বিজিএমইএ
বিজিএমইএর প্রশাসক হলেন আনোয়ার হোসেন
বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ এর ১৭ ধারা মোতাবেক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনকে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক অসন্তোষে পোশাক শিল্পে ক্ষতি ৪০০ মিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
রবিবার (২০ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক বাণিজ্য সংগঠন) মো. আবদুর রহিম খানের সই করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে নিয়োগ দেওয়া প্রশাসক ১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে মন্ত্রণালয়কে জানাবেন।
আরও পড়ুন: ৩৯ পোশাক কারখানার জন্য সহজ শর্তে ৫৪ কোটি টাকা ঋণ চায় বিজিএমইএ
২ মাস আগে
৩৯ পোশাক কারখানার জন্য সহজ শর্তে ৫৪ কোটি টাকা ঋণ চায় বিজিএমইএ
আর্থিক সংকটে পড়া ৩৯টি পোশাক কারখানার সহায়তায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সহজ শর্তে ৫৪ কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বেশ কিছু কারখানা আগে সুষ্ঠুভাবে চললেও সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের কারণে পূর্ণ উৎপাদন ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বিজিএমইএর গভীর দুঃখ প্রকাশ; পরিবারকে ক্ষতিপূরণ
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এসব কারখানাকে প্রয়োজনীয় ঋণ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়ে গত ৬ অক্টোবর অর্থ উপদেষ্টা বরাবর চিঠি পাঠায় বিজিএমইএ। ওই চিঠিতে এসব উদ্বেগের কথা জানানো হয়।
এই ৩৯টি কারখানায় কর্মরত প্রায় ৫৬ হাজার শ্রমিকের বেতন সময়মতো পরিশোধে ৫৪ কোটি টাকা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে বিজিএমইএ। এ শিল্পে আরও সম্ভাব্য সংকট এড়াতে এবং হাজার হাজার শ্রমিকের জীবিকা রক্ষায় আর্থিক সহায়তার প্রয়োজনের উপর জোর দিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: বিজিএমইএ'র প্রচেষ্টার পরও আশুলিয়ায় ৪০টি পোশাক কারখানা বন্ধ
২ মাস আগে
আশুলিয়ায় শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বিজিএমইএর গভীর দুঃখ প্রকাশ; পরিবারকে ক্ষতিপূরণ
আশুলিয়ায় শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ চলাকালে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে বিজিএমইএ। এছাড়াও পোশাক শিল্প অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেছে তারা।
সোমবার বিজিএমইএ মহাসচিব মো. ফয়জুর রহমান এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প কারখানায় নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চাইল বিজিএমইএ
নিহত কাউসার হোসেন খান আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার ম্যাঙ্গো টেক্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিক।
নিহতের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী তার সব পাওনা শিগগিরই পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।
সোমবার সকালে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জিরাবোতে মণ্ডল গ্রুপের কারখানায় বিক্ষোভ করছিল শ্রমিকরা। এসময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মালিকপক্ষের আলোচনায় বসেন।
এসময় কিছু বহিরাগত ব্যক্তি ২ শ্রমিকের মৃত্যুর মিথ্যা গুজব তুলে কারখানার বাইরে অবস্থান নেয়। এই সংবাদ পেয়ে অন্যান্য কারখানার শ্রমিকরাও সেখানে জড়ো হতে থাকে।
দুই বহিরাগত ব্যক্তি বাইরে থেকে কারখানার ভেতরে গুলি ছুড়লে কারখানা ভবনের কাঁচ ভেঙে যায়, আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিচে নেমে আসলে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। বহিরাগতরা ও শ্রমিকরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুলি ছোড়ে।
এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য ও শ্রমিক গুরুতর আহত হলে স্থানীয় পিএমকে হাসপাতাল ও সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এনাম মেডিকেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাউসার হোসেন খানকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১১ জন সদস্য বর্তমানে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারখানা বন্ধের নির্দেশ বিজিএমইএ’র
২ মাস আগে
সেনাবাহিনীর নিরাপত্তার আশ্বাসে বৃহস্পতিবার খুলছে সব পোশাক কারখানা: বিজিএমইএ
সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাসের পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার সব পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বুধবার(৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পের কাস্টমস ও বন্ড সমস্যা সমাধানে এনবিআরকে বিজিএমইএর আহ্বান
এর আগে বিজিএমইএ কর্মকর্তা, পোশাক কারখানার মালিক, সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রফিকুল ইসলাম জানান, সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ১৭০টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, যদিও কারখানার শ্রমিকরা সরাসরি বাধাদানের সঙ্গে জড়িত ছিল না। তিনি বহিরাগতদের আক্রমণকে শিল্পাঞ্চলে বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী করেছেন।
প্রতিক্রিয়ায়, সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কারখানাগুলোর জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এসব আশ্বাস নিয়ে বিজিএমইএ কারখানাগুলো পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সহজ শর্তে ১৯০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে বিজিএমইএ
পদত্যাগ করলেন কচি, বিজিএমইএর নতুন সভাপতি খন্দকার রফিকুল
৩ মাস আগে
পদত্যাগ করলেন কচি, বিজিএমইএর নতুন সভাপতি খন্দকার রফিকুল
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এস এম মান্নান কচি। দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার কারণে তিনি সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন বিজিএমইএ বোর্ডকে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারখানা বন্ধের নির্দেশ বিজিএমইএ’র
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এসএম মান্নানের (কচি) দত্যাগপত্র গ্রহণ করে বিজিএমইএর সভাপতি করা হয় খন্দকার রফিকুল ইসলামকে। যিনি ২০২৪-২০২৬ মেয়াদে এস এম মান্নানের (কচি) নেতৃত্বাধীন বিজিএমইএ বোর্ডে সিনিয়র সহসভাপতি পদে ছিলেন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সহসভাপতি থেকে সিনিয়র সহসভাপতির দায়িত্ব নিলেন আব্দুল্লাহ হিল রাকিব এবং পরিচালক থেকে সহসভাপতির দায়িত্ব নিলেন আসিফ আশরাফ।
খন্দকার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের সহসভাপতিরা হলেন—
প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, সহসভাপতি আরশাদ জামাল (দীপু), সহসভাপতি (অর্থ) মো. নাসির উদ্দিন, সহসভাপতি মিরান আলী, সহসভাপতি আসিফ আশরাফ ও সহসভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পের কাস্টমস ও বন্ড সমস্যা সমাধানে এনবিআরকে বিজিএমইএর আহ্বান
৩ মাস আগে
পোশাক শিল্পের কাস্টমস ও বন্ড সমস্যা সমাধানে এনবিআরকে বিজিএমইএর আহ্বান
পোশাক শিল্পের কাস্টমস ও বন্ড সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধান করতে এনবিআরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিজিএমইএ।
সোমবার (১৯ আগস্ট) ঢাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কার্যালয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলে ছিলেন- সহসভাপতি আরশাদ জামাল (দীপু), সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক মো. ইমরানুর রহমান, পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, পরিচালক আশিকুর রহমান (তুহিন), পরিচালক রাজীব চৌধুরী, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল, পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম।
এছাড়াও বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমও ছিলেন।
পোশাক শিল্পের উদ্বেগ তুলে ধরতে ও সমস্যাগুলো নিরসনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে কাস্টমস বন্ড সংক্রান্ত যেসব বিষয় নিয়ে পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছে সেসবে করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আলোচনাকালে বিজিএমইএ প্রতিনিধিরা পোশাক শিল্পের সার্বিক কার্যক্রম নিরবিচ্ছিন্নভাবে ও মসৃণভাবে পরিচালনা করার জন্য কাস্টমস সংক্রান্ত পরিষেবাগুলো আরও দ্রুততর ও সহজতর করা, আমদানি করা কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম দ্রুত খালাসসহ ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলো সহজ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিনিধিরা বলেন, পোশাক শিল্পের রপ্তানি-আমদানি কার্যক্রমে কাস্টমস সংক্রান্ত প্রক্রিয়াগুলোর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে এবং এ সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে যেয়ে শিল্পে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায় এবং ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলোতেও অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব হয়।
তারা আরও বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার এ সময়ে বিশ্বব্যাপী পোশাক পণ্যের চাহিদা ও ব্যয় কমা সত্ত্বেও পণ্যের দরপতন হচ্ছে ও বিপরীতে শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে শিল্পের প্রতিযোগিতাপূর্ণ সক্ষমতা ধরে রাখতে কাস্টমস প্রক্রিয়াগুলোকে সহজ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে এনবিআরের চেয়ারম্যানকে অনতিবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান প্রতিনিধিরা।
পোশাক শিল্পে কাস্টমস ও বন্ড সংক্রান্ত বিরাজমান সমস্যাগুলো সমাধানে- বিশেষ করে কাস্টমস সংক্রান্ত পরিষেবাগুলো আরও দ্রুততর ও সহজতর করতে কাস্টমস হাউজ ও বন্ড কমিশনারেটদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনেরও প্রস্তাবনা দেন বিজিএমইএ প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পোশাক শিল্পের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বিজিএমইএ প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করে বলেন, পোশাক শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে পোশাক শিল্পকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, একটি অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য কাস্টমস সংক্রান্ত পরিষেবাগুলো আরও দ্রুততর ও সহজতর করতে এরইমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টি হলে বাণিজ্য বাড়বে, বিনিয়োগ বাড়বে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের সুপারিশগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
৪ মাস আগে
ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প কারখানায় নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চাইল বিজিএমইএ
চলমান পরিস্থিতিতে দেশের শিল্প কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছে এফবিসিসিআই।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) এফবিসিসিআই’র গুলশান কার্যালয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প কারখানার নিরাপত্তা বিষয়ক সমন্বয় সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার (সাভার) মেজর জেনারেল মো. মঈন খান এবং বিভিন্ন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবসায়ী নেতারা।
মাহবুবুল আলম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন করা গেলে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে অর্থনীতি গতিশীলতা ফিরে পাবে। এই লক্ষ্যে সেনাবাহিনী যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তাতে ব্যবসায়ী সমাজ আশান্বিত।
মেজর জেনারেল মো. মঈন খান বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা দিতে না পারলে অর্থনীতি মুখ থুবরে পড়বে। এ জন্য সর্বশক্তি দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের নিরাপত্তা দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কর্তব্য। তাই কোন ব্যবসায়ী কিংবা শিল্প প্রতিষ্ঠান চাঁদাবাজিসহ হামলার হুমকি পেলে সে বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বন্দরের কন্টেইনার জট কমানো ও অন্যান্য অনিয়ম দূরীকরণে সেনাবাহিনী গুরুত্বের সঙ্গেও কাজ করছে বলে জানান তিনি।আরও পড়ুন: আরও দুই পোশাক কারখানা পেল এলইইডি সনদ
শিল্প পুলিশের ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া বলেন, শিল্পের সুরক্ষায় ইতিমধ্যে অধিকাংশ পুলিশ সদস্য কাজে যোগদান করেছে। শিগগিরই বাকি সদস্যরা কাজে যোগদান করবেন। তাছাড়া বেশিরভাগ শিল্প কারখানায় শ্রমিক উপস্থিতি আশাব্যাঞ্জক বলে জানান তিনি।
এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, দেশে সামাজিক অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতা থাকলে বিনিয়োগ হবে না। এ জন্য তিনি সবার আগে সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের আহ্বান জানান এবং ব্যবসায়ীরা তাদের এ কাজে সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, মীর নাসির হোসেন, মো. জসিম উদ্দিন, এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহসভাপতি মো. মুনির হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ঢাকা চেম্বার, মেট্রোপলিটন চেম্বার, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংগঠনের নেতা, ঢাকা শিল্প পুলিশের ডিআইজি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: পোশাকখাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ সম্পন্ন: বিজিএমইএ
৪ মাস আগে
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারখানা বন্ধের নির্দেশ বিজিএমইএ’র
শ্রমিকদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে পোশাক কারখানা বন্ধ রাখতে মালিকদের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ইউএনবিকে বলেন, 'বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় শ্রমিকদের সার্বিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার জন্য মালিকদের অনুরোধ করা হয়েছে।’
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
৪ মাস আগে
পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে একসঙ্গে কাজ করবে বিজিএমইএ ও ক্যাসকেল
পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে একসঙ্গে কাজ করবে বিজিএমইএ ও সাবেক সাসটেইনেবল অ্যাপারেল কোয়ালিশন (ক্যাসকেল)।
পোশাক শিল্পে পরিবেশগত ও সামাজিক সমন্বিত আচরণ বিধি প্রণয়ন ও অডিট করার জন্য প্রটোকলগুলোকে একত্রিত করতে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে ক্যাসকেলের সিইও কলিন ব্রাউন ও বিজিএমইএ নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়।
সোমবার (১৫ জুলাই) উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এ বৈঠক আয়োজিত হয়।
আরও পড়ুন: ইউএসআইটিসির শুনানিতে তৈরি পোশাক শিল্পের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি
বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নানের (কচি) সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক আশিকুর রহমান (তুহিন), পরিচালক শামস মাহমুদ, পরিচালক আবরার হোসেন সায়েম, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল, পরিচালক শেহরিন সালাম ঐশী।
বৈঠকে সোশ্যাল ও টেকনিক্যাল অডিটের জন্য শিল্পে সর্বজনস্বীকৃত একটি সমন্বিত আচরণবিধি (ইউনিফাইড কোড অব কনডাক্ট) প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়।
বিশ্বব্যাপী ক্রেতা, প্রস্তুতকারক এবং শ্রমিকসহ সব স্টেকহোল্ডারের সুবিধার্থে এ ধরনের একটি সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ক্যাসক্যালকে আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
তিনি বলেন, এটি ছাড়া শিল্পকে দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই করা সম্ভব হবে না।
ক্যাসকেলের সিইও বলেন, বিজিএমইএ ও ক্যাসকেল একসঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে সম্মিলিত পদক্ষেপ নিয়ে পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে সাপ্লাই চেইন জুড়ে ইতিবাচক পরিবর্তন এনে অভিন্ন লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, শিল্পের জন্য টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারে।
বৈঠকে শিল্পের আরও বিকাশের জন্য, ডিউ ডিলিজেন্স ডাইরেকটিভের মতো আসন্ন প্রবিধানগুলো অনুসরণ করা এবং কর্মীদের কল্যাণ বাড়াতে কারখানাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, তথ্য শেযার, অনুশীলন ও উদ্ভাবনামূলক সমাধানের বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে ক্যাসকেলের সিইও, সমন্বিত আচরণ বিধি প্রণয়নের বিষয়ে সদস্যদের প্রতি বিজিএমইএর প্রতিশ্রুতি প্রতিষ্ঠিত করতে ক্যাসকেলের সদস্যদের এগিয়ে আসার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান।
কারখানাগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে ক্যাসকেল কারখানা পর্যায়ে আচরণবিধি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিবে বলে জানিয়েছে উভয় পক্ষ।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পের রপ্তানি-আমদানিতে কাস্টমস হাউজের সহযোগিতার আহ্বান বিজিএমইএর
পোশাক শিল্পখাত ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জনে দৃঢ়ভাবে প্রত্যয়ী: বিজিএমইএ সভাপতি
৫ মাস আগে
পোশাকখাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ সম্পন্ন: বিজিএমইএ
শ্রমিকদের কাছে ঈদুল আজহা আনন্দময় করতে বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছে পোশাক শিল্পখাতের উদ্যোক্তারা। ফলে শ্রমিকরা উৎসবমুখর পরিবেশে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে পারবেন।
শনিবার (১৫ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেতন-ভাতা পরিশোধের তথ্যটি নিশ্চিত করেছে বিজিএমইএ।
এতে বলা হয়, পোশাক খাতের মোট ২ হাজার ১৬০টি কারখানার মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৮৩৫টি এবং চট্টগ্রামে ৩২৫টি চালু রয়েছে। এর মধ্যে সব কারখানার মে মাসের বেতন ও ঈদুল আজহার উৎসব ভাতা শতভাগ পরিশোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ২.৮৬ শতাংশে নেমে এসেছে
তবে এখনো মাত্র ৪টি কারখানায় উৎসব ভাতা দেওয়া প্রক্রিয়াধীন। যা শনিবারের মধ্যেই পরিশোধ করবেন।
বিজিএমইএ বলছে, তাদের জানামতে আর কোথাও বেতন-ভাতা পরিশোধ বাকি থাকার কোনো তথ্য নেই।
সরকারের আহ্বানে ও বিজিএমইএ’র অনুরোধে পোশাক কারখানাগুলো ১৩ জুন থেকে ১৫ জুনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব শ্রমিককে ছুটি দিয়েছে।
আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই শ্রমঘন পোশাক শিল্প খাতে বেতন-ভাতা দেওয়ার সুবিধার্থে সরকারি ছুটির দিনে পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট এলাকার তফসিলি ব্যাংকের শাখাসমূহ খোলা রাখতে বিজিএমইএ অনুরোধ জানিয়েছিল।
এছাড়া বিজিএমইএ রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ দেশের রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখতে সরকারি ছুটির দিনে ইপিবি, চট্টগ্রাম বন্দর, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ, আইসিডি কমলাপুর, ঢাকা কাস্টমস, মোংলা কাস্টমস, বেনাপোল কাস্টমস ও পানগাঁও কাস্টমস হাউজ এবং ঢাকা ও চট্রগ্রামের কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট কার্যালয় এবং একইসঙ্গে এসব কাস্টমস হাউজ ও শুল্ক স্টেশন-সংশ্লিষ্ট বন্দর, ব্যাংকের শাখা ও অন্যান্য স্টেকহোলিং প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়।
আরও পড়ুন: আরও দুই পোশাক কারখানা পেল এলইইডি সনদ
৬ মাস আগে