কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় অভিযানকালে জাসদ নেতার ভাইয়ের মৃত্যু, ৩ পুলিশ অবরুদ্ধ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পুলিশের অভিযানের সময় রফিকুল ইসলাম দুদু নামে জাসদ নেতার ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় উপপরিদর্শকসহ (এসআই) তিন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এরপর পুলিশক সদস্যদের গ্রামের বাজারের একটি দোকানে জাসদের নেতাকর্মীরা পুলিশ সদস্যদের প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
পরে রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ক্যাপ্টেন লাম ইয়ানুল ইসলামের নেতৃত্বে কুষ্টিয়া থেকে সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে অবরুদ্ধ তিন পুলিশকে উদ্ধার করে।
নিহত ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম দুদু (৪৫)। তিনি একই গ্রামের আজিজ মন্ডলের ছেলে এবং পেশায় একজন চায়ের দোকানদার ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, চাঁদগ্রামের ৪ নম্বর সেতুর কাছে রফিকুলের চায়ের দোকান। সন্ধ্যায় ভেড়ামারা থানা-পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালালে বাঁচতে সেতু থেকে লাফ দেন রফিকুল। পুলিশ সেখানে ধাওয়া করে তাকে আটক করে। পরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জানান, রফিকুল ইসলাম দুদুকে রাত ৭টা ৩৮ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। এসময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে জিপগাড়ি উল্টে যুবকের মৃত্যু
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুর রহমান বলেন, একজনকে সেতুর ওপরে মারতে দেখি। এগিয়ে গেলে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাধা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ সেতুর থেকে ১০ ফুট নিচে ফেলে দেয় রফিকুলকে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে দেখে যে, সেতুর নিচে এক পুলিশ রফিকুলের জামার কলার ধরে বসানোর চেষ্টা করে। এরপর পরই বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
নিহতের ছোট ভাই চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, রফিকুল কোনো মামলার আসামি নয়। মামলার কোনো ওয়ারেন্টও দেখাতে পারেনি পুলিশ। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপন দাবি করেন, রফিকুল ইসলাম দুদু নিরাপরাধ। জনতার রোষে তিন পুলিশের জীবন বিপন্ন হতে পারত। আমি ও নিহতের ভাই দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। পরে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) আবদুল খালেক বলেন, কেন পুলিশ সেখানে গিয়েছিল সেটার তদন্ত করে দেখা হবে।
এছাড়া স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে যাওয়া পুলিশদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান সহকারী পুলিশ সুপার।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। এ ঘটনার জন্য যদি কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত থাকেন, তাহলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বগুড়া কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
১ সপ্তাহ আগে
কুষ্টিয়ায় ড্রেন থেকে পাওয়া গেল থানার লুট হওয়া শটগান
কুষ্টিয়ায় ড্রেন থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় মডেল থানার লুট হওয়া একটি শটগান উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শহরের ঈদগাহপাড়া এলাকায় আফসার উদ্দিন মাদরাসার পেছনের একটি ড্রেন থেকে এই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ড্রেন পরিষ্কার করতে গিয়ে অস্ত্রটি দেখতে পান। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ অস্ত্রটি উদ্ধার করে।
পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী মনিরুদ্দীন ভাষা বলেন, ‘সকালে মাদরাসার পেছনে আমি ড্রেন পরিষ্কার করছিলাম। এ সময় ড্রেনের ময়লা পানির মধ্যে অস্ত্রটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে সেটি ড্রেন থেকে উঠিয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ সেখানে এসে অস্ত্রটি নিয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিএনপি নেতা হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ১, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ‘লুট হওয়া অস্ত্রটি ড্রেনে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ড্রেন পরিষ্কার করতে গিয়ে অস্ত্রটি দেখতে পান। আমাদের মডেল থানা পুলিশের শটগান এটি। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে অস্ত্রটি উদ্ধার করেছি।’
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট থানা থেকে অনেক অস্ত্রই লুট হয়ে যায়। লুট হওয়া কিছু অস্ত্র উদ্ধার হলেও এখনও অনেক অস্ত্র উদ্ধার হয়নি।’
প্রসঙ্গত, গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো কুষ্টিয়া মডেল থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। এতে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে কুষ্টিয়া মডেল থানা। সেসময় থেকে কুষ্টিয়া মডেল থানার দাপ্তরিক কাজ সদর পুলিশ ফাঁড়িতে চলছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ডাকাতি, অস্ত্রসহ নওগাঁয় গ্রেপ্তার ৪ ডাকাত
২ সপ্তাহ আগে
কুষ্টিয়া আদালতে মারামারি-হট্টগোল, দুই কর্মচারী আহত
কুষ্টিয়া আদালতে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হট্টগোল ও মারামারি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় আদালতের দুই কর্মচারী আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ এক ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়েছে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলাম জানান, আদালতের সেরেস্তাদার ও কর্মচারীদের সঙ্গে টাকা-পয়সা নিয়ে এক ব্যক্তির কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে ওই ব্যক্তি বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে কর্মচারীদের ওপর হামলা করে। এতে রাকিব ও রাসেল নামে দুইজন কর্মচারী আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
আদালত সূত্রে জানা যায়, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রথমে মহসিন নামে জনৈক ব্যক্তিকে অপমান, অপদস্ত ও মারধর করেন আদালতের কর্মচারীরা। পরে মহসিনের লোকজন এসে কর্মচারীদের মারধর করেন। উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা। ঘটনায় মহসিনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
আদালতের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, মহসিন নামের এক ব্যক্তি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হিসাবরক্ষক মঞ্জুরুল ইসলামের কাছে আসেন এবং টাকা লেনদেন নিয়ে তর্কে জড়ান। এসময় মহসিনের সঙ্গে আদালতের কর্মচারীদের হট্টগোল হয়। এর জেরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহসিন বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কর্মচারীদের মারধর করেন। এতে দুই কর্মচারী আহত হন। মহসিনকে আদালত পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। মহসিন বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।
আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউনুস আলী বলেন, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে হট্টগোল মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় তেলের গোডাউনে আগুন, দুই কোটি টাকার ক্ষতি
৩ সপ্তাহ আগে
ইবির বাসের চাপায় বাইসাইকেল আরোহী নিহত
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দোতলা বাসের চাপায় জাহিদুল ইসলাম নামে এক বাইসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।
শহরের জেলখানা মোড় এলাকায় মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ঘটনাটি ঘটে।
জাহিদুল ইসলাম শহরের হাউজিং এ ব্লকের মৃত নূর উদ্দিনের ছেলে। এছাড়া শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকার টেইলার্সের মালিক ছিলেন জাহিদুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, বাইসাইকেল করে জাহিদুল টেইলার্সে যাচ্ছিলেন। এ সময় জেলখানার মোড় এলাকায় ইবির একটি দোতলা বাস জাহিদুল ইসলামকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
পরে জাহিদুলের লাশ ঘটনাস্থলে পড়ে থাকলেও বাসচালক বাস নিয়ে ১৫০ মিটার দূরে চলে যায়। তখনও বাসের সঙ্গে আটকে ছিল বাইসাইকেলটি। পরে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা চালককে মারধর এবং ভাঙচুর করে বাসের গ্লাস।
বাসচালক সেলিম কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেলিমের বাড়ি সিরাজগঞ্জ বলে জানিয়েছে তারই আরেক সহকর্মী।
জাহিদুলের ছেলে শাহীনুর হাবীব লালন বলেন, সকালে বিছানা থেকেই শুনতে পেলাম বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। জেলখানা মোড়ের মতো ব্যস্ত জায়গায় একজন বাইসাইকেল চালকের বাসের নিচে পড়ার কথা না। চালক বেপরোয়া গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আমরা তার বিচার চাই।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘাতক বাসটিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বাসচাপায় জামায়াত নেতার মৃত্যু
১ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে নুর আমিন ও ফাতেমা নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিশু দুটি সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার হরিণগাছি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নুর আমিন (৪) দৌলতপুর উপজেলার হরিণগাছি গ্রামের মালিথা পাড়া এলাকার খোদা বকস খুইদির ছেলে এবং ফাতেমা খাতুন (৩) মিজারুল ইসলামের মেয়ে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শনিবার বিকালে বাড়ির পাশে খেলা করছিল নুর আমিন ও ফাতেমা খাতুন। একসময় তাদের দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় শিশু দুটিকে দেখতে পায় এলাকাবাসী। মৃত অবস্থায় স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আওয়াল কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসচাপায় শিশুর মৃত্যু
১ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামিদুল ও নজরুল নামে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ছাতারপাড়া বাজারে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত হামিদুল ইসলাম (৪৮) ও তার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম (৪৫) ছাতারপাড়া এলাকার বেগুনবাড়িয়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে গরুচোর সন্দেহে ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা
স্থানীয়রা জানায়, ছাতারপাড়ার বেগুনবাড়িয়া গ্রামের গাইন বংশ ও পিয়াদা বংশের মধ্যে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বুধবার বিকালে পিয়াদা বংশের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গাইন বংশের দুই ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার ২৫০ শয্যা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক হামিদুল ইসলাম ও নজরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আওয়াল কবীর বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষরা দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হচ্ছে।
নিহতদের লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর রামপুরায় লেগুনার চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
১ মাস আগে
হাত-পা বেঁধে ছাদ থেকে ফেলে কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
কুষ্টিয়ায় হাত-পা বেঁধে চারতলা বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে রুবেল হোসেন নামে এক কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কোর্টপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রশি দিয়ে হাত-পা ও কাপড় দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুবেলের মৃত্যু হয়।
নিহত কলেজছাত্র রুবেল হোসেন (২২) কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
রুবেল কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাওয়ার ডিপার্টমেন্টের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র। শহরের কোর্টপাড়া এলাকায় একটি চারতলা ভবনের তৃতীয় তলায় ছাত্রাবাসে থাকতেন তিনি।
ওই ছাত্রাবাসের ছাত্র আনিসুর রহমান জানান, ‘রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে চিৎকারের শব্দ শুনে নিচে নেমে এসে দেখি হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় রুবেল পড়ে আছে। তখন স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
আনিসুর আরও বলেন, ‘বিকাল থেকে রুবেলকে চিন্তিত থাকতে দেখেছি। সন্ধ্যার পরে একসঙ্গে ছাত্রাবাসের খরচের হিসাব করেছি। তবে এই ঘটনা কীভাবে কেন ঘটলো তা জানি না।’
প্রত্যক্ষদর্শী কামরুল হাসান শুভ জানান, হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারধর করে রুবেলকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার দুই হাত, দুই পা সাদা রশি ও মুখ লাল কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। ঘটনার পর পুলিশের সঙ্গে ভবনের তিনতলায় গেলে ওই রুমের বারান্দায় একই রঙের রশি টানানো দেখা যায়।
এটি হত্যাকাণ্ড দাবি করেন শুভ। তবে কে বা কারা হত্যা করেছে তা জানেন না তিনি।
মাহিম নামের স্থানীয় এক যুবক জানান, ছাত্রাবাসের ছাত্ররা এ বিষয়ে কিছু জানে না বলে জানায়। ভবনটির ছাদ বন্ধ থাকে। বাড়ির মালিক ছাড়া ছাদের চাবি ছাত্রাবাসের এক ছেলের কাছে থাকে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কিছু জানতে পারবে।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই ছাত্রাবাসে গিয়ে পুলিশকে রুবেলের সঙ্গে একই রুমে থাকা হৃদয় ও রাইসুলসহ অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়।
বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ‘আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাত ১১টার দিকে রুবেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
২ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
কুষ্টিয়ার মিরপুরে সাইকেল নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে বজ্রপাতে সাজীদ (১৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টবর) দুপুর দিকে মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কামিরহাট বাজার থেকে ফেরার পথে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে এমসি কলেজের শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নিহত সাজীদ কামিরহাট গ্রামের সিদ্দিকের ছেলে।
ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে সাইকেল নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে বজ্রপাত হয়। এসময় সাজীদ মাটিতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, বজ্রপাতে সাজীদ নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু
২ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে নিজ পরিষদে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউপি চেয়ারম্যানের নঈম উদ্দিন ওরফে সেন্টু (৫০) উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো সকালে ইউনিয়ন পরিষদের কর্যালয়ের নিজ কক্ষে বসে পরিষদের কাজ করছিলেন চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চেয়ারের পেছনে থাকা জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। গুলির শব্দে স্থানীয়রা ছুটে এলে তাদেরও লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর স্থানীয়রা চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা মেরে রাখে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে পোল্ট্রি ফিড ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে এলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে বেগ পেতে হয়। সাংবাদিকরা ছবি নিতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় একটি পক্ষ। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত চেয়ারম্যানের লাশ ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরেই ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, বিএনপির রাজনীতি করলেও দলে তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন এবং তিনবার ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তার সখ্য ছিল।
দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, ‘চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু এক সময় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি নিরপেক্ষ ছিলেন। রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।’
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘চেয়ারম্যান নিজ কক্ষের চেয়ারেই বসে ছিলেন। তাকে পেছন থেকে জানালা দিয়ে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ৭ শ্রমিককে গুলি করে হত্যা
২ মাস আগে
চুরির অভিযোগে মাদরাসা ছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, আটক ৬
কুষ্টিয়ায় মুদি দোকানে চুরির অভিযোগে ১১ বছর বয়সি এক মাদরাসা ছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় তার শরীরে সিগারেটের ছ্যাকা দেওয়াসহ মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগর এলাকার ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন- নন্দলালপুর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের সামছুল হক (৫০), সদর থানার ফুলতলা এলাকার মো. জিহাদ (৩৫), মনোহার শেখ মুনা (৫০), মো. সোলাইমান (৫৫) ও মো. রিফাত (২০)।
এদিকে অপরজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় রাতভর মাদরাসা শিক্ষক ও গৃহিণীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
মাদরাসা ছাত্র রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং কুষ্টিয়া মাদরাসাতুল আবরার মাদরাসার হাফেজজিয়া কওমি ছাত্র।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই মাদরাসা ছাত্র আগে কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগর এলাকার দারুল আহাদ আল ইসলামিয়া নূরানি হাফেজিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করত। গত রবিবার রাতে ওই ছাত্র বর্তমান মাদরাসা থেকে পালিয়ে পূর্বের মাদরাসা আলাউদ্দিন নগরে আসে। ওই দিন রাতেই সোলাইমানের মুদি দোকানের টিনের বেড়া কেটে বিস্কুট, জুস ও খাবার খায় ওই ছাত্র। সেসময় আসামিরা টের পেয়ে ওই মাদরাসা ছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে, সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীর পুড়িয়ে দেয় এবং মাথার চুল কেটে দেয়। এমন নির্মম নির্যাতন চলে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত। এরপর খবর পেয়ে ওই ছাত্রের মা তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর ছয়জনকে আসামি করে কুমারখালী থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রের মা। রাতেই আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর মঙ্গলবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ছাত্রের মা বলেন, ‘আমার ছেলে ক্ষুধা মিটানোর জন্য দোকানে ঢুকে বিস্কুট ও জুস খেয়েছিল। সেজন্য তাকে চুরির অপরাধে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করেছে। সিগারেটের ছ্যাকা দেওয়াসহ মাথার চুল কেটে দিয়েছে। আমি এই নির্যাতনের সু্ষ্ঠু বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি।’
আরও পড়ুন: নির্যাতনের শিকার হাতি উদ্ধার, মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে
মারধর ও চুলকাটার ঘটনা স্বীকার করে অভিযুক্ত দোকানদারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দোকানে ঢুকে চুরি করায় তাকে হাতেনাতে ধরে মারধর করা হয়েছিল। স্থানীয় ছেলেপেলে চুল কেটেছিল। তবে চুল কাটাই সবচেয় বড় অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা ভুল হয়েছে।’
কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকল্যাণ বিশ্বাস বলেন, ‘ছাত্রের মা থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পুলিশি নির্যাতনের ভয়াবহ বর্ণনা দিলেন জবি সমন্বয়ক
৩ মাস আগে