রমজীবী মানুষদের কষ্ট আরও বেশি। চুয়াডাঙ্গা শহরের চৌরাস্তা মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা নাম না প্রকাশ করতে চাওয়া এক রিকশাচালক বলেন, ‘কাজ না করলে খাবার জুটবে না, কিন্তু এই গরমে রোজা রেখে রিকশা চালানো খুব কষ্টকর; গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে পারদ বেড়ে যাচ্ছে।’
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে, গরমের কারণে শহরের রাস্তাঘাট তুলনামূলক ফাঁকা। অধিকাংশ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। তবে দিনমজুর, শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা রোদ-গরম উপেক্ষা করেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জেলার কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা হাসান আলী বলেন, ‘বাজারে ক্রেতা কম আসছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষ বের হচ্ছে না। আমরা তো ঘরে বসে থাকতে পারি না, বিক্রি না করলে সংসার চলবে কীভাবে?’
প্রচণ্ড রোদের মধ্যে বাস ও রেল স্টেশনেও যাত্রীদের ভিড় তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
১৬ দিন আগে
রাজধানীতে মধ্যবিত্তের পছন্দ বেইলি রোডের ইফতার আইটেম
রাজধানীতে উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের বড় একটি অংশের পছন্দ বেইলি রোডের সারি সারি রেস্টুরেন্টে সাজানো নানা পদের ইফতার আইটেম। সরেজমিনে ইফতারের আগ মুহূর্তে এলাকাটি ঘুরে দেখা যায়, স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় শতাধিক ইফতার পণ্যের দোকান গড়ে উঠেছে বেইলি রোডে।
দশ টাকার চপ থেকে শুরু করে এই এলাকার ইফতারির দোকানগুলোতে হাজার টাকার ওপরে অহরহ ইফতার আইটেম বিক্রি হচ্ছে। নামজাদা রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে একেবারে স্ট্রিট কার্টের খাবারেও মানুষের উপচেপড়া ভিড়।
বেইলি রোডের নওরতন কলোনির বাসিন্দা রোহান বলেন, এই এলাকার রেস্টুরেন্টগুলো মূলত মধ্যবিত্তের জন্য। মধ্যবিত্ত যেমনি ১০ টাকার পেঁয়াজু বা আলুর চপ খায়, আবার হাজার টাকার বাকলাভাও ভালোবাসে, তাদের এই পাঁচমিশালি চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এ এলাকায় রমজানে রেস্টুরেন্টগুলোতে ইফতার আইটেমগুলো সাজানো হয়।
২৫ দিন আগে
রমজানে ফল আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার
পবিত্র রমজান মাসে দাম সহনীয় রাখতে টাটকা ফলের ওপর আমদানি শুল্ক কমিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ১৬ মার্চ জারি করা দুটি প্রজ্ঞাপনে আমদানি পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে এবং ৫ শতাংশ অগ্রিম কর সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ১০ মার্চ পৃথক প্রজ্ঞাপনে ফল আমদানির ওপর অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। ফলে মোট শুল্ক কমানো হয়েছে ১৫ শতাংশ।
এতে বলা হয়, রমজানে মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বৃহত্তর জনস্বার্থে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এনবিআরের দাবি, বৃহত্তর জনস্বার্থে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত কয়েক মাসে ভোজ্যতেল, চিনি, আলু, ডিম, পেঁয়াজ, চাল, খেজুর, কীটনাশকসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক, নিয়ন্ত্রণ শুল্ক, ভ্যাট, অগ্রিম আয়কর, অগ্রিম করের উল্লেখযোগ্য অংশ অব্যাহতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে বাজার নিয়ে স্বস্তিতে চাঁদপুরবাসী
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কর অব্যাহতিসহ সরকারের বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে এ বছর পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হয়েছে।’
বৃহত্তর জনস্বার্থে বহুল ব্যবহৃত গণপরিবহন মেট্রোরেলের ওপর বিদ্যমান ভ্যাট সম্পূর্ণরূপে অব্যাহতি দিয়েছে সরকার।
বইয়ের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার এবং শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় সরবরাহ ও আমদানি উভয় পর্যায়ে ই-বুক সেবার ওপর ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া হজযাত্রীদের খরচ কমাতে সরকার হজের টিকিটের ওপর আবগারি শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করেছে এবং জনস্বার্থে বিভিন্ন কর অব্যাহতি দিয়েছে।
২৬ দিন আগে
‘মেইড ইন জিনজিরা’ ট্যাং-জুস-গ্লুকোজে সয়লাব রমজানের বাজার
জিনজিরা; ঢাকার উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জের এই স্থানটির খ্যাতি এক বিশেষ কারণে—নকল পণ্য উৎপাদনে এই জায়গার জুড়ি মেলা ভার। মেশিনারি, গাড়ির যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে প্রসাধনী, নকল খাদ্যসামগ্রী—কী উৎপাদন হয় না সেখানে! স্থানটির এতই খ্যাতি যে, দেশে নকল কোনো পণ্য বোঝাতে ‘মেইড ইন জিনজিরা’ ট্যাগ লাগিয়ে দেন অনেকে।
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পবিত্রে রমজান মাসে জিনজিরায় তৈরি নকল ট্যাং, জুস ও গ্লুকোজে ইতোমধ্যে সয়লাব হয়ে গেছে বাজার। অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার আশায় নকল ও ভেজাল খাদ্যসামগ্রী তৈরি করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সেসব সরবরাহ করছে। মফস্বল পর্যায়ের গ্রাহকরা এসব নকল খাদ্যসামগ্রী কিনে প্রতারিত হচ্ছেন, পড়ছেন মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।
চিকিৎসকদের মতে, এসব ভেজাল পণ্য পাকস্থলি ও ফুসফুসে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি জেনেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে না।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার জিনজিরা, মান্দাইল, আমিরাবাগ, বোরহানিবাগ, শুভঢ্যা, আগানগর, কালীগঞ্জ ও কাজিরগাঁও এলাকায় রমজান মাসে সৃষ্ট চাহিদার কথা মাথায় রেখে নকল ও ভেজাল অরেঞ্জ ও ম্যাংগো ড্রিঙ্কস পাউডার (ট্যাং) এবং বিভিন্ন নামীদামী কোম্পানির মোড়ক নকল করে কিটক্যাট, মিমিসহ বিভিন্ন ধরনের চকলেট তৈরি ও বিক্রি চলছে দেদারসে।
বিগত সময়ে র্যাবের পক্ষ থেকে বারবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করায় এই সমস্ত ভেজাল খাদ্য উৎপাদন কারখানা প্রায় একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর র্যাবের পক্ষ থেকে ভেজালবিরোধী তৎপরতা একেবারেই নেই। এই সুযোগে আসাধু ব্যবসায়ীরা আবার জেগে উঠেছে নতুন রূপে।
সরজমিনে উপজেলার গদাবাগ, মুক্তির বাগ, আমিরাবাগ, নেকরোজ বাগ, খোলামোড়া, জিয়ানগর ও তেঘরিয়া, শুভঢ্যা, আগানগর কালীগঞ্জ, কাজিরগাঁও ও আব্দুল্লাহপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল ও নকল শিশুখাদ্য তৈরি করে অতি চতুরতার সঙ্গে সেসব বাজারজাতকরণের প্রক্রিয়া চলছে।
মুক্তিরবাগ এলাকায় একটি কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন নারী শ্রমিক হাত দিয়েই বোতলে ভরছেন ভেজাল জুস। এই কাজে হাতে গ্লাভস পরার প্রয়োজনীয়তাও মনে আসেনি তাদের। মাথায় চুলের জাল (হেয়ারনেট) না পরেই অরেঞ্জ ড্রিংকস বোতলজাত করছেন তারা। আবার অরেঞ্জ ড্রিংকস পাউডার মোড়কজাত করার সময় বাতাসে তা যাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে না যায়, সেজন্য ফ্যান বন্ধ করে কাজ করছেন শ্রমিকরা। এতে করে তারা ঘেমে একেবারে কর্দমাক্ত হয়ে যাচ্ছেন।।
সেখানে কথা হয় কারখানাটির ম্যানেজার শাকিল আহমেদের সঙ্গে। তিনি জানান, তাদের বিএসটিআই ও পরিবেশ ছাড়পত্র আছে। তবে দেখতে চাইলে সেগুলো দেখাতে পারেননি তিনি।
ল্যাব আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি অকপটে ল্যাব না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের কাছে রেসিপি আছে। সেই অনুযায়ী আমরা ড্রিংকস পাউডার প্রস্তুত করে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠাই। পরে আমাদের বিক্রয়-প্রতিনিধি পণ্যগুলো বিভিন্ন দোকানে দোকানে বিক্রি করেন।’
এ সমস্ত ভেজাল ও কৃত্রিম রং মিশ্রিত অরেঞ্জ ড্রিংকস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আবহাওয়া খুবই ভালো। এখানে সবকিছুই হজম হয়ে যায়। কয়েক বছর যাবত তো এই প্রোডাক্ট মার্কেটে বিক্রি করছি; কোথাও থেকে কখনও কোনো দুঃসংবাদ এখনও পাইনি।’
তবে এসব ভেজাল খাদ্যসামগ্রী স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রোজিনা আমিন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনায় মুখ থুবড়ে পড়েছে নরসিংদীর বিসিক শিল্পনগরী
তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম রং মিশ্রিত ভেজাল ড্রিংকস স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব ড্রিংকস সবচাইতে বেশি লিভার ও কিডনিকে আক্রান্ত করে এবং শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।’
এই চিকিৎসকের মতে, ‘ছোট শিশুদের জন্য এগুলো আরও বেশি ভয়াবহ, কারণ এতে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।’
৩৮ দিন আগে
পবিত্র রমজান ২০২৫-এ ইফতারের জন্য ঢাকার সেরা ১০টি রেস্টুরেন্ট
রমজান মাসে ইফতার শুধু একটি ধর্মীয় আচার নয়, এটি মুসলমানদের খাদ্য সংস্কৃতিরও এক বিরাট অংশ। তারই এক অভাবনীয় বৈচিত্র্য দেখা যায় ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে। প্রতিবারই এই পবিত্র মাসকে কেন্দ্র করে নানা ধরণের ইফতার প্ল্যাটারের আয়োজন করা হয়। এখানে ঐতিহ্যবাহী খাবারের সাথে থাকে আধুনিক খাবারের অপূর্ব সংমিশ্রণ। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের তেমনি কয়েকটি জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টকে নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের নিবন্ধ। চলুন, ইফতার করার জন্য ঢাকার ১০টি সেরা রেস্টুরেন্টের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ঘরের বাইরে ইফতারের জন্য ঢাকার জনপ্রিয় ১০টি রেস্টুরেন্ট
.
মুম্বাই এক্সপ্রেস (Mumbai Express)
উত্তরার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মুম্বাই এক্সপ্রেস ইফতার আয়োজনের এক অভিজাত গন্তব্য। রমজানে এখানকার পরিপূর্ণ মেনুতে মেলে স্বাদ ও ঐতিহ্যের মিশ্রণ।
এ বছর Mumbai Express-এর পরিবেশনায় রয়েছে তিনটি প্ল্যাটার। নান ইফতার নামক প্ল্যাটারে পাওয়া যাবে ৯টি আইটেম, যার মূল্য শুরু ৬৫০ টাকা থেকে। ৮টি বাহারি পদের বিরিয়ানি ইফতারের দামও একই। ন্যূনতম ৭৫০ টাকা থেকে শুরু হওয়া শাহী ইফতার-এ রয়েছে ৯টি পদ।
এর বাইরে মেনুর মূল আকর্ষণে আছে ৫৫০ টাকার মাটন হালিম। মিষ্টান্নর মধ্যে নজর কাড়ছে উপাদেয় স্বাদের রেশমি জিলাপি যার দাম পড়বে ২৮০ টাকা। আর একটু মোটা বোম্বে জিলাপির দাম ২০০ টাকা।
ঠিকানা: হাউস-১৬/এ, রোড-৪, সেক্টর-৪, উত্তরা।
বাহারি সেট মেনু:
https://www.facebook.com/mumbaiexpressbd/posts/pfbid02TWmF1s9Wk58LoHHzSQQKZ7nWYA9gm1hPkikjDpMi78XoPWJMUeWq2KzHRDz1Hiwyl
আরো পড়ুন: খেজুরের রকমফের: জেনে নিন ১০ প্রকার খেজুরের পুষ্টি, স্বাস্থ্যগুণ ও দাম
যাত্রা বিরতি (Jatra Biroti)
বনানীর এই রেস্তোরাঁটি তাদের ইফতার প্ল্যাটারগুলোতে রেখেছে স্বাস্থ্যকর ও বৈচিত্র্যময়তার ছাপ। Jatra Biroti-এর খাবারগুলোর বিশেষ দিক হচ্ছে নিরামিষের প্রাধান্য।
এবারের রমজানে এখানে বাছাইয়ের জন্য থাকছে ৬টি প্ল্যাটার, যেগুলোর প্রত্যেকটির দাম ৪২০ টাকা। প্রতিটির সাধারণ খাবার হলো খেঁজুর, পিয়াজু, বেগুনী, ছোলা ভুনা, পালং শাক ভাজা, খেঁজুরের গুড়ের বিশেষ টক দই এবং খেঁজুর ও লেবুর শরবত।
লেটকা খিচুড়ি প্ল্যাটারে রয়েছে সব্জি ও ভাজা বেগুনের সংযোজন। চিড়ার পোলাও প্ল্যাটারে মশলাদার চাল ও মাশরুম কারি পাওয়া যায়। সবজি বিরিয়ানিতে সুগন্ধি সবজি বিরিয়ানি ও নারকেলের দুধে রান্না করা তরকারির স্বাদ।
নতুনের মধ্যে পরখ করা যেতে পারে মাশরুম র্যাপ প্ল্যাটার, যেখানে মশলাদার মাশরুম হালিম পরিবেশন করা হয়। ডাল-রুটি প্ল্যাটারের আইটেম হচ্ছে বাদামী গমের রুটি, ঘন মসুর ডাল ও মটরশুটির তরকারি। সর্বশেষ দই-চিড়া প্ল্যাটারে আছে লুচি ভাজা, আলুর দম এবং খেঁজুরের গুড়ে মিশ্রিত দই-চিড়া।
ঠিকানা: বাড়ি ৬৩, রোড ১৭/এ, ব্লক-ই, বনানী।
একত্রে ৬টি প্ল্যাটার:
https://www.facebook.com/jatrabirotiworld/posts/pfbid023qtBn8NgD18Qe7Q11Q8pgXPc9uJyUzmLXioKDjMJXqtu67Eb4sUUyagqJ1VK3ahDl
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়ির রান্নায় সিলিন্ডার গ্যাসের খরচ কমাবেন যেভাবে
হাব রুফটপ (The Hub Rooftop)
ছাদের মুক্ত পরিবেশে সাশ্রয়ী মূল্যে ইফতারের জন্য দারুণ একটি স্থান মিরপুরের হাব রুফটপ। বন্ধু কিংবা পরিবার নিয়ে আড্ডার পাশাপাশি প্রধানত দুটি প্ল্যাটারকে ঘিরে অতিথিদের সমাগম হচ্ছে। প্রায় কাছাকাছি আইটেম বিশিষ্ট দুটো প্ল্যাটারেরই দাম ৪৫০ টাকা।
ইফতার প্ল্যাটার-১-এ আছে শর্মা, ফ্রাইড রাইস, চিকেন মাঞ্চুরিয়ান, ফ্রাইড চিকেন, স্প্রিং রোল, ফিশ টোস্ট (২টি), আঙ্গুর, খেজুর, পানি এবং ট্যাং জুস। ইফতার প্ল্যাটার-২তে সবই একই, কেবল ফ্রাইড রাইসের বদলে চাওমিন দেওয়া হয়।
কিছুটা সংকীর্ণ জায়গায় হওয়ায় The Hub Rooftop ছোট গ্রুপের জন্য উপযুক্ত। ছুটির দিনগুলোতে আগে থেকে কল করে বুকিং দিয়ে যাওয়াটা উত্তম।
ঠিকানা: ২৯, চিড়িয়াখানা রোড, ১\জি, মিরপুর-১ (ইয়োলো/আগোরা সুপারশপের বিপরীতে)।
https://www.facebook.com/thehubrooftop/posts/pfbid0s8FzrYRVvwHB1vsAwt3WhhtDtur5TpQA3n72NT3DjyQdEA4u6TFjV9jc5VpREDjWl
আরো পড়ুন: স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য যেসব খাবার উপকারী
গ্রাইন্ড হাউস মিউজিক ক্যাফে (GRIND HOUSE Music Cafe)
মনোরম ইন্টেরিয়র ও সুবিস্তৃত পরিসরে পারিবারিক ও কর্পোরেট অনুষ্ঠানের জন্য সেরা জায়গা গ্রাইন্ড হাউস। রমজান উপলক্ষে খিলগাঁওয়ের এই ক্যাফেটি পাঁচটি ভিন্ন প্ল্যাটার রেখেছে। তন্মধ্যে প্ল্যাটার-১, ২, ও ৩ একজনের জন্য আর ৪ ও ৫ দুইজনের জন্য।
প্ল্যাটার-১ (৫০০ টাকা) সাজানো হয়েছে ফল, স্প্রিং রোল, আলু ওয়েজ, ফ্রাইড রাইস, বারবিকিউ চিকেন স্টেক, সবজি, ও শরবত দিয়ে। প্ল্যাটার-২ (৫২০ টাকা)-তে একই আইটেম, তবে বারবিকিউ চিকেন স্টেকের বদলে দেয়া হয়েছে চিকেন চিলি পেঁয়াজ। আর সাথে অতিরিক্ত সযোজন হয়েছে ছোট ছোট করে কাটা গরুর মাংস। প্ল্যাটার-৩ (৪৫০ টাকা) প্ল্যাটার-২-এর মতই, শুধু চিকেন চিলি পেঁয়াজ ও কাটা গরুর মাংসের পরিবর্তে থাই ফ্রাইড চিকেন ও রেড চিকেন কারি দেয়া হয়েছে।
প্ল্যাটার-৪ (৯৯৯ টাকা) সমসাময়িক ইফতার আইটেম থেকে একদমি ভিন্ন। এতে আছে GRIND HOUSE Music Cafe-এর নিজস্ব গ্রাইন্ড পাস্তা এবং ১০ ইঞ্চি মেক্সিকান পিৎজা। প্ল্যাটার-৫ (৯৯৯ টাকা)-এ আছে নান রুটি (মাখন-রসুন মিশ্রিত), দুটি চিকেন তান্দুরি, দুটি রেশমি কাবাব, এবং দুটি হরিয়ালি কাবাব। সাথে ফলসহ ডাল তরকারি, ও শরবত।
ঠিকানা: ৩৬৮/বি নাজমা টাওয়ার, মিনিসো বিল্ডিং (লেভেল-৮), খিলগাঁও (তালতলা সুপার মার্কেটের কাছে)।
একসাথে সবগুলো প্ল্যাটার:
https://www.facebook.com/grindhousebd/posts/pfbid0YMSBjBMZvdMXoaYB4Vr1Py9ZJboAcwg7nxdenA4MtoeiWn9Q2AydCwcwHBaEXGq4l
আরো পড়ুন: নিরাপদে স্ট্রিট ফুড খাওয়ার ১০টি উপায়
রোডসাইড কিচেন (Roadside Kitchen)
সাশ্রয়ী খরচে ইফতার করার আরও একটি জায়গা বসুন্ধরার রোডসাইড কিচেন। তাদের ৪৫০ টাকার প্ল্যাটারটি একজনের জন্য নির্ধারিত হলেও তাতে অনায়াসেই দুজনের ইফতার হয়ে যায়। কেননা এতে আছে আচারের রাইস, ফ্রাইড চিকেন; সাথে ডিম, কোল্স্ল, চিলি চিকেন, চিকেন মাঞ্চুরিয়ান এবং দুটি গ্রিল চিকেন।
ইফতার পাশাপাশি সেহরির সময়েও সমান উদ্দীপনায় মুখর হয়ে থাকে Roadside Kitchen।
ঠিকানা: আর/এ, ক-৯/এ, ১ম তলা, বসুন্ধরা।
প্ল্যাটারের বিস্তারিত:
https://www.facebook.com/reel/611653048349338/
আরো পড়ুন: ওমেগা-৩ ডিম কি আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি?
বাঙালিয়ানা ভোজ
ইফতার ও সেহরিতে ওয়ারীর বাঙালিয়ানা ভোজ মানেই দেশীয় ঐতিহ্যের বর্ণিল আয়োজন। এখানে আদ্যোপান্ত দেশীয় খাবারের সম্ভারে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন সেট মেনু। মাত্র ১৫০ টাকার প্যাকেজে পাওয়া যাবে চিকেন ও ডিমের কম্বো, এবং ২৫০ টাকায় বিফ ও ডিম। হাঁসের মাংস ও ডিমের সেট মেনুর দাম ২৯৯ টাকা।
যারা ভর্তা উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য রয়েছে ১৬৯ টাকায় ভাত, ডাল ও ১১ পদের ভর্তা।
রেস্তোরাঁটির বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে দুটি ভ্যারিয়েন্টের গ্র্যান্ড খিচুড়ি প্ল্যাটার। একটি বিফ কালাভুনা দিয়ে, আরেকটি চিকেন ঝাল ফ্রাই দিয়ে।
এছাড়াও আলাদা ভাবে অর্ডার করা যাবে গরম খুদের পোলাও, বেগুন ভাজা, কষা মাংস, বাসমতী চালের ভাত ও বুটের ডাল মাটন।
ঠিকানা: গ্রাউন্ড ফ্লোর, ফরচুন গার্ডেন, ৮ নং র্যাংকিং স্ট্রিট, ওয়ারী।
ওয়ারীসহ বাঙালিয়ানা ভোজ-এর মোট ৬টি শাখা রয়েছে- মিরপুর, বসুন্ধরা, মোহাম্মদপুর, পান্থপথ ও নারায়ণগঞ্জ।
বিশদ তথ্যের জন্য:
https://www.facebook.com/BangalianaBhoj
আরো পড়ুন: তীব্র গরমে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে উপকারী শাকসবজি
৩৮ দিন আগে
যানজটে আটকে রাজধানীবাসীর ইফতার
রাজধানীতে আসরের আজানের আগে থেকে সড়কে বাড়তে শুরু করে গাড়ির চাপ। বিকাল চারটা থেকে একের পর এক অফিস ছুটি হওয়ায় ইফতারের আগমুহূর্ত পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ির চাপ থাকে অবর্ণনীয়।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে দেখা যায়, দুপুর ২টার পর রাস্তায় গাড়ির চাপ তুলণামূলক কম হলেও বেলা পড়তে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে শুরু করে। এতে করে রাজধানীর মোড়ে মোড়ে প্রায় প্রতিটি রাস্তা থেকে শুরু করে অলিগলিতে সৃষ্টি হয় অসহনীয় যানজট।
ইফতারের আগমূহূর্তে এমন যানজট নিয়ে শান্তিনগর মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ‘আসরের পর থেকে একেবারে মাগরিবের আজানের আগ-পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ির প্রচণ্ড চাপ থাকে। সবাই চায় নিজের বাসায় পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে। একই সময়ে সবাই বের হওয়ায় এমন ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়।’
আরও পড়ুন: বিনা লাভে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করছেন চাঁদপুরের শাহ আলম
অন্যদিকে, একাধিক মোড়ের সড়ক বা যেসব সড়কে ফ্লাইওভার এসে মিশেছে কিংবা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প নেমেছে, সেসব সড়কে যানজট তুলনামূলক বেশি থাকে বলে জানান তিনি।
নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে মোটরসাইকেল-চালক আলাউদ্দিন বলেন, ‘অন্য সময়ের তুলনায় এবার সড়কে যানজট অনেক বেশি। বিশেষ করে অটোরিকশার চাপে (সড়কে) নড়াচড়াই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে বাইকের জন্য রাস্তার বাম দিকে কিছুটা জায়গা ছেড়ে দেওয়া হলেও, এখন রিকশার চাপে এই লেনটাও বন্ধ হয়ে গেছে। বাইক নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে বসে থাকতে হয়।’
তবে যত্রতত্র বাস থামানো এবং সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াকেই যানজটের জন্য দায়ী করছেন রিকশাচালকরা।
মতিঝিল কর্মস্থল থেকে বাড্ডার বাসায় প্রতিদিন যাতায়াত করেন একটি প্রাইভেট ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। যানজটের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘চারটার সময় অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা ৬টা বেজে যায়। অনেক সময় বাসার গলিতে বা সিঁড়িতে পৌঁছাতেই আজান দিয়ে দেয়। সব মিলিয়ে ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছানো বিরাট ঝক্কির ব্যাপার।’
শান্তিনগরের বাসিন্দা হানিফ বলেন, ‘পায়ে হেঁটে শান্তিনগর থেকে রমনা যেতে ১৫ মিনিট লাগে, কিন্তু ইফতারের আগে কেউ রিকশা করে যেতে চাইলে এক ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সবাই ইফতারের আগে বাসায় ফিরতে চায়, সবারই ইচ্ছা পরিবারের সঙ্গে ইফতার করা। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের এমন কোনো অভিনব ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত যাতে করে ইফতারের আগে এমন অসহনীয় যানজট এড়ানো যায়।’
আরও পড়ুন: প্রথম রোজা: রাজধানীর মোড়ে মোড়ে ইফতারের পসরা
তবে শুধুমাত্র ট্রাফিক পুলিশের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে না দিয়ে নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্বশীল হওয়া এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে শুধু রমজানে নয়, যেকোনো সময়ে কোনো কারণে সড়কে চাপ সৃষ্টি হলে তা সামলানোর ব্যবস্থাও সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন তারা।
৪০ দিন আগে
সহনীয় মুদি বাজার, দেশি ফলের চড়া দাম
রমজানের তৃতীয় দিনে এসে এখনো সহনীয় আছে নিত্যদিনের মুদি পণ্যের দাম। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির ফল।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা এবং ফকিরাপুল বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুদি দোকানে প্রতি কেজি ছোলাবুট বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৩০ টাকায়। দোকানিরা জানান, গতবছর ছোলাবুটের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১২০-১৪০ টাকা।
মানভেদে বেসন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৮০ টাকা কেজিতে। ডাবলি ১৫০, কাবলি দানা ২৫০, চিনি ১২০, ডিম ডজনপ্রতি ১৩০ এবং মুড়ি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে।
শান্তিনগর বাজারের মুদি দোকানদার মনির বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছর রমজানে এসব পণ্যের দাম খুব একটা বাড়েনি। অনেক পণ্যের দাম কমতি।’ এসব পণ্যের বাইরে মসলাজাত পণ্যের দামও সহনশীল অবস্থায় আছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রোজার দ্বিতীয় দিনেও বাজারে নেই সয়াবিন তেল, বিপাকে ক্রেতারা
বাজার করতে আসা ক্রেতা সুবাহ বলেন, ‘এ বছর বাজারে সয়াবিন তেল ছাড়া অন্য কোনো পণ্যের তেমন একটা সংকট নেই, দামও হাতের নাগালের মধ্যেই। ইসবগুল, এলাচি, দারুচিনি, ধনিয়া, হলুদের গুড়া, মরিচের গুড়া, কিসমিস, বাদামসহ এসব পণ্যের দাম আগের বছরের মতোই।’
৪০ দিন আগে
পুঁজিবাজারে পতন দিয়ে শুরু রমজানের লেনদেন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস এবং রমজানের প্রথম দিনে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম দুই পুঁজিবাজারেই সূচকের পতন হয়েছে, পাশাপাশি কমেছে লেনদেনও।
রমজানের প্রথমদিনে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী লেনদেন শুরু হয় ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। এতদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন চললেও রোজায় লেনদনের সময় কমিয়ে দুপুর দেড়টায় নিয়ে আসা হয়।
প্রথম দিনের পরিবর্তিত সময়সূচিতে রবিবার (২ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে ১০ পয়েন্ট। এর বাইরে শরিয়াভিত্তিক এবং ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচকও ছিল নেতিবাচকের ঘরে।
রোজার প্রথম দিন সূচক কমা অনেকটা স্বাভাবিক বলে জানিয়েছে ব্রোকারেজ হাউসগুলো। তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে, হঠাৎ করে নতুন সময়সূচিতে বাজারের খাপ খেতে সময় লাগে। এতে করে রমজানের প্রথম দিন সূচক কমার সম্ভাবনা থাকে বেশি।
ডিএসইতে সূচক কমার পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ৪৮৭ কোটি টাকার লেনদেন কমে নেমে আসে ৪২১ কোটি টাকায়।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৪, কমেছে ১৮৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমলেও, দাম বেড়েছে জেড ক্যাটাগরিতে। ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৯৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪১, কমেছে ৩৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বদলায়নি বেশিরভাগের। দাম কমেছে ১৪ এবং বেড়েছে ৫ ফান্ড কোম্পানির শেয়ারের।
রোববার ব্লক মার্কেটে মোট ৪২ কোম্পানি তাদের ৭২ লাখ শেয়ার ২৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে। এরমধ্যে ইস্টার্ন ব্যাংক সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে একদিনের লেনদেনে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে এইচ আর টেক্সটাইল লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার: সূচকের পতন দিয়েই শেষ হলো সপ্তাহ
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রামের বাজারেও। রোববার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ২৫ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২০৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৬, কমেছে ৯৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সারাদিনে সিএসইতে মোট ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয় বিক্রয় হয়েছে।
সিএসইতে সারাদিনের লেনদেনে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে উঠে এসেছে আজিজ পাইপস লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।
৪২ দিন আগে
রমজান উপলক্ষে জীবনের সর্বস্তরে সংযমের বার্তা প্রধান উপদেষ্টার
পবিত্র রমজান উপলক্ষে জীবনের সর্বস্তরে সংযমের বার্তা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা পবিত্র রমজান উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যয় দেওয়া এক বাণীতে এ বার্তা দেন।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে বাণীতে তিনি বলেছেন, সিয়াম সাধনা ও সংযমের মাস মাহে রমজান আজ আমাদের মাঝে সমাগত। পবিত্র এ মাসে আত্মসংযমের মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে; সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি, নৈকট্য লাভ ও ক্ষমা লাভের অপূর্ব সুযোগ হয়। সিয়াম ধনী-গরিব সবার মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করে।
আসুন, পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগবিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছৃঙ্খলতা ও সংঘাত পরিহার করি এবং জীবনের সর্বস্তরে পরিমিতিবোধ, ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করি। সিয়াম পালনের পাশাপাশি বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করি এবং ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকি।
তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের জাতীয় জীবনে পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষা কার্যকর করার তাওফিক দান করুন। মাহে রমজান আমাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল শান্তি। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে ক্ষমা ও হেফাজত করুন, আমিন।
৪৩ দিন আগে
চাঁদ দেখা গেছে, কাল থেকে রোজা শুরু
আগামীকাল রবিবার থেকে পবিত্র রমজান শুরু হচ্ছে। শনিবার (১ মার্চ) ছয়টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত এসেছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। রবিবার (২ মার্চ) থেকে পবিত্র রমজান মাস গণনা শুরু। ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
৪৩ দিন আগে