শিক্ষার্থী
মাঠে আদালত স্থাপনের প্রতিবাদে ঢাকা আলিয়ার শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতভর আন্দোলন করেছেন তারা। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময়েও তারা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে তাদের।
বিডিআর বিদ্রোহের জন্য আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের আজ বিচারকাজ হওয়ার কথা। ভোরে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরা সেখানে গেলে তাদের ঢুকতে বাধা দেন শিক্ষার্থীরা।
এতে আদালতের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আশপাশের সড়কগুলোতেও যনজট লেগে আছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনের সড়ক, বকশীবাজার মোড় এবং আশপাশের গলির প্রবেশমুখ বাঁশ দিয়ে আটকে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। তাতে বকশীবাজার মোড় থেকে শিক্ষা বোর্ড এবং চকবাজারের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
শফিউল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সিটি কর্পোরেশন এই মাঠ দখল করে রেখেছিল। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের পর এই মাঠ আর কারও হতে দেব না, আমাদেরই থেকে যাবে। আমাদের দাবি পূরণ না হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো।
আরও পড়ুন: সাভারে সিআরপি নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
অবরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হোসেন বলেন, আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে পুলিশকে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন স্থানীয় লোকজন ও ছাত্ররা। পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।
৩ দিন আগে
বছরের সাত দিন চলে গেলেও বই পায়নি শিক্ষার্থীরা
ফেনীতে নতুন বছরের সাত দিন অতিবাহিত হলেও নতুন বই পায়নি ছয় উপজেলার প্রাক-প্রাথমিক, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তবে প্রাথমিকের সব বই পেয়েছে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।
এদিকে জেলায় প্রাথমিকের ৫০ শতাংশ বই এলেও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য বই এসেছে মাত্র ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। অপরদিকে মাদরাসা ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা এখনও বই হাতে পায়নি। মাধ্যমিকে জেলার ৩৭ লাখ বইয়ের চাহিদা থাকলেও এখনও বই আসেনি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকে জেলায় মোট বরাদ্দকৃত বইয়ের সংখ্যা ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫৭৬টি। তারমধ্যে এখন পর্যন্ত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শতভাগ বই এসেছে।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হবে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা
এ ছাড়া প্রাক-প্রাথমিক, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির চাহিদার ৩ লাখ ১৬১টি বইয়ের একটিও এখনও আসেনি বলে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়।
জেলা শিক্ষা অফিসার কার্যালয় সূত্র জানায়, ফেনীতে মাধ্যমিক ও মাদরাসায় মোট শিক্ষার্থী তিন লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৮ জন। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বইয়ের মোট চাহিদা ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ৭৭৬টি।
৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় বই এসেছে ৭৯ হাজার ৩০৪টি। বিগত বছরের শেষ দিন পর্যন্ত ফেনী সদর উপজেলায় মাধ্যমিকে নবম শ্রেণির ৩টি বিষয়ের ৩৪ হাজার ৫০০টি বই ও মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ১২ হাজার ৯০০টি বই এসেছে। এছাড়া সোনাগাজী উপজেলায় মাধ্যমিকে নবম, দশম শ্রেণির দুইটি বিষয়ে (বাংলা, গণিত) ২৫ হাজার ৮০০টি বই ও মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির তিনটি বিষয়ে (বাংলা, গণিত, ইংরেজি) ৮ হাজার ৪০০টি বই এসেছে।
বই না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ফেনী সদর উপজেলার গোয়াডুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শারমিন আক্তারের। সে জানায়, বছরের প্রথম দিন বিদ্যালয়ে এসেছি। অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পেলেও আমরা বই পায়নি। পরে বই দেবে বলে শিক্ষক জানিয়েছেন।
দাগনভূঞা উপজেলার লালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র অনিন্দ্র দে জানান, প্রতিবার বই উৎসব হত, এবার তাও হয়নি। নতুন বইও পাইনি। বই কবে দেবে তাও ঠিক জানাতে পারেননি শিক্ষকরা।
ফেনী শিশু নিকেতন কালেক্টর স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রের অভিভাবক জাফর আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, নতুন বই পাবে না জেনে ছেলে স্কুলে যায়নি। সরকার আন্তরিক হলে শিক্ষার্থীরা বছরের শুরুতেই বই পেত।
নতুন শিক্ষাবর্ষে দেরিতে বই পাওয়া নিয়ে অভিভাবকরা শঙ্কা প্রকাশ করলেও কর্তৃপক্ষ বলছে, চলতি মাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে উঠবে নতুন বই।
আরও পড়ুন: নতুন সব বই শিক্ষার্থীরা কবে পাবে, জানেন না শিক্ষা উপদেষ্টা
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শতভাগ বই বিতরণ শেষ হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই হাতে পেলেই বিতরণ করা হবে।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফী উল্লাহ বলেন, ‘নতুন বছরে আগের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে বই উৎসব হয়নি। মুদ্রণ জটিলতায় ও কিছু পরিবর্তনের কারণে ফেনী সদর ও সোনাগাজী উপজেলায় কিছু বই এসেছে।
এছাড়া জেলায় চাহিদার সব বই আসতে আরও প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিনের মতো লাগতে পারে বলে জানান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফী উল্লাহ।
৪ দিন আগে
নতুন সব বই শিক্ষার্থীরা কবে পাবে, জানেন না শিক্ষা উপদেষ্টা
চলতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীরা কবে নাগাদ সব নতুন পাঠ্যবই পাবে তা জানেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
বিগত বছরগুলোতে মার্চের আগে বই পুরোপুরি দেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা (বই ছাপা) কার্যক্রম শুরু করেছি দেরিতে। আমাদের বই পরিমার্জন করতে হয়েছে। বইয়ের সিলেবাস, কারিকুলাম নতুন করে করতে হয়েছে। বইয়ের সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। বিদেশে কোনো বই ছাপানো হচ্ছে না। দেশের সক্ষমতা কত সেটি এবারই প্রথম দেখা যাচ্ছে। এতে করে তো দেরি হবেই।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বছরই বোঝা গেল, সবগুলো গোডাউনে যেসব আর্ট পেপার জমা ছিল, সেগুলো সব উদ্ধার করার পরও দেখা গেল যে দেশের ভেতর আপাতত কিছু ঘাটতি আছে। (আর্ট পেপার নিয়ে) বিদেশ থেকে জাহাজ রওনা হয়ে গেছে।’
কবে নাগাদ সব শিক্ষার্থী বই পাবে— জানতে চাইলে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘কবে নাগাদ সবাই সব বই পাবে, এটা আমি জানি না।’
৫ দিন আগে
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা প্রথমবারের মতো পেল 'অ্যাম্বাসেডর'স ট্রাভেল গ্র্যান্ট'
মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাস দূতাবাসে 'আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৪' উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো চার প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে 'অ্যাম্বাসেডরস ট্রাভেল গ্রান্ট' দিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত ড. এম মনোয়ার হোসেন নতুন প্রজন্মকে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে অবহিত করা এবং দু'দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই অনুদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এই কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমারে বা বাংলাদেশে তাদের শিক্ষা/গবেষণা কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভ্রমণ ব্যয় বহন করবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেসকে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ
'আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৪' উপলক্ষে মিয়ানমারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ দূতাবাস এক সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া, প্রবাসীদের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং অনুদানপ্রাপ্তদের অনুভূতি ব্যক্ত করার পর্বও ছিল।
রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: তরুণ জনশক্তিকে দক্ষ করতে দৃষ্টিভঙ্গি-নৈতিকতার ওপর গুরুত্বারোপের আহ্বান ড. ইউনূসের
৩ সপ্তাহ আগে
‘শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে দেখাই প্রধান উপদেষ্টার স্বপ্ন’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার স্বপ্ন হলো সব শিক্ষার্থী নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। তিনি দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। এতে সেলফ সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন সাধন হবে।’
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক আমিনুল বলেন, ‘একসময় মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে ভালোদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনা ছিল। শুধু মেধাবীরাই ভালো স্কুলে পড়ার সুযোগ পেত। কম মেধাবীরা পেছনে পড়ে থাকত। কম মেধাবীদের পেছনে রাখা যাবে না, তাদেরও উঠিয়ে আনতে হবে। লটারি সিস্টেম চালু হওয়াতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন সমন্বয়ের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। এতে ভালো ও মন্দের সমন্বয় হবে বলে মনে করি।’
আরও পড়ুন: দেশকে উন্নত ও শক্তিশালী করতে আমরা বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জানা গেছে, কম মেধাবীদের উঠিয়ে আনার জন্য অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছেন। তারা কম মেধাবীদের উঠিয়ে আনার জন্য উদ্যেগ গ্রহণ করেছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন। কম মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে মনোযোগ ও স্কুলমুখী করার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কাজ করে যাচ্ছেন। এতে বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষাঙ্গনে বিশাল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে যেসব ছোট ছোট শিশুরা অধ্যয়ন করে তাদের অদম্য ক্রিয়েটিভিটি থাকে। তাদের এই ক্রিয়েটিভিটি জাগ্রত করতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে এবং শিক্ষকদের ভূমিকা পালন করতে হবে।’
এই অধ্যাপক বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা শিশুদের এই ক্রিয়েটিভিটির মূল্যায়ন করে না। প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করে পরীক্ষায় পাস করার উদ্দেশ্যে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। যার কারণে তারা শুধু প্রশ্ন মুখস্থ করে পরীক্ষা দেয়। এতে তাদের ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট হয়ে যায়।’
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ও পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের শ্রদ্ধা
‘আমাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রিয়েটিভিটি জাগ্রত করতে হলে শিক্ষকদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আমাদের ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীদের মাঝে মূল্যবোধ তৈরি করতে হবে। মূল্যবোধ পরিবার থেকে তৈরি হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, অনেক শিশুদের মাঝে মূল্যবোধ তৈরি হয় না। এক্ষেত্রে স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের ভূমিকা নিতে হবে। কারণ শিশুরা স্কুল ও মাদ্রাসায়ই বেশি সময় কাটায়।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাকে মানসম্মত, যুগোপযোগী ও বিশ্বমানের করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষা ব্যবস্থায় বরাদ্দ অনেক বেশি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। তিনি শিক্ষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
৩ সপ্তাহ আগে
বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট অনলাইনে সত্যায়িত করার উপায়
বিদেশে উচ্চশিক্ষার আবেদন কিংবা শিক্ষাগ্রহণের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার বিভিন্ন সনদপত্রের সত্যায়নকে সহজ করতে শুরু হয়েছে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতি। এখন সনদ বা একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলোর সত্যায়নের জন্য আর যেতে হবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে সরকারের এই অনলাইন পরিষেবা। চলুন, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট সত্যায়িত করার সম্পূর্ণ অনলাইন প্রক্রিয়াটি দেখে নেওয়া যাক।
বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট সত্যায়িত করার অনলাইন পদ্ধতি
.
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্রের জন্য শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র (ন্যাশনাল আইডি বা এনআইডি) অথবা অনলাইনে তালিকাভূক্ত জন্ম নিবন্ধন সনদ লাগবে।
পুরো প্রক্রিয়াটি যেহেতু অনলাইন কেন্দ্রিক, সেহেতু আপলোডের জন্য কাগজগুলোর সফট কপি দরকার হবে। তাই আগে থেকেই নথিগুলো স্ক্যান করে প্রস্তুত করে রাখতে হবে। স্ক্যান করা ফাইলগুলো অবশ্যই জেপিইজি, জেপিজি, বা পিএনজি ফরম্যাটে কম্পিউটারে সংরক্ষণ করতে হবে। ফাইলের সাইজ অবশ্যই ১ এমবি (মেগাবাইট)-এর মধ্যে হতে হবে।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
ধাপে ধাপে অনলাইনে শিক্ষাগত সার্টিফিকেট সত্যায়ন প্রক্রিয়া
.
মাইগভ সাইটে নিবন্ধন
প্রথমেই প্রবেশ করতে হবে মাইগভ (www.mygov.bd) প্ল্যাটফর্মে। অতঃপর সাইটটিতে একটি অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য নাম ও মোবাইল নাম্বার বা ইমেইল অ্যাড্রেস দিতে হবে। তারপর একটি পাসওয়ার্ড সেট করার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হবে প্রাথমিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া।
প্রোফাইল যাচাইকরণ
অ্যাকাউন্ট খোলার পর সাইটটিতে ব্যবহারকারীর জন্য তৈরি হবে একটি স্বতন্ত্র প্রোফাইল। এটি তাৎক্ষণিকভাবে এনআইডি অথবা জন্ম নিবন্ধন নাম্বার কিংবা জন্ম সাল দিয়ে যাচাই করে নিতে হবে। একটি এনআইডি দিয়ে শুধুমাত্র একটি মাইগভ অ্যাকাউন্ট যাচাই করা যাবে।
সুনির্দিষ্ট আবেদন অনুসন্ধান
মাইগভ হোমপেজে প্রদর্শিত সেবাগুলোর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে ‘বিদেশগামী নাগরিকদের সার্টিফিকেট সত্যায়ন’। এখানে ক্লিক করলে নতুন পেজে বিদেশ গমনের জন্য প্রাসঙ্গিক সমস্ত নথিপত্র সত্যায়নের পৃথক পৃথক আবেদন অপশন আসবে। এগুলোর মধ্য থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্দিষ্ট বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যে সত্যায়নগুলো চাওয়া হয়েছে সেগুলো খুঁজে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুন: চীনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
এছাড়া সুনির্দিষ্ট নথির জন্য হোমপেজের সার্চ বক্সে তা লিখেও সার্চ করা যায়। এতে প্রদর্শিত অপশনগুলোর মধ্যে সবার উপরে থাকবে কাঙ্ক্ষিত আবেদনটি। এই অনুসন্ধানটি এমনকি ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমেও সম্পন্ন করা যায়।
আবেদন পদ্ধতি
প্রত্যেকটি আবেদন অপশনের ভেতরে সংশ্লিষ্ট আবেদন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাবলি এক নজরে লিপিবদ্ধ করা আছে। যেমন- কি কি কাগজপত্র লাগবে, আপলোডের নিয়ম, আবেদন ফি কত, অনলাইন আবেদন ফরম কীভাবে পূরণ করতে হবে, এবং প্রক্রিয়াকরণে কেমন সময় লাগবে ইত্যাদি।
নথিপত্রের ধরণ অনুযায়ী স্বভাবতই এই তথ্যাদি ভিন্ন ভিন্ন হবে। বিশেষ করে প্রক্রিয়াকরণের সময় সবগুলোর নথির ক্ষেত্রে এক নয়। এছাড়া কোনো কোনো সেবা বিনামূল্যেই পাওয়া যাবে, আবার কোনো কোনোটির ক্ষেত্রে রয়েছে নির্দিষ্ট আবেদন ফি। এই ফি পরিশোধের জন্য রয়েছে অনলাইন ব্যাংকিং, কার্ড, এবং মোবাইল পেমেন্ট গেটওয়ে সিস্টেম।
আরো পড়ুন: পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
আবেদন ফরম পূরণের সময় লাল তারকা চিহ্নিত ঘরগুলো পূরণ করা আবশ্যক। বাকি ঘরগুলো খালি রেখেও ফর্ম পূরণ সম্পন্ন করা যাবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্লাস (+) বাটনে ক্লিক করে একাধিক পৃষ্ঠা বা ফাইল সংযোজনের অপশন পাওয়া যাবে।
পুরো আবেদন একবারে পূরণ করে সাবমিট করতে হবে- এমন কোনো বাধ্য-বাধকতা নেই। আংশিক পূরণ করে তা পরবর্তীতে পূরণ করার জন্য ড্রাফট করে রাখা যেতে পারে। পরে মোবাইল নাম্বার বা ইমেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ‘সেবা ব্যবস্থাপনা’ অপশন থেকে ড্রাফট আবেদন পুনরায় শুরু করা যাবে।
প্রাসঙ্গিক কাগজগুলো আপলোড
সেবা গ্রহীতা তার সুনির্দিষ্ট নথির সত্যায়নের জন্য প্রাসঙ্গিক নথিপত্র নিজ অ্যাকাউন্টে আপলোড করে রাখতে পারবেন। সংযুক্তিগুলো সম্পূর্ণরূপে আপলোড না হওয়া পর্যন্ত পরের ধাপে যাওয়া যাবে না।
আরো পড়ুন: ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
পৃথক পৃথক আবেদনের সময় নথি আপলোড না করে অ্যাকাউন্ট যাচাইয়ের পরপরই একে একে সমস্ত নথি আপলোড করে রাখা যেতে পারে। পরবর্তীতে আলাদা আবেদন দাখিলের সময় এগুলোর মধ্যে থেকে প্রাসঙ্গিক নথিগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবেদনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে।
আবেদনের আপডেট ট্র্যাকিং
চূড়ান্তভাবে আবেদন জমা দেওয়ার পর প্রতিটি আবেদনের জন্য একটি স্বতন্ত্র ট্রাকিং নাম্বার দেন। এই নাম্বার ব্যবহার করে পরবর্তীতে ‘সেবা ব্যবস্থাপনা’ অপশন থেকে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে জানা যাবে। এই অগ্রগতিটি প্রত্যেক সেবা গ্রহীতা তার ব্যক্তিগত ড্যাশবোর্ড থেকে দেখতে পারবেন।
সত্যায়িত নথি প্রাপ্তি
নির্দিষ্ট কার্যদিবস শেষে সফলভাবে সত্যায়িত নথিটি ড্যাশবোর্ডে প্রদর্শিত হবে। আর এর সঙ্গে সঙ্গেই সেবা গ্রহীতা তা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুন: ইতালিতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
পরিশিষ্ট
বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট সত্যায়িত করার এই অনলাইন পরিষেবা নথি সত্যায়ন ব্যবস্থাকে করেছে হয়রানিমুক্ত এবং দ্রুততর। মাইগভ সাইটে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জন্য স্বতন্ত্র প্রোফাইলের কারণে আবেদনপত্রসহ যাবতীয় কাগপত্র সংরক্ষণ করা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট কার্যদিবসের মধ্যে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য রয়েছে ট্র্যাকিংয়ের সুবিধা। যাবতীয় প্রক্রিয়া নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যে প্রথমেই প্রোফাইল যাচাই করে নেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে, একটি এনআইডি দিয়ে কেবলমাত্র একটি একাউন্ট যাচাই করা সম্ভব।
আরো পড়ুন: এইচএসসির পর বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিবেন যেভাবে
৩ সপ্তাহ আগে
হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে ছাত্রকে মারধর, ৯ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হলের কক্ষে ঢুকে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় জড়িত দুইজনকে বহিষ্কারসহ ৯ ছাত্রকে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সেমিস্টার ও আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ জারি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর কবির।
জানা গেছে, গত ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিশ্ব বিদ্যালয়ের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলের ১০৭ নম্বর রুমে ঢুকে এক ছাত্রকে মারধরসহ কয়েকজনের ওপর নির্যাতন চালান অন্য একদল শিক্ষার্থী। অভিযুক্তেদের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ পান গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা। কমিটি সুপারিশ মোতাবেক অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় ৯ জন ছাত্রকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এমএস-২ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ আহমেদ ও পরিসংখ্যান বিভাগের লেভেল ৪ সেমিস্টার-২ এর শিক্ষার্থী সৌরভ কুমার কুন্ডুকে এক সেমিস্টারের জন্য এবং হল থেকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও হল থেকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে কৃষি অনুষদের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাকিবুর রহমান (সুইন), কৃষি অনুষদের ১৯ ব্যাচের সাদী মো. মোসাব্বাহ (সাদী চিশতি), ম্যানেজমেন্ট ২১ ব্যাচের মাস-উদ আব্দুল্লাহ (রিদম), ফিন্যান্স ব্যাংকিং ২৩ ব্যাচের ফাহমিদ তানজিম ফাহিম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ২২ ব্যাচের আবু হামজা, ফিন্যান্স ব্যাংকিং ২০ ব্যাচের নুহাস আলী অর্ণব এবং মার্কেটিং বিভাগের এমবিএ এর শিক্ষার্থী তামজিদ হককে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কথা-কাটাকাটির জের ধরে গত ২৬ অক্টোবর রাতে জিয়া হলের ১০৭ নম্বর রুমে ঢুকে ১৭ ব্যাচের একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করাসহ আরও কয়েকজন লাঞ্ছিত করেছিলেন অভিযুক্তরা। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। দুই সপ্তাহ বাদে ঘটনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে তদন্ত কমিটি গঠন এবং কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে চিহ্নিত ৯জনক বহিষ্কারসহ শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা জানান, ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এধরনের জড়িত কাউকে ছাড় দেবে না। হয়রানি ও লাঞ্ছনার শিকার শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ জানালে ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে বিধি অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্হা নিশ্চিত করবেন তারা। কোনো অবস্থাতেই সংঘাত মারামারি হানাহানি বিশৃঙ্খল ঘটনায় ছাড় পাবে না অভিযুক্তরা।
১ মাস আগে
জার্মানিতে স্কলারশিপ পেল বাংলাদেশি ১১ কৃতি শিক্ষার্থী
জার্মানিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ১১ কৃতি শিক্ষার্থী স্কলারশিপ পেয়েছেন। ট্যাপট্যাপ সেন্ড এবং ডিগ্রিওলা ডটকম তাদের এই স্কলারশিপ দিয়েছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জার্মানিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাহসিগ-এর উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানে এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়।
জার্মানির রাজধানী বার্লিনে আয়োজিত স্কলারশিপ প্রদান ও গেট-টুগেদার অনুষ্ঠানে প্রায় ১৫০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: লিথুয়ানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: ভর্তি, ভিসা, অধ্যয়ন খরচ ও স্কলারশিপসহ নানাবিধ সুবিধা
এ বছর স্কলারশিপপ্রাপ্তরা হলেন- রাইনভাল অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির বায়োইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাজিদুল ইসলাম, বার্লিনের ফ্রি ইউনিভার্সিটির রসায়ন বিভাগের মো. লুৎফুল বারী, প্যাডারবর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রাকিবুল ইসলাম, ডুইসবুর্গ-এসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লজিস্টিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সানজিদা আক্তার মৌলি, বার্লিন ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেসের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের খান মোহাম্মদ শৈশব আজাদ, টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি ডর্টমুন্ডের ড্যাটা সায়েন্স বিভাগের নন্দিতা চক্রবর্ত্তী, নিদাররাইন ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেসের ম্যানেজমেন্ট অব টেক্সটাইল ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের মো. জোবায়ের হোসেন, টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি ডার্মস্টাডের এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোল্লা মো. তমাল হোসেন, ইউনিভার্সিটি অব পটসডামের কগনিটিভ সিস্টেম বিভাগের মো. দেলোয়ার হোসেন, ইউনিভার্সিটি অব ব্রেমেনের অ্যাস্ট্রোফিজিক্স অ্যান্ড স্পেস সায়েন্স বিভাগের জুবাইদা করিম যুঁথি এবং ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইকোনোমিক্সের আন্তর্জাতিক ও উন্নয়ন অর্থনীতি বিভাগের খাদিজা আক্তার।
জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত ১১ শিক্ষার্থীকে এককালীন ৩০০ ইউরো করে স্কলারশিপ দেওয়া হয়।
এছাড়া যাদের মধ্যে লিডারশিপ দক্ষতা এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে তেমন শিক্ষার্থীদের এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়।
এই আয়োজনের মূল স্পন্সর ছিল অ্যাপ ট্যাপট্যাপ সেন্ড এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও অভিবাসন বিষয়ক তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান Degreeola.com।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) কাজী মুহম্মদ জাবেদ ইকবাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জার্মানির রাষ্ট্রায়ত্ত রেলসংস্থা ডয়চেবানের ডিজিটালাইজেশন, অটোমেশন বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ড. মাসুদ কবীর, কেমনিট্জ টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক জুলকার নাইন ও একই বিভাগের গবেষক উম্মে উবায়দা শেগুপ্তা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাবেদ ইকবাল বলেন, জার্মানিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অপার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারও এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে ভিসার জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আমরা এ বিষয়টি নিয়েও ওয়াকিবহাল।
তিনি বলেন, জার্মান সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে এবং আশা করি শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বিশেষ অতিথি ড. মাসুদ কবীর বলেন, স্কলারশিপের টাকার চেয়েও সম্মানটা আসল। যারা স্কলারশিপ পেলেন তাদের জন্য এ অর্জনটি ভবিষ্যতে আরও ভালো ফলাফলসহ দেশের উন্নয়নে কাজ করার উৎসাহ যোগাবে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষা: ভর্তি পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
শিক্ষক জুলকার নাইন বলেন, জার্মানি এসে অনেকেই পড়াশোনা শেষ করেন না। এতে করে তাদের ক্যারিয়ার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। পড়াশোনার দিকে নজর দিলে জার্মানিতে সুন্দর একটি ক্যারিয়ার হতে পারে।
গবেষক উম্মে উবায়দা শেগুপ্তা বলেন, অধ্যবসায়ী হলে, সত্যিকারের মোটিভেটেড হলে, পরিশ্রম করলে জার্মানিতে সুযোগসুবিধার কোনো শেষ নেই। দরকার দক্ষতার সঙ্গে পরিশ্রম। তাহলে ভালো ক্যারিয়ার করা সম্ভব।
১ মাস আগে
‘বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ’
বছরের শুরুতেই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, এই বছর আমরা একটা পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের একটা বড় চ্যালেঞ্জ সময়মতো বই পৌঁছে দিতে পারা। সরকার এই বিষয়ে খুবই আন্তরিক।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় একটি ছাপাখানা পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর একটা চ্যালেঞ্জ থাকে শিক্ষার্থীদের হাতে বছরের শুরুতেই নতুন বই তুলে দেওয়ার। যাতে নতুন বই হাতে পেয়ে কোমলমতি সন্তানেরা পড়ালেখার উৎসাহ ও আনন্দ পায়। সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা আছে ছাপাখানার লোকজন যাতে নির্বিঘ্নে বই তৈরি করতে পারে। সেজন্যই আমাদের এখানে আশা। ছাপাখানায় যারা বই তৈরির কাজটি করছেন তারা কোনো সমস্যায় আছে কি না খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, এখানে এসে ছাপাখানার কর্মকতাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম তারা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ১৫ লাখ বইয়ের ওয়ার্ডার পেয়েছিলেন। এরই মধ্যে এই ছাপাখানার সব বই প্রস্তুত হয়ে গেছে। সেজন্য আমি খুবই আনন্দিত।
পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লাসহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১ মাস আগে
এক বিজয় করেছো, আরেক বিজয় আসবে: শিক্ষার্থীদের প্রধান উপদেষ্টা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, নিহতদের রাষ্ট্রীয় খেতাব দেওয়া, আহতদের সুচিকিৎসায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া এবং জুলাই গণহত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য জোর দিতে বলেন।
গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে বলে উদ্বেগও প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আগে দেখা হয়েছে। আজকে অনেকের সঙ্গে দেখা হলো। ভালো হলো। তোমাদের কথা শুনতেই মূলত আজকে বসা। তোমরা সরকারের কাছে কী চাচ্ছো, আশাগুলো কী, পরামর্শ আছে কিনা, এটি জানতে চাওয়া।’
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘তোমরা রাষ্ট্রের অভিভাবক, তোমাদের কারণেই রাষ্ট্র। এই ভূমিকা ভুলে যেও না। নিজেদের ভূমিকা ভুলে যেও না। অনেকে এখানে আছে, অনেকে নেই। যারা নেই, তারাও রাষ্ট্রের অভিভাবক। তোমাদের দায়িত্ব আছে রাষ্ট্র যেন ঠিক পথে চলে, যেন বিচ্যুত না হয়। এইটুকু মনে রাখলে রাষ্ট্র ঠিক থাকবে। নিজের অভিভাবকতত্ব ভুলে যেও না।’
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরামর্শকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য ঠিক থাকতে হবে। সিন্ডিকেট নাকি কী এই ধরনের ব্যাখ্যা আমরা চাই না। কতগুলো লোক বাজারমূল্য কবজা করে থাকবে সেটা হতে পারে না। আমরা চেষ্টা করছি দ্রব্যমূল্য ঠিক রাখার। আমরা দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে চাই। রমজানেও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার ব্যাপারে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিতে হবে। হঠাৎ করে যেন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।’
স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার পরামর্শে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘স্থানীয় সরকার সংস্কারের জন্য কমিশন আছে। তারা পরামর্শ দেবে আমরা কাজ করব। আমরা চাই স্থানীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া। খুব কম জিনিস উচ্চ পর্যায়ে থাকবে। দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেম, একবার একটা তহবিল বানিয়ে দিলে কারা যেন খেয়ে ফেলে। সেজন্য সুশৃঙ্খলভাবে সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে। যেন স্থায়ী হয়।’
জুলাইয়ে শহীদদের রাষ্ট্রীয় সম্মান ও খেতাবের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। জুলাইয়ে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের অবদান আমরা ভুলব না। তাদেরকে যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হবে।’
শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কার প্রয়োজন শিক্ষার্থীদের এমন পরামর্শের প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। যেন বাংলাদেশে কেউ শিক্ষিত না হয়ে উঠতে পারে, দক্ষ হয়ে উঠতে না পারে, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে এটা হয়েছে। বেকারত্ব তৈরি করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জন কিছু নেই। এটা আমাদের ঠিক করতে হবে। তরুণদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। প্রধান উপদেষ্টা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। আমাদের অর্থনীতি বিভাগে নারী শিক্ষার্থী ছিল মাত্র চারজন। তোমরা বলছো, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থী প্রায় ৫২ শতাংশ। এটি অত্যন্ত আনন্দের কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে রাজনৈতিক বলয়ের মধ্যে আগে সিট বণ্টন হতো সেই দাসপ্রথা এখন ভেঙে গেছে। শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় ড. ইউনূসের নিন্দা, তদন্তের নির্দেশ
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলে তারা সরকারের বিরুদ্ধে সরব এটা ঠিক। সরকারের নিজের কোনো পত্রিকা নেই। আছে শুধু প্রেস উইং। তারা পত্রিকায় প্রেস রিলিজ পাঠায়। কেউ ছাপে, কেউ ছাপে না। কিংবা তাদের মনমতো শেষ পাতায় বা কোণায় ছোট করে দেয়। প্রেস উইং ওদের মতো করে চেষ্টা করছে, কাজ করছে। সরকার কোনো গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করবে না। সংবাদপত্র স্বাধীনভাবে কাজ করবে-এটাই আমাদের নীতি। আমরা এই নীতিতে থাকব। আমি বুঝতে পারছি তোমরা কিছুটা মনক্ষুণ্ণ। এটা আসলে কিছুটা মন খারাপ হওয়ার মতো যে সরকারের কাজ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পুরো সিস্টেমটাই ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। চারদিকে চুরি-চামারি, ব্যাংক কাজ করে না। কমিটি অর্থনীতির শ্বেতপত্র দিয়েছে। আমি বলেছি, এটা একটা ঐতিহাসিক দলিল। আমি মনে করি এটা প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো উচিত। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করার দায় আওয়ামী লীগের। তবে যারা উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছে তাদেরও ধরতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যে ধ্বংসস্তুপ রেখে গেছে সেখান থেকে বের হওয়া কঠিন। যেদিকে হাত দেই সেদিকেই ভাঙাচোরা। এই ভাঙাচোরা পরিষ্কার করেই যাচ্ছি। কাজ শুরু করতে গিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে।’
শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সংস্কারকাজে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন। তারা জানান, দেশের মানুষ সরকারের পাশে আছে। এটি গণমানুষের সরকার। জনগণ চায় অন্তর্বর্তী সরকার যেন প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজটি সম্পন্ন করে।
প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘দেশের মানুষ ছাত্রদের ওপর ভরসা করে। এই বিশ্বাস ধরে রেখো। হাতছাড়া করো না। তোমরা কখনোই আশাহত হবে না। তোমরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছো। দেশ বদলিয়ে ফেলেছো। তোমরাই পারবে। মানুষের আশা তোমাদের পূরণ করতে হবে। অন্তত সে পথে তোমাদের অগ্রসর হতে হবে। এক বিজয় করেছো, আরেক বিজয় আসবে। তোমরা বারবার আমাদের মনে করিয়ে দেবে যেন আমরাও সতর্ক হই, সজাগ হই।’
আরও পড়ুন: সার্ক পুনরুজ্জীবিত হলে মানুষ সুফল পাবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
১ মাস আগে