সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জে তিন দিনব্যাপী পথনাটক উৎসব শুরু
সুনামগঞ্জে তিন দিনব্যাপী পথনাটক উৎসব-২০২৪ উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় সুনামগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।
‘হাল ছেড় না বন্ধু বরং কণ্ঠ ছাড় জোরে’ প্রতিপাদ্যে নিয়ে এ উৎসব চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের আয়োজনে এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় পথনাটক উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জুলাই বিপ্লবে গুলিবিদ্ধ থাই মিস্ত্রি রিপন মিয়া।
সাংস্কৃতিক পর্বে ‘গণজাগরণের গান’ পরিবেশন করে সিলেটের ‘রংধনু ব্যান্ড’। ‘সব মনে রাখা হবে’ (আবৃত্তি) পরিবেশনায় ‘সত্য শব্দ সংগঠন’, নাটক ‘বাউলের কথা’ পরিবেশনায় ছিল ‘বন্ধন থিয়েটার’ এবং নাটক ‘শিক্ষা’ পরিবেশন করে ‘একতা নাট্য সংস্থা’।
২২ নভেম্বরের পরিবেশনা
নাটক ‘কাউয়া সমাচার’ পরিবেশন করবে ‘কথাকলি থিয়েটার’; ‘জাগো’ নাটক পরিবেশনায় থাকবে ‘থিয়েটার একুশ’ এবং ‘কথাকলি থিয়েটার’ সংগীত পরিবেশন করবে।
২৩ নভেম্বরের পরিবেশনা
আবৃত্তি (নিমন্ত্রণ) পরিবেশন করবে আবৃত্তি দল ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি, সুনামগঞ্জ’; সংগীত পরিবেশনায় থাকবে ‘নগরনাট সিলেট’; নাটক ‘খেলাঘর’ পরিবেশন করবে ‘থিয়েটার মুরারিচাঁদ’ সিলেট এবং নগরনাট সিলেটের পরিবেশনায় দ্বি-দলীয় পালা অথবা পিঁয়াজ ও জুতার বাড়ি খাওয়ার গল্প পরিবেশিত হবে।
১২ ঘণ্টা আগে
সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে রাস্তা ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা
সুনামগঞ্জ মধ্যনগরে পাহাড়ি ঢলে বেড়িবাঁধ ও চলাচলের রাস্তা ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ৪ ইউনিয়নের জনসাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থা। মধ্যনগর থেকে মহিষখলা যাওয়া-আসার একমাত্র রাস্তাটি ভেঙে গিয়ে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বন্ধ রয়েছে ছোট-বড় সব ধরনের যান চলাচল।
জানা যায়, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বেড়িবাঁধসহ গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটিও ভেঙে যায়। পরিবহন চলাচল অনুপযোগী হওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে চামরদানী, বংশীকুন্ডা দক্ষিণ, বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নে জনসাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা সদরসহ আশপাশের এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি; আরও ৮ ইউনিয়ন প্লাবিত
স্থানীয়রা জানায়, অনেকদিন ধরেই এই রাস্তাটা ঝুঁকিপূর্ণ। সঠিক তদারকি ও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় রাস্তা দিয়ে যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছে। হঠাৎ ঢলে রাস্তাটি ভেঙে যায়। এতে এলাকাবাসীর চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরাও স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না।
বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফরিদ মিয়া বলেন, অনেকদিন ধরেই রাস্তাটা ঝুঁকিপূর্ণ। ঢলের কারণে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় জনসাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
মধ্যনগর উপজেলায় দায়িত্বরত ধর্মপাশা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন বলেন, সড়কটি আমরা পরিদর্শন করে এসেছি। খুব দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য কাজ চলমান।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল
২ সপ্তাহ আগে
সুনামগঞ্জে মা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
সুনামগঞ্জ সদরে মা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে শহরের এসপি বাংলো এলাকার বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- ফরিদা বেগম (৪৫) ও ছেলে মিনহাজ (২২)।
স্বজনরা জানায়, শহরের এসপি বাংলো এলাকার একটি বাসায় ফরিদা বেগম তার ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। পাশের রুমেই ভাড়া দিয়েছিলেন তার খালাতো বোন ও বোনের ছেলেকে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বাসায় গৃহকর্মী এসে ঘর খোলা ও তাদের লাশ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে স্বজনদের খবর দেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় আরও বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
৩ সপ্তাহ আগে
পর্যটকে মুখরিত হাওর; দুই মাসের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আশায় ব্যবসায়ীরা
তিন দফা বন্যা ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে প্রায় দুই মাসের মতো বন্ধ ছিল সুনামগঞ্জের হাওরের পর্যটন ব্যবসা। বড় রকমের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল পর্যটন ব্যবসায়ীদের। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকায় পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে টাঙ্গুয়ার হাওরসহ তাহিরপুর সীমান্তের কাছে পর্যটন এলাকাগুলোতে। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামের কয়েকটি পর্যটন এলাকায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিখ্যাত জলরাশির হাওরের দিকে ছুটছেন অনেকে। পর্যটকদের আগম বাড়তে থাকায় দুই মাসের ক্ষতি কাটিয়ে নতুন করে শুরুর সাহস পেয়েছেন পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: ঢাকা ও নিকটবর্তী এলাকার ১০টি ঐতিহাসিক মন্দির
হাওরের বুকে ঘুরে বেড়ানো হাউজবোটগুলোর মালিকরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গেল ২ মাস পর্যটক আসেনি হাওরের জেলা সুনামগঞ্জে। এ কারণে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন পর্যটকের উপচে পড়া চাপে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। ২ মাসের আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার ভরসা পাচ্ছেন তারা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দীর্ঘ সময় দেশের ভ্রমণপ্রেমী মানুষদের পর্যটন এলাকাগুলোতে যাওয়ার সুযোগ মেলেনি। অন্যদিকে গেল ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২৩ দিন বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি এই তিন পার্বত্য জেলায় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে প্রশাসন। এতে ভ্রমণপ্রিয় মানুষরা হাওরকেই বেছে নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: হাকালুকি হাওর ভ্রমণ: এক নিঃসীম জলজ মুগ্ধতা
হাউজবোট মালিকরা জানান, গত কয়েকদিন ধরেই হাউজবোটগুলো অগ্রিম বুকড হয়ে গেছে। শিডিউল মেনে ট্যুর পরিচালনা করতে হচ্ছে।
১ মাস আগে
সুনামগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে আগুন, একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে আগুন লেগে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার পরে উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের আদর্শগ্রাম শিমেরখাল আশ্রয়ণ প্রকল্পে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গোবিন্দগঞ্জে করতোয়ায় নদীতে গোসলে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু
নিহতরা হলেন- শিমেরখাল গ্রামের দিনমজুর এমারুল মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী পলি আক্তার (৪৫), শিশু সন্তান পলাশ (৯), ফরহাদ (৭), ফাতেমা বেগম (৫) ও ওমর ফারুক (৩)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিমেরখাল আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন এমারুল, তার স্ত্রী ও চার সন্তান। হঠাৎ করে দিবাগত রতে ধোঁয়া ও আগুন দেখে চিৎকার করতে থাকে আশেপাশের লোকজন। কিন্তু ভেতর থেকে এমারুল ও তার পরিবারের কারও সাড়া মিলেনি। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে ভেতরে ৬ জনের দগ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক আগুনে ৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন থেকে পড়ে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
১ মাস আগে
সুনামগঞ্জে ৯৬ বস্তা চিনি জব্দ, আটক ১
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে চিনি চোরাচালানের অভিযোগে মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুলাই) বিকাল ৩টায় উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উত্তর কলাউড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তি মনির হোসেন ওই গ্রামের মফিজ বেগের ছেলে।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে ৬০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ১
এসময় তার কাছ থেকে ৯৬ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দের দাবি করেছে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ।
জব্দ করা চিনির বাজার মূল্য আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকা।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল হাসান জানান, সোমবার দুপুরে কলাউড়া গ্রামে অবৈধ পথে ভারতীয় চিনি আনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে ৯৬ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পৃথক অভিযানে ৭৯৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, গ্রেপ্তার ৪
৩ মাস আগে
সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ বাড়ছে হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের
দেশের উজানে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সুরমা নদীসহ জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে নদীর পানি কমলেও ভোগান্তি বেড়েছে হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের। নদীর পানি ধীরে কমায় ভোগান্তি দীর্ঘ হচ্ছে তাদের।
সরজমিনে দেখা যায়, সুনামগঞ্জের উঁচু এলাকায় পানি অনেকটাই কমেছে, তবে নিচু এলাকায় পানি এখনো স্থির হয়ে রয়েছে। অসংখ্য বাড়িঘরে এখনও পানি রয়েছে। জনবসতি ও সড়কে হাঁটু পানি। এছাড়া ভোগান্তিতে পড়েছেন সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার, শান্তিগঞ্জ, ছাতক, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৩
সদর উপজেলার খাইমতর গ্রামের জহুর উদ্দিন বলেন, ‘বাড়ি থেকে কোথাও বের হওয়া যাচ্ছে না। সকালে কলেজে গেছিলাম পানিতে ভিজে। রাস্তাঘাট ভাঙা, কাদা মাটি ভরা। গাড়ি চলে না। অনেক জায়গা হেঁটে হেঁটে যাওয়া লাগছে।’
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাসননগর এলাকার মামুন আলী বলেন, ‘বন্যার পানি কমায় আমরা খুব অসুবিধায় আছি। ঘরের ভেতর থাকার মতো আর অবস্থা নেই। ঘরে এখনও হাটু পানি, হাওরের ঢেউয়ে ঘরের টিন সব ভেঙে ফেলছে। খাবার দাবারও ঘরে নেই।’
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের তথ্য মতে, রবিবার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জ পৌরশহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় (১৩ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই সকাল ৯টা পর্যন্ত) সুনামগঞ্জ পৌরশহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি কমেছে ১৭ সেন্টিমিটার। এই ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৩ মিলিমিটার।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করেছে। দেশের উজানে বৃষ্টি কম হচ্ছে। যার কারণে পাহাড়ি ঢলের তোড় কমে আসছে। সুনামগঞ্জেও বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে। এখন বন্যা পরিস্থিত উন্নতির দিকে।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে তৃতীয় দফায় বন্যা, লাখো মানুষ পানিবন্দি
সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ে ৩ লাখ ডলার সহায়তা
৪ মাস আগে
সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ে ৩ লাখ ডলার সহায়তা
জুন মাসের মৌসুমি বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) মাধ্যমে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার মানবিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বহুমুখী নগদ সহায়তা হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই অর্থ বিতরণ করবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী বর্ষণের কারণে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৫ লাখের বেশি মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আছে ৩০ হাজার মানুষ।
ভারী বৃষ্টিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে আরও একটি স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, যেখানে জরুরি সহায়তার প্রয়োজন এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ‘৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএসএআইডির মাধ্যমে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সঙ্গে অংশীদারিত্বের মধ্যে দিয়ে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে খাদ্য ও পানি কেনা, জীবিকা নির্বাহ, আশ্রয়কেন্দ্র মেরামত এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা করতে পেরে আমরা গর্বিত।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দেশটির মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে ৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। বাংলাদেশের জন্য ইউএসএআইডি উন্নয়নখাতে ২০০ মিলিয়ন ডলার এবং মানবিক সহায়তায় আরও ১০০ মিলিয়ন ডলারের বার্ষিক বাজেট করেছে। এ অর্থ বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগ বাড়ানো, দুর্যোগ ঝুঁকি কমানো, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও অনুশীলনের প্রচার, পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে সহনশীলতা বাড়ানোতে ব্যয় করা হবে।
৪ মাস আগে
চেরাপুঞ্জিতে ঢল, ফের পানিবন্দি সুনামগঞ্জের বাসিন্দারা
প্রথম দফার ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই আবারও বন্যার কবলে পড়ছে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফের বাড়ছে সুনামগঞ্জের সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটাসহ সকল নদনদীর পানি।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে ডুবেছে সুনামগঞ্জ শহরসহ জেলার নিম্নাঞ্চল। সেইসঙ্গে ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু গ্রামীণ সড়ক। আর এতে আবারও বন্যা আতঙ্কে দিন পার করছেন ভাটির এ জেলার ২৫ লাখ মানুষ।
আরও পড়ুন: সিলেট-সুনামগঞ্জে আবারও বন্যার আশঙ্কা
এদিন ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে পৌর শহরের উত্তর আরপিননগর, সাহেববাড়ি ঘাট ও পুরানপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাট।
এমনকি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দূর্গাপুর সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে আবারও তাহিরপুর উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে ছাতক, দোয়ারাবাজার, মধ্যনগরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের গ্রামীণ সড়ক এখন পানির নিচে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওইসব অঞ্চলের পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে।
তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, ‘সকল নদীর পানি আবারও বাড়ছে। সড়কে পানি ওঠায় জেলা শহরের সঙ্গে তাহিরপুর উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখন সুনামগঞ্জে যেতে হচ্ছে নৌকায়। বন্যা আমাদের অবস্থা একদম নাজেহাল করে দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা
সিলেট ও সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে ফের বন্যার আশঙ্কা
৪ মাস আগে
সিলেট-সুনামগঞ্জে আবারও বন্যার আশঙ্কা
গত কয়েক দিন বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদনদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। তবে জুলাইয়ের শুরুর দিকে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নদীগুলো পানি ফের বেড়ে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বন্যার মধ্যমেয়াদি পূর্বাভাস সম্পর্কিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু দেশের ওপর সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। ফলে, দেশের ভেতরে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা অববাহিকার উজানের কিছু স্থানে বিভিন্ন সময়ে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মাঝারি থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘আগামী দুই দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এতে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের ছাতকে বন্যায় সড়কের ক্ষতি ২২০ কোটি টাকা
৪ মাস আগে