যানজট
ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে নেই যানজট
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। এতে সড়কে ভয়াবহ যানজটের আশঙ্কা করা হলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে ফেনী জেলার মোহাম্মদ আলী পর্যন্ত ১০৫ কিলোমিটার অংশে নেই কোনো যানজট। ফলে ঘরমুখো মানুষজন স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে মহাসড়কে দেখা যায় এই চিত্র।
এবারও ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীর চাপে মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। গতকাল (বুধবার) সকাল থেকেই যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করে, যা আজও অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার যানজট হতে পারে যেসব এলাকায়
তবে যানবাহনের চাপ বাড়লেও মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে কোথাও কোনো যানজট নেই। এ সময়ে যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও। এছাড়া রয়েছে পণ্যবাহী ও পশুবাহী ট্রাক।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি এবার কাজ করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। এছাড়াও, জেলা প্রশাসন ও রোভার স্কাউটস সদস্যরাও কাজ করে যাচ্ছেন।
এর ফলে মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি, ইলিয়টগঞ্জ, মাধাইয়া, চান্দিনা, নিমসার, ক্যান্টনমেন্ট, পদুয়ার বাজার, মিয়াবাজার, চৌদ্দগ্রামসহ অন্যান্য স্থানগুলোতে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করছে।
১৮২ দিন আগে
মঙ্গলবার যানজট হতে পারে যেসব এলাকায়
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (৬ মে) ঢাকায় এলে তাকে পথে পথে অভ্যর্থনা জানাবেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তারা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন। এতে বিপুল জনসমাগক হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় এসব এলাকায় যানজট হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। রবিবার (৫ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর ক্ষেত্রে বিএনপি ও এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে কারা কোথায় অবস্থান নেবেন, তারা কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না, সে বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন রিজভী।
বিএনপির এই নেতার নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি অবস্থান করবে বিমানবন্দর থেকে লো মেরিডিয়েন হোটেল পর্যন্ত। ছাত্রদল অবস্থান করবে লো মেরিডিয়েন হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত। যুবদল অবস্থান করবে খিলক্ষেত থেকে হোটেল র্যাডিসন পর্যন্ত। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি অবস্থান করবে হোটেল র্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট
স্বেচ্ছাসেবক দল অবস্থান করবে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত। কৃষক দল অবস্থান করবে বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত। শ্রমিক দল অবস্থান করবে কাকলী মোড় থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল পর্যন্ত। ওলামা দল, তাঁতীদল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল অবস্থান করবে শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত।
মুক্তিযোদ্ধা দলসহ সব পেশাজীবী সংগঠন অবস্থান করবে বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত। মহিলা দল অবস্থান করবে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত অবস্থান করবেন। আর বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতা-কর্মীরা যার যার সুবিধামতো স্থানে অবস্থান নেবেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সব নেতা-কর্মী দলীয় পতাকা ও জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার এক পাশে দাঁড়াবেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেলে যাওয়া যাবে না। হেঁটে হেঁটেও যাওয়া যাবে না। এ ছাড়া বিমানবন্দর ও বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।
এসব অঞ্চলে যানজট হলে কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা; জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক গুলশান) মিজানুর রহমান বলেন, ‘মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন থেকে আগমন উপলক্ষে এয়ারপোর্ট থেকে গুলশান পর্যন্ত ব্যাপক গেদারিং হতে পারে। যদি হয়, তাহলে বিকল্প কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এ-সংক্রান্ত বৈঠক করা হয়েছে। যাতে যান চলাচল ব্যাহত না হয়, এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে যদি ব্যাহত হয়, তখন বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাক শ্রমিক নিহত, অবরোধে তীব্র যানজট
বিকল্প ব্যবস্থা কি হতে পারে জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
২১৩ দিন আগে
তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে তারা ছয় দফা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ অবরোধ করছেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তীব্র যানজটসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে বলে নিশ্চিত করেন তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের সমর্থনে বরিশালে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
তিনি বলেন, 'রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। চারদিকের সড়ক বন্ধ। আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। শিক্ষার্থীরা উঠে গেলেই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।’
২৩২ দিন আগে
বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাক শ্রমিক নিহত, অবরোধে তীব্র যানজট
রাজধানীর বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। সোমবার (১০ মার্চ) সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সকাল ৬টার এ ঘটনার প্রতিবাদে সহকর্মীরা বিমানবন্দর সড়ক বন্ধ করে রাখেন। এক্সপ্রেসওয়েতেও যান চলাচল আটকে দিয়েছেন শ্রমিকরা। এতে আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার জানান, মিনারা নামে ১৯ বছরের একজন গার্মেন্টস কর্মী বনানী চেয়ারম্যান বাড়ির কাছে রাস্তা পার হওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের তিনটি গার্মেন্টস কর্মীরা রাস্তায় নেমে এসে মূল সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। আমরা চেষ্টা করছি রাস্তা ক্লিয়ার করতে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ট্রাক্টরচাপায় দুই বন্ধু নিহত
ট্রাফিক গুলশান বিভাগের ডিসি মফিজুল ইসলাম সকাল ৯টার দিকে জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে রাস্তা বন্ধ আছে। পুলিশ বিভিন্ন বিকল্প সড়ক দিয়ে যানবাহন গুলোকে গন্তব্যে পাঠানোর চেষ্টা করছে।
ট্রাফিক গুলশান বিভাগের ফেইসবুক পেজে জানানো হয়েছে, আজ সকালে বনানীস্থ চেয়ারম্যান বাড়ি ইউ টার্ন ইনকামিংয়ে একজন নারী সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে কোন পরিবহন এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী, তা জানা যায়নি।
‘দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টস কর্মীরা ইনকামিং/আউট গোয়িং উভয় দিকের রাস্তা বন্ধ করে রেখেছেন। এছাড়া গার্মেন্টস কর্মীরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন।’
এক্ষেত্রে বনানী-কাকলী ক্রসিং এবং মহাখালীর আমতলীতে ডাইভারশন দিয়ে গুলশান-২ ও গুলশান-১ হয়ে আমতলী দিয়ে ইনকামিং এবং ভাইস ভার্সা হয়ে আউট গোয়িং এ চলাচল করা যাচ্ছে। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, জানায় ট্রাফিক গুলশান বিভাগ
২৭০ দিন আগে
যানজটে আটকে রাজধানীবাসীর ইফতার
রাজধানীতে আসরের আজানের আগে থেকে সড়কে বাড়তে শুরু করে গাড়ির চাপ। বিকাল চারটা থেকে একের পর এক অফিস ছুটি হওয়ায় ইফতারের আগমুহূর্ত পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ির চাপ থাকে অবর্ণনীয়।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে দেখা যায়, দুপুর ২টার পর রাস্তায় গাড়ির চাপ তুলণামূলক কম হলেও বেলা পড়তে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে শুরু করে। এতে করে রাজধানীর মোড়ে মোড়ে প্রায় প্রতিটি রাস্তা থেকে শুরু করে অলিগলিতে সৃষ্টি হয় অসহনীয় যানজট।
ইফতারের আগমূহূর্তে এমন যানজট নিয়ে শান্তিনগর মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ‘আসরের পর থেকে একেবারে মাগরিবের আজানের আগ-পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ির প্রচণ্ড চাপ থাকে। সবাই চায় নিজের বাসায় পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে। একই সময়ে সবাই বের হওয়ায় এমন ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়।’
আরও পড়ুন: বিনা লাভে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করছেন চাঁদপুরের শাহ আলম
অন্যদিকে, একাধিক মোড়ের সড়ক বা যেসব সড়কে ফ্লাইওভার এসে মিশেছে কিংবা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প নেমেছে, সেসব সড়কে যানজট তুলনামূলক বেশি থাকে বলে জানান তিনি।
নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে মোটরসাইকেল-চালক আলাউদ্দিন বলেন, ‘অন্য সময়ের তুলনায় এবার সড়কে যানজট অনেক বেশি। বিশেষ করে অটোরিকশার চাপে (সড়কে) নড়াচড়াই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে বাইকের জন্য রাস্তার বাম দিকে কিছুটা জায়গা ছেড়ে দেওয়া হলেও, এখন রিকশার চাপে এই লেনটাও বন্ধ হয়ে গেছে। বাইক নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে বসে থাকতে হয়।’
তবে যত্রতত্র বাস থামানো এবং সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াকেই যানজটের জন্য দায়ী করছেন রিকশাচালকরা।
মতিঝিল কর্মস্থল থেকে বাড্ডার বাসায় প্রতিদিন যাতায়াত করেন একটি প্রাইভেট ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। যানজটের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘চারটার সময় অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা ৬টা বেজে যায়। অনেক সময় বাসার গলিতে বা সিঁড়িতে পৌঁছাতেই আজান দিয়ে দেয়। সব মিলিয়ে ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছানো বিরাট ঝক্কির ব্যাপার।’
শান্তিনগরের বাসিন্দা হানিফ বলেন, ‘পায়ে হেঁটে শান্তিনগর থেকে রমনা যেতে ১৫ মিনিট লাগে, কিন্তু ইফতারের আগে কেউ রিকশা করে যেতে চাইলে এক ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সবাই ইফতারের আগে বাসায় ফিরতে চায়, সবারই ইচ্ছা পরিবারের সঙ্গে ইফতার করা। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের এমন কোনো অভিনব ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত যাতে করে ইফতারের আগে এমন অসহনীয় যানজট এড়ানো যায়।’
আরও পড়ুন: প্রথম রোজা: রাজধানীর মোড়ে মোড়ে ইফতারের পসরা
তবে শুধুমাত্র ট্রাফিক পুলিশের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে না দিয়ে নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্বশীল হওয়া এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে শুধু রমজানে নয়, যেকোনো সময়ে কোনো কারণে সড়কে চাপ সৃষ্টি হলে তা সামলানোর ব্যবস্থাও সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন তারা।
২৭৫ দিন আগে
যানজটে আটকা জামায়াত আমির, ছাড়াতে গিয়ে প্রাণ গেল কর্মীর
কুমিল্লার লালমাইতে যানজটের কবলে পড়া জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের গাড়ি বহরকে সাইড করে দিতে গিয়ে বাসচাপায় জসিম উদ্দিন নামে এক কর্মী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কর্মী জসিম উদ্দিন (৫৩) উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত আলী আশ্রাফ মোল্লার ছেলে। তার স্ত্রী ও শিশুসহ তিন সন্তান রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমির শফিকুর রহমানে বহরের ৪টি গাড়ি বাগমারা উত্তর বাজারে যানজটে আটকা পড়ে। এ সময় জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক করতে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: আজহারের মুক্তি দাবি: কারাবরণের ঘোষণা জামায়াত আমিরের
লালমাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইমাম হোসেন বলেন, জামায়াত আমির লক্ষ্মীপুরে জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে বাগমারা উত্তর বাজারে তার গাড়িবহর যানজটে আটকা পড়ে। আমিসহ সংগঠনের ১০ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক করতে ট্রাফিকের সাময়িক দায়িত্ব পালন করি। এক পর্যায়ে আমাদের কর্মী জসিম উদ্দিন বাসচাপায় মারা যান।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, বাসচাপায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তিশা পরিবহনের একটি বাস আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
২৮৬ দিন আগে
মন্ত্রণালয়ে আটকে সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের কাজ
২০ বছর আগে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের ৬৫ কিলোমিটার পথ বাসে যেতে লাগত সোয়া ঘণ্টা। অথচ এত বছর ধরে দেশে এত উন্নয়নের পরও এখন লাগে পৌনে দুই ঘণ্টা। সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ায়, এই প্রতিনিয়ত যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে সুনামগঞ্জবাসীর।
কথাগুলো বলছিলেন এই মহাসড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক সমিতির সভাপতি খসরুল আলম।
অপ্রশস্থতার কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে প্রতিনিয়ত যানজট থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি একটি নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও প্রায় এক বছর ধরে তা মন্ত্রণালয়ে আটকে রয়েছে।
সুনামগঞ্জ সড়ক বিভাগ বলছে, এ মহাসড়কের দুটি স্থান মিলে পাঁচ দশমিক আট কিলোমিটার সড়ক চার লেন করাতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এরপর সিলেট তত্ত্বাবধায়ক অফিস থেকে দরপত্র গ্রহণ শেষে তা সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাই শেষে সেটি সরকারি ক্রয় কমিটিতে যাবার কথা, অথচ এখনও সরকারি ক্রয় কমিটিতে যায়নি এই প্রকল্প।
সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, ২৫ লাখ মানুষের জেলা সুনামগঞ্জ থেকে দূরপাল্লার বাস-মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও ট্রাক মিলিয়ে অন্তত ১২শ গাড়ি প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। পাশাপাশি পাঁচ হাজারের বেশি সিএনজিচালিত তিন চাকার যানসহ অসংখ্য ছোটবড় গাড়ি চলে এই সড়কে। অথচ সড়কটির কেবল জেলা শহরের তিন দশমিক আট কিলোমিটার ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা সদরের দুই কিলোমিটার চার লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের একজন প্রকৌশলী জানান, সুনামগঞ্জ শহরের আলফাত স্কয়ার থেকে ওয়েজখালী পাড় হয়ে পৌর কলেজ পর্যন্ত এবং উজানীগাঁও থেকে শান্তিগঞ্জ উপজেলা সদর পাড় হয়ে সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট পর্যন্ত চার লেন সড়ক করার উদ্যোগ নিয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকা।
ওই প্রকৌশলী জানান, এই দুইটি স্থান চার লেনে উন্নীত করতে দরপত্র আহ্বান করার পর তা গ্রহণও করা হয়েছে। পরে এগুলো অনুমোদনের জন্য সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেখান থেকে সরকারি ক্রয় কমিটিতে যাওয়ার কথা, কিন্তু তা এখনও হয়নি।
তিনি জানান, সরকারি ক্রয় কমিটি থেকে অনুমোদনের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় কাজ। তবে ক্রয় কমিটিতেই দরপত্র এখনও পৌঁছেনি, ফলে প্রক্রিয়াটি থেমে আছে।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের দেওয়া তথ্যমতে, সুনামগঞ্জের পাঁচটি পরিবহন মালিক সমিতির প্রায় পাঁচশ গাড়ি প্রতিদিন সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে চলাচল করে। এছাড়া সুনামগঞ্জ থেকে প্রতিদিনঅন্তত ৮০টি আন্তঃজেলা বাস আসা-যাওয়া করে। ছাতক ও দিরাই থেকেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই পথ দিয়েই যাওয়া আসা করে বাসগুলো। সব মিলিয়ে আন্তঃজেলা বাসের সংখ্যা দেড়শ ছাড়িয়ে যাবে।
এছাড়া জেলাজুড়ে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস আছে আরও প্রায় পাঁচশ, ট্রাক আছে একশর মতো। এসব যানবাহনের যাতায়াতও এই পথ হয়েই।
এর পাশাপাশি সম্প্রতি ছোট যানবাহনের চলাচলও বেড়েছে। জেলায় বৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশাই আছে পাঁচ হাজার তিনশর মতো। অবৈধ মিলিয়ে এই সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়ে যাবে। এগুলোর বেশিরভাগেরই যাতায়াতের প্রধান পথ সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়ক। এ ছাড়াও জেলায় লেগুনা আছে প্রায় দুইশ। ২৪ ফুট প্রশস্ত এই সড়ক এত যানবাহনের চাপ নিতে পারে না বলে দাবি পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের।
আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সদস্য, জেলা বাস-মিনিবাস-মাইক্রোবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়া বলেন, ‘সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ককে দ্রুত চার লেনে উন্নীত করতে হবে। সেই সঙ্গে সুনামগঞ্জ-পাগলা-আউশকান্দি সড়কটিও স্থানে স্থানে চার লেনে উন্নীত করা প্রয়োজন।’
সুনামগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বলেন, ‘সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের দুটি স্থান মিলে পাঁচ দশমিক আট কিলোমিটার সড়ক চার লেন করার দরপত্র ২০২৪ সালের জুলাই মাসেই হয়েছিল। দরপত্র গ্রহণ শেষে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাই শেষে সরকারি ক্রয় কমিটিতে যাবার কথা। তবে এখনও সেটি সরকারি ক্রয় কমিটিতে যায়নি বলে জেনেছি আমরা।’
কবে নাগাদ ক্রয় কমিটি হয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হতে পারে—জানতে চাইলে ‘ধারণা নেই’ বলে জানান এ কর্মকর্তা।
৩০২ দিন আগে
কাওরানবাজারে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, যানজট
বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির অবহেলায় মালয়েশিয়া যেতে না পারায় রাজধানীর কাওরানবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসী শ্রমিকেরা। এতে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সেখানে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
তাদের সমস্যার দ্রুত সমাধানে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তারা রাস্তায় নামেন। এতে কাওরানবাজারহ আশপাশের এলাকার গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফার্মগেট, বাংলামোটর ও পান্থপথ এলাকা যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: কারখানা বন্ধ ও ছাঁটাই: ফতুল্লায় পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
পথচারী ও অফিসগামী মানুষ আটকা পড়ে যান। ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আনোয়ার কবির বলেন, তাদের বুঝিয়ে এখান থেকে উঠিয়ে দেওয়ার পর দুপুর ১২টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে। পরে মিছিল নিয়ে ইস্কাটন গার্ডেনে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দিকে যান তারা। বিকাল ৩টা পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।
মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা কাছ থেকে কোনো আশ্বাস পাওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা। এ ঘটনায় দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করতে সরকারের কাছে দাবি জানান প্রবাসীরা।
তাদের অভিযোগ, প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করলেও প্রায় ১৮ হাজার কর্মী ফ্লাইট সংকটের কারণে গত বছরের ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ায় এখন তাদের কাজে যোগদানের নিশ্চয়তা মেলেনি।
আরও পড়ুন: মহাখালীতে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ, যানজট
গেল ৫ অক্টোবর প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, এরআগে নির্ধারিত তারিখে মালিয়েশিয়া যেতে পারেননি এমন ১৮ হাজার শ্রমিককে নিতে রাজি হয়েছে দেশটি।বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে প্রবাসী কল্যাসচিব রুহুল আমিন জানিয়েছেন, ভিসা থাকার পরও মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৮ হাজার কর্মীকে আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
প্রবাসী শ্রমিকদের দাবির মধ্যে রয়েছে, যেসব কর্মী নির্ধারিত সময়ে যেতে পারেননি, তাদের দ্রুত মালয়েশিয়ায় পাঠানোর দিন-তারিখ নির্ধারণ করতে হবে। যাদের ই-ভিসা হয়েছে কিন্তু জনবল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি এবং যাদের সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, তাদের সবাইকে মালয়েশিয়া পাঠাতে হবে। ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আটকে থাকা সব কর্মীকে পাঠানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণে একটি রেমিট্যান্স ফাউন্ডেশন গঠন করার দাবিও জানিয়েছেন তারা।
৩১৬ দিন আগে
কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
ট্রাফিক জ্যাম বা যানজট; যা ঢাকাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রার একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা মোকাবিলা করতে প্রতিদিন প্রতিটি কাজেই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্ব; নষ্ট হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কর্মঘণ্টা। উৎপাদনশীলতার এই চরম বিপর্যয় দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমানের জীবনধারাকে আবদ্ধ করে রেখেছে নগরবাসীকে। তুলনামূলকভাবে কম যানজটপূর্ণ রাস্তাগুলো এড়ানো সম্ভব হলে, উদ্দেশ্য গন্তব্যে যেতে অনেকটা সময় বাঁচানো যাবে। তাই প্রয়োজন রাস্তাঘাটে জ্যামের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত থাকা। চলুন, ঢাকার কোন রাস্তায় কেমন ট্রাফিক জ্যাম রয়েছে, তা খুঁজে দেখার কার্যকর উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
ঢাকার যানজট পরিস্থিতি সম্পর্কে জানার ৬টি কার্যকরি উপায়
.
গুগল ম্যাপস
ব্যস্ততম শহুরে রাস্তায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি গুগল ম্যাপস (Google Maps)। ওয়েব ও মোবাইল উভয় ভার্সন থাকা এই অ্যাপটিতে রয়েছে তাৎক্ষণিক ট্রাফিক মনিটরিংয়ের সুবিধা। এটি স্মার্টফোনের অবস্থানসহ অন্যান্য তথ্য ব্যবহার করে সময়ের সাথে রাস্তার পরিস্থিতি হালনাগাদ করতে পারে।
প্রাপ্ত ফলাফল বিভিন্ন রঙে অঙ্কিত সংকেতের মাধ্যমে দেখানো হয়। যেমন ফাঁকা রাস্তার জন্য সবুজ, মাঝারি ব্যস্ত রাস্তা হলুদ এবং জ্যাম-এ পরিপূর্ণ রাস্তার জন্য লাল রঙ। শুধু তাই নয়, অ্যাপটির ব্যবহারকারীরা একই সঙ্গে বিকল্প রাস্তারও খোঁজ পেয়ে যান, যা তাদের তড়িৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।
আরো পড়ুন: রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির নতুন চারটি মোটরবাইক মডেলের আকর্ষণীয় সব ফিচার
এছাড়া বন্ধ বা নির্মাণাধীন রাস্তার ব্যাপারেও যাত্রীদের আগাম সতর্কবাণী দেয় এই ডিজিটাল মানচিত্র। এখানে আরও রয়েছে লোকেশন সংরক্ষণ করে রাখা এবং ব্যবহারের ইতিহাস পর্যালোচনা করে পথ বাতলে দেওয়ার সুবিধা।
নতুনভাবে সংযুক্ত ভয়েস-নির্দেশিত নেভিগেশনের দৌলতে যাত্রী বা চালকের মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকানোর দরকার পড়ে না। এতে তিনি নিরাপত্তার জন্য সামনে ও আশেপাশের রাস্তার উপর মনোযোগ রাখতে পারেন।
ওয়েজ
গুগল ম্যাপসের মতো ওয়েজ (Waze) সফ্টওয়্যারটিও রিয়েল-টাইম ট্রাফিক আপডেট দিতে পারে। কোনো পথ অতিক্রম করতে একটি গাড়ির কতটা সময় লাগছে, তার উপর নির্ভর করে এই সেবাটি রিপোর্ট তৈরি করে। নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত এলাকা এড়িয়ে সম্ভাব্য একাধিক পথ প্রস্তাব করে। ফাঁকা রাস্তাগুলোর মধ্যে কোনটিতে কত সময় ও ন্যূনতম কতটা ট্রাফিক পড়বে, তারও একটি তুলনামূলক তথ্য দেয়। এই বিশ্লেষণ ক্রমাগত চলতে থাকে, বিধায় রাস্তাগুলোর ট্রাফিক অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ফলাফলও পরিবর্তিত হয়। উপরন্তু, সফ্টওয়্যারটির সামগ্রিক পরিসরে স্ক্যানিং ক্ষমতা বন্ধ রাস্তার ব্যাপারেও চালককে আগাম সতর্ক করে।
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
রাইড-শেয়ারিং মোবাইল অ্যাপ
তাৎক্ষণিক ট্রাফিক ট্র্যাকিং এবং ভালো বিকল্প পথের পরামর্শের সুবিধা রাইড-শেয়ারিং অ্যাপগুলোতেও আছে। এটি কাজে লাগিয়ে চালকেরা নিজের এবং যাত্রী উভয়েরই যাতায়াতের সময় বাঁচাতে পারেন। রাইড অর্ডারের পর চালকের যাত্রীর লোকেশনে আসতে এবং রওনা হওয়ার পর গন্তব্যে পৌঁছতে কত সময় লাগবে, তা উল্লেখ করা থাকে।
ভ্রমণের সময় প্রতিবার রাস্তা বদলের সঙ্গে সঙ্গে নতুন রাস্তায় গন্তব্যে পৌঁছানোর নতুন সময়ও নির্দিষ্ট হয়ে যায়। এটি চালক ও যাত্রীকে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দেয়। ইতোমধ্যে রাজধানী ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলজুড়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া উবার ও পাঠাও উভয় অ্যাপে এই ফিচারগুলো বিদ্যমান। এমনকি বিভিন্ন পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও এ থেকে উপকৃত হচ্ছে। এই ব্যবস্থার রূপরেখায় শুধু যে সমস্যা সমাধান হচ্ছে তা নয়, যুগপৎভাবে সমূহ সম্ভাবনার সৃষ্টি হচ্ছে জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে।
এফএম রেডিও চ্যানেল
অডিও সেবায় প্রযুক্তি অনেকটা পথ এগিয়ে গেলেও, এফএম রেডিও চ্যানেলগুলো এখনও ট্রাফিকের তথ্য পাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। রেডিও টুডে (৮৯.৬ এফএম)-এর নিয়মিত ট্রাফিক আপডেটে সরাসরি যানবাহনের ভিড় এবং রোড-ব্লক পরিস্থিতিগুলোর বিশদ জানা যায়। পিক আওয়ারে সম্প্রচার করা হয়, বলে তা ভ্রমণরত যাত্রীদের জন্য যথেষ্ট সহায়ক হয়। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার তার ঐতিহ্য বজায় রেখে এখনও যানজটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর বিস্তারিত কভারেজসহ আপডেট দিয়ে থাকে। স্মার্টফোন চেক না করেই চলন্ত অবস্থায় টিউন করার সুবিধা থাকায় ড্রাইভারদের জন্য বেশ তাৎপর্যবহুল এই মাধ্যম।
আরো পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
৩১৮ দিন আগে
মহাখালীতে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ, যানজট
রাজধানীর মহাখালীতে সিএনজি চালকরা বিক্ষোভ করেছেন। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাস্তায় নেমে আসেন তারা। এতে মহাখালী ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজটের তৈরি হয়েছে।
বনানী থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) রাসেল সরওয়ার বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টায় মহাখালী-বনানী রোডে বিক্ষোভ করেন সিএনজি চালকরা। এতে এই ব্যস্ত রাস্তায় যান চলাচল স্থবির হয়ে যায়। পরে মহাখালী বিআরটিএ ভবনের সামনে জড়ো হন তারা।
সিএনজি চালকরা বলেন, বিনা কারণে সিএনজি-চালিত অটোরিকশা জব্দ করা যাবে না। পাশাপাশি পার্কিংয়ের বিধিনিষেধও তুলে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: কারখানা বন্ধ ও ছাঁটাই: ফতুল্লায় পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
দাবি না মানলে আরও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তারা।
ওসি রাসেল সরওয়ার বলেন, দুপুর ২টায় বিক্ষোভ শেষ হয়। এরপর রাস্তায় স্বাভাবিক যান চলাচল শুরু করে।
৩১৮ দিন আগে