কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় পাহারাদারের হাত-পা পোড়া লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বিজনগর গ্রাম থেকে মনির হোসেন মনি (৮০) নামে এক পাহারাদারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাত-পা পোড়া ও মাথায় আঘাতের চিহ্নসহ লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মনির হোসেন মনি ওই এলাকার মৃত আকুব্বরের ছেলে ও স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক মিঠুর বাড়ির পাহারাদার।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে শিশুসহ ২ জনের লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত মনির হোসেন মনি পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে ওই এলাকায় পাহারাদারের কাজ করেন। একাই থাকতেন ওই ঘরে।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বিজনগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। তার বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে পাহারাদার হিসেবে কাজ করতেন মনি। ওই বাড়ির বাইরের একটি ঘরে তিনি থাকতেন।
তিনি বলেন, স্থানীয়রা শনিবার সকালে মনিকে দেখতে না পেয়ে জানালা দিয়ে ঘরের ভেতরে উঁকি দেয়। তখন দেখতে পায় বিছানায় মনিরের রক্তাক্ত লাশ পড়ে রয়েছে। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। নিহতের হাত ও পা পোড়া ছিল এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। কারা ও কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সেসব বিষয় জানার জন্য কাজ করছে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাতারগুলে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে নিখোঁজের ৩ দিন পর ডোবা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় বাউলের আস্তানায় ভাঙচুর
কুষ্টিয়ার মিরপুরে নিশান আলী নামে এক বাউলের আস্তানায় ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার দিবাগত রাতের দিকে কোনো একসময় বাউলের আস্তানায় ভাঙচুর চালায় তারা।
বাউল নিশান আলী বাড়ি মিরপুর উপজেলার আহমদপুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
স্থানীয়রা জানায়, গত ৬ তারিখ নিশান ও তার চাচাতো ভাইয়েরা মিলে রোহেল শেখ নামে এক রঙ মিস্ত্রিকে মারধর করেন। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নিশানও আসামি। তার জের ধরেও ভাঙচুর চালানো হতে পারে।
নিশান আলী বলেন, কেন আমার ধামে ভাঙচুর হলো আমি জানি না।
রোহেলের সঙ্গে দ্বন্দ্বের বিষয়ে এই বাউল বলেন, আমার চাচাতো ভাইদের সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে রোহেলের দ্বন্দ্ব ছিল। তারা টাকা উদ্ধার করতে গেলে সেখানে মারামারির ঘটনা ঘটে। এখন চাচাতো ভাইদের সমস্যা আমার উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবদুল খালেক ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, কে বা কারা, কেন এটা ভাঙলো তা খতিয়ে দেখছি।
হামলার সত্যতা পেলে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান কুষ্টিয়ার মিরপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার।
তিনি আরও বলেন, গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) প্রকল্পের ক্যানাল পাড়ে অবস্থিত ধামটি জনপদ থেকে অনেক দূরে হওয়ায় এলাকাবাসীও কিছু জানাতে পারেননি।
তবে সবার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই ধামে সন্ধ্যার পর গানের আসর বসাতেন বাউলরা।
আরও পড়ুন: দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
নিখোঁজের ১০ দিন পর ইজিবাইকচালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার মিরপুরে জিকে খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় অর্ধগলিত এক ইজিবাইকচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে উপজেলার বাইপাস সড়কের রোজ হলিডে পার্ক সংলগ্ন জিকে (পানি উন্নয়ন বোর্ডের)খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
লাশটি কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং-এ ব্লক এলাকার নিখোঁজ ইজিবাইক চালক শাহিনুল হক লিটনের (৪৭) বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
লিটন কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং-এ ব্লক এলাকার মৃত ইজাবুল হকের ছেলে।
জানা যায়, শনিবার (১৮ মে) বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন লিটন।
পুলিশ বলছে শরীরে লাল গেঞ্জি ও জিন্স প্যান্ট দেখে তার ছেলে নিশ্চিত হয়েছেন যে এটা তার বাবার লাশ।
নিখোঁজের ঘটনায় তার স্ত্রী মোছা. মনিরা হক বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে জিকে ক্যানালে একটি অর্ধগলিত লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। প্রথমে লাশটি দেখে তাকে কেউ চিনতে পারেনি। পরে নীল নামে এক কিশোর নিহতের পোশাক দেখে শনাক্ত করে লাশটি তার বাবা লিটনের।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, শনিবার (১৮ মে) বিকালে বাড়ি থেকে ব্যক্তিগত ইজিবাইক নিয়ে বের হয় লিটন। এরপর থেকে তাার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পরিবার জানায়, নিখোঁজের দিন ইজিবাইক নিয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল এলাকার দিকে যান লিটন।
নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা জানান, লিটন নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবার থেকে সাধারণ ডায়েরি করেছিল। পরে গত ২৫ মে নিখোঁজ লিটনের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মডেল থানায় মামলা করেছেন।
নিহতের স্ত্রী বলেন, ছেলে লাশের কাছে গেছে। সে পরনের প্যান্ট,জামা ও রং দেখে আমাকে জানিয়েছে যে ওটি তার বাবার লাশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান, লাশটি দেখে মনে হচ্ছে কয়েকদিন আগেই ক্যানালের মধ্যে কচুরিপানার নিচে ফেলে রাখা হয়েছিল। লাশটি অর্ধগলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার শরীরে লাল গেঞ্জি, জিন্স প্যান্ট পরা ছিল। পরিহিত পোশাক ও রং দেখে লাশটি নিখোঁজ ইজিবাইক চালক লিটনের শনাক্ত করেছে তার পরিবার। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত চলমান রয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত রির্পোট আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার, আটক ২ নারী
কুষ্টিয়ায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার মিরপুরে মামুন আলী (২৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) দুপুরের দিকে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মজন্দপাড়া গ্রাম থেকে তার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মামুন ওই গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে। তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কুষ্টিয়ার বিভাগীয় কার্যালয়ে মাস্টাররোলে চাকরি করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানান গেছে, চার মাস আগে একই গ্রামের পল্লি চিকিৎসক লিয়াকত আলীর মেয়ের সঙ্গে মামুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া-বিবাদ চলছিল। পারিবারিক কলহের জেরে বিয়ের পর থেকে মামুনের স্ত্রী তার বাবার বাড়িতেই থাকতেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালেও ঘুম থেকে উঠে হাত-মুখ ধুয়ে ঘরে যান মামুন। সকাল সাড়ে ৮টা বেজে গেলেও ঘর থেকে বের না হননি। এরপর তার মা ডাকতে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পান। এ সময় দরজায় ধাক্কা দিয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে আড়ার সঙ্গে গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তিনি।
এ সময় তার চিৎকারে স্বজনেরা ছুটে এসে গামছা কেটে লাশ নামায়। এছাড়া মামুনের বাম হাতের রগ কাটা ও ঘরের মেঝের এক পাশে রক্ত দেখতে পান তারা। খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর দুপুর দুইটার দিকে পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরে তার লাশ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামুনের বাম হাতের কব্জিতে জখম ছিল। এছাড়া ঘর থেকে একটা কাগজ কাটার ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওসি জানান, তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের রির্পোট আসলে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান ওসি।
কুষ্টিয়ায় পাওনা টাকার জেরে স্ত্রীর বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পাওনা টাকার জেরে ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে স্ত্রীর বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলেসহ আরও অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৮ মে) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের খোর্দ্দবন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নিহত ইউনুস আলী কুমারখালীর শিলাইদহ ইউনিয়নের খোর্দ্দবন গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে। তিনি কৃষক ছিলেন।
আহতরা হলেন- নিহত ইউনুস আলীর ছেলে রাসেল হোসেন ও হোসেন আলী, রকিবুল ইসলাম, চাঁদ আলী ও অরুন আলী। তারা কুমারখালী ও কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযুক্ত ভগ্নিপতি মো. মোক্তার হোসেন একই ইউনিয়নের মাঝগ্রামের বাসিন্দা।
এ বিষয়ে নিহত ব্যক্তির ছেলে হোসেন আলী বলেন, শনিবার সকালে ধান কাটতে গেলে তার মামা মোক্তারসহ ২০ থেকে ২৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। হামলায় তার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনিসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, ধান কাটা ও পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একজন খুন হয়েছেন। কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা আত্মীয়স্বজন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকাটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া অপরাধীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক ১
তাবিজ-কবজ ও যাদু-টোনার অভিযোগে কবিরাজকে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ায় ২ মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. সবুজ ও বিপ্লব হোসেন নামে দুইজন নিহত হয়েছেন।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সান্দিয়ারা লাহিনীপাড়া সড়কের চাপড়া ইউনিয়নের চাপড়া সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: যশোরে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
নিহত দুইজন হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মিলপাড়া এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে মো. সবুজ এবং একই উপজেলার বাড়াদী উত্তরপাড়া এলাকার মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে বিপ্লব হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুইটি মোটরসাইকেলই অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। এ জন্য নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় রাস্তায় ছিটকে পড়ে তারা গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বিপ্লবকে মৃত ঘোষণা করেন এবং সবুজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বিকাল ৩টার দিকে সবুজের মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সদস্য সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, দুইটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে খোয়াই নদীতে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে গাড়িচাপায় ভ্যানচালক নিহত
কুষ্টিয়া গড়াই নদে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর গড়াই নদে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মোছা. শেফা (১৩) ও শাহাজাদা (৭) নামে দুই ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত মোছাম্মাৎ শেফা উপজেলার শেরকান্দি এলাকার শামিম ইসলামের মেয়ে ও শাহজাদা ওই উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে। তারা সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো ভাই-বোন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা ১২টার দিকে মামাতো ভাই শাহাজাদাসহ পাঁচজন মিলে বাড়ির পাশের গড়াই নদে গোসল করতে যায়। এ সময় নদের পাড় থেকে ড্রেজিং করা গভীরস্থানে পাঁচজন একসঙ্গে লাফ দেয়। অন্যরা ভেসে থাকলেও সাঁতার না জানায় শেফা ও শাহাজাদা দুইজনেই পানিতে তলিয়ে যায়।
এ সময় স্থানীয়রা দুইজনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক মন্জু জানান,মেয়েটি নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম দুই ভাই-বোনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পানিতে ডুবে মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
কুষ্টিয়ায় রেঁস্তোরায় ঢুকে ম্যানেজারসহ ৩ জনকে ছুরিকাঘাত
কুষ্টিয়া শহরের একটি রেস্তোরায় ঢুকে ম্যানেজারসহ ৩ জনকে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে থানাপাড়া বাঁধ সংলগ্ন শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সেতুর নিচে অবস্থিত রিভার ভিউ ফুড কর্ণারে এ ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাঘাতে আহতরা হলেন- রেস্তোরার ম্যানেজার তুষার (২৩), প্রধান বাবুর্চি শিমুল (২৫) ও সহকারী বাবুর্চি শুভ (২২)।
আহতদের কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে রেঁস্তোরার ম্যানেজার তুষারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা খুন
ছুরিকাঘাতে আহত রেঁস্তোরার সহকারী বাবুর্চি শুভ বলেন, ‘আমি রেঁস্তোরার রান্না ঘরে কাজ করছিলাম। এ সময় অপরিচিত ৪-৫ জন যুবক রান্নাঘরে জোরপূর্বক ঢোকার চেষ্টা করে। আমি বাঁধা দিলে তারা বকাবকি করতে থাকে। এ সময় মালিকের মুঠোফোন নম্বর চাইলে আমি দিতে অপরাগতা প্রকাশ করি।’
তিনি আরও বলেন, এরপর তারা ম্যানেজার তুষারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ম্যানেজারকে মারধর শুরু করে। তখন এক যুবক ম্যানেজারকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় আমি ও শিমুল ঠেকাতে গেলে আমাদেরকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা।
রিভার ভিউ ফুড কর্ণারের মালিক আব্দুল খালেক বলেন, ঘটনার সময় আমি রেঁস্তোরায় ছিলাম না। পরে জানতে পারি আমার ৩ স্ট্যাফকে ছুরিকাঘাত করেছে কে বা কারা। আমার জানা মতে তাদের সঙ্গে কারো কোনো খারাপ সম্পর্ক নেই। তবে কী কারণে তাদের উপর এভাবে হামলা সে বিষয়ে এখনো কিছু বলতে পারছি না।
আরও পড়ুন: সুপারি পাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব: ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুনের অভিযোগ
পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন শঙ্কা মুক্ত থাকলেও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা বলেন, জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: স্টেশনে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ট্রেনযাত্রীর
কুষ্টিয়ায় আগুনে পুড়ল রেস্তোরাঁ
কুষ্টিয়ায় আগুনে পুড়ে গেছে একটি রেস্তোরাঁসহ দুটি দোকান।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের এন এস রোডের বাটারফ্লাই মোড়ে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
এসময় আগুন ছড়িয়ে পড়লে পাশে থাকা আরও দুইটি দোকান পুড়ে যায়। তবে অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ফোম কারখানায় আগুনে ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি
মাসুদ রানা নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হঠাৎ কালো ধোঁয়া দেখতে পাই। এরপর দেখি রেস্তোরাঁর ভেতর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কুষ্টিয়ার ওয়্যার হাউস ইনস্পেক্টর আব্দুস সালাম জানান, বিকালে কাবাব স্টেশন নামের একটি রেস্তোরাঁর চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এসময় আগুনের তাপে পাশে থাকা বড় গ্যাস সিলিন্ডার পাইপ ফুটো হয়ে গ্যাস বের হলে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে আগুনে কাবাব স্টেশন ছাড়াও জুস ওয়ার্ল্ড ও খানাপিনা নামের আরও দুইটি দোকান পুড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত জুস ওয়ার্ল্ডের মালিক মো. তানিম বলেন, কয়েক মাস আগেই বিভিন্ন ফল দিয়ে বানানো জুসের দোকানে নতুন করে বিনিয়োগ করেছিলাম। সব পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। আমার পাঁচ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরপুরের ঝিলপাড় বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
মিরপুরের ঝিলপাড় বস্তিতে আগুন
কুষ্টিয়ায় প্রবাসীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বজনদের দাবি হত্যা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আমবাগান থেকে মো. হযরত নামে এক প্রবাস ফেরত যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া গ্রামের সাধু মো. টুটুল ভেরোর আমবাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
প্রবাস ফেরত ওই ব্যক্তি উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। প্রায় মাসখানেক আগে তিনি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেন।
আরও পড়ুন: ‘ভিডিও কলে স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখায় জামাই’
তবে নিহতের স্বজনদের ভাষ্য, হযরতকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আমবাগানে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহতের বাবা আব্দুল হান্নান বলেন, আমার ছেলে মাস খানেক আগে দেশে ফিরে শ্বশুর বাড়িতে উঠেছিল। পারিবারিক কলহের কারণে ছেলে আমার বাড়ি থাকে না। তেমন যোগাযোগও ছিল না। সকালে খবর পেয়ে টুটুল সাধুর আমবাগানে লাশ পেয়েছি।
তার ভাষ্য, শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা মিলে তার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে।
কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইমদাদুল হক জানান, ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ছাত্রলীগ নেত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় বাবা-ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার