বাজার
পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে ২-৩ দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
দাম কিছুটা কমের দিকে, তাই আরও দুই থেকে তিন দিন বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
রবিবার (২১ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘জানি মধ্যম আয়ের, সীমিত আয়ের সব মানুষেরই কষ্ট হচ্ছে। ৮০ টাকা কেজি তো পেঁয়াজ হতে পারে না। নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আমরা শেষ পর্যন্ত চাষীর স্বার্থটা দেখতে চাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় আগামী বছর দেড় থেকে ২ লাখ টন আলু রপ্তানি হবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা উচ্চ পর্যায়ে, নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করেছি। আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ইনশাআল্লাহ দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আপনারা সিদ্ধান্ত পাবেন যে আমরা বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করব কি না।’
মন্ত্রী বলেন, প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'গত বছর দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ও মজুত ভালো ছিল। পেঁয়াজের দাম কম ছিল, কৃষক কম দাম পেয়েছিল। দাম বাড়বে- এই আশায় মজুত করে রাখা পেঁয়াজ পচে গিয়েছিল, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ কারণেই এ বছর পেঁয়াজের কী অবস্থা হয় তা আমরা দেখতে চাচ্ছি। কৃষকের কাছে, গুদামে ও আড়তে কী পরিমাণ পেঁয়াজ আছে, তা দেখতে গত ২-৩ দিন মাঠ পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা খোঁজ নিয়েছেন।'
তিনি বলেন, 'মাঠ থেকে তথ্য পেয়েছি যে যথেষ্ট পেঁয়াজ মজুত আছে। তবে, দাম আরও বৃদ্ধির আশায় তারা বাজারে বিক্রি করছে না। এছাড়া মাত্রই পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হয়েছে। এখনই দাম বাড়ার কথা না। সিন্ডিকেটের হাত আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় মধ্যম ও সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত কৃষকের স্বার্থটা দেখতে চাচ্ছি। কারণ, গত বছর কৃষক দাম কম পাওয়ায় এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন কমেছে প্রায় দুই লাখ টনের মতো।'
মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ খুবই পচনশীল ফসল। এটি রাখা কঠিন। পেঁয়াজ রাখা যায় না, শুকিয়ে যায়, পচে যায়। তবে আমরা কিছু প্রযুক্তি নিয়ে এসেছি, কীভাবে গুদামে রাখা যায়।
যদি শেলফ লাইফ বাড়ান যেত, তাহলে আমাদের যে উৎপাদন হচ্ছে, তাতে পেঁয়াজ দিয়ে বাজার ভাসিয়ে দেওয়া যেত।
আরও পড়ুন: হাওরে ৯০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
তরুণরাই বাংলাদেশে ‘স্মার্ট এগ্রিকালচারের’ নেতৃত্ব দেবে: কৃষিমন্ত্রী
শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে খুলনার ঈদ বাজার
ঈদের আর মাত্র একদিন বাকি। রোজার শেষে এ মূহুর্তে জমে উঠেছে খুলনার ঈদ বাজার। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে খুলনার বিপণি বিতান ও মার্কেটগুলো।
এছাড়া ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় হওয়ায় দম ফেলার ফুসরত নেই বিক্রেতাদের।
এদিকে এক মাস সিয়াম সাধনার পর পরিবারের সকলে মিলে মিশে নতুন পোশাকে ঈদের বাড়তি আনন্দটুকু ভাগাভাগি করে নিতে ব্যস্ততম নগরী খুলনার প্রাণকেন্দ্রে গড়ে ওঠা সব আধুনিক বিপণি বিতান, শপিংমল, মার্কেটসহ ভ্রাম্যমান দোকানগুলো এখন চলছে কেনাকাটার মহোৎসব।
খুলনার বিপনীবিতান, শপিংমল, মার্কেটগুলোতে শিশু, নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, আবাদ-বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের আনাগোনায় মুখরিত ছিল।
এছাড়া ঈদকে ঘিরে কেউ বাচ্চাদের পোশাক, কেউ শাড়ী বা থ্রি-পিস, কেউবা আবার প্যান্ট, শার্ট পাঞ্জাবি কিনতে ব্যস্ত ছিল।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় এক টাকায় ঈদ বাজার
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদে ঘিরে তরুণেরা পাঞ্জাবি, তরুণীরা সিল্ক বা জামাদানি এবং মেয়েদের জন্য ফোরাক কিনছে। প্রতি বছর ভারতীয় সিরিয়ালের নামের পোশাক চাহিদা বেশি থাকলেও এবছর চাহিদা কম।
তবে অনেকেই সারারা, গারারা ও আনারকলি কিনছেন বলে জানিয়েছেন।
নগরীর নিউ মার্কেট, সেইফ এন্ড সেইভ, স্বপ্নীল, ইয়োলো, জলিল টাওয়ার, খুলনা শপিং কমপ্লেক্স, বড় বাজার, রব সুপার মার্কেট, শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণি বিতান, মশিউর রহমান মার্কেট, দরবেশ চেম্বার, এশা চেম্বার, আকতার চেম্বার, রেলওয়ে মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপণি বিতান, খালিশপুর সুপার মার্কেট, দৌলতপুর বাজারের মিলন বস্ত্রালয়, আশা বস্ত্রালয়, আদিব বস্ত্রালয়, জাবিরা ফ্যাশন, সাতরং, মাইশা ফ্যাশন, এস.আর বস্ত্রবিতান, ড্রেস কোড, শ্যামা বস্ত্রালয়, প্রবীর ক্লথ স্টোর, চৌধুরী এন্টার প্রাইজ, হাসনাত এন্টার প্রাইজ, মাতৃবন্ত্রালয়, সাইম নিউ কালেকশন, আচল ফ্যাশন, জে.কে শপিংমল, অমি শপিংমল, লিবার্টি সু, ওয়েলকাম সু, শুভেচ্ছা কসমেটিক্স, সাবিনা, আরিশা কসমেটিক্সসহ ফুলবাড়ীগেট, শিরোমনি নিউ মার্কেট, বৈশাখি সুপার মার্কেটসহ স্থানীয় এলাকার বিপনীবিতান, শপিংমলগুলোতে ঈদের কেনাকাটা করতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে।
প্রায় সব বয়সী মানুষ এমনই দৃশ্য দেখা গেছে।
বিভিন্ন বিপণি বিতান, শপিংমল, মার্কেট সমূহে সারি সারি দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানো সকল বয়সী ক্রেতাদের জন্য আধুনিক ডিজাইন ও বাহারি রঙের পোশাক, জুতা-সেন্ডেল, নামি দামি কোম্পানির প্রসাধনী, ব্যাগ, বেল্টসহ ঘড়ি ও চশমার দোকানও। ঈদ যত নিকটে আসছে, ততই ক্রেতা বাড়ছে।
দিনের তীব্র অসনীয় গরম উপেক্ষা করে বিরতিহীন কেনাকাটা চলছে সকাল হতে দীর্ঘ রাত পর্যন্ত।
পোশাক বিক্রেতা কবির হোসেন জানান, ছেলেরা বেশি পাঞ্জাবি কিনছে। রয়েছে ইন্ডিয়ান ব্র্যান্ড, গুটি ও টিস্যু। তবে কাবলি চাহিদা বেশি। তাছাড়া প্রতি বছর ইন্ডিয়ান সিরিয়ালের ড্রেস নাম ধরে ক্রেতারা চেয়ে নিলেও এবছর চাহিদা কম। তবে সারারা গারারা ও আনারকলি বেশি চলছে।
প্রসাধনী বিক্রেতা ইলিয়াস হোসেন জানান, আমার দোকানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রসাধনী তুলেছি ঈদ উপলক্ষে। তাছাড়াও মেহেদী, আইনারান, ফ্রেশ, বিভিন্ন ডিজাইনের চুড়ি, গলার হার, কানের দুল, চুলে খোপা, লিপস্টিকসহ অন্যান্য প্রসাধনীর বিক্রি করছি। দিনজুড়ে কেনাবেচার চাপ বেড়েছে।
মকবুল হোসেন নামের এক ক্রেতা জানান, দেখতে দেখতে ঈদ চলে আসলো। হাতে আর সময় কই? নিজের জন্য না হলেও বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করতে হবে। তাই আগেই কেনাকাটা করতে এলাম। কারণ ঈদের আগেরদিন আগে মার্কেটে পা রাখা যাবে না। যদিও গরমের মধ্যে খুব কষ্ট হচ্ছে।
খুলনা আঞ্চলিক আওহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ এ জানান, গরম কাল চলছে, তাপমাত্রা ক্রমশই বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।
তাছাড়া সাধারণত এপ্রিল মে মাসে গরমের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, বৃষ্টিপাত হলে গরমের অনুভূতি কিছুটা কমবে। বৃষ্টি না থাকায় তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। বুধবার (১৯ এপ্রিল) খুলনার সর্ব্বোচ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত খুলনা নগরবাসী
চাঁদপুরে সেনাবাহিনীর ‘এক মিনিটের ঈদ বাজার’
ঢাকার গাউসিয়া, রাজশাহী সুপারসহ কয়েকটি বাজার ঝুঁকিপূর্ণ মনে হচ্ছে: ডিজি
গাউসিয়া মার্কেট ও রাজধানী সুপার মার্কেটসহ ঢাকার কয়েকটি মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ মনে হওয়ায় জরিপ করা হবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
বুধবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের প্রধান ফটকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডিজি বলেন, ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) এবং অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা অনুসরণ করে এসব মার্কেটে প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্ট আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে আগামীকাল থেকে আমরা একটি জরিপ শুরু করব।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
তিনি আরও বলেন, মার্কেটের মালিকদের নিয়ে জরিপ করা হবে এবং তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করা হবে।
বঙ্গবাজার মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন পুরোপুরি নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট এখনও কাজ করছে।
আড়ও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড: চোখের সামনে আগুনে পুড়ল শহিদুল ও মঈনুদ্দিনের স্বপ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ে রমজান উপলক্ষে বাজারে আগাম তরমুজ, দাম আকাশচুম্বী
ঠাকুরগাঁওয়ে রমজান উপলক্ষে বাজারে আগাম তরমুজ উঠেছে। তবে মৌসুমি এ ফলের দাম অনেক বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষ তা কিনতে পারছেন না।
পৌর শহরের কালিবাড়ি, কোট চত্বর, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, সত্যপীর ব্রিজ, গোধূলি বাজার, মন্দিরপাড়া, ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায় তরমুজের অস্থায়ী বাজার।
পৌর শহরের বিভিন্ন বাজারে তরমুজের বাজারদর ছিল কেজি প্রতি প্রায় ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত। এখন দাম কিছুটা কমে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতাকে কিনতে হচ্ছে কেজি দরে গোটা তরমুজ।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৮০০ কোটি টাকার তরমুজ বাণিজ্যের সম্ভাবনা
জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলায় উৎপাদনকৃত তরমুজ এখনও বাজারে ওঠেনি। ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রমজানকে টার্গেট করে তরমুজ ঠাকুরগাঁওয়ে এনে বিক্রি করছেন। প্রতিটি তরমুজ ১০ থেকে ১৫ কেজি বা এর চেয়েও বেশি ওজনের। ফলে প্রতি ১০ কেজির তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। এই দামে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা কিনতে পারছেননা। আর তাই বাজারে তরমুজের বেচা-কেনাও কম।
মুন্সীগঞ্জে ১০ টাকায় ইফতার বাজার
রমজান মাসকে ঘিরে নিত্যপণ্যের দামে যখন ঊর্ধ্বগতি, তখন নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ১০ টাকায় ইফতার সামগ্রী দিচ্ছে মুন্সীগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বিক্রমপুর মানব সেবা ফাউন্ডেশন’।
এর আগে ১০ টাকায় গরুর মাংস ও ইফতার বাজার দিয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসে এ সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে আওয়ামী লীগের ইফতার
শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া বাজারে ‘১০ টাকায় ইফতার বাজার’ নামক এক ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করা হয়। অস্থায়ী এই বাজার থেকে ১০ টাকার বিনিময়ে এক কেজি তেল, খেজুর, পেঁয়াজ, ছোলা, চিনি, চিড়া ও মুড়ি ইফতারে সাতটি পণ্য কিনে নেন নিম্ন আয়ের ২১০টি পরিবার। এমন আয়োজনে অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষের মুখে তৃপ্তির হাসি ফোটে।
খুলনায় খামারে দাম কমলেও বাজারে কমেনি পোলট্রি মুরগির দাম
খুলনায় পোলট্রি মুরগির খামারে দাম কমলেও পাইকারি ও খুচরা বাজারে কমেনি। ফলে সুফল পাচ্ছেন না ক্রেতারা।
আগের দামেই অর্থাৎ ২৪৫-২৫০ টাকায় মুরগি কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
এছাড়া শনিবার (২৫ মার্চ) খামারিরা মুরগি বিক্রি করেছেন ১৮৫-১৯০ টাকায়। এই দামে মুরগি কিনে ১৯৫-২০০ টাকায় বিক্রি করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
অথচ, একই দামে মুরগি কিনে ২৪৫-২৫০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
খামার পর্যায়ে দাম কমলেও এর প্রভাব পড়ছে না খুচরা বাজারে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে গরু-মুরগির মাংসের দাম
এর আগে গত সপ্তাহে একই দামে মুরগি বিক্রি করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার মুরগির দাম খামার পর্যায়ে ছিল ২১৮-২২২ টাকা। পাইকারি বাজারে ছিল ২২৮-২৩০ টাকা এবং খুচরায় ২৪৫-২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০, সোনালি মুরগি ৩৩০ ও পোলট্রি ২৪৫-২৫০ টাকা।
তবে কয়েকজন খামারি জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের চেয়ে শনিবার কেজিতে ৩০ টাকা কমে মুরগি বিক্রি করেছেন।
পাইকারি বিক্রেতা মো. সোহেল বলেন, চাহিদা অনুযায়ী মুরগির বাচ্চা সরবরাহ নেই। উৎপাদন কমে বাজারে সরবরাহ কমেছে। ফলে দাম বেড়েছে। শুক্রবার ২২৮-২৩০ টাকা কেজি দরে মুরগি বিক্রি করেছি। খুচরায় ২৪৫-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। শনিবার পাইকারি দর ১৯৫-২০০ টাকা হয়েছে।
কিন্তু আগের মুরগি খুচরা দোকানে থাকায় আগের দামেই বিক্রি করেছেন বিক্রেতারা। পাইকারি দাম কমলেও খুচরা বাজারে দাম কমছে না।
মহানগরীর বাইতিপাড়ার নয়ন পোলট্রি দোকানের বিক্রেতা মো. নয়ন বলেন, দাম বেশি হওয়ায় মুরগি বিক্রি দুই তৃতীয়াংশ কমেছে। নতুন মুরগি আনা হয়নি।
এছাড়া শনিবারও পোলট্রি ২৪৫-২৫০, সোনালি ৩৩০ ও কক ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।
রূপসা বাজারের মুরগি বিক্রেতা বাদল বলেন, গত এক মাসের বেশি সময় ধরে মুরগির দাম বাড়ছে। বাজারে মুরগির সংকট থাকায় দাম বেড়েছে।
খালিশপুর পৌর সুপার মার্কেটে মুরগি কিনতে আসা ক্রেতা মো. ফারুক হোসেন বলেন, মুরগির দাম গরিবের নাগালের বাইরে। কিনতে গেলে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে।
খালিশপুর প্লাটিনাম গেট এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, আগে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৩০-১৪০ টাকা কেজি ছিল। তখন কিনতে পারতাম। এখন ২৪০ টাকা হয়েছে, যা আমাদের নাগালের বাইরে।
রূপসার খামারি শামসুজ্জামান শাহিন বলেন, মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। দুই মাস আগে যে খাবার ৩১ টাকায় কেনা যেতো এখন ৪৩ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এ ছাড়া মুরগির বাচ্চার দামও বেড়েছে। বাচ্চা পালনে খরচ বাড়ায় মুরগির দাম কিছুটা বাড়তি।
আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমবে ৩০-৪০ টাকা: ডিএনসিআরপি’র ডিজি
বটিয়াঘাটা গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের খলিশাবুনিয়া গ্রামের খামারি বিশ্বজিৎ তরফদার বলেন, আমার এক হাজার মুরগির খামার ছিল। আমি প্রায় চার বছর পালন করার পর ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ি। খাবারের দাম বাড়তি। কিন্তু সেই তুলনায় ডিমের দাম কম। সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে সেই ঋণ পরিশোধ করতে পারিনি। ধীরে ধীরে আমার খামারটি বন্ধ করতে হয়। এখন আমি ডিম সংগ্রহ করে বিক্রি করি।
লবণচরা রিয়া বাজারের পোলট্রি খাবার বিক্রেতা মনির মোল্লা বলেন, পোলট্রি খাবারের দাম বেড়েছে। দুই দফায় এক বস্তা খাবারের দাম বেড়েছে ২০০ টাকা। আগে এক বস্তা খাবারের দাম ছিল তিন হাজার টাকা। বর্তমানে সেই খাবারের দাম তিন হাজার ২০০ টাকা।
খুলনা পোলট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন বলেন, আগে যেখানে একটি মুরগির বাচ্চা ৮-১০ টাকায় পাওয়া যেত, এখন সেই বাচ্চার দাম ৫৫-৫৮ টাকা। এ ছাড়া মুরগির খাবারের দাম আগে ছিল প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা।
সেই খাবারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০-৭৫ টাকায়। মুরগি উৎপাদনে যে টাকা ব্যয় হচ্ছে, সেই টাকা উঠছে না। ফলে অনেকে ধারদেনা করে এখন ব্যবসা গুটিয়ে পথে বসেছে। অনেকে ধারদেনার দায় মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এছাড়া তাদের নামে মামলা হচ্ছে। খামারিরা খুব দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগে খামারিদের কোনও কর দিতে হতো না। গত অর্থবছর থেকে খামারিদের ওপর কর চাপানো হয়েছে। এর প্রভাব উৎপাদন খরচে পড়েছে। খাবারের দাম যে পরিমাণ বেড়েছে, তাতে ফার্মের মালিকরা সঠিক বাজারদর পাচ্ছেন না।
খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অরুণ কান্তি মণ্ডল বলেন, মুরগির খাবারের জন্য ভুট্টা প্রয়োজন। এই ভুট্টা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ১৮ টাকার ভুট্টা এখন বেড়ে ৩৮-৪২ টাকা হয়েছে।
এছাড়া সয়াবিনের খৈলও আমদানি করা হয়। ১০০ কেজির মধ্যে ৭৫ কেজি ভুট্টা ও সয়াবিনের খৈল দিয়ে খাবার তৈরি হয়। এসবের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। প্রতিটি খাবারের মূল্য বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।
এখন লেয়ার মুরগির এক কেজি খাবারের দাম ৭২-৭৫ টাকা। সঙ্গত কারণে খামারিদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। উৎপাদন খরচ বাড়ার কারণে ডিম ও মুরগির মাংসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ক্রমান্বয়ে যখন খাবার ও বাচ্চার দাম কমতে থাকবে, তখন মুরগি ও ডিমের দামও কমতে থাকবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, খুলনায় দুই হাজার ৪৯২টি পোলট্রি খামার রয়েছে। তবে মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, জেলার প্রান্তিক পর্যায়ে চার হাজার ৯৫২টি পোলট্রি খামার রয়েছে।
যার মধ্যে প্রায় এক হাজার খামার বন্ধ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৫০ টাকায় গরুর মাংস, ৪০ টাকায় মুরগির মাংস!
রমজানে বাজার কঠোর মনিটরিং করবে ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান মাসে অত্যাবশকীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বভাবিক রাখতে কঠোর মনিটরিং করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
তিনি বলেন, বিশ্বের সব দেশে দেখেছি অন্য সময়ের তুলনায় বিভিন্ন উৎসবে বিশেষ করে ধর্মীয় উৎসবের সময় পণ্যদ্রব্যের দাম কমে যায়। কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায় উল্টো চিত্র।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের শপথ গ্রহণ
এ বছর রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের অহেতুক দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে গুলশান ডিএনসিসির নগর ভবনে আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান মাসে অত্যাবশকীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বভাবিক রাখা এবং বাজার মনিটরিংসহ অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এ কথা জানান।
মেয়র বলেন, কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলামকে আহ্বায়ক করে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে একটি বাজার মনিটরিং কমিটি করা হবে। পুরো রমজান মাসজুড়ে এই কমিটি বাজারগুলো মনিটরিং করবে। রমজানে জনগণের যেন কোনো ভোগান্তি না হয় সেটি নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়া আমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সহযোগিতা চাই। আপনারা দয়া করে ভেজালমুক্ত, সঠিক ওজন ও টাটকা পণ্য সরবরাহ করবেন।
মেয়র আরও বলেন, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের অবগতির জন্য ডিএনসিসির সাতটি মার্কেটে মূল্য তালিকাসহ প্রতিটি (১০x৬) ফুট সাইজের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করে দেয়া হবে।
এছাড়াও প্রতিটি দোকানে প্রকাশ্যে মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখতে হবে। নির্ধারিত মূল্যের বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, বাজারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বাজারে প্রবেশের ও প্রস্থানের রাস্তাগুলোতে মালামাল রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির মালিকানাধীন মার্কেট ও কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
আরও পড়ুন: মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না: আতিকুল ইসলাম
গুলশান, বনানী ও বাড়িধারা লেকে মাছ চাষ করা হবে: আতিকুল ইসলাম
‘রমজান বাজার’ ক্যাম্পেইন নিয়ে এলো দারাজ বাংলাদেশ
দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ নিয়ে এলো রমজান বাজার শীর্ষক ক্যাম্পেইন। ১৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইন চলবে ২২ মার্চ, ২০২৩ পর্যন্ত।
যেখানে দারাজ গ্রাহকরা উপভোগ করতে পারবেন দুই লাখের ওপর ডিল, ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় এবং ৬০০ টাকা পর্যন্ত আকর্ষণীয় ভাউচার।
আরও পড়ুন: দারাজ অ্যাপে বিপিএল দেখেছেন ১০ লাখ দর্শক
এছাড়াও গ্রাহকরা ফ্রি শিপিং, বিক্রেতা ভাউচার এবং হোম ও লিভিং-এর পণ্যগুলোয় ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ও উপভোগ করতে পারবেন।
এই ক্যাম্পেইনে কো-স্পনসর হিসেবে আছে বাটা, লোটো, স্টুডিও এক্স, ম্যাগি, রিয়েলমি, ডেটল, লাইফবয়, ইনফিনিক্স।
ব্র্যান্ড পার্টনার হিসেবে আছে বাজাজ ইলেক্ট্রিক্যালস, ফাব্রিলাইফ, গোদরেজ, নেসক্যাফে, ম্যানফেয়ার, ম্যারিকো, মোশন ভিউ, স্টোন রোজ, স্বপন'স ওয়ার্ল্ড, ডাভ।
এর সঙ্গে এই ক্যাম্পেইনে আরও যুক্ত হয়েছে বিকাশ, নগদ, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, এইচএসবিসি, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মতো পেমেন্ট পার্টনাররা।
এছাড়াও ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে থাকছে লিয়া'স বিউটি বক্স, গ্ল্যামফ্রিক বাই ফারিন, পাউডার রুম বাই এশা রুশদি, লাভিশ বুটিক।
দারাজ বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার তালাত রহিম বলেন, ‘আমরা আমাদের রমজান বাজার ক্যাম্পেইন চালু করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকরা লাভজনক এবং সাশ্রয়ী কেনাকাটার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। আমরা আশা করছি পুরো ক্যাম্পেইন জুড়ে যে অফারগুলো করা হয়েছে তা তারা বিবেচনা করবেন এবং রমজানের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করার এই সুযোগটি কাজে লাগাবেন।’
আরও পড়ুন: দারাজের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন নিশো ও মেহজাবীন
‘রাইডার গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের’ আওতায় ডেলিভারিম্যানদের প্রশিক্ষণ দিল দারাজ কেয়ারস
এক টাকার রেস্টুরেন্ট!
এক টাকায় পেটপুরে খাওয়ার কথা আমরা কি ভাবতে পারি? তবে এখন থেকে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বদৌলতে দারিদ্র্যপীড়িত জেলা কুড়িগ্রামের মানুষ চাইলেই এক টাকায় পেটপুরে খেতে পারবেন। এ ফাউন্ডেশন উদ্যোগে এবার এই জেলায় চালু হলো এক টাকার রেস্টুরেন্ট।
এক টাকায় শহরের রেস্টুরেন্টের খাবার পেয়ে খুশি হতদরিদ্র মানুষেরা।
দেশের প্রেক্ষাপটে বাজারে এক টাকা এখন নেহাত মূল্যহীন। প্রায় বিলুপ্তির পথে এক টাকার নোট। দোকানিরা এর চাহিদা সারেন চকলেট দিয়েই। কিন্তু এক টাকায় রেস্টুরেন্টের খাবার অবিশ্বাস্য।
সত্যি এমন ব্যতিক্রম আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
জেলার সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চরসুভারকুঠি গ্রামে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্থায়ীভাবে বিশেষ একটি রেস্টুরেন্ট চালু হয়েছে।
এক টাকার এই রেস্টুরেন্টে পাওয়া যাচ্ছে বিরিয়ানি, পোলাও, ভাত, মাছ, মাংস, ডিমসহ বারো পদের খাবার।
যা ক্ষুধার্ত মানুষেরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে ইচ্ছামতো তাদের পছন্দের খাবার খেতে পারছেন। মনোরম ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসে তৃপ্তি সহকারে পছন্দের খাবার খেতে পেরে খুশি সুবিধাভোগীরা। দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতির বাজারে সমাজে এমন অনেক অসহায়, দরিদ্র এবং গৃহহীন মানুষ তিনবেলা খাওয়া কষ্টকর।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় এক টাকায় ঈদ বাজার
চিংড়িতে ভেজাল অব্যাহত থাকায় বাজার হারানোর শঙ্কায় রপ্তানিকারকরা
বাগেরহাটে কয়েক বছর ধরে চিংড়িতে ভেজাল বন্ধে পুলিশ, র্যাব ও মৎস্য অধিদপ্তরের অভিযান সত্ত্বেও অসাধু ব্যবসায়ীদের কর্মকাণ্ড এখনও অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয় খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার চিংড়ি। এছাড়া ওজন বাড়াতে এবং অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের জন্য চিংড়িতে জেলি, পানি, ভাতের মাড় এবং ক্ষতিকারক পদার্থ প্রবেশ করানো হয়। এতে করে রপ্তানিকারক ও ভোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়।
এছাড়া চিংড়ি রপ্তানিকারকরা আশঙ্কা করছেন যে, চিংড়িতে ভেজাল অব্যাহত থাকলে বিদেশের বাজার হারাবে।
চিংড়ি একসময় বাংলাদেশ থেকে দ্বিতীয় সর্বাধিক রপ্তানিকৃত পণ্য ছিল। কিন্তু, গত কয়েক বছরে এটি ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: খুলনায় চিংড়ি চাষ বিপন্ন