দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাবিপ্রবির আজ রবিবার ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
সিলেট অঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠটি ১৯৯১ সালে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে। প্রতি বছর এখানে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হতো পহেলা ফাল্গুন বা ১৩ ফেব্রুয়ারি। তবে, বাংলা বর্ষপঞ্জির নতুন নিয়মে এখন পহেলা ফাল্গুন ১৪ ফেব্রুয়ারি হওয়ায় গত দুই বছর ধরে এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হচ্ছে।
আজ সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-২-এর সামনে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সীমিত পরিসরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: শিক্ষা ও গবেষণায় শাবিপ্রবি রোল মডেল: উপাচার্য
শাবির ৯৫ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ বলেন, ‘আজ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ৩০ বছর পার করেছে। এ সময়ের মধ্যে আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলো ছড়িয়ে পড়ছে দেশ ও দেশের বাইরে। আশা করি সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় একদিন এ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করবে।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘গত কয়েক বছরের মধ্যে আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়নের গতি বেড়েছে কয়েক গুণ। বর্তমানে আমাদের শিক্ষা-গবেষণার মান অনেক ভালো। সুশাসন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও মানবিকতায় আমরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রোল মডেল।’
সামনের দিনগুলোতেও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রথম নারী সহকারী প্রক্টর পেল শাবিপ্রবি
উন্নত জাত উদ্ভাবন গবেষণায় গতি আনতে শাবিতে ট্রান্সজেনিক গ্রিনহাউস নির্মাণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় শাবিপ্রবি শীর্ষে
দুটি পাতা ও একটি কুঁড়ির দেশ হিসেবে পরিচিত সিলেটের সবুজ প্রকৃতিতে শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে আখালিয়ায় ৩২০ একর ভূমিতে ১৯৯১ সালে মাত্র তিনটি বিভাগ, ১৩ জন শিক্ষক ও ২০৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল দেশের স্বনামধন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত অনুষদের অধীনে ২৮টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউট রয়েছে। যেখানে ১০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ১১টি কলেজ আছে।
শাবিপ্রবি দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম ও পুরো ক্যাম্পাসে ওয়াইফাই নেটওয়ার্কসহ আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে সফলতা দেখিয়েছে। বিভিন্ন সময় শাবিপ্রবি দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে এবং গবেষণা ক্ষেত্রে অর্জন করেছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার।