দেশব্যাপী ডেঙ্গু প্রকোপ ও গরমের কারণে বেড়ে গেছে ডাবের চাহিদা। এরই সঙ্গে বেড়ে গেছে ডাবের দামও। চুয়াডাঙ্গায় ৭০ টাকার ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। এনিয়ে চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে মূল্য তালিকা ঝুলানোর নির্দেশ দিয়েছে। তবে দোকানিরা মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখলেও ডাবের দাম কমেনি বলে দাবি ক্রেতাদের।
চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বর (চৌরাস্তা) মোড়, নিচের বাজার, রেল বাজার, পুরাতন জেলখানা মোড়, সদর হাসপাতাল রোডের উপশম মোড়, কবরী রোডের কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মোড়, কেদারগঞ্জ নতুন বাজার মোড় ও একাডেমি মোড়সহ শহরের যে কয়টি স্পটে ডাব বিক্রি হয় প্রত্যেকটি স্পটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি ডাবের খুচরা মূল্য আকার ভেদে ৮০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ প্রকারভেদে এই ডাবের দাম বর্তমান বাজারে ৭০ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে হওয়ার কথা।
ডাব কিনতে আসা আলমগীর কবির শিপলু বলেন, গত সপ্তাহেও মাঝারি সাইজের ডাব কিনেছি ৭৫ টাকায়। এটা এখন দেখি ১০০ টাকা হয়ে গেছে। বড়টা তো ১৩০ টাকা। দাম এত বেড়েছে যে কিনতেই ইচ্ছে করছে না। আবার যে গরম ডাব না খাইলেও সমস্যা।
ডাব কিনতে আসা দেবাশীষ বিশ্বাস নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, সিন্ডিকেটের কারণেই ডাব দাম বাড়ছে। বাজারের প্রতিটি জিনিসের দাম যেমন বেশি, সেই সঙ্গে ডাবের দামও বেশি। ডাব কিনে খাওয়ার উপায় নেই।
চুয়াডাঙ্গা সদরের সরিষডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম সম্রাট বলেন, ‘বর্ষাকালেও গরম বেড়েছে বলে অনেক ব্যবসায়ী ডাবের দাম বাড়িয়েছে। এ গরমে ডাব খাওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে। এটা বুঝেই ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের সুযোগ নিচ্ছে।’
বিভিন্ন উপজেলার খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ছোট-বড় ডাব খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে ৪০-৫৫ টাকায় বিক্রি করতেন। এখন সেটা বেড়ে দাম ৮০-১০০ টাকায় ঠেকেছে। যেমন বড় ডাব ১০০-১১০ টাকা, মাঝারি ৯০-১০০টাকা ও ছোট ডাব ৮০-৮৫ টাকায় খুচরা ব্যাবসায়ীদের কিনতে হচ্ছে।