প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, তার দল আওয়ামী লীগ কখনো পেছনের দরজা দিয়ে নয়, সব সময় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকুক। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ভোটারদের কাছ থেকে ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে এবং তারা কখনই পেছনের দরজা ব্যবহার করেনি।’
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বজনদের কবর জিয়ারত করছেন প্রধানমন্ত্রী ও শেখ রেহানা
বারবার তার দলকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এ কারণে গত ১৩ বছরে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে যার ফলে তাদের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। আওয়ামী লীগ এ দেশের মাটি ও মানুষের দল।’
উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখার ওপরও জোর দেন তিনি।
বিরোধীদল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতৃত্বের অস্তিত্ব নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন শেখ হাসিনা। তিনি অবাক হয়ে বলেন, ‘তাদের নেতৃত্ব কোথায়?’
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘ডানপন্থী, বামপন্থী ও চরম বামপন্থীরা এখন তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
নির্বাচন এগিয়ে আসায় তিনি তার দলকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
আওয়ামী লীগ নিয়মিত কাউন্সিল করে বলেও উল্লেখ করে শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘পরবর্তী কাউন্সিল দরজায় কড়া নাড়ছে। আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা অনেক কাজ সম্পন্ন করেছি। আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে।’
সরকার উৎখাতে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের জোটের পদক্ষেপের কথা বলতে গিয়ে তিনি আবারও এর পেছনের যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
‘আওয়ামী লীগের দোষ কি? কোন ক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থ?’ প্রশ্ন করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০০৯ সাল থেকে গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এর ফলে গ্রামীণ এলাকার অবকাঠামোর অনেক উন্নতি হয়েছে এবং মানুষ তাদের গ্রামের বাড়িতে সহজে যেতে পারছে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন,এ বছর ঈদুল ফিতর উৎসবে মানুষ তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করতে ঝামেলামুক্তভাবে গ্রামে যেতে পেরেছে। এজন্য তিনি যোগাযোগমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘এই ধরনের যাতায়াত (শহর থেকে গ্রামে) গ্রামীণ এলাকায় অর্থের সরবরাহ বাড়িয়েছে যা দেশের অর্থনীতির জন্য উপকারী।’