কুষ্টিয়া
হাত-পা বেঁধে ছাদ থেকে ফেলে কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
কুষ্টিয়ায় হাত-পা বেঁধে চারতলা বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে রুবেল হোসেন নামে এক কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কোর্টপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রশি দিয়ে হাত-পা ও কাপড় দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুবেলের মৃত্যু হয়।
নিহত কলেজছাত্র রুবেল হোসেন (২২) কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
রুবেল কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাওয়ার ডিপার্টমেন্টের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র। শহরের কোর্টপাড়া এলাকায় একটি চারতলা ভবনের তৃতীয় তলায় ছাত্রাবাসে থাকতেন তিনি।
ওই ছাত্রাবাসের ছাত্র আনিসুর রহমান জানান, ‘রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে চিৎকারের শব্দ শুনে নিচে নেমে এসে দেখি হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় রুবেল পড়ে আছে। তখন স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
আনিসুর আরও বলেন, ‘বিকাল থেকে রুবেলকে চিন্তিত থাকতে দেখেছি। সন্ধ্যার পরে একসঙ্গে ছাত্রাবাসের খরচের হিসাব করেছি। তবে এই ঘটনা কীভাবে কেন ঘটলো তা জানি না।’
প্রত্যক্ষদর্শী কামরুল হাসান শুভ জানান, হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারধর করে রুবেলকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার দুই হাত, দুই পা সাদা রশি ও মুখ লাল কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। ঘটনার পর পুলিশের সঙ্গে ভবনের তিনতলায় গেলে ওই রুমের বারান্দায় একই রঙের রশি টানানো দেখা যায়।
এটি হত্যাকাণ্ড দাবি করেন শুভ। তবে কে বা কারা হত্যা করেছে তা জানেন না তিনি।
মাহিম নামের স্থানীয় এক যুবক জানান, ছাত্রাবাসের ছাত্ররা এ বিষয়ে কিছু জানে না বলে জানায়। ভবনটির ছাদ বন্ধ থাকে। বাড়ির মালিক ছাড়া ছাদের চাবি ছাত্রাবাসের এক ছেলের কাছে থাকে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কিছু জানতে পারবে।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই ছাত্রাবাসে গিয়ে পুলিশকে রুবেলের সঙ্গে একই রুমে থাকা হৃদয় ও রাইসুলসহ অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়।
বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ‘আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাত ১১টার দিকে রুবেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
২ সপ্তাহ আগে
কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
কুষ্টিয়ার মিরপুরে সাইকেল নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে বজ্রপাতে সাজীদ (১৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টবর) দুপুর দিকে মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কামিরহাট বাজার থেকে ফেরার পথে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে এমসি কলেজের শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নিহত সাজীদ কামিরহাট গ্রামের সিদ্দিকের ছেলে।
ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে সাইকেল নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে বজ্রপাত হয়। এসময় সাজীদ মাটিতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, বজ্রপাতে সাজীদ নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু
৩ সপ্তাহ আগে
কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে নিজ পরিষদে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউপি চেয়ারম্যানের নঈম উদ্দিন ওরফে সেন্টু (৫০) উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো সকালে ইউনিয়ন পরিষদের কর্যালয়ের নিজ কক্ষে বসে পরিষদের কাজ করছিলেন চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চেয়ারের পেছনে থাকা জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। গুলির শব্দে স্থানীয়রা ছুটে এলে তাদেরও লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর স্থানীয়রা চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা মেরে রাখে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে পোল্ট্রি ফিড ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে এলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে বেগ পেতে হয়। সাংবাদিকরা ছবি নিতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় একটি পক্ষ। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত চেয়ারম্যানের লাশ ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরেই ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, বিএনপির রাজনীতি করলেও দলে তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন এবং তিনবার ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তার সখ্য ছিল।
দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, ‘চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু এক সময় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি নিরপেক্ষ ছিলেন। রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।’
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘চেয়ারম্যান নিজ কক্ষের চেয়ারেই বসে ছিলেন। তাকে পেছন থেকে জানালা দিয়ে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ৭ শ্রমিককে গুলি করে হত্যা
৩ সপ্তাহ আগে
চুরির অভিযোগে মাদরাসা ছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, আটক ৬
কুষ্টিয়ায় মুদি দোকানে চুরির অভিযোগে ১১ বছর বয়সি এক মাদরাসা ছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় তার শরীরে সিগারেটের ছ্যাকা দেওয়াসহ মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগর এলাকার ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন- নন্দলালপুর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের সামছুল হক (৫০), সদর থানার ফুলতলা এলাকার মো. জিহাদ (৩৫), মনোহার শেখ মুনা (৫০), মো. সোলাইমান (৫৫) ও মো. রিফাত (২০)।
এদিকে অপরজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় রাতভর মাদরাসা শিক্ষক ও গৃহিণীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
মাদরাসা ছাত্র রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং কুষ্টিয়া মাদরাসাতুল আবরার মাদরাসার হাফেজজিয়া কওমি ছাত্র।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই মাদরাসা ছাত্র আগে কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগর এলাকার দারুল আহাদ আল ইসলামিয়া নূরানি হাফেজিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করত। গত রবিবার রাতে ওই ছাত্র বর্তমান মাদরাসা থেকে পালিয়ে পূর্বের মাদরাসা আলাউদ্দিন নগরে আসে। ওই দিন রাতেই সোলাইমানের মুদি দোকানের টিনের বেড়া কেটে বিস্কুট, জুস ও খাবার খায় ওই ছাত্র। সেসময় আসামিরা টের পেয়ে ওই মাদরাসা ছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে, সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীর পুড়িয়ে দেয় এবং মাথার চুল কেটে দেয়। এমন নির্মম নির্যাতন চলে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত। এরপর খবর পেয়ে ওই ছাত্রের মা তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর ছয়জনকে আসামি করে কুমারখালী থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রের মা। রাতেই আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর মঙ্গলবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ছাত্রের মা বলেন, ‘আমার ছেলে ক্ষুধা মিটানোর জন্য দোকানে ঢুকে বিস্কুট ও জুস খেয়েছিল। সেজন্য তাকে চুরির অপরাধে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করেছে। সিগারেটের ছ্যাকা দেওয়াসহ মাথার চুল কেটে দিয়েছে। আমি এই নির্যাতনের সু্ষ্ঠু বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি।’
আরও পড়ুন: নির্যাতনের শিকার হাতি উদ্ধার, মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে
মারধর ও চুলকাটার ঘটনা স্বীকার করে অভিযুক্ত দোকানদারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দোকানে ঢুকে চুরি করায় তাকে হাতেনাতে ধরে মারধর করা হয়েছিল। স্থানীয় ছেলেপেলে চুল কেটেছিল। তবে চুল কাটাই সবচেয় বড় অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা ভুল হয়েছে।’
কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকল্যাণ বিশ্বাস বলেন, ‘ছাত্রের মা থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পুলিশি নির্যাতনের ভয়াবহ বর্ণনা দিলেন জবি সমন্বয়ক
১ মাস আগে
সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড কুষ্টিয়ায়, জনদুর্ভোগ চরমে
নিম্নচাপের প্রভাবে কুষ্টিয়াতে রেকর্ড পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে। রবিবার দুপুর ১২টা থেকে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টায় ২৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি বছরে ও গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড বলে জানিয়েছেন কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক মো. আল আমিন।
এদিকে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ায় বিপাকে শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবী, খামারিসহ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। জলাবদ্ধতায় ডুবেছে কৃষকের ফসল। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ভেঙে পড়েছে বেশকিছু ঘরবাড়ি ও গাছপালা।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল, আদালত চত্বর, টিএন্ডটি অফিস, শহরের কোর্টপাড়া, পেয়ারাতলা, ঈদগাঁপাড়া, কালিশঙ্করপুর, গোরস্থান পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কে হাঁটু পানি জমেছে। অনেক জায়গায় ঘর-বাড়িতে পানি উঠে গেছে।
কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা, পান্টি, চাঁদপুর, সদকী ও জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও কুমারখালী পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় হাঁটু পানি জমেছে।
আরও পড়ুন: টানা চারদিনের বৃষ্টিপাতে মেহেরপুরে ফসলের মাঠ পানির নিচে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ
উপজেলার সদকী ইউনিয়নের গড়েরমাঠ এলাকায় প্রায় ২২ বিঘা জমির পুকুরে মাছ এবং পুকুরপাড়ে সবজি চাষাবাদ করেছিলেন খামারি সুজন আলী পলাশ।
তিনি বলেন, মাস দুই পরেই প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ বিক্রির প্রত্যাশা ছিল তার। কিন্তু কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পুকুর ভেসে গেছে। লাউ ও ঝিঙেসহ অন্যান্য সবজি নষ্ট হয়েছে। মাছ ও সবজিতে তার প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
যদুবয়রা পশুহাট পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. আব্দুল গনি বলেন, ভারী বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়ার কারণে গত রবিবার হাটে মাত্র দুটি গরু এসেছিল। তাও বিক্রি হয়নি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ায় ৫০ হেক্টর জমির রোপা আমন, ৩০ হেক্টর মাসকলাই, ৬০ হেক্টর সবজি ও ৬০ হেক্টর জমির কলা খেতের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভারী বৃষ্টির কারণে কিছু গাছপালা ও ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। তবে বিভিন্ন ফসলের মাঠে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তা নিরসনের চেষ্টা চলছে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মো. আল আমিন বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে গত শুক্রবার রাতে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি গত শনিবার বিকালে রূপ নেয় ভারী বৃষ্টিপাতে। পরে ওইদিন মধ্যরাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত দমকা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। ২৪ ঘণ্টায় ১২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আল আমিন বলেন, এর আগে ২০১৮ সালে ৭৯ মিলিমিটার, ২০১৯ সালে ৪৪, ২০২০ সালে ৪৯, ২০২১ সালে ১০৫, ২০২২ সালে ৬৪ ও ২০২৩ সালে ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
তবে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে মেঘলা আকাশ ভেদ করে সূর্য উঁকি দেওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতির আশা করছেন কুষ্টিয়াবাসী।
আরও পড়ুন: সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে নজরুল ইসলাম ও সেলিম রেজা নামে দুই যুবককে আটক করা হয়েছে।
এসময় তাদের কাছ থেকে ১ কেজি ৩৭৩ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বার, ২টি মোটরসাইকেল, ২টি স্মার্ট মোবাইল, সিম কার্ড ও নগদ ১ হাজার ২২০ টাকা জব্দের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৪ কেজি ওজনের স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
জব্দ হওয়া মালামালের মূল্যে ১ কোটি ৪২ লাখ ১৯ হাজার ৫২৭ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা সীমান্তবর্তী চিলমারি ইউনিয়নের সুকারঘাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ১১টি স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক আটক
আটক দুই যুবক হলেন- উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মরারপাড়া এলাকার নজরুল ইসলাম (২০) ও সেলিম রেজা (২২)।
১ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে তামিম হোসেন (১২) ও আশিক আহমেদ (১১) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের লক্ষিকোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
তামিম ওই গ্রামের রাকিবুলের ছেলে ও আশিক আকছেদ মন্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে বেশ কয়েকজন শিশু গোসল করতে নামে।
এসময় তামিম ও আশিক পানিতে ডুবে যায়। পরে অন্য শিশুদের চিৎকারে এলাকাবাসীরা এসে মৃত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, দুপুরে পুকুরের পানিতে গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাফ নদীতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
সিলেটে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
১ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় হানিফ-আতাসহ আ. লীগের শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৩ বছর বয়সি আব্দুল্লাহ ও বাবু নিহতের ঘটনায় দুটি পৃথক হত্যা মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) আবদুল্লাহর বাবা লুকমান হোসেন এবং নিহত বাবুর পক্ষে রাইসুল হক বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দুটি করেন।
নিহত আব্দুল্লাহ কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস অফিস সংলগ্ন চায়ের দোকানে বাবার সঙ্গে কাজ করতেন। আব্দুল্লাহ চর থানা পাড়ার লোকমান হোসেনের ছেলে। আর বাবু কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর গ্রামের শালদহ এলাকার মৃত নওশের আলীর ছেলে। বাবু পেশায় স্বর্ণকার ছিলেন।
১৩ বছর বয়সি আব্দুল্লাহ হত্যা মামলায় কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফকে হত্যার হুকুমের আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় অস্ত্র দিয়ে গুলি করায় আসামি করা হয়েছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতাকে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের
এছাড়া বাবু হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা-কর্মীসহ মোট ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৪০-৫০ জনকে। বাবু হত্যা মামলায় হুকুমের আসামি করা হয়েছে- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীকে। এমামলার আসামি করা হয়েছে- জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মানব চাকী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ফেরদৌস, পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল ইসলাম বাবুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা-কর্মীসহ মোট ৩৫ জন।
আব্দুল্লাহ হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার করা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা-কর্মীসহ মোট ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০-২০ জনকে। এমামলার এক নম্বর আসামি কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ ও বাবু হত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় শতাধিক জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সাবেক এমপি বীরেন শিকদারসহ ১৭২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
হবিগঞ্জে সাবেক এমপি জাহিরসহ ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
২ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় কারফিউ ভেঙে রাজপথ দখল আন্দোলনকারীদের, সংঘর্ষ-গুলিতে আহত অর্ধশতাধিক
অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘোষণা করা কারফিউ ভঙ্গ করে কুষ্টিয়ার কয়েকটি সড়ক দখলে রেখেছে আন্দোলনকারীরা। পুলিশের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।
সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকেই শহরের একাধিক স্থানে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১০টার দিকে আন্দোলনকারীরা কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলীর বাড়িতে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। এরপর শহরের ছয় রাস্তার মোড়, পাঁচ রাস্তার মোড়, মজমপুর এলাকাসহ কয়েকটি সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে দখল করে নেয় আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।
এ সময় আন্দোলনকারীরা মসজিদের মাইক থেকে সবাইকে কুষ্টিয়া মডেল থানা দখল করার আহ্বান জানায়। দুপুর ১টার দিকে আন্দোলনকারীরা কুষ্টিয়া পৌরসভায় হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। পাঁচ রাস্তার মোড়ে অবস্থান নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে আগুন ধরিয়ে দেয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলছিল। তবে এ সময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতাকর্মীকে কুষ্টিয়ার রাজপথে দেখা যায়নি।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার জানান, দুপুর পর্যন্ত অন্তত ৫ থেকে ৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে: সেনাপ্রধান
কারফিউ অমান্য করে শাহবাগ অভিমুখে হাজারো মানুষের মিছিল
২ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় মোড়ে মোড়ে তল্লাশি, আটক ১৬
কুষ্টিয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক তল্লাশিতে আটক হয়েছেন ১৬ জন। তাদের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন।
বুধবার বেলা ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত শহরের মোড়ে মোড়ে তল্লাশি করে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ১৮১ ভরি স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
এছাড়া মোল্লা তেঘরিয়া মোড়, চৌড়হাস মোড়, মজমপুর রেলগেট, সাদ্দাম বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের গাড়ির টহল দিতে দেখা যায়।
বুধবার ৪টার দিকে চৌড়হাস মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পুলিশ রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও ব্যাগ তল্লাশি করছে। সন্দেহ হলে তাদের আটক করে গাড়িতে করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া কালেক্টরেট চত্বরের সামনে সিএনজি থেকে পাঁচজন একসঙ্গে নামলে পুলিশ তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে ব্যাগ ছিল। পরে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়। তবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সন্দেহজনক ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। কোনো ছাত্রকে আটক করা হবে না। তবে কোনো দুষ্কৃতিকারীর তথ্য প্রমাণ পেলে তাদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি থেকে ২৩ শিক্ষার্থী আটক
বরিশালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত ১৫, আটক ১০
২ মাস আগে