বাজার
নতুন বছরে সঞ্চয় বাড়ানোর কয়েকটি উপায়
বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালেও জনজীবনের ওপর সবচেয়ে বড় চাপ হিসেবে রয়েছে মুদ্রাস্ফীতির ক্রমবর্ধমান নিষ্পেষণ। জীবনযাত্রার ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতি আর্থিক স্থিতিশীলতাকে ক্রমশঃ হুমকিতে ফেলছে। মৌলিক চাহিদা মেটাতেই যেখানে ঋণ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা, সেখানে সঞ্চয়ের প্রসঙ্গটি প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যায়। আবার সঞ্চয় ব্যতীত জীবন আরও অবনতির দিকে ধাবিত হয়।
তবে অর্থনৈতিক অস্থিরতার মাঝেও চরম সংকট মোকাবিলায় মোক্ষম হাতিয়ার হতে পারে অর্থের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। চলুন, আত্মবিশ্বাস ও দূরদর্শিতার সঙ্গে সঞ্চয় বৃদ্ধির কয়েকটি প্রয়োজনীয় উপায় জেনে নেওয়া যাক।
সঞ্চয় বৃদ্ধির ৫টি কার্যকর কৌশল
জীবনের দৈনন্দিন লেনদেনে নিম্নোক্ত পাঁচটি পদ্ধতি অবলম্বনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয়ের নির্ভরযোগ্য সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে-
সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজেট তৈরি
প্রত্যেকটি ছোট ছোট বিষয়কে বিবেচনায় রেখে একটি বিশদ বাজেট পরিকল্পনা গড়ে দিতে পারে আর্থিক ব্যবস্থাপনার মূল ভিত্তি। এখানে আয়ের উৎসের বিপরীতে ব্যয়ের শ্রেণি বিভাজন হওয়ার কারণে সম্ভাব্য খরচের খাতগুলো স্পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর হয়।
আরো পড়ুন: ই-রিটার্ন: অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন যেভাবে
বাজেটে সঞ্চয়ের জন্য জায়গা রাখার কৌশল হচ্ছে শুধুমাত্র অতি প্রয়োজনীয় ব্যয়ের খাতগুলোকে আমলে নেওয়া। সেই সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত খরচগুলো চিহ্নিত করে রাখা উচিত, যেন সেগুলো থেকে দূরে থাকা যায়।
আকস্মিক জটিলতাগুলোর জন্য আগে থেকেই বিকল্প রাস্তা বের করে রাখা জরুরি। বর্তমান অর্থনৈতিক অস্থিরতার মাঝে এমন সময় আসা খুবই স্বাভাবিক যখন সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবে না। এই বিষয়গুলোকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করে সেগুলোর প্রতিটির জন্য একটি বিকল্প নিরাপদ পন্থা বের করে রাখতে হবে। এর জন্যও কিছু জরুরি তহবিল রাখা বাঞ্ছনীয়।
স্প্রেডশিটযুক্ত (এক্সেল) মোবাইল বা কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে এই পদক্ষেপটি সহজেই নেওয়া যায়। এই সফ্টওয়্যার ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এগুলো রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং প্রযুক্তি সম্পন্ন, অর্থাৎ তাৎক্ষণিক নিজের তৈরি করা বাজেটের ওপর চোখ বুলিয়ে নেওয়া যায়। ফলে শুধু পরিকল্পনাই নয়, সে অনুযায়ী অ্যাকশন প্ল্যানগুলো ঠিকমতো বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা, সেদিকেও খেয়াল রাখা সম্ভব হয়। প্রতিটি ব্যয়ের খাতের জন্য মাসিক আয়ের যে শতাংশ বরাদ্দ ছিল, সেই সীমা অতিক্রম করছে কিনা তা নজরে আসে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ সরকারের ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করার পদ্ধতি
পুনরাবৃত্তিমূলক খরচ কমানো
প্রয়োজনীয়তার মাত্রার নিরিখে প্রতি মাসের জন্য অবধারিত খরচগুলোর শ্রেণিবিন্যাস করা উচিত। এগুলোর মধ্যে কিছু থাকে যেগুলো কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না, যেমন: বাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল। আবার এর মধ্যে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিলও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যবহার কমিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়া নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস এবং এনার্জি সেভিং যন্ত্রাদি ব্যবহারের মাধ্যমেও খরচ অনেকটা কমে আসে।
পুনরাবৃত্তিমূলক খরচের কিছু খাত রয়েছে যেগুলো মূলত জীবনধারণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেমন ক্যাবল টিভি ও ইন্টারনেট বিল, ফোন বিল, ওটিটি সাবস্ক্রিপশন এবং জিমের সদস্যতা। সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী এগুলোর মধ্যে এক বা একাধিক পরিষেবা বাদ দিয়ে খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
বিশেষ করে আজকাল ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন চ্যানেলের অনুষ্ঠান দেখা যায়। সেক্ষেত্রে ক্যাবল টিভি ও ওটিটি বিলের পুরোটাই বাদ দেওয়া যায়। ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা হলে ফোনের বিলের ওপর থেকেও চাপ কমে যাবে।
আরো পড়ুন: বন্ডে বিনিয়োগের আগে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি
তাছাড়া নিতান্তই বাদ দেওয়া সম্ভব না হলে ব্যবহারের মাত্রা কমিয়ে বা দর কষাকষির মাধ্যমে কম খরচের পরিষেবা নেওয়া যেতে পারে।
কৌশলগত বিনিয়োগ
বিনিয়োগ আসলে সঞ্চয়ের কোনো প্রত্যক্ষ উপায় নয়। কিন্তু এই বিচক্ষণ কার্যক্রমটির পথ ধরে আসে সঞ্চয়ের সুযোগ। সঞ্চয়পত্র বা সরকারি বন্ডের মতো তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ খাতগুলোতে বিনিয়োগ করা হলে সঙ্গতিপূর্ণ রিটার্ন দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা আনে।
ঝুঁকি বেশি থাকা খাতগুলোর মধ্যে স্টক ও মিউচুয়াল ফান্ড বা এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড দিয়ে সর্তকতার সঙ্গে বিনিয়োগ পোর্টফোলিও গড়া যেতে পারে। এগুলো সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতিকে টেক্কা দিতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুন: ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে। মোটা দাগে বলতে গেলে, এ বছরের শুরু থেকে সঞ্চিত ১০০ টাকা নতুন বছরে গিয়ে হয়ে যাবে ৮৮ টাকা। ফলে ১০০ টাকা দামের কোনোকিছু কিনতে গেলে তার সঙ্গে আরও ১২ টাকা যুক্ত করতে হবে। তাই কমপক্ষে ১৩ শতাংশ রিটার্ন দেওয়া কোনো খাতে বিনিয়োগ করা হলে প্রাপ্ত মুনাফা থেকে লেনদেনের পরও ১ টাকা সঞ্চয় হিসেবে থেকে যাবে।
এভাবে সুচিন্তিত বিনিয়োগ পরোক্ষভাবে সঞ্চয়ের ক্ষেত্র তৈরি করে। এছাড়া সরকারি খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কর রেয়াতের সুবিধাটিও অর্থ সঞ্চয়ের একটি কার্যকর মাধ্যম।
ডিসকাউন্ট ও ফ্রি অফারে গুরুত্বারোপ
দৈনন্দিন কেনাকাটার সময় মূল্যহ্রাস ও ফ্রি সামগ্রীগুলোতে অগ্রাধিকার দেওয়া টাকা বাঁচানোর সবচেয়ে পুরনো ও সহজ উপায়। ব্র্যান্ড, সাধারণ, খুচরা ও পাইকারি-নির্বিশেষে প্রতিটি বিপণী বছরজুড়ে নানা উপলক্ষে ডিসকাউন্ট, ক্যাশব্যাক বা রিডিমযোগ্য পয়েন্টের ব্যবস্থা রাখে। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের দৌলতে এগুলো আরও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে।
আরো পড়ুন: পুরনো স্বর্ণ বিক্রির সময় যে কারণে দাম কেটে রাখা হয়
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থাকার কারণে যাতায়াত খরচ বাঁচিয়ে ঘরে বসেই হ্রাসকৃত মূল্যে কেনাকাটা করা যাচ্ছে। জনপ্রিয় পেমেন্ট গেটওয়েগুলো ব্যবহারেও থাকে মূল্যছাড়ের অফার।
এছাড়া সিজনাল সেলস ও স্টক ক্লিয়ারেন্স ইভেন্টগুলোর প্রতিও নজর রাখা উচিত। সাশ্রয়ী মূল্যে পছন্দের জিনিসটি কেনার জন্য এটি সবচেয়ে আদর্শ উপায়।
সর্বদা সাশ্রয়ী বিকল্প পন্থা অবলম্বন
সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম সহনীয় যতক্ষণ না সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসে, ততক্ষণ অপেক্ষা করা উচিৎ। বিশেষ করে সাধারণ মুদিপণ্যের ব্যাপারে এই পদক্ষেপ নিতে হবে। দাম না কমলে তা পরিহার করতে হবে। মৌসুমি সবজি ও ফলমূলের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা উচিৎ।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে নগদায়ন বা পুনরায় চালু করার উপায়
যাতায়াতের যানবাহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে দর কষাকষি করা উচিত। বর্তমানে উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা সর্বত্র বিদ্যমান। এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে যতটা সম্ভব কম যাতায়াত করে প্রাত্যহিক কর্ম সম্পাদনের চেষ্টা করা উচিত। একটি ছোট ফোন কল বা হোয়াটসঅ্যাপ-মেসেঞ্জারের মাধ্যমে এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা সম্ভব, যার জন্য আগে সশরীরে দেখা করার কোনো বিকল্প ছিল না।
এই কার্যক্রমগুলো প্রতিদিনের যাতায়াত খরচকে অল্প অল্প করে কমিয়ে দেয়। অথচ সপ্তাহ ও মাসের হিসাবে এগুলোই খরচের বোঝাও ওপর বিরাট চাপ সৃষ্টি করে।
এই পন্থাগুলো মূলত জীবনধারণ পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত করে। পরিমিত বাজেট অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে সঞ্চয়ের অভ্যাসের জন্য মনকে প্রস্তুত করাও জরুরি।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
২০২৫ সাল আসতে আর বেশি দেরি নেই। প্রত্যেকের আর্থিক জীবনপ্রবাহেও পড়বে নতুন বছরের প্রভাব। তাই এখন থেকেই ব্যয়ের বাজেট প্রণয়ন ও সঞ্চয় বৃদ্ধির বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ।
শেষাংশ
সঞ্চয় বৃদ্ধির উল্লিখিত কৌশলগুলোকে সমন্বয় করা মূলত আর্থিক স্থিতিশীলতারই নামান্তর। বাজেট প্রাথমকিভাবে আর্থিক স্বচ্ছতার ভিত্তি স্থাপন করে। পুনরাবৃত্তিমূলক খরচগুলো কমানো গেলে তা দিন শেষে অতিরিক্ত সঞ্চয়ের জন্যই জায়গা তৈরি করে।
এছাড়া, মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হলো কৌশলগত বিনিয়োগ। ডিসকাউন্ট, ফ্রি অফারের পাশাপাশি যেকোনো কাজে সাশ্রয়ী বিকল্প পন্থা অবলম্বন অনাকাঙ্ক্ষিত চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে কাজ করে।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক পরিবর্তন করে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের উপায়
সার্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই পদ্ধতিগুলো বাজেটবান্ধব জীবনধারণের প্রতি তাগিদ দেয় যেখানে থাকবে না ঋণের দুশ্চিন্তা ও অপ্রাপ্তির বিড়ম্বনা।
৩ সপ্তাহ আগে
খুলনার বাজারে শীতকালীন সবজি আসলেও দামে নাগাল পাচ্ছে না ক্রেতারা
শীত আসি আসি করছে। এরইমধ্যে খুলনা মহানগরীসহ উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন নানা সবজি। শীতের সবজি বাজারে এলেও দাম এখনও সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আসেনি।
মাঝে মধ্যে শীতের সবজির দাম কিছুটা কমলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঊর্ধ্বমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। আর অতিরিক্ত মূল্য নিম্নআয়ের মানুষকে ফেলেছে বেকায়দায়। তাই চড়া বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: যশোরে ৪৩২৩ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ
এদিকে পাইকগাছা উপজেলা সদর চাঁদখালী বাঁকা কপিলমুনিসহ বেশ কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে দোকানির ওপরে ক্ষোভ ঝাড়ছেন ক্রেতারা। এছাড়া শীতের শুরুতেই বাজারে সকল ধরনের সবজির দাম আকাশ ছোয়া। যা নাগালের বাইরে।
বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, করলা ৯০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ছোট ফুলকপি প্রতি পিস ১২০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৯০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাটেঙ্গা বাজারে বাজার করতে আসা শাহিন মোল্লা বলেন, ‘সবজির দাম নাগালের বাইরে। কেনার সাধ্য নেই। আগে যে টাকায় সকল কিছু হয়ে যেত এখন আর সেই টাকা দিয়ে খাওয়াটাই হচ্ছে না। তাহলে কেমনে বাঁচব।’
এছাড়া সকল জায়গায় ভোগান্তি, তবুও বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ কখনোই দেখলাম না বলে জানান বাজার করতে আসা শাহিন মোল্লা।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান উন্নত করতে পারেনি শীতকালীন বৃষ্টি
দামের বিষয়ে চাঁদখালী বাজারের সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদুল বলেন, ‘গেল কয়েকদিন ধরে সবজির দামটা অনেক বেশি। কারণ উৎপাদন কম হওয়ায় আমরা শীতকালীন শাকসবজি বাজারে পাচ্ছি না। যা পাচ্ছি বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যার কারণে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
বাজারের ৭ থেকে ৮ ধরনের সবজির দাম ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই এবং বাকি সকল সবজির দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকার ঘরে হবে বলে জানান তিনি।
সচেতন মহলের লোকজন বলছেন, বাজারে সবজির দাম বেড়ে চলেছে। এই সময় বেশিরভাগ নতুন সবজি বাজারে আসে। কিন্তু বাজারের দাম চড়া।
তবে আমরা মনে করি বাজার যদি ঠিক মতো তদারকি করা হয় তবে দামটা অনেকটাই কমবে। তবে পুরোপুরি শীত চলে আসলে নতুন সব সবজি বাজারে উঠবে, তখন সবজির দাম অনেক কমে যাবে। বাজারে সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কম, সে কারণেই দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজগঞ্জে শীতকালীন পেঁয়াজের চাষে ব্যস্ত কৃষক
২ মাস আগে
আকাশছোঁয়া দ্রব্যমূল্যে দুর্ভোগে মাগুরাবাসী, বাজার না নিয়েই ফিরতে হচ্ছে ঘরে
মাগুরায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। জিনিসপত্রের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখে অনেককে বাজার না করেই ফিরতে হচ্ছে ঘরে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের দুর্ভোগ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে বিক্রেতাদের আক্ষেপ, আগের মতো বেচাকেনা হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহর থেকে শুরু করে গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি হাট-বাজারে শাক-সবজিসহ সব কাঁচা বাজারের দাম বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। অনেকেই বাজারে এসেও কাঁচা বাজার না নিয়ে চলে যাচ্ছেন। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বেশি দামেই কিনছেন।
মাগুরার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েকদিন ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কাঁচা মরিচ, ডিম ও সবজির দাম।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে হয়েছে ৫০০ টাকা।
জেলার বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়।
গত দুই সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি প্রায় ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা বাড়াকে অস্বাভাবিক বলছেন ক্রেতারা।
আরও পড়ুন: ২২ দিনের শিকার নিষেধাজ্ঞায় চাঁদপুরে রেকর্ড দামে ইলিশ বিক্রি, হতাশ হয়ে ফিরছেন ক্রেতারা
পাশাপাশি প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচু প্রতি কেজি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৮০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৮০ টাকা, মাঝারি লাউ প্রতিটি ১০০ টাকা, ফুলকপি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০, শসা ৮০ টাকা ও প্রতি কেজি মুলা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ডিমের দাম।
প্রথমবারের মতো ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিমের দাম রেকর্ড মূল্য ১৮০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ প্রতি হালি ডিমের দাম ৬০ টাকা, যা সপ্তাহখানেক আগে ছিল ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। আর মুদি দোকানে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা দরে। যেখানে মাত্র এক সপ্তাহ আগে ডিমের ডজন ছিল ১৫০ টাকা। যার প্রতি হালি বিক্রি হতো ৫০ টাকায়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বেশি দামে ডিম বিক্রি করায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা
ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, গত কয়েকদিনে মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারে ডিমের দাম বেশি তাই স্বাভাবিকভাবেই খুচরা বাজারেও দাম বেশি।
গরু, ছাগল এবং দেশি ও ব্রয়লার মুরগির মাংসের দাম না বাড়লে মাছের দাম ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারগুলোতে ছোট মাছ নেই বললেই চলে। যেগুলো আছে সেগুলো সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। আবার বড় মাছের দামও অনেক বেশি। ইলিশের ভরা মৌসুমেও দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এছাড়া বেড়েছে সব ধরনের চাল ও তেলের দাম।
তবে হঠাৎ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে বিক্রিও কমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার বিশেষ নজর দিয়েছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব
ক্রেতারা বলছেন, সবকিছুর দাম বাড়লেও তাদের উপার্জন বাড়েনি। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম এত বেশি যে বাজারে যেতেই ভয় হয়। বাজার মনিটরিং না থাকার কারণে হু-হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।
বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে দ্রুত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে জেলার বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সামুনুল ইসলাম জানান, অধিক পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় ও পাইকারি দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিদিনই কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া পরিবহন খরচও বেড়ে যাওয়ায় নিরুপায় হয়েই দাম বাড়াচ্ছে বিক্রেতারা।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি কমেছে ১ শতাংশ: সালেহউদ্দিন
৩ মাস আগে
‘বাজারের এই মাথা-ওই মাথা ঘুরছি, কিছু কিনতে পারছি না’
খুলনার কাঁচাবাজারে আবারও বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো কোনো সবজিতে দুই গুণ আবার কোনোটিতে দাম বেড়েছে দেড় গুণ। এছাড়াও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ ও মুরগি। এতে চরম অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ।
রবিবার (২৪ জুন) খুলনার নতুনবাজার, দৌলতপুর বাজার, গললামারী বাজার, শেখপাড়া বাজার, মিস্ত্রীপাড়া বাজার ঘুরে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আবদুল্লাহ আবু নাসের নামে একজন ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে এসে এই মাথা থেকে ওই মাথা ঘুরছি। কিছু কিনতে পারছি না। বাজার নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেই।’
দৌলতপুর বাজারের রহমান শেখ ইউএনবিকে বলেন, ‘বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, আলু ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, রসুন ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা ঢেঁড়শ ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি আলু ৫০ টাকা, আদা ৩০০ টাকা, ডাটাশাক ৩০ টাকা কজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাঁচাবাজারে চড়া দাম, হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা
৬ মাস আগে
চাঁদপুরে কমেছে ইলিশের দাম
চাঁদপুরের মাছ বাজারগুলোতে ইলিশ বেচাকেনা শুরু হয়েছে। এছাড়া জেলেরা ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ নিয়ে আসছে চাঁদপুর মাছঘাটে।
এদিকে নদীতে বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়ায় মাছের আড়ত ও বাজারগুলোতে গত দুই থেকে তিন দিন ধরে দাম কমের দিকে।
ইলিশ মাছের দাম কমায় ইলিশ প্রিয় ভোজন রসিক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
আরও পড়ুন: গবেষণা করে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজির ইলিশ মাছ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। এছাড়া ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় এবং ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। এছাড়া ছয় থেকে সাত দিন আগেও এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হতো ২ হাজার ৫০০ টাকায়।
জেলা শহরের ব্যস্ততম বিপনীবাগ মাছ বাজারের মাছ বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন মিজি, সাজাহান সরদার, জাকির হোসেন, জলিল মিয়া ও আ. হামিদ বাবু জানান, এসব ইলিশ চাঁদপুরের পদ্মার ও দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা ভোলার, চরফেশন, হাতিয়া, লালমোহন, নোয়াখালী বরগুনা ও স্বন্দীপের। এছাড়া পাল বাজার, নতুনবাজার, পুরানবাজার, ওয়ারলেসবাজার, বাবুরহাট, বহরিয়া, আনন্দবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে একই দামে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।
শহরের পুরানবাজারের গরিব-দুঃখীদের বাজার নামে খ্যাত ‘বউ বাজারে’ একটু নরম বা রিজেক্টেড ইলিশ মাছ সস্তায় (৩০০/৪০০/৫০০ টাকা) পাওয়া যায়।
মাছ ব্যবসায়ী আ. সোবহান, নুরুল ইসলাম, মোস্তফা খান ও খোকন মিয়া জানান, চাঁদপুরে ঝকঝকে সাদা পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ খুব কম। বলতে গেলে ১০ শতাংশ। এদিকে শনিবার সারাদিনে প্রায় ১০০ মণ পদ্মার ইলিশ আমদানি হয়েছে এ মাছ ঘাটে।
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবেবরাত সরকার বলেন, এখনো ইলিশের সিজন শুরু হয়নি। শুরু হবে ঈদের পরে। তাছাড়া, এখন বৃষ্টি নেই। তাই নদীর স্রোত কম, স্রোতের উল্টোদিকে ইলিশ বেশি বেশি আসে, নদীতে এখানে সেখানে চর জেগেছে, নদীর পানির গভীরতা কম, তাই সাগর থেকে ইলিশ স্রোতের উল্টাদিকে এদিকে (চাঁদপুরের দিকে) তেমন আসছে না। নদীর পানির নিচে চর জেগে উঠায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ইলিশ ওদের বিচরণের পথ পাল্টেছে।
মুন্সীগঞ্জের ব্যাংক অফিসার মিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, তিনি স্ত্রী ও সন্তানসহ চাঁদপুরে নদীর মোহনায় সারাদিন ঘুরেছেন এবং টাটকা ইলিশ দিয়ে দুপুরে ভাত খেয়েছেন। বিকালে চারটি টাটকা ইলিশ কিনে ফিরছেন সন্ধ্যার লঞ্চে।
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শবেবরাত সরকার বলেন, শনিবার সারাদিনে মাছ ঘাটে প্রায় ৫০০ মণ ইলিশ মাছ এসেছে দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা থেকে। চাঁদপুরের পদ্মা নদীর মাছ খুবই কম। সারাদিনে প্রায় ১০০ মণ ইলিশ মাছ ঘাটে এসেছে। দাম কেজি ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার টাকা।
একজন ইলিশ বিক্রেতা বলেন, দক্ষিনাঞ্চলীয় জেলা থেকে ইলিশ মাছের আমদানি বাড়লে পদ্মার ইলিশের দাম আরও কমবে।
চাঁদপুরের ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, এবার ইলিশের সিজন এখনো শুরু হয়নি। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ইলিশ বেশি পরিমাণে পাওয়া যাবে। নদীকে বাঁচাতে হবে। পরিকল্পিত ড্রেজিং করতে হবে, নদী থেকে যত্রতত্র বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নদীর পানির দূষণ রোধে বাস্তব পরিকল্পনা জরুরি। নদী দূষণে ইলিশ মাছ স্বস্তি পায় না, ফিরে যায়। বৃষ্টি কম হলে নদীর পানির গভীরতাও কম থাকে। ইলিশ তো গভীর পানির মাছ।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ১০৬ মণ ইলিশ ও জাটকাসহ বিভিন্ন জাতের মাছ জব্দ
৭ মাস আগে
মালয়েশিয়ার মাধ্যমে আসিয়ানের বাজার ধরতে পারে বাংলাদেশ: মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার
ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম বলেছেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম গতিশীল অর্থনীতির দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে বৃহত্তর আসিয়ান বাজারের কেন্দ্র হিসেবে মালয়েশিয়াকে ব্যবহার করতে পারে বাংলাদেশ।
ঢাকায় কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের তিনি বলেন, ‘এফটিএ আপনাদের কাছে বাজারে প্রবেশের সুবিধা দেয়। আপনাদের খুব চ্যালেঞ্জিং বাজারে খুব প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে। এফটিএ এমন একটি মাধ্যম, যা বিশেষ ব্যবস্থার সুযোগ করে দেয়।’
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া দুই আঞ্চলিক দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সম্মত হয়েছে।
মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে বর্ণনা করে বাংলাদেশ।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠার এবং মালয়েশিয়ার মাধ্যমে আসিয়ান বাজারকে বেছে নেওয়ার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি মালয়েশিয়ার আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন হলো দু'দেশের মধ্যে বর্তমান সহযোগিতা।
হাইকমিশনার মালয়েশিয়াকে দেওয়া সব ধরনের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে সহযোগিতার আরও দুটি ক্ষেত্র শিক্ষা খাত ও স্বাস্থ্যসেবা (মেডিকেল ট্যুরিজম)খাত নিয়ে আলোচনা করেন হাইকমিশনার হাজনাহ।
শিক্ষা খাতের সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যের সঙ্গে মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
হাইকমিশনার বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কোনো সংকট নেই, নারী শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ নিরাপদ।’
আরও পড়ুন: আইসিআরসি: মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখাই জেনেভা কনভেনশনের ৭৫ বছরের অর্জন
স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে হাইকমিশনার বলেন, তারা সাশ্রয়ী মূল্যে আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা দেয়, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় সাশ্রয়ী।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার মান ও ব্যয়ের বিষয়ে সরকারের জোরালো নজরদারি রয়েছে এবং এর সুবিধা নিতে বাংলাদেশিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ় এবং তার দেশই প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম মুসলিম দেশ।
তিনি বলেন, আমরা পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সব মুসলিম দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখি।
হাইকমিশনার ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফরের কথা স্মরণ করেন, যা সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি।
ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবং আলোচনা আয়োজনের জন্য হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া বদ্ধপরিকর: হাইকমিশনার
৭ মাস আগে
হালাল খাদ্যের বাজার ধরতে কমপ্লায়েন্স ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলার আহ্বান ব্যবসায়ীদের
খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের প্রতিটি ধাপে কমপ্লায়েন্স ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (মে ১২) সকালে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে হালাল ফুড বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ কথা বলেন তারা। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ইউসুফ। কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মুনতাকিম আশরাফ টিটু।
আরও পড়ুন: অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিতকরণে বাজার কমিটিগুলোর সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই
ব্যবসায়ীরা বলেন, হালাল খাদ্যের বৈশ্বিক বাজারে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন স্থানীয় ব্যবসায়ৗ ও উদ্যোক্তারা। তবে সেজন্য খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের প্রতিটি ধাপে কমপ্লায়েন্স ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন তারা। এমন পরিস্থিতে, বিশ্বব্যাপী হালাল খাদ্যের বাজারে নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে ইকো-সিস্টেম উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, মানব স্বাস্থ্যের জন্য হালাল খাদ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি অনুধাবন করে মুসলিমদের পাশাপাশি সারা বিশ্বে অমুসলিমরাও হালাল খাদ্যের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে বেশকিছু দেশ হালাল খাদ্যের বৈশ্বিক বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। এই বাজারে বাংলাদেশেরও অপার সম্ভাবনা রয়েছে। খাদ্যসহ হালাল শিল্পের উন্নয়নে দেশে সুনির্দষ্ট নীতিমালা হওয়া জরুরি।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বিএসটিআই ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন এই দুটি প্রতিষ্ঠান দেশে বর্তমানে হালাল সার্টিফিকেট দিচ্ছে। সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া সহজ করা, গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে হালাল সনদ প্রদানের জন্য সুনির্দিষ্ট একটি কর্তৃপক্ষ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।
এ সময়, হালাল শিল্পের উন্নয়নে কমিটির সদস্যদের সুনির্দিষ্ট পরামর্শ লিখিত আকারে জমা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এফবিসিসিআই সেসব পরামর্শ বিশ্লেষণ করে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে উপস্থাপন ও তা বাস্তবায়নে কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, হালাল ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সবার আগে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে নিরাপদ এবং গুণগত খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য উৎপাদনকারী, বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান, সরকারসহ এই খাতের বড় অংশীজনদের সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ সময়, বিএসটিআই ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে হালাল সার্টিফিকেট প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ করাসহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও হালাল শিল্পের জন্য নীতি সুবিধা আহ্বান করেন কমিটির সদস্যরা। পাশাপাশি হালাল শিল্পের জন্য দক্ষ জনবল গড়ে তোলা, অর্থায়ন সুবিধা, গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতার গুরুত্ব তুলে ধরেন তারা।
সভায় ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশিদ, মো. নিয়াজ আলী চিশতি, সৈয়দ মো. বখতিয়ার, মহাসচিব মো. আলমগীর, স্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
আরও পড়ুন: সক্ষমতা বাড়াতে এফবিসিসিআই ও সরকারের সহযোগিতা চায় জেলা চেম্বারগুলো
কাতারের সঙ্গে যৌথ বাণিজ্য কাউন্সিল গঠনে এফবিসিসিআইয়ের চুক্তি
৮ মাস আগে
প্রাইভেট বিনিয়োগে পিছিয়ে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার চাকরির বাজারের জন্য উদ্বেগপূর্ণ: বিশ্বব্যাংক অর্থনীতিবিদ
প্রাইভেট বিনিয়োগে পিছিয়ে থাকা এবং জিডিপিতে এর ন্যূনতম অবদান রাখায় দক্ষিণ এশিয়ার চাকরির বাজারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগ রয়েছে বলে এক সেমিনারে এমনি মতামত তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল ) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন মিলনায়তনে 'দক্ষিণ এশিয়া কি কর্মহীন উন্নয়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করছে?' ‘বিশ্ব ব্যাংকের 'দক্ষিণ এশিয়া উন্নয়ন হালনাগাদ' ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের প্রতিবেদন’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও বিশ্বব্যাংক।
সেমিনারে অন্যান্য উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার আশাবাদী প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে, তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতাগুলোর কথা উল্লেখ করে চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় নীতি সংস্কারের অভাববেই দায়ী করেছেন।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. ফ্রান্সিসকা ওনসর্গ তার 'রিপোর্ট ফোকাসিং অন জব রেজিলিয়েন্স ইন সাউথ এশিয়া এপ্রিল-২০২৪' শীর্ষক উপস্থাপনায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির বাধা দূর করতে নীতি সংস্কারের জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ড. ওনসর্গের মতে, অন্যান্য উন্নয়নশীল অঞ্চলের তুলনায় বেসরকারি বিনিয়োগে পিছিয়ে থাকা এবং জিডিপিতে এর ন্যূনতম অবদান দক্ষিণ এশিয়ার চাকরির বাজারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়।
বাণিজ্য উন্মুক্ততা এবং প্রাতিষ্ঠানিক গুণমানকে এই অঞ্চলে কাজের সুযোগকে জোরদার করার মূল কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ড. ওনসোর্গ দক্ষিণ এশিয়ায় নিম্ন বাণিজ্য-জিডিপি অনুপাত তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত এবং ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি (আইটি) শিল্পের মতো প্রবৃদ্ধির নির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেন। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উচ্চ বাধা আরোপের জন্য বাংলাদেশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটি প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগকে বাধাগ্রস্ত করছে।
আরও পড়ুন: এপ্রিল থেকে সুদের হার ১৩.৫৫ শতাংশ, ভোক্তা ঋণে যোগ হবে আরও ১ শতাংশ
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের উপাচার্য ড. রুবানা হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা এবং বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হ্যাভেন।
প্যানেলিস্টরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কাজের গুণগত মান এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে কর্মশক্তিতে একীভূত করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
বার্নার্ড হ্যাভেন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর মধ্যে আন্তঃসংযোগের উপর জোর দিয়েছিলেন, আরও বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) এবং অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশের পক্ষে ছিলেন। তিনি কর্মী ও দৃঢ় উৎপাদনশীলতা বাড়াতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং মানব মূলধনে বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেন।
হ্যাভেন আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উৎপাদনশীল জনশক্তি নিশ্চিত করতে উন্নত দৃঢ় ব্যবস্থাপনা, নারীর শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের জন্য সমর্থন, অভিবাসন ব্যয় হ্রাস এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
বেকারত্বহীন প্রবৃদ্ধির ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং তাদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ব্যাপক নীতি সংস্কার গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সেমিনারটি শেষ হয়।
আরও পড়ুন: তৃতীয় কিস্তির ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ পেতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জোর আইএমএফর
৯ মাস আগে
বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৩০ টাকা
দেশের প্রধান উৎপাদন এলাকা পাবনা ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে ঢাকায় নতুন উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার প্রতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা কমেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর মালিবাগ, মগবাজার, কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজারের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হওয়ায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে।
ফলে পাইকারি বাজারে দাম কমেছে এবং ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি এই পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়।
এক সপ্তাহ আগেও ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হাজী মোকাররম ইউএনবিকে বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আসার খবর পেয়ে কৃষকরা দ্রুত পেঁয়াজ তুলে বাজারে বিক্রি শুরু করেন। ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে এবং পেঁয়াজের দামও কমেছে।
রাজধানীর শ্যামবাজারের আমদানিকারক ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নারায়ণ সাহা বলেন, ‘বর্তমানে যথাসময়ে বাজারে এসেছে মৌসুমি পেঁয়াজ। এর প্রভাব পড়েছে বাজারের দামে। কৃষকদের রক্ষায় এখন আর পেঁয়াজ আমদানির প্রয়োজন নেই।’
নারায়ণ আরও বলেন, এখন সঠিক উপায়ে পেঁয়াজ সংগ্রহ এবং ভবিষ্যতে বাজারের চাহিদার জন্য সাবধানে সংরক্ষণের উপর জোর দেওয়া দরকার।
বাজারে আসা পেঁয়াজ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে বছরের বাকি সময়ে দাম স্বাভাবিক থাকবে বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের
তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা
১০ মাস আগে
উদ্ভাবনী সেবার মাধ্যমে বিমা খাতকে আকর্ষণীয় করার তাগিদ
টেকসই ও উদ্ভাবনী পণ্য ও সেবা বাজারে আনার মাধ্যমে মানুষের জীবনযাপনকে আরও সহজ ও উন্নত করতে বিমা কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে গ্রাহক ও বিমা প্রতিষ্ঠান উভয়ই ব্যাপকভাবে লাভবান হবে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার ধরতে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখতে হবে: এফবিসিসিআই
শনিবার (১৬ মার্চ) এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে জাপানের বিমা কোম্পানি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি বলেন,
মো. আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার দ্রুত বাড়ছে। দিন দিন মানুষের জীবনযাপনেও পরিবর্তন আসছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি জাপানের মতো নিত্য নতুন এবং উদ্ভাবনী বিমা পণ্য ও সেবা বাজারে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে মানুষ বিমা করতে আগ্রহী হবে।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিমা এখনও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি বলেন, বিমা নিষ্পতির দীর্ঘসূত্রতা ও জটিলতা, জনসচেতনতার অভাব ও আস্থার সংকট এ খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। দেশি-বিদেশি যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের বিমা খাতের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআই পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশীদ, মো. নিয়াজ আলী চিশতি, সৈয়দ মোহাম্মদ বখতিয়ার, মহাসচিব মো. আলমগীর ও ব্যবসায়ী নেতারা।
আরও পড়ুন: রমজানে কাঁচামাল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও সরবরাহ ঠিক রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি এফবিসিসিআইয়ের
১০ মাস আগে