গাজীপুর
গাজীপুরে জাসাস নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
গাজীপুরের শ্রীপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার লতিফপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম ফরিদ সরকার। তিনি শ্রীপুরের গোসিংগা ইউনিয়ন জাসাসের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ১৭ বছর প্রবাসে থাকার পর গত বছর জুলাই আন্দোলনের পর তিনি দেশে ফিরে একটি ইটভাটার ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রতিবেশীর সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সম্প্রতি একটি মামলা চলছিল। সেই বিরোধ থেকেই পরিকল্পিতভাবে ফরিদকে হত্যা করা হতে পারে বলে তাদের ধারণা।
পুলিশ জানায়, ইটভাটায় ফরিদ সরকারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বড় ভাই ফারুক হোসেন মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমেদ জানান, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা করা হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরে আগুনে পুড়ে গেছে ১০ বসতঘর
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দশটি বসতঘর পুড়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আবদার গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ঘরের আসবাবপত্র, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, সকালে শ্রমজীবী মানুষ কলকারখানায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় টিনশেডের একটি বাড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন আশপাশের কয়েকটি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন স্থানীয়রা। তবে ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই বসত ঘরের অর্ধেক মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানান তারা। খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভাড়াটিয়া মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ভোরে একটি তালাবদ্ধ ঘর থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন পাশের ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে এবং ১০টি ঘরে আগুন লাগে।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মো. নূরুল করিম জানান, অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটে নি। তদন্তের পর আগুনের সূত্রপাতের কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
১ দিন আগে
গাজীপুরে কারখানা বন্ধের ঘোষণায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। কারখানা খুলে দেওয়া এবং তাদের কিছু দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে কারখানার প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ এলাকার পি এন কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার এক শ্রমিক গত ৭ ডিসেম্বর জরুরি কাজে কারখানা থেকে বের হয়ে বাইরে যান। যখন তিনি কাজ শেষ করে ফিরে আসেন, তখন কারখানার এক কর্মকর্তার সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরের দিন, অর্থাৎ গতকাল (সোমবার) শ্রমিকদের কয়েকজন ওই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সারা দিন শ্রমিকদের বুঝিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। বিকেলে শ্রমিকরা চলে গেলে কর্তৃপক্ষ রাতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। বন্ধের নোটিশ কারখানার প্রধান ফটকে সেঁটে দেওয়া হয়।
নোটিশে লেখা রয়েছে, পি এন কম্পোজিট লিমিডেটের সংশিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ৭ ডিসেম্বর থেকে কারখানার শ্রমিকরা কিছু অযৌক্তিক দাবি উত্থাপন করে, অবৈধভাবে কারখানায় সংঘবদ্ধ হয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে। চরম বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে এবং অবৈধ ধর্মঘটে লিপ্ত হয়, যা আজও চলমান। এর ফলশ্রুতিতে কারখানার অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে। এ ছাড়াও কারখানার নির্ধারিত রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার কারণে কোম্পানি বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুক্ষীন হয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আহ্বান জানায় যে, যে কোনো প্রকার দাবি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব এবং সবাইকে উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু শ্রমিকরা কাজে যোগদান করা থেকে বিরত থাকে। ফলে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। শ্রমিকদের এই আচরণ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী বেআইনি ধর্মঘট হিসেবে গণ্য হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কারখানার কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ এই কারখানার শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করল। পরবর্তীতে কারখানা চালু করার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে খোলার তারিখ নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।
মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারেন, কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে তারা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও কোনাবাড়ি থানা পুলিশ শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে কারখানার ব্যবস্থাপক তাপসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর ডিউটি চলাকালীন একজন শ্রমিক কারখানার বাইরে যায়। পরে তার সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হলে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেয়। একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করলেও তারা কথা না শুনে সোমবারও কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে কর্তৃপক্ষ সকাল থেকে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ঘটনাস্থলে শিল্প ও থানা পুলিশ রয়েছে। শ্রমিক এবং কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি কীভাবে সমাধান করা যায় সেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
১৫ দিন আগে
গাজীপুরে ঝুট গুদামে আগুন, সোয়া এক ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণে
গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় একটি ঝুট গোডাউন আগুনে পুড়ে গেছে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে সোয়া এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে নগরের কোনাবাড়ি আমরাগ পূর্বপাড়া এলাকায় পলাশ মিয়ার ঝুট গোডাউনে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।
২৩ দিন আগে
বেঞ্চে বসা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫
গাজীপুরের শ্রীপুরে গাড়ারণ খলিলিয়া বহুমুখী ফাজিল মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে ওই মাদ্রাসার পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়নের ওই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম সিয়াম, আর আহতরা হলো— রিফাত, নাদিম, মুহিন, রিফাত ও রাশিদুল।
আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, মাদ্রাসায় চুড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা চলছে। গতকাল (বুধবার) পরীক্ষার হলে বেঞ্চে বসা নিয়ে সিয়ামের সঙ্গে মুহিনের ঝগড়া হয়। পরে মাদ্রাসার শিক্ষকরা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এ নিয়ে ক্ষোভের জেরে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে মাদ্রাসা চত্বরে আসে সিয়াম। সে সময় বাকিরা পরীক্ষা দিয়ে বের হচ্ছিল। হঠাৎ সিয়াম ছুরি নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে রিফাত, নাদিম, মুহিন, রিফাত ও রাশিদুলকে জখম করে। পরে আহত অবস্থায় তাদের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাদিম, মুহিন ও রিফাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাসরিন জামান বলেন, পাঁচজন শিক্ষার্থীকে ছুরিকাহত অবস্থায় আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক জানান, মাদ্রাসার বেঞ্চে বসাকে কেন্দ্র করে জখম হওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকি দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছে। এ ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৭ দিন আগে
গাজীপুরে ৯ দফা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
নয় দফা দাবিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন কাদের সিনথেটিক ফাইবার্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শ্রমিকরা মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান করেন। কর্তৃপক্ষের কাছে ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করার পরও কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শ্রমিকরা।ি
আরও পড়ুন: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে একমাত্র বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষায় সাঁওতালদের বিক্ষোভ সমাবেশ
শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো
• বেতন ৭-১০ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে;
• মেডিকেল ছুটি পাস করালে হাজিরা বোনাস থাকতে হবে। এই ছুটি কোনো অফিসের কর্মকর্তা পাস করাতে পারবেন না;
• মেডিকেলে সব ধরনের ওষুধ থাকতে হবে;
• নাইট বিল সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা দিতে হবে;
• বার্ষিক ছুটির টাকা জানুয়ারি মাসে দিতে হবে;
• শ্রমিকের নিরাপত্তার জন্য ছোট বাটন ফোন সঙ্গে আনার অনুমতি দিতে হবে;
• যারা চাকরি ছাড়বেন তাদের সঙ্গে সঙ্গে টাকা পরিশোধ করতে হবে;
• বিনা কারণে কোনো শ্রমিককে বের করা যাবে না; এবং
• যদি কোনো কারণে শ্রমিককে বের করা হয়, তাহলে রানিং মাসের বেতন এবং তিন মাস ১৩ দিনের বেতনসহ রিজাইনের টাকা বুঝিয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিক্ষোভ-অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
এ বিষয়ে জানতে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা অওরঙ্গজেব খান গণমাধ্যমকে বলেন, গত মাসের বেতন ১৬ তারিখ দুপুর ১২টার মধ্যে পরিশোধ করা হবে। অন্যান্য যে দাবি-দাওয়া আছে তা পর্যায়ক্রমে মেনে নেওয়া হবে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ কোনাবাড়ী জোনের পুলিশ পরিদর্শক মোর্শেদ জামান জানান, শ্রমিকরা ৯ দফা দাবিতে কারখানার মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়।
৭২ দিন আগে
গাজীপুরের কাঁচাবাজারে ভয়াবহ আগুন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তার কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের এক ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে আগুন। আগুনে কাঁচাবাজার ও অনেক মুদি দোকান পুড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার দিকে চৌরাস্তা মুদিখানা মার্কেটের কাঁচাবাজারে আগুনের সূত্রপাত হয়।
দোকানদার ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে হঠাৎ করেই চৌরাস্তা মুদিখানা মার্কেটে ধোঁয়া ও আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন আশপাশের দোকান ও স্থাপনায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
আরও পড়ুন: সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয় মসজিদের আগুন নিয়ন্ত্রণে
খবর পেয়ে চান্দনা চৌরাস্তা মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এরপর আগুনের তীব্রতা বাড়লে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। পাঁচটি ইউনিটের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, আগুন লাগার প্রকৃত কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
১১১ দিন আগে
গাজীপুরে ডাম্প ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ২
গাজীপুরে ঢাকাগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় একটি ডাম্প ট্রাক দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে সেটির চালক ও হেলপার নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে নিহতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. নাদিরুজ্জামান জানান, অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে ডাম্প ট্রাকটির ধাক্কা লাগে। এতে ট্রাকটি দুমড়ে মুচড়ে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। আর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর অপরজনের মৃত্যু হয়।
মরদেহ দুটি হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
১১২ দিন আগে
গাজীপুরে সন্ত্রাসী সুমনের ৫টি টর্চার সেলের সন্ধান, অস্ত্র উদ্ধার
গাজীপুরের শ্রীপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমন বাহিনীর ৫টি টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। টর্চার সেলগুলো থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক, বড়নল, কোষাদিয়া, বরকুল ও নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের ৫টি টর্চার সেল গুঁড়িয়ে দেয় পুলিশ। সেলগুলো থেকে একটি এয়ার গান, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা উদ্ধার করা হয়। এ সময় সুমন বাহিনীর তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এসব টর্চার সেলে বিনা অপরাধে মানুষকে এনে বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের পর আদায় করা হতো মোটা অংকের টাকা। রাতভর চলতো মাদকের আড্ডা। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে করা হতো নির্যাতন।
আরও পড়ুন: নাটোরে পদ্মার চরে সন্ত্রাসীদের অস্ত্র মহড়া, গুলিবর্ষণ
সুমন বাহিনীর মোটরসাইকেলযোগে দলবেঁধে চলাচল ছিল বলেও জানান তারা।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, গ্রেপ্তার সুমন শেখদের কয়েকটি টর্চার সেলের সন্ধান পেয়ে সেগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। টর্চার সেলগুলো থেকে একটি এয়ার গান ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এয়ার গানটিকে বন্দুক হিসেবে দেখিয়ে মানুষকে দেখানো হতো।
পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে সম্প্রতি ছিনিয়ে নেওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমনকে গত রোববার (৩১ আগস্ট) ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১১২ দিন আগে
গাজীপুরে নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন করে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন করেছে। পরে তারা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকালে নার্সিং কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, শিক্ষার্থীদের হুমকি ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িতের অভিযোগে ইন্সট্রাক্টর মো. জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. তাজুল ইসলাম ও মো. মোখলেছুর রহমানের বদলির দাবিতে তারা এসব কর্মসূচি পালন করেছে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের রাজবাড়ী সড়কে মানববন্ধন করে প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে তারা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবিতে ফরিদপুরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
এ সময় গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মোতাসিম বিল্লাহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিনামা সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেয়।
কর্মসূচি চলাকালে কলেজের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী ফারিহা আলম, মোসাম্মৎ শারমিন আক্তার,মেহেদী হাসান চয়ন, হৃদয় খান, লুৎফুন নাহার লিজা, তুহিন মোর্শেদ, রাফিউল আলম সরকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
১২৫ দিন আগে