যানজট
মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও কোনো যানজট নেই: ওবায়দুল কাদের
মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও কোনো যানজট নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ঘরমুখো মানুষের জন্য আমরা আজ উন্মুক্ত করে দিচ্ছি।
শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ের মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২(এলেঙ্গা-হাটিকমরুল-রংপুর মহাসড়ক) এর আওতায় নির্মিত ৫টি ফ্লাইওভার চলাচলের জন্য উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা প্রান্তে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উগ্রবাদের মূল উৎস বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
অনুষ্ঠানে মেঘনা টোল প্লাজায় ১২টি বুথে ই টি সি কার্যক্রম, এলেঙ্গা-হাটিকমরুল-রংপুর মহাসড়কে নির্মিত একটি রেল ওভারপাস, ৭টি ওভারপাস ও ২টি সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
১২টি টোল বুথের সবকটিতেই ক্যাশ ও ক্যাশলেস (ইটিসি) ট্রানজেকশনের মাধ্যমে টোল দেওয়া যাবে।
ঈদযাত্রায় সহজ করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সেটা আপনারা জানেন। এখন আমরা ঘরের ভেতর করছি, কিন্তু সাংবাদিকদের জন্য পুরো সেশনটিই উন্মুক্ত ছিল। যে যা বলেছেন, সবই আপনারা পেয়েছেন। যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআরটিএ, তাও আপনাদের জানানো হয়েছে পরিষ্কারভাবে।
তবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ঈদের পরে প্রশ্ন করতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রী বলেন, এটা আপনারা ঈদের পরে প্রশ্ন করতে পারেন। গাড়ির চাপ আছে, কিন্তু যানজট নেই, এটা আমি বলতে পারব।
ঢাকায় অস্বাভাবিক যানজট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে এখন কোনো যানজট নেই, থাকবে না। রাজধানী খালি হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে শনিবার দেশে ফিরবেন ওবায়দুল কাদের
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরেছে: ওবায়দুল কাদের
ঠাকুরগাঁওয়ের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল দুই দশক ধরে বন্ধ
ঠাকুরগাঁও জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি উদ্বোধনের পর থেকেই পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, তখন থেকেই ঝুলছে তালা।
ঠাকুরগাঁও জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল শহরে যানজট কমানোসহ যাত্রীদের সুবিধার্থে ২০০৩ সালে নির্মাণ করা। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর ঘটা করে উদ্বোধনও হয়। এরপর ২০ বছর পার হলেও যাত্রীদের কোনো কাজেই আসেনি দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টার্মিনালটি।
দীর্ঘদিন পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় এখন তা হয়ে পড়েছে ব্যবহার অনুপযোগী। কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকেই এর জন্য দায়ী করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে ৫ বিঘা জমির উপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয় বাস টার্মিনালটি। তৎকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া এ টার্মিনালের উদ্বোধন করেন। এরপর আর ব্যবহার করা হয়নি এটি।
আরও পড়ুন: সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সার্ভিস কাঁচপুরে স্থানান্তর করা হবে: মেয়র তাপস
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা মহাসড়কের পাশেই অস্থায়ী কাউন্টার বসিয়ে বিক্রি করছেন বিভিন্ন রুটের বাসের টিকিট। অথচ টার্মিনালটিতে টিকিট কাউন্টার, ওয়াশ রুম, শপিংস্টোর ও বসার ব্যবস্থাসহ সাধারণ যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা রয়েছে। এত সুবিধা থাকার পরও রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে বাসে ওঠানামা করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র বাস দাঁড় করিয়ে রাখায় যানজটের পাশাপাশি ঘটছে দুর্ঘটনা। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে টার্মিনালটি ব্যবহার না হওয়ায় ভবনের ভেতর নেশাখোর ও ভবঘুরেদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় শিগগিরই টার্মিনাল সংস্কার করে তা চালুর দাবি যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।
সরেজমিনে এই প্রতিবেদক দেখতে পান, ঠাকুরগাঁও জেলার একমাত্র বাস টার্মিনালটি জনশূন্য। দুটি বিশ্রামাগার ও একটি টিকিট কাউন্টার থাকলেও তা তালাবদ্ধ। পরিষ্কার না করায় ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে ভবনের চারপাশ। ভেঙে পড়েছে দরজা-জানালা। ভেতরে বেশ কয়েকটি বিকল বাস ফেলে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে: মেয়র তাপস
দিনাজপুর-পঞ্চগড়ের যাত্রীরা বাসে ওঠানামা করছেন ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কে। স্থানীয়রা জানান, টার্মিনাল থাকার পরও ঝুঁকি নিয়ে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বাস থামিয়ে যাত্রীরা ওঠানামা করছেন। এতে দুর্ঘটনা যেমন ঘটছে, তেমনই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। অথচ টার্মিনাল নির্মাণের পর দুই দশক পার হলেও তা চালু হয়নি এখনো। এর পেছনে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
কয়েকজন যাত্রী জানান, তারা বিভিন্ন কাজে নিয়মিত ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করেন। টার্মিনালে বাস না থাকায় বাসের জন্য দীর্ঘ সময় সড়কের পাশে চায়ের দোকানে অপেক্ষা করতে হয় তাদের। এ সময় বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হলেও সে উপায় নেই।
টার্মিনাল বিষয়ে বাস মালিক সমিতির নেতারা কথা বলতে রাজি না হলেও উপজেলা প্রশাসন জানালেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি দ্রুত চালু করতে বাস মালিক ও পৌরসভার সঙ্গে আলোচনা করব। আমরা চাই যেন এর যথাযথ ব্যবহার হয়। সাধারণ মানুষ যেন সেবা পায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করব।’
আরও পড়ুন: সিলেটে আধুনিক বাস টার্মিনালের উদ্বোধন এ মাসেই
যানজট কমাতে মঙ্গোলিয়ায় বিকল্প দিনে গাড়ি চলাচলের নির্দেশ
মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলান বাটোর শহরের যানজট কমাতে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাস্তায় অর্ধেক যানবাহন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পৌর সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, উপরে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে বিজোড় বা জোড় লাইসেন্স প্লেট নম্বরের উপর ভিত্তি করে বিকল্প দিনে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
সাম্প্রতিক ভারী তুষারপাতের কারণে রাজধানীর রাস্তাগুলো পিচ্ছিল হয়ে যাওয়া এবং এর ফলে কয়েক ঘণ্টা ধরে রাস্তায় গাড়ি আটকে থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বহু বছর ধরে যানজট উলান বাটোরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি থেকে ৩০০ জনকে উদ্ধার
উলান বাটোর মূলত পাঁচ লাখ বাসিন্দা থাকার জন্য নির্মিত হয়েছিল।
তবে, শহরটিতে এখন দেশের ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক বাস করে।
বর্তমানে, উলান বাটোরে ৭ লাখ ২০ হাজার যানবাহন নিবন্ধিত রয়েছে।
পৌরসভা সরকারের মতে, রাজধানী শহরে যানবাহনের সংখ্যা বছরে গড়ে ৫০ হাজার করে বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২২ পুলিশ সদস্য নিহত, আহত ৩২
ফিলিপাইনে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ২৯
যানজট সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় সিএনজিচালককে পিটিয়ে হত্যা
নোয়াখালীর চাটখিলে রাস্তায় যানজট সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় সাখাওয়াত উল্ল্যাহ (৫৫) নামে একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালককে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চাটখিল-সোনাইমুড়ী সড়কের পাঁচগাঁও ইউনিয়নের মোস্তান নগর এলাকার মহুরী মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. সাখাওয়াত উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাইক বাড়ির মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ‘চোর’ সন্দেহে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
আটককৃতরা হলো- উপজেলার হালিমা দিঘীর পাড় এলাকার ল্যাংটা বাড়ির মৃত মো. নবীর ছেলে মো. রাজু (২২) ও একই এলাকার সুইপার আকবরের ছেলে জাহাঙ্গীর (২৪)।
স্থানীয়রা জানায়, সাখাওয়াত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার চাটখিল বাজার থেকে নিজের সিএনজি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। যাত্রাপথে তিনি চাটখিল-সোনাইমুড়ী সড়কের মোস্তান নগর এলাকার মহুরী মার্কেট এলাকায় পৌঁছলে দেখেন কয়েকটা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাস্তায় এলোমেলোভাবে রাখা হয়েছে। এ কারণে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তাৎক্ষণিক সিএনজি থামিয়ে তিনি এলোমেলোভাবে রাস্তায় গাড়ি রাখার প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে অটোরিকশাচালক রাজুর সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাজু ও তার বন্ধু সিএনজিচালক জাহাঙ্গীর, মুন্না একসঙ্গে সিএনজিচালক সাখাওয়াতকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষিসহ বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর বলেন, আটক আসামিরা রাস্তার মধ্যে এলোমেলোভাবে গাড়ি রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। নিহত সাখাওয়াত সিএনজি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে গাড়ি পার করতে না পেরে, সিএনজি থেকে নেমে এভাবে গাড়ি রাখার কারণ জিজ্ঞেস করেন।
তিনি আরও বলেন, এ কথা জিজ্ঞেস করায় আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করলে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ২ আসামিকে আটক করা হয়েছে। ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নড়াইলে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর ল্যান্ডিং পয়েন্টগুলোতে যানজট
রবিবার সকাল ৬টায় যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার পর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ল্যান্ডিং পয়েন্টগুলোয় যানজটের সম্মুখীন হন যাত্রীরা।
এ সময় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেটের ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অংশে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে কাওলা থেকে ফার্মগেট পৌঁছাতে প্রায় ১০ মিনিট সময় লাগে।
২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার গাড়িবহরের ২৫টি গাড়ির জন্য ২ হাজার টাকা টোল পরিশোধ করে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম ট্রাফিক কমিশনার (উত্তর) আবু সালেহ মো. রায়হান বলেন, ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারী যানবাহনের তীব্র চাপের কারণে ফার্মগেট, মহাখালী, কাকলী, কাওলা এলাকার ল্যান্ডিং পয়েন্টে যানজট দেখা গেছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে রাজধানীর কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত চলবে।
এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করার জন্য যানবাহনগুলোকে টোল দিতে হবে। চারটি ক্যাটাগরিতে টোল আদায় করা হবে।
প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের কম) এবং মিনি-ট্রাক (৩ টনের কম) ৮০ টাকা, মাঝারি আকারের ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) এবং ৬ চাকার বেশি বড় ট্রাক যথাক্রমে ৩২০ টাকা এবং ৪০০ টাকা দিতে হবে।
এদিকে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-ফার্মগেট অংশে ১৬বা তার বেশি আসন বিশিষ্ট সব বাস ও মিনিবাসকে দিতে হবে ১৬০ টাকা।
এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল, সাইকেল ও থ্রি-হুইলার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হলো: দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ঈদযাত্রায় যানজট নিরসনে খুলে দেওয়া হলো সিরাজগঞ্জের নলকা ফ্লাইওভার
উত্তরবঙ্গের ঈদযাত্রায় ভয়াবহ যানজট নিরসনে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় সংযোগ মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের নলকা ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার দুপুরের দিকে এ ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সেতু বিভাগের সচিব ও সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মনজুর হোসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় সংযোগ মহাসড়কের হাটিকুমরুল গোলচত্বর হয়ে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার দূরপাল্লার বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ থাকবে ১০ দিন
এ জনগুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১৯ হাজার যানবাহন চলাচল করে। তবে ঈদের আগে এ যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজারের বেশি হয়।
বিশেষ করে ঈদের আগে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারণে প্রতি বছরই ওই স্থানটিতে যানটের সৃষ্টি হয়। ঈদযাত্রায় এ ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে এই নলকা ফ্লাইওভার উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনের পরেই ফ্লাইওভার দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু করেছে।
এ সময় স্থানীয় সরকারের উপ-সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার আদনান হোসেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার শের শাহ ফরিদ ও অনান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা: গাজীপুরে যানবাহনের বাড়তি চাপ, বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ যাত্রীদের
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: আইজিপি
রাজধানীতে বৃষ্টিতে স্বস্তি, তবে যানজটে চলাচল ব্যাহত
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা বাতাসের গুণমান উন্নত করতে এবং তাপ থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত রাত থেকে বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি হয়েছে এবং আজ বিকাল ও রাতের দিকে ঢাকায় আবারও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম' পর্যায়ে
এদিকে, সকালের বৃষ্টিতে ঢাকার বেশ কয়েকটি প্রধান সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং ব্যস্ত সময়ে নগরবাসী রাস্তায় আটকা পড়ে।
সকালে গণপরিবহনের অভাবে বৃষ্টিতে গন্তব্যে পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হয় মানুষের, বিশেষ করে অফিস ও স্কুলগামীদের।
এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ও রিকশাচালকদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ভাড়া চাইতে দেখা গেছে।
লোকজনকে তাদের বাচ্চাদের ছাতা ও রেইনকোট নিয়ে স্কুলের দিকে যেতে এবং ট্র্যাফিক পুলিশকে বৃষ্টির সময় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: দেশের কিছু নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত
এবারের ঈদ যাত্রায় কোনো ভোগান্তি নেই: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবারের ঈদযাত্রা যানজট ও জনদুর্ভোগমুক্ত হয়েছে।
আজ (শুক্রবার) সকালে রাজধানীর বিমানবন্দরে নির্মিত ওভারপাস পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফিরতি ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন ও আরামদায়ক করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বছর ঈদযাত্রায় বাস, ট্রেন, লঞ্চে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি নেই।
তরুণদের সুবিধার্থে সরকার পদ্মা সেতু মোটরসাইকেলের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলবে: ওবায়দুল কাদের
আ.লীগ যতদিন থাকবে পহেলা বৈশাখ ততদিন উদযাপন করবে: কাদের
যানজটে অতিষ্ঠ সিলেট নগরবাসী
সিলেট নগরে যন্ত্রণার অপর নাম হয়ে উঠেছে যানজট। রাতদিন সবসময়ই নগরের কয়েকটি এলাকায় তীব্র যানজট লেগে থাকে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে যানজট আরেও প্রকট হচ্ছে।
নগরীর জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, লামাবাজার, সোবহানীঘাট, শিবগঞ্জ ও নয়াসড়ক এরকম কিছু বাণিজ্যিক এলাকায় সকাল থেকে মধ্যরাত অবদি যানজট লেগে থাকছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা।
নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পবিত্র রমজান মাস ঘিরে কয়েক দিন ধরে নগরে মানুষের চলাচল বেড়েছে। ঈদুল ফিতর সামনে রেখে কেনাকাটার জন্য বিপণিবিতানগুলোয় ভিড় বাড়ছে। বিভাগীয় শহর হওয়ায় পাশের জেলা ও উপজেলা থেকেও মানুষজন ঈদের কেনাকাটা করতে আসছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অন্য সময়ের তুলনায় যানজট বেড়েছে। দেখা যায়, নগরের জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, আম্বরখানা, মদিনা মার্কেট, নাইওরপুল, সোবহানীঘাট, শিবগঞ্জ ও লামাবাজার এলাকায় যানজটের তীব্রতা বেশি।
বিশেষত জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, সুরমা মার্কেট ও আম্ভরখানা এলাকার ফুটপাত বেদখল হয়ে পড়ায় পথচারীরা ঠিকমতো হাঁটতে পারছেন না। এতে অনেকে মূল সড়ক দিয়ে যাতায়াত করায় যানজট আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে নিয়মিত যানজটে বিপর্যস্ত ফতুল্লাবাসী
নগরের পনিটুলা এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী জাহেদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা শুরু হওয়ায় মানুষের ভিড় বেড়েছে। তাই নগরে রিকশা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়িও আগের চেয়ে বেশি চলছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সড়কে পানির সংযোগ লাইন মেরামত, নর্দমা ও রাস্তা সংস্কারের কাজ হচ্ছে। পাড়া-মহল্লাগুলোতে অবাধে চলছে বড় আকারের ব্যাটারিচালিত অসংখ্য ইজিবাইক। ঈদ সামনে রেখে কোথাও কোথাও ফুটপাত দখল করে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা কাপড়, জুতাসহ নানা পণ্যের পসরা বসিয়েছে। এসব কারণে যানজট বাড়ছে। ফলে নগরবাসীকে দুর্ভোগ নিয়ে প্রতিদিন পথ চলতে হচ্ছে।’
ঈদের কেনাকাটা করতে মানুষের সমাগম বাড়ায় হঠাৎ করেই নগরে যানজট বেড়েছে বলে মনে করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান।
তিনি বলেন, শহরে প্রচুর মানুষ একসঙ্গে কেনাকাটায় বের হচ্ছেন। ফলে সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও বেড়েছে। স্বাভাবিক কারণে যানজটও কিছুটা বেড়েছে। এ ছাড়া কিছু কিছু ফুটপাত বেদখল হয়েছে ঠিক। ঈদের আগে মানবিক কারণে তাদের ফুটপাত থেকেও সরানো যাচ্ছে না।
তবে ঈদের আগে যানজট সহনীয় রাখতে সিটি করপোরেশন তদারকি শুরু করবে বলেও জানান তিনি।
ভুক্তভোগী নগরবাসী, ব্যবসায়ী, সিটি কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অপ্রশস্ত রাস্তাঘাট, যানবাহনের আধিক্য, ফুটপাত বেদখল এবং অধিকাংশ বিপণিবিতানে পার্কিং না থাকার কারণে সিলেট নগরে বছরজুড়েই যানজটের দুর্ভোগ লেগে থাকে। তবে এখন ঈদের আগে কেনাকাটা সারতে নগরের পাশাপাশি বাইরের লোকজন শহরে আসায় যানজট বেড়েছে। তবে আরও কিছুদিন পর ঈদের কেনাকাটায় মানুষের চলাচল বাড়বে এবং তখন যানজটের দুর্ভোগ মাত্রাতিরিক্ত মাত্রায় পৌঁছাবে বলে নগরের বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন।
যোগাযোগ করলে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন, ঈদের আগে মানুষ কেনাকাটা করতে বেরোনোয় যানজট কিছুটা বেড়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিপণিবিতান কর্তৃপক্ষকে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দিয়ে বিপণিবিতানের সামনে যানবাহনের ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: টঙ্গী থেকে মগবাজার পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট
দৌলতদিয়ায় ৩ কিমি. দীর্ঘ যানজট
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ঈদের আগে মানুষের চলাচল বেড়েছে ঠিকই, তবে সিলেটের বেশিরভাগ বিপণিবিতানে পার্কিং ব্যবস্থা না থাকা, ফুটপাত বেদখল এবং খোঁড়াখুঁড়ি করে রাস্তা ফেলে রাখার কারণেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এ সময়টাতে রাস্তায় যানবাহন যত্রতত্র দাঁড় করিয়ে যেন যাত্রী ওঠানামা করতে না পারে, তা কঠোরভাবে দেখা হচ্ছে।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে নিয়মিত যানজটে বিপর্যস্ত ফতুল্লাবাসী
যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা। চাষাড়া থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের পুরাতন সড়কটির পঞ্চবটি, ফতুল্লা বাজার, পোস্ট অফিস থেকে পাগলার মুন্সী খোলা পর্যন্ত যানজট যেন নিত্যদিনের রুটিনে পরিণত হয়েছে।
স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং গামেন্টর্স শ্রমিকসহ নানা পেশাজীবী মানুষ যানজটের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা ট্রাফিক সংস্থাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরধারীর অভাবে যানজট কোনও ভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এ সড়কে গণপরিবহন ব্যবহারকারী সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তির কোনও শেষ নেই।
জানা যায়, এই যানজটের সূত্রপাত পঞ্চবটী মোড়ে; যত্রতত্র মিশুক/ইজিবাইক দাড় করিয়ে যাত্রী তোলা আর রাস্তার দুইপাশে এলোমেলো ফুটপাত। এদিকে ফতুল্লা মসজিদ সংলগ্ন বাজারের প্রবেশ মুখে মালবাহী ট্রাক রেখে লোড-আনলোড করা এবং সরু রাস্তার উভয় পাশে থানার প্রবেশ মুখ থেকে ফতুল্লা বালুঘাট পর্যন্ত উভয় পাশে ফুটপাত গড়ে ওঠা।
এছাড়া, ফতুল্লা পোস্ট অফিসে শিবু মার্কেটের প্রবেশ মুখের উভয় পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইজিবাইক স্ট্যান্ড।
ফলে এই অত্যাবশ্যকীয় সড়কে যানজট লেগেই থাকে এবং যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: ঢাকার যানজট সমস্যা নয়, চ্যালেঞ্জ: ডিএনসিসি মেয়র
এমনকি যানজটের আরেকটি কারণ হলো ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডিএনডি সড়কে খালি ট্রাক পার্কিং করা। খালী ট্রাকগুলোও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডিএনডি সড়কের দুইপাশে রাখছেন ট্রাকের মালিক ও চালকেরা। যে যার মত করে রাস্তা দখল করে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি করছে।
এদিকে পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো ফতুল্লার প্রবেশ ও বহির্গমন পয়েন্ট অতিক্রম করতে প্রতিনিয়ত অসুবিধার সম্মুখীন হয়।
এছাড়া পাশে ট্রাফিক পুলিশ থাকার পরেও তারা সঠিকভাবে দায়িত্বে পালন করছেন না।
বিসিক গেট ২ থেকে পঞ্চবটি পর্যন্ত সড়কে প্রায়ই যানজট থাকে। শুধুমাত্র ট্রাক চালক ও অটোরিকশা ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করার কারণে যাত্রীদের জন্য প্রচণ্ড দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
এমনকি পথচারীদেরও ফুটপাথে চলতে অসুবিধা হয়।
মুন্সীখোলা, তালতলা দেশের বৃহত্তম রড সিমেন্টের হাব। এখান থেকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ইট, সিমেন্ট ও রড সরবরাহ করা হয়।
এই সড়কে চলাচলকারী অনেক যাত্রী বলেন, পবিত্র রমজান মাসে তাদের যাতায়াত কেমন হবে তা বলা মুশকিল। এছাড়া পুরো রাস্তা দখলের পাশাপাশি কাচা রাস্তায় ইজিবাইক-মিশুক-বাস-ট্রাক পার্ক করে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
এদিকে যাত্রীরা স্বীকার করেন, ছোট-বড় কোনো যানবাহনের চালকই ট্রাফিক নিয়ম মানতে চান না।
এ রুটে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশিং বাড়ানোর জোর দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
যা রাস্তার কিছু অংশ যানজট মুক্ত করতে পারে।
বিশেষত, যাত্রীরা আনন্দ এবং বোরাক পরিবহন এর চালক ও হেলপারদের ট্রাফিক বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী করেছে।
ফতুল্লার বাসিন্দাদের দাবি, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডিএনডি সড়কে যানজট নিরসনে চালক-হেলপার, মালিক সমিতি ও শ্রমিক নেতাদের সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং এ সমস্যা সমাধানে প্রশাসন ও ট্রাফিক পুলিশকে সজাগ থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: টঙ্গী থেকে মগবাজার পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট