পরিবর্তন
মেট্রোরেলের সূচিতে পরিবর্তন, ৮ মিনিট অন্তর ছাড়ছে ট্রেন
যাত্রীদের চাহিদার বিবেচনায় মেট্রোরেলের সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী পিক আওয়ারে ৮ মিনিট পরপর ছাড়ছে ট্রেন। এর আগে ট্রেন ছাড়ার মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান ছিল ১০ মিনিট।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নতুন সময়সূচিতে চলাচল করছে মেট্রোরেল।
ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন ছিদ্দিক জানান, মেট্রোরেলে ট্রিপ সংখ্যা ২৬টিতে উন্নীত হওয়ায় প্রতিদিন ১৫২টির পরিবর্তে এখন ১৭৮টি ট্রেন চলাচল করবে।
আরও পড়ুন: এক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মেট্রোরেল চলাচল শুরু
নতুন সময়সূচি সম্পর্কে সিদ্দিক বলেন, এখন থেকে প্রতিদিন উত্তরা থেকে ৭টা ১০ মিনিট থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তিনটা ট্রেন চলবে। এটা স্পেশাল অফপিক। এরপর ৭টা ৩১ মিনিট থেকে ১১টা ৪৮ পর্যন্ত (পিক আওয়ারে) ৮ মিনিট অন্তর ট্রেন চলবে। এরপর ১১টা ৪৯ মিনিট থেকে ৩টা ১১ মিনিট পর্যন্ত (অফপিক আওয়ারে) আগের মতই ১২ মিনিট সময় থাকবে। ৩টা ১২ মিনিট থেকে ৮টা ১১ মিনিট পর্যন্ত (পিক আওয়ারে) ৮ মিনিট পর পর ট্রেন চলবে।
মিরপুর-১১ রেলস্টেশনে মেট্রোরেলের নিয়মিত যাত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, নতুন সময়সূচির কারণে যাত্রীদের চাপ তুলনামূলক কম এবং এটি মানুষের জন্য স্বস্তির।
একই স্টেশনের আরেক যাত্রী হোসেন বলেন, সময়টা আরও কমিয়ে সাড়ে তিন মিনিট হলে সবচেয়ে ভালো হয়।
বর্তমানে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত উত্তরা-মতিঝিল রুটে মেট্রোরেল চলাচল করছে। সকাল ৭টা ১০ মিনিট এবং সকাল ৭টা ২০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া দুইটি মেট্রোতে শুধু এমআরটি এবং র্যাপিড পাস ব্যবহারকারী যাত্রীরা ভ্রমণ করতে পারবেন। রাত ৮টার পর মতিঝিল স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া মেট্রোরেলেও শুধু এমআরটি এবং র্যাপিড পাস ব্যবহারকারী যাত্রীরা ভ্রমণ করতে পারবেন।
বর্তমান মেট্রোরেল প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার যাত্রী পরিবহন করে। আগে প্রতিদিন ট্রেনের সংখ্যা ছিল ১৫২টি, শনিবার থেকে ২৬টি বেড়ে হয়েছে হয়েছে ১৭৮টি।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল এলাকায় ঘুড়ি ওড়ানোর বিরুদ্ধে অভিযানে গ্রেপ্তার ২
শনিবার থেকে ব্যস্ত সময়ে ৮ মিনিট পর পর ছাড়বে মেট্রোরেল
নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, নতুন শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই।
বগুড়া থেকে নির্বাচিত জাসদ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'তবে নতুন পদ্ধতি আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
বুধবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের নতুন শিক্ষাব্যবস্থা মেধাবী জাতি তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও পর্যালোচনার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
তিনি বলেন, নতুন পাঠ্যক্রমের উপর ভিত্তি করে নতুন শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, বিশ্বায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি এবং মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে উত্তরণে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, অতীতে নোটভিত্তিক ও সার্টিফিকেটভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বের হয়ে নতুন মেধাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন যুগের চ্যালেঞ্জ আরও কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা মেধাহীন নয়, নতুন শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা আরও দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠবে।’
ঢাকা-৫ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মশিউর রহমান সজলের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা নেই এমন নয়।
তিনি বলেন, ‘নোট ও সার্টিফিকেটভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা ভাঙতে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যা গতানুগতিক পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে ভিন্ন।’
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, ফলে আগের মতো মুখস্থ নির্ভর পরীক্ষা না হওয়ায় নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেই বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন।
তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে ধারাবাহিক ও সংক্ষিপ্ত মূল্যায়নের সমন্বয়ে একটি আধুনিক কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এখানে লিখিত মূল্যায়ন, সমস্যা সমাধান, ব্যক্তিগত কাজ, দলগত কাজের মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
উপস্থাপনা ও যোগাযোগ দক্ষতা, সহযোগিতা, নেতৃত্ব, অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগ ও পর্যবেক্ষণসহ বিভিন্নভাবে শিক্ষার মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে কেউ অপরাজনীতি করবেন না: শিক্ষামন্ত্রী
বিসিবিতে বড় পরিবর্তন: প্রধান নির্বাচকের পদ হারালেন নান্নু, এলেন লিপু
মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে সরিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিসিবির বছরের প্রথম বোর্ড সভা শেষে এ ঘোষণা দেন ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
নাজমুল বলেন, ‘প্রধান নির্বাচক নিয়োগ নিয়ে আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি। শেষ পর্যন্ত আমরা গাজী আশরাফের ব্যাপারে একমত হয়েছি। আমরা একাধিক প্রার্থী বিবেচনা করলেও গাজী আশরাফ আমাদের সর্বসম্মতিক্রমে পছন্দ।’
আরও পড়ুন: সব ফরম্যাটে বাংলাদেশের অধিনায়ক হলেন শান্ত
বাংলাদেশের সাবেক ওপেনার হানান সরকার বয়সভিত্তিক ক্রিকেট নির্বাচনে নির্বাচক হিসেবে প্যানেলে যোগ দিয়েছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৭ টেস্ট, ২০টি ওয়ানডে ও ৪ হাজারের বেশি রান করেছেন হান্নান। এই প্যানেলের আরেক সদস্য বাংলাদেশের সাবেক স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক।তিনি গত বছরের প্যানেলেও ছিলেন।
গাজী আশরাফের নিয়োগ কিছুটা বিস্ময়কর, কারণ সাম্প্রতিক সময়ে এই পদের জন্য তিনি তেমন আলোচিত ছিলেন না। সাবেক ব্যাটার গাজী আশরাফ ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দলের প্রথম সাতটি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং দেশের ক্রিকেটীয় বৃত্তে অত্যন্ত সম্মানিত তিনি।
আরও পড়ুন: বিপিএল ২০২৪: সাকিবের পারফরম্যান্সে পঞ্চম জয় পেল রংপুর
২০১৬ সালের জুনে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পাওয়া মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশারকে নির্বাচক প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে বিসিবির অন্য পদের জন্য তাদের প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন নাজমুল।
নাজমুল বলেন, ‘মিনহাজুল ও তার প্যানেলের অবদানকে সাধুবাদ জানায় বোর্ড। তারা কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করেছে এবং আমরা তাদের দক্ষতা ধরে রাখতে চাই। আমরা যথাসময়ে তাদের উপযুক্ত পদে নিয়োগ দেব।’
আরও পড়ুন: বিপিএল ২০২৪: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে উড়িয়ে দিল রংপুর রাইডার্স
শৈত্যপ্রবাহে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসের সূচি পরিবর্তন
সারাদেশে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে ক্লাস শুরু হবে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এ নির্দেশনা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
রবিবার উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ সময়সূচির এ পরিবর্তন করা হয়।
আরও পড়ুন: মেঘনা থেকে রজনীগন্ধা ফেরির সহকারী মাস্টার হুমায়ুনের লাশ উদ্ধার
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'দেশের বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কোনো জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে আঞ্চলিক উপপরিচালকরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবে এস আলম গ্রুপ
নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী নিহত, আহত ২
নতুন কারিকুলাম-মূল্যায়নে পরিবর্তন আসতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন কারিকুলাম ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তিনি বলেছেন, নতুন কারিকুলামে বেশকিছু অন্তর্ভুক্তি(ইনপুট) আসছে। এগুলো আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখছি। এখানে যেসব বিষয়গুলো পরিবর্তন করা প্রয়োজন, সেগুলো অবশ্যই আমরা পরিবর্তন করব।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ‘বই উৎসবে’ উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে এডুকেশন রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রীর রাজধানীর বনানীস্থ বাসভবনে ইরাব সভাপতি শরীফুল আলম সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসাইনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নতুন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ইরাব নেতারা। মন্ত্রী ইরাবের সদস্যদের সঙ্গে নতুন কারিকুলামসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মূল্যায়ন পদ্ধতির চ্যালেঞ্জের কথা যদি বলেন সেখানে বলব, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বেশকিছু ইনপুট আসছে। এগুলো আমরা দেখছি। এখানে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া নতুন শিক্ষাক্রমে আরও বেশকিছু পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে এখন যে একেবারে শতভাগ স্থায়ী তা কিন্তু নয়। আমরা এর আগেও বলেছি, আমাদের সে কারেকশনগুলো আসবে সেগুলো আমরা সমাধান করব।
আরও পড়ুন: জাবিতে প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদনের তারিখ ঘোষণা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্ব পেয়েই তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নজর দিতে চান নওফেল। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আমাকে নতুন সরকারের নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন। পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করব। আমরা কর্মসংস্থানের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি। স্মার্ট বাংলাদেশে, স্মার্ট জেনারেশনের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থান সংশ্লিষ্ট যত দক্ষতা আছে, সেগুলো আমরা আমাদের কারিকুলামে নিয়ে আসতে চাই। এতে করে আমাদের শিক্ষার্থীরা কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে নিজেদের শিক্ষা বিষয়ে পরিকল্পনা সাজাতে পারবে। মূলত কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রয়েছে, আমরা নিজেরাও পুরো শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে চাই।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬টি বোমা উদ্ধার
‘ভেক্টর বাহিত রোগ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী’
ডেঙ্গুসহ ভেক্টর বাহিত রোগ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে প্রথমে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক আয়োজিত ‘এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের নেতৃত্বে জলবায়ু ও স্বাস্থ্য উদ্যোগ চালু’ শিরোনামে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান সরকারের উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন।
স্বাস্থ্যদিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। ডেঙ্গুরোগসহ অন্যান্য ভেক্টর বাহিত রোগ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনই দায়ী।
তিনি আরও বলেন, এই জলবায়ু পরিবর্তন ও এর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তারে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো দায় এড়াতে পারে না। এ কারণে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতি কমিয়ে নিতে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোকে সহযোগিতার হাত আরও প্রসারিত করতে হবে, পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে সহোযোগিতা বাড়াতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ভেক্টর বাহিত রোগব্যাধিও বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে এডিস মশা বেড়ে বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়া অন্যতম।
মন্ত্রী তার বক্তব্যে এ প্রসঙ্গে নানাবিধ তথ্যউপাত্ত তুলে ধরেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কিছু রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। যার ফলে আমাদের এই সমস্ত রোগসমূহ ম্যানেজ করতে অনেক বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে। হাসপাতালের বিছানা ডেঙ্গু রোগীদের দিয়ে ভর্তি থাকছে। যার ফলে একদিকে যেমন ব্যয় বাড়ছে অন্যদিকে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকায় অন্য রোগীরা স্বাভাবিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিকর দিক সমূহ তুলে ধরে সভায় বিশ্বব্যাপী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা বৃদ্ধির কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের উদ্যোগ ও সহায়তায় বাংলাদেশে জলবায়ুবান্ধব ভ্যাক্সিন প্ল্যান্ট স্থাপিত হতে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এসময় এডিবি প্রতিনিধিদের বিশেষ ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে কার্যকরী পদক্ষেপসহ কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ‘ওয়াকিং দ্য টক উইথ দ্য ক্লাইমেট অ্যান্ড হেলথ অ্যাকশন’ শীর্ষক আরেকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখানে মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যসেবায় কী ধরনের ক্ষতি হয় এবং কীভাবে এর সঠিক ব্যবস্থাপনা করা যায়, তা তুলে ধরেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী পুষ্টি ও জনসংখ্যা উন্নয়ন প্রোগ্রামে (পঞ্চম সেক্টর প্ল্যান) নামে আরেকটি বৈঠকে অংশ নিয়ে জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি সব উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে স্মার্ট ও জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এরপর বিকালে স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ‘ক্লাইমেট হেলথ মিনিস্টেরিয়াল’ শীর্ষক আরেকটি প্রোগ্রামে অংশ নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।
এই সভায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সভায় উন্নত দেশগুলোকে বাংলাদেশ তথা যেসব দেশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের কমিটমেন্ট অনুযায়ী সহযোগিতা করার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ২০২৩ (কপ ২৮) একদিনের জন্য একটি বিশেষ হেলথ ডে (স্বাস্থ্য দিবস) উদযাপন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বৈঠক ও আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ অন্যরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, এই সভায় প্রথমবারের মতো ‘হেলথ মিনিস্টেরিয়াল ডিক্লারেশন’ গৃহীত হয়। বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে এই ঘোষণাকে জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এই সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক তিনটি সুপারিশ করেন —
১. জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানানসই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
২. স্বাস্থ্যখাতে জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ খুঁজে বের করে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে।
৩. আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব এবং সহযোগিতার উপর জোর দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট বক্তা হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমও অংশ নেন।
সচিব তার বক্তব্যে বাংলাদেশের জলবায়ু ও স্বাস্থ্যবিষয়ক পলিসি এবং সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।
পরে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট নানাবিধ চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় সবার করণীয় কী কী তাও তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন এবং সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: এডিস মশা থাকলে ডেঙ্গু রোগীও থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হেলথ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত দিনের প্রতিটি অনুষ্ঠানেই উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলোর ভুয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যখাতে আরও সহযোগিতা ও বিনিয়োগের আশ্বাস দেন।
দুবাই এর কপ ২৮ এর বিশেষ স্বাস্থ্য দিবসে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. মামুনুর রশিদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. রিয়াজুল হক ছিলেন।
ভোটের মধ্যে দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার দল সবসময় ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের পক্ষে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই জনগণের ভোটাধিকার অব্যাহত থাকুক। আর ভোটের মধ্যে দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে।’
শনিবার রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন বানচালের জন্য যারা অগ্নিসংযোগ করেছে, তাদের প্রতিহত করতে হবে দেশের মানুষকে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।’
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
যেসব রাজনৈতিক দল ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘যেসব রাজনৈতিক দলের জনগণের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস নেই এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে সুসংগঠিত নয়, তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, নির্বাচন বানচাল একটি দেশের জন্য ব্যাপক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘২০১৩ এবং ২০১৪ সালে আমরা অগ্নিসন্ত্রাস প্রত্যক্ষ করেছি, যার ফলে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
শেখ হাসিনা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে যারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে তাদের সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে এবং এর ফলে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য তিনি জনগণের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জনগণকে নির্যাতন করে আনন্দ পায়।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা সংশ্লিষ্টদের জন্য কোনো ভালো ফল বয়ে আনবে না।
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রাখে, তাহলে এর ফলাফল তাদের কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। নির্বাচনে তাদের কাঙ্খিত প্রার্থীকে ভোট দেওয়া ও নির্বাচন করা জনগণের অধিকার।’
আরও পড়ুন: আজ আ. লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের জনগণ তাদের শাস্তি দেবে, উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাব যে, বেশ সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জন করা গণতান্ত্রিক মূল্যকে কেউ যেন থামাতে না পারে।’
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, যারা মনোনয়ন ফরম নিচ্ছেন তারা সবাই যোগ্য, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের কাজ হচ্ছে আগামী নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই করা। প্রার্থী বাছাইয়ের আগে আমরা তৃণমূল পর্যায় থেকেও মতামত নেব।’
এর আগে তিনি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রির বুথ পরিদর্শন করেন।
সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়ন ফরম বিক্রির জন্য ৮টি বিভাগের জন্য ১০টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা শনিবার (১৮ নভেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রশাসনিক বিভাগ অনুযায়ী নির্দিষ্ট বুথ থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। এদিকে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলা থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: অনলাইনে পাওয়া যাবে আ. লীগের মনোনয়ন ফরম
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে পরিপূর্ণ ডেটাবেইস প্রস্তুতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশ সচিব
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ বলেছেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ২০১৫ অনুযায়ী বাংলাদেশের জ্বালানি, কৃষি, বন, শিল্প প্রভৃতি সেক্টরের জন্য জাতীয় পর্যায়ে নিয়মিত ভিত্তিতে একটি পরিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও যাচাইযোগ্য ডেটাবেইস প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে আরও টেকসই এবং উক্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জাতীয় প্রতিবেদন আকারে নির্ভুলভাবে ইউএনএফসিসি-তে দাখিল করার লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হলো।
আরও পড়ুন: ব্লক ইট ব্যবসায়ীদের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রেখেছে সরকার: পরিবেশ সচিব
সোমবার (৮ অক্টোবর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘স্ট্রেংদেনিং ক্যাপাসিটি ফর এনভায়রনমেন্টাল এমিশন আন্ডার দ্য প্যারিস এগ্রিমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে পরিবেশ সচিব এসব কথা বলেন।
পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ বলেন, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং প্রশমন সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের কাজ আরও সহজ, ব্যয় সাশ্রয়ী ও যাচাইযোগ্য করার লক্ষে এই প্রকল্পের অধীনে ইতোমধ্যে একটি ওয়েবভিত্তিক বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ এমআরভি সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে যেখানে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা সরাসরি তাদের তথ্য-উপাত্ত ইনপুট দিতে পারবেন এবং প্রদান করা তথ্য-উপাত্তের আলোকে তৈরি বিশ্লেষণসমূহ পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ক্ষতি নয়, বরং পরিবেশ রক্ষা করে সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে: ড. হোসেন জিল্লুর রহমান
হাতির আক্রমণে মানুষের মৃত্যু রোধে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: পরিবেশ ও বনমন্ত্রী
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই।
সোমবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: খালেদাকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে যেহেতু আইনি জটিলতা রয়েছে, তাই সেই পত্র আমি আইন মন্ত্রণালয় পাঠিয়ে দিয়েছিলাম তাদের মতামতের জন্য।
তিনি আরও বলেন, যে মতামতটা আসছে সেই মতামত বোধহয় তাদের (খালেদা জিয়ার পরিবার) পক্ষে আসেনি। এটা দেওয়া সম্ভব নয় বলে আইন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের জানিয়েছে।
তিনি বলেন, এখন আমাদের আর কিছু করণীয় নেই বলে আমি মনে করছি।
সিদ্ধান্ত কি খালেদা জিয়ার পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ওনারা যদি জানতে চান আমরা অবশ্যই জানিয়ে দেব। তবে এরই মধ্যে উনি জেনে গেছেন।
তিনি বলেন, তাদের কোনো কিছু জানার থাকলে, কথা বলতে পারেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত যেটা সেটা পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই।
আরও পড়ুন: ভিসা নীতি আমেরিকার নিজস্ব ব্যাপার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য আদালতের অনুমতি লাগবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকারের দুঃশাসনে বিরক্ত জনগণ পরিবর্তন চায়: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের জনগণ অন্তর থেকে সরকারের পরিবর্তন চায় কারণ তারা দুঃশাসনে হতাশ হয়ে পড়েছে।
সোমবার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি চলমান এক দফা আন্দোলন জোরদার করে বর্তমান সরকারের পতনের জন্য যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জোরালো আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (মন্ত্রীরা) যাই বলুক কিছুই অর্জন করতে পারবে না। মানুষ এখন তাদের হৃদয়ের গভীর থেকে পরিবর্তন চায়। প্রতি মুহূর্তে এ দেশের মানুষ এই সরকারের বিদায় দেখতে চায়।’
আরও পড়ুন: ‘সেলফি’ সরকারকে ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে না: ফখরুল
তিনি বলেন, খাদ্য-বস্ত্রসহ সবকিছুর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনজীবন দুর্বিষহ ও অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমি দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে সব তরুণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাতে চাই... আসুন আমরা সবাই মিলে এই ফ্যাসিবাদ দূর করতে এবং সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এখনই লড়াই করি।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে মহামারিতে রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু: বিএনপি
তিনি বলেন, বর্তমান দানব শাসন জাতির সব অর্জনকে ধ্বংস করে দেশ শাসন করছে। ‘যেহেতু সময় কম, তাই চলুন এগিয়ে যাই। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ভাসানী আনুসারী পরিষদ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী