আশুলিয়া
সাভার ও আশুলিয়ায় শিশুসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার
সাভার পৌর এলাকা ও আশুলিয়ার শ্রীপুর থেকে পৃথকভাবে এক অজ্ঞাত যুবক ও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সাভার মডেল থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে সাভার পৌর কমিউনিটি সেন্টারের একটি পরিত্যক্ত ভবনের দোতলায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত যুবকের পরনে প্যান্ট ও গেঞ্জি ছিল। হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
অন্যদিকে, আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় অপহরণের ১৩ দিন পর পাঁচ বছর বয়সী শিশু জোনাইদ হোসেনের হাড়গোড় উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে বিএনপি নেতা হত্যা: প্রধান আসামির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
র্যাব-৪ এর সাভার নবীনগর ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর নাজমুল ইসলাম জানান, গত ১৬ আগস্ট আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে শিশু জোনাইদকে অপহরণ করে তার প্রতিবেশী মোরছালিন। পরে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং লাশ একটি জঙ্গলে ফেলে দেয়।
অপহরণের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলে, তদন্তে নামে র্যাব-৪। পরে গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় শ্রীপুরের ফারুকনগর এলাকা থেকে অপহরণকারী মোরছালিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর আসামির দেওয়া তথ্যে রাতেই শ্রীপুরের একটি জঙ্গল থেকে শিশু জোনাইদের হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।
৯৭ দিন আগে
আশুলিয়ায় সেফটিক ট্যাংক থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
সাভারের আশুলিয়ায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের সেফটিক ট্যাংক থেকে বায়জিদ ইসলাম (৮) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ জুলাই) মধ্যরাতে রাতে এই ঘটনা ঘটে।
বায়জিদ আশুলিয়ার জিরানী এলাকার কোনাপাড়া এলাকার রোজেল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকালে শিশু বায়জিদ নিখোঁজ হয়। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি।
আরও পড়ুন: শ্রীমঙ্গলে সেপটিক ট্যাংকের বিষক্রিয়ায় ৪ তরুণের মৃত্যু
পরে স্থানীয়রা পাশের বিকেএসপি পাবলিক স্কুলের শিক্ষিকা নাসরিন খানমের নির্মাণাধীন বাড়ির সেফটিক ট্যাংকের ভেতরে শিশুটির লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য তা রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত শিশুর বাবা রোজেল মিয়া দাবি করেছেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা তার সন্তানকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে সেফটিক ট্যাংকে ফেলে গেছে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হান্নান বলেন, ‘ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’
১৪৫ দিন আগে
আশুলিয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ বাবা গ্রেপ্তার
আশুলিয়ায় সৎ বাবার বিরুদ্ধে ১৪ বছর বয়সি কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) অভিযুক্ত সৎ বাবা শাবলু মাতাব্বরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার শাবলু মাতাব্বর ফরিদপুর জেলার দরগা বাজার নাছিরাবাদ এলাকার মৃত রফিক মাতাব্বরের ছেলে। সে কাজের সুবাধে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকার কেছু মুন্সির ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মা পেশায় একজন পোশাক কারখানার কর্মী। ৫ বছর আগে সৎ বাবা শাবলু মাতাব্বরের সঙ্গে তার মায়ের বিয়ে হয়। এটা তার মায়ের দ্বিতীয় সংসার।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণে মারা যাওয়া শিশুটির দাফন সম্পন্ন, প্রধান অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন
আর অভিযুক্ত শাবলু মাতাব্বরের কোনো কাজ কর্ম না থাকায় বাসায় সন্তানদের দেখাশুনা করতেন। সেই সুযোগে তার স্ত্রী চাকরিতে চলে গেলে মায়ের অনুপস্থিতে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করতো সে। পরে ওই কিশোরী একাধিকবার ধর্ষণের কথা তার মাকে জানায়।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে স্বামীর বিরুদ্ধে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ বাবা শাবলু মাতাব্বরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ওই কিশোরীকে পরীক্ষার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আট বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, চা দোকানি গ্রেপ্তার
২৬৬ দিন আগে
আশুলিয়ায় গ্যাস থেকে অগ্নিকাণ্ডে ৪ শিশুসহ দগ্ধ ১১
সাভার আশুলিয়ায় আবাসিক ভবনে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকাণ্ডে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন।
দগ্ধদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে আশুলিয়ার গুমাইল এলাকার আমজাদ ব্যাপারীর বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধদের মধ্যে ৪টি শিশু রয়েছে। এরা হলো— মোছা. সুরাহা (৩), সোয়ায়েদ (৪), মাহাদী (৭) ও ছামিন মাহমুদ (১৫)।
অন্য দগ্ধরা হলেন— মোছা. সূর্য বানু, মোছা. জহুরা বেগম, মো. মনির হোসেন, সোহেল, সুমন মিয়া, শিউলি আক্তার ও শারমিন।
স্থানীয়রা জানান, দুইতলা বাড়ির উপরের তলায় সুমন দুই সন্তন নিয়ে বসবাস করতেন। শবে বরাত উপলক্ষে রাতে যখন সবাই রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন, সেই সময় সুমনের ছেলে ছামিন কম্পিউটার চালু করেতে যায়। কম্পিউটার চালু করার সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় শিশু ও নারীসহ মোট ১১ জন অগ্নিদগ্ধ হয়। ঘটনার প্রায় আধঘণ্টা পর স্থানীয়রা আগুন নেভাতে সক্ষম হন।
আরও পড়ুন: সাভারে অ্যাম্বুলেন্স-বাস সংঘর্ষে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ হয়ে নিহত ৪
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম সিদ্দিকী জানান, গ্যাস সিলিন্ডারটি অক্ষত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারা এ মর্মে একটি প্রতিবেদন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পুলিশ সুপার বরাবর দাখিল করেছেন।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘রান্না ঘরের গ্যাস সিলিন্ডার আগে থেকেই লিক ছিল। তাই কম্পিউটার চালুর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
২৯২ দিন আগে
আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসা দখলে ছাত্রদল-যুবলীগ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১
সাভারের আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছাত্রদল ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও গুলির ঘটনা ঘটে। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঘটনাটি ঘটে। এ সময় কাপ্তান মিয়া নামে একজন গুলিবিদ্ধসহ দুজন আহত হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ কাপ্তান মিয়াকে উদ্ধার করে সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরজন ইটের আঘাতে আহত হন, তিনিও পথচারী।
কাপ্তান মিয়া হবিগঞ্জ জেলার বোসিন্দা ও জাগড়া চৌরাস্তা এলাকার আলমগীর চৌধুরীর ভাড়া বাড়িতে থাকেন। আহত অপরজন হলেন নড়াইল জেলার লোহাগাড়া উপজেলার লোহাগড়া গ্রামের শেখ আবু জাফর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে আশুলিয়ার জামগড়ার এস সুহি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেড কারখানার ঝুট ব্যাবসা দখলকে কেন্দ্র ছাত্রদলের আশুলিয়া থানা শাখার সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ঝুট ব্যবসায়ী শরীফ চৌধুরীর সমর্থক ও জুট ব্যবসায়ী বকুল চৌধুরীর ছেলে যুবলীগ নেতা রনি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ৬ রাউন্ড গুলির শব্দে এলাকা গড়ম হয়ে ওঠে।
দীর্ঘ সময় উভয়পক্ষে রামদা মহড়া ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইট পাটকেল বিনিময় হয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম সিদ্দিক বলেন, ‘গোলাগুলির ঘটনায় দুই পক্ষকে ধরতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে। এছাড়া এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
২৯৮ দিন আগে
আশুলিয়া প্রাইভেটকারের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত ৩
সাভার আশুলিয়ার পলাশবাড়ীতে প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাবা, মা ও ছেলেসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পলাশবাড়ীর হাজী জামাল উদ্দিন মটরপার্টস মার্কেট সংলগ্ন হাবীব সিএনজি পাম্পে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ঢাকার মোহাম্মদপুর কাটাসুর কাদেরাবাদ এলাকার ইমরাম হাসান সানি, তার স্ত্রী মুক্তা আক্তার ও তাদের ১১ বছরের ছেলে কাজী মিনহাজ। তবে তারা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: সাভারে অ্যাম্বুলেন্স-বাস সংঘর্ষে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ হয়ে নিহত ৪
স্থানীয়রা জানায়, প্রাইভেটকারটি গ্যাস নিতে পাম্পে প্রবেশ করলে সবাই গাড়ি থেকে নেমে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। গ্যাস নেওয়া শুরু করতেই সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়। এতে প্রাইভেটকারের পাশে থাকা তিনজন আহত হলে তাদের উদ্ধার করে সোহেল স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম সিদ্দিক বলেন, গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
৩০১ দিন আগে
সাভারে ওয়াজ মাহফিলে ছুরিকাঘাতে আহত ৩
সাভারে ওয়াজ মাহফিলে ইমরুল নামে এক যুবকের ছুরিকাঘাতে তিনজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে ওয়াজ মাহফিলে প্রবেশের সময় স্বেচ্ছাসেবকরা বাধা দিলে তিনি এই ঘটনা ঘটান।
আহতরা হলেন- রাহাত, মনি ও নাজমুল হোসেন। তাদের সাভার থানা রোডের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছুরি হামলার পর স্থানীয়রা ইমরুলকে হাতেনাতে ছুরিসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা মামুনুর রশিদ ও আল আমিন জানান, স্বেচ্ছাসেবকদের বাধার মুখে ওয়াজ মাহফিলে ঢুকতে না পেরে পকেট থেকে ছুরি বের করে তিনি (ইমরুল) স্বেচ্ছাসেবক তিন যুবককে আহত করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দেয়।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় ইমরুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: খুলনার দুঃখ বিল ডাকাতিয়া, জীবন-জীবিকার ঝুঁকিতে এলাকাবাসী
৩৪৮ দিন আগে
সাভার-আশুলিয়ায় তিন সড়কে ডাকাতি, আহত ২০
সাভার ও আশুলিয়ায় এক রাতে তিন সড়কে বাস ও প্রাইভেটকারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে ৪ জনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন সড়কে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ডাকাতির কবলে পড়া যানবাহনের যাত্রীরা জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সাভারের রেডিও কলোনি থেকে সিএনবি পর্যন্ত ওয়েলকাম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে একদল ডাকাত ডাকাতি করতে ওঠে। এ সময় তারা চারজনকে কুপিয়ে আহত করে এবং যাত্রীদের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন মহাসড়কে নেমে যায়।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্য এক ঘটনায় সাভারের চাঁপাইন এলাকায় জনসম্মুখে চারজনকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে এক যুবক। এ ঘটনায় ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে নৈশ প্রহরীকে বেঁধে দোকানে ডাকাতি
এ ছাড়াও, আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু রোডের পলমল গার্মেন্টসের পাশে একটি বিয়ে বাড়ির গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
বিয়ে বাড়ির লোকজন জানান, ময়মনসিংয়ের থেকে রাত ২টার দিকে বিয়ে বাড়ির একটি মিনি বাস আশুলিয়ার সদরপুর আসছিল। বাসটি সেখানে পৌঁছালে রাস্তায় গাছ ফেলে একদল অস্ত্রধারী ডাকাত বাসটি আটক করে বাসে থাকা সবাইকে মারধর করে। এ সময় তারা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুটপাট করে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এদিকে আশুলিয়ায় চলন্ত প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে লক্ষাধিক টাকাসহ মোবাইল ফোন লুট করেছে ডাকাতরা। শুক্রবার রাতে কাঠগড়া-টঙ্গাবাড়ি আঞ্চলিক সড়কের দুর্গাপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থেকে নিজস্ব প্রাইভেটকার যোগে ঢাকার মিরপুরের উদ্দেশে রওনা হয় কয়েকজন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাঠগড়া-টঙ্গাবাড়ি আঞ্চলিক সড়কের দুর্গাপুর এলাকায় পৌঁছালে ৩-৪ জন ডাকাত গাড়িটির গতিরোধ করে। এরপর গাড়ির সামনের ও দুই পাশের কাঁচ ভেঙে রেজাউল করিমের সঙ্গে থাকা ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা, একটি আইফোন ও একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ফোন লুট করে ডাকাতরা। তারা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ছিল।
আরও পড়ুন: বাসা-বাড়িতে ডাকাতি প্রতিরোধে করণীয়
আহতদের সবাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর বলেন, ‘ডাকাতদের আটকের চেষ্টা চলছে।’
৩৪৮ দিন আগে
আশুলিয়ায় গুজব ছড়িয়ে সহিংসতা করা হয়েছে: শ্রম উপদেষ্টা
আশুলিয়ায় গুজব ছড়িয়ে সহিংসতা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
উপদেষ্টা বলেন, আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে কাজ করে যাচ্ছিল।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, প্রথম থেকেই দেখছি, সুনির্দিষ্ট কিছু মানুষ উসকানি দিয়ে আসছে। রবিবারও যে ঘটনা ঘটেছে, সেটার মূল ঘটনা সবার জানা দরকার। একজন শ্রমিক সেখানে নিহত হয়েছেন, আমরা দুঃখিত। আমাদের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ১৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি গুজবের ভিত্তিতে রবিবার ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল। গুজব ছড়ানো হয়েছিল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একজনকে ধর্ষণ (রেপ) করেছে এবং দুইজনকে খুন করে লাশ ফেলে রেখেছে। এভাবে কারখানাগুলো থেকে শ্রমিকদের নামিয়ে আনা হয়েছিল’।
আরও পড়ুন: শ্রম-সংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন: শ্রম উপদেষ্টা
উপদেষ্টা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুরসহ তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে শ্রমিকরা। কিন্তু তখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের মধ্য থেকে অনুপ্রবেশকারী গুলি ছুড়েছিল প্রথম। প্রথম গুলিটি শ্রমিকদের ভেতর থেকে দুস্কৃতকারীরা ছুড়েছিল। সেখান থেকে গোলাগুলির সূত্রপাত হয়। দুঃখজনকভাবে সেখানে আমাদের একজন শ্রমিক নিহত হন। আরও সাতজন আহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও ১৩ সদস্য আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আমরা এই পরিস্থিতি কখনোই চাই না, শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে চাই না। আশুলিয়ায় এতদিন ধরে আন্দোলন চলছে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা রেখে এসেছে। মালিকদের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে বেতন আদায় করা যায়, তারা সেই চেষ্টা করছে। সেনাবাহিনীও একই কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর শ্রমিক-মালিকের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, যদি শ্রমিকদের বেতন না দেওয়া হয়, আমরা মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে সোমবার আলোচনা হয়েছে। যেসব কোম্পানির মালিক দীর্ঘদিন বেতন দিচ্ছেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আশুলিয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই-তিনটি কারখানায় বেতন না হওয়ার কারণে সোমবার শ্রমিকরা বাইপাইলে সড়ক অবরাধ করেছেন। কারখানার মালিকদের খুঁজছি, কিন্তু তারা পলাতক। ব্যাংকেও তারা প্রচুর ঋণগ্রস্ত। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সেই আগের মতোই গুলি করে মানুষ হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুলিটা এসেছিল শ্রমিকদের ভেতরে অনুপ্রবেশ করা কারও পক্ষ থেকে। এরইমধ্যে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: কাজে যোগদান না করা পুলিশ সদস্যদের আইনের আওতায় আনা হবে: উপদেষ্টা
জুলাই-আগস্টে ঋণ গ্রহণের চেয়ে বেশি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ: ইআরডি
৪২৯ দিন আগে
আশুলিয়ায় শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বিজিএমইএর গভীর দুঃখ প্রকাশ; পরিবারকে ক্ষতিপূরণ
আশুলিয়ায় শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ চলাকালে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে বিজিএমইএ। এছাড়াও পোশাক শিল্প অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেছে তারা।
সোমবার বিজিএমইএ মহাসচিব মো. ফয়জুর রহমান এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প কারখানায় নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চাইল বিজিএমইএ
নিহত কাউসার হোসেন খান আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার ম্যাঙ্গো টেক্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিক।
নিহতের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী তার সব পাওনা শিগগিরই পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।
সোমবার সকালে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জিরাবোতে মণ্ডল গ্রুপের কারখানায় বিক্ষোভ করছিল শ্রমিকরা। এসময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মালিকপক্ষের আলোচনায় বসেন।
এসময় কিছু বহিরাগত ব্যক্তি ২ শ্রমিকের মৃত্যুর মিথ্যা গুজব তুলে কারখানার বাইরে অবস্থান নেয়। এই সংবাদ পেয়ে অন্যান্য কারখানার শ্রমিকরাও সেখানে জড়ো হতে থাকে।
দুই বহিরাগত ব্যক্তি বাইরে থেকে কারখানার ভেতরে গুলি ছুড়লে কারখানা ভবনের কাঁচ ভেঙে যায়, আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিচে নেমে আসলে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। বহিরাগতরা ও শ্রমিকরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুলি ছোড়ে।
এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য ও শ্রমিক গুরুতর আহত হলে স্থানীয় পিএমকে হাসপাতাল ও সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এনাম মেডিকেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাউসার হোসেন খানকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১১ জন সদস্য বর্তমানে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারখানা বন্ধের নির্দেশ বিজিএমইএ’র
৪৩০ দিন আগে