স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এবারের তিন দফা বন্যায় সবজি ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্ষাকালীন সবজি নেই বললেই চলে। এ কারণেই জেলার চাহিদা মেটাতে বাইরে থেকে চড়া মূল্যে সবজি আমদানি করতে হচ্ছে। এ কারণে সবজির দাম আগের চেয়ে বেড়ে গেছে।
শহরের জেল রোড ও কিচেন মার্কেটে দেখা যায়, প্রতি কেজি করলা ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পুঁইশাক ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পেঁপেঁ প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
গৃহিনী সালেহা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী একজন দিনমজুর। আমাদের পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। আজ ১ কেজি বেগুন কিনলাম ৮০ টাকায়। কিছুদিন আগে এই বেগুন ৩৫ টাকা কেজিতে কিনেছি। সবজির দামের এমন অবস্থা হলে কি করে খাব।’
সবজি ব্যবসায়ী বাদল জানান, শীতকালীন সবজি না আসা পর্যন্ত দাম কমবে না বলে মনে করছেন তিনি।
সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক সফর উদ্দিন জানান, সদর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার উপজেলায় সবজি খেতের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ৫৬ হেক্টর সবজি খেত ডুবে গেছে। তাই স্থানীয় বাজারে সবজির সংকট রয়েছে