বন্যা
বন্যার পর সুনামগঞ্জে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে নদীভাঙন
বন্যার পর এবার সুনামগঞ্জে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে নদীভাঙন। এতে বিপাকে পড়েছে নদীপাড়ের মানুষ। তিন দফা বন্যার পর নদীভাঙনে অসহায়ত্ব ফুটে উঠছে ভাটি জেলার মানুষের চোখে-মুখে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙনের কবলে পড়ে সদর উপজেলার সদরপুর গ্রামের বাসিন্দা বশির মিয়ার পুরো বসতভিটাটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন নদীপাড়ে বসে প্রায় প্রতিদিনই কাঁদতে দেখা যায় তাকে।
ইউএনবিকে বশির মিয়া বলেন, ‘আমার মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই। সবকিছু নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে যেখানে রাত হয় সেখানেই থাকি। এখন পর্যন্ত আমাদের কেউ খোঁজ নেয়নি।’
আরও পড়ুন: নড়াইলে মধুমতি নদীভাঙনের কবলে শতাধিক পরিবার
শুধু বশির মিয়ার নয়, সদরপুর গ্রামের আরও অনেকেরই শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, নলজুর, বটেরখাল, মহাশিং, নাইন্দাও পুরাতন সুরমা নদীর বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ১২ উপজেলার ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার থেকে শুরু করে মসজিদ ও কবরস্থান নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে শত কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হলেও কার্যকর ফল মিলছে না।
এদিকে, বসতভিটা হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন পার করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
৩ ঘণ্টা আগে
স্পেনে বন্যায় ৬৩ জনের মৃত্যু
স্পেনের পূর্বাঞ্চলীয় ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার ভ্যালেন্সিয়ার পূর্বাঞ্চলের জরুরি সেবা বিভাগ জানায়, স্পেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যায় বাড়িঘর-গাড়ি ভেসে গিয়েছে। রাস্তাঘাট-রেলপথ ডুবে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে।
উদ্ধার তৎপরতা সমন্বয়ের জন্য একটি ক্রাইসিস কমিটি গঠন করেছে স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার।
পুলিশ ও উদ্ধারকারী বাহিনী হেলিকপ্টার ব্যবহার করে বন্যাদুর্গত অঞ্চলের বাসিন্দাদের উদ্ধার করে নিরাপদ এলাকায় নিয়ে যেতে কাজ করছে। এছাড়াও বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় স্পেনের জরুরি রেসপন্স ইউনিটের এক হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫০ বছরের মধ্যে সাহারা মরুভূমিতে প্রথম বন্যার বিরল দৃশ্য
ভ্যালেন্সিয়ার উটিয়েল শহরের মেয়র রিকার্ডো গ্যাবালদোন জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম আরটিভিইকে বলেন, 'গতকাল ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ দিন। আমরা ইঁদুরের মতো আটকা পড়েছিলাম। রাস্তায় গাড়ি ও আবর্জনার কন্টেইনার ভেসে আসছিল। পানি তিন মিটার পর্যন্ত উঠে গেছে।’
উটিয়েল শহরের বেশ কয়েকজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান মেয়র।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও অনেকে নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় অনেক এলাকায় হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি। দুর্গম এলাকাগুলোতে উদ্ধার কাজ চলছে।
কাস্তিলা লা মাঞ্চা অঞ্চলের লেতুর গ্রামের মেয়র সার্জিও মারিন সানচেজ জানিয়েছেন, তার গ্রামে ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আকস্মিক বন্যায় মালাগার কাছে প্রায় ৩০০ যাত্রী নিয়ে একটি দ্রুতগামী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ভ্যালেন্সিয়া শহর এবং মাদ্রিদের মধ্যে উচ্চ গতির ট্রেন পরিষেবা বাধাগ্রস্ত হয়।
উপড়ে পড়া গাছ ও বিধ্বস্ত যানবাহনের কারণে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় উদ্ধার কাজ সহজ করার জন্য লোকজনকে বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ভ্যালেন্সিয়ার আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট কার্লোস মাজন।
ভ্যালেন্সিয়ার ব্যারিও দে লা টোরে গ্রামের পানশালার মালিক ক্রিশ্চিয়ান ভিয়েনা ফোনে বলেন, 'আশপাশের এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার গভীর কাদায় ডুবে গেছে সব। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে গেছে সবকিছু।’
বুধবার সকালে ভ্যালেন্সিয়ায় বৃষ্টি কমে গেলেও স্পেনের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে বৃহস্পতিবার আরও ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বসনিয়ায় ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ১৪ জনের মৃত্যু
৩ সপ্তাহ আগে
বন্যায় সব হারিয়ে বিপর্যস্ত শেরপুরবাসী, কৃষি ও মৎস্য খাতে ক্ষতি ৬০০ কোটি টাকারও বেশি
শেরপুরে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্ট বন্যার পানি নামতে থাকায় দৃশ্যমান হয়ে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। বন্যায় ভেঙেছে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট ও ডুবে গেছে ফসলি জমি। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে বন্যাকবলিতরা।
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার ত্রাণ তৎপরতা থাকলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বন্যাকবলিত এলাকায় খাবার-বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
সেইসঙ্গে দেখা দিয়েছে- ডায়রিয়া, আমাশয়, চুলকানিসহ পানিবাহিত রোগ।
সরেজমিনে নকলা উপজেলার পিছলাকুড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ভোগাই নদীর তীরে জেলেপল্লীতে প্রায় ১৫০ পরিবারের বসবাস। নদীর বাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢলে ওই এলাকার অনেকের বাড়ি-ঘর, জিনিসপত্র, ফসলি জমি সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ৫০ বছরের মধ্যে সাহারা মরুভূমিতে প্রথম বন্যার বিরল দৃশ্য
ছয় দিন ধরে পানিবন্দি থাকায় গ্রামের ভেতর দিয়ে চলাচলের জন্য পিছলাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাড়াকান্দা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটারের একমাত্র কাঁচা রাস্তাটি ঢলের পানিতে জায়গায় জায়গায় ভেঙে গর্ত হয়ে গিয়েছে।
ওই গ্রামের অহল্লা রানী বর্মণ বলেন, ‘বাড়িঘরে বন্যার পানি। ৫ থেকে ৬ দিন পর পানি নামছে। পানি থাকার সময় একদিন সেনাবাহিনীরা এক প্যাকেট খিচুরি, আরেকদিন আধাকেজি মুড়ি দিয়েছিল। তিনদিন ওইগুলাই খাইয়া, না খাইয়া থাকছি। পানি থাকায় একরকম কষ্ট আর এখন পানি নামার পরে আরেক রকম কষ্ট।’
বাদল চন্দ্র বর্মণ বলেন, ঋণ নিয়ে ১০ শতাংশ জমিতে শসা খেত করেছিলেন। তিন দিন পরই শসা তোলা শুরু হতো। প্রায় এক লাখ টাকার মতো আয়ের আশা ছিল। ঢলের পানিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, শসা খেত ছাড়াও ৫ শতাংশ জমিতে মরিচ চাষ, ৩ কাঠা (২১ শতাংশ) জমিতে লাল শাক ও ১৮ কাঠা (১২৬ শতাংশ) জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছিলেন। পাহাড়ি ঢলে সব ফসল ধ্বংস হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমি দেখিয়ে বাদল বলেন, ‘বাড়িও গেছে, ফসলও গেছে। আমি এখন সর্বহারা। ফসল তুইল্লা ঋণধার শোধতো দূরের কথা, এখন নতুন কইরা ঋণের জালে পড়লাম। সরকার যদি এহন সহায়তা না করে, তাহলে আমি এক্কেবারে শেষ। কিন্তু সরকারের কোনো লোকতো দেখতেও আসলো না, আমরা বাঁইচ্চা আছি, নাকি মইরা গেছি।’
ঢলে ভেঙে পড়েছে বিধবা বানেছা বেগমের একমাত্র থাকার ঘরটি। ভেসে গেছে সব জিনিসপত্র। সব হারিয়ে শূন্য ভিটায় বসে থাকা বানেছা বেগম বলেন, ‘আমারতো আর কিছু নাই। আমি এখন এই ভাঙা ঘর কীভাবে করব কিছুই জানি না। আমারতো কোনো উপায় নাই। যদি কেউ আমারে সাহায্য না করে, আমারতো কোনো গতি নাই।’
গৃহবধূ কিরণ মালা বর্মণ বলেন, আমার বয়সে এত পানি দেখি নাই। বন্যার পানি আমাদের যে ক্ষতিটা করেছে, এখন আমরা কিছুই করতে পারছি না। আমরা এখন খুব কষ্টে আছি, চিন্তায় আছি। সরকার থেকে আমাদের কিছু না করলে আমরা দাঁড়াতেই পারব না।
জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক হিসাব মতে, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় এবার এ পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ৬ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও আমন, সবজি চাষ এবং আদা ও কৃষি ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টাকার অংকে প্রায় ৫২৪ কোটি টাকার মতো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে মৎস্য সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭০ কোটি টাকার।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এজিইডি) রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১৩ কোটি টাকার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী তীর রক্ষা বাঁধ ও বেড়িবাঁধ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক/ব্রিজ, কালভার্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কয়েকশ কোটি টাকার।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেছেন, বন্যাকবলিতদের মধ্যে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। কেউ অভুক্ত থাকবে না। উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন বিভাগ, সংস্থা, সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ত্রাণ তৎপরতা চলছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিক একটি তালিকা তৈরি করে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই পুনর্বাসন কাজ শুরু হবে।
সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, ডায়রিয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী, মেডিকেল স্টুডেন্ট, চিকিৎসকসহ ৪টি মেডিকেল টিম ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় কাজ করছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দাবি, এখন ত্রাণ তৎপরতার পাশাপাশি পুনর্বাসন সহায়তা খুবই প্রয়োজন। জরুরি ভিত্তিতে তাদের জন্য কিছু করা উচিত।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যায় কৃষি ও মৎস্য খাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
১ মাস আগে
শেরপুরে বন্যায় কৃষি ও মৎস্য খাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
শেরপুরে পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাড়ার ফলে নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা, চরঅষ্টাধর ও পাঠাকাটা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
বন্যায় জেলায় ৫ দিনে নারী, শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন প্রায় দুই শতাধিক।
এদিকে, বন্যায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে স্থানীয়দের ঘর-বাড়ি। পানি নেমে যাওয়ায় এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র ভেসে উঠছে। ঘর-বাড়ি, আবাদ ফসল সব হারিয়ে দিশেহারা বন্যাকবলিতরা।
ঝিনাইগাতী-নালিতাবাড়ীতে বন্যায় অন্তত সাড়ে ৬ হাজার ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত কিংবা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবেছে আমন ও সবজির আবাদ। ঢলের তোড়ে ভেসে গেছে পুকুর ও মৎস্য খামার।
এছাড়া প্রাথমিক হিসাবে বন্যায় কৃষি ও মৎস্য খাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে কৃষিখাতে ৫২৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং মৎস্যখাতে ৭০ কোটি ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুনর্বাসন শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের জন্য ২ লাখ টাকা অনুদান দিলেন খালেদা জিয়া
এদিকে, উজানের পানি নেমে গেলেও নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ৮ ইউনিয়নের ২০ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দি। এসব এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে পানিবন্দিদের রান্না করা খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
শেরপুর খামারবাড়ীর উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, চলতি বন্যায় জেলার ৫ উপজেলায় ৩৮ হাজার ২২৭ হেক্টর আবাদি জমি বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ২২ হাজার ৮৮৭ হেক্টর সম্পূর্ণ এবং ১৫ হাজার ৩৩৯ হেক্টর জমির ফসল আংশিক নিমজ্জিত হয়। মোট ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ ৩২ হাজার ১৫৭ হেক্টর। যার মধ্যে রোপা আমন আবাদি জমি রয়েছে ৩১ হাজার ২৮৬ হেক্টর, শাকসবজি ৮৬০ হেক্টর এবং বস্তায় আদা চাষ ১১ দশমিক ২৮ হেক্টর জমি। যার উৎপাদিত ফসলের মোট ক্ষতির পরিমাণ এক লাখ ৬১ হাজার ৯০৮ মেট্রিক টন। যা টাকার অংকে ৫২৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। আর সর্বমোট ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮০৫ জন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার কর্মকার বলেন, বন্যায় জেলার ৫ উপজেলার ৩১ ইউনিয়নে অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ৭ হাজার ৩৬৪টি পুকুর-দিঘি-খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মোট আয়তন ১ হাজার ৩০৬ হেক্টর। এতে ৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিসহ টাকার অংকে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৭০ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, এটা প্রাথমিক হিসাব। পানি পুরোপুরি নেমে গেলে হয়তো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এমনকি সেটা ১০০ কোটি টাকাও হতে পারে। আমরা কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির বিবরণী পাঠিয়েছি। কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের পুনর্বাসন কিংবা প্রণোদনা বরাদ্দ দিলে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের সেটা দেওয়া হবে।
শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিরুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে প্রায় ১৫/১৬ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত নদীর বাঁধ ও মহাসড়ক থেকে শুরু করে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক ও সেতু-কালভার্টের হিসাব এখনও করা সম্ভব হয়নি।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহবুবুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বন্যার্তদের দুর্ভোগ লাঘবে কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে ত্রাণ ও পুনর্বাসন সহায়তা চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় ৩ জেলায় ১০ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ২৩৮৩৯১
১ মাস আগে
বন্যায় ৩ জেলায় ১০ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ২৩৮৩৯১
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিন জেলায় বন্যায় ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯১ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মোট মারা গেছেন ১০ জন।
তিনি বলেন, ১০ জনের মধ্যে শেরপুরে ৮ জন ও ময়মনসিংহে ২ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বাড়ছে দুর্ভোগ; ৫০০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি
বুধবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা।
তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতির ক্রমে উন্নতি হচ্ছে। এদিকে বন্যা আক্রান্ত জেলা তিনটি হলো-শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা। এছাড়া ১৩টি উপজেলা বন্যাপ্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ৭৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা।
অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, ৩ জেলায় মোট ৬৩ হাজার ১৭১টি পরিবার পানিবন্দি। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯১ জন।
তিনি বলেন, পানিবন্দিদের আশ্রয় দিতে মোট ১৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে মোট ১ হাজার ৩৩৭ জন এবং ৫৬১টি গবাদিপশু রয়েছে।
আলী রেজা বলেন, ৩ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা দিতে মোট ২০টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে। ত্রাণ হিসেবে ৭২ লাখ টাকা, ৪ হাজার ৪০০ টন ত্রাণের চাল, ৭ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
আলী রেজা আরও বলেন, শিশুখাদ্য বাবদ ১৫ লাখ এবং গো-খাদ্য বাবদ ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, উজানে উন্নতি হলেও অবনতি নিম্নাঞ্চলে
১ মাস আগে
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বাড়ছে দুর্ভোগ; ৫০০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি
পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে শুরু করায় শেরপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে ঢলের পানি কমলেও বন্যার্তদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
এদিকে, সোমবার দুপুরে সদরের গাজীখামার থেকে নালিতাবাড়ীর কলসপাড় এলাকায় নানাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে জিনিয়া বেগম নামে এক শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। এনিয়ে শেরপুরে চারদিনে দুই নারী ও এক শিশুসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি কিংবা উজানের ভারতীয় ঢল না নামলে নদ-নদীগুলোর পানি আরও কমবে এবং এক-দুই দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, উজানে উন্নতি হলেও অবনতি নিম্নাঞ্চলে
অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা এবং ঢলের পানি নামার গতি ধীর হওয়ার কারণে গবাদি পশুসহ অনেকেই উঁচু রাস্তার ওপর অবস্থান করছেন এখনও। আবার অনেক জায়গায় বন্যার পানি কমতে থাকায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বন্যার্তরা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। কিন্তু বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট মেরামত করে ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তবে নগদ অর্থ সংকট এবং আয় উপার্জনের উপায় না থাকায় বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়ছেন শেরপুরবাসী।
এ অবস্থায় সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে সহযোগিতা কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুর জেলায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
পানি পুরোপুরি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করেছেন খামারবাড়ির উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস।
এদিকে ঢলের পানিতে শেরপুরের শিক্ষা ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা মিলিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩৪১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চলতি বন্যায় ৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়। যার মধ্যে নালিতাবাড়ী উপজেলাতেই বন্যাকবলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হলো ৬৩টি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, জেলার ৫ উপজেলায় সর্বমোট ৭৪১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ৩০২টি। এর মধ্যে ২৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি; আরও ৮ ইউনিয়ন প্লাবিত
১ মাস আগে
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা: সিপিডি
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
রবিবার ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলাসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতি ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়েও কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভর্তুকি ও মূল্য বাড়ানো সত্ত্বেও ২০২৫ সালে বাড়বে পিডিবির লোকসান: সিপিডি
ফাহমিদা বলেন, সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, যা জিডিপির ২৬ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষি ও বন খাত, যা ৫ হাজার ১৬৯ কোটি টাকার সমান।
তিনি আরও জানান, অবকাঠামো খাতে ৪ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকার এবং আবাসন খাতে ২ হাজার ৪০৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ফাহমিদা আরও বলেন, নোয়াখালী জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ৪ হাজার ১৯১ কোটি টাকা, কুমিল্লা জেলায় ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের প্রতিফলন নেই: সিপিডি
১ মাস আগে
বসনিয়ায় ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ১৪ জনের মৃত্যু
বসনিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত এবং দেশটির মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার রাতভর বৃষ্টিপাত হয় ও প্রচন্ড ঝড় আঘাত হানে দেশটিতে।
বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে উদ্ধারকর্মীরা। রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং বাড়িঘর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় স্বেচ্ছাসেবক ও সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জাবলানিকার স্থানীয় প্রশাসনের মুখপাত্র ডার্কো জুকান জানিয়েছেন, অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জুকান হেলেজ এন১ আঞ্চলিক টেলিভিশনকে বলেছেন, সৈন্যদের সহায়তার জন্য নিয়োজিত করা হয়েছে এবং হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
হেলেজ বলেন, 'ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমরা নতুন আক্রান্তের খবর পাচ্ছি। আমরা আমাদের সাধ্যমতো সবাইকে পাঠিয়েছি। আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে ভূমিধসের কারণে যেসব মানুষ জীবিত আছেন ও মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে তাদের উদ্ধার করা।’
জাবলানিকা ও কিসেলজাক শহরের উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, সারারাত বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল এবং সেলফোন সেবা বন্ধ ছিল। মোবাইল ফোন সিগন্যাল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
জাবলানিকা ফায়ার স্টেশন জানিয়েছে, রাস্তা ও ট্রেনলাইন বন্ধ থাকায় শহরটি পুরোপুরি দুর্গম হয়ে পড়েছে।
প্রদেশের উদ্ধারকারী সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পুলিশ আমাদের জানিয়েছে রেলপথও অবরুদ্ধ করে হয়ে পড়েছে। এই মুহূর্তে আপনি জাবলানিকার ভেতরে বা বের হতে পারবেন না। ল্যান্ডলাইন ফোন কাজ করছে, কিন্তু মোবাইল ফোনের কোনও নেটওয়ার্ক নেই।’
আরও পড়ুন: সিসিলি উপকূল থেকে ৬ ‘অভিবাসনপ্রত্যাশীর’ লাশ উদ্ধার
এই এলাকার জনগণকে প্লাবিত রাস্তায় বের না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বসনিয়ার গণমাধ্যমে প্রচারিত ড্রোনের সাহায্যে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে গ্রাম ও শহরগুলো পুরোপুরি পানির নিচে ডুবেছে। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে কাদা ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের খারাপ অবস্থা দেখা গেছে।
দেশটির নাগরিক সুরক্ষা পরিষেবা বলছে, ‘ব্যাপক পানি ও ভূমিধসের কারণে বহু মানুষ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ভুক্তভোগী এবং অনেক আহত ও নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গেছে।’
কর্তৃপক্ষ লোকজনকে উপরের তলায় থাকার আহ্বান জানিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, ভবনগুলোর নিচতলায় পানি দ্রুত ভরে যাওয়ায় গৃহপালিত পশু ও গাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
তুমুল বাতাসের কারণে অ্যাড্রিয়াটিক সাগরের দক্ষিণ উপকূলে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ক্রোয়েশিয়ার বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম হুমকিতে পড়েছে।
বসনিয়ার দক্ষিণে মন্টেনিগ্রোতেও প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যার খবর পাওয়া গেছে, যেখানে কিছু গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্পেন যাওয়ার পথে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাডুবি, নিহত ৯, নিখোঁজ ৪৮
১ মাস আগে
নেপালে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দুইশ ছাড়িয়েছে
নেপালে টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০৫ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ জন নিখোঁজ এবং ১৩০ জন আহত হয়েছে।
এ অবস্থায় দেশটিতে মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের জাতীয় শোক পালন করা হচ্ছে।
সরকারের মুখপাত্র ও যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং বলেন, 'শোকের সময় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
শোকসন্তপ্ত প্রতিটি পরিবারকে ২ লাখ নেপালি রুপি বা ১ হাজার ৪৯৭ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল সরকার।
আরও পড়ুন: নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৩
সরকারের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, টানা বৃষ্টিতে ১০ দিনের বেশি সময় ধরে পরিবারের সদস্য নিখোঁজ রয়েছে এমন পরিবারকেও একই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
এই দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ ত্রাণ তহবিলে ১০০ কোটি রুপি বা ৭ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৮
১ মাস আগে
বন্যা প্রতিরোধে পরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ করা হবে: উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভবিষ্যতে বন্যা প্রতিরোধে পরিকল্পিতভাবে প্রয়োজনীয় স্থানে বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এছাড়া সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ ও রেগুলেটর মেরামতেও সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বাঁধ ভেঙে যাতে বন্যা না হয়, সেজন্য আধুনিক পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংস্থাগুলো এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে। নদীর অবৈধ দখলও উচ্ছেদ করা হবে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সাম্প্রতিক বন্যায় ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী রেগুলেটর পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য বাঁধ রক্ষায় অবৈধ লিজ বাতিল করা হবে। এছাড়া বাঁধ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এর আগে জেলার পরশুরাম উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী নিজ কালিকাপুর ও বল্লামুখা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ও স্থান পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা।
ওই সময় উপদেষ্টা বলেন, সময়মত বন্যার তথ্য দেওয়ার জন্য ভারতসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ জানানো হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’ ইলিশ রপ্তানির অনুমতি: মৎস্য উপদেষ্টা
২ মাস আগে