শাবিপ্রবি
গবেষণা দক্ষতায় ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির ৪ শিক্ষক
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) স্কুল অব এপ্লাইড সাইন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজির আয়োজনে চারটি ক্যাটাগরিতে চারজন শিক্ষককে ডিনস অ্যাওয়ার্ড ফর রিসার্চ এক্সিলেন্স-২০২১ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গবেষণায় দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা ও গবেষণায় উত্তরোত্তর উন্নতি এ বিশ্ববিদ্যালয়কে সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু করে তুলেছে।
তিনি আরও বলেন, গবেষণায় যেমন বাজেট বৃদ্ধি করা হয়েছে, তেমনি গবেষকদের পুরস্কারের মাধ্যমে স্বীকৃতিও দেয়া হচ্ছে। আজকের এই আয়োজন এরই ধারাবাহিকতার অংশ।
এতে সিভিল, আর্কিটেকচার ও ইনভাইরনমেন্ট ক্যাটাগরিতে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফরহাদ হাওলাদার; কেমিক্যাল, ফুড ও পেট্রোলিয়াম ক্যাটাগরিতে প্রফেসর ড. ওয়াহিদুজ্জামান; মেক্যানিক্যাল, ম্যানুফেকচারিং ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাটাগরিতে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহমুদ হাসান এবং কম্পিউটার-ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ক্যাটাগরিতে সহযোগী অধ্যাপক ড. সাদিয়া সুলতানা আওয়ার্ড অর্জন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুল অব এপ্লাইড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন প্রফেসর ড. মো. আরিফুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন প্রফেসর ড. চৌধুরী আবুল আনাম রাশেদ।
পরে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ৩০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি
শাবিপ্রবিতে ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী চাকরি মেলা
শাবিপ্রবিতে ৩০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কয়েকটি বিভাগের ৩০জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
শাস্তির আওতায় একজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিস্কার, ১৬ শিক্ষার্থীকে হল থেকে স্থায়ী বহিস্কার, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে একজনকে একবছরের জন্য বহিস্কার এবং পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় ১২ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৭তম সিন্ডিকেট সভায় এই শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশক্রমে এবং সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থী জীবন চন্দ্র সেনকে সিএসই বিভাগে আনিত সকল অপরাধের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিবেচনা করে স্থায়ী বহিস্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও র্যাগিংয়ের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের ১৬ শিক্ষার্থীকে স্ব স্ব আবাসিক হল থেকে স্থায়ী বহিস্কার করা হয়েছে। বহিস্কারের পাশাপাশি সকল হলেই প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়েছে।
শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- মো. পাপন মিয়া, মো. রিয়াজ হোসেন, পায়েল আহমদ, মো. খালেদ সাইফুল্লাহ, রামীম আহমদ, মো. রাকিব হোসেন, অশেষ চাকমা, সৌরভ নাথ, শরীফুল ইসলাম, অনিক দাশ, মো. ফাহিম মিয়া, নয়ন চন্দ্র দে, মো. তোহা মিয়া, মো. আশিক হোসেন, মো. আল আমিন ও মো. আপন মিয়া। এদের মধ্যে র্যাগিংয়ের ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিস্কারও প্রত্যাহার করা হয়েছে। ১৬ শিক্ষার্থীর কেউ যেকোনো শৃঙ্খলা বিরোধী কাজে জড়িত হলে কঠোর শাস্তি প্রদানে মর্মে নোটিশ প্রদান করা হবে।
এদিকে, যৌন হয়রানির অভিযোগে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের তাসফিকুল হক নামের এক শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিস্কার এবং পরীক্ষায় অসদুপায়ের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে বিভিন্ন বিভাগের ১২ শিক্ষার্থীকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিহত বুলবুলের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দিচ্ছে শাবিপ্রবি প্রশাসন
শাবিপ্রবিতে নিহত শিক্ষার্থীর বান্ধবীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন
শাবিপ্রবিতে ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী চাকরি মেলা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ক্যারিয়ার ভিত্তিক সংগঠন ‘সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাব’র উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী চাকরি মেলা শুরু হয়েছে।
বুধবার (১লা মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে এই চাকরি মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যিলয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
'সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাব’ চতুর্থ বারের মতো সাস্টসিসি জব ফেস্ট-২৩ এর আয়োজন করেছে।
এ চাকরি মেলায় দেশের স্বনামধন্য ২৮টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সেক্টরে প্রায় তিনশ’ পদে জনবল নিয়োগ দিবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের চাহিদা অনুযায়ী চাকরি প্রত্যাশীদের বায়োডাটা সংগ্রহ করবে। আজ ও আগামীকাল (২ মার্চ) দুই দিনব্যাপী এ চাকুরী মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মেলার প্রথমদিন চাকরি প্রত্যাশীদের বায়োডাটা সংগ্রহ এবং দ্বিতীয়দিন বাছাইকৃত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে। এতে শাবিপ্রবির গ্রাজুয়েটদের পাশাপাশি সিলেটের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ নিতে পারবেন। এবাবের চাকরি মেলায় বেশ কয়েকটি কনসাল্টেন্সি ফার্মও অংশ নিচ্ছে। যেখানে স্নাতকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন।
এবারের চাকরি মেলায় পাঠাও,আইপিডিসি ফাইন্যান্স, অর্থল্যাব, প্রাণ, আরএফএল গ্রুপ, ডরিক, লিঙ্ক-৩, আরলা ফুড, এপেক্স, এডিসন রিয়েল এস্টেট, ক্রাউন সিমেন্ট, ইয়ো টেক, নাভানা গ্রম্নপ, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ড্রাস্টিজ, সিলেট ইম্পিরাল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ন্যাশনাল ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি অংশ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে গবেষণাবিষয়ক ১০ম বার্ষিক সম্মেলন শুরু
শাবিপ্রবির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে ৩২ বছর পার করে ৩৩তম বছরে পদার্পণ করেছে সিলেটের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-২ এর সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
এরপর সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখ থেকে ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে গবেষণাবিষয়ক ১০ম বার্ষিক সম্মেলন শুরু
শোভাযাত্রা শেষে মুক্তমঞ্চে দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও ত্যাগের ফলেই এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ব্রিটিশ আমল থেকে এ অঞ্চলের জনগণ একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করে।
উপাচার্য বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ফলে এ অঞ্চলের সবকিছুতে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগে। এ বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় পর্যায়েও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। আগামীতে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সেরা হতে চাই। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাই ঐক্যভাবে কাজ করলে আমরা আরও এগিয়ে যাবো।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কবীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল হাকিমসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সিলেট শহরের পাঁচ কিলোমিটার দূরে আখালিয়ায় ৩২০ একর ভূমিতে ১৯৯১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি (১লা ফাল্গুন) মাত্র তিনটি বিভাগ, ১৩ জন শিক্ষক ও ২০৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল দেশের অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয়টি। ১৯৯১ সালে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে ইংরেজি ১৩ ফেব্রুয়ারি এবং বাংলা পহেলা ফাল্গুন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হতো। কিন্তু বর্ষপঞ্জির নতুন নিয়মে পহেলা ফাল্গুন ১৩ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ১৪ ফেব্রুয়ারি হওয়ায় বিগত চার বছর ধরে এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি অনুষদের অধীনে ২৮টি বিভাগ ও দুইটি ইন্সটিটিউট রয়েছে। যেখানে ১০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ১১টি কলেজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো ২৭ শিক্ষার্থী পাচ্ছে ডিনস অ্যাওয়ার্ড
শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম সাইদুর রহমান।
মৃত মিনহাজুল আবেদীন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার সালামতপুর গ্রামের মো. ফারুক উদ্দিনের ছেলে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। এছাড়াও, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস বিষয়ক সংগঠন ‘রোবোআড্ডা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম সাইদুর রহমান জানান, বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নিজ বাড়িতে আমাদের বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মিনহাজুল আবেদীন আত্মহত্যা করেছেন। তার মা আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ফোন দিয়ে আমাদের জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, তবে কি কারণে আত্মাহত্যা করেছে সেটা জানা যায়নি। আমরা শুনেছি সে আগেও কয়েকবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল।
আরও পড়ুন: যশোরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে নারীর আত্মহত্যা
ভাবি-ভাতিজির প্ররোচনায় নিজ গলায় ছুরি চালিয়ে প্রবাসীর আত্মহত্যা!
শাবিপ্রবিতে গবেষণাবিষয়ক ১০ম বার্ষিক সম্মেলন শুরু
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক আয়োজিত ‘ ১০ম বার্ষিক কনফারেন্স অন রিসার্চ ফাইন্ডিংস’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়েছে।
শনিবার(২৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়ামে দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জে শাবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীর সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন
সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ওপর নির্ভরশীল। স্মার্ট বাংলাদেশ দেখতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আরও বেশি গবেষণা নির্ভর সম্মেলন, গবেষণার পরিধিগুলো আরও বৃদ্ধি করবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গবেষকদের বাজেট বৃদ্ধিতে,সুযোগ সুবিধা তৈরীতে পাশে আছে।
শাবি গবেষণা কেন্দ্রের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও পূবালী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শাবি গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. এস.এম সাইফুল ইসলাম এবং ভোট অফ থ্যাংকস প্রদান করেন শাবি গবেষণা কেন্দ্রের সদস্য অধ্যাপক ড. এ. জেড. এম মঞ্জুর রশীদ।
উল্লেখ্য, এবারের সম্মেলনে ১৬টি টেকনিক্যাল সেশনে সর্বমোট ১৪৪টি গবেষণাপত্র ও প্রকল্পের ফলাফল উপাস্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো ২৭ শিক্ষার্থী পাচ্ছে ডিনস অ্যাওয়ার্ড
শাবিপ্রবিতে প্রকৌশল গবেষণা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
শাবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো ২৭ শিক্ষার্থী পাচ্ছে ডিনস অ্যাওয়ার্ড
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক শ্রেণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে ছয়টি অনুষদভুক্ত ২৬টি বিভাগের ২৭ শিক্ষার্থীকে দেয়া হবে ডিনস অ্যাওয়ার্ড। বুধবার (১১ জানুয়ারি) ডিনস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও স্কুল অব ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদভুক্ত বিভাগের চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান/ইঞ্জিনিয়ারিং) চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জনকারী শিক্ষার্থীকে প্রথমবারের মতো এ অ্যাওয়ার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জে শাবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীর সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এই ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই পুরস্কার প্রদান করেন।
ডিনস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ পরিচালনা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও স্কুল অব ফিজিক্যাল সাইন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম সহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।
ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন-পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের খাইরুম হক অর্থী, রসায়ন বিভাগের রাশেদ মাহমুদ, গণিত বিভাগের মো. এবাদুর রহমান, পরিসংখ্যান বিভাগের মোহাম্মদ সাকিব ইবতিধা চৌধুরি, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের দিগন্ত দাশ, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের আতিয়া তাহিরা তাসনিম, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের জেবা ফাইজাহ রাহমান, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স বিভাগের মো. আব্দুর রহমান, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মাজহারুল হক জুবায়েদ, ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সাইন্স থেকে কাশফিয়া নেহরিন, সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে মো. নাজমুল ইসলাম রাফি, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সৌমেন দাশ ও সৈয়দা জান্নাতুস সাবা, ত্রিপলি বিভাগের দ্বিপ সরকার, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের মো. আমজাদ পাটোয়ারী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাউসার আলী, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জিনিয়া সুলতানা জ্যোতি, স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের শতাপর্না দাশ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের মিতালী সিনহা, বাংলা বিভাগের কান্তা ভৌমিক, অর্থনীতি বিভাগের মাহফুজা খাতুন রিমা, ইংরেজি বিভাগের তাসনিম সুলতানা ডেইজি, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শামীমা বেগম, লোকপ্রশাসন বিভাগের আব্দুল বাসিত, সমাজকর্ম বিভাগের ফারাহ তাসনিম এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের খাইরাতুন হিসান তন্নী।
ডিনস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও স্কুল অব ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার বলেন, ‘আগামী ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ২৬টি বিভাগের ২৭ শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে। মুজিব শতবর্ষকে সম্মানিত ও স্মরণীয় করে রাখতে ২০২০ সালের স্নাতক (সম্মান/ইঞ্জিনিয়ারিং) পরীক্ষা থেকে প্রতিবছর এ অ্যাওয়ার্ড কার্যকর হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২২২তম সভা এবং একাডেমিক কাউন্সিলের ১৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে এ ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে প্রকৌশল গবেষণা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
বাংলাদেশে পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিংয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে: শাবি অধ্যাপক
শাবিপ্রবিতে প্রকৌশল গবেষণা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শাবিপ্রবি) ফলিত বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে ‘৭ম আন্তর্জাতিক প্রকৌশল গবেষণা, উদ্ভাবন ও শিক্ষা’ শীর্ষক তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বার্তা প্রদান করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হক।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জে শাবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীর সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতির পরে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ সমানভাবে জ্বালানি সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা কিছু বিকল্প সমাধান নিয়ে আসবে যা শিল্প উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করবে।
তিনি আরও বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যতম সফল দেশ এবং এখন আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত জাতিতে পরিণত করতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।
এসময় প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট জাতিতে পরিণত করতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
আব্দুল মোমেন বলেন, ডমেস্টিক রিসোর্স মোবিলাইজেশন ইন্ডাস্ট্রিয়াল-একাডেমিয়া সম্পর্ক বাড়াতে হবে, যা প্রকৌশল গবেষণা এবং উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বজায় রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে। এই ধরনের কনফারেন্স স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির জন্য আমাদের বিষয়গুলোতে যথেষ্ট মূল্য যোগ করবে, কারণ এটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখার প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা নিয়ে কাজ করে।
ফলিত বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে সপ্তমবারের মতো আন্তর্জাতিক সম্মেলন ১২ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এ সম্মেলনে দেশ-বিদেশের প্রকৌশলী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন ও শিক্ষার উন্নয়নের ওপর তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করবেন। নিবন্ধনকারীদের মধ্য থেকে ১৯০টির বেশি গবেষণাপত্র বাছাই করা হয়। তিনদিনে চারটি প্লেনারিসহ ৩৪টি টেকনিক্যাল সেশনে এসব গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে শাবিপ্রবিতে সমর্থকদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস
শাবিপ্রবিতে ১০দিনব্যাপী 'কিনে'র বইমেলা
আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জে শাবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীর সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন
আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জ-২০২২ প্রতিযোগিতায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গণিত বিভাগের ৯ শিক্ষার্থী সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জ'২২ এর শাবিপ্রবির তত্ত্বাবধায়ক গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম সাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে আন্তর্জাতিক ইয়ুথ ম্যাথ চ্যালেঞ্জ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আমার তত্ত্বাবধানে গতবছর দুইজন অংশগ্রহণ করে পদক পেয়েছিলেন, এবার ৯জন; যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক বড় অর্জন। আগামীতে আশা করি ছাত্র-ছাত্রীদের এই অর্জন আরও বৃদ্ধি পাবে। যার মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম আর ও বাড়বে বলে আমি মনে করি।’
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে শাবিপ্রবিতে সমর্থকদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস
শাবিপ্রবি থেকে সিলভার পদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন মারুফ, ২০২০-২১ সেশনের মো. রায়হান আহমেদ রাফি।
ব্রোঞ্জ পদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের মিনিহাজ আহমেদ সামি, হাবিবুর রহমান এবং ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ওয়াসেক আল আজাদ অভি, রায়হান ইকবাল, শুভ পাল, নাজমুন নাহার ও আবু শহীদ সালমান।
প্রসঙ্গত, এবারের আন্তর্জাতিক গণিত চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় ৯৮ টি দেশের সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এতে তত্ত্বাধায়ক হিসেবে ছিলেন এক হাজার ৩০০ শিক্ষক। এ প্রতিযোগিতাটি কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড, প্রি-ফাইনাল, ফাইনাল এ তিন পর্বে সম্পন্ন হয়। প্রথম দুই রাউন্ড শেষে ফাইনালে মোট এক হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। ফাইনালে ২০টি প্রশ্ন ছিল। প্রত্যেক প্রশ্নের জন্য এক পয়েন্ট নির্ধারিত থাকে। এ থেকে সর্বোচ্চ পয়েন্টের ভিত্তিতে গোল্ড-সিলভার-ব্রোঞ্জ পদক দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ১০দিনব্যাপী 'কিনে'র বইমেলা
মানসিক রোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫% শিক্ষার্থী সচেতন: শাবিপ্রবির গবেষণা
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে শাবিপ্রবিতে সমর্থকদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস
হারলেই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ স্বপ্ন এবারের মতো শেষ হত। সেই সঙ্গে শেষ হত বিশ্বসেরা ফুটবলার মেসির বিশ্বকাপ ছুয়ে দেখার স্বপ্ন। কনকনে শীত ও শিক্ষার্থীদের চলমান পরীক্ষার পড়াশোনা উপেক্ষা করে সমর্থকরা অধীর আগ্রহে জড়ো হন বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে বড় পর্দায় খেলা দেখার জন্য। কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এর ফাইনাল খেলায় আর্জেন্টিনার জয়ে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মাতেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শাবিপ্রবি) সমর্থকেরা।
শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ নয়, এই বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস দেখতে পাওয়া যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তন ও আবাসিক হলগুলোর টিভি রুমগুলোতেও।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ১০দিনব্যাপী 'কিনে'র বইমেলা
আর্জেন্টিনা সমর্থক সিভিল এনভায়রনমেন্টাল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাশিদ মুজাহিদ রাফি বলেন, আর্জেন্টিনা অবশ্যই ভালো খেলে। কিন্তু ভাগ্য তাদের বিশ্বকাপের বেলায় ভালোভাবে সঙ্গে থাকেনি। তাদের পরিশ্রমই বলে দেয় একটা বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনার প্রয়োজন। আজকে তা পেয়ে গেলো। মেসিসহ আর্জেন্টিনার সকল খেলোয়াড়দের প্রতি শুভকামনা।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাসেল সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের একটি কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা। জীবনে পরীক্ষার মতো অনেক বিষয় আসবে। তবে মেসির বিশ্বকাপ জয়ের খেলা দেখার সুযোগ জীবনে দ্বিতীয়বার হয়তো আসবেনা। আর্জেন্টিনার এই জয়টা বাড়তি আনন্দ দিয়েছে।
ক্যাম্পাসে মুক্তমঞ্চে বড় পর্দার খেলা দেখার আয়োজক শাবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা সজীবুর রহমান বলেন, খেলার মধ্যবর্তী পরিস্থিতি অনেক দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে শেষ বেলায় আর্জেন্টিনার জয় দিয়েছে আনন্দ। ফাইনাল খেলার পূর্বেই ঘোষণা দিয়েছিলাম আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ী হলে দুইটি খাসি জবাইয়ের মাধ্যমে ভূড়িভোজের আয়োজন করবো। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে দুইটি খাসি জবাই দিয়ে ভূড়িভোজের মাধ্যমে আর্জেন্টিনার এই জয় উদযাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: মানসিক রোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫% শিক্ষার্থী সচেতন: শাবিপ্রবির গবেষণা
শাবিপ্রবির গবেষণা: হাওরের ইকোসিস্টেম সার্ভিসে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরূপণ