লকডাউন
উ. কোরিয়ায় প্রথম করোনা শনাক্ত, দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন
উত্তর কোরিয়ায় প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা সংক্রমণ নিশ্চিতের পর দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের আদেশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ওমিক্রন প্রাদুর্ভাবের কথা জানিয়েছে। তবে শনাক্তের সংখ্যা জানায়নি।
অন্যান্য দেশ করোনার টিকা দেয়ার প্রস্তাব দিলেও টিকা কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেছে উত্তর কোরিয়া। এর পরিবর্তে দেশটি সীমান্ত বন্ধ করে করোনা নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং কোনো করোনা শনাক্ত হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন দীর্ঘদিন ধরেই দেশটিতে ভাইরাসটি উপস্থিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: আবারও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া
এদিকে বহিরাগতরা বলছেন, কোভিড-১৯ এর টিকা কর্মসূচির অভাবে দেশের ২৫ মিলিয়ন মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে।
কেসিএনএ জানিয়েছে, কিম জং-উন প্রাদুর্ভাব নির্মূল করতে অঙ্গীকার করেছেন এবং এটিকে ‘গুরুতর জাতীয় জরুরি অবস্থা’ বলেও অভিহিত করেছে দেশটি।
নতুন কোভিড নিয়মের রূপরেখা নিয়ে বৈঠকে কিমকে টেলিভিশনে মাস্ক পরতে দেখা গেছে এবং ধারণা করা হচ্ছে তিনি প্রথমবারের মতো মাস্ক পরেছেন। তিনি দ্রুতই এটি সরিয়ে ফেললেও উপস্থিত অন্যান্য কর্মকর্তারা তা পরে রাখেন।
কেসিএনএ জানায়, বৃহস্পতিবার কিম ‘সর্বোচ্চ জরুরি’ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের আদেশ দিয়েছেন যার মধ্যে স্থানীয় লকডাউন এবং কর্মক্ষেত্রে জনসমাগমের কড়াকড়ির আদেশ অন্তর্ভুক্ত বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষা
উত্তর কোরিয়ার নিউজ আউটলেটটি জানিয়েছে, চারদিন আগে রাজধানীতে করোনার ওমিক্রন ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয়।
সিউল ভিত্তিক মনিটরিং সাইট এনকে নিউজ জানায়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত পিয়ংইয়ংয়ের কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের কমপক্ষে দুদিন লকডাউনের মধ্যে থাকতে হবে।
২ বছর আগে
লকডাউন সমাধান নয়: এফবিসিসিআই সভাপতি
দেশে আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এমন অবস্থায় লকডাউন সমাধান নয়, বরং করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরির তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, মহামারি প্রতিরোধে লকডাউন কোন সমাধান নয়, বরং এতে নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগ বাড়ে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি।
বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমানে দেশের রপ্তানি শিল্পে প্রচুর ক্রয়াদেশ আসছে। আবারও লকডাউনের সিদ্ধান্ত আসলে শিল্পখাতের ঘুরে দাঁড়ানো ব্যাহত হবে, যা অর্থনীতিকে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
তিনি বলেন, যেসব দেশ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেসব দেশই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে। তাই লকডাউন না দিয়ে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি বিধি নিষেধ মেনে চলাই এই মহামারি প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকরী উপায় বলে মন্তব্য করেন জসিম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে স্পেন-এফবিসিসিআই এর আগ্রহ প্রকাশ
এসময় দোকান মালিক ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের টিকা গ্রহণের ব্যাপারে উৎসাহিত করতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এতদিন বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা ছিল পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাব। কিন্তু এখন পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল এবং একশ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বর্তমান সরকারের নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ফলে দেশে বিনিয়োগ বান্ধব অবকাঠামো তৈরি হয়েছে।
এসময় ব্যাংকগুলোকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতে আরও বেশি ঋণ দেয়ার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ রাখার বিধান করার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বাংলদেশ। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করা জরুরি।
বিশ্ব বাণিজ্যের ৯০ শতাংশই হয় ছয়টি ব্লকের মধ্যে। তাই রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি), ইউরোপীয় ইকোনমিক ইউনিয়ন, ইউএসএ, ইইউ, ইউকে ও আফ্রিকান কন্টিনেন্টাল ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট -এই ছয়টি ব্লকের সঙ্গে এফটিএ করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। এলডিসি উত্তর সময়ে দরকষাকষির জন্য বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন বন্ধে হাইকোর্টের রুল
বেসরকারি খাতের সক্ষমতা বাড়াতে এফবিসিসিআই ইনোভেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন খাতের গবেষণা ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এফবিসিসিআই’র নিজস্ব গবেষণা সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন খাতের ১৮ জন বিশেষজ্ঞকে প্যানেল উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের বিশ্লেষণ ও মতামতের ভিত্তিতে বিভিন্ন নীতি প্রণয়নে এফবিসিসিআই আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে। উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তর পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ ও ট্যারিফ যৌক্তিকীকরণ, গ্লোবাল মার্কেট অ্যাক্সেস ২০২১-২০২৬, টেকসই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ ব্যবস্থা ও টেকসই রপ্তানি উন্নয়ন, ভর্তুকি ও প্রণোদনা শীর্ষক চারটি কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানান জসিম উদ্দিন।
সরকারের বিভিন্ন নীতি বাস্তবায়নের দায়িত্ব বেসরকারি খাতের। কিন্তু এসব নীতি প্রণয়নের আগে সংশ্লিষ্ট খাতের সঙ্গে আলোচনা করা হয়না। তাই বাস্তবায়নের সময় ব্যক্তিখাতের উদ্যোক্তাদের নানামুখী সমস্যায় পড়তে হয়। তাই নীতি প্রণয়নের আগে খাতসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করার ও নীতির প্রভাব মূল্যায়নের আহ্বান জানান তিনি।
এসময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফি।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই-এমআইটির সলভেথন কর্মশালা অনুষ্ঠিত
২ বছর আগে
করোনার মন্দার পর বৈদেশিক কর্মসংস্থানে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ
বৈশ্বিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য স্বাভাবিকতা ফিরে আসার ইতিবাচক লক্ষণ হিসাবে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) থেকে এক মাসে অভিবাসন ছাড়পত্র প্রাপ্ত কর্মীদের সংখ্যা গত এক মাসে (নভেম্বর) এক লাখ ছাড়িয়েছে।
বিএমইটি মহাপরিচালক শহীদুল আলম ইউএনবিকে জানান, ২০২১ সালে নভেম্বর মাসে এক লাখ দুই হাজার ৮৬৩ জন কর্মীকে বিদেশে যাওয়ার জন্য ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। যেটা কিনা করোনা শুরু হওয়ার পর এক মাসে সর্বোচ্চ।
মহাপরিচালক জানান, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ১ লাখের বেশি কর্মী বিদেশে গিয়েছিলেন। আর ওই বছর মোট বিদেশে গিয়েছিলেন ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন, যা বাংলাদেশের এযাবৎকালের রেকর্ড। অবশ্য তখন করোনা মহামারি ছিল না। সেই হিসাবে নভেম্বর মাসের এক লাখ কর্মীর বিদেশে যাওয়ার ঘটনা রেকর্ড বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও শ্রমবাজার খোঁজার তাগিদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বিএমইটি থেকে জানা যায়, স্বাধীনতার পরপর বছরে মাত্র হাজার পাঁচেক মানুষের বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক শ্রমবাজারে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। ১৯৮৯ সালে প্রথমবারের মতো বছরে এক লাখ কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান ঘটে। এরপর সেটি ২-৩ লাখ হয়ে ২০০৭ সালে ৮ লাখে পৌঁছে যায়। এরপর ২০০৮ সালে বাংলাদেশ থেকে ৮ লাখ ৭৫ হাজার বাংলাদেশির বিদেশে কর্মসংস্থান হয়। এরপর টানা কয়েক বছর গড়ে ৫-৬ লাখ শ্রমিক বিদেশে গিয়েছেন। ২০১৭ সালে বছরে ১০ লাখ কর্মী পাঠানোর রেকর্ড করা হয়। তবে পরের বছর ২০১৮ সালে ৭ লাখ ৩৪ হাজার এবং ২০১৯ সালে ৭ লাখ কর্মী বিদেশে যান।
বিএমইটি জানায়, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ৩৫ হাজার ৭৩২, ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৯ হাজার ৫১০ এবং মার্চ মাসে ৬১ হাজার ৬৫৩ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। তবে দেশে দ্বিতীয় দফায় করোনা মহামারির প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে এপ্রিলে আবার লকডাউনের কারণে কর্মী যাওয়া কমে যায়। এই মাসে ৩৪ হাজার ১৪৫, মে মাসে ১৪ হাজার ২০০, জুনে ৪৫ হাজার ৫৬৭, জুলাই মাসে আবার ১২ হাজার ৩৮০ ও আগস্টে ১৯ হাজার ৬০৪ জন কর্মী বিদেশে যান।
২ বছর আগে
এখনই লকডাউন দেয়ার কথা ভাবছি না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকার এখনই লকডাউন দেয়ার কথা ভাবছে না। তবে সব ধরনের গণপরিবহনে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে আগের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
রবিবার রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকদের জন্য করোনার বুস্টার ভ্যাকসিনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগের বারের মতোই আমরা সব জায়গায় যাত্রীর সংখ্যা কমিয়ে দেব। আমরা একই পদ্ধতি অনুসরণ করব। ভাল খবর হল করোনার কারণে মৃত্যুর হার খুবই কম। তাই আমরা লকডাউনের কথা ভাবছি না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কারণে আমরা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করবো।
আব্দুল মোমেন বলেন, আর যারা সীমান্ত দিয়ে ভ্রমণ করছেন, তাদের আরও বেশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা মেনে চলা উচিত। আশা করি, আমরা আমাদের দেশের জনগণকে রক্ষা করতে পারব।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে মিশনপ্রধানদের বলিষ্ঠ ভূমিকা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫৪ লাখ ৪৮ হাজার ছাড়িয়েছে
বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫৪ লাখ ৪৮ হাজার ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ কোটি ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৮৫ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৫৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭৭৮ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা পাঁচ কোটি ৬১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ২৭ হাজার ৭২৬ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৯ হাজার ২৪৫ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২৩ লাখ পাঁচ হাজার ৭৮ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬৮ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮১ হাজার ৮৯৩ জনে।
আরও পড়ুন: রেস্টুরেন্টে খেতে লাগবে ভ্যাকসিন কার্ড: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ৬৭৪ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৮১ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ১৪০ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৯৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২১৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্ত
লিওনেল মেসি করোনায় আক্রান্ত
রেস্টুরেন্টে খেতে লাগবে ভ্যাকসিন কার্ড
করোনার নতুন ঢেউ নিয়ন্ত্রণে দেশে কোনো লকডাউন কার্যকর করার কথা না ভাবলেও সংক্রমণ রোধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, যারা টিকা নেননি তাদের রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন শুধুমাত্র তারাই তাদের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেখিয়ে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করতে পারবে।
সোমবার সচিবালয়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ইস্যুতে একটি আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এসময় নিয়ম অমান্য করলে রেস্টুরেন্টগুলোকে জরিমানা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি এখনও এমন পর্যায়ে পৌঁছায়নি যে লকডাউন কার্যকর করতে হবে। আমরা এই মুহূর্তে লকডাউনের কথা ভাবছি না।
২ বছর আগে
রেস্টুরেন্টে খেতে লাগবে ভ্যাকসিন কার্ড: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যদিও সরকার করোনার নতুন ঢেউ নিয়ন্ত্রণে দেশে কোনো লকডাউন কার্যকর করার কথা ভাবছে না, তবে ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, যারা টিকা নেননি তাদের রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন শুধুমাত্র তারাই তাদের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেখিয়ে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করতে পারবে।
সোমবার সচিবালয়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ইস্যুতে একটি আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এসময় নিয়ম অমান্য করলে রেস্টুরেন্টগুলোকে জরিমানা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করবে।
আরও পড়ুন: পর্যটন স্পটে মাস্ক না পরায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশংকা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি এখনও এমন পর্যায়ে পৌঁছায়নি যে লকডাউন কার্যকর করতে হবে। আমরা এই মুহূর্তে লকডাউনের কথা ভাবছি না।
মন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।সবাইকে সর্বত্র মাস্ক পরতে হবে। যারা নিয়ম লঙ্ঘন করবে তাদের জরিমানা করা হবে।
এছাড়া মাস্ক ছাড়া কেউ গণপরিবহনে উঠলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন মোকাবিলায় বুস্টার ডোজ সহায়ক হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
করোনার সংক্রমণ বাড়লে লকডাউন দেয়া হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনার সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী হলে সরকার লকডাউন দেয়ার চিন্তা ভাবনা করতে পারে। আমরা লকডাউন চাই না, তাই করোনা নিয়ন্ত্রণে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। আগামীতে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সরকার আরও কঠোর হবেন।
শনিবার বিকেলে মানিকগঞ্জ নার্সিং কলেজ মিলনায়তনে বুস্টার ডোজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এসময় জাহিদ মালেক বলেন, ওমিক্রনের হানা থেকে সারা পৃথিবীর তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা ভালো। ইতোমধ্যে প্রতিষেধক হিসেবে করোনার মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট দেশের বাজারে এসেছে। তবে এই ট্যাবলেট টিকার বিকল্প নয়। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি যাদের মৃদু সমস্যা রয়েছে তারা এই ট্যাবলেট সেবন করতে পারবেন।'
স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ওয়ার্ড পর্যায়ে করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জানুয়ারি মাসে অন্তত চার কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হবে। দেশে টিকার কোনো অভাব নেই। ইতোমধ্যে টিকা দেয়ার সব ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করা হয়েছে। টিকা দেয়ার জন্য নতুন আরও ছয় কোটি সিরিঞ্জ চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে।.
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্তদের জন্য মুখে খাওয়ার ওষুধ বাজারজাত শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বুস্টার ডোজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম,সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. শামসুল হক, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, জেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহিউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র রমজান আলী, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশাদ উল্লাহ, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. জাকির হোসেন, সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) লুৎফর রহমান, ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পর্যটন স্পটে মাস্ক না পরায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশংকা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ওমিক্রন মোকাবিলায় বুস্টার ডোজ সহায়ক হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
বাংলাদেশে এখন কোনো লকডাউন দেয়া হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রবিবার দেশে করোনার কারণে ফের লকডাউনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।
সাভারে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্ট বিল্ডিং (বিআইএইচএম) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং দেশে লকডাউন কার্যকর করার কোনো সম্ভাবনা নেই।
জাহিদ মালেক বলেন, নতুন করোনাভাইরাস ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। দেশে এর কোনো উপস্থিতি নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কাছে এখন পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের মজুদ রয়েছে এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি রয়েছে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন নিয়ে জরুরি বৈঠক: বিদেশে যাওয়ার মাঝপথে দেশে ফিরলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ওমিক্রন: ৭ আফ্রিকান দেশের যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন
২ বছর আগে
লাইভ স্ট্রিমিং: বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ ২০২১
টি-২০ বিশ্বকাপের রেশ কাটতে না কাটতেই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ ২০২১। প্রায় ছয় বছর পর স্বাগতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে যাচ্ছে পাকিস্তানের সাথে। আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম-এ টি-২০ ম্যাচের মাধ্যমে সিরিজটির উদ্বোধন হবে। লকডাউনের প্রকোপ কেটে ওঠার পর সরাসরি মাঠে গিয়ে খেলা দেখা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। আর যে কোন জায়গা থেকে খেলাগুলো লাইভ স্ট্রিমিং -এর ব্যবস্থা তো থাকছেই। কিভাবে বাংলাদেশ থেকে খেলাগুলো সরাসরি উপভোগ করা যাবে- তারই বিস্তারিত থাকছে এই ফিচারে।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ ২০২১
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান-এর মধ্যকার এই দুই দেশীয় ক্রিকেট সিরিজে মোট খেলা হবে পাঁচটি। পর পর তিনটি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচের পর দুইটি টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
উদ্বোধনী টি-২০ ম্যাচের পরের দিন-ই তথা ২০ নভেম্বর একই সময় এবং একই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ। তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচটি ভেন্যু ও সময় অপরিবর্তিত রেখে অনুষ্ঠিত হবে দুই দিন বাদে অর্থাৎ ২২ নভেম্বর।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের টিকেট বিক্রি বৃহস্পতিবার
তারপর ২৬ থেকে ৩০ নভেম্বর অব্দি পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় প্রতিদিন সকাল ১০টায়।
দ্বিতীয় পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ ২০২১ এর, যেটি অনুষ্ঠিত হবে শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম-এ ৪ থেকে ৮ ডিসেম্বর প্রতিদিন সকাল ১০টায়।
যে প্ল্যাটফর্মগুলোতে খেলাগুলোর লাইভ স্ট্রিমিং হবে
১৯ নভেম্বর থেকে শুরু করে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের সবগুলো খেলা সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল গাজী টিভি (জিটিভি)। টেলিভিশনের ছাড়াও ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে কম্পিউটার এবং যে কোন স্মার্টফোন থেকে গাজী টিভি অ্যাপ দিয়ে দেখা যাবে খেলাগুলো।
বাংলাদেশিরা বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের এই সিরিজের প্রতিটি খেলার ফ্রি লাইভ স্ট্রিমিং -এর সুবিধা পাবেন জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং ও সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে। জিটিভি ও টি-স্পোর্টস তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে এই সুবিধা দিবে বাংলাদেশি দর্শকদের। টঙের দোকান থেকে শুরু করে চলন্ত গাড়িতে বসে সরাসরি উপভোগ করা যাবে মাহমুদুল্লাহ ও বাবর আজমের টীমের মধ্যকার ক্রিকেট যুদ্ধ।
এছাড়াও দেশীয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে ব্যান টেক ও র্যাবিটহোল বিডি স্পোর্টস এর গ্রাহকরা সরাসরি দেখতে পারবেন বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের প্রতিটি খেলা। বাংলাদেশ ছাড়াও র্যাবিটহোল তাদের ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে মোট ১৯৬টি দেশে এই সিরিজটি দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করবে বাংলাদেশ-ভারত
স্পোর্টস স্ট্রিমিং-এ বাংলাদেশি প্ল্যাটফর্ম
করোনাকালীন সময়ে স্পোর্টসপ্রেমীদের মাঠে গিয়ে খেলা দেখার কষ্ট লাঘব করা সম্ভব না হলেও প্রতিটি খেলা তাদের সামনে সরাসরি পৌঁছে দিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মগুলোর চেষ্টা ছিলো চোখে পড়ার মত।
২০১৭ সালে শুরু হওয়া স্পোর্টস ওটিটি মাধ্যম বাংলাদেশ ক্রিকেট স্পোর্টস স্ট্রীমিং-এ এখন জনপ্রিয় একটি নাম। করোনাকালীন সময়ে বাংলাদেশের সবগুলো সিরিজ-ই প্রচার করেছে র্যাবিটহোল। বসুন্ধরা গ্রুপের তিতাস স্পোর্টস (টি স্পোর্টস) বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট স্পোর্টস চ্যানেল হিসেবে যাত্রা শুরু করে ২০২০ এর ৯ নভেম্বর। ব্যান টেক তাদের কার্যক্রম শুরু করে ২০২১ এর ২৩ মে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে আন্তর্জাতিক সিরিজ সম্প্রচারের মধ্য দিয়ে। বিপণন প্রতিষ্ঠানটি বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড)-এর কাছ থেকে ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাগতিক ক্রিকেট সিরিজগুলোর সম্প্রচারের স্বত্ব নিলামে কিনে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: মুশফিককে বাদ দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
শেষাংশ
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ-এর পুরোনো উন্মাদনায় এবার টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো প্লাবিত হবে। বরাবরের মত ক্রিকেট পরিসংখ্যান বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখালেও বাংলাদেশি সমর্থকদের বিপুল প্রত্যাশার দৃষ্টি থাকবে মাহমুদুল্লাহর দলের উপর। টি-২০ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিংয়ের জন্য স্পটলাইটটা অধিকাংশ সময়ই থাকবে পাকিস্তানের শাদাব খানের উপর। অপরদিকে প্রতিশ্রুতিশীল তারুণ্যদ্বীপ্ত বাংলাদেশ টীম তাদের লড়াকু খেলায় সার্থক করে তুলবে বাংলা স্পোর্টসপ্রেমীদের লাইভ স্ট্রিমিং।
২ বছর আগে
সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু, বিলম্বিত করার অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষের
সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা মামলার বিচার কাজ বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন বলে রাষ্ট্র ও বাদীপক্ষ অভিযোগ করেছেন।
সোমবার বিকালে সিনহা হত্যা মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর এই অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুনঃ সিনহা হত্যা: ৩ আসামির জামিন আবেদন খারিজ
তিনি জানান, মামলার শুরু থেকেই আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে দরখাস্ত দিয়ে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন। সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত ১১টি দরখাস্ত দিয়ে মামলা স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। আদালত এসব দরখাস্ত গ্রহণ করেননি।
একই অভিযোগ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম। তিনি জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবী নানা অজুহাতে মামলা বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুনঃ সিনহা হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন, ওসি প্রদীপসহ ৬ জনের জামিন নামঞ্জুর
অপরদিকে মামলার বাদী মেজর অব. সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন আদালতের কাছে সিনহা মামলার সকল আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য প্রার্থনা করেছেন।
আগামী ২৪ ও ২৫ আগস্ট অন্য সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে।
সোমবার বিকাল ৫টায় আদালতের কার্যক্রম মূলতবি ঘোষণা করেন। এর আগে সকাল ১০টায় এই মামলার সকল আসামিদের আদালতে নিয়ে আসা হয়। মামলায় মোট ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদীসহ ১ থেকে ১৫ নম্বর সাক্ষী এই তিন দিন সাক্ষ্য দেবেন। এ মামলায় অভিযুক্ত ১৫ জন আসামিরা সকলেই কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, গত ২৭ জুন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল আসামিদের উপস্থিতিতে মামলাটির চার্জ গঠন করে ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই একটানা তিন দিন বাদীসহ ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে লকডাউনে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। সরকার গত ১১ আগস্ট থেকে লকডাউন তুলে নিলে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ নতুন করে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য্য করেন। যথাসময়ে বাদীসহ সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করবেন আদালত।
আরও পড়ুনঃ মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। হত্যাকাণ্ডের পর চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ৮৩ জনকে সাক্ষী করে আলোচিত মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। চার্জশিটভুক্ত ১৫ জন আসামি কারাগারে রয়েছে। এর মধ্যে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস, কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
৩ বছর আগে