শেখ হাসিনা
শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা দেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড পেজে এ তথ্য জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
তার পোস্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নেত্রকোণার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে শুধু শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করেছে সরকার।
এছাড়া, নওগাঁর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়, মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি করা হয়েছে।
পাশাপাশি, জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এখন থেকে জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নারায়াণগঞ্জে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এখন থেকে নারায়াণগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বলে ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।
এ ছাড়াও গোপালগঞ্জের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন করে মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
১ দিন আগে
ডা. ফয়েজ হত্যা : হাসিনাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. ফয়েজ আহমদকে নিজ বাসায় গুলি করে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা, সাবেক সামরিক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ফয়েজ আহমেদের ছেলে ডা. হাসানুল বান্না ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এ অভিযোগ দাখিল করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. ফয়েজ আহমদকে নিজ বাসায় গুলি করে হত্যা করে র্যাব। হত্যার পর তাকে বাসার ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। গভীর রাতে শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার নিষিদ্ধ করল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
অভিযোগ দাখিলের পর এক লিখিত বক্তব্যে হাসানুল বান্না জানান, ২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডা. ফয়েজ আহমেদের নিজ বাসার ছাদে নিয়ে আঘাত করে, গুলি করে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।
ডা. ফয়েজ আহমেদ অত্যন্ত মানবিক ডা. হিসেবে পরিচিত এবং লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ছিলেন।
২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকারি বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে র্যাবের স্টিকার লাগানো একটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থলের বাসায় এসে লোহার গেট ভেঙে ফেলে ও ভুক্তভোগী ডা. ফয়েজকে নিজের বাসার দোতলার কক্ষ থেকে ধরে নিয়ে বিল্ডিংয়ের ছাদে নিয়ে যায়।
এই সময় আইন-শৃংখলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা (আসামিরা) বিল্ডিংয়ে ঢুকে সব কক্ষের দরজার তালা ভেঙে তল্লাশি ও ভাঙচুর চালায়। ডা. ফয়েজ আহমেদকে ছাদে নিয়ে তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার সম্মুখভাগ ও নাকে-মুখেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশে আসামি তারেক সাইদ মোহাম্মদ তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ফয়েজ আহমেদের ডান হাঁটুর ওপরে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে, তাতে ওই স্থানে গভীর ক্ষত হয়ে প্রচুর রক্তপাত হয়। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যু নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ফয়েজ আহমেদকে তিনতলার ছাদের ওপর থেকে উপুড় করে (অর্থাৎ মাথা নিচের দিকে দিয়া) বিল্ডিংয়ের সামনের অংশের নিচে ফেলে দেয়।
পরবর্তীতে তার লাশ সদর হাসপাতালে রেখে দিয়ে যায়। তৎকালীন সরকারের নির্দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধটি সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে ওই ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন বলে লিখিত বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগ দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারেক আহাম্মদ ছিদ্দিকী, সাবেক এ.ডি.জি র্যাব মে. জে. জিয়াউল আহসান, র্যাব-১১ এর সাবেক সি.ই.ও এবং আলোচিত নারায়নগেঞ্জর সাত খুন মামলার আসামি তারেক সাইদ মোহাম্মদসহ ৪১ জনের নামে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি মামুনসহ ৮ জন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে
১ দিন আগে
রাজউকে প্লট নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রাজউক থেকে প্লট নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো করা হয়। দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, দুই মামলায় আলাদা করে শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি: খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
জয়কে প্রধান আসামি দেখানো মামলায় সহায়তায়কারী হিসেবে শেখ হাসিনাকেও আসামি করা হয়েছে। এছাড়া শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি দেখানো মামলায় গৃহায়ন ও রাজউক কর্মকর্তাসহ মোট আটজনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
মামলার আসামিরা হলেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক রাজউক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী আনিছুর রহমান মিঞা (পিএএ), জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক সদস্য শফিউল হক, মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (ইঞ্জিনিয়ার) ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ।
অন্যদিকে, জয়ের বিরুদ্ধে করা মামলায় শেখ হাসিনা এবং গৃহায়ন ও রাজউক কর্মকর্তাসহ মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন—সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার।
এছাড়া সাবেক রাজউক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী আনিছুর রহমান মিঞা (পিএএ), প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ), মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (ইঞ্জি), পরিচালক কামরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ ও পরিচালক নুরুল ইসলামও রয়েছেন এই মামলায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ মালিকানায় এবং তার ছেলে, মেয়ে, বোন, বোনের মেয়ে ও বোনের ছেলের নামে ঢাকা শহরে বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা আবাসন সুবিধা থাকার পরও তা হলফনামায় গোপন করে পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পের বরাদ্দ সংক্রান্ত আইনবিধি ও নীতিমালা এবং আইনানুগ পদ্ধতি লঙ্ঘন করেছেন। তার দপ্তরসহ প্রকল্পের বরাদ্দ-বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) গণকর্মচারীদের প্রভাবিত করে নিজে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্বে বহাল থাকা অবস্থায় নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের অতি মূল্যবান কূটনৈতিক এলাকায় ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার প্লট নম্বর ০০৯ নিজ নামে দখলসহ রেজিস্ট্রিমূলে গ্রহণ করে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৬১/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় দণ্ডযোগ্য অপরাধ করেছেন আসামিরা।
এর আগে, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউক থেকে প্লট গ্রহণের অভিযোগে শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা হয়। প্রতিটি মামলায় ১২ থেকে ১৩ জন রাজউক ও গৃহায়নের কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পূর্বাচলের প্লট বরাদ্দ: হাসিনাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
৩ দিন আগে
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ অনুরোধে নীরব ভারত, অপেক্ষায় বাংলাদেশ
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে বাংলাদেশের অনুরোধের বিষয়ে ভারত আর কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, 'আপনারা জানেন, এক সপ্তাহ আগে আমি নিশ্চিত হয়েছি যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপারে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমরা একটি বার্তা পেয়েছি। এর বাইরে এই মুহূর্তে আমার আর কিছু বলার নেই।’
বৃহস্পতিবার(২ জানুয়ারি) নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম গত রবিবার বলেছেন, তারা শুনেছেন ভারত তাকে ফেরত দেবে না।
উপদেষ্টা বলেন, 'আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো তারা একটি রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তারা তাকে ফেরত দেবেন না। আমরা এমনটিই শুনছি।’
নয়া দিল্লির কাছ থেকে জবাব না পেলে নির্দিষ্ট সময় পর স্মরণ করিয়ে দেবে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়র মুখপাত্র মো. রফিকুল আলম বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমরা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করব। সোমবারই কূটনৈতিক চিঠি (নোট ভারবাল) হস্তান্তর করা হয়েছে। '(ভারতের পক্ষ থেকে) কোনো জবাব না এলে আবারও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে জবাবের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। ‘এই মুহুর্তে, আমরা কোনো মন্তব্য করব না, কারণ আমরা উত্তরের জন্য অপেক্ষা করব।’
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যা, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ ব্যাপক অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে। এর ফলে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মনমোহন সিংয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারতীয় হাইকমিশনে প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ও ভারত ২০১৩ সালে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি সেই করেছে। পরে ২০১৬ সালে এটি সংশোধন করা হলে তা এক ধরনের অনুরোধের জন্য একটি আইনি কাঠামোতে পরিণত হয়।
২০১৬ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ও ভারত তাদের দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির ১০(৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করে। যাতে পলাতক অপরাধীদের দ্রুত হস্তান্তর করা যায়।
এদিকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার পুনর্ব্যক্ত করেন, তাদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশে চলমান কার্যক্রমে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিশ্চিত করা হবে। ‘এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
আরও পড়ুন: ‘ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় আসছেন’ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ সপ্তাহ আগে
শেখ হাসিনাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মাইকেল চাকমার অভিযোগ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে তিনি এ অভিযোগ দায়ের করেন। প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান অভিযোগটি গ্রহণ করেন।
এ সময় মাইকেল চাকমার সঙ্গে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, অধিকারকর্মী রেহনুমা আহমেদ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, শেখ হাসিনাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মাইকেল চাকমা অভিযোগ দাখিল করেছেন। এছাড়া বাকি আটজনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে এসে প্রসিকিউশনে মৌখিক অভিযোগ করেন মাইকেল চাকমা। অভিযোগ দায়ের করার পর সেদিন মাইকেল চাকমা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি মনে করি যে প্রতিহিংসার আমি শিকার হয়েছি, প্রধান আসামি হিসেবে আমার গুমের জন্য শেখ হাসিনাকেই দায়ী করছি। তার সঙ্গে আরও যারা জড়িত ছিল, তাকে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দিয়েছি।’
পরে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মাইকেল চাকমার অভিযোগ আমলে নিয়েছি। এখন থেকেই তার অভিযোগের তদন্ত শুরু করব।’
২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে সাংগঠনিক কাজ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে মাইকেল চাকমা গুমের শিকার হন।
আরও পড়ুন: থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করবে দুদক
মাইকেলকে উদ্ধারের দাবিতে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠন, প্রগতিশীল ও মানবাধিকার সংগঠন, শিক্ষক-নাগরিক সমাজসহ পরিবারের লোকজন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরাও মাইকেলের সন্ধান দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিল।
পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের ও মাইকেলের সন্ধান চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করা হলেও তাকে উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিগত সরকার।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দীর্ঘ ৫ বছর ৩ মাস পর গত ৭ আগস্ট অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্তি পান মাইকেল চাকমা।
ওইদিন ভোরের দিকে চট্টগ্রামের একটি স্থানে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ সপ্তাহ আগে
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চায় ঢাকা, দিল্লিকে চিঠি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনৈতিক চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লেখা নোট ভারবালের কথা উল্লেখ করে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ভারতকে অবহিত করেছি।’
গত ১২ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির অনুরোধ জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলামকে চিঠি দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও একই ধরনের চুক্তি রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশন গঠন
পলাতক অপরাধীদের দ্রুত হস্তান্তর করার সুবিধার্থে ২০১৬ সালের জুলাইতে বাংলাদেশ ও ভারত তাদের দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির ১০(৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করে।
৫ আগস্ট পদত্যাগের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। এর পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
৩ সপ্তাহ আগে
পরমাণু প্রকল্প দুর্নীতি: শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থপাচারের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের পাঁচজন কর্মকর্তার একটি বিশেষ দল পুরো তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন অফশোর ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘অতিরিক্ত মূল্যের’ ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলারের মধ্যে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, পুরো পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ সংক্রান্ত সন্দেহজনক ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এসব লোক মালয়েশিয়ার বিভিন্ন অফশোর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে
ঘুষ, অব্যবস্থাপনা, অর্থ পাচার এবং ক্ষমতার সম্ভাব্য অপব্যবহারের অভিযোগ প্রকল্পের সততা এবং সরকারি তহবিলের ব্যবহার সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য উদ্বেগকে তুলে ধরা হয়েছে অভিযোগে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের হাওরের পানি নিষ্কাশনে ধীরগতি, বিপাকে কৃষক
টিউলিপের পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা টিউলিপের চাচা তারেক আহমেদ সিদ্দিক, তার স্ত্রী ও মেয়ে প্রচ্ছয়া লিমিটেড নামের একটি ভুয়া কোম্পানির অংশীদার (ইনকরপোরেশন সার্টিফিকেট নম্বর সি-৭৫৬৫৯/০৯, তারিখ ২৫ মার্চ ২০০৯) রয়েছে।
ডেসটিনি গ্রুপ নামের একটি স্ল্যাশ ফান্ড চিট ফান্ড কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯০ কোটি ডলার পাচার করে যুক্তরাজ্যে জুমানা ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড প্রপার্টিজ লিমিটেড [ইনকরপোরেশন সার্টিফিকেট নম্বর ৭৪ ১৭৪১৭ তারিখ ২৫ অক্টোবর, ২০১০] নামে একটি কোম্পানি গঠন করেছে যুক্তরাজ্যে।
যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন পত্রিকায় দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর থেকে লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক মস্কোর সঙ্গে গোপন যোগাযোগ বজায় রেখেছেন।
শেখ হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ৩০ কোটি ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ২০১৪ সালে রিজভী আহমেদ বনাম যুক্তরাষ্ট্র মামলায় অর্থ পাচারের সন্দেহজনক আসামি হিসেবে জয়ের নাম প্রথম উঠে আসে।
পরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে জয়ের সঙ্গে জড়িত গুরুতর আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়টি উদঘাটিত হয়।
বিশেষ করে হংকং ও কেইম্যান আইল্যান্ডের বিভিন্ন অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তার নামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডনে একটি স্থানীয় মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্থ পাচার হচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাও তাদের লন্ডন প্রতিনিধির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং জয়ের গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও অর্থপাচারের প্রমাণ পেয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের সিনিয়র ট্রায়াল অ্যাটর্নি লিন্ডা স্যামুয়েলস স্পেশাল এজেন্ট লা প্রেভোটের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩০ কোটি ডলার জমা হয়েছে।
৯ প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি
শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, ছোট বোন শেখ রেহানা এবং ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ৮০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে নতুন করে অনুসন্ধান শুরু করেছে কমিশন।
২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ ৯টি প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন কার্যালয় এবং বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে প্রাথমিক পরিচয়পত্রের নথিপসমূহ সংগ্রহ করেছে দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান টিম।
সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নামে চলমান অফশোর ব্যাংক হিসাবের প্রাসঙ্গিক নথি ও বিবরণী সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) একটি বিশেষ চাহিদা প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
৩ সপ্তাহ আগে
১৬ বছরে দেশকে শ্মশানে পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা: টুকু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, শেখ হাসিনা ১৬ বছরে দেশকে শ্মশানে পরিণত করেছেন। আইন, বিচার, পুলিশ প্রশাসনসহ সব সেক্টর ধ্বংস করে দিয়েছেন। লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের কোনাবাড়ি ইছাহাক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষকেই নয়, তিনি নিজের দল আওয়ামী লীগকেও বিপদে ফেলে দিল্লি চলে গেছেন। এখন তিনি দিল্লি বসে আবারও বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় বসার ষড়যন্ত্র করছেন। হাসিনা যে টাকা লুট করে নিয়ে গেছে, তা দিয়ে ১০০টা পদ্মা সেতু বানানো যেত।’
তিনি বলেন, ‘ধ্বংপ্রাপ্ত বাংলাদেশকে পুনরুজ্জীবীত করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন। এই কর্মসূচি জাতীয় সরকার গঠনের মাধ্যমে দেশের সব সেক্টরে উন্নয়ন ও জনগণের অধিকার নিশ্চিতসহ সমৃদ্ধশালী দেশ উপহার দেবে। তাই আগামী নির্বাচনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ও বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারী দলগুলোকে ক্ষমতায় বসাতে হবে।’
আরও পড়ুন: সতর্ক থাকুন, দেশকে কেউ যেন বিভক্ত করতে না পারে: মির্জা ফখরুল
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ মুজিবের হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের একটি অরাজক পরিবেশের পোড়ামাটি থেকে সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিলেন। বাংলাদেশের শ্রমিকদের বিদেশে পাঠিয়েছিলেন এবং রেমিটেন্স যোদ্ধা তৈরি করে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছিলেন। তার সন্তান তারেক রহমান ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে দেশকে আবারও একটি উন্নত দেশ বানাবেন।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর অপকর্ম, লুটপাট ও খুনে বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। বিচার থেকে কেউ রক্ষা পাবে না।’
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এখনও দেশে আওয়ামী লীগ রয়েছে। আপনাদের মুখরোচক কথা বলে মিলতাল দিয়ে থাকবে। কিন্তু আপনারা তাদের কথায় ভুলবেন না, আওয়ামী লীগ থেকে সজাগ থাকবেন।
কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদিউজ্জামান ফেরদৌসের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রোমানা মাহমুদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক ভিপি শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট, স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, যুবদলের সভাপতি মির্জা বাবু প্রমূখ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সংগীত নিয়ে কাজ করতে চান রাহাত ফাতেহ আলী খান
৩ সপ্তাহ আগে
শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়: পলক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সময় সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয় বলে জানিয়েছন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদে পলক ইন্টারনেট বন্ধের কথা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আট কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির, অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল ও শুনানি নিয়ে আদালতের আদেশের পর চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পলক স্বীকার করেছেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আর ইন্টারনেট বন্ধের এ নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, পলক নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের ও আন্তর্জাতিক ইন্টারনেটের সব গেটওয়ে বন্ধ রাখা হয়। ইন্টারনেট বন্ধের উদ্দেশ্য ছিল গণহত্যার বিষয় যেন কেউ জানতে না পারে।
আরও পড়ুন: রিমান্ডে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি পলক
এর আগে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পলককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে পলক ওই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে আজ চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
জুলাইয়ে কোটা আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট বন্ধ করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১২ ডিসেম্বর অনুমতি দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গতকাল বুধবার তাকে তদন্ত সংস্থায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
৪ সপ্তাহ আগে
শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছেন শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তারা ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন।
শহীদ পরিবারের পক্ষে অ্যাডভোকেট উদয় তাসমীর এই অভিযোগ দাখিল করেন।
পরে তিনি গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর ২টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পিলখানা গণহত্যায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা এই অভিযোগ জমা দেন।
এসময় তৎকালীন বিডিআর-এর ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ, কর্নেল মুজিবুর হকের স্ত্রী ফেরদৌসী, কর্নেল কুদরত এলাহীর ছেলে সাকিব রহমানসহ ১৫-২০ জনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যরা। সেই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান। এ ঘটনায় করা দুই মামলার মধ্যে হত্যাযজ্ঞের মামলার বিচার কাজ হাইকোর্ট বিভাগে সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলা এখনো নিম্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা-রেহানার ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ
হত্যাযজ্ঞের মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় দেন বিচারিক আদালত। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ১৬০ জনের। ১০ বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজা হয় ২৫৬ জনের। খালাস পান ২৭৮ জন।
আপিলের পর হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর রায় দেওয়া হয়। রায়ে ফাঁসি বহাল রাখা হয় ১৩৯ জনের। যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। ২২৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। খালাস পান ৪৫ জন।
উচ্চ আদালতে খালাস পাওয়া ও সাজা কমা ৮৩ জনের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করেছে। পাশাপাশি আসামিপক্ষেও লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিতে পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের তদন্তে জাতীয় স্বাধীন কমিশন/কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে গত মাসে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী তানভীর আহমেদ ও বিপ্লব কুমার পোদ্দার।
পরবর্তী সময়ে প্রকৃত সত্য বের করতে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিটি বা কমিশন গঠন করতে এবং ‘শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণার পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে ৩ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রসচিব বরাবর আবেদন করেন রিটকারীরা।
এরপর রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৫ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। স্বরাষ্ট্রসচিব বরাবর করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আবেদনটি ১০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে স্বরাষ্ট্রসচিবের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে ২ ডিসেম্বর জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শুরু করেছে বলে সেদিন হাইকোর্টকে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। পাশাপাশি দুই সপ্তাহ সময়ের আরজি জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আদেশের জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন রাখেন। পরে গত ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯ সালে রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদরদপ্তরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মামলা চলমান থাকায় আপাতত জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠন করা যাচ্ছে না বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সহকারী সচিব মো. মফিজুল ইসলামের সই করা স্মারকে বলা হয়েছে, সাবেক বিডিআর ও বর্তমান বিজিবি হেডকোয়ার্টার ঢাকায় ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা করা হয়।
হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ, ১৬১ জন যাবজ্জীবন, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ এবং ২৭৮ জনকে খালাস দেওয়া হয়। পরবর্তীতে হাইকোর্টে শুনানি শেষে রায় প্রকাশ করা হয়। বর্তমানে মামলাটি আপিল বিভাগে শুনানি চলমান রয়েছে।
অপর মামলাটি বকশী বাজারের অস্থায়ী আদালতে বিচারাধীন থাকায় আবেদনকারীর চাহিদা অনুযায়ী প্রস্তাবিত কমিটি গঠন আদালতের আদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে বিধায় আপাতত কমিটি গঠন সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছে। আদালতে দুটি মামলা বিচারাধীন থাকায় এ পর্যায়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি।’
এ তথ্য জানার পর গতকাল রবিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটির শুনানি ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রকাশ
৪ সপ্তাহ আগে