শাবিপ্রবি
শাবিপ্রবিতে অবাঞ্ছিত ও আজীবন নিষিদ্ধ সেই উর্মি!
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে কটূক্তি, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে আলোচনায় আসেন লালমনিরহাটের সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মি।
এ ঘটনার পর সাময়িক বরখাস্ত লালমনিরহাটের সহকারী কমিশনার, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ও আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে শাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লবের শহীদ আবু সাইদকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া, জুলাই-আগস্ট গণহত্যা তদন্ত সাপেক্ষ ও অমীমাংসিত বলে গণহত্যার সমর্থন করাসহ ফেসবুকে নানা বিভ্রান্তিকর লেখার মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিপ্লবী ছাত্রজনতার বিপ্লবকে অস্বীকার করার জন্য শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে ক্যাম্পাসে আজীবন অবাঞ্চিত ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এতে শাবিপ্রবি প্রশাসনের কাছে তাপসী তাবাসসুম উর্মীর সনদ বাতিলের দাবিও জানান শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও বর্তমান সরকারের কাছে শাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাবি করছে যে, তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার করা হোক। জুলাই বিপ্লব অস্বীকার ও শহীদদের নিয়ে কটুক্তি এবং রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য তার কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
এর আগে বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুমের (উর্মি) বিরুদ্ধে লালমনিরহাটে মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের এজাহার দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি তাহিয়াতুল হাবিব মৃদুল।
আরও পড়ুন: সহকারী কমিশনার উর্মির বিরুদ্ধে মানহানি মামলার আবেদন
৩ সপ্তাহ আগে
শাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি খলিলুর গ্রেপ্তার
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমানকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ময়মনসিংহের ভালুকা এলাকায় র্যাব-৯ ও র্যাব ১৪ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার জেনেভা ক্যাম্প থেকে 'পিচ্চি রাজা'সহ ৩৪ জন গ্রেপ্তার, অস্ত্র জব্দ
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়। খলিলুর নেত্রকোণার কেন্দুয়া থানার আব্দুল আওয়াল ছেলে।
র্যাব-৯ জানান, যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯ ও ১৪। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেপ্তার আসামিকে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে গত বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমান এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি গ্রেপ্তার
১ মাস আগে
শাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি খলিলুরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগ সভাপতি খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মশিহুর রহমান সোহেল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার খলিলুর রহমান নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার শিবপুর গ্রামের মো. আব্দুল আওয়ালের ছেলে।
এর আগে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নাহিয়ান-লেখকসহ ৬৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহের ভালুকা এলাকায় র্যাব-৯ ও র্যাব-১৪ অভিযান চালিয়ে খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
তার বিরুদ্ধে সিলেট মহানগরী পুলিশের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের পর তাকে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলায় অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তৎপড়তা ও অভিযান অব্যাহত রেখেছে র্যাব-৯।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
১ মাস আগে
শাবিপ্রবির নতুন উপাচার্য ড. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোছা. রোখছানা বেগম সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে শাবিপ্রবি আইন, ১৯৮৭-এর ধারা ১১ (১) অনুযায়ী ঢাবির অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরীকে শাবিপ্রবির উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হলো।
নিয়োগগের শর্তে বলা হয়, ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে চার বছর হবে। তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন ভাতাদি পাবেন। তিনি সব সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
নিজের অনুভূতি জানিয়ে শাবিপ্রবির নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, শাবিপ্রবির উপাচার্য হিসেবে আমাকে নিয়োগ দেওয়ায় মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার অর্জিত জ্ঞান দিয়ে শাবিপ্রবিকে বিশ্বের স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তর করতে চাই। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে শাবিপ্রবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
১ মাস আগে
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ করেছেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: আরও ১৭৭ থানার কার্যক্রম শুরু: পুলিশ সদর দপ্তর
জানা যায়, ব্যক্তিগত কারণে শাবিপ্রবি উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন। শনিবার রাষ্ট্রপতির কাছে উপাচার্য তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
এদিকে চ্যান্সেলরের সচিব হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ) বরাবর উপাচার্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পদত্যাগপত্রে বলা হয়- ব্যক্তিগত কারণে উপাচার্য পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করছেন। তার পদত্যাগ পত্রটি গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সব সদস্য, হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট সবাই রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: চাঁবিপ্রবির উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি
ঢাবি ভিসির পদত্যাগ
২ মাস আগে
সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে শাবিপ্রবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয়ে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) বন্ধ রয়েছে ক্লাস ও পরীক্ষা।
সোমবার (১ জুলাই) থেকে সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রস্তাবিত সুপারগ্রেডে অন্তর্ভুক্তকরণ এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে আন্দোলন সফল করতে কর্মবিরতি পালন করে শাবিপ্রবির শিক্ষক সমিতি।
এদিন বিভাগীয় অফিসগুলোও বন্ধ রাখেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে সব ধরনের পরীক্ষা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস।
আরও পড়ুন: সাঁতার শিখতে এসে শাবিপ্রবির পুকুরে ডুবে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
শাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-
১. শাবিপ্রবির সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা বিভাগের/ইনস্টিটিউটের ক্লাস (অফলাইন/অনলাইন) নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
২. সান্ধ্যকালীন, শুক্র ও শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের সকল ক্লাস ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
৩. শিক্ষকরা মৌখিক, মিডটার্ম, ফাইনাল ও ভর্তি পরীক্ষাসহ সব প্রকারের পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন।
৪. সব ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা সব ধরনের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন।
৫. শিক্ষকরা সিলেকশন বোর্ড, একাডেমিক কমিটি, পরিকল্পনা কমিটি, প্রশ্নপত্র সমন্বয় ও অন্যান্য সভায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন।
৬. আন্দোলন চলাকালীন সময়ে শিক্ষকরা সব প্রকারের কনফারেন্স, সেমিনার, ওয়ার্কশপ আয়োজন থেকে বিরত থাকবেন।
কর্মবিরতিকালে প্রতিদিন দুপুর ১২টা হতে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাবেন শাবিপ্রবির শিক্ষকরা
কয়েক দফা দাবিতে সোমবার থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবে শাবিপ্রবির শিক্ষকরা
৪ মাস আগে
সোমবার থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাবেন শাবিপ্রবির শিক্ষকরা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষকরা সোমবার (১ জুলাই) থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাবেন।
এ সময় ক্লাস, পরীক্ষা সবকিছুই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
রবিবার (৩০ জুন) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে শিক্ষকদের মত বিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির যে অধ্যাপক ‘মাদার অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক’ হিসেবে পরিচিত
শিক্ষকদের জন্য সর্বজনীন পেনশন-সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষকদের প্রস্তাবিত সুপারগ্রেডে অন্তর্ভুক্তকরণ ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে শাবিপ্রবি শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে যাবেন।
শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি। তাই বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে সোমবার থেকে আমরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করব। তবে সরকার আমাদের দাবি যতদিন না মানবে ততদিন সব বন্ধ থাকবে। সরকার দাবি মেনে নিলে আমরা ক্লাস, পরীক্ষায় ফিরে যাব।’
এদিকে ৩ দফা দাবি নিয়ে ৯ মে মানববন্ধন, ১১ মে কালোব্যাজ ধারণ ও ২৫ থেকে ২৭ জুন তিন দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতিসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।
শিক্ষকদের দাবিদাওয়ার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন শাবিপ্রবি শিক্ষকরা।
এ সভায় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: কয়েক দফা দাবিতে সোমবার থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবে শাবিপ্রবির শিক্ষকরা
সাঁতার শিখতে এসে শাবিপ্রবির পুকুরে ডুবে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
৪ মাস আগে
কয়েক দফা দাবিতে সোমবার থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবে শাবিপ্রবির শিক্ষকরা
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের জন্য সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, শিক্ষকদের প্রস্তাবিত সুপারগ্রেডে অন্তর্ভুক্তকরণ ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষকরা ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। এ সময় ক্লাস, পরীক্ষা সবকিছুই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
রবিবার (৩০ জুন) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে সব শিক্ষকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য শিক্ষকরা।
৩ দফা দাবি নিয়ে গত ৯ মে মানববন্ধন, ১১ মে কালো ব্যাজ ধারণ, ২৫-২৭ জুন ৩ দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতিসহ নানা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করে আসলেও শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে এখনও সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন শাবিপ্রবি শিক্ষকরা।
শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর জানান, টানা আন্দোলনে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমাদেরকে কোনো আশ্বাস দেওয়া হয় নাই। তাই বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আগামী সোমবার থেকে আমরা সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাব।
তিনি আরও বলেন, ‘১ জুলাই থেকে আমাদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে। তবে সরকার আমাদের দাবি যতদিন না মানবে ততোদিন সব বন্ধ থাকবে আর সরকার দাবি মেনে নিলে আমরা ক্লাস, পরীক্ষায় ফিরে যাব।’
৪ মাস আগে
সাঁতার শিখতে এসে শাবিপ্রবির পুকুরে ডুবে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পুকুরে সাঁতার শিখতে গিয়ে অর্ণব তালুকদার নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
অর্ণব তালুকদার সিলেট শাহ খুররম ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুকুরে গোসল করতে নামার পর ডুব দিয়ে আর না উঠলে উপস্থিত লোকজন ডাকাডাকি শুরু করে।
পরে সেখানে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সাঁতার শেখার জন্য তিনি হয়ত এসেছিলেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে৷
তিনি বলেন, পুকুরে গোসল না করার জন্য আমরা আগেই নির্দেশনা দিয়েছিলাম৷ পাশে নির্দেশনা ফলকও রয়েছে৷
পুকুরের গভীরতা বেশি থাকায় যে কারো জন্য বিপদজনক হতে পারে। তাই সবাইকে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান প্রক্টর।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার উত্তর উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে ৬৯ রোহিঙ্গা শরণার্থী উদ্ধার
কর্ণফুলী নদীতে ড্রেজিং করার সময় ডুবে গেল ক্রেন
৭ মাস আগে
বিষণ্ণতায় ভুগছেন ৭৪ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী: গবেষণা
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিষণ্ণতার হার এবং বিষণ্ণতার প্রভাবকসমূহ নিরূপণের বিষয়ে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জার্নালে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, দেশের ৭৪ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী বিষণ্ণতায় ভুগছেন।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ‘Prevalence of depression and its associated factors among undergraduate admission candidates in Bangladesh: Anation-wide cross-sectional study’ শিরোনামে একদল গবেষক বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে ২০২১-২২ এইচএসসি সেশনের প্রায় ৫ হাজার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থীর ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করেন।
এ জরিপের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ৩টি ক্যাটাগরিতে বিষণ্ণতার বিষয়টি ওঠে এসেছে। ৩০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মাল্টিডিসিপ্লিনারি কিউ-১ জার্নাল প্লস ওয়ান জি (ইম্পেক্ট ফ্যাক্টর: ৩.৭, ২০২২) এ গবেষণা প্রকাশিত হয়।
গবেষণার বিষয়ে অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, দেশের ৭৪ শতাংশ ভর্তি পরীক্ষার্থী বিভিন্ন পর্যায়ের বিষণ্ণতায় ভুগছেন। এর মধ্যে মাঝারি বিষণ্ণতায় ২৬ শতাংশ, অত্যধিক বিষণ্ণতায় ২৬ শতাংশ এবং ২২ শতাংশ শিক্ষার্থী মারাত্মক পর্যায়ের বিষণ্ণতায় ভুগছেন।’
আরও পড়ুন: জলজ খাদ্য, সম্পদ ও সম্প্রদায়ের কোভিড-১৯ এর প্রভাব নিরূপণে শাবিপ্রবির গবেষণা বিশ্বে মডেল
তিনি বলেন, বিষণ্ণতা বৃদ্ধি ও হ্রাস, উভয় পক্ষেই প্রভাবক কারণ চিহ্নিত হয়েছে। বিষণ্ণতা বৃদ্ধির পেছনে প্রভাবক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে লিঙ্গ, ব্ল্যাকমেইলের স্বীকার, পারিবারিক সমস্যা, গুরুতর অসুস্থতা, কোভিড আক্রান্ত, প্রাতিষ্ঠানিক ফলাফল, মানসিক সমস্যা।
অন্যদিকে, ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস, শরীরচর্চা, পড়াশুনার সময়, ধর্মচর্চা, বিষণ্ণতা হ্রাস করতে ভুমিকা পালন করে। পারিবারিক আয় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার বিষণ্ণতার প্রভাবক হিসেবে চিহ্নিত হলেও এদের প্রভাব খুব জোরালো নয়।
এছাড়া, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের বিষণ্ণতার সঙ্গে ধুমপানের অভ্যাস, বৈবাহিক অবস্থা, প্রেমের সম্পর্ক ও ধর্মবিশ্বাসের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও উঠে এসেছে এই গবেষনায়।
এ গবেষণার আরেক গবেষক মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ছেলেদের তুলনায় মেয়ে শিক্ষার্থীদের অত্যধিক বিষণ্ণতায় ভোগার ঝোঁক প্রায় দ্বিগুণ। খুব সম্প্রতি কোনো প্রকার ব্ল্যাকমেইলের স্বীকার হওয়া এবং পারিবারিক সমস্যায় আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের অত্যধিক বিষণ্ণতায় ভোগার ঝোঁক যথাক্রমে ২ গুণ এবং ৩ গুণ।’
আরও পড়ুন: গবেষণায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে এমএলএলডব্লিউএস’র চুক্তি
অপরদিকে, যাদের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ আছে তাদের মাঝে বিষণ্ণতার হার অধিক এবং ঝোঁক প্রায় দেড়গুণ। তবে ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি সচেতন এবং নিয়মিত শরীরচর্চাকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিষণ্ণতার হার তুলনামূলক কম এবং আক্রান্ত হওয়ার ঝোঁক যথাক্রমে ১ দশমিক ৪ এবং ২ গুণ কম।
বিষণ্ণতা হ্রাস করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সৎসঙ্গ এবং উত্তম পারিবারিক পরিবেশ ও বোঝাপড়ার কোনো বিকল্প নেই। সেইসঙ্গে শরীরচর্চা এবং ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি সচেতনতাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীদের শুধু দৈহিক সুস্বাস্থ্যই নয়, মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাও অপরিহার্য। শুধু ভালো একাডেমিক ফলাফল নয়, দৈহিক ও মানসিকভাবে বলিষ্ঠ প্রজন্ম গড়ে তুলতে হলে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্রের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।’
গবেষণাটিতে অবদান রেখেছেন শাবিপ্রবি পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাফিউল হাসান ও আল মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মুনমুন সরকার, যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান মিলাদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশবিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী আখের আলী, চট্টগ্রাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জুবায়ের আহমেদ।
আরও পড়ুন: গবেষণায় ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির ৪ গবেষক
১০ মাস আগে