ইবি
ইবির বাসের চাপায় বাইসাইকেল আরোহী নিহত
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দোতলা বাসের চাপায় জাহিদুল ইসলাম নামে এক বাইসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।
শহরের জেলখানা মোড় এলাকায় মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ঘটনাটি ঘটে।
জাহিদুল ইসলাম শহরের হাউজিং এ ব্লকের মৃত নূর উদ্দিনের ছেলে। এছাড়া শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকার টেইলার্সের মালিক ছিলেন জাহিদুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, বাইসাইকেল করে জাহিদুল টেইলার্সে যাচ্ছিলেন। এ সময় জেলখানার মোড় এলাকায় ইবির একটি দোতলা বাস জাহিদুল ইসলামকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
পরে জাহিদুলের লাশ ঘটনাস্থলে পড়ে থাকলেও বাসচালক বাস নিয়ে ১৫০ মিটার দূরে চলে যায়। তখনও বাসের সঙ্গে আটকে ছিল বাইসাইকেলটি। পরে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা চালককে মারধর এবং ভাঙচুর করে বাসের গ্লাস।
বাসচালক সেলিম কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেলিমের বাড়ি সিরাজগঞ্জ বলে জানিয়েছে তারই আরেক সহকর্মী।
জাহিদুলের ছেলে শাহীনুর হাবীব লালন বলেন, সকালে বিছানা থেকেই শুনতে পেলাম বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। জেলখানা মোড়ের মতো ব্যস্ত জায়গায় একজন বাইসাইকেল চালকের বাসের নিচে পড়ার কথা না। চালক বেপরোয়া গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আমরা তার বিচার চাই।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘাতক বাসটিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বাসচাপায় জামায়াত নেতার মৃত্যু
৩ দিন আগে
ইবিতে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ৬ শিক্ষার্থী আটক
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলে র্যাগিংয়ের ঘটনায় ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ৩৩০ নম্বর কক্ষে র্যাগিংয়ের এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে ১৬ নভেম্বর রাতে ক্যাম্পাসের পাশের একটি ছাত্রাবাসে প্রথম দফায় র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে। এরপর দ্বিতীয় দফায় র্যাগিংয়ের সময় হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা খবর পেয়ে অভিযুক্ত ছয় শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
আটক শিক্ষার্থীরা হলেন- সাব্বির হোসেন, শেহান শরীফ শেখ, লিমন হোসেন, কান্ত বড়ুয়া, সাকিব খান এবং ল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সঞ্চয় বড়ুয়া।
এর আগে ১৬ নভেম্বর প্রথম দফায় র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন-ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সাব্বির হোসেন, লিমন হোসেন, শেহান শরীফ, কান্ত বড়ুয়া, সাকিব খান ও জিহাদ। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা-গবেষণা নিশ্চিত করা হবে: ভিসি নসরুল্লাহ
শফিউল্লাহর নেতৃত্বে আটজন শিক্ষার্থী মিলে নবীন ১৬ শিক্ষার্থীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসানুল বান্না অলিসহ হলের শিক্ষার্থীরা তাদের হাতেনাতে ধরে থানায় হস্তান্তর করেন।
জানা যায়,গত রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভুক্তভোগীদের ডাকে অভিযুক্ত শেহান। পরে তাদের লালন শাহ হলের ৩৩০ নম্বর রুমে ডাকেন অভিযুক্তরা। অতঃপর ভুক্তভোগী সাইম, রাকিবুল, শামীম, রাকিব, হামজা, তারেক, রিশান, তানভীর এবং মামুনসহ ঐ রুমে যান। একপর্যায়ে চারজনকে রেখে (শামীম, সাইম, রাকিবুল, হামজা) বাকিদের অ্যাসাইনমেন্ট লেখা লাগবে বললে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর চারজনের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে অভিযুক্ত সাব্বির ও সঞ্চয়।
এ সময় ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজনকে পাঁচ রকম হাসি দিতে বলা হয়, আরেকজনকে কল দিয়ে বাজে ভাষা বলতে বলা হয় এবং আরেকজনকে নাচতে বলা হয়। এ সময় হলের সিনিয়র শিক্ষার্থী হাসানুল বান্না উপস্থিত হয়ে তাদের হাতেনাতে ধরেন এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অভিযুক্তদের থানায় হস্তান্তর করেন।
এদিকে এর আগে গত ১৬ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে নবীন ব্যাচের ১২জন শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী একটি ছাত্রাবাসে ডাকেন অভিযুক্তরা। পরে তাদেরকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পর্ণ সিনেমার তারকাদের নাম জিজ্ঞেস করা হয়। কাউকে পর্ণ তারকা সেজে অভিনয়ও করতে বলা হয়। এছাড়া তিনজনকে দিয়ে অশ্লীল কবিতা পাঠ করানো হয়। আরেকজনকে বলে রিলেশনশীপের ওপর অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে। এরকম নানা হয়রানির পর হুমকিও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭৪৫ আসন খালি
এ সময় উপস্থিত অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শফিউল্লাহ,তরিকুল, মুকুল, সাব্বির, সাকিব, শেহান, কান্ত বড়ুয়া এবং জিহাদ।
এদিকে র্যাগিং চলা অবস্থায় হাতেনাতে ধরা হলটির সিনিয়র শিক্ষার্থী হাসানুল বান্না বলেন, ‘আমার কাছে অভিযোগ আসে, হলের ৩৩০ নম্বর রুমে র্যাগিং চলতেছে। তারপরেই আমি সেখানে গিয়ে দেখি সাব্বির এবং সঞ্চয় দুজন মিলে ওদেরকে র্যাগ দিচ্ছে। পরে তারা ঘটনার কথা অস্বীকার করে। এর পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের কয়েকজন বন্ধু ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তখন ভুক্তভোগীরা র্যাগিং চলছিল বলে নিশ্চিত করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযুক্তদের থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত শরীফ শেহান বলেন, ‘আমি হলের কক্ষে ছিলাম না। পরে আমাকে ডাকা হয়। এ সময় ভিতরে গিয়ে বান্না ভাইকে দেখতে পাই। এর আগে গতদিন মেসে জুনিয়রদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। ওদিন ভিসি, প্রক্টর স্যারের নামসহ, বিভাগের সব শিক্ষকের নাম জিজ্ঞেস করা হয়। কেউ না পারলে তাকে একটু ধমকও দেওয়া হয়। তবে এ সময় কারো মারধর বা শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি। তবে বাকি অভিযোগগুলোর বিষয়ে কিছুটা সত্যতা রয়েছে বলেও জানান তিনি।’
আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
এদিকে ইবি থানার কর্তব্যরত অফিসার এস আই মাসুদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের কাছে ছয়জনকে নিয়ে এসেছেন। পরে তাদের থানায় পুলিশি হেফাজতে নিরাপদে রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
৩ দিন আগে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬টি বোমা উদ্ধার
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান থেকে ছয়টি দেশীয় বোমা উদ্ধার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন আজাদ জানান, লালন শাহ হলের পকেট গেটে দুটি দেশীয় বোমা পড়ে থাকতে দেখে একদল শিক্ষার্থী প্রক্টরিয়াল বডিকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে বোমাগুলো উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ৪ ভোটকেন্দ্রে আগুন, হাতবোমা উদ্ধার
পরে শহীদ জিয়াউর রহমান হল সংলগ্ন এলাকা থেকে একটি, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদসংলগ্ন এলাকা থেকে দুটি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এলাকা থেকে একটিসহ চারটি দেশীয় বোমা উদ্ধার করা হয়।
প্রক্টর বলেন, দুর্বৃত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির জন্য এসব বোমা রেখে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে দুর্বৃত্তের ছোঁড়া পেট্রোলবোমায় আহত ২
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আমরা পুলিশকে জানিয়েছি এবং তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।’
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও গণমাধ্যম) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বাসে টাইম বোমার মতো বস্তু উদ্ধার
১০ মাস আগে
ইবিতে ই-পেমেন্ট সেবা চালু
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেনদেন সহজ করার লক্ষ্যে ই-পেমেন্ট সেবা চালু করেছে কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) ইবির তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক রাজিবুল ইসলামের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইবির উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আব্দুস সালাম ই-পেমেন্ট সেবার উদ্বোধন করেন।
এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ব্যাংকে না গিয়েই অনলাইনে ভর্তি, পরীক্ষা ও আবাসিক হল ফিসহ সব ধরনের ফি পরিশোধ করতে পারবে।
অগ্রণী ব্যাংকের ই-পেমেন্ট সার্ভিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের আইডি ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে সব শিক্ষার্থীরা এই সেবা পাবে।
ইবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ফি দেওয়ার জন্য সুবিধাজনক ও কার্যকর উপায় হবে এই অনলাইন ব্যাংকিং পরিষেবা। ই-পেমেন্ট পরিষেবা শিক্ষার্থীদের সময় ও ঝামেলা কমাবে।
তিনি আরও বলেন, এটি ব্যাংকে যাতায়াত করা মানুষের সংখ্যা কমাতে সাহায্য করবে। শিক্ষার্থীরা সেবাটি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চালক নিয়োগ: অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ায় ইবি ছাত্রলীগ সভাপতির জিডি
ইবিতে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ১২
১১ মাস আগে
ইবিতে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ১২
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিভিন্ন বিভাগের অন্তত ১২ শিক্ষার্থীর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের তুর্জো খান, সিয়াম ও শফি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের জিয়ন সরকার ও কবির হোসেন, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিজন রায়, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মেজবাহ উদ্দিন এবং ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের জাকির হোসেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল খেলার মাঠে একসঙ্গে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার জন্য বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে তারা একে অপরের উপর লাঠি ও ইট দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই উভয় গ্রুপের অন্তত ১২ জন আহত হয়। অন্য শিক্ষার্থীরা আহতদের উদ্ধার করে ইবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ইবি প্রক্টরিয়াল বডির একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ১০
বগুড়ায় আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশের ওসিসহ আহত ৩১
১ বছর আগে
ইবি ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীসহ ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেডিকেল সেন্টার ভাঙচুরের অভিযোগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক এক কর্মী এবং মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগে আরও দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এছাড়া সারাদেশের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের প্রথা বন্ধে নবীন শিক্ষার্থীদেরকে নির্যাতনে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও তিন শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্বো, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের হিশাম নাজির শুভ ও একই বিভাগের মিজানুর রহমান ইমন।
আরও পড়ুন: ফুলপরীকে নির্যাতন: ইবির পাঁচ ছাত্রীকে নতুন করে শাস্তি আরোপের নির্দেশ হাইকোর্টের
এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দিন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিব। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন লঙ্ঘনের দায়ে কাব্য, শুভ ও ইমনের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের আদেশ জারি করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ।
প্রক্টর বলেন, মেডিকেল সেন্টার ভাঙচুরের ঘটনায় কাব্যকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং শুভ ও ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক নবীন শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে।
হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীকে নির্যাতনে শুভ ও ইমনকে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে পুলক, সাকিব ও আকিব নামে আরও তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রক্টর।
এর আগে গত ১১ জুলাই কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরঞ্জাম ভাংচুর করে কাব্য ও তার দুই সহযোগী।
এ ঘটনায় গত ১৫ জুলাই তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের হিশাম নাজির শুভ, মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দিন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিবসহ একদল শিক্ষার্থী একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান অডিটোরিয়াম এলাকায় নিয়ে এসে মানসিক নির্যাতন চালায়। তারা আবারও তাকে নির্যাতন করে।
এ ঘটনায় গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রক্টর এম শাহাদাত হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক শেলিনা নাসরিন ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৬ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ইবি কর্মকর্তাদের আন্দোলন
ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের সাবেক ৫ নেতা-কর্মীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
১ বছর আগে
১৬ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ইবি কর্মকর্তাদের আন্দোলন
অবসরের বয়স বাড়ানো এবং ওয়ার্ড কোটায় সন্তানদের ভর্তির নীতি প্রণয়নসহ ১৬ দফা দাবিতে কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আওতাধীন প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেন।
তাদের ১৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
অবসরের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ বছর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছাত্র-ছাত্রীদের ওয়ার্ড কোটায় ভর্তির জন্য অবিলম্বে উদ্যোগ নেওয়া প্রভৃতি।
কাজ বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ জন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে তাদের সার্টিফিকেট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৫ জন বহিষ্কার
অনেক শিক্ষার্থী জানান, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মবিরতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। তারা একের পর এক ভোগান্তির শিকার হলেও সমস্যার সমাধানে কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী তানজিলা আক্তার বলেন, গত দুই দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিস থেকে সার্টিফিকেট ও অন্যান্য কাগজপত্র নেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সংগঠনের ডাকা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি কর্মসূচির কারণে সার্টিফিকেট পাওয়ার আশা হারিয়ে ফেলেন।
শনিবার একই মাঠে ইবি’র বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা এক বৈঠকের আয়োজন করেন। পরে তারা ক্যাম্পাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুত বলেন, ঘোষণার অংশ হিসেবে তারা কর্মবিরতি পালন করেছেন।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম ইউএনবিকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একের পর এক দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আমাদের বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে।
ইবি’র উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম জানান, শিগগিরই কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
এদিকে রবিবার রাতে কুষ্টিয়া ক্যাম্পাসে ইবি’র ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সিন্ডিকেটের সদস্য সচিব এইচএম আলী হাসানকে ছাড়াই ২৬১তম সিন্ডিকেট সভা হয়। অফিসাররা তাকে তার অফিসে আটকে রাখে।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের সাবেক ৫ নেতা-কর্মীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
ফুলপরীকে নির্যাতন: ইবির পাঁচ ছাত্রীকে নতুন করে শাস্তি আরোপের নির্দেশ হাইকোর্টের
১ বছর আগে
ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের সাবেক ৫ নেতা-কর্মীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে নির্যাতনের দায়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক পাঁচ নেতা-কর্মীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (২১ আগস্ট) বিকালে ইবি’র উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ক্যাম্পাসে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং তার সহযোগী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন ঊর্মি এবং আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম।
গত ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধি অনুযায়ী শাস্তি না হওয়ায় গত ২৬ জুলাই হাইকোর্ট এই বহিষ্কারের আদেশ বাতিল করেন।
আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আচরণবিধি ১৯৮৭ অনুযায়ী শাস্তি পুনর্নির্ধারণ করার নির্দেশ দেন।
সভায় ইবির উপউপাচার্য এম মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ এম আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইবির প্রক্টর এম শাহাদাত হোসেন আজাদ ইউএনবিকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে অন্তরা ও তার চার সহযোগীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানো হবে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, অন্তরা ও তার চার সহযোগীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তে আমি সন্তুষ্ট।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসে এমন জঘন্য কাজ করতে কেউ সাহস পাবে না।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ভুক্তভোগীকে তৎকালীন ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং তার সহযোগী তাবাসসুম, মিম, ঊর্মি ও মোয়াবিয়া নির্যাতন করে ও ভয়ভীতি দেখায়।
আরও পড়ুন: ফুলপরীকে নির্যাতন: ইবির পাঁচ ছাত্রীকে নতুন করে শাস্তি আরোপের নির্দেশ হাইকোর্টের
একপর্যায়ে অন্তরা ভুক্তভোগীকে কাপড় খুলে ফেলতে বাধ্য করে এবং মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে।
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা এবং হল প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ভুক্তভোগীর দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, অন্তরা হুমকি দিয়েছিল ভুক্তভোগী যদি বিষয়টি কারও কাছে প্রকাশ করে তবে তিনি ভিডিওটি সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেবেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ইবির আইন বিভাগের চেয়ারপার্সন রেবা মণ্ডলের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ইবি কর্তৃপক্ষের গঠিত দুটি তদন্ত সংস্থা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।
দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল প্রশাসন গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পাঁচ অভিযুক্তকে বহিষ্কার করে।
১ মার্চ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অন্তরা ও চার কর্মীকে শিক্ষার্থীকে নির্যাতন ও হয়রানি করার দায়ে বহিষ্কার করে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ ১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়কে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী ও কর্মীদের সাময়িক বরখাস্ত করতে বলেন।
আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও রেজিস্ট্রারকে অবিলম্বে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট শামসুল আলম এবং হাউস টিউটর মৌমিতা আক্তার ও ইশরাত জাহানকে তাদের কর্তব্যে অবহেলার দায়ে অপসারণ করার নির্দেশ দেন।
ইবি কর্তৃপক্ষ পরে অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট শামসুল আলমকে অপসারণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অন্তরা এবং তার চার সহযোগীকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগের জবাব জমা দিতে বলেছে।
হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে তার পছন্দে একটি আসন বরাদ্দ দেয়।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৫ জন বহিষ্কার
ইবিতে আবারও ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত
১ বছর আগে
ইবিতে নিয়োগে অনিয়ম: ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও ব্যাংকিং বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দায়ের করেন এম শাহবুব আলম নামে একজন চাকরিপ্রার্থী এবং ওই বিভাগের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল ও উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মাইদুল ইসলাম নামে দুই সদস্যের একটি দল ইবি উপাচার্যের বাসায় গিয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও অবৈধ লেনদেনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল বুধবার ইউএনবিকে বলেন, তারা ইবির ভিসির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: ইবিতে আবারও ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত
উপাচার্যের ফাঁস হওয়া অডিও কথোপকথন, মেগা প্রজেক্ট ও তার আর্থিক অনিয়মসহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখছেন বলে জানান। তবে তদন্তের স্বার্থে তিনি এ বিষয়ে আর বেশি কিছু বলেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক নিয়োগের জন্য ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া ক্যাম্পাসে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা বসেন।
চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে বোর্ড সদস্যদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হওয়ায় বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম বখতিয়ার হাসান নির্বাচন বোর্ড থেকে সরে দাঁড়ান।
পরে বিভাগের চেয়ারম্যানের সই ছাড়াই বোর্ড দুই প্রার্থীকে বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নির্বাচন করে।
সিলেকশন বোর্ড সংক্রান্ত অডিও কথোপকথন ফাঁসসহ বিভিন্ন অভিযোগে অধিদপ্তরের চাকরিপ্রার্থী শাহবুব আলম ২৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, উপাচার্য ঘুষ ও অবৈধ লেনদেনের বিনিময়ে বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষক জোট শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এম মাহবুবর রহমান বলেন, বাছাই বোর্ডের চূড়ান্ত ট্যাবুলেশন শিটে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের সই ছাড়া কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাবে না। ইবি ভিসি অর্থ ও ব্যাংকিং বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ করেছেন অবৈধভাবে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে যৌন হয়রানির অভিযোগে ইবির ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
শাহবুব আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ইবি ভিসি বেআইনি ও অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে ওই বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বিভাগের নিয়োগ বোর্ড সংক্রান্ত ভিসি ও একজন ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন সম্বলিত অডিও ক্লিপ এটি প্রমাণ করেছে।’
তিনি নতুন নিয়োগ বোর্ডের দাবিও জানান।
এ বিষয়ে ইবি ভিসির মন্তব্যের জন্য মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করেও মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এর আগে, ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ জুন পর্যন্ত উপাচার্য ও বিভিন্ন ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন সম্বলিত মোট ১৩টি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ইবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৫ জন বহিষ্কার
১ বছর আগে
ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৫ জন বহিষ্কার
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতন ও লাঞ্ছনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার (১৫ জুলাই) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক নেত্রীসহ পাঁচজনকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সকালে ইবি’র উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বরখাস্তকৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্রী ও ছাত্রলীগকর্মী তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান।
এছাড়া ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের দুই শিক্ষার্থী- চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন ঊর্মি ও ইসরাত জাহান মিম।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে যৌন হয়রানির অভিযোগে ইবির ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
বৈঠকে ইবির প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর এম মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর এম আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর প্রফেসর এম শাহাদাত হোসেন আজাদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইবি’র প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অন্তরা ও তার চার সহযোগীকে এক বছরের জন্য ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী গত ১২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া ক্যাম্পাসের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের হাতে নির্যাতন ও অপমানিত হওয়ার অভিযোগ করেন।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও হল প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত দুইটি তদন্ত সংস্থা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল প্রশাসন অভিযুক্তদের বহিষ্কার করে।
৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অন্তরা ও তার চার সহযোগীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট শামসুল আলমকে হাইকোর্টের আদেশে তার পদ থেকে অপসারণ করে।
আরও পড়ুন: ইবিতে আবারও ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত
১ বছর আগে