বিক্রি
রবিবার থেকে দেশব্যাপী টিসিবির নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রবিবার থেকে সারাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
এ কর্মসূচির আওতায় ১ কোটি পরিবার ভর্তুকি মূল্যে চাল, ভোজ্যতেল ও মসুর ডাল কিনতে পারবে।
আরও পড়ুন: রমজানে ওএমএসের ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ও ১৬০ কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে টিসিবি
শনিবার টিসিবির যুগ্ম পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিটি পরিবার ৩০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল, ১০০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার ভোজ্যতেল এবং ৬০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবে। এসব পণ্য টিসিবির নির্ধারিত ডিলার শপ অথবা সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলায় তাদের স্থায়ী আউটলেটে পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় এ বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কার্ডহোল্ডাররা মনোনীত ডিলারদের কাছ থেকে ভর্তুকি দেওয়া পণ্য- চাল, ভোজ্য তেল ও মসুর ডাল কিনতে পারবেন।
আরও পড়ুন: টিসিবি ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ডিপিএমের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারবে
জুলাই থেকে স্থায়ী দোকানে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু: প্রতিমন্ত্রী
৩ মাস আগে
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি, তিন দোকানকে জরিমানা
ফরিদপুরে তিনটি দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল থাকার অপরাধে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করার জন্য মালিকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।
রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে শহরের মুজিব সড়কের ওষুধের দোকানগুলোতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অননুমোদিত ৭ কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীর জরিমানা
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বদরুজ্জামান রিশাদ বলেন, ‘শহরের মুজিব সড়কের ওষুধের দোকানগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে তিনটি দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল পাওয়া যায়। ওই দোকানগুলোকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তারা এ ধরনের কাজ ভবিষ্যতে করবে না মর্মে মুচলেকাও দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ডিএসসিসির ১১ স্থাপনাকে ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা
৫ মাস আগে
ডলারের দাম বাড়ার অজুহাতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মসলাও
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মাছ, মুরগি, মাংস, আলু, কাঁচা মরিচের দামের পাশাপাশি বেড়েছে সব ধরনের মসলার দাম।
মসলার দাম বাড়ার জন্য মার্কিন ডলারের বিনিময় হারের ওঠানামাকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, মূল্যস্ফীতি ও স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
বর্তমানে জিরা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ১ হাজার টাকায়, যা চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ছিল ৫৭০ থেকে ৬৫০ টাকা। আর এলাচের সর্বনিম্ন খুচরা মূল্য ২ হাজার ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার ৮০০ টাকা হয়েছে। প্রিমিয়াম মানের এলাচ যা আগে ৩ হাজার ২০০ টাকা দামে বিক্রি হতো, তা এখন প্রতি কেজি ৪ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঈদ: চট্টগ্রামে মসলার বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি রসুন ২২০ থেকে ২৭০ টাকা, আদা ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা, শুকনো লাল মরিচ ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের মসলার খুচরা বিক্রেতা সৌরভ সাহা শুক্রবার ইউএনবিকে বলেন, ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে সাধারণত মসলা পণ্যের দাম বাড়ানো হয়, তবে এবার দাম বেড়েছে ডলারের দাম সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বেড়ে যাওয়ায়।
তিনি বলেন, মার্কিন ডলারের দাম বেশি হওয়ায় আমদানি ব্যয় বেশি দাবি করে পাইকাররা প্রতি সপ্তাহে মসলার দাম বাড়াচ্ছেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশে সাধারণত মার্কিন ডলার ব্যবহৃত হয়, তাই এই বৈদেশিক মুদ্রার যেকোনো উত্থান-পতন ভোগ্যপণ্যের দামকে প্রভাবিত করে।
এছাড়া পাইকারি বাজারে গোল মরিচের দাম ১ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩০০ টাকা। কাজু বাদাম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, যা আগে ছিল ১ হাজার ২০০ টাকা, আর ছোলা ১০২ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের চাঁদপুর ট্রেডার্সের রমজান আলী পুরান ঢাকার পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা মৌলভীবাজার থেকে সপ্তাহে দুবার মসলা সংগ্রহ করেন। তিনিও সম্প্রতি দাম বাড়ায় হতাশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, 'মাত্র ২ সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি জিরা ৫৭০ থেকে ৫৮০ টাকায় কিনেছিলাম, কিন্তু এখন ৭০০ টাকা দিতে হচ্ছে। যদিও ডলারের নতুন হার কার্যকর হওয়ার আগেই এসব মসলা আমদানি করা হয়েছিল।’ এটি একটি সিন্ডিকেটের কাজ বলে মনে হচ্ছে- এমন দাবিও করেন এই ব্যবসায়ী।
অপর এক দোকানের এক কর্মচারী বলেন, মাত্র ৬ মাস আগেও প্রতি কেজি এলাচের দাম ছিল ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, এখন তা ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্পষ্টতই, একটি সিন্ডিকেট মসলার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে।
পুরনা ঢাকার মৌলভীবাজার পাইকারি বাজারের এক পাইকারি বিক্রেতা মুঠোফোনে ইউএনবিকে বলেন, ডলারের বর্ধিত দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমদানিকারকরা দাম বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
চলতি মাসের শুরু থেকেই ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীতে প্রতি ডজন ডিম ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চলতি মাসে প্রতি ডজনে ৩০ টাকা দাম বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বাজারে মসলার দামের ঊর্ধ্বগতি, ঈদুল আজহার আগে বিপাকে ক্রেতারা
বিশেষ মানের ফার্মের ডিমের দাম প্রতি ডজন ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম প্রতি হালি (৪ পিস) ৮৫ থেকে ৯০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়।
গত দুই সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি ও পাকিস্তানি সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে এবং আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে প্রতি কেজি কক মুরগি ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি (দেশি) মুরগি প্রতি কেজি ৬৭০ থেকে ৭৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির খাবার ও বাচ্চার দাম বাড়ায় বেড়েছে মুরগির দাম। এছাড়া চলমান তাপপ্রবাহে মুরগির খামারেও প্রভাব পড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে দামেও।
মান ভেদে শুক্রবার প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় ৩০ টাকা বেড়েছে। মান ভেদে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১৮০ টাকায়, যা কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার কারওয়ান বাজার মাছের বাজারে প্রতি কেজি ৪৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ টাকা এবং ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়।
রুই ও কার্প জাতীয় মাছ কেজি আকার ও মান অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার নদীর ছোট মাছসহ অন্যান্য মাছ বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে।
বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখীতায় স্থিতিশীল রয়েছে। দাম বাড়ার জন্য মূল্যস্ফীতিকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার প্রতি কেজি বেগুন, ঢেঁড়স, সজিনা ডাটা, বরবটি শিম, করলাসহ সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় স্থিতিশীল ছিল। মৌসুম শেষ হওয়ায় বেড়েছে টমেটোর দাম। ভালো মানের টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
বেগুনসহ অন্যান্য সবজি প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ, চাল কুমড়া, ও ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাল, গম, আটা, দুধ, সয়াবিন, সুগন্ধি চাল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: পর্যাপ্ত মজুদ, তবুও ঈদের আগে মসলার বাজারে উত্তাপ
৬ মাস আগে
প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্কুলের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউপির মনিঞ্জাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষিকা পূরবী চৌধুরী ও পরিচালনা কমিটির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় জেলাজুড়েই ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এঘটনার পর এলাকাবাসী সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পিনাকীসহ ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
গ্রামবাসীর অভিযোগে বলা হয়, প্রায় তিন যুগ ধরে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গ্রামবাসীর যত্নে কিছু ছায়াবৃক্ষ বড় হয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই বৃক্ষের ছায়ায় পাঠ নিচ্ছে বহুদিন ধরে। গত ৩ মার্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির দুই সদস্যের সহায়তায় কর্তৃপক্ষ বা গ্রামের সঙ্গে কথা না বলেই এসব গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা।
গ্রামের শিক্ষার্থী অভিভাবক প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল আলী বলেন, গাছগুলো কাটায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। গাছগুলো আমার হাতে লাগানো, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ গাছ কাটে না। কিন্তু আমাদের গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন মর্মান্তিক কাজ করেছেন প্রধান শিক্ষিকা পূরবী চৌধুরী।
গ্রামের প্রাক্তন মেম্বার মফজ্জুল ইসলাম ও আব্দুর রশিদ বলেন, গাছ কাটায় কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি। আমরা জেনেছি বন বিভাগের অনুমতি, মতামত কিংবা তাদের দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করাও হয়নি।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা পূরবী চৌধুরী বলেন, উপজেলার নিবাহী কর্মকর্তার অনুমেতি নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে এই গাছগুলো কাটা হয়েছে।
ইউপি সদস্য সুমন মিয়া বলেন, ইউএনওর অনুমেতি নিয়ে বিদ্যালয়ের নানা জাতের গাছগুলো কেটেছেন শিক্ষিকা।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তাফা মুন্না বলেন, ছাতকে বন বিট কর্মকর্তাকে জানানোর পর বিট কর্মকর্তা সরেজমিনে গিয়ে মতামত ও মূল্য নির্ধারণ করে জেলা কমিটিতে পাঠিয়েছেন।
এব্যাপারে জেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন আহমদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ছাতক বন বিট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানালেন, তিনি বা ছাতক বন বিটের কর্মকর্তা এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। তারা মতামতও দেননি। মূল্যও নির্ধারণ করেননি।
এব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস বলেন, অভিযোগ আমিও পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে তিনি ছাতকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবেন।
আরও পড়ুন: যশোরে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্ত শুরু
টিপু-প্রীতি হত্যা: আ. লীগ নেতা আশরাফসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
৭ মাস আগে
৩৫টি জেলায় দুধ-ডিম-মাংস বিক্রি: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ঢাকাসহ ৩৫টি জেলায় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।
এ কার্যক্রমের আওতায় উদ্বোধনের দিন থেকে ২৭ রমজান পর্যন্ত ৫ লাখ ৯১ হাজার ৯৭১ জন জন সুলভ মুল্যে দুধ, ডিম, মাংস কিনেছেন।
সোমবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের চিকিৎসা ও শিক্ষা অনুদান ফোসার
এতে কলা হয়, প্রথমে রাজধানীতে এ কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে ঢাকাসহ ৩৫ টি জেলায় সুলভ মুল্যে দুধ, ডিম, মাংস বিক্রয় করা হচ্ছে।
জেলাগুলো হলো- ঢাকা, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী (সেনবাগ), ফেনী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, বান্দরবান, রাঙামাটি, রাজশাহী, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, জয়পুরহাট, নাটোর, বগুড়া, চাপাইনবাবগঞ্জ, বাগেরহাট, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, পটুয়াখালী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা, রংপুর, মৌলভীবাজার, নওগাঁ (বদলগাছী)।
তবে উৎপাদন খরচ ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বিবেচনায় ঢাকা জেলা ছাড়া বাকি জেলাগুলোতে পণ্যের দামের তারতম্য রয়েছে এবং বিভিন্ন তারিখে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২৭ রমজান পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৮৮ কেজি গরুর মাংস, ৫ হাজার ১৩১ কেজি খাসির মাংস, ২ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ কেজি ড্রেসড ব্রয়লার, ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৬১ লিটার তরল দুধ ও ৪২ লাখ ৯ হাজার ৩৫৬ ডিম বিক্রয় করা হয়েছে।
২৭ রমজান পর্যন্ত সর্বমোট ২২ কোটি ৩৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকার এসব পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অংশীজনের সহযোগিতায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
পবিত্র রমজাম মাস উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত ১০ মার্চ থেকে রাজধানীর ৩০টি স্থানে সুলভ মুল্যে দুধ, ডিম ও মাংস এবং ৮টি স্থানে মাছ বিপণন করা হচ্ছে।
রাজধানীতে তরল দুধ প্রতি লিটার টাকা এবং ডিম প্রথমদিকে ৯ দশমিক ১৭ টাকা হিসেবে এক ডজন ১১০ টাকা দরে বিক্রয় করা হলেও বর্তমানে প্রতি ডজন ১০০ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে।
মাছ বিক্রয় কার্যক্রম ১৫ রমজানে শেষ হলেও দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয় কার্যক্রম ২৮ রমজান পর্যন্ত চলবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এ মাসের ১০ তারিখে সুলভ মুল্যে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: পুনরাবৃত্তি-মূলধনী ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ অর্থ মন্ত্রণালয়ের
কক্সবাজারে বন কর্মকর্তার হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: পরিবেশমন্ত্রী
৮ মাস আগে
খুলনায় ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি
রমজান মাসকে সামনে রেখে ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন খুলনা ব্লাড ব্যাংক।
শুক্রবার (২১ মার্চ) খুলনা মহানগরীর শিববাড়ি এলাকায় এই মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রথম দিনে ৫০০ জন ক্রেতার মধ্যে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে এই মাংস বিক্রি করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন খুলনা ব্লাড ব্যাংক।
আরও পড়ুন: রমজানে ঢাকায় ন্যায্য মূল্যে ট্রাকে করে মাংস ও ডিম বিক্রি হবে
শুক্রবার সকাল ১০টায় এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক।
এ সময় কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি সালেহ উদ্দিন সবুজ জানান, রমজান মাসে নিম্ন আয়ের মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে ৬০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, কেসিসি ও মেট্রোপলিটন পুলিশ এই কাজে সহযোগিতা করেছে। আপাতত প্রতি শুক্রবার ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে।
উল্লেখ্য খুলনার বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংস ৭২৫-৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১০০০ টাকা কেজি প্রতি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাংস-মুরগি-ডিমের দাম বাড়লেও কমেছে সবজি-পেঁয়াজের দাম
সাশ্রয়ী মূল্যে রাজধানীর ৩০ পয়েন্টে বিক্রি হবে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৮ মাস আগে
রমজানে ঢাকায় ন্যায্য মূল্যে ট্রাকে করে মাংস ও ডিম বিক্রি হবে
পবিত্র রমজান উপলক্ষে আগামী ১০ মার্চ থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্পটে ট্রাকে করে গরুর মাংস, মুরগি ও ডিম বিক্রি করবে।
ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে গরুর মাংস ৬০০ টাকা, ছাগল/খাসির মাংস ৯০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি ২৮০ টাকা ও ডিম ১০ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করা হবে।
সোমবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের অবৈধ মজুদ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: ডিসিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে খাদ্য, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্যবিষয়ক জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আবদুর রহমান বলেন, রমজান মাসে আমরা কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করব। এই মোবাইল ভেন্ডিং প্রোগ্রাম রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ঢাকা শহরের ৩০টি স্পটে পণ্য বিক্রি করা হবে। এটি সরকারের একটি অন্তর্বর্তীকালীন উদ্যোগ। ১০ মার্চ উদ্বোধন করা হবে এবং ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকার ৩০টি স্থানে ট্রাকে বিক্রয় কার্যক্রম চলবে। সামর্থ্য অনুযায়ী আরও বেশি জায়গায় প্রসারিত করার চেষ্টা করা হবে এ কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে দেড় লাখ টন চাল দেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
৯ মাস আগে
রংপুরে বিল পরিশোধ করতে না পারায় নবজাতক বিক্রি, আটক ৩
রংপুর নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পারায় এক নবজাতককে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রসূতি মায়ের অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার(২১ জানুয়ারি) বিকালে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।
আটকরা হলেন- হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালের পরিচালক ও নগরীর কামারপাড়া এলাকার মৃত নজির উদ্দিন সরকারের ছেলে এমএস রহমান রনি, শিশুটির ক্রেতা মধ্য পীরজাবাদ এলাকার সামসুল ইসলামের ছেলে রুবেল হোসেন রতন ও রুবেলের স্ত্রী জেরিনা আক্তার বিথী।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি বুধবার সকালে হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালের বিল পরিশোধে ব্যর্থতার অযুহাত ও রোগীর পরিবারের অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে নবজাতক ছেলে শিশুটির বিক্রির এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নানির কোল থেকে নবজাতক চুরি
উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন জানান, গত ১৩ জানুয়ারি শনিবার নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল সংলগ্ন শাপলা রোডস্থ হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালেল ২০২নং রুমে প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হন ভুরারঘাট এলাকার লাবনী আক্তার। সেখানে ওই দিন রাতে সিজারের মাধ্যমে একটি নবাজাতক শিশুর (ছেলে) জন্ম দেন তিনি। এর চারদিন পর ১৭ জানুয়ারি ক্লিনিকের বিল পরিশোধে ব্যর্থতার অজুহাত ও অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে প্রসূতি মায়ের অগোচরে সদ্যোজাত শিশুকে বিক্রির উদ্যোগ নেন হাসপাতালের পরিচালক। শিশুটির বাবা ওয়াসিম আকরামের সহায়তায় হাসপাতালের পরিচালক এমএস রহমান রনি তার পূর্ব পরিচিত জেরিনা আক্তার বিথী-রুবেল হোসেন রতন দম্পতির কাছে ৪০ হাজার টাকায় শিশুটিকে বিক্রি করে দেন।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসকের ‘অবহেলায়’ মারা যাওয়া নবজাতকের মায়ের মৃত্যু
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পরবর্তীতে প্রসূতি লাবনী আক্তার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে রবিবার (২১ জানুয়ারি) নগরীর মধ্য পীরজাবাদ এলাকা হতে নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এমএস রহমান রনি, রুবেল হোসেন রতন, জেরিনা আক্তার বিথীকে আটক করে।
আটকদের বিরুদ্ধে ওই প্রসূতি মা মামলা করেছেন বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
১১ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে চর্বিতে রং মিশিয়ে মাংস হিসেবে বিক্রি
সিরাজগঞ্জে চর্বিতে রং মিশিয়ে গরুর মাংস হিসাবে বিক্রির দায়ে দুই বিক্রেতাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে শহরের মিরপুর ওয়াপদা বাঁধ এলাকায় ও সদর উপজেলার কড্ডার মোড় এলাকায় মাংসের দোকানে অভিযান চালিয়ে এ অর্থদণ্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দরে সেই মহিষের মাংস ও পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত
অর্থদণ্ড হওয়া দুই বিক্রেতা হলেন- মিরপুর ওয়াপদা বাঁধ এলাকার জুলমত আলী ও কড্ডার মোড় এলাকার রেজাউল করিম।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হাসান-আল-মারুফ জানান, শুক্রবার সকালে ওই দুই দোকানে মাংসের সাদা চর্বিতে রং মিশিয়ে মাংস হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছিল- এমন গোপন সংবাদ পাই। এর ভিত্তিতে ওই দুই দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের হাতেনাতে ধরা হয়।
তিনি আরও জানান, এ অপরাধে উভয় মাংসের দোকানকে ৫ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে মৃত গরুর মাংস বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ীর জেল-জরিমানা
খুলনায় হরিণের মাংস জব্দ, পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
বাবাকে মৃত দেখিয়ে জমি বিক্রির অভিযোগ মেয়েদের বিরুদ্ধে
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক বাবাকে মৃত দেখিয়ে জমি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার মেয়েদের বিরুদ্ধে।
উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের খোচাবাডি় গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) সংবাদকর্মীদের কাছে এ অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বাবা আবুল কাশেম।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবুল কাশেম (৭০) কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ফুলবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, মো. আবুল কাশেম পৈতৃক সূত্রে পাওয়া তার ৮৯ শতক জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে চাষাবাদ করে আসছেন। কৃষি কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। তিনি পাঁচ মেয়ে। মেয়েদের বিয়েও দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: যশোরে সোনা চোরাচালান মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
জানা যায়, ফুলবাড়ী সাব রেজিস্ট্রার অফিসের এক দলিল লেখকের মাধ্যমে বাবাকে মৃত দেখিয়ে তার মেয়ে শেফালী বেগম, শাহিনা বেগম, রোশনা বেগম, সেলিনা বেগম ও জোসনা বেগম ৯ শতক জমি প্রায় ৫ বছর আগে মাহমুদ নামে এক প্রতিবেশীর কাছে বিক্রি করে দেন।
আবুল কাশেম বলেন, আমি আমার জীবদ্দশায় স্ত্রী ও মেয়েদের কোনো জমি হস্তান্তর করিনি। প্রতিবেশী দলিল লেখক ফজলুল হক ও আমার মেয়েরা আমাকে মৃত দেখিয়ে ৯ শতক জমি বিক্রি করেছে মাহমুদ নামে একজনের কাছে।
তিনি বলেন, আমি এর সুষ্ঠু বিচারের জন্যে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর বিচার চাই।
বিষয়টি জানতে কাশেম আলীর মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ফুলবাড়ী উপজেলার দলিল লেখক ফজলুল হক বলেন, কাশেম আলী ২০১৫ সালে তার জমি মেয়েদের লিখে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মেয়েরা সেই জমি বিক্রি করেছে। সব ডকুমেন্টস আমার কাছে রয়েছে। অযথা হয়রানি করার জন্য তিনি এসব অভিযোগ বিভিন্ন স্থানে দিচ্ছেন।
ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ জানান, এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু বিষয়টি জমিজমা সংক্রান্ত আমি তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
আরও পড়ুন: যশোরে ছুরিকাঘাতে দোকান কর্মচারীকে খুন, ২ যুবক আটক
যশোরে ১৬৫ রাউন্ড গুলি-অস্ত্র-মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ২
১ বছর আগে