সবজির দাম
কিছুতেই নাগালে আসছে না সবজির দাম
গত তিন সপ্তাহ ধরে বাজারে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে সবজির দাম। কিছুতেই ক্রেতাদের নাগালে আসছে না দাম, বেশিরভাগ সবজিই কেজিপ্রতি ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সরেজমিনে রাজধানীর মতিঝিল, শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরা এবং বাড্ডা এলাকার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজারে সবজি কিনতে এসে ক্ষোভ ঝাড়ছেন ক্রেতারা।
শান্তিনগর কাঁচাবাজারের ক্রেতা শামীমা আক্তার ইউএনবিকে বলেন, ‘এখনো বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। বেগুনের দাম এত কীভাবে হয়? যে পটল সারাবছর ৫০ টাকা কেজি ছিল, তার দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এভাবে সবজির দাম বাড়তি থাকলে নিম্নআয়ের মানুষ খাবে কী?’
বাজার ঘুরে এই ক্রেতার কথার সত্যতা পাওয়া যায়। দেখা যায়, ভালো মানের গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে, লম্বা বেগুন ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা ও সাদা বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।
বেগুনের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য সবজিও। কেজিপ্রতি পটল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাকরোল ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঝিঙা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়, শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা, জালি কুমড়া ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
আরও পড়ুন: বাজারে আগুন দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি, ঊর্ধ্বমুখী প্রতিটি পণ্যের দাম
সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে। তবে আগের সপ্তাহগুলোর তুলনায় পেঁপের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে উঠেছে নতুন শিম, বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি।
উত্তর বাড্ডার সবজি বিক্রেতা আসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘অন্যান্য সময়ের তুলনায় সবজির সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে। বছরের এ সময়ে এমনিতেই সবজির সরবরাহ কম থাকে। এর মধ্যে প্রতি ঘাটে ঘাটে টাকা দিতে হচ্ছে। এতে করে দাম বেশি।’
আরেক সবজি বিক্রেতা মনসুর বলেন, ‘আগামী মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বাজারে বাড়বে সরবরাহ। তখন সবজির দাম কিছুটা কমে আসবে। তার আগে সবজি এমন বাড়তি দামেই বিক্রি হবে।’
সবজির উচ্চমূল্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে শাকেরও। প্রতি মুঠো কলমি, পালং, হেলেঞ্চা শাক আগে ১০ টাকা থাকলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।
লাউ শাক, কুমড়া শাক মুঠোপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, যা আগে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এ ছাড়া কাঁচামরিচ বাজারে এখনো উচ্চদরেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দরে।
তবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে, কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। আর রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি।
মসুর ডালও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। বড় দানার মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা এবং ছোট দানার মসুরের ডাল কেজিপ্রতি ১৬০ টাকা।
আরও পড়ুন: দাম কমেছে ইলিশের, উর্ধ্বমুখী সবজির বাজার
মুরগি, গরু, খাসি বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। দাম অপরিবর্তিত আছে ডিমেরও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি স্থানভেদে ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায় এবং সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ১৪০ টাকা। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসী ৯০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা।
মাংসের মতো মাছের বাজারেও আসেনি তেমন কোনো পরিবর্তন। আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। এক কেজির ওপরে ইলিশের কেজি দুই হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকা, এক কেজি সাইজের ইলিশ দুই হাজার ৩০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা, এক কেজির নিচে এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা এবং ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়।
গলদা চিংড়ি কেজিপ্রতি সাইজভেদে এক হাজার ২০০ টাকা থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৮০০ থেকে হাজার টাকা। রুই মাছ কেজিপ্রতি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কালবাউশ ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সবজির দাম না কমলে বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে না। আবার ডিম থেকে মুরগি থেকে মাছ এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। দাম না কমলে আগামী মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
৯৭ দিন আগে
বাজারে আগুন দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি, ঊর্ধ্বমুখী প্রতিটি পণ্যের দাম
এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে প্রতিটি সবজির; ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই বললেই চলে, বাড়তি দামে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস। সরেজমিনে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা, মধ্য বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত।
সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভালো মানের গোল বেগুন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের দাম দ্বিগুণ, বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৫০ টাকা কেজিতে। লম্বা জাতের বেগুনের দাম ১৬০-১৮০ টাকা এবং সাদা জাতের বেগুন কেজিপ্রতি ১২০-১৪০ টাকা।
ঝিঙা, ধুন্দল, শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে; ঢেঁড়স, পটল, কাকরোল কেজিপ্রতি ৮০ টাকা। ৮০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে শুধু পেঁপে—৪০ টাকা কেজি। প্রতি পিস জালি কুমড়া ১০০-১২০ টাকা, লাউ ১০০-১৫০ টাকা।
বাজারে বরবটি প্রতিকেজি ৮০-১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুমুখী ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম বেড়েছে কাঁচামরিচেও—কেজিপ্রতি ২২০-২৪০ টাকা। পাইকারি বাজারে পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।
বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, সবজির এমন নাগালবিহীন দামে খরচ মেটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। খরচের ধাক্কা সামলাতে পরিমাণ কমিয়ে কিনতে হচ্ছে সবজি।
উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারে বাজার করতে এসে স্কুলশিক্ষিকা ইয়াসমিন আরা বলেন, ‘বেগুনের দাম শুনে রীতিমতো আকাশ থেকে পড়লাম। এক সপ্তাহে বেগুনের দাম কেজিতে ১০০ টাকা কী করে বাড়ে! বেগুন না কিনে পেঁপে কিনে বাসায় যাচ্ছি।’
আরেক ক্রেতা আবদুল গফফার বলেন, ‘সাধারণত এক কেজির নিচে কোনো সবজি কেনা হয় না। আজকে তিন রকমের সবজি আধা কেজি করে কিনে নিয়ে যাচ্ছি। সবজির দাম শুনে মানতেই পারছি না। গত এক বছরের মধ্যে এবারই সবজির দাম এত বেশি।’
বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। এতে করে অনেক ক্রেতাই সবজি না কিনে ফিরে যাচ্ছেন, অনেকে কিনছেন আধা কেজি বা ২৫০ গ্রাম করে। সব মিলিয়ে তাদেরও মুনাফা কম হচ্ছে।
রাজধানীর কাওরান বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুক্রবার ভোরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সবজির প্রতিটির দাম ছিল বাড়তি। মৌসুমের এ সময়ে ফলন কম হওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে বলে দাবি করেন বিক্রেতারা।
কাওরান বাজার সবজির আড়তের বিক্রেতা নূর ইসলাম জানান, পাল্লাপ্রতি সবজির দাম বেড়েছে ১০০-২০০ টাকা। এতে করে প্রতি কেজি সবজিতে খরচ বাড়ছে। অক্টোবর মাস আসলে সবজির দাম আবার কমে আসবে বলে জানান তিনি।
আরেক ব্যবসায়ী আবদুস সালাম বলেন, মার্চ থেকে মাঠে সবজির পরিমাণ কমতে থাকলেও চাহিদা আগের মতোই থাকে। তাই সবজির দাম বাড়ে এ সময়ে। এ ছাড়া রাস্তায় গত বছরের তুলনায় এ বছর বাড়তি খরচ বেড়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পড়ুন: সোনামসজিদ দিয়ে দেশে ঢুকল ১০০ টন ভারতীয় পেঁয়াজ
শুধু সবজি নয়, উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজও। গত সপ্তাহের ৭৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়। পাইকারি বাজারে পাল্লাপ্রতি পেঁয়াজের দাম ৪০০-৪৩০ টাকা।
এর বাইরে দাম বেড়েছে ডিমের। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়। সাদা ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৩০-১৩৫ টাকা।
স্থানভেদে সোনালি এবং ফার্মের মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। সোনালি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৪০ টাকায়, ফার্ম ১৭০-১৮৫ টাকা। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস—কেজি ৭৫০-৮০০ টাকা; খাসির মাংস কেজিপ্রতি ১১০০-১২০০ টাকা।
বাজারে দাম বেড়েছে প্রতিটি মাছের; কেজিতে ৫০-২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। কাঁচকি মাছের দাম গত সপ্তাহে ৫০০ টাকা থাকলেও এ সপ্তাহে ৬০০ টাকা। চাপিলা মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা। পোয়া মাছ সাইজভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৭০০ টাকায়। শিং-মাগুর কেজিপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকা।
বড় মাছের মধ্যে রুই কেজিপ্রতি ৩৮০-৪২০ টাকা, কাতল ৪০০-৪৮০ টাকা, কালিবাউশ ৪০০-৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০-২৮০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২৫০ টাকা, নদীর পাঙাশ ৮০০-১০০০ টাকা, বোয়াল ৮০০-১২০০ টাকা, আঁড় মাছ ১ হাজার টাকা।
গত সপ্তাহের তুলনায় দাম বেড়েছে ইলিশ মাছেরও। এক কেজির নিচে মাঝারি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকায়, ছোট সাইজের ইলিশ ১২০০-১৬০০ টাকা। এক কেজির ওপরে ইলিশের দাম ২০০০-২৫০০ টাকা পর্যন্ত।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সবজি এবং পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে বাজারের প্রতিটি পণ্যের দামে। দাম কমাতে সিন্ডিকেটের কারসাজি, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি এবং বাজার মনিটরিংয়ের ওপর জোর দেন তারা।
১১১ দিন আগে
চাহিদা কমলেও মাংস, মুরগি, কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম এখনো চড়া
ঈদের ছুটি শেষে নগরবাসী এখনো ঢাকায় না ফেরেনি। সেই কারণে চাহিদা কম থাকলেও কমেনি নিত্যপণ্যের দাম। রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগি, ডিম, কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম চড়া।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় রাজধানীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সবজির দাম বেড়েছে।
এছাড়া ঈদের ছুটিতে বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলো সক্রিয় না থাকায় একদল ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট ঈদের পর মাংস, ডিম ও সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: উত্তরার কাঁচাবাজারের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে
শুক্রবার কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা রমিজ উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, কারওয়ান বাজারে অল্প সংখ্যক সবজির ট্রাক এসেছে, যেখানে সাধারণত শাকসবজি ও অন্যান্য পণ্য নিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি ট্রাক এখানে আসে।
মগবাজার এলাকার সবজির খুচরা বিক্রেতা আলী হোসেন জানান, শুক্রবার কারওয়ান বাজার থেকে তিনি প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) হিসাবে শসা ৬০০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ১২০০ টাকায় কিনেছেন। তাই তাকে বেশি দামে এসব জিনিস বিক্রি করতে হচ্ছে।
কারওয়ান বাজার, মহাখালী, মালিবাগ, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মার্কেটগুলোতে ক্রেতা কম। কিন্তু সবজি, মাংস, ডিম ও মুরগির মাংস বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীতে ফার্মের ডিমের দাম প্রতি ডজন (১২ পিস) ১৫ টাকা বেড়ে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গৃহপালিত মুরগির ডিম প্রতি হালি (৪ পিস) ৭৫ থেকে ৮০ টাকা এবং হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি ও পাকিস্তানি সোনালি মুরগির দাম আগের তুলনায় কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ থেকে ২২৫ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগি আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি ৩৪৫ থেকে ৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে প্রতি কেজি কক মুরগি ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০ থেকে ৭৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের সময় সরবরাহ কম ও অধিক বিক্রি হওয়ায় মুরগির দাম বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাঁচাবাজারে চড়া দাম, হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা
অন্যদিকে বাজারে গরুর মাংস কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। এছাড়া খাসির মাংস ১০৫০ থেকে ১২০০ টাকা কেজিতে ও ছাগলের মাংস ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
৫৩১ দিন আগে
ঢাকার বাসিন্দারের শীতেও ঘাম ঝরাচ্ছে সবজির দাম
শাক-সবজির দামের ক্ষেত্রে সাধারণ নিয়ম হলো আপনাকে গরমের সময়ের তুলনায় শীতকালে ব্যয় করতে হয় কম অর্থ। তবে এবার, শীতের আমেজ রাজধানীর কাঁচাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঠাণ্ডা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
১৮৪৯ দিন আগে
বন্যার প্রভাবে সুনামগঞ্জে সবজির বাজার চড়া
সুনামগঞ্জে তিন দফা বন্যার প্রভাব ফেলেছে সবজি বাজারে। স্থানীয় বাজারে সবজির দাম এত চড়া যে নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এক কেজি সবজির জায়গায় তাদের এখন আধা কেজিতে সন্তুষ্ঠ থাকতে হচ্ছে।
১৯২৩ দিন আগে