আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগ অবশ্যই নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কার্যক্রম বর্তমানে নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ‘অবশ্যই ব্যাহত করার চেষ্টা’ করবে।
রবিবার (৩১ আগস্ট) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কোর কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের উপর গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ সংস্কার কমিশন, রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড, মাদক নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উসকানি এবং ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন সম্পর্কিত আলোচনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল, তা পুনরুজ্জীবিত ও সুরক্ষিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘মতবিরোধ থাকলেও গণতন্ত্রের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার জন্য সকল রাজনৈতিক দলকে ব্যক্তিগত এবং দলীয় স্বার্থকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। এই ঐক্য ভেঙে গেলে, ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীগুলো বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।’
পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে বড় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের নিরাপত্তা সম্পর্কে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠুতা এবং শান্তিপূর্ণ আয়োজন সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণের উপর নির্ভর করছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নিরাপত্তা দেবে এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
জনসাধারণের অংশগ্রহণের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষের স্বেচ্ছায় এবং উৎসাহের সঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে। সকলের সহযোগিতায়, আমরা বিশ্বাস করি অন্তর্বর্তী সরকার একটি অবাধ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সক্ষম হবে।’
পুলিশের নিরপেক্ষতা এবং নিষ্ক্রিয়তা সম্পর্কে জনসাধারণের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ যদি তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ নেয়, তাহলে মানুষ অভিযোগ করে যে তারা একটি শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু, যদি তারা খুব দেরিতে পদক্ষেপ নেয়—তাহলে আবার সমালোচনা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই কঠিন। আমরা চেষ্টা করছি। উদাহরণস্বরূপ, গতকাল (৩০ আগস্ট) একটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ যদি তা ঘটার আগেই পদক্ষেপ নিত—তাহলে অনেকেই বলত যে, তারা অপ্রয়োজনীয়ভাবে হস্তক্ষেপ করেছে।’
সারা দেশে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নিচ্ছে। ‘৭ সেপ্টেম্বর থেকে পুলিশ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হবে। আমরা প্রস্তুত।’
তিনি এই ধরনের ঘটনা কমাতে জনসাধারণ এবং রাজনৈতিক সমর্থন কামনা করেন। ‘এই ঘটনাগুলো ধীরে ধীরে কমাতে আমাদের সকলের সাহায্য প্রয়োজন। তবেই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে।’
কিছু গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছে কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, যারা আর রাজনীতিতে সক্রিয় নন, তারা অবশ্যই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইবেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখনও পলাতক আছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দল, জনগণ এবং কর্তৃপক্ষ—আমাদের সকলের কর্তব্য—তাদের থামানো।’
৯৫ দিন আগে
দুদকের সেই শরীফকে চাকরি ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বরখাস্ত হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুতির আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জ্যেষ্ঠতা ও অন্যান্য সুবিধাসহ তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বুধবার (৯ জুলাই) বিচারপতি রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
তিন বছর আগে ২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ছাড়াই কোনো কর্মীকে চাকরি থেকে অপসারণ-সংক্রান্ত দুদক কর্মচারী বিধিমালার ৫৪(২) বিধির বৈধতা নিয়ে ও চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে একই বছরের ১৩ মার্চ শরীফ রিট করেন।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক পদ থেকে শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুতির আদেশ কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে বেতন, সব সুবিধাসহ তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয় রুলে। দুদকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
রুলের ওপর গতকাল মঙ্গলবার শুনানি শেষে আদালত আজ রায়ের জন্য দিন রেখেছিলেন। রুল যথাযথ (অ্যাবসোলিউট) ঘোষণা করে আজ রায় দেওয়া হলো।
রায়ের সময় শরীফ উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতে শরীফ উদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দীন দোলন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান।
রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দীন দোলন বলেন, শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতির আদেশ অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। জ্যেষ্ঠতা ও সব সুযোগ-সুবিধাসহ তাঁকে চাকরিতে ৩০ দিনের মধ্যে পুনর্বহাল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, রায়ের বিষয়টি দুদককে জানানো হবে। আপিল করবে কি না, সে বিষয়ে দুদক সিদ্ধান্ত নেবে।
১৪৮ দিন আগে
আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচারই হচ্ছে প্রধান ও প্রথম সংস্কার: হাসনাত আবদুল্লাহ
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচার করাই হচ্ছে এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান ও প্রথম সংস্কার। আমরা এই সংস্কারটা প্রথমে দেখতে চাই।
শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত ছাত্র জনতার গণআন্দোলনে ‘কুমিল্লায় আহত-শহীদ ও বীর সন্তানদের সম্মানে জুলাই সমাবেশ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টাদের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার ও খুনিদের বিচার ছাড়া উপদেষ্টারা যদি মনে করেন, অন্য কোনো বড় সংস্কার তাদের রয়েছে—তাহলে আপনারা ভুলের মধ্যে রয়েছেন।’
আরও পড়ুন: আগামী ডিসেম্বর-জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: প্রেস সচিব
সমাবেশে বক্তব্য দেন ফেস দ্যা পিপলের সম্পাদক সাইফুর রহমান সাগর, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত রশিদ, যুগ্ম সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম, আবু বাকের মজুমদার প্রমুখ।
২০২ দিন আগে
আওয়ামী লীগের বিষয়ে সরকারি গেজেটের অপেক্ষায় ইসি: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার পরই নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
সোমবার (১২ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা গেজেট বিজ্ঞপ্তির অপেক্ষায় আছি। যখন দেখবেন আকাশে সূর্য উঠে গেছে, তখন পরিষ্কার হয়ে যাবে। তার জন্য অপেক্ষা করুন।’
নির্বাচন ভবনে কার্টার সেন্টারের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এই মন্তব্য করেন।
গেজেট জারি হওয়ার পর আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করা হবে কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। গেজেট জারি হওয়ার পর আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব। বিজ্ঞপ্তি আসতে দিন।’
জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুসারে, যদি কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশনে তার নিবন্ধন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের ছাত্রনেতা এবং ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি-এনসিপি এবং জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের দাবির প্রেক্ষিতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার রাতে এক বিশেষ সভায় উপদেষ্টা পরিষদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর নেতাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবারস্পেস সহ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
রবিবার উপদেষ্টা পরিষদ সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া অনুমোদন করেছে। সংশোধিত আইনে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি বা সত্তা এবং তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন আহ্বান ইসির
কিছু সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রোধ করতে এবং প্রাসঙ্গিক বিধানসহ কার্যকর শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়েছিল।
সংশোধনীতে সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার, প্রয়োজনীয় অভিযোজন এবং অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে বিষয়বস্তু প্রচার নিষিদ্ধের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২০৬ দিন আগে
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় খুশি বিএনপি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দলটির সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বিএনপি।
রবিবার (১১ মে) এক বিবৃতিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আনন্দিত যে, দেরিতে হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত রাতে (শনিবার রাতে) ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও এর সকল অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ফ্যাসিবাদী শাসনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার করা যায় ও একটি নির্বিঘ্ন বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা যায়।’
তিনি গুম, খুন, নিপীড়ন ও জনগণের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী অপশাসনে জড়িত ফ্যাসিবাদী দলের বিচার সহজ করতে প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধনের পদক্ষেপকে সঠিক সিদ্ধান্ত বলেও অভিহিত করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘কিন্তু আমাদের দাবি অনুযায়ী যদি এই সিদ্ধান্ত আগে থেকেই নেওয়া হতো—তাহলে সরকার চাপের মুখে পড়ে কাজ করার লজ্জাজনক ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে পড়ত না।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এটি মনে রাখবে এবং ভবিষ্যতের পদক্ষেপে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তারা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারিক কার্যক্রমের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তাকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের শেষ সাক্ষাতের উল্লেখ করে তিনি বলে, সেসময় তারা তাকে আরেকটি চিঠি দেন, যাতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনকে নোংরামি থেকে মুক্ত করতে পতিত ফ্যাসিস্ট দল ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত বিচারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বিদেশ যাওয়া তদন্তে কমিটি গঠন
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার উদ্বৃতি দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, তারা স্পষ্টভাবে বলেছেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব এবং প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সভা, সমাবেশ এবং আলোচনায় বারবার এই দাবি তুলেছি। এটি লক্ষণীয়, নীতিগতভাবে আমরা প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করেছি। সেই অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, বিএনপি আগের ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের ঠিক আগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছিল।’
ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দেশের ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণ গুম, খুন, কারাবরণ ও নিপীড়ন সহ্য করে নিজের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ফ্যাসিবাদ উৎখাতের লড়াই করে আসছে।
তিনি বলেন, ‘সেই দাবি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য একটি স্পষ্ট রোডম্যাপের দাবি অব্যাহতভাবে উপেক্ষা করার ফলে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান জনরোষকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানাই।’
শনিবার (১০ মে) রাতে এক বিশেষ সভায় উপদেষ্টা পরিষদ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অধীনে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের সকল কর্মকাণ্ড—সাইবারস্পেসসহ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জড়িত বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের সংশোধনীও অনুমোদন করা হয়েছে।
২০৭ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার কাছে জড়ো হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা
শুক্রবার জুমার নামাজের পর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের কাছে মিন্টু রোডের ফাউন্টেন স্কোয়ারে এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন।
এর আগে, বিক্ষোভকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার কাছে মঞ্চের পিছনে জুমার নামাজ আদায় করেন।
জুমার নামাজের পরপরই একই স্থানে সমাবেশ শুরু হয়। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আসতে থাকে, ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে জনসমাগম।
তীব্র গরমের অস্বস্তি কমাতে উত্তর সিটি করপোরেশন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সমাবেশস্থলে একটি ঠান্ডা পানি ছিটানোর ট্রাক মোতায়েন করে।
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ সকালেই জনগণকে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সার্ক ফাউন্টেন এবং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে সমাবেশে সর্বস্তরের মানুষকে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
‘জনতার সমুদ্র তৈরি হবে,’ হাসনাত বলেন, ‘মানুষ দেখবে কে আসলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চায়।’
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের প্রধান সংগঠক সরজিস আলম বৃহস্পতিবার রাতে যখন এনসিপি নেতৃত্বাধীন ছাত্ররা যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছিল, তখন তিনি তার নিজ শহর পঞ্চগড় থেকে রওনা হয়ে সকালে বিক্ষোভে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার
জামায়াতে ইসলামী, ইনকিলাব মঞ্চ, ইসলামিক মুভমেন্ট এবং এবি পার্টিসহ আরও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে।
বুধবার রাতে এনসিপির নেতৃত্বে একদল ছাত্র আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য চাপ দেওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে জড়ো হওয়ার পর আন্দোলনটি গতি পায়।
হাসনাতের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
২০৯ দিন আগে
বঞ্চিতদের কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
আওয়ামী লীগ আমলে অবসরে যাওয়া বঞ্চিত ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। চলতি অর্থ বছরে তাদের পাওনার অর্ধেক পরিশোধ করা হবে। বাকি টাকা পাবেন আগামী বছর।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পৃথক আদেশে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়, সচিব পদে ১১৯ জন, গ্রেড-১ পদে ৪১ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ৫২৮ জন, যুগ্ম সচিব পদে ৭২ জন এবং উপসচিব পদে ৪ জনকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পেয়েছেন। কর্মকর্তারা এক বা একাধিক পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির তারিখ থেকে বিধি মোতাবেক প্রাপ্যতা অনুযায়ী সকল আর্থিক সুবিধা পাবেন। বর্তমান অর্থ বছরে তাদের বকেয়া পাওনার ৫০ শতাংশ দেওয়া হবে। অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ দেওয়া হবে পরবর্তী অর্থ বছরে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বয়স ৫৭ বা ৫৯ বছর পূর্তি পর্যন্ত সর্বশেষ পদোন্নতিপ্রাপ্ত পদে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে বহাল ছিলেন বলে গণ্য হবেন। অবসরোত্তর ছুটি বা অবসর প্রস্তুতি ছুটি শেষে অবসরের জন্য নির্ধারিত তারিখে সরকারি চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করেছেন মর্মে গণ্য হবেন।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ৫ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা
কর্মকর্তারা বিধি মোতাবেক তাদের প্রাপ্যতা অনুযায়ী বকেয়া বেতন-ভাতা, পেনশন সমন্বয়পূর্বক আর্থিক সুবিধা পাবেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ইতিপূর্বে জারিকৃত পিআরএল বা এলপিআর আদেশ বাতিল করা হয়েছে। বেতন নির্ধারণের সময় অবসর উত্তর ছুটি বা অবসর প্রস্তুতি ছুটি সমন্বয় করা হবে।
আওয়ামী লীগ আমলে অবসরে যাওয়া বঞ্চিত ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করে বঞ্চনা নিরসন কমিটি গত ১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন দেয়।
২৯৮ দিন আগে
নিষিদ্ধ না হলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে আ. লীগ: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সরকার বা বিচার বিভাগ নিষিদ্ধ না করলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।
সোমবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সিইসি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে চলে এবং বাইরের কোনো চাপ নেই। সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা বদ্ধপরিকর।’
অতীতের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে বিগত নির্বাচনগুলোতে ভুয়া ভোটারদের বিষয়টি স্বীকার করেন সিইসি। ভোটার নিবন্ধন কমে যাওয়াকে ভোটদান প্রক্রিয়ার প্রতি অনাস্থাকে দায়ী করেন এবং এসব উদ্বেগ নিরসনে শিগগিরই ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী ছয় মাসের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। এবার আগের মতো নির্বাচন হবে না। ৫ আগস্টের পর থেকে নির্বাচনি বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।’
বৈঠকে সিইসি ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং এ প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কমিশন প্রস্তুত রয়েছে।
বিভিন্ন পর্যায়ের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা এবং ভোটারদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
৩৩৯ দিন আগে
আ. লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করলেন রিজভী
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে বিএনপি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে- এমন প্রচার সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘এ বিষয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপানো দুঃখজনক।’
রবিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ তাদের বক্তব্য-বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে বিএনপিকে প্রতিবন্ধকতা বলে প্রচার করছেন, যা সঠিক নয়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা, না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার সরকারের।’
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সরকারের সমালোচনা রিজভীর
তিনি বলেন, ‘পতিত আওয়ামী লীগ সরকার যখন জামায়াত নিষিদ্ধ করেছিল তখন আমরা প্রতিবাদ করেছি। আমরা আশা করব অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টাদের এমন কোনো বক্তব্য দেওয়া উচিত হবে না যাতে গণতন্ত্রিক শক্তি দুর্বল হয় বা আমাদের ঐক্যে ফাটল ধরে।’
বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতোমধ্যে জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের আস্থা অর্জন করুন। তাদের আস্থায় থাকুন। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে হাজার হাজার ছাত্রের রক্তের বিনিময়ে।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ আফ্রিকান মাগুর, সবই খেয়ে ফেলত: রিজভী
৩৬৮ দিন আগে
আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান ঠেকাতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: মঈন খান
আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীদের পুনরুত্থান ঠেকাতে ছাত্র-জনতাকে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যে ফ্যাসিবাদী চেহারা উন্মোচিত হয়েছে, তা অবশ্যই উন্মোচিত রাখতে হবে। তাদের দোসরদের সরকারের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা বা পুনরায় উত্থান ঠেকাতে হবে। আওয়ামী লীগের দোসরদেরকে প্রতিহত করতে হলে মুক্তিকামী ছাত্র ও জনতাকে সজাগ থাকতে হবে। এ ধরনের অপচেষ্টা প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ থাকতে হবে।’
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় আহত শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্র-জনতার অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করবে যুবদল: মঈন খান
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী সরকারের পতনের ক্ষেত্র তৈরিতে দীর্ঘ আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'পরবর্তীকালে, ছাত্র-জনগণ আন্দোলনে যোগ দেয় এবং এই গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী সরকার শুধু পরাজিতই হয়নি, কাপুরুষের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন প্রমাণ করেছে সত্য ও ন্যায় শেষ পর্যন্ত অন্যায়, দমন ও নীপিড়নের ওপর জয়ী হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে গণআন্দোলনের প্রথম ধাপ ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ও তাদের শপথ গ্রহণ।
তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা, যা আমরা এখনো অর্জন করতে পারিনি। বিএনপি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী। সেটা অনুষ্ঠিত হলে এবং জনগণের ভোটের মাধ্যমে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিরা দেশের শাসনভার নিলে এই আন্দোলনের সফলতা অর্জিত হবে।’
পরে ড. মঈন হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন আহত রোগীদের দেখেন এবং তাদের মধ্যে ৫১ জনকে আর্থিক সহায়তা দেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের সংস্কার অনুসরণ করে হবে ভবিষ্যৎ সংস্কার: ডা. মঈন খান
৩৮৮ দিন আগে