রবিবার বিকালে সদর উপজেলার মনিপুর এলাকায় আরাবী ফ্যাশন সংলগ্ন তিনটি জায়গা থেকে লাশের খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করা হয়। নিহত রেহানা আক্তার সুনামগঞ্জের বিশ্বাম্ভরপুর থানার পলাশ ইউনিয়নের কচিরগাতি গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে ও আটক জুয়েল একই গ্রামের বাতেনের ছেলে।
আরও পড়ুন:গাজীপুরে কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, আগুনে পুড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রেহানা ও জুয়েল সম্পর্কে ছিল বিয়াই-বিয়াইন। প্রেমে জড়িয়ে দু'বছর আগে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। তারা গাজীপুরের মনিপুর এলাকায় জাকিরের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। রেহানা ভাড়া বাড়ির পাশেই আরাবী ফ্যাশন নামের পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। জুয়েল চাকরি হারিয়ে কাপড়ের ব্যবসা করতেন।
জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সাংসারিক কলহের এক পর্যায়ে টয়লেটের দরজা আটকে আত্মহত্যা করে রেহানা। মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে এতে ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে রেহানার মৃতদেহ ৫টি খণ্ড করে বস্তায় ভরে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখে জুয়েল।
আরও পড়ুন:গাজীপুরে হেরোইনসহ দুই ‘মাদক ব্যবসায়ী’ আটক
এ বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল হুদা বলেন, ‘স্থানীয়রা ফোন দিয়ে ঘটনা সম্পর্কে অবগত করার পর আমরা জুয়েলকে আটক করি এবং লাশের খণ্ডিতাংশ কয়েকটি জায়গা থেকে উদ্ধার করি। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:গাজীপুরে বাণিজ্যিকভাবে ‘টিউলিপ’ চাষ