জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী- বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৬১ লাখ ৭৮ হাজার ১৪৯ জনে।
এছাড়া কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬০০ জনে দাঁড়িয়েছে।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী- এদিন সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৬১ লাখ ১২ হাজার ২৬৭ ব্যক্তি।
গত বছর চীনের উহানে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। পরে চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
এদিকে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ১ কোটি ১৫ লাখ ২৫ হাজার ১৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ২ লাখ ৫০ হাজার ৪৮৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ৮৯ লাখ ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৫৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫৫ জনের।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ২১ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৭৫ জনে।
এছাড়া, নতুন করে ২ হাজার ১১১ জনের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৭৯৫ জনে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১১৭ ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৯৮টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৬ হাজার ৪৬৯টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২৫ লাখ ৮৯ হাজার ৪২১টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
নতুন যে ২১ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৪ এবং নারী সাতজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৮২৭ জন বা ৭৬ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ৪৪৮ জন বা ২৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৮৯৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমকি ৮৬ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।