গাজীপুর
গাজীপুর-সাভারে পোশাক শ্রমিকদের অসন্তোষ, গাড়ি ও কারখানায় আগুন
বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভকালে বেক্সিমকোসহ দুটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সংঘর্ষের কারণে পার্শ্ববর্তী এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
একপর্যায়ে উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিকরা সাভারের একটি কারখানায় অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি মহাসড়কে একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর ফলে গাজীপুর ও সাভার এলাকার বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
গাজীপুরে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা তাদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে সকাল ৯টার দিকে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে। অন্যদিকে ডরিন কারখানার শ্রমিকরা তাদের কারখানা পুনরায় চালুর দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে।
শ্রমিকদের বরাত দিয়ে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তারের পর বেক্সিমকো কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মজুরি-রেশন পরিশোধের দাবিতে চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল
সকালে কারখানা বন্ধ পেয়ে ডরিন কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে মহাসড়কে বিক্ষোভ করে।
খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এতে শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে শ্রমিকরা একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর ইউএনবির সাভার প্রতিনিধিকে জানান, বেক্সিমকো ও ডরিন কারখানার শ্রমিকরা আশুলিয়ার জিরানীর নবী টেক্সটাইল এলাকার অ্যামাজন নিটওয়্যার লিমিটেডে ঢুকে কর্তৃপক্ষকে তাদের উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য করেছে।
একপর্যায়ে আমাজন কারখানার মালিক ও কর্মচারীরা কারখানার কয়েকজন শ্রমিককে মারধর করে।
পরে বহিরাগতরা কারখানার ভেতরে ভাঙচুর চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এই আগুন শ্রমিক কলোনিতে ছড়িয়ে যাওয়ায় ২০টি কক্ষ পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকরা গত সাত দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে পোশাকশ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধে যানজট
চলমান শ্রমিক অসন্তোষের যৌক্তিক সমাধান করা হবে: শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা
৩ দিন আগে
গাজীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী ও পোশাক কর্মী নিহত
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাংলাবাজার ও শ্রীপুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থী ও এক পোশাক কর্মী নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- শেরপুরের নালিতাবাড়ি থানার মন্ডালিয়া পাড়া গ্রামের বিলকিস আক্তার ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাহাদুরপুর গ্রামের নিলয় সরকার।
পোশাক কর্মী বিলকিস আক্তার স্থানীয় ট্রাস্ট নিটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। নিলয় নগরের পূবাইলের ম্যাটসের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী জানান, ‘রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে একটি বাস বিলকিস আক্তারকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।’
এদিকে, সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, সকাল ৭টায় বাজার থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে রাজেন্দ্রপুর বাজারে যাচ্ছিলেন নিলয়। পথে একটি অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিলয় সরকার নিহত হন।
৪ দিন আগে
গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ চার
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
দগ্ধরা হলেন- মো. তানজিল (২২), রাব্বি (২০), শামসুল (৬৫) ও রোজিনা হক (৪৯)।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, শনিবার (১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাতে কাশিমপুরের বাগবাড়ি এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হলে তারা দগ্ধ হন। তাদের স্থানীয় একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ঢাকার হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান গণমাধ্যমকে জানান, দগ্ধ হওয়া ওই চারজনকে গুরুতর অবস্থায় শনিবার রাতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এদের মধ্যে তানজিল ৩০ শতাংশ, রাব্বি ২৩ শতাংশ, শামসুল ৫ শতাংশ ও রোজিনা ৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, তাদের মধ্যে দুজনের দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায়, তাদের জরুরি বিভাগের অবজারভেশন শেষে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় বরফকলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী নিহত, আহত ২
৪ দিন আগে
ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে গাজীপুর: গবেষণা
গত দুই দশকে অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়নের কারণে গাজীপুর বাংলাদেশের পরিবেশগত অবক্ষয়ের উদাহরণে পরিণত হয়েছে। এ সময় এ এলাকার ৬০ শতাংশ বন উজাড় এবং ৫০ শতাংশ জলাধার দখল করে অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
২০০০ সালের গাজীপুরের বনাঞ্চলের আয়োতন ছিল ৩৯ হাজার ৯৪৩ হেক্টর। ২০২৩ সালে তা কমে ১৬ হাজার ১৭৪ হেক্টরে নেমে এসেছে। অর্থাৎ তিন বছরে বনাঞ্চল কমেছে ৫৯.৫১ শতাংশ।
একই সময় জলাশয়ের আয়তন কমেছে ৫১.৪২ শতাংশ। ২০০০ সালে জলাশয় ছিল ১১ হাজার ৪৬২ হেক্টর। ২০২৩ সালে সেখান থেকে কমে ৫ হাজার ৫৬৮ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সহযোগিতায় রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে 'গাজীপুর জেলার পরিবেশগত অবস্থা: পরিণতি ও ভ্রমণ' শীর্ষক এই গবেষণা পরিচালিত হয়।
মানদণ্ড অনুযায়ী ২০-২৫ শতাংশ বনাঞ্চল এবং ৭-১৪ শতাংশ জলাশয় রাখতে হবে। কিন্তু গাজীপুরে এখন মাত্র ৯.৪৯ শতাংশ বনভূমি এবং ৩.২৭ শতাংশ জলাশয় রয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজীপুরে বিপুল সংখ্যক মানুষ গ্রাম থেকে শহরাঞ্চলে এসে বসবাস করছে। এ কারণে শহুরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১০.৫১ শতাংশ, যেখানে গ্রামীণ জনসংখ্যা ২.০৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
মূলত শিল্পভিত্তিক কর্মসংস্থানের কারণে মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী হয়েছে। এখন কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যার ৬১.৫২ শতাংশ বিভিন্ন শিল্প কারখানায় কর্মরত।
২০০০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে শিল্পাঞ্চলের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।
শিল্প কারখানার এই বৃদ্ধি বন ও জলাশয় দখলের অন্যতম কারণ। একই সঙ্গে দূষণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
আরও পড়ুন: জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার বন্ধ করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
২০০০ সালে জেলার জমির ২৩.৪৪ শতাংশ বনাঞ্চল, ৬.৭৩ শতাংশ জলাশয়, ৫০.২১ শতাংশ বসতি, ৫.২১ শতাংশ শিল্প এলাকা, ১০.২১ শতাংশ কৃষি এলাকা এবং ৩.১৯ শতাংশ খোলা জায়গা ছিল।
২০২৩ সালের মধ্যে, এসব পরিসংখ্যানে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন দেখা যায়। এ সময় বসতি এলাকা ৬৫.৮৩ শতাংশ এবং শিল্প অঞ্চলগুলো ৮.৭৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। এর বিপরীতে বনাঞ্চলের পরিমাণ কমেছে ৯.৪৯ শতাংশ, জলাশয় ৩.২৭ শতাংশ, কৃষি এলাকা ১১.৯২ শতাংশ এবং উন্মুক্ত স্থান ০.৭৭ শতাংশ।
গত দুই দশকে গাজীপুরে অনিয়ন্ত্রিত উন্নয়নের কারণে প্রায় ২৩ হাজার ৭৬৯ একর বা ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ বনাঞ্চল বিলীন হয়ে গেছে।
গাজীপুরের বাস্তুতন্ত্র ও অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য নদ-নদী, খাল, জলাভূমি দূষণ ও দখলের কারণে মারাত্মক হুমকির মুখে।
গবেষণায় তুরাগ, লাবান্দা, টঙ্গী, মোগর ও চিলাই নদীসহ প্রধান জলাশয়গুলোতে ২৪৭টি প্রধান স্থান দখল এবং ১৬১টি সক্রিয় দূষণ পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে।
তুরাগ নদী মার্কাস বিল থেকে আসা শিল্পবর্জ্যের কারণে মারাত্মকভাবে দূষিত হয়েছে। আর লাবন্দা নদী প্লাস্টিক প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা, ১৫টি পৌরসভার বর্জ্য লাইন এবং ৩৯টি দৃশ্যমান শিল্প বর্জ্য লাইনের কারণে বর্জ্যে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।
জবরদখলের কারণে মোগর খালেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। প্রাথমিকভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম এবং মাটি ভরাটসহ ৩৪টি ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
তুরাগ নদীর তীরে অবৈধ ইটভাটার কারণে দূষণ ও দখল বেড়েছে এবং পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
এদিকে, কৃষিকাজ ও মাছ ধরার মতো ঐতিহ্যবাহী জীবিকা ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখোমুখি।
গবেষণায় গাজীপুরের পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় পৌর ও জাতীয় কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
আরও অবক্ষয় রোধ করতে এবং জেলার প্রাকৃতিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের জন্য শক্তিশালী পরিবেশগত নীতি এবং তার কার্যকরী প্রয়োগ ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও পরিবেশ সুরক্ষায় নিরপেক্ষ-নির্ভীক সাংবাদিকতা অপরিহার্য: রিজওয়ানা হাসান
৫ দিন আগে
বেতন পরিশোধের আশ্বাসে গাজীপুরে শ্রমিকদের অবরোধ প্রত্যাহার
৩০ নভেম্বরের মধ্যে আংশিক বেতন পরিশোধের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় গাজীপুর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের অবরোধ তুলে নেন টিএনজেড গ্রুপের কারখানার শ্রমিকরা।
সোমবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সঙ্গে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের আলোচনায় বেতন পরিশোধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শেষে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কারখানার পোশাক শ্রমিকদের বকেয়ার প্রথম কিস্তি রবিবারের মধ্যে দেওয়া হবে। বাকি টাকা পরিশোধ হবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আবারও মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা
বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য টিএনজেড অ্যাপারেলস কর্তৃপক্ষকে মোট ১৬ কোটি টাকা ধার দেবে সরকার। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে দেওয়া হবে ৬ কোটি টাকা। এটি দিয়ে প্রথম কিস্তিতে বেতন পরিশোধ করা হবে।
এছাড়া ১০ কোটি টাকা দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়। এটি দিয়ে অবশিষ্ট বকেয়া পরিশোধ হবে। পরে মালিকপক্ষ এই টাকা সরকারকে পরিশোধ করবে।
আর শ্রমিকদের ডিসেম্বর মাস থেকে কারখানার নিজস্ব আয় থেকে বেতন দেওয়া হবে বলে জানান শ্রম সচিব।
বৈঠকের পর শ্রমিক প্রতিনিধিরা অবরোধকারীদের কাছে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে অবরোধ তুলে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। ফলে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে তিন দিন ধরে মহাসড়ক অবরোধ
১ সপ্তাহ আগে
গাজীপুরে আবারও মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা
অবরোধ প্রত্যাহার করার মাত্র দুই ঘণ্টা পর গাজীপুর মহানগরের মোগরখারের টিএন্ডজেড গ্রুপের পাঁচটি কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানায়, তিন মাসের বকেয়া বেতন কখন কীভাবে পরিশোধ করা হবে তার সুস্পষ্ট ঘোষণা না পেয়ে তারা আবারও অবরোধে নামেন। এর আগে কিছুটা বিভ্রান্তির কারণে তারা সড়ক থেকে উঠে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে তিন দিন ধরে মহাসড়ক অবরোধ
শ্রমিকরা আরও জানায়, তাদের তিন মাসের বকেয়া বেতন, ওভারটাইম বিলসহ সব পাওনাদির দাবিতে কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন। কিন্তু বেতন ভাতা পরিশোধ না হওয়ায় তারা সড়কে নামতে বাধ্য হন।
তারা বলছেন, বকেয়া আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের মাঠে থাকবেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, এদিকে দুই ঘণ্টা পর আবারও অবরোধ সৃষ্টি করলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-বাইপাস সড়কে যান চলাচলে স্থবিরতা দেখা দেয়।
তিনি আরও বলেন, যাত্রীবাহী বাস ও পণ্য বোঝাই ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। অফিস ও কর্মস্থল থেকে ফেরা লোকজন পড়েন চরম ভোগান্তিতে। আর এই তিনদিন ধরে যে সকল পরিবহন চালকরা ও লোকজন সড়কে আটকে আছেন তারা পড়েছেন যন্ত্রণায়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দ্বিতীয় দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ, ২০ কারখানা ছুটি ঘোষণা
১ সপ্তাহ আগে
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা।
এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং তিন ঘণ্টা ধরে এ অবস্থা চলে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন মহাসড়কে চলাচলকারী লোকজন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টার পর তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ৬টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
কারখানার শ্রমিকরা জানান, তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেতন ভাতা পাননি। এ কারণে বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামতে হয়েছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘টিঅ্যান্ডজেড কারখানার শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে মহাসড়কে নেমে এলে যানজট লেগে যায়। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।’
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কারখানার দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে শ্রমিক নিহত
১ সপ্তাহ আগে
গাজীপুরে দুই যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
গাজীপুরে কাশিমপুরের একটি চারতলা ভবন থেকে দুই যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে নগরের কাশিমপুরের মাধবপুর এলাকার রেজাউল করিমের মালিকানাধীন ভবন থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে রাসেল হোসেন (২৩) এবং ভোলার সদর উপজেলার চরভেদুরা গ্রামের জাফর আলীর ছেলে সুফিয়ান (২৪)। তারা দু'জনেই কাশিমপুর থানার মাধবপুর উত্তর পাড়া এলাকায় রেজাউল করিমের বাসায় ভাড়া থেকে একটি কারখানার গোডাউনে প্যাকেজিংয়ের কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানায়, নিহত রাসেল ও সুফিয়ান ওই ভবনের চারতলা ফ্ল্যাটে দীর্ঘদিন ভাড়ায় বসবাস করে স্থানীয় একটি কারখানার গোডাউনে প্যাকেজিংয়ের কাজ করতেন। কারখানার মালিক রাতে রেজাউল করিমের মালিকানাধীন ভবনের কেয়ারটেকার বকুলকে ফোন করে বলেন, রাসেল ও সুফিয়ান মঙ্গলবার কারখানায় আসেনি। পরে কেয়ারটেকার বকুল রাত ১১টায় চারতলায় উঠে কক্ষের ভেতর তাদের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে কাশিমপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) এর কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কেন এবং কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: সিলেটে চা বাগান কর্মচারীর লাশ উদ্ধার
২ সপ্তাহ আগে
গাজীপুরে ৬টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
গাজীপুরে ৬টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। কারখানাগুলোতে প্রায় ১৪ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করতেন।
রবিবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৩(১) ধারা মোতাবেক ওই ৬টি কারখানার সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বন্ধ হওয়া ৬টি কারখানা হলো- তুসুকা জিন্স লিমিটেড, তুসুকা ট্রাউজার্স লিমিটেড, তুসুকা প্রসেসিং লিমিটেড, তুসুকা প্যাকেজিং লিমিটেড, তুসুকা ডেনিম লিমিটেড এবং তুসুকা ওয়াশিং লিমিটেড।
কারখানাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: মিরপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষে দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ
কারখানার ফটকে লাগিয়ে দেওয়া নোটিশে জানানো হয়, শনিবার কারখানার শ্রমিক ও অজ্ঞাত বহিরাগত দুষ্কৃতকারীরা অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনিভাবে কাজ বন্ধ রাখে। সকালে হাজিরা দিয়ে শ্রমিকরা বের হয়ে কারখানার ফটকে জড়ো হয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন।
নোটিশে আরও বলা হয়, কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের কাজে যোগদানের অনুরোধ জানান। শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষের বৈধ নির্দেশ অমান্য করে কাজে যোগদান না করে উচ্ছৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, মারধর ও অরাজকতা করেন। শ্রমিকদের এ ধরনের কার্যকলাপ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ মোতাবেক অবৈধ ধর্মঘটের শামিল। শ্রমিকদের এ কর্মকাণ্ডে কারখানার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সম্পত্তির নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায় তুসুকা গ্রুপ বাধ্য হয়ে ৩ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে কারখানাগুলোর কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। কারখানা খোলার পরিবেশ সৃষ্টি হলে পরবর্তী সময়ে কর্তৃপক্ষ নোটিশের মাধ্যমে তারিখ জানিয়ে দেবে।
কারখানার মহাব্যবস্থাপক মাসুম হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে এবং পুনরায় কাজের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হলে কারখানাগুলোর খোলার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এছাড়া কর্তৃপক্ষের কাছে খবর ছিল কিছু কারখানায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ কারণে শ্রম আইন অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ (কোনাবাড়ী জোনের) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব বলেন, শ্রমিকদের কিছু দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে। তবে শ্রমিকেরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একমত পোষণ করতে পারেননি।
এ কারণে কারখানা কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ দিয়েছে বলে জানান সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব।
উল্লেখ্য, রপ্তানিমুখী ওই পোশাক কারখানায় শনিবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ রেখে হাজিরা বোনাস, বাৎসরিক বেতন, নাইট বিল, টিফিন বিল বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেছেন কয়েক হাজার শ্রমিক।
আরও পড়ুন: মিরপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষ, সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন
২ সপ্তাহ আগে
গাজীপুরে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় চালক নিহত
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মোক্তাদির মিয়া নামে চালক নিহত হন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার কালীগঞ্জ-টঙ্গী-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়কের নলছাটা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোক্তাদির মিয়া (২৮) হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: গোবিন্দগঞ্জে ট্রাক ও পিকআপের সংর্ঘষে পিকআপ চালক নিহত
কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রাসেল জানান, সোমবার দিবাগত রাতে সিলেটের নবীগঞ্জ থেকে ডাবভর্তি একটি পিকআপ আব্দুল্লাহপুরের দিকে যাচ্ছিল। পিকআপ ভ্যানটি কালীগঞ্জ-টঙ্গী-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়কের নলছাটা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় ঘটনাস্থলে চালক মোক্তার নিহত হন। খবর পেয়ে নিহতের লাশ ও দুর্ঘটনা কবলিত পিকআপ ভ্যানটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়।
পরে নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ আলী বিনা ময়নাতদন্তে লাশ হস্তান্তরের জন্য আবেদন করলে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক চালক নিহত
৩ সপ্তাহ আগে