আরও পড়ুন:রংপুরে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু
এর আগে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহবুবা আক্তার মেরির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর শনিবার সকালে মেনজাজুল হক ও নুরনাহার বেগমকে আটক করে পুলিশ। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন নুরনাহার বেগম।
আরও পড়ুন:রংপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ: এএসআই গ্রেপ্তার
নিহত মেরি উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বুজরুক হাজিপুর এলাকার মেনহাজুল হকের মেয়ে। তিনি স্থানীয় ওয়ারেসিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিলেন। মেরির বাবা মেনজাজুল হক স্থানীয় রামনাথপুর বি ইউ দাখিল মাদরাসার সুপার ইনটেনডেন্ট।
আরও পড়ুন:রংপুরে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন
জবানবন্দি দেয়ার পূর্বে মেরির হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে মেরির মা নুরনাহার বলেছিলেন, ‘ঘটনার সময় মেরির ঘর থেকে চিৎকার শুনে গিয়ে দেখেন মেরির গলা দিয়ে রক্ত ঝরছে। কিছুক্ষণ পর মেয়েটা নিস্তেজ হয়ে যায়। আমার মেয়ে মৃগী রোগের কারণে ছোট বেলা থেকে অসুস্থ। এ কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে।’
আরও পড়ুন:রংপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, এএসআই বরখাস্ত
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় মেরির বাবা ও মাকে শনিবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েকে জবাই করে হত্যার কথা স্বীকার করেন নুরনাহার বেগম। পরে তাকে বদরগঞ্জ আমলি আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।