বিজিএমইএ-এর সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য ফ্যাশন শিল্পের পরিবর্তনশীল প্রবণতার সঙ্গে ব্যবসায়িক কৌশলের সমন্বয় সাধন করা এবং সেই অনুযায়ী সক্ষমতা তৈরি করা অপরিহার্য।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ওয়ার্ল্ডএক্স ইন্ডিয়া আয়োজিত ইনটেক্স দক্ষিণ এশিয়ার নবম সংস্করণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফারুক হাসান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী পোশাক শিল্প দ্রুত ও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর বেশিরভাগই নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে এবং ব্যবসার জন্য নতুন ব্যবসায়িক পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প টেকসই ও প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য ব্যবসার পুনর্বিন্যাস, পণ্যে বৈচিত্র্যকরণ এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করছে।
আরও পড়ুন: ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের প্রচারের আহ্বান বিজিএমইএ’র
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববাজারে নন-কটন পণ্যের আধিপত্য থাকায় এবং আগামী দিনেও তা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা থাকায় বাংলাদেশ হাতে তৈরি ফাইবারের পণ্যের ওপর জোর দিচ্ছে।
ম্যানুফ্যাকচারিং ল্যান্ডস্কেপ থ্রিসি অর্থাৎ খরচ, প্রতিযোগীতা ও নৈকট্য দ্বারা প্রভাবিত হবে। কারণ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হবে উৎপাদন ও সরবরাহ শৃঙ্খলের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের চাবিকাঠি।
ফারুক দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের মধ্যে জ্ঞান, দক্ষতা ও প্রযুক্তি বিনিময়ের ওপর জোর দিয়ে বলেন, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য সাহায্য ও সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ওয়ার্ল্ডএক্স ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজেশ ভগত ও ওয়ার্ল্ডএক্স ইন্ডিয়ার পরিচালক আরতি ভগত।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির