কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় বিশ্বকবির ম্যুরালে কালি, ভাঙচুর
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখ ঢেকে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পাশাপাশি তার নামের বানানও বিকৃত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ম্যুরালের কালি লাগানো একটি ছবি ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রবীন্দ্রভক্তসহ সুশীল সমাজ।
কে বা কারা কবে কখন এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তা এখনও জানতে পারেনি বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ম্যুরালটি কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালীর প্রবেশপথ জিলাপীতলা এলাকায় অবস্থিত। তবে এখানে প্রশাসনের কোনোরকম নজরদারি নেই বলে অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা-অযত্নে ম্যুরালটি পড়ে রয়েছে। আজকে সকালে এসে দেখি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালটির মুখে কালি লাগানো। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
আজ (শুক্রবার) সকালে সরেজমিনে গিয়ে ওই ব্যক্তির কথার সত্যতা মেলে। দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে রক্ষাণাবেক্ষণের অভাবে ম্যুরাল চত্ত্বরে জন্মেছে আগাছা ও লতাপাতা। চটে গেছে ম্যুরালের রঙ। সেখানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা থাকলেও তা অকেজো।
এছাড়া ম্যুরালে কবির মুখমণ্ডল কালো রঙে ঢাকা। রবীন্দ্রনাথ ও ঠাকুর বানান দুটিও ভেঙেচুরে বিকৃত করা হয়েছে।
আক্ষেপ করে কুমারখালীর রবীন্দ্র গবেষক রেফুল করিম বলেন, ‘যে স্থানে বসে রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের সিংহভাগ রচনা করেছিলেন, সেখানকার মানুষের আজ বিকৃত মস্তিষ্কের পরিচয় উদ্ভাসিত হলো।’
স্থানীয় কবি ও সাহ্যিতিক লিটন আব্বাস বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ নন, এ কালি পুরো বাঙালি জাতির মু্খে লেগেছে। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে প্রকাশ্যে আনার দাবি জানাচ্ছি।’
ম্যুরাল ভাঙার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার।
তিনি বলেন, ‘কে বা কারা কখন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি লাগিয়েছে, তা এখনও জানতে পারিনি। অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’ তাছাড়া খুব শিগগিরই ম্যুরালটির সংস্কার করা হবে বলেও সেখানে উপস্থিতদের আশ্বস্ত করেন তিনি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১২ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মামা-ভাগ্নে নিহত
কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুজন (মামা-ভাগ্নে) নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও দুর্ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে এই দুর্ঘটনার ঘটে।
নিহতরা হলেন— কুষ্টিয়া শহরের মোল্লাতেঘরিয়ার আসাদুল ইসলাম মোল্লার ছেলে রাহাত ইসলাম পলাশ (৩০) এবং ফাহিম অনিক (২৩)। তার সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।
আরও পড়ুন: লোহাগাড়ায় বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১০
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, ‘রাহাত ও ফাহিম মোটরসাইকেল নিয়ে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়কে উঠে চৌড়হাসের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় মজমপুর গেটের দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি প্রাইভেটকার তাদের ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে মামা-ভাগ্নে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।’
‘আহত তানভীর গণি (২৩) ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
১৫ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ‘স্বস্তির’ ঈদ
দীর্ঘ ১৭ বছর পর মুক্ত পরিবেশে ও ভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঈদ উদযাপন করছেন স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর স্বৈরাচারমুক্ত পরিবেশে স্বস্তির ঈদ উদযাপন করতে পেরে খুশি তারা। দীর্ঘ দিনের হামলা-মামলার কষাঘাতে জর্জরিত নেতা-কর্মীরা বলছেন, ১৭ বছর যে অত্যাচার-নির্যাতন আওয়ামী লীগ করেছে, তা যেন ভবিষ্যতে আর ফিরে না আসে।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হৃদয় হাসান। তার কয়েকটি ঈদ কেটেছে কারাগারে। তার অপরাধ ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা।
হৃদয় হাসান বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কারণে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলা-মামলার কারণে দীর্ঘদিন পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারেননি। আওয়ামী সরকার পতনের পর এ বছর পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারছি। ভবিষ্যতে কোনো রাজনৈতিক দল ফ্যাসিস্টের ভূমিকায় এদেশে আর ফিরে আসতে না পারে।
আরও পড়ুন: ঈদের একাল-সেকাল: প্রজন্মের ধারাবাহিকতায় ত্রিমাত্রিক উদযাপন ঢাকায়
১৬ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতা হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার মিরপুরে আওয়ামী লীগের নেতা ও পল্লী চিকিৎসক লুৎফর রহমান সাবুকে হত্যার দায়ে ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুমিয়া খানম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপরই তাদের পুলিশি পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিরা হলেন— কুষ্টিয়ার মিরপুরের উপজেলা আমবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জাসদের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মিলন। আমবাড়িয়া এলাকার জসিম উদ্দিন বুড়ো, এখলাস আলী, মুরাদ আলী, মাহাবুল হোসেন, রাশেদুল আলী, ওয়াসিম আলী, রফিকুল ইসলাম ও হেলাল উদ্দিন শিলু।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পল্লী চিকিৎসক সাবুকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আদালত সূত্রে জানা গেছে, লুৎফর রহমান সাবু ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোটরসাইকেলে চড়ে মিরপুরের আমবাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে আমবাড়িয়ার কাছে পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা সাবুর মোটরসাইকেল গতিরোধ করে ও এলোপাতাড়িভাবে রামদা দিয়ে তার মাথা, পিঠ, মুখ, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত সাবুর ছোট ভাই হাবিবুর রহমান হাবিব বাদী হয়ে মিরপুর থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত দিনে এ মামলার ৯ জন আসামিকে যাবজ্জীবন ও একজনকে খালাস দেন।
নিহত লুৎফর রহমান সাবু মিরপুরের আমবাড়িয়া গ্রামের মৃত অজিত মোল্লার ছেলে। তিনি মিরপুর উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগদান করেন।
২৪ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় সড়কে যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ২
কুষ্টিয়ায় ট্রাক, মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত ভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত আরও অন্তত দুজন।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরমান ও রাত সাড়ে ১২টার দিকে একই হাসপাতালে সজীবে মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন— কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের কচুবাড়ীয়া কামারপাড়া এলাকার সজীব আহম্মেদ। তিনি দিশা এনজিওর কর্মী হিসাবে পাবনার মুলাডুলি এলাকায় কর্মরত ছিলেন। অপরজন নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা আরমান। তিনি পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।
আরও পড়ুন: চোরাকারবারি ধরতে গিয়ে সড়কে প্রাণ গেল বিজিবি সদস্যের
স্থানীয়রা জানান, মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়াগামী একটি গরুবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ট্রাকটি সড়কের ওপরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে ট্রাকে থাকা আরমান, ট্রাকচালকসহ চারজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালের ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়।
মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও দুজন।’
২৫ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ওসি প্রত্যাহার
লাইভ চলাকালে কুষ্টিয়ায় স্থানীয় দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার ফটো সাংবাদিক ইমরান হোসেনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেহাবুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টাযর দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচি থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করার ঘোষণা দেন সাংবাদিকরা।
এ সময় সাংবাদিক নেতারা বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে দেশে একের পর এক সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন, হামলা, মামলা ও হয়রানির ঘটনা ঘটছে। এভাবে চলতে পারে না। সাংবাদিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বিচার না পেলে কুষ্টিয়া থেকে দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণা দেন নেতারা।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে কিশোর নিহত
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-মামুন সাগরের সভাপতিত্বে ও বাংলাভিশন ও দেশ রূপান্তরের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি হাসান আলীর সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দৈনিক সংবাদের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি মিজানুর রহমান লাকি, দেশ টিভির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি নাহিদ হাসান তিতাস, দৈনিক সময়ের কাগজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নুরুন্নবী বাবু, দৈনিক খবর ওয়ালার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুন্সী শাহিন আহমেদ জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়ায় ট্রলিচাপায় স্কুলছাত্র নিহতের ঘটনা নিয়ে লাইভ ভিডিও ধারণকালে স্থানীয় দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার ফটো সংবাদিক ইমরান হোসেনের ওপর হামলা চালানো হয়। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার ফুলতলা প্রতীতি বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই সাংবাদিকের কাছে থাকা ভিডিও ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। ঘটনার পর ইমরান হোসেন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ইমরান বলেন, ‘স্কুলছাত্রের নিহতের ঘটনা নিয়ে দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লাইভ করার সময় কুষ্টিয়া পৌরসভার কাস্টম মোড়ের হাশেম ডাক্তারের গলির চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী রকি ও আরিফুলসহ আরও ১০ থেকে ১২ জন আমার ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমার নাক, পিঠ ও মাথা কেটে গিয়ে গেছে।’
এই হামলার একটি ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, হামলার সময় সন্ত্রাসীরা ইমরান হোসেনের কাছে থাকা প্যানাসনিক পিভি-১০০ মডেলের একটি ভিডিও ক্যামেরা ও ক্যামেরার বয়া ছিনিয়ে নেয়।’হামলার পর অন্য সাংবাদিকরা তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
৫৮ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় ভিডিও ধারণকালে ফটো সাংবাদিকের ওপর ‘হামলা’
কুষ্টিয়ায় ট্রলিচাপায় স্কুলছাত্র নিহতের ঘটনা নিয়ে লাইভ ভিডিও ধারণকালে স্থানীয় দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার ফটো সংবাদিক ইমরান হোসেনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার ফুলতলা প্রতীতি বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ওই সাংবাদিকের কাছে থাকা ভিডিও ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। ঘটনার পর ইমরান হোসেন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন।
ইমরান হোসেন বলেন, ‘ট্রলিচাপায় স্কুলছাত্রের নিহতের ঘটনা নিয়ে দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লাইভ করার সময় কুষ্টিয়া পৌরসভার কাস্টম মোড়ের হাশেম ডাক্তারের গলির চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী রকি ও আরিফুলসহ আরও ১০-১২ জন আমার ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমার নাক, পিঠ ও মাথা কেটে গিয়ে গেছে।’
এই হামলার একটি ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, হামলার সময় সন্ত্রাসীরা ইমরান হোসেনের কাছে থাকা প্যানাসনিক পিভি-১০০ মডেলের একটি ভিডিও ক্যামেরা ও ক্যামেরার বয়া (মাইক্রোফোন) ছিনিয়ে নেয়।’
হামলার পর অন্য সাংবাদিকরা তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুন্সী শাহীন আহমেদ বলেন, ‘ঘটনার পর কুষ্টিয়া মডেল থানায় এজাহার দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো এক অদৃশ্য কারণে এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। আসামিদের বাঁচাতে মামলা নিতে বিলম্ব করা হচ্ছে বলে আমার মনে হয়।’
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ছুরিকাঘাতের শিকার কিশোরীর মৃত্যু, হামলাকারী গ্রেপ্তার
হামলার প্রতিবাদে ও অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া মডেল থানা ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের সাংবাদিকরা।
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর ও সাধারণ সম্পাদক আবু মনি জুবায়েদ রিপন বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলা সত্যিই নিন্দনীয়। আমরা এই হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি রাখছি। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ‘আমরা লিখিত এজাহার পেয়েছি। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি মামলা নেওয়ার জন্য বলে দিয়েছি।’
৫৯ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় নাশকতা মামলায় দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় ছাত্রদের করা নাশকতা মামলায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমারখালী পৌরসভার পদ্মপুকুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাদের।
গ্রেপ্তাররা হলেন— কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার মুবিন হাসান প্রান্ত ও একই এলাকার উপ-দপ্তর সম্পাদক মেজবাউল হক হৃদয়।
পুলিশ জনায়, সকাল ৬টার দিকে লিফলেট বিতরণ ও নাশকতা চেষ্টার উদ্দেশ্যে পৌরসভার পদ্মপুকুর এলাকায় জড়ো হতে থাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতা হৃদয়কে লাঠিসোঁটাসহ ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সকাল ১০টার দিকে আটক হৃদয়কে আসামি করে নাশকতা আইনে মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র শামীম হোসেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৩০ জনকে। পরে কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার মুবিন হাসান প্রান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ হেলাল, তন্ময়সহ বাগেরহাট আ.লীগের ৩৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী শাখার সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আলী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা নাশকতা করার উদ্দেশে পদ্মপুকুর এলাকায় জড়ো হচ্ছিল। পরে পুলিশের খবর পেয়ে তার দ্রুত পালিয়ে যায়। আমরা থানায় মামলা করেছি।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ‘৩০ জনকে আসামি করে নাশকতা আইনে মামলা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।’
৬৬ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বাকপ্রতিবন্ধী এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে দাঁড়ের পাড়া গবড়গাড়া গ্রামের গইড়ির মাঠ নামক স্থানে মেম্বরের পুকুর পাড়ের একটি বরই গাছ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ওই নারীর নাম জাহানারা বেগম (৪০)। তিনি উপজেলার দৌলতখালী গ্রামের প্রয়াত আব্দুর রহমানের মেয়ে। গবড়গাড়া গ্রামের স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাতে এশার নামাজের পরে দাঁড়েরপাড়ার মোড়ে একটি দোকানে বসে ছিলেন জাহানারা।
জাহানারার ভাই রাহাতুল ইসলাম ও ভাইয়ের ছেলে আরিফ হোসেন বলেন, ‘জাহানারা বাক প্রতিবন্ধী। তিনি প্রতিদিনের মতো বাড়ির কাজ শেষে সন্ধ্যার পরে হাঁটাহাঁটির জন্য বাইরে বের হয়েছিলেন। পরে আর বাড়ি ফেরেননি।’
আরও পড়ুন: জাবিতে আবাসিক হলের পাশ থেকে ইন্টারনেট কর্মচারীর লাশ উদ্ধার
‘জাহানারা বাকপ্রতিবন্ধী হলেও সব কাজ করতে পারেন। তিনি মানুষের বাসা-বাড়িতেও কাজ করতেন। আমরা সকালে খবর পাই একটি গাছে বিবস্ত্র অবস্থায় তার লাশ ঝুলছে। পরে গিয়ে দেখি জামা-কাপড় বিভিন্ন জায়গায় পড়ে আছে এবং তার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমাদের ধারণা, তাকে ধর্ষণ করে পরে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে বিচার চাই আমরা।’
তদন্তপূর্বক এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী। দৌলতপুর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, ‘পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
৬৭ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় শুকনো পুকুর থেকে নির্মাণ শ্রমিকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার মিরপুরে শুকিয়ে যাওয়া একটি পুকুর থেকে এক নির্মাণ শ্রমিকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে মিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত মঈন উদ্দীন (৩০) উপজেলার ধলশা গ্রামের মৃত মাজেদ প্রামাণিকের ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কৃষকরা গ্রামের মাঠে কাজ করতে গিয়ে শুকিয়ে যাওয়া একটি পুকুরের ভেতর এক ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। তারা মিরপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের মানুষ সেখানে ভিড় করে।
পরিবার সূত্র জানিয়েছে, মঈন উদ্দীন সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সকালে জানতে পারেন তার লাশ পুকুরে পড়ে আছে। কেন কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা কেউ ধারণা করতে পারছে না।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুর রহমান বলেন, মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশের গোয়েন্দা শাখাও কাজ করছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় নারীসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
৭৯ দিন আগে