স্বীকারোক্তি
লাবণ্যকে হত্যার স্বীকারোক্তি দিল কিশোর
৫ বছর বয়সি লাবণ্য আকতারের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রিফাত (১৩) নামে এক কিশোর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
নিখোঁজের ৫ দিন পর ২৯ নভেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে কোষাডাঙ্গীপাড়া গ্রামের একটি আঁখের খেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
রিফাতের বাড়ি দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলায়। সে কোষামন্ডলপাড়ায় নানার বাড়িতে থেকে লেখা পড়া করত।
পীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিদ্যুৎ কুমার চৌধুরী বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে রিফাত।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ৫ দিন পর শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, লাবণ্যের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের পর রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার পীরগঞ্জের ভাদুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রিফাত এবং কোষাডাঙ্গীপাড়ার হুসেন আলীকে আটক করে।
ওসি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত লাবণ্যকে হত্যার দায় স্বীকার করে এবং শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়।
স্বীকারোক্তিতে রিফাত জানায়, গত ২৩ নভেম্বর বিকালে তারা খেলছিল। খেলার সময় লাবণ্য খুব দুষ্টুমি করছিল। তাই রাগের মাথায় রিফাত এক পর্যায়ে ঐ শিশুর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে ঐ শিশুর লাশ পাশের আঁখ খেতে ফেলে রাখে।
এছাড়া আটক হুসেন আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ইন্সুরেন্স কর্মী নিহত, আটক ১
২ সপ্তাহ আগে
নীরব হত্যা: ৫ শিক্ষার্থীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল সনি-তে প্রচারিত ‘ক্রাইম পেট্রোল’ সিরিয়াল দেখে অপহরণ ও পরে হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পাঁচ কিশোর খুলনার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
খুলনার ডুমুরিয়ার এসিজিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নীরব মন্ডল হত্যা এবং মুক্তিপণ হিসেবে ৩০ লাখ টাকা দাবি করার কথাও প্রকাশ করে তারা।
কিশোর অপরাধীদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক রনক জাহান।
আদালতের সূত্র জানায়, শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পাঁচ কিশোর পর্যায়ক্রমে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জাবানবন্দি প্রদান করে। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের শনিবার সংশোধানাগারে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিশু: ভাইরাসের নীরব শিকার
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা দেড় মাস আগে ভারতের জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রোল দেখে অপহরণের বিষয়ে তামিল নেয়। এ সময় থেকে তারা নীরব মন্ডলকে টার্গেট করে। সুযোগ খুঁজতে থাকে কীভাবে নীরবকে অপহরণ করা যায়।
আদালত সূত্রে আরও জানা যায়, তারা পাঁচ জনের একটি টিম গঠন করে। কিশোর আসামি হীরক সরস্বতী পূজার আগে ও পরে নীরবকে অপহরণের টার্গেট নেয়। কিন্তু প্রথম ধাপে সে সফল হতে পারেনি। এরপর দায়িত্ব নেয় পিয়াল, কিন্তু সেও ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নীরব মন্ডলকে ডেকে নেয় তারা।
এর আগে হত্যাকাণ্ডের স্থানে অভিযুক্ত স্কুলছাত্র পিতু বাড়ি থেকে নাইলনের রশি, তালা ও চাবি নিয়ে অবস্থান করতে থাকে। অপেক্ষার পর স্কুলের পাশে ওই পরিত্যক্ত ভবনে নীরবকে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পিতু বা দ্বীপ গলায় রশি পরিয়ে দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে নীরবকে হত্যা করা হয়। মারা যাওয়ার আগে নীরবের সমস্ত শরীর নাড়া দিলে ভয় পেয়ে যায় আসামিরা। পিতু গলার রশি খুলে দেয় আর পিয়াল নীরবকে ধরে রাখে।
নীরবের মৃত্যুর পর তার বাবা শেখর মন্ডলকে ফোন দেয় পিতু। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে ছিল সোহেল। তারা নীরবের বাবার কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর নীরবের বাবা ও তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সোহেল ফোনের কল বন্ধ করে রাখে। তারা ওই ভবনের পেছনের দরজা তালা দিয়ে রেখে চলে যায়।
তাদের ধারণা ছিল- শুক্র, শনি ও রবিবার (মাঘী পূর্ণিমা) স্কুল ছুটি। এই তিন দিনের মধ্যে তারা সকল আলামত নষ্ট করে ফেলবে যাতে স্কুলে এমন ঘটনা ঘটেছে, কেউ টের না পায়। কিন্তু তা হয়ে উঠেনি। ঘটনার পর রাত ১১ টার দিকে তারা আবারও নীরবের বাবার ব্যবহৃত ফোনে কল করে মুক্তিপণ দাবি করে। আর ওই ফোন কলের সূত্র ধরেই পুলিশের জালে আটকা পড়ে অভিযুক্তরা।
পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে প্রথমে সোহেলকে আটক করে। পরবর্তীতে অপর অভিযুক্তদের একে একে গ্রেপ্তার করে। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে আদালতেও ঘটনার আদ্যপান্ত বর্ণনা দেয় তারা।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে তারা। পরবর্তীতে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়ার কথা তাদের জানালে তারা দিতে রাজি হয়। বিকাল ৪টার দিকে তাদের আদালতে নেয়া হয়। পরে ক্রমান্বয়ে তারা আদালতে জবানবন্দি দিতে থাকে।
উল্লেখ্য, অপহরণ করার পর গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করা সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নীরব মন্ডল খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া পূর্বপাড়া এলাকার পান-সুপারি ব্যবসায়ী শেখর মন্ডলের ছেলে। বৃহস্পতিবার তাকে দেড়টার দিকে অপহরণ ও বেলা ৩টার দিকে গুটুদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে হত্যা করা হয়।
হত্যায় জড়িতরা হচ্ছে-গুটুদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র সোহেল মোল্লা (১৫), হীরক রায়(১৫) ও পিতু মণ্ডল(১৪), দশম শ্রেণির ছাত্র পিয়াল রায় (১৫) ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র দ্বীপ মণ্ডল (১৩)।
এর মধ্যে পিয়ালের বাড়ি ডুমুরিয়ার ভান্ডারপাড়া তেলিগাতি এলাকায় এবং অন্য চারজনের বাড়ি গুটুদিয়া এলাকায়।
আরও পড়ুন: মুক্তিপণের জন্য ক্রাইম পেট্রোলের কায়দায় নীরবকে অপহরণের পর হত্যা
‘নীরব ঘাতক স্লিপ এপনিয়া’
১ বছর আগে
স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা, স্বামীর স্বীকারোক্তি
বিয়ের দুই মাসের মাথায় চাঁদপুর সদর উপজেলার লালপুর গ্রামে দাম্পত্য কলহের জেরে নববধূকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্বামী।
অভিযুক্ত স্বামী বৃহস্পতিবার আদালতে এ হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
নিহত আমেনা আক্তার (২০) উপজেলার মধ্যমচর গ্রামের এনাল হক প্রধানিয়া মেয়ে।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: একজনের স্বীকারোক্তি, ৫ জন রিমান্ডে
অভিযুক্ত স্বামী শামীম গাজী (২৩) উপজেলার লালপুর গ্রামের মান্নান গাজীর ছেলে।
চাঁদপুর মডেল থানা উপপরিদশর্ক (এসআই) শাহরিন হোসাইনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বুধবার দিবাগত রাতে বিষ্ণুপুর থেকে হত্যা মামলার আসামি শামীম গাজীকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘গালাগাল’ করায় সাবেক চেয়ারম্যানকে খুন,গৃহকর্মীর স্বীকারোক্তি
এলাকাবাসীর বরাতে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রশিদ জানান, দুই মাস আগে উপজেলার মধ্যমচর গ্রামের এনাল হক প্রধানিয়ার মেয়ে আমিনার সাথে লালপুর গ্রামের মান্নান গাজীর ছেলে শামীম গাজীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এর জের ধরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে এবং এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়। এরপর থেকে শামীমসহ পরিবারের সবাই গা ঢাকা দেয়।
আরও পড়ুন: ও লেভেল শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণ ও হত্যা’: মামলায় আসামির স্বীকারোক্তি
এদিকে, এই ঘটনায় নিহত আমেনার বড় ভাই সুমন বাদী হয়ে নিহতের স্বামী শামীম গাজী, আল আমিন গাজী (৩৫) ও শাহ আলম (৩০) সহ আরও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে চাঁদপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
৩ বছর আগে
পরকীয়ার বলি মেয়ে: মায়ের স্বীকারোক্তি
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে পরকীয়া সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ায় মা ও তাঁর কথিত প্রেমিক মিলে কুপিয়ে হত্যা করে মেয়ে নওরোজ আফরিন প্রিয়াকে (২১)।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে মা তাহমিনা সুলতানা রুমি (৪১) জেলার বিচারিক হাকিম কাতির্ক চন্দ্র ঘোষের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা জানিয়েছেন বলে ইউএনবি-কে নিশ্চিত করেছেন শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. মান্নান। তিনি বলেন, মেয়ে মায়ের পরকীয়া দেখে ফেলায় আসামিরা পরিকল্পনা করে প্রিয়াকে তাদের পথ থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ায় মামলা
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আসাদুল ইসলাম জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ রায়শ্রী ইউনিয়নের আহাম্মদনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কথিত প্রেমিক প্রিয়াদের প্রতিবেশী আ. হান্নান (৩১)। গত ২২ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকালে হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুমি ও হান্নানকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জন্য মৌখিক তালাক দেয়ায় প্রবাসী স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানান, প্রিয়ার বাবা ইসমাইল হোসেন বিদেশে থাকার সুবাদে ৫/৬ বছর পূর্বে প্রিয়ার মা রুমির সাথে হান্নানের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রিয়া নিজেই একদিন আপত্তিকর অবস্থায় তাদের দেখে ফেলে। পরে বিষয়টি মামলা পর্যন্ত গড়ায়। ইসমাইল হোসেন স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের বিষয়ে সৌদি আরব থেকে জানতে পেরে তার সাথে ছাড়াছাড়ির সিদ্ধান্ত নিলে স্থানীয়ভাবে শালিশের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়। এরপর হান্নান বিদেশে চলে যায়। হত্যাকাণ্ডের এক মাস আগে হান্নান দেশে আসে। ঘটনার দিন রুমির সঙ্গে মিলে প্রিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে।
পুলিশ সুপার মলিন মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। আরও কোন তথ্য পাওয়া গেলে আপনাদের জানাবো।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে স্বামী খুন!
৩ বছর আগে
অবশেষে বরিশালে কলেজছাত্রী গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
বগুড়ার গাবতলীর সৈয়দ আহম্মেদ কলেজের একাদশ শ্রেণির নিখোঁজ ছাত্রী নাজনীন আক্তারের লাশ ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওই ছাত্রীকে তার স্বামী সাকিব হোসেন হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেয়ায় বরিশালের বাবুগঞ্জ ও গৌরনদীর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিনদিনের মাথায় লাশ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন একটি ধানক্ষেত থেকে নাজনীন আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, ফেসবুকের মাধ্যমে বগুড়া সেনা নিবাসের ঝাড়ুদার সাকিব হোসেনের সাথে বগুড়া সদরের সাবগ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে কলেজ ছাত্রী নাজনীন আক্তারের পরিচয় হয়। ভূয়া ঠিকানা দিয়ে গত বছরের ১ অক্টোবর নাজনীনকে বিয়ে করে সাকিব।
নাজনীনের ভাই আব্দুল আহাদ জানান, গত ২৪ মে বাবার অসুস্থতার কথা বলে নাজনীনকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোরে বাবার ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে সাকিব। ওইদিন স্বামীর দারিদ্রতা নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে নাজনীনকে হত্যা করে লাশটি বাসার পাশে সেফটিক ট্যাকিংতে ফেলে দেয় সে। দুদিন ধরে নাজনীন ও সাকিবের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ২৬ মে বগুড়া সদর থানায় সাধারন ডায়েরি করে তার বাবা। এর সূত্র ধরে সাকিবকে আটক করে পুলিশ। সাকিব তার স্ত্রীকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করায় পর সেই অনুযায়ী গত তিন দিন ধরে বরিশালের দুই উপজেলায় নাজনীনের লাশ উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ।
সাকিব হাওলাদার জানায়, নিজেকে অবস্থা সম্পন্ন পরিবারের ছেলে পরিচয় দিয়ে নাজনীনকে বিয়ে করেছিল সে (সাকিব)। ২৪ মে স্ত্রী নাজনীনকে নিয়ে গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের হরহর গ্রামের ভাড়াটিয়া বাসায় আসে। সেখানে এসে স্ত্রী নাজনিন জানতে পারে তার বাবা আব্দুল করিম পেশায় ভ্যান চালক। আর্থিক অবস্থা খুবই নাজুক। এসময় সাকিবের কাছে নাজনীন এসব কথা গোপন করার কারণ জানতে চাইলে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সে নাজনীনের গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে নাজনিনকে হত্যা করে।
সোমবার সাকিবের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জের নতুন চরজাহাপুর গ্রামের বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তায় তল্লাশি চালায় বগুড়া সদর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে পার্শ্ববর্তী গৌরনদী থানা পুলিশের সহায়তায় ওই উপজেলার বাটাজোরের হরহর গ্রামে সাকিবের বাবা করিম হাওলাদারের ভাড়া বাসা সহ আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায় তারা। দ্বিতীয় দিনের অভিযানে ভাড়া বাড়ির সেফটিক ট্যাকিং থেকে একটি ওড়না এবং একটি নখের অংশ বিশেষ উদ্ধার হয়। তবে তার লাশ উদ্ধার হয়নি। তৃতীয় দিনের গৌরনদী থানা পুলিশের অভিযানে নাজনীনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বদ্ধ ঘর থেকে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
গৌরনদী থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন একটি ধানক্ষেত থেকে বস্তাবন্দি এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের ধারণা সেটা নাজনীনের লাশ। নাজনীনের বাবা-মাকে বরিশালে আসতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন বরিশালের পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন।
৩ বছর আগে
আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: একজনের স্বীকারোক্তি, ৫ জন রিমান্ডে
সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার চালক সুমন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া বাকি পাঁচ জনের প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
শনিবার বিকেলে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসা. শাহাজাদী তাহমিদার আদালতে রিমান্ড শুনানি শেষে আসামি পাঁচ জনকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এর আগে দুপুরে প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ছয় আসামিকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
ঢাকা জেলা কোর্ট পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আশুলিয়া থেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এদের মধ্যে আসামি চালক সুমন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শুনানি শেষে অপর পাঁচআসামির প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন-ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আরিয়ান (১৮), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার তারাগুনা এলাকার মৃত আতিয়ারের ছেলে সাজু (২০), বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে সুমন (২৪), নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার ধামঘর এলাকার জহুর উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার (২৪), বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহাগ (২৫) ও বগুড়া জেলার ধুপচাচিয়া থানার জিয়ানগর গ্রামের সামছুলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)। তারা সবাই তুরাগ থানার কামারপারা ভাসমান এলাকায় ভাড়া থেকে এবং আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কে মিনিবাস চালাত।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৬
এ ঘটনায় শনিবার সকালে ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ওই ছয়জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেছেন।
আশুলিয়া থানা-পুলিশ ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী নারায়ণগঞ্জে স্বামী ও সন্তান নিয়ে থাকেন। তিনি সেখানে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। তার বোন মানিকগঞ্জে থাকেন। গতকাল শুক্রবার তিনি বোনের বাসায় যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে নারায়ণগঞ্জে নিজের বাসায় ফেরার পথে বাসে তিনি ধর্ষণের শিকার হন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে পিতা গ্রেপ্তার
পরে টহল পুলিশ বাসটি থামিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। এ সময় ছয়জনকে আটক করে পুলিশ।
৩ বছর আগে
চীনা টিকার কার্যকারিতা কম, দেশটির কর্মকর্তাদের স্বীকারোক্তি
করোনাভাইরাসের চীনের ভ্যাকসিনগুলোর দুর্বলতার এক বিরল স্বীকারোক্তি দিয়ে ওই দেশের শীর্ষস্থানীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনা ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতা কম। একই সাথে সরকার এটি বৃদ্ধির জন্য তাদের দেশীয় ভ্যাকসিনে মিশ্রণের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চেংদুতে শনিবার এক সম্মেলনে চীনের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের ডিরেক্টর গাও ফু বলেন, চীনের ভ্যাকসিনগুলোর উচ্চ সুরক্ষা হার নেই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্য সচিব
পূর্বের পরীক্ষামূলক ম্যাসেঞ্জার আরএনএ বা এমআরএনএ প্রক্রিয়া ব্যবহার করে তৈরি ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে সন্দেহ প্রচার করার চেষ্টা করার সময় বেইজিং বিদেশে কয়েক’শ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন বিতরণ করেছে।
গাও বলেন, ‘টিকাদান প্রক্রিয়ার জন্য আমাদের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত পন্থা থেকে বিভিন্ন ভ্যাকসিন ব্যবহার করা উচিত কিনা তা এখন আনুষ্ঠানিক বিবেচনার মধ্যে রয়েছে।’
রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা গাও এর মন্তব্য বা সরকারি পরিকল্পনার সম্ভাব্য পরিবর্তন সম্পর্কে প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেয়নি।
আরও পড়ুন: সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন শিশুদের ক্ষেত্রে কার্যকর
তবে সিডিসির অপর এক কর্মকর্তা বলেন, বিশেষজ্ঞরা এমআরএনএ ভিত্তিক ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ অব্যাহত রাখুন: ডব্লিউএইচও
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিনগুলো মিশ্রণ বা অনুক্রমিক টিকাদান রোগ প্রতিরোধ কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। ব্রিটেনের গবেষকরা ফাইজার-বায়োএনটেক এবং ঐতিহ্যবাহী অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের একটি সম্ভাব্য সংমিশ্রণের বিষয়ে গবেষণা করছেন।
৩ বছর আগে
রংপুরে মেয়েকে জবাই করে হত্যা, মায়ের স্বীকারোক্তি
রংপুরের বদরগঞ্জে মেয়েকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মা নুরনাহার বেগম। শনিবার বদরগঞ্জ আমলি আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন।
৩ বছর আগে
যশোরে সাড়ে ৩ কেজি ওজনের সোনার বারসহ আটক ৩
ভারতে পাচারের সময় যশোরের বাহাদুরপুর বাজার থেকে সোমবার দুপুরে সাড়ে ৩ কেজি ওজনের সোনার বারসহ তিনজনকে আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) সদস্যরা।
৪ বছর আগে
এমসি কলেজে ধর্ষণ: আদালতে তিন আসামির স্বীকারোক্তি
সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিন আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম।
৪ বছর আগে