শেখ হাসিনা
টিএসসিতে মেট্রো স্টেশনের জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রলীগ
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্রের (টিএসসি) পাশে মেট্রোরেলের স্টেশন নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার নেতা-কর্মীরা।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু স্মৃতি ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে ‘টিএসসিতে মেট্রো: ধন্যবাদ শেখ হাসিনা’- শীর্ষক দিনব্যাপী ধন্যবাদ জ্ঞাপন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানবীর হাসান সৈকত।
ঢাবি ছাত্রলীগের জিএস সৈকত বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি মেট্রোরেল ঢাবি শিক্ষার্থীদের পরিবহন চ্যালেঞ্জগুলো দূর করবে।’
উদ্বোধনের পর দেশাত্মবোধক গান, প্ল্যাকার্ড, পোস্টার প্রদর্শন ও সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনী, ছবি আঁকা, গণস্বাক্ষর গ্রহণ অভিযান এবং শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে গানসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প থেকে বাঁচতে দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দিলেন ঢাবি শিক্ষার্থী
ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড পেলেন শেখ হাসিনা
জলবায়ু বিষয়ে কর্মকাণ্ডের নেতৃত্বে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিযুক্ত মানুষের পক্ষে বিশ্বব্যাপী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে 'ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড' দিয়েছে আইওএম ও জাতিসংঘ সমর্থিত গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি সংস্থা।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে দুবাইতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন-কপ ২৮ এর সাইডলাইনে একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল অধিবেশনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি রাষ্ট্রদূত ডেনিস ফ্রান্সিস এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গাইনাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপের কাছ থেকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।
কপ-২৮ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান তথ্যমন্ত্রী ও পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ এ সময় 'অভিযোজন ও সহনশীলতার জন্য জলবায়ু গতিশীলতা নিয়ন্ত্রণ'-শীর্ষক উচ্চ-পর্যায়ের এ প্যানেল অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
হাছান মাহমুদ জানান, জলবায়ু গতিশীলতার বিষয়টিকে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচনার মূলধারায় আনার এখনই উপযুক্ত সময়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ক্লাইমেট মোবিলিটি সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ুজনিত কারণে বাধ্য হয়ে অভিবাসন ও বাস্তুচ্যুতির দিকটি বিশ্ব নেতাদের নজরে নিয়ে আসেন। এর আগেও বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরে ঢাকায় আইওএমের সহযোগিতায় আয়োজিত দুটি সংলাপ এবং গত বছর মিশরের শার্ম এল শাইখে কপ-২৭ সম্মেলনে বিষয়টি তুলে ধরেছে।
একইসঙ্গে কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত, ৪০০ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম বহুতল সামাজিক আবাসন প্রকল্প নির্মাণসহ জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উদ্যোগের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু বাস্তুচ্যুতি মানবিক সংকটে পরিণত হওয়ার আগে বিশ্বকে পদক্ষেপ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রী হাছান বলেন, ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং জলবায়ু গতিশীলতা এবং এ থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের ক্রমাগত নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বের সমর্থন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সন্তুষ্ট যে এখন জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর একটি বিস্তৃত জোট এই ইস্যুতে একযোগে কাজ করছে।
পুরস্কার প্রদানকারী গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি সংস্থাটি জাতিসংঘ, আঞ্চলিক আন্তঃসরকারি সংস্থা এবং উন্নয়ন অর্থ সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতায় জলবায়ু গতিশীলতা মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক বিস্তৃত সমাধানের জন্য কাজে ব্যাপৃত।
কমনওয়েলথ মহাসচিবের সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর বৈঠক
এদিন বিকালে দুবাইয়ে কপ-২৮ সম্মেলনস্থলে কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এ সময় বন ও পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী হাছান সাংবাদিকদের বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে, কমনওয়েলথ মহাসচিব তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তার সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে জি-২০ নেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
যুক্তরাজ্য ও জার্মানিকে পেছনে ফেলে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৯ম বৃহত্তম বাজার হবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন খেলাফত রাব্বানী ও নেজামে ইসলামের নেতারা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সাক্ষাৎ করেছেন খেলাফত রাব্বানী বাংলাদেশ ও নেজামে ইসলাম পার্টির নেতারা।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাতে মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী ও মাওলানা আনোয়ারুল হক নিজ নিজ দলের নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ক্ষমতায় থাকতে বাইরের কারো চোখ রাঙানি সহ্য করবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন জানান, বৈঠকে নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
শেখ হাসিনা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন এবং নির্বাচনে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করেন।
নেতারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন তারা।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত আসন্ন নির্বাচন বানচাল করলে পরিণতি ভালো হবে না: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসরণ করে ডামি প্রার্থী দিতে বাধা নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেওয়া ‘কৌশলগত সিদ্ধান্ত’।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সময়ের প্রয়োজনের আলোকে কৌশল পরিবর্তন করে এগিয়ে যাচ্ছে। দলীয় প্রধানের (শেখ হাসিনা) গাইডলাইন অনুসরণ করে ডামি প্রার্থী দিতে কোনো বাধা নেই।’
সোমবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ ড. মিলন দিবস উপলক্ষে ড. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে দলীয় টিকিট পাননি আওয়ামী লীগের ৭১ সংসদ সদস্য
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গীর দরকার নেই, কারণ জনগণই তাদের শক্তি। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির অপকর্মের জন্য সহযোগী দরকার।
তিনি বলেন, দেশে নির্বাচনের মৌসুম শুরু হওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ব্যাপক জনসমর্থনের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, যা বিক্ষিপ্ত বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে বানচাল করা যাবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও অভিযোগ করেন, আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর বিএনপি এখন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের মনোনয়ন তালিকা থেকে বাদ পড়লেন ৩ প্রতিমন্ত্রী
আ. লীগ ক্ষমতায় থাকতে বাইরের কারো চোখ রাঙানি সহ্য করবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার (২৬ নভেম্বর) বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশের বাইরের কাউকে তোষামোদ করে ক্ষমতায় থাকতে চায় না, কারণ জনগণই তার শক্তি।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ ছাড়া আমাদের আর কোনো অভিভাবক নেই। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে। আমি ক্ষমতায় থাকার জন্য তোষামোদের রাজনীতি করি না।’
রবিবার (২৬ নভেম্বর) ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনে তার দলের মনোনয়ন চাওয়া ৩ হাজার ৩৬৯ জনের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের চেয়ারম্যানও শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশবাসী বিপুল ত্যাগ ও রক্তপাতের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এই মাটি আমাদের। বাইরের কোনো চোখ রাঙানি সহ্য করা হবে না। জনগণই আমাদের শক্তি, তাই আমরা অন্যের উপর নির্ভরশীল নই।’
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গত ১৫ বছরে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় জনগণ শান্তি পেয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
শেখ হাসিনা জানান, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা হিসেবে তিনি দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, তার দল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান।
২৩ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত তিনটি বৈঠকে ৩০০ আসনে দলের প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করে মনোনয়ন বোর্ড।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত আসন্ন নির্বাচন বানচাল করলে পরিণতি ভালো হবে না: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ভারত: রিজভী
শেখ হাসিনার ‘স্বৈরাচারী’ সরকারকে সমর্থন দিয়ে ভারত বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘ভারত সরকার এবং তাদের দেশের রাজনীতিবিদদের বোঝা উচিত কেন বাংলাদেশের জনগণ তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। স্বৈরাচারী সরকারকে সমর্থন করে তারা (ভারত) বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’
রবিবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর বনানী এলাকায় ঝটিকা মিছিল শেষে আয়োজিত সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের তা সমর্থন করা উচিত।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান ভারতবিরোধী মনোভাব নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে রিজভী এ মন্তব্য করেন।
সীমান্ত হত্যা ও বিভিন্ন অমীমাংসিত দ্বিপক্ষীয় সমস্যার জন্যও ভারতের সমালোচনা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
আরও পড়ুন: বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে
তিনি বলেন, ‘এখন বিশ্বের সবচেয়ে রক্তাক্ত সীমান্ত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। সেখানে প্রায় প্রতিদিনই বিএসএফ সদস্যরা গুলি করে বাংলাদেশিদের হত্যা করছে।’
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে একতরফা বাণিজ্য করলেও বাংলাদেশকে তাদের দেশে ব্যবসা করার কোনো সুযোগ দিচ্ছে না ভারত। তারা বাংলাদেশ থেকে বিভিন্নভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা রেমিটেন্স নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ সরকার প্রতিবেশী দেশকে যা যা প্রয়োজন সবই উদারভাবে দিয়ে গেলেও, ভারতের কাছ থেকে কিছুই পায়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ অনেক রক্তের বিনিময়ে একটি যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছে। কারো গোলাম হয়ে থাকার জন্য এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেনি, রক্ত বিসর্জন দেয়নি।’
রবিবার সকাল ৬টা থেকে বিরোধী দলগুলোর ঘোষিত ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের সমর্থনে সকাল ৭টার দিকে বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীকে নিয়ে মিছিল বের করেন রিজভী।
মিছিলটি বনানী মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিরোধী দলের বিভিন্ন সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া তালিকা ধরে নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করবে ইসি: বিএনপি
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাশিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা বিএনপির: রিজভী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ৯ দলের ১৪ নেতার সাক্ষাৎ
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ৯টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ ১৪ নেতার একটি প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সময় নেতারা জাতীয় নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন নামঞ্জুরে সরকারের কোনো প্রভাব নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য তারা শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
নেতারা বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতা ও অপপ্রচার প্রতিহত করাই আ. লীগের মূল লক্ষ্য: কাদের
পরে প্রতিনিধিদল শেখ হাসিনার কাছে একটি ক্যালিগ্রাফি উপহার দেন।
রাজনৈতিক দলগুলো হলো- বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট, আশেকান আউলিয়া ঐক্য পরিষদ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বিএনপির আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী
চালের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
চালের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ৬০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। নতুন ধান বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ধানের দামও এখন কম। এ অবস্থায় চালের দাম বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে। চলতি মৌসুমে আমনের ফলনও ভালো হয়েছে। দেশে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাদ্য মজুদ আছে। চালের বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে। অজুহাত দিয়ে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।’
মিল মালিকদের উদ্দেশে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কোয়ালিটির মানদণ্ডে উত্তীর্ণ না হলে সে চাল গুদামে পাঠাবেন না। চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো আপস হবে না।
আরও পড়ুন: এ বছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী
এসময় তিনি খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ধান-চাল সংগ্রহের পরামর্শ দেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষক যেন গুদামে ধান নিয়ে এসে হয়রানির শিকার না হয় সেটা খাদ্য কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করতে হবে।
ফুডগ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া কেউ যেন ধান-চালের অবৈধ ব্যবসা করতে না পারে সেদিকে প্রসাশনের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।
একইসঙ্গে তিনি পাক্ষিক মজুত বিক্রির রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশনা দেন।
এর আগে, গত ৮ অক্টোবর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় চলতি বছর আমন ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি আমন ধান ৩০ টাকা, প্রতি কেজি আমন সেদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং আমন আতপ চালের দাম ৪৩ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হয়।
এ বছর আমন মৌসুমে দুই লাখ টন আমন ধান, চার লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং এক লাখ টন আতপ চাল কেনা হবে। সরকারের ধান-চাল সংগ্রহের এই কার্যক্রম চলবে আগামী ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিচালক (সংগ্রহ) মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন জেলার জেলা প্রসাশক, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, মিল মালিক, কৃষক প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা সংযুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আমন মৌসুমে ৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
আউশ ধানের চাষ বেশি হওযায় চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
আগামী ১ ডিসেম্বর ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধন
ঢাকা-বুড়িমারী রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’-এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বলে সোমবার (২০ নভেম্বর) রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ওই তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
পর্যটক, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজনের চলাচল সহজ করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেন সার্ভিস চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
ইতোমধ্যে দুই দফায় ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের পাঁচটি বগি রবিবার ও সোমবার লালমনিরহাটে পৌঁছেছে।
লালমনিরহাটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর পাটগ্রাম জসিম উদ্দিন সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালুর অঙ্গীকার করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, লালমনিরহাট থেকে একটি ট্রেন ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ জেলায় চলাচল করলেও তা বাসিন্দাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়।
জেলার চার উপজেলার বাসিন্দা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাতায়াতকারীরা দীর্ঘদিন ধরে ট্রেন সেবা থেকে বঞ্চিত। ফলে তাদের যোগাযোগের জন্য বাসের ওপর নির্ভর করতে হয়।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার চট্টগ্রামে উম্মোচন হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
বুড়িমারী চিলার বাজারের বাসিন্দা আব্দুল মমিন বলেন, আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালু হলে মানুষের দুর্ভোগের অবসান হবে।
নিয়মিত ভারতে যাতায়াতকারী সুমন মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘অনেক পাসপোর্টধারী ও ব্যবসায়ী এই রুটটি ব্যবহার করেন এবং ট্রেন সার্ভিস দুই দেশের ব্যবসা সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
লালমনিরহাট রেলওয়ের সহকারী কমার্শিয়াল অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ইতোমধ্যে ট্রেনের পাঁচটি বগি লালমনিরহাট স্টেশনে পৌঁছেছে এবং বাকিগুলো শিগগিরই চলে আসবে।
বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে ট্রেনটি লালমনিরহাট স্টেশন ছেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসে ককটেল হামলা
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চালু হলো বিআরটিসির বাস
দু-একদিনের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে এবং নির্বাচন কমিশন দু-একদিনের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে।
তিনি আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বলেন, যেহেতু আমরা জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি, তাই তারা নির্বিঘ্নে তাদের ভোট দেবেন।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৫৭টি প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামো উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
এসময় সারাদেশের ৬৪টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ ১০১টি প্রান্ত ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিল। প্রকল্পগুলোর মোট আনুমানিক ব্যয় ৯৭ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই গতিকে ধরে রাখতে সরকারের ধারাবাহিকতা অপরিহার্য।
বিএনপির উল্লেখ না করে তিনি বিরোধী দলকে কটাক্ষ করে বলেন, তারা (বিএনপি) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যোগ দিতে চায় না, কারণ ২০০৮ সালের নির্বাচনের মতো খারাপ ফলাফল হতে পারে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৩৩টি আসন পেয়ে ভূমিধস জয় লাভ করে, যেখানে বিএনপি মাত্র ৩০টি আসনে জয়লাভ করে।
বিএনপির নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই নির্বাচনে অংশ নিতে চান না। (এটা স্বাভাবিক) যারা মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল, তাদের তো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো আকাঙ্খা থাকবেই না। তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের নির্বাচনে অগ্নিসংযোগ সহিংসতা ও ভোট বানচালের চেষ্টাকে কাটিয়ে জয়লাভ করে।
আমরা বারবার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে (ক্ষমতায়) এসেছি। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে সরকার গঠন করেনি।
আরও পড়ুন: মুণ্ডুহীন বিএনপি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন থেকে শুরু করে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রবর্তন পর্যন্ত সব নির্বাচনী সংস্কার আওয়ামী লীগের প্রস্তাব অনুসরণ করেই করা হয়েছে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার তৃণমূল পর্যায় থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নের সূচনা করেছে যাতে মানুষ গ্রামে থেকেও নগর সুবিধা ভোগ করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের মানুষ একটু শান্তিতে ছিল, স্বস্তিতে ছিল, উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল; ঠিক সেই সময়ে এই অবরোধ আর অগ্নিসন্ত্রাস-জালাও পোড়াও। গাড়িতে আগুন বাসে আগুন দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা যেমন ব্যাহত করা হচ্ছে, স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েরা ঠিকভাবে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারছে না। তাদের লেখাপড়া নষ্ট হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত করেছে, যা বিএনপি শাসনামলে ছিল মাত্র ৪৫ শতাংশ।
তিনি আশা করেন, শুভবুদ্ধির জয় হবে এবং ধ্বংস ও অগ্নিসংযোগ সহিংসতার অবসান হবে।
প্রধানমন্ত্রী আবারও দেশবাসীকে তাদের নিজেদের জানমাল রক্ষার স্বার্থে অগ্নিসংযোগের সহিংসতা প্রতিরোধ করতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে ৪ হাজার ৬৪৪টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন বা উদ্বোধনের পাশাপাশি ৪৬টি জেলার ১৩২টি উপজেলায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৫ হাজার ৩৯৭টি বাড়ি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও ১১টি জেলা ও ৬০টি উপজেলাকে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীন’ ঘোষণা করেন।
এ পর্যন্ত মোট ৩২টি জেলা ও ৩৯৪টি উপজেলাকে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারমুক্ত’ ঘোষণা করা হয়েছে।
৪ হাজার ৬৪৪টি অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে ২০২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, ১ হাজার ৮০০টি মাদরাসা ভবন, ২৯৯টি একাডেমিক ভবন এবং ৪০টি প্রশাসনিক ভবন; মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীনে ৯৫২টি একাডেমিক ও গবেষণা ভবন; ১২টি ছাত্র ছাত্রাবাস ভবন; ২২২টি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র; ১২৮ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন; ৪৬ জেলায় সাব-রেজিস্টার অফিস ভবন; ১১০টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র; ২৫টি মুজিব কিল্লা; ২০টি সেতু; সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২২টি কমপ্লেক্স; স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীনে ৩৪টি ভবন; ৭টি ছাত্র মেস; ১৬টি ছাত্রাবাস; ২৩টি আইসিইউ; ৭৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক; ৪৬টি মেডিকেল কলেজ ভবন; ২৪টি নার্সিং কলেজ ভবন; ২৫টি জেলায় টেনিস অবকাঠামোগত উন্নয়ন; ১৩টি ক্রীড়া বিদ্যালয় ভবন; ২৬টি বিকেএসপি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র; ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র; ডাবল পাইপলাইনসহ ৩৮ এসপিএম; ১০টি গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ; ২৬টি পরিশোধন ইউনিটের কিস্তি; ২৪টি খনি খনন; ১৪০ গ্যাস প্লান্ট ক্রয় ও কিস্তি; ৩৩টি পাইপলাইন নির্মাণ; শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ১৮টি অবকাঠামো; ১১ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট অবকাঠামো; ৪০টি প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ১৪টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার ভবন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
আরও পড়ুন: খুলনায় ২৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর
মঙ্গলবার ২০২৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী