শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়: পলক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সময় সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয় বলে জানিয়েছন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদে পলক ইন্টারনেট বন্ধের কথা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আট কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির, অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল ও শুনানি নিয়ে আদালতের আদেশের পর চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পলক স্বীকার করেছেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আর ইন্টারনেট বন্ধের এ নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, পলক নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের ও আন্তর্জাতিক ইন্টারনেটের সব গেটওয়ে বন্ধ রাখা হয়। ইন্টারনেট বন্ধের উদ্দেশ্য ছিল গণহত্যার বিষয় যেন কেউ জানতে না পারে।
আরও পড়ুন: রিমান্ডে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি পলক
এর আগে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পলককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে পলক ওই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে আজ চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
জুলাইয়ে কোটা আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট বন্ধ করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১২ ডিসেম্বর অনুমতি দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গতকাল বুধবার তাকে তদন্ত সংস্থায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
২ দিন আগে
শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছেন শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তারা ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন।
শহীদ পরিবারের পক্ষে অ্যাডভোকেট উদয় তাসমীর এই অভিযোগ দাখিল করেন।
পরে তিনি গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর ২টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পিলখানা গণহত্যায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা এই অভিযোগ জমা দেন।
এসময় তৎকালীন বিডিআর-এর ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ, কর্নেল মুজিবুর হকের স্ত্রী ফেরদৌসী, কর্নেল কুদরত এলাহীর ছেলে সাকিব রহমানসহ ১৫-২০ জনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যরা। সেই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান। এ ঘটনায় করা দুই মামলার মধ্যে হত্যাযজ্ঞের মামলার বিচার কাজ হাইকোর্ট বিভাগে সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলা এখনো নিম্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা-রেহানার ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ
হত্যাযজ্ঞের মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় দেন বিচারিক আদালত। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ১৬০ জনের। ১০ বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজা হয় ২৫৬ জনের। খালাস পান ২৭৮ জন।
আপিলের পর হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর রায় দেওয়া হয়। রায়ে ফাঁসি বহাল রাখা হয় ১৩৯ জনের। যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। ২২৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। খালাস পান ৪৫ জন।
উচ্চ আদালতে খালাস পাওয়া ও সাজা কমা ৮৩ জনের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করেছে। পাশাপাশি আসামিপক্ষেও লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিতে পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের তদন্তে জাতীয় স্বাধীন কমিশন/কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে গত মাসে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী তানভীর আহমেদ ও বিপ্লব কুমার পোদ্দার।
পরবর্তী সময়ে প্রকৃত সত্য বের করতে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিটি বা কমিশন গঠন করতে এবং ‘শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণার পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে ৩ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রসচিব বরাবর আবেদন করেন রিটকারীরা।
এরপর রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৫ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। স্বরাষ্ট্রসচিব বরাবর করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আবেদনটি ১০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে স্বরাষ্ট্রসচিবের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে ২ ডিসেম্বর জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শুরু করেছে বলে সেদিন হাইকোর্টকে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। পাশাপাশি দুই সপ্তাহ সময়ের আরজি জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আদেশের জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন রাখেন। পরে গত ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯ সালে রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদরদপ্তরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মামলা চলমান থাকায় আপাতত জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠন করা যাচ্ছে না বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সহকারী সচিব মো. মফিজুল ইসলামের সই করা স্মারকে বলা হয়েছে, সাবেক বিডিআর ও বর্তমান বিজিবি হেডকোয়ার্টার ঢাকায় ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা করা হয়।
হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ, ১৬১ জন যাবজ্জীবন, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ এবং ২৭৮ জনকে খালাস দেওয়া হয়। পরবর্তীতে হাইকোর্টে শুনানি শেষে রায় প্রকাশ করা হয়। বর্তমানে মামলাটি আপিল বিভাগে শুনানি চলমান রয়েছে।
অপর মামলাটি বকশী বাজারের অস্থায়ী আদালতে বিচারাধীন থাকায় আবেদনকারীর চাহিদা অনুযায়ী প্রস্তাবিত কমিটি গঠন আদালতের আদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে বিধায় আপাতত কমিটি গঠন সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছে। আদালতে দুটি মামলা বিচারাধীন থাকায় এ পর্যায়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি।’
এ তথ্য জানার পর গতকাল রবিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটির শুনানি ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রকাশ
২ দিন আগে
শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রকাশ
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে দুই বিচারপতির সইয়ের পর এ আদেশ প্রকাশ করা হয়।
আদেশের অনুলিপি বিটিআরসিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
শেখ হাসিনা লন্ডনে ভার্চুয়ালি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা বিদ্বেষমূলক কিনা, তা খতিয়ে দেখে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন প্রসিকিউশন।
এর আগে প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে লন্ডনের আইনজীবীর মামলা
একইসঙ্গে শেখ হাসিনা আগে যত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তা সব মাধ্যম থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেওয়া হয়। তথ্য সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে এ আদেশ এখন থেকেই বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
সেদিন ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বলেছিলেন, শেখ হাসিনা গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পলাতক আসামি। তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তিনি পলাতক থাকা অবস্থায় বিদেশে বসে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার ভিকটিম ও সাক্ষীরা ভয়-ভীতির মধ্যে রয়েছে। এতে বিঘ্ন হচ্ছে তদন্তকাজ।
এ সময় শেখ হাসিনার দুটি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন প্রসিকিউটর তামিম।
একটি বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন যারা বেশি বাড়াবাড়ি করছে তারা ভালো থাকবে না। ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখ। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমার বিরুদ্ধে তো ২২৭টি মার্ডার কেস হয়েছে। ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি। এক মামলায় যে শাস্তি, ২২৭ জনের মামলায়ও একই শাস্তি। এবার এলে আর ডেভেলপমেন্ট করব না, করব সংস্কার।’
এ ধরনের বক্তব্য আন্তর্জাতিক আইনেরও পরিপন্থি। এ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল জানতে চান, এসব বক্তব্য শেখ হাসিনার কিনা?
তখন প্রসিকিউটর বলেন, অনেক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার এই বক্তব্য এসেছে। ভিডিও রেকর্ডও আছে। পরে ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
গত ১৮ নভেম্বর জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
তদন্ত শেষ করে আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া আদালতে হাজির হওয়া আনিসুল হকসহ ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে দেশে ফিরিয়ে আনতে আদেশও দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
১ সপ্তাহ আগে
‘শেখ হাসিনার সঙ্গে বন্ধুত্বের জন্য ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে দুশমনি করছে’
ভারত শেখ হাসিনার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখার জন্য বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে দুশমনি শুরু করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অন্য কোনো দেশ কিংবা অন্য কোনো শক্তির কাছে মাথা নত করবে না।’
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আসাদুজ্জামান রিপন এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, রাজনীতিতে পরিবর্তন দরকার। তারও আগে দরকার ভালো মানুষ হওয়া। এছাড়া ভালো মানুষ সংসদে গেলে ভালো সরকার গঠন হবে। তাহলেই মানুষ সুশাসন পাবে। ৫ আগস্টের আগের পরের রাজনীতি সম্পূর্ণ আলাদা। মানুষ এখন দুর্বৃত্তপনা ও চাঁদাবাজি পছন্দ করে না। এ ধরনের রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতে পরিবর্তন ও সংস্কার দরকার। দেশে সংকট চলছে। তবে সংকট উত্তরণের পথ হচ্ছে নির্বাচন।
আসাদুজ্জামান রিপন নিজের সম্পর্কে বলেন, কখনও এমপি হলে আমার সঙ্গে আপনাদের ঢাকায় গিয়ে দেখা করতে হবে না। গ্রামে এসে আপনাদের সঙ্গে দেখা করব। এমপি হলে ব্যবসা কিংবা অন্য কিছু করা যাবে না।
আরও পড়ুন: আজ হোক বা কাল, রাজনীতিবিদরাই দেশ চালাবে: উপদেষ্টা
তিনি বলেন, আজ আমি কোনো মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে আসিনি। আমি হারামের রাস্তায় চলি না। হালালের পথে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। আমি ব্যানার পোস্টারের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।
উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান বেপারী।
জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান খানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আতিকুর রহমান, ঢাকা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সহকারী পিপি ওয়াহিদুজ্জামান টিটু, উপজেলা বিএনপির সদস্য মহসীন মোড়ল, কামাল হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী থেকে ইউপি সদস্য পর্যন্ত সবার জবাবদিহিতা চান তারেক
২ সপ্তাহ আগে
শেখ হাসিনা না পালালে তার হাড্ডি মাংস খুঁজে পাওয়া যেত না: মান্না
শেখ হাসিনা না পালালে তার হাড্ডি মাংস খুঁজে পাওয়া যেত না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। কারণ পালানো ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা ছিল না।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) খুলনার উমেশচন্দ্র লাইব্রেরিতে নাগরিক ঐক্য খুলনায় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশের পুলিশগুলো কি ভোট দিতে দেয়? কোনো ঘুষ ছাড়া কি কাজ করে? এখন পুলিশ কি কোনো তদন্তে যায়? এই পুলিশগুলো বদলাতে হবে। নতুন পুলিশ বাহিনী সাজান।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দায়িত্ব হচ্ছে একটা ভালো ভোটের ব্যবস্থা করা।
আরও পড়ুন: আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভোট ব্যবস্থা ধ্বংস করার মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। মানুষের অধিকার নষ্ট করেছে।
তিনি আরও বলেন, মানুষ ভোট দিতে এসে দেখে ভোট আগেই হয়ে গেছে, বা পুলিশ তাকে ঢুকতে দেয়নি। দিনের ভোট আগের রাতে হয়ে গেছে।
মান্না বলেন, এত বড় গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা কোনো চাদাবাজ দেখতে চাই না, মাস্তানি দেখতে চাই না, দখলবাজিত্ব দেখতে চাই না।
পরিবর্তনের একটা অন্যতম বিষয় হচ্ছে আমরা একটা ভালো ভোট চাই বলে জানান নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি আরও বলেন, সম্প্রতি আন্দোলনে দুটি মেট্রো স্টেশন ধ্বংস হয়েছিল। এটি পুনরায় নির্মাণ করতে শেখ হাসিনা বলেছিল ৩০০ কোটি খরচ হবে। এটি নির্মাণ করতে ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ৩০ কোটি টাকা খরচ করে বাকি টাকা পাচার করতেন। চোর যদি আপনার দেশ শাসন করে, তাহলে আপনার দেশের উন্নতি হতে পারে না।
খুলনার সভাপতি আইনজীবী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার। আলোচক ছিলেন খুলনা জেলা শাখার নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক আইনজীবী আব্দুল মজিদ হাওলাদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাগরিক ঐক্য দপ্তর সম্পাদক এস এম মহিদুজ্জামান মহিদ। এছাড়া নাগরিক ঐক্য’র খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোজিনা ইসলাম ও মান্নার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হবে: আইন উপদেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে
নতুন রূপে ফিরে আসতে চাইছে শেখ হাসিনা ও তার দোসররা: সারজিস
ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়ে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, নানামুখী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও তাদের দোসররা নতুন রূপে ফিরে আসতে চাইছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের প্রতিহত করতে প্রয়োজনে ছাত্র-জনতা আবারও সড়কে নামবে।’
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের মাদারবাড়ী প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গণঅভ্যুত্থানে নিহত চট্টগ্রামের ১০৫ পরিবারকে আর্থিক সহায়তাদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সারজিস আলম।
আরও পড়ুন: আমরা ব্যর্থ হলে কারও অস্তিত্ব খুনি হাসিনা রাখবে না: সারজিস আলম
জুলাই আন্দোলনে নৃশংসতার বর্ণনা দিয়ে সারজিস বলেন, শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া কীট রয়েছে। যদি তাদের পাখা গজায় তাহলে ৫ বছর পর তারা শহীদ পরিবারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। তাই খুনিরা যেন কোনোভাবেই পুনর্বাসনের সুযোগ না পায় সেজন্য সচেতন থাকতে হবে।
প্রয়োজনে আবারও জীবন বাজি রাখতে তারা প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন সারজিস।
অনুষ্ঠানে আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সারজিস আলম। প্রতিটি পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়।
২ সপ্তাহ আগে
আইসিসিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিচার চাইবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় 'গণহত্যা' এবং গুমের হাজার হাজার ঘটনার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আইসিসির প্রসিকিউটর করিম এ এ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে অধ্যাপক ইউনূস এ কথা বলেন।
আইসিসির প্রসিকিউটর বলেন, তারা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সহযোগিতা করতে চান। আদালতটি এরই মধ্যে শেখ হাসিনা ও তার রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমার পরিস্থিতি, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক প্রচেষ্টা এবং জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত নৃশংসতার ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিয়ে আলোচনা হয়।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিশেষ বৈশ্বিক সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানকে সমর্থন করেন করিম খান।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০২৫ সালে সম্মেলন আয়োজনে সম্মত হয়েছে। তিনি বলেন, এই সম্মেলন থেকে সংকটের টেকসই সমাধানের নতুন দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সম্মেলনের স্থান, তারিখ এবং পদ্ধতিগুলোর বিষয়ে ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই সম্মেলন রোহিঙ্গা সংকট, বিশেষ করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ও তাদের ছোট শিশুদের দুর্দশার টেকসই সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সকল অংশীজনদের এক টেবিলে নিয়ে আসবে।
ক্যাম্পে ভবিষ্যতের আশা ছাড়াই বেড়ে ওঠা তরুণদের কথা উল্লেখ করে ইউনূস বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে এটি পরিব্যপ্ত না হয়।’
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশে আরও হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢল এবং মিয়ানমারের সর্বশেষ ঘটনাবলী বাংলাদেশে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন:জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
প্রধান উপদেষ্টা বাস্তুচ্যুত লোকদের সহায়তা এবং চলমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অভ্যন্তরে একটি নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলার তার সাম্প্রতিক আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘জোনের নিরাপত্তা জাতিসংঘের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা উচিত। যুদ্ধ বন্ধ হলে নিরাপদ এলাকায় বসবাসকারী লোকজন সহজেই নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যেতে পারবেন।
প্রসিকিউটর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন যে, তার কার্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের বিষয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মিয়ানমার সামরিক সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছে।
বৈঠকে রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলিউর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান প্রসিকিউটর খান ও তার আইসিসি প্রতিনিধিদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন।
রহমান বলেন, 'আইসিসি প্রতিষ্ঠার জন্য রোম সংবিধিতে প্রথম এশীয় সইকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম এবং আমরা আগামী দিনগুলোতে আমাদের সহযোগিতা আরও গভীর করার প্রত্যাশায় রয়েছি।’
আরও পড়ুন: নেতানিয়াহু ও হামাসের নিহত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
৩ সপ্তাহ আগে
প্রধানমন্ত্রীর হাতে সব ক্ষমতা দেওয়ায় হাসিনার মতো দৈত্য সৃষ্টি হয়েছিল: আমির খসরু
প্রধানমন্ত্রীর হাতে সব ক্ষমতা দেওয়ায় শেখ হাসিনার মতো দৈত্য সৃষ্টি হয়েছিল মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সেই দৈত্য সৃষ্টি যাতে আর সৃষ্টি না হয়, সেজন্য ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে বুধবার (২০ নভেম্বর) কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জনসভায় আমির খসরু বলেন, ‘ক্ষমতার বন্টন ও ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকবে না। ইতোমধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিএনপির বক্তব্য পরিষ্কার করেছেন।’
‘আগামী দিনে জনগণ যদি বিএনপিকে রায় দেয়, তাহলে তারেক রহমান জাতীয় সরকার গঠনের যে ঘোষণা দিয়েছেন, সরকার সেই ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ: ফখরুল
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজিত জনসভায় উলিপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হায়দার আলী মিঞার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপমন্ত্রী ও দলটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাসভীরুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসাইন কায়কোবাদ প্রমুখ।
জনসভায় জেলা ও উপজেলার থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত হন।
১ মাস আগে
এক মাসের মধ্যে হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলার প্রতিবেদন এক মাসের মধ্যে দিতে তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি মো. তাজুল ইসলাম জানান, বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
তিনি বলেন, পলাতক আসামিদের বিষয়ে আদালতকে জানাতে তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া এ বিষয়ে শুনানির জন্য ১৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে সকালে নয়জন সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে ট্রাইবুনালে হাজির করা হয় এবং তাদের এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: হাসিনার স্বৈরতন্ত্রকে সহজতর করেছে বিচার বিভাগ: টিআইবির নির্বাহী পরিচালক
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর সোমবার তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এসব আসামির সবাই অন্য মামলায় কারাগারে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ট্রাইব্যুনালের যাদের হাজির হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন-সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শ্রমিক পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।
এছাড়াও রয়েছেন-সাবেক মন্ত্রী ড. দীপু মনি, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা এবং ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম।
সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে হাজির করার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তাকে হাজির করা যায়নি।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর ১৪ আসামিকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে হাজির করার নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়া সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল কাফি, আরাফাত হোসেন, আবুল হাসান ও মাজহারুল ইসলামকে ২০ নভেম্বর আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ ও হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তথ্যপ্রযুক্তিতে জমা পড়ে। জুলাই ও আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ১০০০ এর বেশি মানুষ নিহত এবং বহু মানুষ আহত হন।
আরও পড়ুন: ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনাকে গ্রেপ্তারে আইজিপিকে আইসিটির প্রধান কৌঁসুলির চিঠি
১ মাস আগে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে লন্ডনের আইনজীবীর মামলা
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিসভার সদস্য এবং কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন লন্ডনের ‘থ্রি বোল্ট কোর্ট চেম্বার্স’-এর ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিন।
গত ২৮ অক্টোবর রোম সংবিধির ১৫ অনুচ্ছেদের আওতায় আইসিসিতে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এতে বিস্তারিত বিবরণ, বিভিন্ন প্রতিবেদন ও ভিডিও প্রমাণের সহায়তায় শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিসভা এবং সহযোগীদের মানবতাবিরোধী অপরাধের নিরপেক্ষ তদন্ত চাওয়া হয়েছে।
আরও দায়মুক্তি রোধে মূল সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতেও আইসিসিকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
১ মাস আগে