মঙ্গলবার নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, চাহিদা ও প্রয়োজনের নিরিখে অনুমতি নিয়ে এ রুটে এক বা একাধিক বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করবে সরকার।
হাইকমিশন জানায়, প্রথম ফ্লাইটটি শুক্রবার বা তার কাছাকাছি কোনো সময়ে হতে পারে।
দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিকরা ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিটের জন্য আবদেন করতে পারবেন।
সোমবার চেন্নাইয়ে আটকা পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে প্রথম ধাপে দেশে ফিরেছেন ১৬৪ জন। সরকারের উদ্যোগ ও সহযোগিতায় নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের ফেরত পাঠিয়েছে।
চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে আটকা পড়া অনেকেই আগামী কয়েক দিনে আরও কয়েকটি ফ্লাইটের মাধ্যমে দেশে ফিরতে পারবেন।
নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশ মিশনের সহায়তায় কলকাতা, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং অন্যান্য সীমান্ত অঞ্চল থেকে বাংলাদেশিরা ফিরে এসেছেন।
কলকাতা ও চেন্নাইয়ে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
ইউএস-বাংলা জানিয়েছে, তারা আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকা-চেন্নাইয়ে আরও পাঁচটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। সেই সাথে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে কলকাতা-ঢাকায় দুটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করবে তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান লকডাউনের কারণে এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থীসহ প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশি ভারতের বিভিন্ন শহরে আটকা পড়েছেন।
এর আগে দক্ষিণ ভারতে আটকা পড়া বাংলাদেশি রোগীদের ফিরিয়ে আনার পরে ধীরে ধীরে সে দেশের আরও বেশ কয়েকটি শহরে আটকা পড়া নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দিয়ে তাদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছিল সরকার।