উপাচার্য
কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়: জবি ভিসি
কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও নারীর ক্ষমতায়ন বা সামাজিক মর্যাদা বাড়েনি বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস সামনে রেখে ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন সাদেকা হালিম।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিতে নারীদের কথা বলার জায়গাটা তৈরি করে দিতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গাগুলোতে নারীদের নিয়ে আসতে হবে।’
জেন্ডার ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নারী পরিচয়ের আগে আমার বড় পরিচয় হলো আমি একজন মানুষ। নারী-পুরুষের মধ্যে যে ভেদাভেদ তৈরি, নারীকে হেয় করা, শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরুষের থেকে দুর্বল মনে করা হচ্ছে এবং এ কারণে নারীকে অধস্তন করে রাখতে হবে, এটা সম্পূর্ণ অমূলক।’
আরও পড়ুন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি অধ্যাপক সাদেকা হালিম
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের মূল্যায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এমন হয়েছে, যে সমাজে নারীকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখা হয়। যদিও বাংলাদেশের সংবিধানের নারী ও পুরুষ সমান। কিন্তু বাস্তবে কোনো দেশই খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে নারীকে পুরুষের সমান ভাবা হয়।’
এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, ‘সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রেই নারীত্ব নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। সেটা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাঙ্গন, ভাগ-বাটোয়ারার ক্ষেত্র, এমনকি ধর্মীয়ভাবেও। পৃথিবীতে এমন কোনো ধর্ম খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে প্রতিটা ক্ষেত্রে নারীকে সমান অধিকার দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমনকি নারীর সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয় নিয়েও রাজনীতি করা হয়। সন্তান জন্মের পর পরই সন্তানের অধিকার কীভাবে হবে সেটা আমরা ধর্মীয়ভাবে নির্ধারণ করি। বাবা ও মায়ের অধিকার কতটুকু, আমাদের সিভিল ল’তে কতটুকু, শরিয়া ল’তে কতটুকু, এসব বিষয় অনেকটাই পুরুষকেন্দ্রিক। পুরুষকে সব সময় প্রাধান্য দেওয়া হয়। পুরুষরাই এ সমাজের নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে।’
এ উপমহাদেশে নারীদের ভূমিকা সম্পর্কে ড. সাদেকা উল্লেখ করেন, ‘ভারত উপমহাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন যে এখন হয়েছে, তা নয়। অবিভক্ত ভারত উপমহাদেশে নারীরা কিন্তু ইউরোপের নারীদের আগেই ভোটাধিকার পেয়েছিল। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় নারীরা যুদ্ধে অংশ নিয়েছে, রানি হয়েছে, ট্যাক্স সংগ্রহ করেছে। আধুনিক রাষ্ট্রে পুঁজিবাদের বিস্তার ঘটার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের কাজের পরিধি বেড়েছে, কিন্তু নারীদের পণ্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তার কাজ কে কাজ হিসেবে আমরা দেখিনি। নারীরা স্ত্রী, মা বা মেয়ে হিসেবে যে ভূমিকা পালন করে সেটিকেও অবমূল্যায়ন করা হয়।’
আরও পড়ুন: রাইড-শেয়ারিংয়ে বাড়ছে ঢাকার কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো নারী চাকরি করলেও তাকে আমরা প্রশ্ন করি তার স্বামী কী করে। সে যদি স্বামীর থেকে বেশি বেতন পায়, তাহলে পুরুষও হীনমন্যতায় ভুগে।’
সমাজের সাধারণ নারীদের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন তো নারীদের অনেকেরই হয়েছে। গার্মেন্টস সেক্টর, চিংড়ি মাছের ঘের, কল-কারখানায় নারীরা কাজ করছে। এটি ভারত বা পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু নারীর সামাজিক মর্যাদা কি বেড়েছে? এটা খুবই জটিল একটা বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘চরম দারিদ্র্যের শিকার নারীরা কোনো কিছু ভাবে না। তারা জানে তাদেরই কাজ করতে হবে, ক্ষুধা মেটাতে হবে, তারাই শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে। সাধারণ নারীরা অনেক পরিশ্রমী, সামাজিক সমালোচনা গ্রাহ্য না করে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় তাদের বাদ দেওয়া হচ্ছে।’
নারীর সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নারীর নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে পারিনি। বাংলাদেশে বা প্রবাসে যে পরিমাণ নারী কাজ করে সেখানেও আমরা দেখি যে নারীরা নিরাপদ না। খুব নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার হয়।’
তবে নারী সমাজের পরিবর্তনের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী, এবং এবারকার কেবিনেটে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নারী মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হয়ে আসছেন। এটা ইতিবাচক দিক। সংখ্যার দিক থেকে নারীর অংশ গ্রহণ অনেক বেশি, কিন্তু নারীর ক্ষমতায়ন বা সামাজিক মর্যাদার জায়গায় গুণগত মানের দিক থেকে কতটা বদলেছে সেটি বড় বিষয়। যখন নারীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে আসবে, নেতৃত্ব দেবে, সমাজ কিন্তু তখনই বদলাবে।’
আরও পড়ুন: দুর্যোগের সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদ বোধ করেন না প্রায় ৬৭ শতাংশ নারী
চবিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ: উপাচার্যকে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অনুরোধ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় মন্ত্রী সংঘাত ও সংঘর্ষের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও পর্যালোচনার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
অতীতে যারা এই ধরনের সহিংসতায় জড়িত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ফৌজদারি আইন অনুযায়ী স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।
একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত অছাত্রদের হল ত্যাগ নিশ্চিতকরণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন মন্ত্রী।
কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের নাম ব্যবহার করে যেন কোন দায়ী ব্যক্তি নিষ্কৃতি না পায় এ বিষয়ে সচেতন থাকতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক এক সভা আহ্বান করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার কে এম নূর আহমদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি অধ্যাপক সাদেকা হালিম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ এবং প্রথম নারী ভিসি।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি গ্যাজেট প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড. সাদেকা হালিম আগামী চার বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে বহাল থাকবেন।
আরও পড়ুন: জবি উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক আর নেই
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সাবেক উপাচার্য ইমদাদুল হকের মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদ শূন্য হওয়ার পর তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
অধ্যাপক সাদেকা হালিম দেশের প্রথম নারী তথ্য কমিশনার হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন এবং জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি-২০১০-এর সদস্য হয়েছেন।
তিনি ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) তার শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন এবং কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: জবির লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের নতুন ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান
জবি কলা অনুষদের নতুন ডিন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন
আগামীকাল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, শিক্ষা কার্যক্রমের ৩৩ বছর পূর্তি
আগামীকাল (২৫ নভেম্বর) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) দিবস। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রমের ৩৩ বছর পূর্ণ করে ৩৪ বছরে পদার্পন করছে।
খুবি প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আপামর মানুষের নিরলস প্রচেষ্টা ও ত্যাগ। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
১৯৮৯ সালের ৯ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করা হয়। ১৯৯০ সালের জুলাই মাসে জাতীয় সংসদে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯০’ পাস হয়, যা গেজেট আকারে প্রকাশ হয় ওই বছর ৩১ জুলাই।
এরপর ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ৪টি ডিসিপ্লিনে ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। ১৯৯১ সালের ৩০ আগস্ট প্রথম ওরিয়েন্টেশন এবং ৩১ আগস্ট ক্লাস শুরুর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের সূচনা হয়।
একই বছরের ২৫ নভেম্বর শিক্ষাকার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। প্রতিবছর এ দিনটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য এ বছর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অংশীজনদের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে কালজয়ী মুজিব ও শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। পরে মুক্তমঞ্চে বিভাগ/ডিসিপ্লিনসমূহের গত বছরের অর্জন ও আগামী বছরের পরিকল্পনা উপস্থাপনার ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন, সন্ধ্যা ৬টায় গত বছরের কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থী ও সংগঠনমূহকে সম্মাননা প্রদান, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- যোহর নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দিরে প্রার্থনা।
এছাড়া ক্যাম্পাসের মেইন গেট, রাস্তা, শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরি ভবন, একাডেমিক ভবন ও হলসমূহ আলোকসজ্জা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুবি অ্যালামনাইয়ের 'খুরশীদ-আক্তার' প্যানেলের পরিচিতি সভা ও ইশতেহার ঘোষণা
ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের কাছে ৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামালের বাসভবনের সামনে শনিবার ৩টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আল-আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে হতাহতের কোনো খবর আমরা পাইনি, বিষয়টির ওপর নজর রাখছি।’
আরও পড়ুন: মিরপুরে ঢাবি কর্মীদের বহনকারী বিআরটিসি বাসে আগুন
ঘটনার পরপরই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ৩টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান বলেন, বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে এবং তারা খতিয়ে দেখছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি’র কলা ভবন থেকে দুটি বোমা উদ্ধার
বিএনপির অবরোধ: ঢাবির বিভিন্ন ফটকে ছাত্রদলের তালা
চবিতে ভাঙচুরের ঘটনায় ২ মামলা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপাচার্যের বাসভবন এবং বাস ভাঙচুরের ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে হাটহাজারী থানায় এসব মামলা হয়। একটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মো. আবদুর রাজ্জাক এবং অন্যটিতে বাদী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, ৭ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় চবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটহাজারী থানায় দু’টি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। চাঁদা দাবি ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে।
মামলা দু’টিতে ৭ জন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন এমনটাই জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চবির শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত ২০, রাতভর উত্তাল ক্যাম্পাস
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী রাত সাড়ে ৮টার শাটল ট্রেনের ছাদে হেলে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কায় ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর পর শিক্ষার্থীরা ঘটনার প্রতিবাদে ফটক আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালাতে দেখা যায়। পরবর্তীতে একজনের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যান। একপর্যায়ে তারা উপাচার্যের ৩ তলা বাসভবনে ভাঙচুর শুরু করেন। ফুলের টব থেকে শুরু করে বিভিন্ন আসবাব, কক্ষ, জানালায় ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় আসবাব বের করে বাসভবনের উঠানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
আরও পড়ুন: অতি বৃষ্টির কারণে চবির ২২ বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত
উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করার পরপরই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পরিবহন দপ্তরে মিছিল নিয়ে যান। পরে সেখানে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য রাখা অন্তত ৫০টি বাস ভাঙচুর করেন। পরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক ক্লাবের কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেন। এরপর শাটল ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
পর দিন শুক্রবার বিকালে উপাচার্যের দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনায় ৩টি পৃথক মামলা করা হবে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। তবে সংবাদ সম্মেলনের ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পর ২টি মামলা দায়ের করার কথা নিশ্চিত করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চবি ফটকে তালা দিয়ে রাতে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
বিএসএমএমইউ ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ ৪ বছর বাড়াতে সংসদে বিল উত্থাপন
উপাচার্য, উপউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ চার বছর বাড়ানোর লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) বিল, ২০২৩ উত্থাপন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন এবং পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
খসড়া আইনটি ১৯৯৮ সালের বিদ্যমান আইনে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল।
এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ তিন বছর, যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চার বছর বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: সংসদে বাণিজ্য সংগঠন (সংশোধন) বিল, ২০২৩ উত্থাপন
সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে আশপাশে জমায়েত ও অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাবিপ্রবি উপাচার্যের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপাচার্য ড. অধ্যাপক হাফিজা খাতুন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন বলে জানান রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন।
সাক্ষাৎকালে উপাচার্য হাফিজা খাতুন বিশ্ববদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে অবকাঠামো ও একাডেমিক বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে নবনিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
করোনার কারণে তৈরি হওয়া সেশনজট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান তিনি।
গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, উচ্চ শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করা এবং নতুন জ্ঞান ও উদ্ভাবন নিয়ে গবেষণার বিকল্প নেই।
এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশসহ শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতেও নির্দেশ দেন।
তিনি বিশ্বিবদ্যালয়টির বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, এই বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থী যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে সেই লক্ষ্যে পাঠ্যক্রম নির্ধারণসহ সার্বিক কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এ সময়ে রাষ্ট্রপতির সচিবরাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধান স্কাউট হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
স্কাউটদের আইসিটিসহ আধুনিক প্রশিক্ষণ দিতে নেতৃবৃন্দের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
১০ দফা দাবিতে হাবিপ্রবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রীদের অবস্থান
১০ দফা দাবিতে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত আবাসিক হলের ছাত্রীরা। শনিবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে ১টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করে তারা।
অবশেষে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনের অবস্থানস্থল থেকে হলে ফিরেন তারা।
ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিযোগ, গত শুক্রবার রাত থেকে নবনির্মিত আবাসিক ছাত্রী হলে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন তারা। পরদিন সকালে সামান্য সময়ের জন্য বিদ্যুৎ মিললেও আবার চলে যায়। এভাবে আসা-যাওয়ার মধ্যে গতকাল শনিবার রাতে আবারো বিদ্যুৎ চলে গিয়ে আর আসেনি। এতে লেখাপড়া খাওয়া-দাওয়াসহ নিত্যকার কাজকর্ম করতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।
সমস্যা সমাধানে ১০ দফা দাবি তুলেছেন তারা।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা, রান্নার সুবিধার্থে প্রতিটি ব্লকে হিটার স্থাপন, প্রতিটি ফ্লোরে সুপেয় পানির ব্যবস্থা, বাথরুম ও করিডোরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, বিদ্যুতের লাইনে থ্রি-প্লাগ সুইচ , ডাইনিংয়ে খাবারের মান উন্নতকরণ, হলে প্রবেশের সর্বশেষ সময় রাত সাড়ে ৮টা করা, হিটার চেকের নামে হেনস্তা বন্ধ করা, গেস্ট অ্যালাও, অভিভাবদেরকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে কথা বলা এবং লিফ্ট ও রিডিংরুমের ব্যবস্থাসহ বিশেষ কারণে রাতে হলে ফিরতে দেরি হলে অকথ্য ও অপমানসূচক ভাষা পরিহার করা।
এছাড়াও নবনির্মিত আবাসিক ছাত্রী হলের স্থায়ী নামকরণের দাবি জানায়েছেন ছাত্রীরা।
এ ব্যাপারে নবনির্মিত ছাত্রী হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. আফরোজা খাতুন জানান, ছাত্রীদের ১০ দফা দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসবেন তারা। যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমাধানে চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। যৌক্তিক দাবির বিষয়ে কর্তৃপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন তারা।
আরও পড়ুন: হাবিপ্রবিতে দেশের প্রথম ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু
হাবিপ্রবিতে জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
সব বাধা পেরিয়ে শুরু হচ্ছে চাঁবিপ্রবির শিক্ষা কার্যক্রম
দীর্ঘ প্রায় সাড়ে চার বছর পর অবশেষে চাঁদপুর শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে শুরু হলো চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম। শহরের খলিশাডুলী এলাকায় একটি নতুন পাঁচতলা ভাড়া বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস চালু করা হয়েছে।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে পরিচিতি সভার মাধ্যমে এ কার্যক্রম চালু হলো। আগামী রবিবার থেকে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাছিম আখতার ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত রবিবার অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এক প্রাণবন্ত পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিন বিভাগের ৯০ জন শিক্ষার্থী এবং ৬জন শিক্ষক ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য জানান, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৩০, ‘বি’ ইউনিটে ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগে ৩০ এবং ‘সি’ ইউনিটে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে ৩০ টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। আবেদনকারী ৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৯০ জন ভর্তি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের ষোলঘরে অবস্থিত জেলা প্রশাসক ও জেলা জজ আদালত থেকে এক কিলোমিটার দূরে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে খলিসাডুলিতে এই অস্থায়ী ক্যাম্পাসটি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। গত ডিসেম্বর থেকে প্রতি মাসে ভাড়া বাবদ প্রায় দেড় লাখ টাকা দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত তিন মাস ধরে শিক্ষকসহ অন্যান্য নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
উপাচার্য ড. নাছিম আখতার বলেন, গত ঈদের আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের অনলাইনে যুক্ত রেখেছিলাম। গত রবিবার সরাসরি তাদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্ব হলো।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে চাঁদপুরের জেলা স্টেডিয়ামের এক বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানকার সংসদ সদস্য ডা.দীপু মনির বিশেষ অনুরোধে চাঁদপুরে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও একটি সরকারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অশ্বাস দেন।
এরপরে ২০১৯ সালে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম চাঁদপুর ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল যথাসময়ে চালু হলেও দীর্ঘ প্রায় সাড়ে চার বছর পর চালু হলো এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম।
দেশে করোনা মহামারি,বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি সংক্রান্ত আ্ইনি জটিলতায় চলে যায় ৪ বছরের বেশি সময় এবং শিক্ষক কর্মচারি নিয়োগে চলে যায় আরও তিনমাস। গত রবিবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচিতি সভা হয় ভাড়া করা নতুন এ ভবনে।
ভিসি ড. নাছিম আখতার জানান, অবশেষ সব ধরনের বাধা পেড়িয়ে আগামী সপ্তাহেই ১ম বর্ষের শ্রেণি কার্যক্রম চালু হচ্ছে।
প্রথম ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রীরাও প্রথম ক্লাস করার প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন।
এমনই কয়েকজন শিক্ষার্থী হলেন-ঝালকাঠির আতিকুল ইসলাম, যশোরের রোকনুজ্জামান খান ও চাঁদপুরের সোহাগ মিয়া।
তারা বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকগণ সবাই খুব আন্তরিক।’
তারা আরও জানান, তারা বললেন আপাতত সবাই মেসে উঠেছি।
জানা যায়, এখনও শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কোনো আবাসিক হোস্টেল/হল সুবিধা নেই। তাই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করেছেন বলে।