৫ বছর বয়সি লাবণ্য আকতারের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রিফাত (১৩) নামে এক কিশোর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
নিখোঁজের ৫ দিন পর ২৯ নভেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে কোষাডাঙ্গীপাড়া গ্রামের একটি আঁখের খেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
রিফাতের বাড়ি দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলায়। সে কোষামন্ডলপাড়ায় নানার বাড়িতে থেকে লেখা পড়া করত।
পীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিদ্যুৎ কুমার চৌধুরী বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে রিফাত।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ৫ দিন পর শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, লাবণ্যের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের পর রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার পীরগঞ্জের ভাদুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রিফাত এবং কোষাডাঙ্গীপাড়ার হুসেন আলীকে আটক করে।
ওসি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত লাবণ্যকে হত্যার দায় স্বীকার করে এবং শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়।
স্বীকারোক্তিতে রিফাত জানায়, গত ২৩ নভেম্বর বিকালে তারা খেলছিল। খেলার সময় লাবণ্য খুব দুষ্টুমি করছিল। তাই রাগের মাথায় রিফাত এক পর্যায়ে ঐ শিশুর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে ঐ শিশুর লাশ পাশের আঁখ খেতে ফেলে রাখে।
এছাড়া আটক হুসেন আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ইন্সুরেন্স কর্মী নিহত, আটক ১