শেখ হাসিনা
বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা দায়ের করা হয়নি।
তিনি বলেন, 'যারা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের (বিএনপি) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তারা অপরাধ করেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
শুক্রবার গণভবনে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এসব অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করতে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ছেন প্রধানমন্ত্রী: অর্থমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা, দুর্নীতি, অস্ত্র চোরাচালান ও গ্রেনেড হামলার মতো অপরাধ করার জন্য এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন প্রতিহত করতে বিএনপি ২০১৩ ও ২০১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ৩ হাজার ৮০০ কার, বাস, লঞ্চ ও ট্রেন পুড়িয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সহিংসতার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা ২৮ অক্টোবর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল এবং নির্বাচন বানচাল করতে ট্রেনে আগুন দিয়ে একজন মা ও তার সন্তানকে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, ‘যারা এসব কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত নয়? মানুষ কি তাদের পূজা করবে?'
তিনি বলেন, ‘আজকে তারা সব জায়গায় বলে বেড়াচ্ছে যে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের কাছে জানতে চাওয়া উচিত কীসের জন্য মামলাগুলো করা হয়েছে।’
বিএনপির ৬০ লাখ নেতা-কর্মী কারাগারে আছে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের কারাগারগুলোর এত লোককে জায়গা দেওয়ার সক্ষমতা নেই।
তিনি বলেন, 'তারা দাবি করছে যে তাদের ৬০ লাখ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে, কিন্তু আমাদের (কারাগারগুলোর) সেই সামর্থ্যও (এত লোককে জায়গা দেওয়ার) নেই।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি বিএনপির এত লোক কারাগারে আটক থাকে, তার মানে এখন যারা কারাগারে আছে তারা সবাই তাদের লোক এবং সেখানে অন্য কোনো অপরাধী নেই।
তিনি আরও বলেন, 'এর অর্থ হচ্ছে ওখানকার সব অপরাধী (যারা কারাগারে আছে) বিএনপির।’
বিএনপি শাসনামলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর সহিংসতা ও নির্যাতনের ভয়াবহ দৃশ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার প্রতিশোধ নিতে যায়নি, বরং দেশের উন্নয়ন ও জনগণের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে মেধা ও শক্তি কাজে লাগিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সৌভাগ্য যে আমরা ক্ষমতায় আছি। আমরা তাদের মতো প্রতিশোধপরায়ণ নই বলে তারা এখনো কথা বলার (আওয়াজ তোলার) সুযোগ পায়। তারা সারাদিন লাউড স্পিকার ব্যবহার করে কথা বলে এবং তারপর বলে যে তারা কথা বলার সুযোগ পায় না।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফরে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচনের প্রত্যাশা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেষ্ঠ থাভিসিনের আমন্ত্রণে ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংকক সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এটিই হবে বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকার প্রধানের প্রথম সফর।
এই সফর বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে পররাষ্ট মন্ত্রণালয় জানায়, এটি বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
সফরকালে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, অর্থমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের চিকিৎসা ও শিক্ষা অনুদান ফোসার
তিনি আরও বলেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে থাকবেন।
২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেষ্ঠ থাভিসিন এবং তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
একই দিনে গভর্নমেন্ট হাউজে প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
সফরকালে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাকলাওচাওহুয়া এবং ও রানি সুথিদা বজ্রসুধাবিমালাক্ষণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
তার সম্মানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজনে রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।
এই সফরে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কমিশন ফর ইউএনএসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।
২৫ এপ্রিল ইউএনএসকাপে ভাষণ দেবেন তিনি। একই দিনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আরমিদা সালসিয়া আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
'লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৮তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে অঞ্চলব্যাপী সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ হবে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা, মন্ত্রী ও অন্যান্য মূল স্টেকহোল্ডারদের এই অধিবেশনে একত্রিত করা হবে।
এছাড়াও, অংশগ্রহণকারীরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে উন্মোচনের সুযোগগুলো চিহ্নিত করতে এবং টেকসই উন্নয়নে তাদের অবদান জোরদার করার উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করবে।
একটি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা অংশীদার ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে জড়িত হওয়ার সুযোগ দেবে। এখানে ডিজিটাল উদ্ভাবনগুলো প্রদর্শন করা হবে যা এরই মধ্যে এই অঞ্চল জুড়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখছে।
টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অবস্থান অনন্য।
এরই মধ্যে, এই অঞ্চল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল ফিন্যান্স, গভটেক ও ইন্টারনেট অব থিংসের মতো অগ্রণী প্রযুক্তির মাধ্যম ডিজিটালি চালিত উদ্ভাবনের জন্য একটি গতিশীল কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
তবুও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় বিশাল সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করতে আরও দক্ষতা ও ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগানোর জন্য, এই অঞ্চলের একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ইন্ডিপেন্ডেন্স ডিপ্লোম্যাটিক কাপ টেনিস টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সুইডেন ও রানার্স আপ ডেনমার্ক
আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (এসকাপ) ৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসকাপ সম্মেলনটি আগামী ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
সরকারের সিনিয়র এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে আরও থাকবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, সফরকালে একটি দ্বিপক্ষীয় উপাদান যুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে, যাতে অর্ধ ডজন দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নথি সই হতে পারে।
আগামী ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
'লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৮তম অধিবেশনটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে এই অঞ্চলে সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ তৈরি করবে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনার লক্ষ্যে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল স্টেকহোল্ডারদের এই অধিবেশনে মিলিত করবে।
আয়োজকরা বলছেন, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে উন্মোচনের সুযোগগুলো চিহ্নিত করা এবং টেকসই উন্নয়নে তাদের অবদান জোরদার করার পন্থাগুলো নিয়েও আলোচনা করতে সক্ষম হবেন।
একটি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা অংশীদার এবং স্টেকহোল্ডারদের বিস্তৃত পরিসরে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেবে, যারা ইতোমধ্যে ডিজিটাল উদ্ভাবনগুলোর মাধ্যমে এই অঞ্চল জুড়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখছে।
টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এককভাবে অবস্থান করছে।
ইতোমধ্যে, এই অঞ্চলটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল অর্থনীতি, গভটেক এবং ইন্টারনেট অফ থিংসের মতো অগ্রণী প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় পরিচালিত উদ্ভাবনের জন্য একটি গতিশীল কেন্দ্র হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। তবুও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাপক সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করতে আরও দক্ষতা এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে এই অঞ্চলের একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ঈদের শুভেচ্ছায় জনকল্যাণে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর
আসুন সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করি: পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহায়তা চাইলেন শেখ হাসিনা
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৩ এপ্রিল) গণভবনে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি চাই চীন এ অঞ্চলের আরও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করুক।’
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনা রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে আছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর দ্বিতীয় পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণে রোসাটমকে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানান, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো সরকার এই এলাকার উন্নয়নে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
সহযোগিতার বিষয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
নজরুল ইসলাম আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী আগামী জুলাই মাসে চীন সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল: সংসদে শেখ হাসিনা
মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের আনুগত্য নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'মির্জা আসলাম বেগ (যিনি সে সময় বাংলাদেশে সেনা কর্মকর্তা ছিলেন) মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে একটি চিঠি লিখেছিলেন।’
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার(২৬ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, জিয়া বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন নাকি পাকিস্তানের জন্য যুদ্ধ করেছেন, এই প্রশ্ন উঠেছিল।
চিঠির বরাতে তিনি দাবি করেন, মির্জা আসলাম বেগ আরও বলেছেন, জিয়াউর রহমানের স্ত্রী ও সন্তানরা ঢাকা সেনানিবাসে ভালো আছেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের প্রতি আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রশ্ন হচ্ছে, ওই ব্যক্তি যদি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থাকেন, তাহলে কেন পাকিস্তানিরা সেনানিবাসে ওই ব্যক্তির স্ত্রী-সন্তানদের দেখভাল করল এবং চাকরিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে চিঠি লিখল।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের ১১টি সেক্টরে যুদ্ধ হলেও জিয়ার নেতৃত্বাধীন সেক্টরে সবচেয়ে বেশি মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছে সেখানে।’
তিনি আরও বলেন, যে কোন অভিযানের সময় জিয়াউর রহমান নিজেকে নিরাপদ স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের ময়দানে ঠেলে দিতেন এবং বাস্তবতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটত।
তিনি বলেন, 'তিনি (জিয়াউর রহমান) সঠিক নেতৃত্বের অভাবে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ইউএই নেতাদের অভিনন্দন
তিনি উল্লেখ করেন, যে কোনো যুদ্ধে সফল অভিযানের অর্থ হলো কম হতাহতের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো।
জিয়া তা করতে পারেননি, তাই আসলাম বেগ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জেনারেল বেগ ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯১ সালে অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তৃতীয় সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালের ১৭ আগস্ট এক বিমান দুর্ঘটনায় তার পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট জেনারেল মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক নিহত হওয়ার পর তিনি সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান।
২৫ মার্চ রাতে (২৬ মার্চের প্রথম দিকে) স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা তারবিহীনভাবে প্রচার করা হয়েছিল, কিন্তু জাতির পিতাকে হত্যার পর ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘বিকৃত ইতিহাসে বলা হয়, একজন মেজর ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছিল। এভাবে একটি দেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে না। এটা যদি করা যেত তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো।’
তিনি বলেন, এখন বিএনপি নেতারা গণতন্ত্র খুঁজছেন এবং বিএনপির একজন নেতা দাবি করেছেন যে ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। যদি সত্যি হয় তাহলে কে লড়াই করল আর কে জয় এনে দিল।
তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এই সরকার গঠনের পর তারা মেহেরপুরে শপথ নেয় এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বেতনভোগী ব্যক্তি হিসেবে জিয়াউর রহমান ওই সরকারের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘এটা তাদের (বিএনপি নেতাদের) ভুলে গেলে চলবে না। তাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। এই অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিরা সেটাও ভুলে যায়।’
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে বিএনপির এক নেতার শাল পোড়ানোর কাজকে উপহাস করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বিএনপি নেতাদের স্ত্রীদের কাছে থাকা ভারতীয় শাড়ি তল্লাশি করে পুড়িয়ে ফেলতে এবং রান্নাঘরে ভারতীয় পণ্য ব্যবহার বন্ধ করতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষ হত্যার জন্য জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ যাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনে জিততে পারেনি, তারা এখন গণতন্ত্র খুঁজছে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক ও শাজাহান খান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি হুমায়ুন কবির ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি এসএম মান্নান কচি।
সভাটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন ভুটানের রাজা
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছেছেন।
সোমবার(২৫ মার্চ) দুপুরে ভুটানের রাজা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান।
ওয়ান টু ওয়ান মিটিংও করবেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: চার দিনের সফরে সোমবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের রাজা
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ সকালে ঢাকায় পৌঁছান ভুটানের রাজা।
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠনের পর এটিই কোনো বিদেশি অতিথির প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর।
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে তিনটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই হবে এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় সংক্রান্ত আরও একটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হবে।
ভুটানের রাজা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমঝোতা স্মারক সই প্রত্যক্ষ করবেন।
আরও পড়ুন: ভুটানের রাজাকে ঢাকায় লাল গালিচা সংবর্ধনা
বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
আমরা অনেক বছর পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক আন্দোলন সংগ্রামের পর ইতিহাসকে তার ঠিক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি, এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে বলে জানান সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাবা-মাকে আর বৃদ্ধাশ্রমে দিতে হবে না: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
তিনি বলেন, মানুষকে হত্যা করা যায়, কিন্তু তার স্বপ্ন ও আদর্শকে হত্যা করা যায় না। যে কারণে আজও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। আমরা আজ তার কন্যার নেতৃত্বে তার আদর্শ বুকে ধারণ করে এবং স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করে চলছি।
বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল: সংসদে শেখ হাসিনা
আগুন-জঙ্গি হামলার জন্য বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘যারা এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের ক্ষমা করা যায় না। তাদের অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবে অংশ নিয়ে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন।
এ সময় তার বক্তব্যে ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০২৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের সহিংসতা ও অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা প্রদর্শন করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি দিনের পর দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাসে এখনও অনেকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার- এই অভিযোগের বিষয়ে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কারা রাজবন্দী (রাজবন্দী) হিসেবে পরিচিত এবং যারা আগুন জ্বালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে তারা কীভাবে রাজনৈতিক বন্দী হতে পারে। বরং তারা সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও অপরাধী।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের অবৈধ মজুদ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: ডিসিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। যারা গ্রেপ্তার রয়েছেন তারা হয় হুকুমদাতা, সরাসরি ঘটনার সঙ্গে জড়িত বা অর্থদাতা। সুতরাং অর্থদাতা, হুকুমদাতা বা যারা সরাসরি জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় দায়ের করা মামলার সাক্ষী ও নথি দ্রুত নিষ্পত্তি এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ইসরায়েল শিশু ও নারীদের হত্যা করছে। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েল যা করছে, বিএনপির চরিত্র এখানে তেমনই। বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল হয়ে গেছে।’
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত চলতি সংসদের প্রথম অধিবেশন গত ৩০ জানুয়ারি শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে এবং বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশে-বিদেশে অভিযোগ করে কোনো লাভ হবে না। আর বিদেশিরা যা বলবে তাতে দেশ চলবে না। আমরা সব দেশের নির্বাচন দেখেছি।’
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক নারী ও নতুন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'অতীতে এ ধরনের সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি।’
আরও পড়ুন: স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকার সাধারণ নির্বাচনের আগে ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করবে।
আসন্ন জাতীয় বাজেটে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে- আমাদের পাঁচ বছরের মেয়াদে আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়ন করব।’
নতুন মন্ত্রিসভা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার দেশের কল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে এবং চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে এসব পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখবে, সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে, সঠিক ব্যক্তিরা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগী হবে তা নিশ্চিত করবে, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, সরকারি চাকরিতে শূন্য পদে নিয়োগ, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ, নতুন পণ্য উৎপাদন, বাংলাদেশি পণ্যের জন্য নতুন রপ্তানি বাজার অনুসন্ধান করবে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য ও শিল্পের উন্নয়নে উৎসাহিত করা এবং চামড়া, পাটজাত পণ্য ও অন্যান্য পণ্যের সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা নিশ্চিত করা, যা এখন তৈরি পোশাক খাত উপভোগ করছে।
আরও পড়ুন: মুসলিম দেশগুলোকে অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর হাতে জয় বাংলা কনসার্টের ব্যানার-পোস্টার
আসন্ন জয় বাংলা কনসার্টের পোস্টার, ব্যানার, স্যুভিনিয়র ও টি-শার্ট গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর হাতে কনসার্টের পোস্টার, ব্যানার ও স্যুভিনিয়র তুলে দেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
অষ্টমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে জয় বাংলা কনসার্ট।
আরও পড়ুন: পার্লামেন্টে বিক্ষোভের মধ্যেই পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত শেহবাজ শরীফ
প্রধানমন্ত্রীর হাতে কনসার্টের স্যুভিনিয়র ও পোস্টার-ব্যানার তুলে দিয়ে তার ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন সিআরআই ট্রাস্টি নসরুল হামিদ।
সেখানে তিনি লেখেন, ‘জয় বাংলা কনসার্ট প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে ঢাকার বাইরে। তাই বাড়তি উচ্ছ্বাসের সঙ্গে আয়োজনের খুঁটিনাটি নিয়ে এবার আরও বেশি কৌতুহলী তারুণ্যের অদ্বিতীয় ভরসা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের দিনটি স্মরণ করে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) তারুণ্যের প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা প্রতি বছর এই আয়োজন করে আসছে।
এবারই প্রথমবারের মতো ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জয় বাংলা কনসার্ট।
তরুণদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় এই কনসার্ট মাতাতে এবার চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকবেন দেশের জনপ্রিয় ৯টি ব্যান্ড দল। ইয়াং বাংলা তাদের অফিসিয়াল পেজ থেকে যে সব ব্যান্ড দলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যান্ড দলগুলো হলো- আর্টসেল, ক্রিপটিক ফেইট, অ্যাভোয়েড রাফা, নেমেসিস, চিরকুট, মেঘদল, লালন, চট্টগ্রামের ব্যান্ড তীরন্দাজ, কার্নিভাল।
এবারও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রচারিত স্বাধীনতার গান গেয়ে মঞ্চ মাতাবেন দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড দলগুলো। জয় বাংলা কনসার্ট নিয়ে বরাবরই তরুণদের মধ্যে থাকে বাড়তি উন্মাদনা। এবারও নেই তার ব্যতিক্রম। কনসার্টের ঘোষণার পর থেকেই ইয়াং বাংলার পেজ জুড়ে মন্তব্য করছে তরুণরা। এ ছাড়াও চট্টগ্রামের তরুণরা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তরুণদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন চট্টগ্রামে এই কনসার্ট উপভোগ করতে।
২০১৫ সাল থেকে এই কনসার্ট ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়ে আসছিল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) তারুণ্যের প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা। মাঝে করোনা মহামারির কারণে ২০২১–২২ সালে কনসার্ট আয়োজন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রিসভায় শপথ নিলেন নতুন মুখ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন সাত নতুন মুখ।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন নতুন প্রতিমন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তারা শপথ ও গোপনীয়তার শপথেও স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন
তারা হলেন- রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ , নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জামান সরকার, চট্টগ্রাম ১৪ আসনের নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন্নাহার চাপাত, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ওয়াশিকা আয়েশা খান, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও শহীদ কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে নাহিদ ইজহার খান এবং আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ডা. রোকেয়া সুলতানা।
গত ১১ জানুয়ারি ৩৭ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্যে ২৬ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
নতুনদের নিয়ে মন্ত্রিসভার মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ৪৪ জনে। এখন তার মন্ত্রিসভায় ২৬ জন মন্ত্রী ও ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি, উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্যান্য মন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনৈতিক কোরের সদস্য, সাংবাদিক এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির পত্নী ডা. রেবেকা সুলতানা, প্রধানমন্ত্রীর কনিষ্ঠ বোন শেখ রেহানা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মাহবুব হোসেনের পরিচালনায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভায় ডাক পেলেন যারা
মন্ত্রিসভায় নতুন ৭ জনকে নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি