মারডোক চিলড্রেন’স রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এমসিআরআই) নেতৃত্বে পরিচালিত এক গবেষণায় বলা হয়, করোনার লক্ষণজনিত সংক্রমিত বাবা-মায়ের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের পরেও মেলবোর্নের একটি পরিবারের প্রাথমিক স্কুল পড়ুয়া-বয়সের তিনটি শিশুর মধ্যে মৃদু বা কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি এবং বার বার কোভিড-১৯ পরীক্ষার পরও তাদের পিসিআর ফলাফল নেগেটিভ আসে। খবর: সিনহুয়া।
পরিবারের ওপর একাধিক প্রতিরোধমূলক তদন্তে এবং বিস্তারিত সেরোলজি পরীক্ষার পর, গবেষকরা ওই পরিবারের সকল সদস্যের লালাতে সার্স-কোভ-২ এর নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডির সন্ধান পান।
এদিকে, ওই তিন শিশুর মধ্যেই একটি সক্রিয় সেলুলার ইমিউন প্রতিক্রিয়া ছিল, যা একটি ভাইরাল সংক্রমণের সক্রিয়করণের পরামর্শ দেয়।
এ গবেষণাপত্রটি নেচার কমিউনিকেশনস-এ প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ৫ কোটি ৬১ লাখ ছাড়াল: জেএইচইউ
বুধবার এমসিআরআইয়’র যৌথ প্রথম লেখক মেলানিয়া নীল্যান্ড সিনহুয়াকে বলেন, ‘আমি মনে করি বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি শিশুদের ইমিউন প্রতিক্রিয়ার প্রথম বিশদ বিবরণ যারা তাদের পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে ভাইরাসের সংস্পর্শে আসলেও কোভিড-১৯ পরীক্ষায় তাদের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘ফলাফলগুলো ওই শিশুরা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিল বলেই পরামর্শ দেয়। তবে তাদের শরীরে দ্রুত এবং কার্যকর একটি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে যা ভাইরাসটির প্রতিরূপকরণকে এমনভাবে থামিয়ে দিয়েছে যে ডায়াগনস্টিক পরীক্ষায়ও এটি শনাক্ত করা যায়নি।’
তিনি জানান, গবেষণায় প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের মধ্যে ইমিউনোলজিকাল পার্থক্যও প্রকাশ পেয়েছে, যা সংক্রমণ এবং রোগের তীব্রতার মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা করতে পারে।
ভবিষ্যতে, গবেষক দলটি শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য এবং তাদের শরীরে কোনো ভ্যাকসিনের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া জানতে কয়েকশ শিশুকে জড় করে একটি বিস্তৃত গবেষণা করার পরিকল্পনা করেছে।