কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার তৃতীয় মেধা তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির পরও আরও এক হাজার ২৭০টি আসন শূন্য রয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের জ্যৈষ্ঠ শিক্ষকরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় যোগদান করে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে তারা সময় মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
গুচ্ছ পদ্ধতিতে যোগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি নিজস্ব স্বতন্ত্র হারিয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এম মিজানুর রহমান জানান, বুধবার অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় তারা গুচ্ছ পদ্ধতিতে যোগ না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালামের সঙ্গে শিগগিরই কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ইবির ইংরেজি বিভাগের নতুন সভাপতি ড. মেহের
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট দুই হাজার ৯৫টি আসনের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় মেধা তালিকা থেকে ৮২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক বিভাগের পরিচালক এটিএম এমদাদুল আলম বলেন, শূন্য থাকা এক হাজার ২৭০টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘ক’ ইউনিটে ২৭৫টি; কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের অধীনে ‘বি’ ইউনিটে ৭৪৬টি এবং ব্যবসায় প্রশাসনের অধীনে ‘সি’ ইউনিটে ২৫০টি আসন খালি রয়েছে।
আসন্ন মেধা তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করে এসব শূন্য আসন পূরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
ইবির আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক এম আহসান-উল-আম্বিয়া বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তারা তৃতীয় মেধা তালিকার ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।
আরও পড়ুন: ইবির শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ১২ ডিসেম্বর
তিনি বলেন, তৃতীয় মেধা তালিকার পরও আসন শূন্য থাকলে সংশ্লিষ্ট অনুষদ তাদের নিজস্ব প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা করতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক এম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা পুরো তথ্য নিয়ে কাজ করছি। কয়েকদিনের মধ্যে ওয়েবসাইটে নতুন মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে।’