তিনি বুধবার দুপুরে বাসন থানার নাওজোর এলাকায় প্রফেসর সিরাজুল হক হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের সাবেক মেয়র মান্নানের সাজা বাড়াতে হাইকোর্টের রুল
মেয়র আরও বলেন, মির্জাপুর হয়ে রাজেন্দ্রপুর গিয়ে এই সড়ক যাবে জয়দেবপুর হয়ে টঙ্গী পর্যন্ত। এমনিভাবে নগরে প্রথম ধাপে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে ১৭০ কিলোমিটার সড়ক। নির্মাণ করা হবে ১৮৫টি মসজিদ, ১০০ কবরস্থান, ২২ মন্দির ও ৪টি গির্জা। ‘নাগরিক সেবা বাড়াতে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আমরা পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। এসব ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গৃহবধূর ৫ টুকরা লাশ উদ্ধার: স্বামী আটক
মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শুধুমাত্র এই বাসন থানায় প্রথম পর্যায়ে ৯০টি রাস্তার কাজ ধরেছি, এরপর আরও ৯০টি রেডি করা আছে। এর পরবর্তী ধাপে হবে ২৫০টি রাস্তা। অর্থাৎ বাড়ি থেকে বাড়ি রাস্তা হবে।
‘অথচ এই এলাকায় আপনারা আগের একটাও রাস্তা দেখাতে পারবেন না। কোনো ড্রেন ছিল না। সড়কে বাতি ছিল না। কোনো সরকারি হাসপাতাল নেই। বিগত সময়গুলোতে সিদ্ধান্তের বিষয় ছিল, পরিকল্পনার অভাব ছিল। পরিকল্পনায় ভুল ছিল,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, আগুনে পুড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
তিনি বলেন, নিজেদের সন্তানদের জন্য কিছু করে যেতে হবে, সে ধরনের চিন্তাভাবনা ছিল না। যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা ঠিকঠাক থাকতে হবে। না হলে আমরা জাতিগতভাবে, এলাকা হিসেবে পিছিয়ে পড়ব। আমাদের সন্তানরাই পরবর্তীতে সমস্যায় পড়বেন। দূর্ভোগে থাকবেন।
মেয়র বলেন, মাস্টার প্ল্যান নিয়ে, সুপরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু করেছি। যার সুফল আপনারা দেখতে শুরু করেছেন। ইনশাল্লাহ খুব শিগগিরই আমূল পরিবর্তন দেখা যাবে সিটি করপোরেশন জুড়ে।
তিনি বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর পরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু করেছি। এই কাজ এগিয়ে নিতে প্রথম দুই বছর আমি কারো বাসায় দাওয়াতে শরিক হইনি, আত্মীয়-স্বজনের বাসায় যাইনি। দুই বছরে পাঁচ বছরের কাজ এগিয়ে নিয়েছি। কাজ করছি। একদিনও বসে নেই। গভীর রাত পর্যন্ত ছুটে চলছি।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক এম এ বারী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।