পরিবর্তন
১৫ বছরে চলনবিল অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, গত ১৫ বছরে চলনবিল অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি বলেন, এক সময় চলনবিল অঞ্চলের মানুষের স্লোগান ছিল ‘শুকনায় পাও (পা) আর বর্ষায় নাও (নৌকা)।’ এখন আর সেই চলনবিল নেই।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক ন্যানো ল্যাব স্থাপনের ঘোষণা প্রতিমন্ত্রী পলকের
শনিবার (১৫ জুন) সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের সাতপুকুড়িয়া এলাকায় মুজিব কেল্লার ভিত্তি স্থাপন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
পলক বলেন, চলনবিল অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। তৈরি হয়েছে পাকা সড়ক। গভীর বিল এলাকাতেও তৈরি করা হয়েছে বন্যা উপযোগী কমিউনিটি ক্লিনিক।
তিনি আরও বলেন, মানুষ এখন সহজে ফসল পরিবহণ করতে পারে। গ্রাম থেকে ফসল বিক্রি করতে পারে।
এজন্য তিনি যেকোনো অপশক্তির দ্বারা বিভ্রান্ত না হয়ে, আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা রাখতে বিলাঞ্চলের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯ হাজার ৩০০ বর্গফুট আয়োতনের তিনতলা মুজিব কেল্লাটি নির্মাণ করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
এছাড়া এই কেল্লার মাধ্যমে বন্যাসহ দুর্যোগকালীন চলনবিলের ৮১৫ জন মানুষ ও ১ হাজার ৬০০ গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে বলে জানান জুনাইদ আহমেদ পলক।
এদিকে কেল্লার দুই হাজার বর্গফুট কমিউনিটি স্পেসে বন্যার সময় হাট বাজার বসতে পারবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী পলক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হা-মীম তাবাসসুম প্রভা।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৭ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে টানা ৭ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ব্যাংক ডিপোজিটের ওপর আবগারি শুল্কে পরিবর্তন ও অফশোর ডিপোজিট শুল্কমুক্ত করার প্রস্তাব
ব্যাংক ডিপোজিটের ওপর আবগারি শুল্ক আরোপের বিষয়ে কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে এসব প্রস্তাব করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফায়ার সার্ভিসের নতুন হটলাইন নম্বর ১০২ চালু
তবে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ডিপোজিটের ক্ষেত্রে আবগারি শুল্কের কোনো পরিবর্তন হবে না।
বর্তমানে ১০ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত বিদ্যমান স্তরের আবগারি শুল্ক ৩ হাজার টাকা। ১০ লাখ ১ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থের জন্য ৩ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
এরপর ৫০ লাখ ১ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থের জন্য ৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক আরোপ করা হবে।
বর্তমানে ১ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ডিপোজিটের স্তরগুলোতে ১৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক আদায় করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী ১ কোটি থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থের জন্য ১০ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন। আর ২ কোটি ১ টাকা থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থের জন্য ২০ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
স্তর অনুযায়ী ৫ কোটি টাকার বেশি ডিপোজিটে আবগারি শুল্কের পরিমাণ অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়াও অফশোর ব্যাংকিং আইনের আওতাধীন অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে রাখা আমানতকারী বা বিদেশি ঋণদাতাদের হিসাবে আবগারি শুল্ক তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর বিকল্প নেই: অর্থমন্ত্রী
ব্যাগেজ নিয়মে ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ আর অনুমোদিত নয়
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এ সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো জলবায়ু অর্থায়নের অভাবে রয়েছে। প্রতিবার উন্নত দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ করে না।
আরও পড়ুন: হিমালয়সহ পাহাড়-পর্বত রক্ষায় বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সোমবার (২৮ মে) রাতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত ক্লাইমেট অ্যান্ড হেলথ ফাইন্যান্স ডায়লগের ‘কান্ট্রিড্রাইভেন ক্লাইমেট হেলথ অ্যাকশনস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং নিডস’ শীর্ষক ২ সেশনে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত অর্থায়ন ছাড়া জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা করা বাংলাদেশের জন্য কষ্টসাধ্য। এই অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকার অভিযোজনের জন্য ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে, যার মধ্যে স্বাস্থ্যও অন্তর্ভুক্ত। আমাদের বার্ষিক প্রয়োজন প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার। বাকি অর্থের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রয়োজন।
বিশ্বব্যাপী সংহতির গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আমরা একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারছি না কারণ প্রতিশ্রুতি এবং অঙ্গীকারগুলো সবসময় অপূর্ণ থাকছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনকে আরও খারাপ হতে দিতে পারি না। এজন্য বায়ুতে কার্বন নির্গমন কমাতেই হবে। এছাড়া অভিযোজনের সীমা রয়েছে। যদি আমরা আমাদের নির্গমন নিয়ন্ত্রণ না করি, তবে আমরা আরও গভীর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হব।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, তাপপ্রবাহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করছে। উত্তরে হিন্দুকুশ হিমালয় ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে আমরা গলিত হিমবাহ এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির চাপে রয়েছি।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন স্বাস্থ্য ছাড়াও পানিসম্পদ, পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং নারীর স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলছে। লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ নারীদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করছে, যার মধ্যে রয়েছে কিডনির সমস্যা, শ্বাসকষ্ট ও উচ্চ রক্তচাপ।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করতে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করতে আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বাংলাদেশের কৃষির পরিবর্তনে বৈশ্বিক অংশীদারদের সহযোগিতার অঙ্গীকার
বাংলাদেশের কৃষিখাতকে ঝুঁকিমুক্ত, স্থিতিশীল, লাভজনক এবং প্রান্তিক কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য টেকসই করতে সার্বিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান বৈশ্বিক অংশীদাররা।
ওয়াগেনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ে নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশের কৃষির ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ অঙ্গীকার করা হয়।
বৈশ্বিক কৃষি-প্রযুক্তি সেক্টরগুলো বাংলাদেশে সম্ভাব্য সুযোগগুলো কীভাবে কাজে লাগাতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয় গোলিটেবিল বৈঠকে।
আরও পড়ুন: তরুণ প্রজন্মকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে: সিমিন হোসেন
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ গোলটেবিল আলোচনা সঞ্চালনা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২৩০ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞ এবং গবেষক এ আলোচনায় অংশ নেন।
গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি (জিআইএফএস), কানাডা যৌথ আয়োজক হিসেবে অংশ নেয়।
শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ছয়টি উপস্থাপনা বাংলাদেশের চারটি প্রধান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপর আলোকপাত করে: দ্রুত ফসলের ফলন বৃদ্ধি; স্থিতিশীল সরবরাহ ব্যবস্থা প্রণয়ন, খামার যান্ত্রিকীকরণ বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি।
বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে তাদের অব্যাহত সহায়তা বাড়ানোর ব্যাপারে একমত হয় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাও) এবং বিশ্বব্যাংক।
কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার কৃষির রূপান্তরের বিষয়ে সরকারের চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন।
কানাডার সাস্কাচুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট বালজিত সিং বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা সহায়তা বৃদ্ধি করতে সম্মত হন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, নেদারল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কৃষি খাত অগ্রাধিকার পাবে। বিশেষ করে নেদারল্যান্ডসের কিছু যুগান্তকারী প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও গবেষণা বাংলাদেশে প্রবর্তন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি একজন কৃষক থেকে রাজনীতিবিদ হয়েছি। আমার জীবনের সাত দশক ধরে আমি দেখেছি কীভাবে আমাদের লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা আমাদের বদ্বীপে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন।
আলোচনা শেষে ওয়াগেনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডার সাস্কাচুন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বার্ক) মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা হয়; যার মাধ্যমে বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে পাইলট উদ্যোগসমূহ বাস্তবায়িত হবে।
নেদারল্যান্ডস বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃষি-খাদ্য রপ্তানিকারক। তাদের কৃষি রপ্তানির পরিমাণ ১২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০২২)। এখন পর্যন্ত, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের কৃষি-বাণিজ্য সম্ভাবনার উপর ৭টি মার্কেট স্ক্যান করেছে। বাংলাদেশ দূতাবাসের অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলে এই উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালে, বাংলাদেশ দূতাবাস ওয়াগেনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের কৃষি ভবিষ্যতের সম্ভাবনা, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ক্ষমতায়নের বিষয়ে প্রথমবারের মতো একটি আলোচনার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: হাওরের ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ: কৃষি মন্ত্রণালয়
বাণিজ্য ও কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আলোচনা বাংলাদেশ-গাম্বিয়ার
মেট্রোরেলের সূচিতে পরিবর্তন, ৮ মিনিট অন্তর ছাড়ছে ট্রেন
যাত্রীদের চাহিদার বিবেচনায় মেট্রোরেলের সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী পিক আওয়ারে ৮ মিনিট পরপর ছাড়ছে ট্রেন। এর আগে ট্রেন ছাড়ার মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান ছিল ১০ মিনিট।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নতুন সময়সূচিতে চলাচল করছে মেট্রোরেল।
ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন ছিদ্দিক জানান, মেট্রোরেলে ট্রিপ সংখ্যা ২৬টিতে উন্নীত হওয়ায় প্রতিদিন ১৫২টির পরিবর্তে এখন ১৭৮টি ট্রেন চলাচল করবে।
আরও পড়ুন: এক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মেট্রোরেল চলাচল শুরু
নতুন সময়সূচি সম্পর্কে সিদ্দিক বলেন, এখন থেকে প্রতিদিন উত্তরা থেকে ৭টা ১০ মিনিট থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তিনটা ট্রেন চলবে। এটা স্পেশাল অফপিক। এরপর ৭টা ৩১ মিনিট থেকে ১১টা ৪৮ পর্যন্ত (পিক আওয়ারে) ৮ মিনিট অন্তর ট্রেন চলবে। এরপর ১১টা ৪৯ মিনিট থেকে ৩টা ১১ মিনিট পর্যন্ত (অফপিক আওয়ারে) আগের মতই ১২ মিনিট সময় থাকবে। ৩টা ১২ মিনিট থেকে ৮টা ১১ মিনিট পর্যন্ত (পিক আওয়ারে) ৮ মিনিট পর পর ট্রেন চলবে।
মিরপুর-১১ রেলস্টেশনে মেট্রোরেলের নিয়মিত যাত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, নতুন সময়সূচির কারণে যাত্রীদের চাপ তুলনামূলক কম এবং এটি মানুষের জন্য স্বস্তির।
একই স্টেশনের আরেক যাত্রী হোসেন বলেন, সময়টা আরও কমিয়ে সাড়ে তিন মিনিট হলে সবচেয়ে ভালো হয়।
বর্তমানে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত উত্তরা-মতিঝিল রুটে মেট্রোরেল চলাচল করছে। সকাল ৭টা ১০ মিনিট এবং সকাল ৭টা ২০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া দুইটি মেট্রোতে শুধু এমআরটি এবং র্যাপিড পাস ব্যবহারকারী যাত্রীরা ভ্রমণ করতে পারবেন। রাত ৮টার পর মতিঝিল স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া মেট্রোরেলেও শুধু এমআরটি এবং র্যাপিড পাস ব্যবহারকারী যাত্রীরা ভ্রমণ করতে পারবেন।
বর্তমান মেট্রোরেল প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার যাত্রী পরিবহন করে। আগে প্রতিদিন ট্রেনের সংখ্যা ছিল ১৫২টি, শনিবার থেকে ২৬টি বেড়ে হয়েছে হয়েছে ১৭৮টি।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল এলাকায় ঘুড়ি ওড়ানোর বিরুদ্ধে অভিযানে গ্রেপ্তার ২
শনিবার থেকে ব্যস্ত সময়ে ৮ মিনিট পর পর ছাড়বে মেট্রোরেল
নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, নতুন শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই।
বগুড়া থেকে নির্বাচিত জাসদ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'তবে নতুন পদ্ধতি আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
বুধবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের নতুন শিক্ষাব্যবস্থা মেধাবী জাতি তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও পর্যালোচনার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
তিনি বলেন, নতুন পাঠ্যক্রমের উপর ভিত্তি করে নতুন শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, বিশ্বায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি এবং মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে উত্তরণে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, অতীতে নোটভিত্তিক ও সার্টিফিকেটভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বের হয়ে নতুন মেধাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন যুগের চ্যালেঞ্জ আরও কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা মেধাহীন নয়, নতুন শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা আরও দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠবে।’
ঢাকা-৫ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মশিউর রহমান সজলের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা নেই এমন নয়।
তিনি বলেন, ‘নোট ও সার্টিফিকেটভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা ভাঙতে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যা গতানুগতিক পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে ভিন্ন।’
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, ফলে আগের মতো মুখস্থ নির্ভর পরীক্ষা না হওয়ায় নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেই বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন।
তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে ধারাবাহিক ও সংক্ষিপ্ত মূল্যায়নের সমন্বয়ে একটি আধুনিক কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এখানে লিখিত মূল্যায়ন, সমস্যা সমাধান, ব্যক্তিগত কাজ, দলগত কাজের মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
উপস্থাপনা ও যোগাযোগ দক্ষতা, সহযোগিতা, নেতৃত্ব, অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগ ও পর্যবেক্ষণসহ বিভিন্নভাবে শিক্ষার মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে কেউ অপরাজনীতি করবেন না: শিক্ষামন্ত্রী
বিসিবিতে বড় পরিবর্তন: প্রধান নির্বাচকের পদ হারালেন নান্নু, এলেন লিপু
মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে সরিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিসিবির বছরের প্রথম বোর্ড সভা শেষে এ ঘোষণা দেন ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
নাজমুল বলেন, ‘প্রধান নির্বাচক নিয়োগ নিয়ে আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি। শেষ পর্যন্ত আমরা গাজী আশরাফের ব্যাপারে একমত হয়েছি। আমরা একাধিক প্রার্থী বিবেচনা করলেও গাজী আশরাফ আমাদের সর্বসম্মতিক্রমে পছন্দ।’
আরও পড়ুন: সব ফরম্যাটে বাংলাদেশের অধিনায়ক হলেন শান্ত
বাংলাদেশের সাবেক ওপেনার হানান সরকার বয়সভিত্তিক ক্রিকেট নির্বাচনে নির্বাচক হিসেবে প্যানেলে যোগ দিয়েছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৭ টেস্ট, ২০টি ওয়ানডে ও ৪ হাজারের বেশি রান করেছেন হান্নান। এই প্যানেলের আরেক সদস্য বাংলাদেশের সাবেক স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক।তিনি গত বছরের প্যানেলেও ছিলেন।
গাজী আশরাফের নিয়োগ কিছুটা বিস্ময়কর, কারণ সাম্প্রতিক সময়ে এই পদের জন্য তিনি তেমন আলোচিত ছিলেন না। সাবেক ব্যাটার গাজী আশরাফ ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দলের প্রথম সাতটি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং দেশের ক্রিকেটীয় বৃত্তে অত্যন্ত সম্মানিত তিনি।
আরও পড়ুন: বিপিএল ২০২৪: সাকিবের পারফরম্যান্সে পঞ্চম জয় পেল রংপুর
২০১৬ সালের জুনে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পাওয়া মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশারকে নির্বাচক প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে বিসিবির অন্য পদের জন্য তাদের প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন নাজমুল।
নাজমুল বলেন, ‘মিনহাজুল ও তার প্যানেলের অবদানকে সাধুবাদ জানায় বোর্ড। তারা কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করেছে এবং আমরা তাদের দক্ষতা ধরে রাখতে চাই। আমরা যথাসময়ে তাদের উপযুক্ত পদে নিয়োগ দেব।’
আরও পড়ুন: বিপিএল ২০২৪: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে উড়িয়ে দিল রংপুর রাইডার্স
শৈত্যপ্রবাহে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসের সূচি পরিবর্তন
সারাদেশে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে ক্লাস শুরু হবে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এ নির্দেশনা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
রবিবার উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ সময়সূচির এ পরিবর্তন করা হয়।
আরও পড়ুন: মেঘনা থেকে রজনীগন্ধা ফেরির সহকারী মাস্টার হুমায়ুনের লাশ উদ্ধার
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'দেশের বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কোনো জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে আঞ্চলিক উপপরিচালকরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবে এস আলম গ্রুপ
নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী নিহত, আহত ২
নতুন কারিকুলাম-মূল্যায়নে পরিবর্তন আসতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন কারিকুলাম ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তিনি বলেছেন, নতুন কারিকুলামে বেশকিছু অন্তর্ভুক্তি(ইনপুট) আসছে। এগুলো আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখছি। এখানে যেসব বিষয়গুলো পরিবর্তন করা প্রয়োজন, সেগুলো অবশ্যই আমরা পরিবর্তন করব।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ‘বই উৎসবে’ উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে এডুকেশন রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রীর রাজধানীর বনানীস্থ বাসভবনে ইরাব সভাপতি শরীফুল আলম সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসাইনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নতুন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ইরাব নেতারা। মন্ত্রী ইরাবের সদস্যদের সঙ্গে নতুন কারিকুলামসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মূল্যায়ন পদ্ধতির চ্যালেঞ্জের কথা যদি বলেন সেখানে বলব, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বেশকিছু ইনপুট আসছে। এগুলো আমরা দেখছি। এখানে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া নতুন শিক্ষাক্রমে আরও বেশকিছু পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে এখন যে একেবারে শতভাগ স্থায়ী তা কিন্তু নয়। আমরা এর আগেও বলেছি, আমাদের সে কারেকশনগুলো আসবে সেগুলো আমরা সমাধান করব।
আরও পড়ুন: জাবিতে প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদনের তারিখ ঘোষণা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্ব পেয়েই তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নজর দিতে চান নওফেল। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আমাকে নতুন সরকারের নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন। পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করব। আমরা কর্মসংস্থানের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি। স্মার্ট বাংলাদেশে, স্মার্ট জেনারেশনের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থান সংশ্লিষ্ট যত দক্ষতা আছে, সেগুলো আমরা আমাদের কারিকুলামে নিয়ে আসতে চাই। এতে করে আমাদের শিক্ষার্থীরা কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে নিজেদের শিক্ষা বিষয়ে পরিকল্পনা সাজাতে পারবে। মূলত কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রয়েছে, আমরা নিজেরাও পুরো শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে চাই।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬টি বোমা উদ্ধার
‘ভেক্টর বাহিত রোগ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী’
ডেঙ্গুসহ ভেক্টর বাহিত রোগ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে প্রথমে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক আয়োজিত ‘এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের নেতৃত্বে জলবায়ু ও স্বাস্থ্য উদ্যোগ চালু’ শিরোনামে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান সরকারের উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন।
স্বাস্থ্যদিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। ডেঙ্গুরোগসহ অন্যান্য ভেক্টর বাহিত রোগ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনই দায়ী।
তিনি আরও বলেন, এই জলবায়ু পরিবর্তন ও এর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তারে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো দায় এড়াতে পারে না। এ কারণে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতি কমিয়ে নিতে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোকে সহযোগিতার হাত আরও প্রসারিত করতে হবে, পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে সহোযোগিতা বাড়াতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ভেক্টর বাহিত রোগব্যাধিও বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে এডিস মশা বেড়ে বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়া অন্যতম।
মন্ত্রী তার বক্তব্যে এ প্রসঙ্গে নানাবিধ তথ্যউপাত্ত তুলে ধরেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কিছু রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। যার ফলে আমাদের এই সমস্ত রোগসমূহ ম্যানেজ করতে অনেক বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে। হাসপাতালের বিছানা ডেঙ্গু রোগীদের দিয়ে ভর্তি থাকছে। যার ফলে একদিকে যেমন ব্যয় বাড়ছে অন্যদিকে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকায় অন্য রোগীরা স্বাভাবিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিকর দিক সমূহ তুলে ধরে সভায় বিশ্বব্যাপী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা বৃদ্ধির কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের উদ্যোগ ও সহায়তায় বাংলাদেশে জলবায়ুবান্ধব ভ্যাক্সিন প্ল্যান্ট স্থাপিত হতে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এসময় এডিবি প্রতিনিধিদের বিশেষ ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে কার্যকরী পদক্ষেপসহ কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ‘ওয়াকিং দ্য টক উইথ দ্য ক্লাইমেট অ্যান্ড হেলথ অ্যাকশন’ শীর্ষক আরেকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখানে মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যসেবায় কী ধরনের ক্ষতি হয় এবং কীভাবে এর সঠিক ব্যবস্থাপনা করা যায়, তা তুলে ধরেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী পুষ্টি ও জনসংখ্যা উন্নয়ন প্রোগ্রামে (পঞ্চম সেক্টর প্ল্যান) নামে আরেকটি বৈঠকে অংশ নিয়ে জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি সব উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে স্মার্ট ও জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এরপর বিকালে স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ‘ক্লাইমেট হেলথ মিনিস্টেরিয়াল’ শীর্ষক আরেকটি প্রোগ্রামে অংশ নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।
এই সভায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সভায় উন্নত দেশগুলোকে বাংলাদেশ তথা যেসব দেশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের কমিটমেন্ট অনুযায়ী সহযোগিতা করার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ২০২৩ (কপ ২৮) একদিনের জন্য একটি বিশেষ হেলথ ডে (স্বাস্থ্য দিবস) উদযাপন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বৈঠক ও আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ অন্যরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, এই সভায় প্রথমবারের মতো ‘হেলথ মিনিস্টেরিয়াল ডিক্লারেশন’ গৃহীত হয়। বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে এই ঘোষণাকে জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এই সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক তিনটি সুপারিশ করেন —
১. জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানানসই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
২. স্বাস্থ্যখাতে জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ খুঁজে বের করে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে।
৩. আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব এবং সহযোগিতার উপর জোর দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট বক্তা হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমও অংশ নেন।
সচিব তার বক্তব্যে বাংলাদেশের জলবায়ু ও স্বাস্থ্যবিষয়ক পলিসি এবং সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।
পরে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট নানাবিধ চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় সবার করণীয় কী কী তাও তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন এবং সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: এডিস মশা থাকলে ডেঙ্গু রোগীও থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হেলথ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত দিনের প্রতিটি অনুষ্ঠানেই উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলোর ভুয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যখাতে আরও সহযোগিতা ও বিনিয়োগের আশ্বাস দেন।
দুবাই এর কপ ২৮ এর বিশেষ স্বাস্থ্য দিবসে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. মামুনুর রশিদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. রিয়াজুল হক ছিলেন।