বিশেষ ফ্লাইট
রাবি ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াত সুবিধার কথা বিবেচনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা রুটে ২৯, ৩০ ও ৩১ শে মে তিনটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
ফ্লাইট গুলো ঢাকা থেকে বিকাল সাড়ে ৩ টায় যাত্রা করে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে রাজশাহী পৌঁছাবে এবং রাজশাহী থেকে বিকাল ৪ টা ৪৫ মিনিটে যাত্রা করে বিকাল ৫টা ৩৫মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন: করোনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্মকর্তার মৃত্যু
বিমানের ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস, সেলস সেন্টার, কল সেন্টার (০১৯৯০৯৯৭৯৯৭) ও অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকেট কেনা যাবে।
বিমানের ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com ও মোবাইল অ্যাপস থেকে টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রমোকোড NEWYEAR23 ব্যবহার করে মূল ভাড়ার ওপর পাঁচ শতাংশ ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে।
বিশেষ ফ্লাইটের পাশাপাশি ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা রুটে সপ্তাহে চার দিন নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান।
প্রতি শুক্র, শনি ও রবিবার ঢাকা থেকে সকাল ১১টা ১৫মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশে বিমানের ফ্লাইট ছেড়ে যায় এবং রাজশাহী থেকে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।
প্রতি বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশে এবং রাজশাহী থেকে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।
ঢাকা-রাজশাহী রুটের টিকেট কেনা ও আনুষঙ্গিক তথ্যের জন্য বিমানের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং প্রয়োজনে বিমানের কলসেন্টার (০১৯৯০৯৯৭৯৯৭) ও সেলস কাউন্টার, রাজশাহী (০১৭৭৭৭১৫৭৩৬) সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আরও পড়ুন: এ বছর হজ ফ্লাইটে নিজস্ব বিমান ব্যবহার করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হলো ৫ম বোয়িং ৭৩৭-৮০০
১ বছর আগে
বিশেষ ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বেবিচক
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) শনিবার বিশেষ ফ্লাইটের যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
এই আদেশ ২৮ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
সকল আগত বা বহির্গামী যাত্রীর বাধ্যতামূলকভাবে পিসিআর ভিত্তিক কোভিড-১৯ পরীক্ষার নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে ৪ আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ইউএস বাংলার বিশেষ ফ্লাইট
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, পিসিআর পরীক্ষাটি ফ্লাইট ছাড়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করতে হবে।
আগত যাত্রীদের মধ্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ প্রাপ্ত এবং সাথে টিকাদানের প্রমাণসহ পিসিআর ভিত্তিক কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট বহনকারীদেরও ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করতে হবে।
স্থানীয় প্রশাসন বাড়িতে তাদের কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করবে।
পিসিআর ভিত্তিক কোভিড-১৯ এর নেগেটিভ সার্টিফিকেট বহনকারী আগত যাত্রীদের এবং ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রাপ্ত বা এখনও ভ্যাকসিন নেননি তাদের বাধ্যতামূলক ভাবে সরকার মনোনীত হোটেলগুলোতে যাত্রীদের নিজস্ব ব্যয়ে তিন দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট চালু ১৭ এপ্রিল
তিন দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষ হওয়ার পরে কোভিড-১৯ পিসিআর পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হবে। পিসিআর ভিত্তিক কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হলে মোট ১১ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ করার পর যাত্রীদের ছেড়ে দেয়া হবে।
স্থানীয় প্রশাসন তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পিসিআর ভিত্তিক কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ হলে সেক্ষেত্রে যাত্রীকে নিজস্ব ব্যয়ে সরকার মনোনীত হোটেলে আইসোলেশনেথাকতে হবে।
টিকা দেয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হলেই সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস যাত্রীদের বোর্ডিং পাস প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: বিদেশগামী প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছে সরকার
সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন হোটেলগুলোতে যাত্রীদের জন্য আসন রয়েছে কিনা বা যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য হোটেল রিজারভেশনের প্রমাণ রয়েছে কিনা তা এয়ারলাইন্সের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন হোটেলগুলোতে আসন পাওয়ানা গেলে যাত্রীরা হোটেলে রিজারভেশন নিশ্চিত করার পরেই কেবল ফ্লাইটে উঠবেন।
৩ বছর আগে
ঢাকা-গুয়াংজু রুটে ইউএস-বাংলার বিশেষ ফ্লাইট শনিবার শুরু
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বিশেষ অনুমতি অনুসারে আগামী শনিবার থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা-গুয়াংজু রুটে সপ্তাহে একটি ফ্লাইট পরিচালনার শুরু করতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।
বর্তমানে কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে দুবাই, দোহা, মাস্কাট ও সিঙ্গাপুরে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে ৪ আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ইউএস বাংলার বিশেষ ফ্লাইট
বর্তমান সময়ে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত সকল বিশেষ ফ্লাইট ঢাকা থেকে পরিচালিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে বিদেশ গমনেচ্ছু সকল যাত্রীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের সকলের জন্য নিজ খরচে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন অথবা হোটেলে অবস্থান করতে হবে।
উল্লখ্য, প্রতি শনিবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে চীনের গুয়াংজুর উদ্দেশে ফ্লাইট ছেড়ে যাবে এবং স্থানীয় সময় রাত ৩টা ৫০ মিনিটে গুয়াংজুতে পৌঁছাবে। আবার প্রতি রবিবার ভোর ৫টায় গুয়াংজু থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে এবং সকাল ৭টায় ঢাকায় অবতরণ করবে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট চালু ১৭ এপ্রিল
ঢাকা-গুয়াংজু-ঢাকা রুটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ১৬৪ আসনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে পরিচালিত হবে। বর্তমান ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বহরে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফটসহ মোট ১৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।
৩ বছর আগে
ফ্লাইট বাতিল:ঢাকা বিমানবন্দরে ২০০ জনেরও বেশি যাত্রীর বিক্ষোভ
রিয়াদে যাওয়ার বিমান বাংলাদেশের একটি বিশেষ ফ্লাইট শেষ মুহূর্তে বাতিল হওয়ায় শনিবার সকালে সৌদি আরবগামী প্রায় ২০০ জন অভিবাসী শ্রমিক ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ করে।
বিমানের ডিজিএম (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, রিয়াদে বিশেষ ফ্লাইটটি প্রায় ২০১জন যাত্রী নিয়ে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। 'তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ অবতরণের অনুমতি দিতে দেরি করায় ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে ৪ আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ইউএস বাংলার বিশেষ ফ্লাইট
ফ্লাইটের ক্ষুব্ধ যাত্রীরা সাথে সাথেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ শুরু করেন।
'তবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন হোটেলে সকল যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে। তারা পরে ফ্লাই করবে,' তাহেরা বলেছিলেন।
১৭ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ বেশির ভাগ প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে মধ্য প্রাচ্যের চারটি দেশসহ পাঁচটি দেশে ন্যাশনাল ক্যারিয়ার বিমানের বিশেষ ফ্লাইট চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট চালু ১৭ এপ্রিল
১৪ এপ্রিল কার্যকর হওয়া 'সর্বাত্মক লকডাউন' চলাকালীন দেশে কোভিড-১৯ এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমান চলাচল স্থগিত করেছে সরকার।
তবে, বিশেষ এয়ার সার্ভিসগুলো বর্তমানে বাংলাদেশে আটকে থাকা বিদেশি কর্মীদের তাদের কর্মস্থলে ফিরে যেতে সহায়তা করবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
৩ বছর আগে
লকডাউন: আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট চালু ১৭ এপ্রিল
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরে গমনেচ্ছু আটকে পড়া প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের গমনের জন্য ১৭ এপ্রিল থেকে বিশেষ ফ্লাইট চালু হচ্ছে।
এক্ষেত্রে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ বাংলাদেশি অন্যান্য এয়ারলাইন্স এবং সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের ন্যাশনাল ক্যারিয়ারসহ অন্যান্য ক্যারিয়ার বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে মন্ত্রী পর্যায়ের জরুরি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার এ সিন্তান্ত গৃহীত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পাঁচটি দেশে গমনেচ্ছু প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের মধ্যে যাদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স রয়েছে, তাদেরকে বিদেশ গমনে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তবে এসব দেশের ক্ষেত্রে যাদের ভিজিট ভিসা আছে, কিন্তু বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স নেই, তারা বিদেশ গমনে অগ্রাধিকার পাবেন না। ভিজিট ভিসা নিয়ে যেসকল বাংলাদেশি কর্মের উদ্দেশে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাবেন, তারা বিএমইটি’র ছাড়পত্র নিয়ে যেতে পারবেন।
বিগত তিন দিন ধরে যেসকল যাত্রী টিকেট কেনা সত্ত্বেও লকডাউনের কারণে বিদেশ গমন করতে পারেননি, তাদেরকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বা সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের ন্যাশনাল ক্যারিয়ারের অতিরিক্ত বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে বিদেশে প্রেরণ করার ব্যবস্থা করা হবে। যেসব যাত্রী ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম হতে ভ্রমণ করার জন্য টিকিট ক্রয় করেছেন, তাদেরকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কানেকটিং ফ্লাইটের মাধ্যমে ঢাকায় আনা যাবে।
টিকিটের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য যাত্রী পরিবহনের জন্য পরিচালিত বিশেষ ফ্লাইটের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং চার্জ সাধারণ ফ্লাইটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য চার্জের সমপরিমাণ প্রদেয় হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিদেশগামী যাত্রীদের পিসিআর টেস্ট নির্বিঘ্নে এবং স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে ফলাফল প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: বিদেশগামী প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছে সরকার
এতে বলা হয়, লকডাউন চলাকালে উল্লিখিত পাঁচটি দেশ ব্যতীত অন্যান্য দেশে যারা জরুরি প্রয়োজনে যেতে ইচ্ছুক, তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র সাপেক্ষে ট্রানজিট-প্যাসেঞ্জার হিসেবে বিশেষ ফ্লাইটে ভ্রমণ করতে পারবেন।
এ পাঁচটি দেশে বা ট্রানজিট যাত্রীরা এয়ারপোর্টে আসার পথে পাসপোর্ট-ভ্যালিড ভিসা-বিমানের টিকিট-বিএমইটি কার্ড অথবা নিরাপত্তা এজেন্সি কর্তৃক ইস্যুকৃত পাস সঙ্গে রাখবেন। পুলিশ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের বিভিন্ন পয়েন্টে উল্লিখিত ডকুমেন্টধারীদের অভ্যন্তরীণ চলাচলে যথাযথ সহযোগিতা প্রদান করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবাসী বাংলাদেশিরা জরুরি প্রয়োজনে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের শর্তে দেশে আসতে পারবেন। প্রত্যেক যাত্রীকে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলকভাবে প্রদর্শন করতে হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ দেশে ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসী কর্মীদের তালিকা প্রস্তুত করবে।
বিদেশ হতে ফেরত যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ দিয়াবাড়ি, চট্টগ্রাম ও সিলেটে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখবে। পাঁচটি দেশ হতে যেসকল যাত্রী দেশে আসবেন, তারা বোর্ডিংয়ের পূর্বেই কোয়ারেন্টাইনের জন্য নির্দিষ্ট হোটেলে বুকিং নিশ্চিত করবেন।
কাতার ও ওমানে ক্রমহ্রাসমান করোনা সংক্রমণের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে নিষিদ্ধ দেশসমূহের তালিকা হতে উক্ত দেশ দু’টিকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ দেশে ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসী কর্মীদের লকডাউন চলাকালে দেশে আসার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এক্ষেত্রে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বাংলাদেশ মিশনের ওয়েব সাইট, নিউজ পোর্টাল ইত্যাদি ব্যবহার এবং কমিউনিটি লিডারদের সহযোগিতা নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।
৩ বছর আগে
বিদেশগামী প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছে সরকার
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বুধবার থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনের মধ্যে প্রবাসী কর্মীদের বহনের জন্য পাঁচটি দেশে বিশেষ ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বুধবার এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ ইউএনবিকে বলেন, ‘লকডাউনকালীন বিদেশগামী কর্মীদের জন্য ফ্লাইট চালু করা হবে।’
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালুর দাবি আটাবের
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরের জন্য অতিশীঘ্রই স্পেশাল ফ্লাইট চালু করা হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ বিষয়ে বিস্তারিত ওয়ার্ক প্ল্যান তৈরি করবে।’
মন্ত্রী বলেন, যে পাঁচটি দেশে আমরা ফ্লাইট চালু করব সে সব দেশ এখনো ওপেন আছে। সে দেশে কোন সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, যারা বিদেশকর্মী বা ওয়ার্কার তাদের কীভাবে বিদেশ পাঠানো যায়, আমরা সেটি নিয়ে কাজ করছিলাম। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে আসল ।
কবে নাগাদ সিদ্ধান্ত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ফ্লাইট চালু বিষয়ে সিদ্ধান্ত আপনি ফাইনালই বলতে পারেন। এ বিষয়ে গতকাল এবং আজকে মিটিং এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুধু প্রক্রিয়াটা কী হবে তার সিদ্ধান্ত হবে। আগামীকাল বিকাল ৩টায় আরেকটি মিটিং হবে। যারা এখন বিদেশ যাবেন তাদের বিষয়ে কিছু শর্ত থাকবে। সেখানে সব সিদ্ধান্ত হবে।
বিদেশগামী কর্মীদের প্রক্রিয়াটা কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এয়ারপোর্টে আনার দায়িত্ব রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহের।
আরও পড়ুন: লকডাউনে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ থাকবে: বেবিচক
মন্ত্রী বলেন, 'প্রবাসী কর্মীরা কেবল জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মিশনের ছাড়পত্র গ্রহণ করে এবং দেশে প্রযোজ্য কোয়ারেন্টাইন শর্ত মেনে কোভিড নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে আসতে পারবেন।
কতজন কর্মী এখন আটকে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটির সঠিক সংখ্যা বলা কঠিন। তবে এজেন্সিগুলো বলছে ২৫-৩০ হাজার। আমার ধারণা যখন ফ্লাইট চালু করব তখন দেখবেন আরও অনেকে যাবে, তখন সংখ্যা ১ লাখ হয়ে যেতে পারে।'
এদিকে, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সভাপতি মনছুর আহামেদ কালাম ইউএনবিকে বলেন, 'ছুটিতে আসা প্রবাসী কর্মী ও নতুন ভিসা প্রাপ্তদের যাতায়াত সচল রাখার নিমিত্তে লকডাউনের মাঝে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটসমূহ চলাচল রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি সরকারে কাছে। এ বিষয় গতকাল আমরা সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের দাবি জানাই।'
আটাবের সভাপতি বলেন, 'মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অনেক প্রবাসী ছুটি নিয়ে বা জরুরি প্রয়োজনে বর্তমানে দেশে অবস্থান করছেন এবং তাদের অনেকের ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হতে চলেছে। তারা এয়ারলাইন্সের টিকিট সংগ্রহ করে কর্মস্থলে গমনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন। তাছাড়াও অনেক নতুন কর্মী ভিসা প্রাপ্ত হয়ে কর্মস্থলে গমনের অপেক্ষায় রয়েছেন। নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে যোগদান না করতে পারলে নিয়োগকর্তা তাদের অনেকেরই ভিসা বাতিল করবেন।'
তিনি বলেন, 'একজন প্রবাসীর আয়ের ওপর তার পুরো পরিবার নির্ভরশীল। সঠিক সময়ে নিজ কর্মস্থলে গমন করতে না পারার কারণে তাদের কর্মচ্যুতি হলে তাদের পরিবার পথে বসার উপক্রম হবে। তাই ছুটিতে আসা প্রবাসী কর্মী এবং নতুন ভিসাপ্রাপ্ত কর্মীদের সময় মত কর্মস্থলে পৌঁছানোর বিষয়টিও বর্তমান সরকার মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।'
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক: বেবিচক
অন্যদিকে, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা)- সাধারণ সদস্যদের ব্যানারে আয়োজিত গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্য এসব দেশে এখন করোনার প্রকোপ নেই। শ্রমিক গ্রহণকারী এসব দেশের পক্ষ থেকেও কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। তাই, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব দেশে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করা যুক্তিযুক্ত নয়। এতে হাজার হাজার বিদেশগামী এবং সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাই, চলমান লকডাউনে বিদেশগামীদের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট দেশে বিমান চলাচল স্বাভাবিক রাখার দাবি জানান রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা। প্রয়োজনে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করে হলেও বিদেশগামীদের যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রকোপ আকার ধারণ করায় বুধবার থেকে আট দিনের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনে বাংলাদেশ। গণপরিবহনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও বন্ধ ঘোষণা করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এই অবস্থায় সঙ্কটে পড়েছেন বিদেশগামীরা।
৩ বছর আগে
সিঙ্গাপুরে আটকেপড়া ১৬০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনল ইউএস-বাংলা
কোভিড-১৯ এর কারণে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দ্বিতীয় ধাপে সিঙ্গাপুর থেকে ফিরিয়ে আনল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট।
৪ বছর আগে
দুবাই থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৫৩ জন বাংলাদেশি
কোভিড-১৯ এর কারণে দুবাইতে আটকে পড়া আরও ১৫৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক বুধবার দেশে ফিরেছেন।
৪ বছর আগে
আবুধাবি থেকে দ্বিতীয় ধাপে ফিরলেন আটকা পড়া ১৫২ বাংলাদেশি
করোনাভাইরাসের কারণে আবুধাবিতে আটকা পড়া আরও ১৫২ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন।
৪ বছর আগে
রাতেই দেশে পোঁছাবেন অস্ট্রেলিয়ায় আটকেপড়া ১৭৫ বাংলাদেশি
বিশ্বজুড়ে চলমান করোনা মহামারির কারণে আটকেপড়া ১৭৫ জন বাংলাদেশি যাত্রী নিয়ে সিংগাপুর এয়ারলাইন্সের বাণিজ্যিক বিমান রাত ১০টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
৪ বছর আগে