ডেঙ্গু
সিলেটে মশার উপদ্রব, নগরবাসীকে ‘পরিচ্ছন্ন’ থাকতে বলছে কর্তৃপক্ষ
সিলেটে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগরবাসী। ঘরের ভেতরেও মিলছে না স্বস্তি। মশা কমাতে নগর কর্তৃপক্ষ বছরে কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও বাস্তবে তার কোনো প্রভাব নেই। ফগার মেশিন দিয়ে ধোঁয়া ছড়ানো ছাড়া কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না সংশ্লিষ্টদের।
এ বিষয়ে নগরবাসীর দাবি, মশার কামড়ে নগরজুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গু-আতঙ্ক। শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলার্জি-জাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। অপরদিকে, আর্থিক সঙ্কটের কারণে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ দিতে পারছে না বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, ‘নগরবাসী সচেতন হলে ও নগরকে আবর্জনামুক্ত রাখতে পারলে বছরে এক-দুইবার অভিযানই যথেষ্ট।’
চলতি অর্থবছরে মশা নিধনে ২ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। গত অর্থবছরেও সমপরিমাণ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। এত ব্যয়ের পরও সেই একই অবস্থা। মশার কামড় সহ্য করা নগরবাসীর নিত্যদিনের ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে।
মশার উপদ্রব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নগরজুড়ে ডেঙ্গুর আতঙ্কও বাড়ছে। সিলেটে প্রতি দিনই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। থেমে নেই মৃত্যুও; চলতি বছরে সিলেটে ডেঙ্গুতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। অবশ্য সিসিকের দাবি, ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মধ্যে নগরীর বাসিন্দাদের সংখ্যা কম। বেশিরভাগ রোগীই বিভিন্ন উপজেলার।
জানা গেছে, মশক নিধনে সিসিকের স্থায়ী কোনো কর্মী নেই। প্রতি বছর দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কিছু সংখ্যক কর্মীকে দিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করানো হয়।
সিসিক জানায়, ২০২৫–২৬ অর্থবছরে মশা দমনে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) থেকে ২ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার ৪ হাজার লিটার লার্ভিসাইড (টেমেপস ৫০ ইসি) এবং ২৫ হাজার লিটার এডাল্টিসাইড (ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি) কেনা হয়েছে। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরেও সমপরিমাণ ওষুধ কিনেছিল কর্তৃপক্ষ।
বছরে কোটি কোটি টাকার ওষুধ ক্রয় করলেও সে তুলনায় সেবা মিলছে না। যদিও সিসিকের দাবি, ৩০-৪০ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন, কিন্তু বাস্তবে এসব কর্মীদের নগরীর বিভিন্ন স্থানে ফগার মেশিন দিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে দেখা যায় বছরে মাত্র এক-দুইবার।
নগরীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পাশে বসা কলেজছাত্র সুমন শাওন জানান, বিকেল বেলাও বন্ধুদের সঙ্গে বসে গল্প করা যায় না। মশা এমনভাবে কামড়ায় যে দাঁড়িয়ে থাকাও দায় হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, ‘আধা ঘণ্টাও হয়নি বন্ধুদের সঙ্গে শহিদ মিনারে এসেছি, কিন্তু মশার তাণ্ডবে না পারছি দাঁড়িয়ে থাকতে, না পারছি বসে গল্প করতে।’ কিছুক্ষণ পর একপর্যায়ে বাধ্য হয়েই বন্ধুদের নিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘যে হারে মশার উপদ্রব বাড়ছে, খুব দ্রুত ড্রেন, নালায় সিসিকের কীটনাশক ব্যবহার করা জরুরি।’
নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অপু বলেন, ‘এমনিতেই চারদিকে জ্বর-সর্দি ছড়িয়ে পড়ছে। কোনটা ডেঙ্গু আর কোনটা সাধারণ জ্বর, তা বোঝা যাচ্ছে না। ফলে মশার কারণে সাধারণ জ্বর হলেও অনেকে ডেঙ্গুর আশঙ্কায় আতঙ্কিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মশার কামড়ে শরীরের হাত-পায়ের বিভিন্ন স্থানে এলার্জি-জাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। মাঝে মাঝে সিটি করপোরেশনের লোকেরা এসে ড্রেন, খোলা জায়গা ও বাসার আঙিনায় ধোঁয়া স্প্রে করে যান। এতে সাময়িকভাবে মশার আক্রমণ থেকে কিছুটা রেহাই মিলেলেও স্থায়ী কোনো সুফল মিলছে না।’
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নগরীতে মশা নিধনের জন্য প্রতি দিন গড়ে প্রায় ৪৫ জন মশক নিধনকর্মী ও ৭ জন সুপারভাইজার দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করছেন, যা যথেষ্ট নয়। ওয়ার্ডভিত্তিক কমপক্ষে ৪-৫ জন কর্মী ও সুপারভাইজার নিয়োগ দিতে হবে। এ হিসেবে সিলেট নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডে দুইশতাধিক কর্মী প্রয়োজন। এসব কর্মীদের বেতন-ভাতা সিসিকের পক্ষে একা বহন করা সম্ভব নয়। তাই আর্থিক সংকটের কারণে স্থায়ীভাবে কোনো কর্মী নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ২০২১ সাল থেকে কর্মী নিয়োগের পরামর্শ দিয়ে আসছি, কিন্তু নানা জটিলতায় তা আর হয়ে ওঠেনি। মশা নিধনের জন্য নগরীতে বছরে ২-৩ বার বিভিন্ন স্থানে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। নিয়ম হচ্ছে প্রতি মাসে কীটনাশক ব্যবহার করা। তাই বাস্তবিকভাবে স্থায়ী সুফল পাওয়া সম্ভব হয় না। সীমিত সামর্থ্য থেকে সিসিক যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত নগরবাসী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন না করবে এবং সচেতন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত পুরোপুরিভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। নগরবাসী সচেতন হলে ও নগরকে আবর্জনামুক্ত রাখতে পারলে বছরে এক-দুইবার অভিযানই যথেষ্ট। অতিরিক্ত ওষুধ কিনে পরিকল্পনামতো কাজ করতে না পারলে এটি অপচয় হবে। তাই আমাদের সচেতন হতে হবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।’
১ দিন আগে
ডেঙ্গুতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ১২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৭৪০
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা চলতি ডেঙ্গু মৌসুমে একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা। এই সময়ে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৭৪০ জন রোগী।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু ও আক্রান্তের রেকর্ড করা হয়েছে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগ ৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২ জন, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মারা গেছেন।
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৬ নারী ও ৬ পুরুষ রয়েছেন। বয়সভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মৃত ৪ জনের বয়স ২৬–৩০ বছর, ৩ জনের ৩১–৩৫, ২ জনের ৩৬–৪০ বছরের মধ্যে।
ঢামেকের তৃতীয় তলার ছাদের পলেস্তারা খুলে রোগী আহত
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৪০ জন। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৬৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪৭ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১২২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১১৫ জন, খুলনা বিভাগে ৫২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৮ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন এবং সিলেট বিভোগে ৯ জন ভর্তি হয়েছেন।
সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৫৬ জনসহ সারাদেশে মোট ২ হাজার ২১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এখন পর্যন্ত, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৯ হাজার ৬৩১ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪২০ জন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ ও ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
এতে আরও জানানো হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে মোট ৪১ হাজার ৮৩১ জন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ নারী।
৭৪ দিন আগে
ডেঙ্গু: আরও দুইজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৭৩
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ সময়ে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৭৩ জন রোগী।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু ও আক্রান্তের রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন মারা গেছেন।
সবচেয়ে বেশি ১৪৩ জন আক্রান্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে ১০৪ জন।
পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৬৩
নতুন করে আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৩ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪২০ জন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৪ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ ও ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
এতে আরও জানানো হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে মোট ৩৪ হাজার ৯৮৪ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ ও ৪০ দশমিক ১ শতাংশ নারী।
৮৭ দিন আগে
বরিশালে ডেঙ্গু নিয়ে আরও ১০ রোগী হাসপাতালে
বরিশালে নতুন করে আরও ১০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে (শেবামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় এই রোগীরা হাসপাতলে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে এখানে ৫০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন ১০ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। নতুন ভর্তি হওয়া ১০ জন নিয়ে বর্তমানে এই হাসপাতালে ৫০ জন ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছি আমরা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৬৩
হাসপাতালের জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলছি বছরে হাসপাতালটিতে মোট ১ হাজার ২০৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ১৩৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। মারা গেছেন ১১ জন। তবে বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন কমছে।
উপপরিচালক শাহিন বলেন, ‘আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সিংহভাগ বরগুনা জেলার বাসিন্দা। ওই জেলাতেই আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।’
৮৯ দিন আগে
ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৪৫
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ সময়ে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৪৫ জন রোগী।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু হয়েছে বলে আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
পড়ুন: ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৭৩
নতুন করে আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৬ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৯৯জন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৫ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৪ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
এতে আরও জানানো হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩২ হাজার ৯৪৬ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ২ শতাংশ নারী।
৯২ দিন আগে
ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৭৩
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ সময়ে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৭৩ জন রোগী।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু হয়েছে বলে আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নতুন করে আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩৬ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৩৭ জন।
আরও পড়ুৃন: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৫৫২, মৃত্যু নেই
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৪ শতাংশ নারী।
এতে আরও জানানো হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩২ হাজার ৫০১ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
৯৩ দিন আগে
ডেঙ্গুতে ঢাকায় চারজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৮
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ সময়ে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৬৮ জন রোগী।
শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যু হয়েছে বলে আজ রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নতুন করে আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৯ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪১৯ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তি ১৬৫, মৃত্যু নেই
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৪ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ নারী।
এতে আরও জানানো হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩১ হাজার ৪৭৬ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।
৯৫ দিন আগে
ডেঙ্গু: হাসপতালে ভর্তি ৩৬৭, মৃত্যু নেই
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগে দেশে কোনো মৃত্যু হয়নি। তবে নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬৭ জন।
শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭১ জন রোগী।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ২ শতাংশ নারী।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩০ হাজার ৯০৮ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
৯৬ দিন আগে
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৪৩২, করোনায় নেই
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু ও করোনা—এই দুটি ভাইরাসজনিত রোগে দেশে কোনো মৃত্যু হয়নি। তবে নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩২ জন।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১৪২ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯০ জন রোগী।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ২ শতাংশ নারী।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩০ হাজার ৩৭৬ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তি আরও ৪৩০
অন্যদিকে, করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো সংক্রমণ ও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭২৭ জন এবং মারা গেছেন ৩২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে করোনার প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত ২০ লাখ ৫২ হাজার ২৭২ জন এবং মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ৫৩১ জন।
৯৮ দিন আগে
ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তি আরও ৪৩০
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪৩০ জন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব আক্রান্তের রেকর্ড করা হয়। বুধবার (২৭ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০১ জন। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩২৯ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ৪৭০ জন হাসপাতালে ভর্তি
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক শতাংশ ৮ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ২ শতাংশ নারী।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৯ হাজার ৯৪৪ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ নারী।
৯৯ দিন আগে