আওয়ামী লীগ
আ. লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করলেন রিজভী
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে বিএনপি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে- এমন প্রচার সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘এ বিষয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপানো দুঃখজনক।’
রবিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ তাদের বক্তব্য-বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে বিএনপিকে প্রতিবন্ধকতা বলে প্রচার করছেন, যা সঠিক নয়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা, না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার সরকারের।’
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সরকারের সমালোচনা রিজভীর
তিনি বলেন, ‘পতিত আওয়ামী লীগ সরকার যখন জামায়াত নিষিদ্ধ করেছিল তখন আমরা প্রতিবাদ করেছি। আমরা আশা করব অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টাদের এমন কোনো বক্তব্য দেওয়া উচিত হবে না যাতে গণতন্ত্রিক শক্তি দুর্বল হয় বা আমাদের ঐক্যে ফাটল ধরে।’
বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতোমধ্যে জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের আস্থা অর্জন করুন। তাদের আস্থায় থাকুন। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে হাজার হাজার ছাত্রের রক্তের বিনিময়ে।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ আফ্রিকান মাগুর, সবই খেয়ে ফেলত: রিজভী
৩ সপ্তাহ আগে
আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান ঠেকাতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: মঈন খান
আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীদের পুনরুত্থান ঠেকাতে ছাত্র-জনতাকে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যে ফ্যাসিবাদী চেহারা উন্মোচিত হয়েছে, তা অবশ্যই উন্মোচিত রাখতে হবে। তাদের দোসরদের সরকারের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা বা পুনরায় উত্থান ঠেকাতে হবে। আওয়ামী লীগের দোসরদেরকে প্রতিহত করতে হলে মুক্তিকামী ছাত্র ও জনতাকে সজাগ থাকতে হবে। এ ধরনের অপচেষ্টা প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ থাকতে হবে।’
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় আহত শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্র-জনতার অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করবে যুবদল: মঈন খান
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী সরকারের পতনের ক্ষেত্র তৈরিতে দীর্ঘ আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'পরবর্তীকালে, ছাত্র-জনগণ আন্দোলনে যোগ দেয় এবং এই গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী সরকার শুধু পরাজিতই হয়নি, কাপুরুষের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন প্রমাণ করেছে সত্য ও ন্যায় শেষ পর্যন্ত অন্যায়, দমন ও নীপিড়নের ওপর জয়ী হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে গণআন্দোলনের প্রথম ধাপ ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ও তাদের শপথ গ্রহণ।
তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা, যা আমরা এখনো অর্জন করতে পারিনি। বিএনপি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী। সেটা অনুষ্ঠিত হলে এবং জনগণের ভোটের মাধ্যমে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিরা দেশের শাসনভার নিলে এই আন্দোলনের সফলতা অর্জিত হবে।’
পরে ড. মঈন হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন আহত রোগীদের দেখেন এবং তাদের মধ্যে ৫১ জনকে আর্থিক সহায়তা দেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের সংস্কার অনুসরণ করে হবে ভবিষ্যৎ সংস্কার: ডা. মঈন খান
১ মাস আগে
রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে জনগণের ভূমিকা চায় বিএনপি
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠার মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, স্বচ্ছ জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে কাকে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা হবে তা চূড়ান্তভাবে জনগণই নির্ধারণ করবে।
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সোমবার (৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরামের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, গণতন্ত্রকে যারা ধ্বংস করেছে তাদের জন্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এক ধরনের প্রতিশোধ হিসেবে কাজ করবে।
‘আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপিকে কেন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে? প্রশ্ন তুললেন গয়েশ্বর।
আরও পড়ুন: পতিত ফ্যাসিস্টদের ফিরতে দেবেন না: বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও বিএনপি উভয়েই চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত জাতীয় নির্বাচন করুক।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে কাকে প্রত্যাখ্যান করা হবে আর কাকে গ্রহণ করা হবে তা জনগণই ঠিক করবে। তাই অবিবেচনাপ্রসূত কোনো সিদ্ধান্ত দেশের জন্য কল্যাণ বা শান্তি বয়ে আনবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, ১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় অসৎ উদ্দেশ্যের কারণে 'সংস্কার' শব্দটি কলঙ্কিত হয়ে পড়েছিল।
তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য ব্যাপক সমর্থন থাকলেও একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে বা বিরাজনীতিকরণকে উৎসাহিত করে ক্ষমতা সংহত করার প্রচেষ্টা জাতির স্বার্থ রক্ষা করবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা নিষিদ্ধ হওয়ার যোগ্য, তারা কার্যত নিজেদের নিষিদ্ধ করেছে এবং দেশ থেকে চলে গেছে। এখন তাদের ব্যানার বা স্লোগান দেওয়ার কেউ নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া উচিত নয়। ‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সেই প্রতিশোধ (আওয়ামী লীগের) নেওয়ার উপায়।
আইন অবমাননার দীর্ঘ ইতিহাসের কারণে শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে বলেও উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার পতনের পর তিনি কীভাবে আইন মানবেন? আইনকে ভয় না পেলে তিনি দেশ ছাড়তেন না, তিনি জেলেই থাকতেন।’
আরও পড়ুন: যেকোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিপক্ষে বিএনপি: ফখরুল
১ মাস আগে
রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে আমলাদের চাপ দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার: দেবপ্রিয়
বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, রাজনৈতিক স্বার্থে পরিচালিত আমলাদের একটি অংশ আওয়ামী লীগ সরকারের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আমলাতন্ত্রের মধ্যে অন্যদের চাপ দিয়েছিল।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ও এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘প্রশাসন মূলত রাজনৈতিক প্রভাবের নিয়ন্ত্রণে ছিল।’
আরও পড়ুন: অসমাপ্ত ও অপরিহার্য বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে সংস্কারের আহ্বান দেবপ্রিয়র
রবিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সারাদেশের ৮৫ জন জ্যেষ্ঠ আমলার সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, কিছু আমলা আপত্তি তোলার চেষ্টা করলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রায়ই তাদের মতামতকে তৎকালীন রাজনৈতিক এজেন্ডা সমর্থন করতে বাধ্য করতেন।
তিনি বলেন, 'অনেক কর্মকর্তা রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষে জড়িয়ে পড়েন, যা তাদের সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের দিকে ঠেলে দেয়।’
ড. দেবপ্রিয় বলেন, তবে কিছু আমলা তাদের মতামতের উপর অটল থাকতে পেরেছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উল্লেখযোগ্য প্রভাব রেখেছেন।
তিনি বলেন, তাদের মধ্যে অনেকে বলেছেন যে তাদের ভিন্ন পোষণের জন্য পেশাগত জীবনে উচ্চ মূল্য দিতে হয়েছিল; যার মধ্যে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হওয়া অন্যতম ছিল।
তিনি আরও বলেন, আমলারা প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি, সমন্বয় ও সদিচ্ছার অভাবের মতো বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।
তারা সক্ষমতা বৃদ্ধি, উন্নত সমন্বয় এবং সংস্কারের দৃঢ় অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি দুর্নীতির বিষয়গুলো তুলে ধরবে, অপরাধীদের ধরবে না: ড. দেবপ্রিয়
‘রাজনৈতিক শূন্যতা’ পূরণে অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান ড. দেবপ্রিয়র
১ মাস আগে
মেহেরপুর আওয়ামী লীগের ২ নেতা আটক
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম শফিকুল আলমকে আটক করেছে র্যাব—১২।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে শহরের নিজ নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক গাংনী উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এবং একেএম শফিকুল আলম ২০০৯ সালে গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
র্যাব-১২ সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করার জন্য তারা দুজন নিজ নিজ বাড়িতে আওয়ামী সমর্থিত লোকজন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও তাদের দুজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের আদালতে সোপর্দ করার লক্ষ্যে গাংনী থানায় পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি শেখ আফিলসহ ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা, আটক ৫
গাংনী থানার সূত্র জানান, তাদের ১৬১ ধারায় আটক দেখিয়ে আদালতে নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক গাঢাকা দিলেও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম শফিকুল আলম বাড়িতেই ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের ওপর হামলা, আটক ৫৩
১ মাস আগে
আওয়ামী লীগ ফিরে আসার ষড়যন্ত্র করছে: হাসনাত আবদুল্লাহ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, সাম্প্রতিক ঘটনা ও বিবৃতির পর আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ক্ষমতা ফিরে পেতে গোপনে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় হাসনাত অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্থান-পতন সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ দেশের ওপর আধিপত্য পুনরুদ্ধারে তৎপর হয়ে উঠছে।
তিনি রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের একটি বিবৃতির কথা উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রপতি বলেছেন, দেশ ছেড়ে পালানোর আগে শেখ হাসিনা কোনো পদত্যাগপত্র জমা দেননি।
রাজনৈতিক পুনর্বাসনের নামে আওয়ামী লীগ যে ফিরে আসার কৌশল নিচ্ছে, এটাকে হাসনাত তারই লক্ষণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন।
হাসনাত বলেন, 'চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড আমরা দেখেছি, যেখানে তারা পুনর্গঠনের ভিত্তি তৈরি করছে বলে মনে হচ্ছে। ঢাকায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন অংশ পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। এসব ঘটনাকে সংযুক্ত করলে বোঝা যায়, তারা ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার দ্রুত পলায়নই তার পদত্যাগের প্রমাণ: বিএনপি
দলের পুনর্বাসনে প্রশাসনিক ও বিচারিক প্রচেষ্টা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।’
এর মোকাবিলায় সমন্বয়কারী জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দলের পুনরুত্থান ঠেকাতে নাগরিকদের একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান।
অতীতের রাজনৈতিক জোটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের আগে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। আমরা মজলুমে হিসেবে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছি, অত্যাচারীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ৫ আগস্টের পর ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থ আমাদের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে, যা আওয়ামী লীগের জন্য ফিরে আসার ষড়যন্ত্রের সুযোগ তৈরি করেছে।’
হাসনাত রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার ঊর্ধ্বে উঠে দলের পুনর্বাসন প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'রাজপথে আমাদের উপস্থিতি বজায় রাখতে হবে এবং বাংলাদেশের মাটি থেকে আওয়ামী লীগকে সমূলে উৎখাত করতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের বক্তব্যের জবাবে হাসনাত ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দাবি করেন, ‘হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে; জনগণ একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি অবৈধ সরকারকে উৎখাত করেছে। এখানে পদত্যাগপত্রের প্রশ্নই ওঠে না।’আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন রাষ্ট্রপতি: আইন উপদেষ্টা
২ মাস আগে
আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই; নিষিদ্ধ হওয়া উচিত: অলি আহমদ
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) ওলি আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে দেশের ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে তাদের যে ভূমিকা ছিল, এরপর তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
অলি বলেন, ‘কেন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে না? আমরা আজ আবার বলেছি, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত কারণ তারা ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।’
বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করা ওলি আহমদ বলেন, ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে পুলিশ ও প্রশাসনসহ সবকিছু ব্যবহার করেছে আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত: অলি আহমদ
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী ও কিছু পুলিশ প্রতিবাদ চলাকালে গুলি চালাতে অস্বীকৃতি জানানোয় তারা টিকতে পারেনি।
তার মতে, এই আন্দোলনে ১৫০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে।
ওলি বলেন, আজ তারা ২৩টি প্রস্তাব দিয়েছেন। এর মধ্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির সমাধানের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
গত ৫ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াত, সিপিবিসহ কয়েকটি দলের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া চলতি পর্বে এটি দ্বিতীয় সংলাপ।
গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটস পার্টি (এলডিপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (আন্দালিব) সহ ১৫টি রাজনৈতিক দলকে আজকের সংলাপে অংশ নিতে আমন্ত্রণ আজানো হয়েছে।
সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সংস্কার কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোকে জানানো এবং তাদের পরামর্শ নেওয়া।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় গণফোরামের নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি বিকেল ৩টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার প্রধান মিত্র জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চলমান সংলাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল প্রায় সব রাজনৈতিক দলের।
এদিকে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বেই নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে এক টিভি অনুষ্ঠানে দেওয়া তার বক্তব্যের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, 'এটা (নির্বাচনের সময়) ঘোষণা করার এখতিয়ার একমাত্র তারই আছে।’
তবে ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করা হতে পারে বলেও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কর্নেল অলি আহমদের গাড়িতে ‘ছাত্রলীগের’ হামলা ?
২ মাস আগে
যশোরে আওয়ামী লীগ কর্মীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা
যশোরে হত্যাসহ ৫টি মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম সাগর নামে এক যুবককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজের ওপর এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাগর (৩৫) বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, সাইফুল ইসলাম সাগর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১০-১২ দিন আগে তিনি একটি অস্ত্র মামলায় জেল থেকে মুক্তি পান।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা
সোমবার সন্ধ্যার দিকে বালিয়া ভেকুটিয়া ব্রিজের ওপর সাগরকে একা পেয়ে অতর্কিত হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাকে পা ও বুকে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, নিহত সাগর হত্যায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তবে এখনও কাউকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
ওসি আরও জানান, নিহত সাগরের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতির চেষ্টা ও মাদকসহ ৫টি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগর ও ওসি সুকুমারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
২ মাস আগে
যশোর আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন গ্রেপ্তার
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান উপকমিশনার।
মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন যশোর শহরের ঘোপ পিলু খান সড়কের বাসিন্দা।
তার স্বজনরা জানায়, মিলন কিছুদিন আগে ঢাকায় যান। সেখানে একটি বাসায় ওঠেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে ঢাকার ফুলতলা এলাকায় গেলে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর তাকে গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
যশোরের ডিবি পুলিশের একজন কর্মকর্তা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনকে ঢাকায় ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নানা কারণে আলোচিত ছিলেন শহিদুল ইসলাম মিলন। সর্বশেষ পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির ভেতর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে (গত বুধবার মারা গেছেন) মারধর এবং মহিলা আওয়ামী লীগের এক নেত্রীকে দিয়ে দুইজন আইনজীবীর (আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত) বিরুদ্ধে আদালতে শ্লীলতাহানির মামলা করানোর কারণে ব্যাপক আলোচিত হন তিনি।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে বিরোধপূর্ণ জমিতে থাকা বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে।
২ মাস আগে
গাংনীতে র্যাবের অভিযানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা আটক
মেহেরপুরের গাংনীতে অভিযান চালিয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাবলু ও গাংনী পৌর যুবলীগের সহসভাপতি ও পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র নবীর উদ্দিন কমিশনারকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব—১২)।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে সানোয়ার হোসেন বাবলুকে (৫৫) তার বাড়ি মহিলা কলেজপাড়া এলাকা থেকে এবং নবীর উদ্দিনকে কাঁচাবাজারে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকেআটক করেন র্যাবের পৃথক দুটি টিম।
র্যাব—১২ সিপিসি—৩ গাংনী ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র এএসপি এনামুল হক জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে এই দুজন নেতাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় মাদারীপুরে আ.লীগ নেতা আটক
এসময় তাদের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব কমান্ডার জানান, আটকদের ক্যাম্পে এনে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে পালাতে গিয়ে জৈন্তাপুর সীমান্তে আ. লীগ নেতা আটক
২ মাস আগে