প্রতিযোগিতা
ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড-২০২৩ এর গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত
আইটেসারেক্ট টেকনোলজির উদ্যোগে ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড-২০২৩ এর সমাপণী ও গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টায় ঢাকার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, শিল্পকলা ও গণিত (STEAM) বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রমী ও উদ্ভাবনী প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য এই জমকালো অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডা. দীপু মনি। সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের আহ্বায়ক ও প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন।
সকাল ৯টা থেকে কুইজ ও প্রজেক্ট প্রদর্শনী শুরু হয় এবং দুপুর ১২টা থেকে সমাপণী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, এ অলিম্পিয়াড়ে ৬টি ভিন্ন ভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থীরা মোট ৮টি বিভাগে কোনো রেজিস্ট্রেশন ফি ছাড়াই অংশ নেন। সারা বাংলাদেশে ৩১০টি স্কুল, ৬১টি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৩২টি কলেজ, ২২টি পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠান এবং ২৫টি মাদ্রাসা থেকে কুইজ ও প্রজেক্টে নিবন্ধিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৭ হাজার ৯৭৬ জন। এর মধ্যে কুইজে নিবন্ধন সংখ্যা ছিল ৫৫৭৪৯। প্রজেক্টের জন্য নিবন্ধন সংখ্যা ছিল ২২২৭ এবং ৫৩ জন মেন্টর ও বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন।
এ ছাড়া সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩০টি ক্লাব, ২৯০ জন ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর এবং ৪৭০২ জন ভলেন্টিয়ার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ অলিম্পিয়াডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইয়াং শেফ অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করছে স্বরূপ কুমার
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ সানজিদা খানম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাসুদ কামাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, আইসিটি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) প্রেসিডেন্ট রাসেল টি আহমেদ, এডিএন গ্রুপের চেয়ারম্যান আসিফ মাহমুদ, আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালক মোস্তফা কামাল এবং প্রাইম ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও হাসান ও রশিদ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের উপদেষ্টা ও বুয়েটের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান, অলিম্পিয়াডের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল ও ই-জেনারেশন পিএলসির চেয়ারম্যান শামিম আহসান।
আরও পড়ুন: ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড বুটক্যাম্প অনুষ্টিত
৪ মাস আগে
‘উইমেন ইন টেক’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা হুয়াওয়ের
‘উইমেন ইন টেক’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে হুয়াওয়ে। এই প্রতিযোগিতা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়, যার প্রতিপাদ্য ছিল ‘টেক ফর হার, টেক বাই হার, টেক উইথ হার’।
এই উদ্যোগে হুয়াওয়ের কৌশলগত সহযোগী হিসেবে কাজ করছে ইউনেস্কো। প্রতিযোগিতাটির লক্ষ্য স্থানীয় আইসিটি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ ও প্রতিভা বিকাশ।
এই প্রতিযোগিতায় ৭৫০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্য থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৮ জনকে বাছাই করা হয়। এই পর্যায়ে একক ও দলীয়– দুই ক্যাটাগরির প্রতিযোগিতা ছিল। আইসিটিকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে নতুন সমাধান সম্ভব ও এর ব্যবসায়িক সফলতার সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে দলভিত্তিক আইডিয়াগুলোকে নির্বাচিত করা হয়।
আরও পড়ুন: নারী দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে উইমেন এম্পাওয়ারমেন্ট মিট অ্যান্ড ফেয়ার আয়োজিত
বিজয়ী দলগুলোকে একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে সমস্যার যুক্তিসঙ্গত মূল্যায়ন, ব্যবসা পরিকল্পনার অভিনবত্ব, বিজনেস কেস ও অ্যাসাইনমেন্ট স্কোর। প্রতিযোগিতা চলাকালে একাধিক ইন্টারভিউ, পরীক্ষা ও মূল্যায়নের ভিত্তিতে আলাদাভাবে বিজয়ীদের বেছে নেওয়া হয়েছে।
শীর্ষ আইডিয়া হিসেবে নির্বাচিত হয় ‘ধারা’। কীভাবে সৌর শক্তি ও অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবার জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে কাজ করেছে 'ধারা'।
প্রথম রানার আপ হিসেবে বিজয়ী হয়েছে ‘টেরা বিন’। যাদের বিজনেস আইডিয়া ছিল সোলার কম্পোস্টার ও অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করা যায়।
দ্বিতীয় রানার আপ হিসেবে নির্বাচিত হয় ‘সোলনেট’। এই দল ক্লাউড প্রযুক্তি ও অ্যাপের ব্যবহার করে কীভাবে সহজে ও কম খরচে সোলার প্ল্যান্ট তৈরি ও ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে কাজ করেছে।
চ্যাম্পিয়ন, প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ দল যথাক্রমে তিন লাখ টাকা, দুই লাখ টাকা ও এক লাখ টাকা মূল্যের প্রাইজমানি পেয়েছে।
এই অর্থ তারা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে পারবে।
এছাড়া চারজন প্রতিযোগী তাদের বিশেষ পারফরমেন্সের কারণে ব্যক্তিগতভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
বিজয়ীরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের ছাত্রী কায়সারী ফেরদৌস, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির গ্রাজুয়েট মাহমুদা নাঈম, এসবিআইটি লিমিটেডের ডিজাইন ভেরিফিকেশন ইঞ্জিনিয়ার সুমাইয়া তারিক লাবিবা ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ইইই বিভাগের ছাত্রী সাফরিনা কবির।
এই বিজয়ীরা চীনে সফর করে দেশটির স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
রাজধানীর একটি হোটেলে ৪ জুন রাতে অনুষ্ঠিত গালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী আহমেদ পলক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জারা জাবীন মাহবুব, ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: এটিজেএফবি এভিয়েট্যুর উইমেন্স আইকন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১০ নারী
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউনেস্কোর অফিস প্রধান ও প্রতিনিধি ড. সুজান ভাইজ, আইইউটিয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং।
এসময় পলক বলেন, আমি 'উইমেন ইন টেকের' মূল প্রতিপাদ্য ‘টেক ফর হার, টেক বাই হার, টেক উইথ হার’ দেখে সত্যিই আনন্দিত। এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী নারীরা যে কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা দেখিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি হুয়াওয়েকে এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখার জন্য সাধুবাদ জানাই।
বাংলাদেশে নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ডিজিটাল ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীদের উন্নয়ন এবং চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে দৃঢ় করার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আজকের প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরে নারীদের অবদান কতোটা সম্ভাবনাময় হতে পারে।
পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জারা জাবীন মাহবুব বলেন, হুয়াওয়ের ‘ওমেন ইন টেকের’ মতো প্রোগ্রামগুলো আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি বর্তমান প্রজন্মের প্রতিভাবান নারী শিক্ষার্থীদের তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করতে এবং ভবিষ্যতে যোগ্য পেশাজীবী হওয়ার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে উৎসাহিত করে।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশেষভাবে আনন্দিত এটি দেখে যে, এই প্রতিযোগিতায় ৭৫০ জনেরও বেশি নারী শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এই প্রথম আসরের সাফল্য নিঃসন্দেহে আগামী বছরগুলোতে আরও বেশি নারী শিক্ষার্থীকে আকৃষ্ট করবে।
বিটিআরসিয়ের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকারের দুইটি প্রধান এজেন্ডা হলো ডিজিটাল অগ্রগতি এবং নারীর ক্ষমতায়ন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বিগত বছরগুলোতে উভয় ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছি।
বাংলাদেশে ইউনেস্কোর অফিস প্রধান ও প্রতিনিধি ড. সুজান ভাইজ বলেন, এই বছরের উইমেন ইন টেকে অংশগ্রহণকারী তরুণীরা দেখিয়েছে যে, বাংলাদেশের প্রযুক্তিশিল্পে তাদের দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে, যা স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণেও কাজ করবে।
আইইউটির ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, নারী ক্ষমতায়নের একটি প্রতিফলনই হচ্ছে এই প্রোগ্রাম। এই প্রতিযোগিতা এমন একটি ভবিষ্যৎ তৈরিতে সাহায্য করবে, যেখানে নারীরা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন বিকাশে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি এই ক্ষেত্রে নারীদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে।
হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা বাংলাদেশে নারীদের প্রতিভা ও দক্ষতা বিকাশ, ইন্টার্নশিপ ও চাকরির উপর গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রতিভা ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীরা যাতে পেশাক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যায়, সে বিষয়টিকে আমরা বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী হুয়াওয়ে ‘উইমেন ইন টেক’ প্রোগ্রামটি চালু করে। এই প্রতিযোগিতার পাশাপাশি হুয়াওয়ে তরুণদের সম্ভাবনাকে তুলে ধরতে এবং দেশকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ভবিষ্যতের দিকে চালিত করতে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ ও ‘হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের’ মতো নানান উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে।
আরও পড়ুন: নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে ইউএন উইমেনের ডকুসিরিজ প্রদর্শন
৫ মাস আগে
রপ্তানি বৃদ্ধিতে বন্দর ব্যবস্থাপনা সহজ করার তাগিদ
রপ্তানি সম্প্রসারণ ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে বন্দর ব্যবস্থাপনা আরও সহজীকরণের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটি অন পোর্ট অ্যান্ড শিপিংয়ের প্রথম সভায় তারা এ দাবি জানান।
সভায় অংশ নিয়ে কমিটির সদস্যরা জানান, চলমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে দেশে কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস অর্থাৎ ব্যবসায় পরিচালন ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন স্থানীয় উদ্যোক্তারা। এমন পরিস্থিতিতে, পণ্য বা কাঁচামাল আমদানি-রপ্তানির জটিলতা কমিয়ে আনা জরুরি।
আরও পড়ুন: কর কাঠামোর পুনর্গঠন চায় এফবিসিসিআই
তাদের মতে, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরসহ অন্যান্য বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি, জেটির সীমাবদ্ধতা দূরীকরণ, হেভি লিফট স্থাপন, কাস্টমস এবং এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতা দূরীকরণ, রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণের সময় (লিড টাইম) হ্রাস, বন্দর সমূহে টেস্টিং ল্যাবের সক্ষমতা বৃদ্ধি, কনটেইনার খালাসের ক্ষেত্রে অযৌক্তিক চার্জ আদায় রোধ করা গেলে রপ্তানি খাত উপকৃত হবে।
কমিটির চেয়ারম্যান তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, আগামীতে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। পণ্য ও কাঁচামাল আমদানি-রপ্তানিতে বিদ্যমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে হবে।
পণ্য পরিবহন, জাহাজীকরণ ও কাস্টমসসহ পণ্য রপ্তানিতে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে কমিটির সদস্যদের কাছে সুনির্দিষ্ট মতামত ও পরামর্শ চান এফবিসিসিআই পরিচালক এবং পোর্ট অ্যান্ড শিপিং বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ এ এম মাহবুব চৌধুরী।
ওই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, পোর্ট ও শিপিং সেক্টরে ৮ থেকে ১০টি স্টেকহোল্ডার (অংশীজন) রয়েছে। সব পক্ষের সমস্যাগুলো পর্যালোচনা করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা তৈরির মাধ্যমে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ দেন তিনি।
বৈঠকে আলোচ্য মতামতগুলো লিখিত আকারে এফবিসিসিআইতে জমা দেওয়ার আহ্বান জানান মো. আমিন হেলালী। ব্যবসায়ীদের এসব সমস্যা নিয়ে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এফবিসিসিআই আলোচনা করবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআইয়ের বিদেশি বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান হলেন ওয়াহিদ রায়হান
এদিকে, বিকালে এফবিসিসিআইতে অনুষ্ঠিত রপ্তানিবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে দেশের বাজারে ডলারের মূল্য বৈষম্য কমিয়ে আনার দাবি জানান ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।
তারা বলেন, রপ্তানিকারক হিসেবে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা কিংবা ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার কেনা গেলেও, পণ্যের কাঁচামালসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে একজন রপ্তানিকারককে প্রতি ডলারের বিপরীতে ১২০ টাকা থেকে ১২২ টাকা গুণতে হয়। যা রীতিমতো বৈষম্য।
এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বর্তমান ডলার সংকট মোকাবিলায় এই রপ্তানিবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, রপ্তানির ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের সমস্যা সমাধানসহ রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ এবং সম্প্রসারণে এফবিসিসিআই সব ধরনের সহযোগিতা দেবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
এ সময় তৈরি পোশাকসহ রপ্তানিমুখী শিল্পকে দেয় প্রণোদনা বন্ধ করা হলে রপ্তানি খাত ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেন ব্যবসায়ী নেতারা।
রপ্তানিবিষয়ক এই সভায় সভাপতিত্ব করেন- কমিটির চেয়ারম্যান মেহদী আলী।
তিনি বলেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে বিশ্বে জুড়ে ব্যবসা স্থানান্তরিত হচ্ছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে বাংলাদেশকে এখনই উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতির সাক্ষাৎ, রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
৯ মাস আগে
প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
বাজারে প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।তিনি বলেন, ধারণ ক্ষমতার বেশি অবৈধ মজুত করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
সোমবার ৯২২ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে দেশের ছয় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভায় এ কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিলারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলাম। তারা বলেছে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা করে ধান কিনছে, মজুতও করছে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান মোটা চালের ব্যবসা না করলে আমাদের সঙ্গে বসার প্রয়োজন ছিল না। মিলাররা আপনাদের দিকে আঙুল তোলে। মিডিয়াও দোষারোপ করে। আমরা প্রকৃত চিত্র জানতে চাই।
আরও পড়ুন: চতুর্থবারের মতো বিজয়ী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ভ্যালু অ্যাড করে বাজারে পণ্য বিক্রি করে। সেকারণে তারা বেশি দামে বাজার থেকে ধান কেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বাজার থেকে অল্প পরিমাণ ধান কিনলেও তার প্রভাব পড়ে খুব বেশি। তখন অন্যরাও বেশি দামে ধান কিনতে বাধ্য হয়। এটা বাজারের জন্য অশুভ বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ব্রান্ডের নামে বাজারে চাল পাওয়া যাচ্ছে ,যেটাতে এমআরপি লেখা থাকে। আমরা চাই পাশাপাশি মিলগেটের দামও লেখা থাকুক। বস্তায় মিল গেটের দাম লেখা থাকলে হঠাৎ করে কিংবা অযৌক্তিকভাবে খুচরা বিক্রেতারা দাম বাড়াতে পারবে না।
খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রতিযোগিতামূলকভাবে বাজারে কেউ ধান চাল কিনছে কি না বা অবৈধ মজুত করছে কি না তা নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। কেউ ক্যাপাসিটির বাইরে মজুত করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনে মজুত ক্যাপাসিটি রিভিউ করব।
সিটি গ্রুপ, স্কয়ার, প্রাণ আরএফএল, মেঘনা গ্রুপ, এসিআই ও আকিজ এসেনশিয়াল এর প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন। এসময় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বস্তায় মিল গেটের মূল্য লেখার বিষয়ে সম্মতি জানান। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ক্যাপাসিটি ও ক্রয়-বিক্রয়ের চিত্র তুলে ধরেন এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, এফপিএমইউর মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলমসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লাফিয়ে লাফিয়ে চালের দাম বাড়িয়েছেন, এখন সেভাবেই কমাতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান জোরদার করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
৯ মাস আগে
কিশোরগঞ্জে হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বড় আজলদী খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে আকর্ষণীয় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা।
শনিবার(১৩ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় পাকুন্দিয়া উপজেলার বড় আজলদী খোলা মাঠে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করে চন্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ২ দিনব্যাপী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা শুরু
জেলা ও জেলার বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৫০টি ঘোড়া নিয়ে ঘোড়দৌড়ে অংশগ্রহণ করেন শৌখিন ঘোড়াপ্রেমীরা।
এছাড়া বিভিন্ন বয়সী হাজার হাজার নারী-পুরুষ উপভোগ করেন ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা।
বড় ঘোড়দৌড়ে প্রথম হয়- শাহাবুদ্দিনের ‘সবুজ বাংলা’ নামের ঘোড়া। মাঝারি ঘোড়দৌড়ে প্রথম হয়- রাসেল মিয়ার ঘোড়া এবং ছোটদের মধ্যে প্রথম হয়- আবদুল বাতেনের ঘোড়া।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
বিজয়ী প্রতিটি ক্যাটাগরির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান লাভ করা ঘোড়ার মালিকদেরপুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় ফ্রিজ, এলইডি টিভি, খাসি ও মুঠোফোন।
প্রতিযোগিতা শেষে বিকালে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চণ্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামছু উদ্দিন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুখিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
১০ মাস আগে
জাপা কোনো ভাগ বাটোয়ারার নির্বাচন করছে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, নির্বাচনে প্রতিযোগিতা থাকতে হয়, তা না হলে ভালো নির্বাচন হয় না। তবে এটার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব আমাদের হাতে ছিল না।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি এখন কোনো দোটানার মধ্যে নেই। আশা ও আগ্রহ নিয়ে নির্বাচনে এসেছি। আমরা আশাবাদী হতে চাই। আমাদের একটা ধারণা, আর যাই হোক আওয়ামী লীগের ক্ষমতা হারানোর কোনো ঝুঁকি নেই।
কাজেই আমাদের, জনগণকে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেবেন। এখন জনগণ অংশগ্রহণ করবে কি না সেটা তাদের বিষয়।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত নির্বাচনী কর্মী সভায় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য তিনি দুই দিনের সফরে রংপুরে এসেছেন।
জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি রাজনীতি টিকিয়ে রাখার জন্য নির্বাচনে এসেছে। ভবিষ্যতে আমরা যদি মনে করি সেটা কার্যকর হচ্ছে না, আওয়ামী লীগ এবং নির্বাচন কমিশন তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছে না, তখন আমরা আমাদের পার্টির ফোরামে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতা হারানো ঝুঁকি এই মুহূর্তে নেই। কাজেই আমরা মনে করছি নির্বাচনটা ভালো করার জন্য তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। নির্বাচনে যাওয়ার শর্ত এবং সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী ও দলের অনৈক্য দূর করার জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়ায় থাকা জাতীয় পার্টির জন্য লাভজনক। তবে আমাদের অপশনও আছে, যদি দেখি আমাদের শর্ত মতে কার্যক্রম হচ্ছে না, তাহলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করব।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার জিএম কাদেরের
সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে জাতীয় পার্টির প্রত্যাশা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমাদের ডিমান্ড হলো প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। পেশীশক্তি এবং অর্থের ব্যবহার ও প্রভাব থেকে নির্বাচনকে মুক্ত রাখতে হবে। নির্বাচন বিধিমালা মেনে চলতে হবে। এটা যদি তারা মেনে না চলেন তাহলে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
জিএম কাদের বলেন, আমরা পার্লামেন্টে থাকার জন্য নির্বাচন করছি। আমরা কোনো ভাগ বাটোয়ারার নির্বাচন করছি না। এটা কোনো মহাজোট হচ্ছে না। বিভিন্ন দলের ধারণা তৈরি হয়েছে আমরা জোট করেছি। আমাদের ক্যান্ডিডেটরাও অনেকেই ভুল করছেন। এটা ইলেকশন কমিশনের দেখা উচিত ছিল। আমরা আগে মহাজোটে ছিলাম কিন্তু এখন আর নেই। এই নির্বাচন মহাজোটের নির্বাচন হচ্ছে না। আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সেই ধরনের কোনো চুক্তিও করিনি।
পার্টির মহাসচিবের নির্বাচনী পোস্টারে ‘জাতীয় পার্টি মনোনীত ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত’ লেখা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি এটা চুন্নু করেনি। তার একজন ভক্ত ওই পোস্টার ছাপিয়েছে। যিনি ছাপিয়েছেন তিনি চুন্নুর ভক্ত এবং আওয়ামী লীগ করে। চুন্নু সাহেব ওই পোস্টার সরিয়ে নেওয়ার জন্য তার ভক্তকে অনুরোধও করেছেন। আমাদের অনেক প্রার্থী এমন ভুল করেছেন।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরকে ‘হত্যার হুমকি’, নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার নির্দেশ!
১০ মাস আগে
উন্নত ভবিষ্যতের জন্য যুদ্ধ-অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে যুদ্ধ, সংঘাত ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'শান্তি ও অগ্রগতির জন্য মানুষের সংযোগই প্রাণশক্তি। ভবিষ্যতের সংকটের জন্য আমাদের আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের অবশ্যই দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ায় আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে জিজিএফ কনফারেন্স ভেন্যুতে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম ২০২৩-এর উদ্বোধনী অধিবেশনের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের আমন্ত্রণে এই ফোরামে অংশ নিচ্ছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ গ্লোবাল গেটওয়েকে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি বড় সংযোগকারী হিসেবে দেখতে চায়।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অংশীদার দেশগুলোর ৪০ জনেরও বেশি উচ্চ পর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা ২৫-২৬ অক্টোবরের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: উচ্চ পর্যায়ের সফরে ব্রাসেলসে প্রধানমন্ত্রী
তারা অবকাঠামো খাতে বৈশ্বিক বিনিয়োগ, সরকারি ও বেসরকারি খাতের চ্যালেঞ্জ, সর্বোত্তম অনুশীলন এবং শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে ইইউ বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন এবং হাই-টেক পার্কে সুযোগ-সুবিধা অনুসন্ধানের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় বিনিয়োগ পরিবেশ দেয়। ‘আমি ইইউ বিনিয়োগকারীদের আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোর সুবিধাগুলো পরিদর্শন করার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। নিরাপদ কাজ ও বহুমাত্রিক অর্থনীতি নিয়ে আমাদের আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’
১৭০ মিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশ কৌশলগতভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অবস্থিত। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের ৩০০ কোটি গ্রাহকের বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার বেলজিয়াম সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, আঞ্চলিক অর্থনৈতিক করিডোরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে সড়ক, রেল ও বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ। দেশটি নেপাল, ভুটান ও উত্তর-পূর্ব ভারতের স্থল-সংযুক্ত অঞ্চলগুলোতে বঙ্গোপসাগরে প্রবেশের প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলো প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, 'ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বাংলাদেশ ও ইইউয়ের মধ্যে কানেক্টিভিটি একটি অভিন্ন বাধ্যবাধকতা।’
তিনি বলেন, ইইউ বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বাণিজ্য, উন্নয়ন ও মানবিক অংশীদার। ‘নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষের গতিশীলতার ক্ষেত্রে আমাদের ফলপ্রসূ সহযোগিতা রয়েছে। ইইউয়ের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আমাদের অভিন্ন মূল্যবোধ ও অঙ্গীকার।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছি। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের জন্য সাড়ে ৩০০ কোটি ইউরো ঋণের জন্য আমরা ইআইবির সঙ্গে একটি যুগান্তকারী চুক্তি সই করেছি।’
বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে তিনি ইইউ'র সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক আরও জোরদারে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশে (এলডিসি) উত্তরণের জন্য বাণিজ্য অগ্রাধিকার অব্যাহত রাখার জন্য ইইউ'র প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি এবং ১৫ বছরেরও কম সময়ে ৭০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি ৪৬৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করেছে। চরম দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে কাজ করবে।
তিনি বলেন, তার সরকার খাদ্য নিরাপত্তা, সর্বজনীন স্কুল ভর্তি, কমিউনিটি ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন, বিনামূল্যে আবাসন, গ্রামীণ যোগাযোগ, দুর্যোগ মোকাবিলা, জলবায়ু অভিযোজন, শতভাগ বিদ্যুৎ পরিষেবা নিশ্চিত, দেশব্যাপী ইন্টারনেট, শিল্প প্রবৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সর্বোপরি নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা জলবায়ু ঝুঁকি থেকে সহনশীলতা ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি বলেন, পরিবহন নেটওয়ার্ক, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, সবুজ জ্বালানি, ডিজিটাল রূপান্তর, গবেষণা ও উদ্ভাবনে গ্লোবাল গেটওয়ের মনোযোগের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার প্রশংসা করেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা আমাদের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য ইইউ'র অব্যাহত বাণিজ্য অগ্রাধিকার চাই।’
তিনি বলেন, গ্রিন হাইড্রোজেনের প্রসারে বাংলাদেশ ইইউতে যোগ দিতে ইচ্ছুক। ‘সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবহারে ইইউয়ের দক্ষতা থেকে আমরা উপকৃত হতে পারি। আমাদের কৃষি উৎপাদন সংরক্ষণের জন্য কোল্ড চেইন নেটওয়ার্কগুলোতে বিনিয়োগ প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম শিল্প উৎপাদনে বহুমুখীকরণে ইইউ'র প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে পারে। 'ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি নিয়ে আমাদের আসন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আমরা অংশীদার খুঁজছিন।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের কর্মক্ষম তরুণ জনগোষ্ঠী ইইউয়ের দক্ষতা ও প্রতিভা অংশীদারিত্ব কর্মসূচিতে যোগ দিতে প্রস্তুত। আমরা বিশ্বাস করি, গ্লোবাল গেটওয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের 'স্মার্ট বাংলাদেশ' রূপকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।”
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশ-ইইউ'র ৪০০ কোটি ইউরোর চুক্তি সই
১ বছর আগে
নওগাঁর সাপাহারে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা
নওগাঁর সাপাহারের জবই বিলে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) নৌকাবাইচ দেখতে বিলের দুই পাড়ে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। থেমে থেমে হর্ষধ্বনিতে মুখরিত নদীপারের চারপাশ।
বইঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দ আর মাঝি-মাল্লাদের কণ্ঠে কোরাস শোনা যায় ‘হেইও রে, হেইও’।
আর এভাবেই একেকটি নৌকা ছুটে চললে হর্ষধ্বনি দিয়ে দলগুলোকে উৎসাহিত করতে থাকেন দর্শকরা। এ সময় পুরো এলাকা মুখর হয়ে ওঠে।
এভাবেই বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিকালে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবই বিলে হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা।
স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন এই নৌকা বাইচের আয়োজন করেন। এতে অংশ নেন নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ আশেপাশের ছোট-বড় মিলে প্রায় ৮টি নৌকা।
আরও পড়ুন: ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ দেখতে মধুমতির পাড়ে হাজারো মানুষের ঢল
১ বছর আগে
ভিউ বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা: অপু বিশ্বাস
চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিউ বাড়ানোর প্রতিযোগিতার ফলে আমাদের নানা ধরনের পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। বিশেষত সাইবার বুলিংয়ের নেতিবাচক প্রভাব খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
রবিবার (৬ আগস্ট) সাইবার বুলিং সংক্রান্ত একটি অভিযোগ নিয়ে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের কার্যালয়ে এসে অভিযোগ দায়ের করেন অপু।
সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অপু বিশ্বাস।
এসময় অপু বলেন, ‘লাল-শাড়ি সিনেমাটির নির্মাতা আমি। এটি একটি অনুদানের ছবি। কয়েকদিন আগে সুড়ঙ্গ চলচ্চিত্রটি পাইরেসির শিকার হয়েছিল। এরপর চলচ্চিত্রটির টিম ডিবির কাছে এসেছিল। পরে গোয়েন্দারা এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনেছে।’
আরও পড়ুন: ২৫ সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে অপু-বাপ্পী জুটির ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’
তিনি বলেন, ‘লাল শাড়ি ছবিটি নিয়ে পাইরেসির কথা বলতে আমি ডিবিতে এসেছি। আপনারা জানেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইবার বুলিং অনেক বেড়ে গেছে। কারণে-অকারণে ভিউয়ার্স বাড়ানোর আশায় সাইবার বুলিং হচ্ছে। এটা মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে বাধাস্ত করে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই পরিবার নিয়ে বসবাস করি। আমাদের একটি অবস্থান আছে। হয়তো আমরা চিত্রনায়িকা, কিন্তু বিভিন্ন সময়ে অনেক নিউজের কারণে আমাদের নানা পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।’
অপু বলেন, ‘আমি সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে একটি সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আবেদন করেছি। আরও একটা কথা বলতে চাই, আমরা আর্টিস্টরা বিভিন্ন দেশে যাই। সেখানে দেশের প্রতিনিধিত্ব করি। এরকম হলে আমাদের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
আরও পড়ুন: অপু বিশ্বাসের মায়ের মৃত্যু
ভোলায় নির্বাচনী প্রচারণায় ফেরদৌস ও অপু বিশ্বাস
১ বছর আগে
কাঁঠালিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় মানুষের ঢল
গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ঈদ উপলক্ষে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম শৌলজালিয়া গ্রামের একটি মাঠে স্থানীয় যুব সমাজ এ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে নববর্ষে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
এ প্রতিযোগিতায় কাঁঠালিয়া, ভান্ডারিয়া, রাজাপুর, বেতাগীসহ বিভিন্ন এলাকার ২০টি ঘোড়া অংশ নেয়।
ঐতিহ্যবাহী এ ঘোড়দৌড় উপভোগ করেন নানা শিশু, নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ মাঠের দুই পাশে দাঁড়িয়ে উপভোগ
করেন।
পরে প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী ঘোড়ার মালিকদেরকে হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শৌলজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ হোসেন রিপন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় শতবর্ষী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
১ বছর আগে