শিক্ষার্থী
স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৪৬ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে ২০২২ সালে: গবেষণা
গত বছর দেশের স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৪৬ জন স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
আঁচল ফাউন্ডেশনের সর্বশেষ সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
শুক্রবার প্রকাশিত সংস্থাটির গবেষণায় তারা দেখিয়েছে যে ৩৪০ জন স্কুলছাত্র এবং ১০৬ জন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ২০২২ সালে আত্মহত্যা করেছে।
গবেষণাটি ১৫০টিরও বেশি জাতীয়, স্থানীয় সংবাদপত্র এবং অনলাইন পোর্টালের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় চিরকুট লিখে ইন্টার্ন চিকিৎসকের আত্মহত্যা!
প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্কুল ও হাইস্কুল শিক্ষার্থী, ২৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ তাদের জীবন শেষ করেছে।
এরপরের অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম (১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ) ও রাজশাহী (১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ), খুলনা (১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ), রংপুর (৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ), বরিশাল (৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ), ময়মনসিংহ (৬ দশমিক ২৭ শতাংশ) এবং সিলেট (৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ)।
এছাড়াও ৮৫ জন বিশ্ববিদ্যালয় ও ৫৪ জন মাদরাসা ছাত্র আত্মহত্যা করেছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে দেখা যায় গড়ে প্রতি মাসে ৩৭ জন স্কুল এবং হাইস্কুল ছাত্র আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার তথ্যের একটি লিঙ্গ বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি (৬০ দশমিক ১৫ শতাংশ)।
আর স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যা করে ৬৩ দশমিক ৯০ শতাংশ মেয়ে। এবং আত্মহত্যাকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৪৪ শতাংশই মেয়ে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে দুই সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা!
আত্মহত্যার কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আত্মহত্যাকারী স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত (২৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ), আবেগপ্রবণ জনিত সমস্যা (২৩ দশমিক ৩২ শতাংশ), পারিবারিক দ্বন্দ্ব (তিন দশমিক ১৪ শতাংশ), বিষণ্নতা (দুই দশমিক শূন্য এক শতাংশ), মানসিক সমস্যা (এক দশমিক ৭৯ শতাংশ) সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।
এছাড়া আর্থিক সমস্যা (এক দশমিক ৭৯ শতাংশ), হয়রানি (এক দশমিক ৭৯ শতাংশ), এবং ধর্ষণ বা যৌন হয়রানির ঘটনা (এক দশমিক ৩৪ শতাংশ)।
আঁচল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সামিরা আক্তার সিয়াম বলেন, ‘আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয় হল, ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। ‘ছোটবেলা থেকেই, মানসিক স্বাস্থ্য এবং আবেগ ব্যবস্থাপনার কৌশলগুলো বাড়িতে পরিবার, সামাজিক অবস্থান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখানো উচিত।’
আরও পড়ুন: ফেসবুকে 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন' স্ট্যাটাস দিয়ে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা
ববিতে হলে ঢুকে শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম: আটক ৪
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) গণিত বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা দাবীদার মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাতকে হলে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আলী আশরাফ ভূঁঞা।তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে আলীম সালেহী, রিয়াজ উদ্দিন মোল্লা, শামীম সিকদার ও শেখ রেফাত মাহমুদকে আটক করে বন্দর থানা পুলিশ। বাকি আসামিদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। হামলার শিকার ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে কোনো মামলার আবেদন জানানো হয়নি এখনো।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ঢুকে ঘুমন্ত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখমতিনি আরও জানান, কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে এই বিষয়ে আমরা জিজ্ঞেসাবাদ করছি। আশা করছি মূল ঘটনা দ্রুতই বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের ৪০১৮ নম্বার রুমে হেলমেট পরিহিত একদল যুবক মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাতের ওপর হামলা করে। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে জিএম ফাহাদ ও একে জিহাদ নামের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়। তারা সবাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
আর হামলাকারী হিসেবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারাও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রলীগের সংগঠক।
হামলার শিকার ও হামলায় অভিযুক্ত সকলেই বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী।
আরও পড়ুন: বরিশালে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যা!
বরিশালে পাখি শিকারের দায়ে যুবকের ৬ মাসের কারাদণ্ড
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে স্কাউট প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্যোগ নিন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের স্কাউট প্রশিক্ষণ দেয়ার পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ বলেছেন।
বুধবার গাজীপুরের মৌচাকে অবস্থিত জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৩২তম এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও ১১তম জাতীয় স্কাউট জাম্বুরীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বাংলাদেশ স্কাউটস এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক শিক্ষার্থী যাতে স্কাউটিং প্রশিক্ষণ পায় সেজন্য আপনাকে পদক্ষেপ নিতে হবে। তা হলে সোনার বাংলা বা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের দেশে যোগ্য নাগরিক গড়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতা ভোগ করতে নয়, জনগণকে কিছু দিতে এসেছি: বিএএসএ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ স্কাউটস ১৯ থেকে ২৭ জানুয়ারি ৯ দিনের আঞ্চলিক ও জাতীয় স্কাউট জাম্বুরীর আয়োজন করছে।
বাংলাদেশে এখন ২২ লাখ স্কাউট রয়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৩০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি চান যে শুধু নির্বাচিত দল নয়, বরং প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন স্কাউট প্রশিক্ষণ লাভ করে।
অনুষ্ঠানে, প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক ও জাতীয় জাম্বুরী চিহ্নিত একটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এছাড়া জাম্বুরী সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার মোজাম্মেল হক খান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, ফিলিপাইন, চীন, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও জার্মানির আট হাজার স্কাউট সদস্য, এক হাজার ইউনিট লিডার ও ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস টিমের (আইএসটি) সদস্যসহ প্রায় ১১ হাজার স্কাউট এতে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
বার্ষিক জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
নাদিয়ার মৃত্যু: বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ
সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর জেরে বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করায় সোমবার বিমানবন্দর সড়কে এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানান, নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা তাদের চার দফা দাবি আদায়ের জন্য দুপুর ১টা ৫ মিনিটে রাস্তায় নামেন এবং সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এর আগে রবিবার, রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের কাছে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস নিহত শিক্ষার্থী নাদিয়াকে বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আর তার বন্ধু মোটরসাইকেল চালক মেহেদী আহত হন।
নাদিয়া (২৪) নর্দান ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি- ভিক্টর পরিবহন ক্লাসিকের রুট পারমিট বাতিল; নাদিয়া পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ প্রদান; ঘাতক বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার এবং কাওলা এলাকায় নিরাপদ বাস স্টপেজ নির্মাণের নিশ্চয়তা প্রদান।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী নিহত: চালক ও হেলপার আটক
ওসি বলেন, সড়ক অবরোধের কারণে বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে; যা মহাখালী, বাড্ডা ও গুলশান এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেয়।
দুপুর ২টার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দুপুরে বন্ধু মেহেদীর মোটরসাইকেলে চড়ে নাদিয়া নারদা এলাকায় যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলটি যমুনা ফিউচার পার্ক এলাকায় পৌঁছালে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম আসাদুজ্জামান জানান, নাদিয়া রাস্তায় পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং তার বন্ধু মেহেদী সামান্য আহত হন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিআরটিসি বাসের চাপায় শিশুর মৃত্যু
রাজধানীতে গণপরিবহন সংকটে অফিসগামীদের ভোগান্তি
শাবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো ২৭ শিক্ষার্থী পাচ্ছে ডিনস অ্যাওয়ার্ড
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক শ্রেণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে ছয়টি অনুষদভুক্ত ২৬টি বিভাগের ২৭ শিক্ষার্থীকে দেয়া হবে ডিনস অ্যাওয়ার্ড। বুধবার (১১ জানুয়ারি) ডিনস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও স্কুল অব ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদভুক্ত বিভাগের চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান/ইঞ্জিনিয়ারিং) চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জনকারী শিক্ষার্থীকে প্রথমবারের মতো এ অ্যাওয়ার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জে শাবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীর সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এই ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই পুরস্কার প্রদান করেন।
ডিনস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ পরিচালনা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও স্কুল অব ফিজিক্যাল সাইন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম সহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।
ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন-পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের খাইরুম হক অর্থী, রসায়ন বিভাগের রাশেদ মাহমুদ, গণিত বিভাগের মো. এবাদুর রহমান, পরিসংখ্যান বিভাগের মোহাম্মদ সাকিব ইবতিধা চৌধুরি, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের দিগন্ত দাশ, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের আতিয়া তাহিরা তাসনিম, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের জেবা ফাইজাহ রাহমান, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স বিভাগের মো. আব্দুর রহমান, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মাজহারুল হক জুবায়েদ, ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সাইন্স থেকে কাশফিয়া নেহরিন, সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে মো. নাজমুল ইসলাম রাফি, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সৌমেন দাশ ও সৈয়দা জান্নাতুস সাবা, ত্রিপলি বিভাগের দ্বিপ সরকার, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের মো. আমজাদ পাটোয়ারী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাউসার আলী, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জিনিয়া সুলতানা জ্যোতি, স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের শতাপর্না দাশ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের মিতালী সিনহা, বাংলা বিভাগের কান্তা ভৌমিক, অর্থনীতি বিভাগের মাহফুজা খাতুন রিমা, ইংরেজি বিভাগের তাসনিম সুলতানা ডেইজি, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শামীমা বেগম, লোকপ্রশাসন বিভাগের আব্দুল বাসিত, সমাজকর্ম বিভাগের ফারাহ তাসনিম এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের খাইরাতুন হিসান তন্নী।
ডিনস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও স্কুল অব ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার বলেন, ‘আগামী ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ২৬টি বিভাগের ২৭ শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে। মুজিব শতবর্ষকে সম্মানিত ও স্মরণীয় করে রাখতে ২০২০ সালের স্নাতক (সম্মান/ইঞ্জিনিয়ারিং) পরীক্ষা থেকে প্রতিবছর এ অ্যাওয়ার্ড কার্যকর হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২২২তম সভা এবং একাডেমিক কাউন্সিলের ১৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে এ ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে প্রকৌশল গবেষণা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
বাংলাদেশে পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিংয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে: শাবি অধ্যাপক
ফারদিন হত্যা: ২ মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বুশরা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার দুই মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ফারহানা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
আরও পড়ুন: ফারদিনের মৃত্যুতে বুশরার যোগসূত্র নেই, আদালতকে অবহিত করবে ডিবি: হারুন
তিনি জানান, আদালতের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই করা হয়। পরে বুশরাকে দুপুর ২টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
এছাড়া কারামুক্তির পর আমাতুল্লাহ বুশরাকে তার বাবা মঞ্জুরুল ইসলাম নিয়ে যান বলেও জানান তিনি।
এর আগে, রবিবার (৮ জানুয়ারি) পরশের বাবার দায়ের করা হত্যা মামলার প্রধান আসামি আমাতুল্লাহ বুশরার অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-৭ এর বিচারক তেহসিন ইফতেখার।
প্রসঙ্গত, নিখোঁজ হওয়ার প্রায় তিন দিন পর গত বছরের ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে বলা হয়, ফারদিনের বন্ধু বুশরা ও অজ্ঞাত এক আসামি তাকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। বুশরা ও ফারদিন ৪ বছর ধরে পরিচিত ছিলেন।
ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন রানা এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী) দায়ের করার দুদিন পর গত ১০ নভেম্বর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বুশরাকে রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফারদিনের মৃত্যু: জামিন পেলেন বুশরা
ফারদিন নূরের মৃত্যু: বুশরার জামিন আবেদনের আদেশ রবিবার
বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে পাঠ্যবই পাবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বলেছেন, করোনাভাইরাস এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সঙ্কটের মধ্যে সরকার জনগণের অর্থ সাশ্রয়ের জন্য কিছু কঠোরতামূলক ব্যবস্থা আরোপ করলেও, শিশুদের জন্য বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপার বিষয়ে কোনো আপস করেনি সরকার।
তিনি বলেন, ‘...আমরা শিশুদের বিষয়গুলো ভুলে যাইনি, আমরা তাদের পাঠ্যবই ছাপানোর ক্ষেত্রে আপস করিনি। হ্যাঁ, আমরা অন্যান্য খাত থেকে অর্থ সঞ্চয় করার চেষ্টা করছি (মিতব্যয়ী ব্যবস্থা আরোপ করার মাধ্যমে), তবে আমরা তাদের (শিশুদের) বই ছাপানোর দিকে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে ২০২৩ সালের বিনামূল্যে পাঠ্যবউ বিতরণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সবকিছুর দাম বেড়েছে, যার কারণে সরকার সরকারি ব্যয়ে কিছু কঠোরতামূলক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। তবে এতে বছরের প্রথম দিনেই শিশুদের জন্য পাঠ্যবই মুদ্রণ ও বিতরণে কোনো প্রভাব ফেলেনি।
তিনি উল্লেখ করেন, সরকার করোনাভাইরাস, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ সব বাধা উপেক্ষা করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে শিশুদের সকল সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে, কারণ তারাই লক্ষ্য অর্জনের চালিকাশক্তি।
আরও পড়ুন: আগামী বছরে পরিক্ষামূলকভাবে কয়েকটি শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী বই আসছে
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বাচ্চাদের এমনভাবে বড় করব যাতে তারা আগামী দিনে প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে এবং যা তাদের আসন্ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করার জন্য প্রস্তুত করতে পারে।’
তিনি শিশুদের কৌতূহলকে উদ্দীপিত করে তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে বিশেষ মনোযোগ দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সেদিকে দৃষ্টি রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য তাদেরকে (শিশুদের) দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সঠিক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে কারিগরি ও প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পূর্ণ জনসংখ্যা প্রযুক্তিগতভাবে স্মার্ট হবে, তারা পিছিয়ে থাকবে না।’
তিনি বলেন, দেশের শিশুদের আন্তরিকতার সঙ্গে গড়ে তুলতে পারলে বিশ্বের কোনো শক্তি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি ঠেকাতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় থেকে এখন পর্যন্ত সরকার টেলিভিশনের মাধ্যমে ‘আমার স্কুল আমার ঘরে’ উদ্যোগ নেয়ায় শিশুরা ঘরে বসেই পড়াশোনা করছে।
তিনি বলেন, ‘সংসদ টিভির মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে একাডেমিক অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়েছে। এগুলো বিটিভির মাধ্যমেও পরিচালিত হয়েছে। আমি মনে করি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সবসময় সংসদ টিভি ব্যবহার করতে পারে।’
তিনি আরও প্রকাশ করেছেন যে শিক্ষার জন্য সরকারের একটি পৃথক টেরেস্ট্রিয়াল টিভি চ্যানেল চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের পর যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা এদেশের মানুষকে নিরক্ষরতামুক্ত করার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে আবার শিক্ষা কমিশন গঠন করে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেছেন, তারা সাক্ষরতার হার বাড়ানোর জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে এবং বয়স্ক লোকদের সাক্ষরতার বিষয়টিও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষা মানুষকে দারিদ্রমুক্ত রাখার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। ‘সুতরাং, সমগ্র জাতিকে শিক্ষিত করার জন্য আমরা নতুন পদক্ষেপ নিয়েছি এবং আমরা একটি নতুন শিক্ষা কমিশন গঠন করেছি।’
তিনি আরও বলেন, কিন্তু ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকার এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর তারা দেশকে আবার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে এবং এটাই বাস্তবতা।
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে মানুষ নৌকায় ভোট দিয়েছিল, আমরা আবার সরকার গঠন করেছি। তারপর থেকে আমরা আবার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি কিভাবে আমরা এই দেশের মানুষকে নিরক্ষরতা থেকে মুক্ত করব এবং ২০১০ সাল থেকে আমরা বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ শুরু করেছি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে যেসব বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়
পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যই বিতরণে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শনিবার সকালে তার কার্যালয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে এই পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, প্রাথমিক এবং গণশিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আগামী বছরে পরিক্ষামূলকভাবে কয়েকটি শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী বই আসছে
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামীকাল সারাদেশে ‘জাতীয় পাঠ্যবই উৎসব’ উদযাপন করবে।
এই বছর ৪ কোটি ৯ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৩৩ কোটি ৯১ লাখ নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণের জন্য মন্ত্রণালয়গুলো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৩৪ দশমিক ৪৫টিরও বেশি পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করেছে।
আরও পড়ুন: দেশ-বিদেশের শ্রম বাজার মাথায় রেখে শিক্ষা কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
সরকারি মাধ্যমিকে ভর্তির ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ
ইবি শিক্ষার্থীর স্বর্ণপদক জয়
বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত বিজয় দিবস কারাতে প্রতিযোগিতা-২০২২ স্বর্ণপদক অর্জন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস তানজিনা।
তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কুষ্টিয়ার হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: এশিয়ান গেমস হকি বাছাইপর্ব: ইন্দোনেশিয়াকে ৩-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুডু অ্যান্ড কারাতে ক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনকে পরাজিত করে সিনিয়র-৫০ কেজি (মহিলা) কুমি ইভেন্টে স্বর্ণপদক অর্জন করেন তিনি।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার গুলিস্তানের ব্যাডমিন্টন স্টেডিয়ামে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে কারাতে বিষয়ক বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
এ প্রতিযোগিতায় মার্শাল আর্ট সায়েন্স (এমএসএ) টিম তিনটি স্বর্ণপদক, তিনটি রৌপ্যপদক ও নয়টি তাম্রপদক অর্জন করে।
তানজিনা এমএসএ টিমের হয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
স্বর্নপদক অর্জনের অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তানজিনা বলেন, আজ সম্পূর্ণ প্রস্তুতি ছাড়াই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি।
কোনো প্রস্তুতি ছাড়া নেমে এতো ভালো অর্জন পেয়ে যাবো ভাবিনি। এই অর্জন সামনের জাতীয় প্রতিযোগিতার অনুপ্রেরণা হবে আমার জন্য।
উল্লেখ্য, ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মার্শাল আর্ট এন্ড সাইন্স এসোসিয়েশন’ এর প্রতিষ্ঠাটা জান্নাতুল ফেরদৌস তানজিনা।
ইবিতে মেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রথমবারের মতো কারাতে, মার্শাল আর্ট বা সেল্ফডিফেন্সের প্রশিক্ষণ শুরু করেছেন তিনি।
তানজিনা বাংলাদেশ কারাতে কনফেডারেশনের সিনিয়র প্রশিক্ষক, সিনিয়র খেলোয়াড় এবং এরআগে জাতীয় পর্যায়ে তিনবার স্বর্ণপদক প্রাপ্ত।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ কারাতে কনফেডারেশন থেকে ব্লাক বেল্ট ফাস্ট ড্যানের অধিকারী।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু এশিয়ান সেন্ট্রাল জোন অনূর্ধ্ব-২৩ ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু
দক্ষিণ এশিয়া অনূর্ধ্ব-১৫ ব্যাডমিন্টন: গালিব-মুস্তাকিম জুটির শিরোপা জয়
আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জে শাবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীর সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন
আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জ-২০২২ প্রতিযোগিতায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গণিত বিভাগের ৯ শিক্ষার্থী সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জ'২২ এর শাবিপ্রবির তত্ত্বাবধায়ক গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম সাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে আন্তর্জাতিক ইয়ুথ ম্যাথ চ্যালেঞ্জ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আমার তত্ত্বাবধানে গতবছর দুইজন অংশগ্রহণ করে পদক পেয়েছিলেন, এবার ৯জন; যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক বড় অর্জন। আগামীতে আশা করি ছাত্র-ছাত্রীদের এই অর্জন আরও বৃদ্ধি পাবে। যার মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম আর ও বাড়বে বলে আমি মনে করি।’
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে শাবিপ্রবিতে সমর্থকদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস
শাবিপ্রবি থেকে সিলভার পদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন মারুফ, ২০২০-২১ সেশনের মো. রায়হান আহমেদ রাফি।
ব্রোঞ্জ পদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের মিনিহাজ আহমেদ সামি, হাবিবুর রহমান এবং ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ওয়াসেক আল আজাদ অভি, রায়হান ইকবাল, শুভ পাল, নাজমুন নাহার ও আবু শহীদ সালমান।
প্রসঙ্গত, এবারের আন্তর্জাতিক গণিত চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় ৯৮ টি দেশের সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এতে তত্ত্বাধায়ক হিসেবে ছিলেন এক হাজার ৩০০ শিক্ষক। এ প্রতিযোগিতাটি কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড, প্রি-ফাইনাল, ফাইনাল এ তিন পর্বে সম্পন্ন হয়। প্রথম দুই রাউন্ড শেষে ফাইনালে মোট এক হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। ফাইনালে ২০টি প্রশ্ন ছিল। প্রত্যেক প্রশ্নের জন্য এক পয়েন্ট নির্ধারিত থাকে। এ থেকে সর্বোচ্চ পয়েন্টের ভিত্তিতে গোল্ড-সিলভার-ব্রোঞ্জ পদক দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ১০দিনব্যাপী 'কিনে'র বইমেলা
মানসিক রোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫% শিক্ষার্থী সচেতন: শাবিপ্রবির গবেষণা