কোভিড-১৯
ভিড়যুক্ত শপিংমল ও গণপরিবহনে করোনা সংক্রমণ: সাবধানতায় করণীয়
জাতিসংঘের হিউম্যানিটারিয়ান ইনফরমেশন সার্ভিস রিলিফওয়েব অনুসারে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পুরো ঢাকা জুড়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা ছিলো ৩২টি। এদের মধ্যে কারোরই মৃত্যু হয়নি। বরং পূর্বের ও জানুয়ারির এই রেকর্ড থেকে মোট আরোগ্য লাভের সংখ্যা দাড়িয়েছিলো ৭২-এ। মোটা দাগে সংক্রমণের এই অনুপাত নিম্নগামী, তবে এখনও তা একদম শূন্যের কোঠায় চলে যাইনি। সুতরাং করোনাকালীন সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলো এখনও বজায় রাখা জরুরি। বিশেষ করে শপিংমল ও গণপরিবহনের মতো ভিড়যুক্ত স্থানগুলোতে সাবধানতা অবলম্বন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ এবং তা প্রতিরোধে করণীয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
করোনা সংক্রমণের লক্ষণ
কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ২ থেকে ১৪ দিন পরে দৃশ্যমান হতে শুরু করে উপসর্গগুলো। প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণগুলো নিতান্তই হাল্কা ভাবে দেখা দেয়। অবশ্য কারও কারও ক্ষেত্রে শুরুতেই গুরুতর আকার ধারণ করে।
কোভিডের নতুন ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলোতে বেশ পরিবর্তন দেখা যায়। মূলত টিকা দেওয়ার অবস্থার উপর নির্ভর করে এই পরিবর্তন হয়।
আরো পড়ুন: নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি কী, কেন খাবেন
অধিকাংশ কেসগুলোতে যে লক্ষণগুলো দেখা দেয়, সেগুলো হলো-
জ্বর বা ঠান্ডা লাগা, কফ, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যাথা, সর্দি, স্বাদ বা গন্ধের অনুভূতি কমে আসা, প্রচন্ড ক্লান্তি, পেশী বা শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, এবং ডায়রিয়া।
ভিড়যুক্ত শপিংমলে ও গণপরিবহনে করোনা থেকে বাঁচতে করণীয়
.
মান সম্পন্ন মাস্ক পরিধান করা
করোনা ভাইরাস প্রবেশের জন্য মানবদেহের প্রধান অঙ্গগুলো হলো মুখ ও নাক। তাই মাস্ক পরিধানের মতো পুরনো সুরক্ষামূলক ব্যবস্থার কোনও বিকল্প নেই। শপিংমলে কেনাকাটার সময় বিভিন্ন ধরণের মানুষের সাথে কথা বলতে হয়, নানা ধরণের কাপড়-চোপড় ধরে দেখতে হয়। এমনকি এ যাবতীয় কার্যক্রম চলে অত্যন্ত ভিড়ের মধ্যে থেকে।
এছাড়া দেশের জনসাধারণের সবচেয়ে বড় অংশটিই যাতায়াতের জন্য গণপরিবহনের উপর নির্ভর করেন। ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করায় এই যানবাহনগুলোতে অনিয়ন্ত্রিত ভিড় একদমি নতুন নয়। শিশু থেকে শুরু করে নারী ও বৃদ্ধ সকলেই এই ভিড়ের মধ্যেই কাটিয়ে দিচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা।
আরো পড়ুন: তীব্র গরমে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে উপকারী শাকসবজি
এই অপরিষ্কার জায়গাগুলোতে যে কোনও জীবাণু থেকে নিরাপদে থাকতে ভালো মানের মাস্ক পরা জরুরি। মুখ এবং নাক সম্পূর্ণভাবে ঢেকে রাখে এমন সার্জিক্যাল মাস্ক ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর। একাধিকবার ব্যবহারযোগ্য মাস্ক ব্যবহার করলে তা নিয়মিত ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। একই সাথে মাস্ক পরে থাকার সময় এটি বারবার স্পর্শ না করা এবং প্রয়োজন ছাড়া মুখ থেকে সরানো উচিত নয়।
হাত নিয়মিত স্যানিটাইজ করা
করোনাকালীন সময়গুলোতে হাত ধোয়াটা রীতিমত অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিলো। এই অভ্যাসটিই আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে, গণপরিবহনে ওঠা-নামার পর, এবং শপিংমলে প্রবেশের পর হাত ধুয়ে নেওয়া উচিত। বাসায় সাবান-পানি ও ৬০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করা জরুরি। আর বাইরে সার্বক্ষণিক একটি পকেট স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখতে হবে। বড়দের পাশাপাশি বাচ্চা ও বয়স্কদের পরিচ্ছন্নতার দিকেও নজর রাখা জরুরি। ঘরে ঢোকার পর, স্কুলে ও অন্যত্রে চলতে ফিরতে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে তাদেরকে সাহায্য করতে হবে।
অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে চলা
সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর জন্য ভিড় এড়ানো অত্যাবশ্যক। ঈদের মতো বিভিন্ন উপলক্ষগুলোতে নামকড়া দোকানগুলোতে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে। একই দৃশ্য পরিলক্ষিত হয় কাজে যেতে বা কাজ শেষে বাড়ি ফেরার জন্য যানবাহনে ওঠার সময়।
স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা ভেবে এই প্রবণতা থেকে সর্বদা দূরে থাকা উচিত। কেনাকাটার ক্ষেত্রে কখনোই অতিরিক্ত ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়া যাবে না। যাতায়াতের জন্য একটু আগে ঘর থেকে বেরতে হবে।
আরো পড়ুন: নিরাপদে স্ট্রিট ফুড খাওয়ার ১০টি উপায়
বয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে পারতপক্ষে বেশি ভিড়যুক্ত পরিবহন এড়িয়ে চলা উত্তম। অপেক্ষা করে তুলনামূলক ফাঁকা যানবাহনে উঠা যেতে পারে। বাসা ও কাজের জায়গা খুব বেশি দূরে না হলে পায়ে হেটে যাওয়া-আসা করা উপযুক্ত।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা
করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়েভের সময়ের মতো প্রতিটি ভবনেই সামাজিক দূরত্ব বজায়কে পুনঃবাস্তবায়ন করা দরকার। শপিংমলে কেনাকাটার বা গণপরিবহনের লাইনে সবক্ষেত্রে প্রত্যেকের মধ্যে কমপক্ষে ৩ ফুট (১ মিটার) দূরত্ব রাখা বাঞ্ছনীয়। এটি সম্ভব না হলে নিদেনপক্ষে গায়ে গা লেগে যায় এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে হবে।
বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুদের অবস্থানের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা উচিত। বড় বড় শপিংমলগুলোতে লিফ্টের পরিবর্তে উপরে উঠার জন্য সিঁড়ি বেছে নিতে হবে।
গণপরিবহনে দরজার কাছে জটলা করা যাবে না। দুই সারি সিটের মাঝের চলাচলের জায়গাটিতে এক স্থানে ভিড় না করে নির্দিষ্ট দূরত্বে দাড়ানো উচিত।
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়ির রান্নায় সিলিন্ডার গ্যাসের খরচ কমাবেন যেভাবে
ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা
রাস্তাঘাটে ও বিভিন্ন ভবনে চলাফেরার সময় সর্বাধিক ব্যবহৃত উন্মুক্ত পৃষ্ঠগুলো ভাইরাস ছড়ানোর জন্য উপযুক্ত। যেমন- প্রবেশ দরজার হাতল, চলন্ত সিঁড়ির রেলিং, লিফ্টের বোতাম, গণপরিবহনে সিলিং-এর হাতল ইত্যাদি। এগুলো ব্যবহারের জন্য সাথে সার্বক্ষণিক টিস্যু রাখা যেতে পারে।
শিশুরা যেন এরকম কিছু না ধরে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বয়স্করা গ্লাভ্স বা টিস্যু ব্যবহার করতে পারেন। যে জায়গাগুলোতে ঘন ঘন এরকম পৃষ্ঠের সংস্পর্শে যেতে হয়, সেখানে উৎকৃষ্ট হচ্ছে পকেট স্যানিটাইজার। এছাড়া কোনও কোনও ক্ষেত্রে (যেমন দরজা) অনেকে কনুই বা কাঁধ ব্যবহার করে থাকেন।
লেনদেনে ডিজিটাল মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা
নগদ টাকা লেনদেনে হাতের স্পর্শ থাকে বিধায় এখানে ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। নগদবিহীন বা ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতিগুলো এক্ষেত্রে সেরা ও নিরাপদ বিকল্প। এখন ছোট থেকে বড় প্রায় সব ধরণের দোকানগুলো মোবাইল ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট বা কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে লেনদেনের ব্যবস্থা রাখে।
যাতায়াতের ক্ষেত্রে এ ধরণের লেনদেনের জন্য রাইড শেয়ার পরিষেবাগুলোই একমাত্র অবলম্বন। কেননা দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থায় এখনও এই সুবিধা সংযুক্ত করা হয়নি।
আরো পড়ুন: পবিত্র রমজান ২০২৫-এ ইফতারের জন্য ঢাকার সেরা ১০টি রেস্টুরেন্ট
পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল আছে এমন জায়গা বেছে নেওয়া
অতিরিক্ত লোকসমাগমের জায়গাটি যদি বদ্ধ হয় তাহলে তা এমনিতেই অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। এমন পরিবেশ শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর। তাই গণপরিবহন বা শপিংমল যেখানেই থাকা হোক না কেন, যতটা সম্ভব উন্মুক্ত বায়ুপ্রবাহের দিকে সরে যাওয়া উচিত।
শপিংমলে লিফ্টে লোকসংখ্যা বেশি হয়ে গেলে বের হয়ে এসে সিঁড়ি ব্যবহার করা উত্তম। গণপরিবহনের ক্ষেত্রে জানালার দিকের সিটে বসে জানালা খুলে দেওয়া যায়।
বয়স্ক ও শিশুদের জন্য পৃথক জায়গার ব্যবস্থা রাখার ক্ষেত্রে ঠিক এমন স্থানের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বদ্ধ, গরম, ও বাতাসবিহীন স্থানে তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যথাসম্ভব ঘরের বাইরে বের হওয়ার বিকল্প পন্থা অবলম্বন করা
করোনা পরবর্তী সময়ে ব্যাপকভাবে বিকাশ লাভ করেছে অনলাইন যোগাযোগ এবং রিমোট জব। এতে অধিকাংশ প্রয়োজনীয় কাজগুলো ঘরে থেকেই করে ফেলা সম্ভব হয়। তাছাড়া কেনাকাটা ও বিনোদন সবকিছুই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সাথে। এই জীবনধারা যে কোনও সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুগান্তকারি এক প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
আরো পড়ুন: রেস্তোরাঁ-শপিং মলে প্রবেশের আগে যে বিষয়গুলোতে সাবধান থাকা জরুরি
তাই প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজের জন্য বাইরে না বেরিয়ে আগে ভাবা উচিত যে তা ঘরে থেকেই করা সম্ভব কিনা। গুরুত্বপূর্ণ মিটিং-এর জন্য মোবাইল থেকে শুরু করে ভিডিও কলিং-এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়। এগুলো এখন আর আগের মতো দুষ্প্রাপ্য নয়।
এই প্রবণতা যে শুধু ভয়াবহ সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে তা নয়। সময় বাঁচিয়ে কাজের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্যও এটি যথেষ্ট উপযোগী।
পরিবহন ব্যবহারে অগ্রিম বুকিংকে অগ্রাধিকার দেওয়া
গণপরিবহনের জন্য দীর্ঘ লাইনে ভিড়ের মধ্যে দাড়িয়ে থাকা বিপুল সময় নষ্ট করে। একই সাথে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার জন্যও তৈরি করে সহায়ক পরিবেশ। চলন্ত বাসের সাথে দৌড়াতে দৌড়াতে লাফিয়ে পাদানি উঠে পড়া এখন হরহামেশাই দেখা যায়। কোনও রকম সামাজিক দূরত্বের কথা না ভেবে প্রতিদিনি এমন ভয়াবহ ঝুঁকি নিয়ে চলেছেন হাজার হাজার যাত্রী।
কিন্তু সময় ও অর্থ সবকিছুর চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। তাই যে কোনও মূল্যেই এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে অগ্রিম যানবাহন বুক করা দরকার। দূর পাল্লার যানবাহনগুলোতে অগ্রিম সিট বুকিং বিষয়টি স্বাভাবিক। কিন্তু শহরের ভেতরের যাতায়াতের ক্ষেত্রে এমন সুযোগ শুধু রাইড শেয়ারিং সেবাগুলোতেই রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধির দিক দিয়ে ভাবলে এই সেবাগুলো সব দিক থেকে নিরাপদ।
আরো পড়ুন: তরুণদের মধ্যে স্ট্রোকের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে: জানুন কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
ব্যক্তিগত ব্যবহারের উপকরণগুলো সর্বদা সঙ্গে রাখা
ফুটপাত, শপিংমল, ও যানবাহনে খাবার খাওয়ার জন্য শুধুমাত্র নিজস্ব জিনিসপত্রের উপর নির্ভর করা উচিত। দোকান বা হোটেলে যে গ্লাস, প্লেট, চামচ, ছুরি দেওয়া হয় তা এড়িয়ে চলাই ভালো। পানি পানের জন্য ব্যক্তিগত বোতল বা ফ্লাস্ক অনেকেই সঙ্গে রাখেন। এর পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবহার্য ছোট-খাট সামগ্রীও বাসা থেকে ভালভাবে ধুয়ে ব্যাগে ভরে নিতে হবে। সেই সাথে ঘরের বাইরে সর্বত্রে নিজের খাবার ও এই ব্যবহার্য জিনিসপত্র অন্যদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের জন্য এটি অতীব জরুরি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় তারা যে কোনও সংক্রমণের সহজ শিকারে পরিণত হয়।
শেষাংশ
ভিড়যুক্ত শপিংমল ও গণপরিবহনে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে উপরোক্ত সাবধানতাগুলোর কোনও বিকল্প নেই। করোনাকালীন সময়গুলোর মতো মাস্ক পরিধান, হাত নিয়মিত স্যানিটাইজ, পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের স্থানে থাকা, এবং যথাসম্ভব ঘরে থাকাটা এখনও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ভিড় এড়িয়ে চলা, অযাচিত স্পর্শকাতর স্থানগুলো এড়িয়ে চলা, এবং ডিজিটাল লেনদেন হতে পারে সামাজিক দূরত্ব বজায়ের অনুকূল পদক্ষেপ। এগুলোর সাথে কার্যকরি সংযোজন হতে পারে অগ্রিম পরিবহন বুকিং এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিসপত্র সর্বদা সাথে রাখা। সর্বসাকূল্যে, এই করণীয়গুলোর মাঝে নিহিত রয়েছে একটি সুরক্ষিত জীবনধারণে অভ্যস্ত হওয়ার রূপরেখা।
আরো পড়ুন: মরণঘাতী ড্রাগ ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ থেকে বাঁচতে করণীয়
২৩ দিন আগে
২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ১
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এ সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৫৬২ জনে। এছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৯ জনের।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন একজন। এ নিয়ে সেরে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ২০ লাখ ১৯ হাজার ২৬০ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় ১ জনের করোনা শনাক্ত
৯১ দিন আগে
দীর্ঘমেয়াদি কোভিড-১৯ রোগে ভুগছেন বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মানুষ: গবেষণা
বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
সম্প্রতি ন্যাচার মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা ও কাজে ফিরতে অক্ষম রোগীদের মতো বিষয়গুলোর আনুমানিক অর্থনৈতিক ব্যয় প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বা বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় ১ শতাংশ।
বিশ্বে কোভিড-১৯ রোগের আগমনের চার বছর পর বিশ্বজুড়ে এর প্রভাব নিয়ে সারসংক্ষেপ জানানোর একটি প্রচেষ্টা এই গবেষণা।
সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল এপিডেমিওলজিস্ট এবং ভিএ সেন্ট লুইস হেলথ কেয়ার সিস্টেমের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান জিয়াদ আল-আলি বলেন, এর লক্ষ্য ‘নীতি ও গবেষণার অগ্রাধিকারের জন্য একটি রোড ম্যাপ সরবরাহ করা’।
আল-আলি আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় দীর্ঘমেয়াদি কোভিড -১৯ গবেষক ও পেশেন্ট লেড রিসার্চ কোলাবোরেটিভের তিন নেতার সঙ্গে গবেষণাপত্রটি লিখেছেন, দীর্ঘ কোভিড -১৯ রোগীদের দ্বারা গঠিত একটি সংস্থা যারা পেশাদার গবেষকও।
অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে যে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক এখনও দীর্ঘ কোভিড-১৯ এ ভুগছেন। অনেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেননি এবং এর চিকিৎসাও অন্যতম চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।
২৪৯ দিন আগে
বাংলাদেশকে ১৭৫০০ করোনা শনাক্তকারী কিট দিয়েছে জাপান
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) কাছে কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিট হস্তান্তর করেছেন।
জাপান সরকার ও এশিয়া-ইউরোপ ফাউন্ডেশনের (এএসইএফ) অর্থায়নে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইএফআরসি) পরিচালিত স্টকপাইল প্রকল্পের অধীনে এই টেস্টিং কিটগুলো সরবরাহ করা হয়।
জাপান সরকার, বাংলাদেশ সরকার, বিডিআরসিএস এবং আইএফআরসিকে কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য নতুন বিস্তার হওয়া সংক্রামক রোগের (ইআইডি) প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাস্তবায়নের জন্য ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় জটিল চিকিৎসা ব্যবস্থা ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতিতে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু নেই
‘কোভিড-১৯ এবং নতুন করে হওয়া অন্যান্য সংক্রমণ রোগের প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মঙ্গলবার মোট ১৭ হাজার ৫০০টি টেস্টিং কিট হস্তান্তর করা হয় যেগুলো অন্তত ১৭ হাজার ৫০০ বাংলাদেশির কাছে পৌঁছানো হবে।
জাপান সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা।
তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটির নাম কোভিড-১৯-এর সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু এবং কলেরার মতো অন্যান্য রোগের ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সহায়তা করবে। প্রয়োজনীয় কিট সরবরাহের মাধ্যমে দেশটিতে রোগগুলোর মাত্রা হ্রাস করা হবে।
এর আগে সোমবার ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিডিআরসিএসের মহাসচিব কাজী শফিকুল আজম, আইএফআরসির প্রতিনিধিদলের প্রধান আলবার্তো বোকানেগ্রা, ডিজিএইচএসের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাসহ ডিজিএইচএসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ওষুধ ও ভ্যাকসিন উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে ইইউ'র প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পারে বাংলাদেশ: ইআইবি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী
জাপান ২০২১ সালের জুলাই থেকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে এবং প্রায় সাড়ে ৪ মিলিয়ন ডোজ দান করেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সমর্থন করার জন্য ২০২০ সাল থেকে ৭৫ বিলিয়ন জাপানি মুদ্রা দিয়ে কোভিড-১৯ ক্রাইসিস রেসপন্স ইমার্জেন্সি সাপোর্ট লোনও চালু করে।
এছাড়া জাপান জানিয়েছে, মানব নিরাপত্তার জন্য হুমকি কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে ‘কারো স্বাস্থ্যকে পিছিয়ে না রাখার’ নীতির ভিত্তিতে সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ (ইউএইচসি) অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: উপহার হিসেবে চীন থেকে ভ্যাকসিনের ৬ষ্ঠ চালান পেয়েছে বাংলাদেশ
৪০১ দিন আগে
কোভিড-১৯ ও অন্যান্য সংক্রামক রোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি জোরদার প্রকল্পে মনোনীত বাংলাদেশ
কোভিড-১৯ ও অন্যান্য সংক্রামক রোগের প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ‘স্টকপাইল’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ১০ মিলিয়ন ডলারের ২ বছর মেয়াদি সহযোগিতামূলক প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশকে মনোনীত করা হয়েছে।
এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন এজেন্সি (পিআইএ) হিসেবে এশিয়া-ইউরোপ ফাউন্ডেশন (এএসইএফ) এবং ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিজকে (আইএফআরসি) মনোনীত করা হয়েছে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান এবং ফিলিপাইনকেও প্রকল্পের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
এই ৫টি দেশ বাছাই করার ক্ষেত্রে, আইএফআরসি প্রাকৃতিক বিপত্তির কারণে সৃষ্ট দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যার প্রভাবসমূহ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আরও খারাপ হয়েছে। এর ফলে কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক গ্রুপের মনোনীত প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গকে স্বাগত জানিয়েছে
জাপান সরকার এই ১০ মিলিয়ন ডলার এশিয়া-ইউরোপ মিটিং (এএসইএম) দেশগুলোতে কোভিড-১৯ সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের জন্য ‘স্টকপাইল’ প্রকল্পে প্রদান করছে।
এই তহবিলটি ব্যবহার করে, আইএফআরসি এবং ন্যাশনাল সোসাইটিসমূহ একটি কাঠামোবদ্ধ কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে ‘স্টকপাইল’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ান রেড ক্রিসেন্ট ন্যাশনাল হেডকোয়ার্টারে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সইয়ের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ আইএমও অ্যাসেম্বলির সহ-সভাপতি নির্বাচিত
এএসইএফ এবং আইএফআরসি’র চুক্তি সইয়ের সময় মালয়েশিয়ান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারপার্সন, দাতো' সেরি ডি রাজা তান শ্রী টুঙ্কু পুতেরি ইন্তান সাফিনাজ বিন্তি আলমারহুম সুলতান আব্দুল হালিম মু'আদজাম শাহ, টুঙ্কু তেমেনগং কেদাহ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত মালয়েশিয়ায় জাপানের রাষ্ট্রদূত তাকাহাশি কাতসুহিকো; এএসইএফয়ের নির্বাহী পরিচালক, রাষ্ট্রদূত তোরু মরিকাও এবং আঞ্চলিক পরিচালক আইএফআরসি, আলেকজান্ডার ম্যাথিউ বক্তৃতা করেন।
চুক্তি সইয়ের সময় অন্যান্যের মধ্যে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর এবং কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) প্রনব কুমার ভট্টাচায্য উপস্থিত ছিলেন।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সইয়ের বিষয়ে তার গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্র, চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং জনগণের স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তির সুযোগ বিকাশে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’
আরও পড়ুন: কমন ফান্ড ফর কমোডিটিজের এমডি নির্বাচিত হওয়ায় রাষ্ট্রদূত বেলালকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
৫০৫ দিন আগে
কোভিড-১৯ এর মতো আরেকটি মহামারি প্রতিরোধে বিশ্বকে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে: জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ এর মতো ভবিষ্যত মহামারি মোকাবিলায় উত্তম চর্চা বাড়িয়ে ও অতীতের ভুলগুলো এড়িয়ে সম্মিলিত শিক্ষা গ্রহণের জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে মহামারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া (পিপিপিআর) বিষয়ক এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বলেন, ‘সমতা ও সংহতি অবশ্যই আমাদের প্রচেষ্টার প্রাণভোমরা তৈরি করবে।’
এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য তিনি ৫টি অগ্রাধিকারের কথা উল্লেখ করেছেন, যেগুলো হলো:
প্রথম- উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য রেয়াতযোগ্য আন্তর্জাতিক অর্থায়ন;
দ্বিতীয়- মহামারি নজরদারি, প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে মোকাবিলার জন্য সম্পদ ও দক্ষতা একত্রিত করা;
তৃতীয়- সকলের জন্য ভ্যাকসিনসহ মানসম্পন্ন, সাশ্রয়ী ও কার্যকর মহামারি পণ্যগুলোর ন্যায়সঙ্গত ও অবাধ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা;
চতুর্থ- প্রযুক্তির প্রাপ্যতা ও বাস্তব জ্ঞানের মাধ্যমে মহামারি পণ্যগুলোর উৎপাদন বৈচিত্রকরণ;
পঞ্চম- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে প্রাপ্যতা ও সুবিধা ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাঠামো তৈরি করা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জাতিসংঘ স্বীকৃত কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের জন্য সম্মাননা পেলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে আমরা একটি মহামারি চুক্তি ও আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধিমালার (২০০৫) সংশোধনী থেকে ন্যায্য এবং সুনির্দিষ্ট ফলাফল দেখার আশা করি। বাংলাদেশ উভয় প্রক্রিয়ার সঙ্গে গঠনমূলকভাবে জড়িত থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের সকলের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে হাজির হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সারা বিশ্বে অনেককে হারিয়েছি। আমরা বুঝতে পেরেছি, মানুষের হস্তক্ষেপের জন্য প্রকৃতির নিজস্ব সীমা রয়েছে। আমরা বিশ্ব সংহতির অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতাও পেয়েছি। আমরা স্বীকার করেছি, সবাই নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউই নিরাপদ নই।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কোভিড-১৯ এর প্রভাবের বাইরে ছিল না।
তিনি বলেন, ‘তবুও, আমরা কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে একটি বৈশ্বিক সূচকে ৫ম স্থানে রয়েছি। শুরু থেকেই আমাদের জীবন বাঁচানো ও জীবিকা রক্ষার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় একটি জাতীয় প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
প্রথম দিকে ডব্লিউএইচও’র সহায়তায় একটি জাতীয় প্রস্তুতি ও পরিস্থিতি মোকাবিলা পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা গরিবদের জন্য বিনামূল্যে ওষুধ ও পিপিই (ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম) সরবরাহ নিশ্চিত করি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি করি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জাতিসংঘ স্বীকৃত কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের জন্য সম্মাননা পেলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, শূন্য থেকে ৮৮৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়। প্রায় সমস্ত হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১১ হাজার ডাক্তার ও ১৩ হাজার মেডিকেল সাপোর্ট স্টাফ নিয়োগ করা হয়। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশে সীমিত রাখাসহ আমাদের ফ্রন্টলাইন কর্মীরা বিস্ময়করভাবে কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পরিচালনার জন্য একটি ডেডিকেটেড ডিজিটাল অ্যাপ চালু করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কমপক্ষে দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে ৯৩ শতাংশ ভ্যাকসিন কভার করেছি। আমি মহামারি ভ্যাকসিনগুলোকে বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের একটি প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ৪ কোটিরও বেশি নিম্ন আয়ের মানুষকে সরাসরি খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। বাংলাদেশ অন্যান্য বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর পাশাপাশি বিদেশে অবস্থানরত অভিবাসী কর্মীদের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাইডেনের নৈশভোজে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
৫৭৪ দিন আগে
বিশ্বে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৬৯০ মিলিয়ন ছাড়াল
বিশ্বজুড়ে কোভিড -১৯ আক্রান্তের মোট সংখ্যা এখন ৬৯০ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে।
সর্বশেষ বিশ্বব্যাপী তথ্য অনুসারে, মোট কোভিড -১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯ কোটি ৪ লাখ ৮১ হাজার ২০২ জন। আর আজ সকাল পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৬৮ লাখ ৯২ হাজার ৫৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন ১০ কোটি ৭২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৮৭ জন। আর ভাইরাসটিতে মারা গেছেন ১১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩৪ জন, যা আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার গণনায় বিশ্বে সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: বিশ্ব করোনা: মৃত্যু ৬৪ লাখ ২০ হাজারের কাছাকাছি
এদিকে ভারতে নতুন করে করোনাভাইরাসে ১০৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪ কোটি ৪৯ লাখে পৌঁছেছে। এতে মোট আক্রান্তর সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৯৮৩ জন বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তথ্যানুযায়ী দেশটিতে মহামারি এই রোগটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৩১ হাজার ৮৯৩ জনে।
ফ্রান্স এবং জার্মানিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ১ লাখ ২৪ হাজার ৬১৯ জন এবং ৩ কোটি ৮৪ লাখ ২৮ হাজার ৬৮৫ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে, যা বিশ্বে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যানুপাতে তৃতীয় এবং চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটার অনুসারে ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৪৮ জন এবং জার্মানিতে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩৫২ জন মারা গেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব করোনা: আক্রান্ত বেড়ে ৬২ কোটি ৫৫ লাখ ছাড়াল
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি
রবিবার সকাল পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে কোভিড -১৯ আক্রান্ত হয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু এবং ২৩০ জন নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস) অনুসারে, নতুন এ সংখ্যা যোগ হয়ে দেশের মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৫৭ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪১ হাজার ৪৭০ জনে দাঁড়িয়েছে।
দৈনিক কোভিড-১৯ শনাক্তের হার শনিবার ৫ দশমিক ৪১ থেকে বেড়ে ৭ দশমিক ৭৫ হয়েছে। এসময় ২ হাজার ৯৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিশ্ব করোনা: আক্রান্ত ৬২ কোটি ৬০ লাখ ছাড়াল
৬৬৮ দিন আগে
জলজ খাদ্য, সম্পদ ও সম্প্রদায়ের কোভিড-১৯ এর প্রভাব নিরূপণে শাবিপ্রবির গবেষণা বিশ্বে মডেল
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গবেষণায় বাংলাদেশে জলজ খাদ্য ব্যবস্থা, জলজ সম্পদ ও সম্প্রদায়ের কোভিড-১৯ এর প্রভাব নিরূপণ বিষয়টি উঠে এসেছে। গবেষণাটি শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বব্যাপী একটি মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে যা যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ‘মেরিন পলিসি’ জার্নালে প্রকাশিত হয়। প্রকাশনার মাত্র এক বছরেরও কম সময়ে গবেষণাটি ১০০ এর অধিক গবেষণা প্রবন্ধে উদ্বৃত (সাইট) করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান ও ড. মো. আশরাফুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে পিএইচডি গবেষক আতিকুর রহমান সানী গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালনা করেন।
গবেষণাপত্র সূত্রে জানা যায়, কোভিড-১৯ একটি বড় বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট, যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে মারাত্মক খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। যদিও বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য প্রভাবকে বিভিন্ন সেক্টরে কিভাবে সমাধান করা যায় তা আলোচনা করেছে, তবে এখানে জলজ সম্পদ ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যা এবং খাদ্য সংকট অনুপস্থিত ছিল।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
এ রকম এক বাস্তবতাকে মাথায় রেখে, এই গবেষণায় জলজ খাদ্য খাত এবং নির্ভরশীল জনসংখ্যার সঙ্গে ছোট আকারের মৎস্য চাষের ওপর এর প্রভাবকে সংযুক্ত করে বিদ্যমান পরিস্থিতি এবং কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জগুলো নিরূপণ করে তা সমাধানের ব্যবধান পূরণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
পিএইচডি গবেষক আতিকুর রহমান সানী জানান, কোভিড-১৯ ওভারভিউ; একইসঙ্গে জলজ ইকোসিস্টেম, ক্ষুদ্র আকারের মৎস্য চাষ, জলজ খাদ্য উৎপাদন, চাহিদা ও সরবরাহের সঙ্গে এর সংযোগ বিশ্লেষণ করে গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়।
তিনি জানান, কোভিড-১৯ এর প্রভাব কিভাবে অনুভূত হয়েছিল এবং কিভাবে তারা জলজ খাদ্য ব্যবস্থা এবং ছোট আকারের মৎস্য চাষকে প্রভাবিত করেছে সে বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জলজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল সম্প্রদায়গুলোর মতামতের ভিত্তিতে বিভিন্ন বিধ্বংসী প্রভাবের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে গবেষণাটিতে।
তিনি জানান, আকস্মিক অসুস্থতা, আয় কমে যাওয়া, উৎপাদন ও ইনপুট সংগ্রহ শুরু করতে জটিলতা, শ্রম সংকট, পরিবহন বিমূর্ততা, খাদ্য সরবরাহে জটিলতা, দুর্বল মূল্য শৃঙ্খল, নিম্ন ভোক্তা চাহিদা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পাওনাদারের চাপকে প্রাথমিকভাবে প্রভাবিতকারী চালক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে অধ্যাপক ড. শামসুল হক প্রধান বলেন, জলজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিরা মনে করেন যে সরকারের গৃহীত ব্যবস্থাগুলো স্বাস্থ্য এবং খাদ্য নিরাপত্তা উভয় সুরক্ষার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। বিকল্প আয় সৃষ্টির সুযোগ, রেশনিং ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ ও প্রেরণামূলক কর্মসূচি পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারে। তাই, গবেষণাটিতে জলজ খাদ্য খাত এবং ছোট আকারের মৎস্য চাষের ওপর মহামারির প্রভাব প্রশমিত করার জন্য নীতি নির্ধারকদের দ্বারা গৃহীত নীতিগুলোরও অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
শাবিপ্রবির প্রথম নারী কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন
৬৮১ দিন আগে
কোভিড-১৯ সময়ের আবাসিক হোটেলে চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের খরচ বাবদ ৭.৮৫ কোটি টাকা পেলেন মালিকরা
অবশেষে আড়াই বছর পর কোভিড-১৯ চলাকালীন সময়ের আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক ও নার্সদের থাকা, খাওয়া ও পরিবহন ভাড়াসহ মোট বকেয়া বিলের মধ্যে ৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকার চেক পেয়েছে হোটেল মালিকরা।
বাকি টাকার চেক আগামী এক সাপ্তাহের মধ্যে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক।
আরও পড়ুন: শ্রমিক-মালিক ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত রচনা করতে হবে: স্পিকার
মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে হোটেল মালিকদের কাছে তাদের পাওনা টাকার চেক তুলে দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক।
তিনি বলেন, তাদের মোট বকেয়া ছিল ১১ কোটি ৯৪ লাখ ৭১ হাজার ২ টাকা। এর মধ্যে আজ ৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে।
টাকা পেয়ে হোটেল মালিকরা স্পংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিপিং এবং এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে: বিবি
৬৮৮ দিন আগে
আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণের ওপর কোভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বেবিচক
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ(বেবিচক) অবিলম্বে কার্যকর আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণের জন্য কোভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
বেবিচক’র একটি সার্কুলার অনুসারে, বাংলাদেশের বাইরে থেকে আগত যাত্রীদের একটি অনলাইন স্বাস্থ্য ঘোষণা ফর্ম (এইচডিএফ) পূরণ করতে হবে না এবং আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট বা একটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্ড/প্রশংসাপত্র প্রদান করতে হবে না।
আরও পড়ুন: দেশের ৩ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিসিআর পরীক্ষা হবে
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণকারী যাত্রীদের গন্তব্য দেশগুলোর নির্ধারিত শর্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এছাড়াও, মাস্ক পরা সম্পর্কিত বিধিনিষেধ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার সম্পর্কিত অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলোও শিথিল করার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
তবে, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থান/জোনে (যেমন হাসপাতাল, ক্লিনিক ইত্যাদি) কর্মরত ভ্রমণকারীরা এবং কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসহ অত্যন্ত সংবেদনশীল ভ্রমণকারীদের সতর্কতা হিসাবে মাস্ক পরতে হবে।
এটি আরও বলেছে, হজ যাত্রীদের অবশ্যই সৌদি আরবের নির্ধারিত শর্তগুলো মেনে চলতে হবে এবং মার্স ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে উট থেকে নিজেদের দূরে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে মঙ্গলবার থেকে আরটি-পিসিআর টেস্ট শুরু
৬৯১ দিন আগে