আওয়ামী লীগ
সরকারের দিন ঘনিয়ে আসছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের দিন ঘনিয়ে এসেছে। কারণ জনগণ নির্বাচনের নামে আর কোনো নাটক করতে দেবে না।
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের দিন শেষ হয়ে গেছে... এবার তাদের যেতে হবে।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, যারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নানাভাবে দমন-পীড়ন চালিয়েছে, তাদের সেই ঋণ শোধ করতে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার ছদ্মবেশে একদলীয় বাকশাল শাসন প্রতিষ্ঠা করে পরিকল্পিতভাবে জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ‘সুতরাং, তারা একটি নির্বাচনের নামে নাটক এবং উপহাস করতে চায় ... যে নির্বাচন এই দেশে আর হবে না কারণ মানুষ এখন তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে প্রস্তুত।’
ফখরুল বলেন, জনগণের সঙ্গে বর্তমান ‘অনির্বাচিত’ সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই এবং তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের টাকা লুটপাট করা। কারণ তারা বাংলাদেশকে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি এবং দেশের জনগণকে তাদের প্রজা মনে করে।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। দল ও এর অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
আয়োজকরা জানান, ১৯৭৫ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগ কর্তৃক একদলীয় বাকশাল শাসন প্রবর্তন, বিদ্যুত-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ সরকারের ওপর তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ের জন্য চাপ বৃদ্ধিই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
ফখরুল বলেন, শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত না হলে আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়বে না। ‘আমরা এই শাসনকে ক্ষমতা থেকে সরাতে জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করছি।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, যতদিন আওয়ামী লীগ পদত্যাগ না করবে এবং যতদিন গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাদের জেল থেকে মুক্তি না দেয়া হবে, ততদিন তাদের চলমান আন্দোলন চলবে।
ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে জাতি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছে। এই আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালের এই দিনে (২৫ জানুয়ারি) জনগণের সব আশা-আকাঙ্খাকে ধোঁকা দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল।
বিএনপি নেতারা প্রশ্ন তোলেন, আওয়ামী লীগ কেন ভুলে যায় যে তারা প্রথমে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে সব দল ও সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করে দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল।
আরও পড়ুন: ৪ ফেব্রুয়ারি সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে বিএনপি
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না এবং ভিন্ন মতকে সহ্য করতে পারে না। আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই সন্ত্রাসী দল। তাদের ইতিহাস সন্ত্রাসের ইতিহাস এবং তারা সর্বদা শক্তি প্রয়োগ করে এবং সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়।’
বর্তমান আন্দোলনে বিএনপির ১৭ নেতাকর্মী নিহত হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসার জঘন্য আকাঙ্খা চরিতার্থ করতে এত প্রাণ হরণ করেছে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় ও ইউটিলিটি সেবার দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় মানুষ খুবই কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে দিন পার করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার বিদ্যুৎ-গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক কমাবে না। ‘সুতরাং, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই শাসনকে অবশ্যই ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের ৪ মামলায় বিএনপির ১০২ নেতাকর্মীর আগাম জামিন লাভ
রাষ্ট্রপতি নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারেন না
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমানে ক্ষমতা নেই এমন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে অত্যন্ত সম্মান করি, ব্যক্তি যেই হোক না কেন এবং তিনি যে দলেরই হোন না কেন। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপ্রধান।’
তবে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি এখন নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না এবং প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবেন না। ‘তাই আমরা আমাদের ২৭ দফা প্রস্তাবে স্পষ্ট করেছি যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য থাকতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল শাসন প্রতিষ্ঠা করে জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছিল।
তিনি বলেন, আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানই গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার করেছেন।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, বাকশাল শাসনামলে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত হয়েছে কারণ জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন, দলটিকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার নতুন সুযোগ দিয়েছিলেন। তাই আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের ঘাতক আর বিএনপি গণতন্ত্র রক্ষাকারী।
আরও পড়ুন: ৪ ফেব্রুয়ারি সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে বিএনপি
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আ.লীগ সরকারের পতনের বিকল্প নেই: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে বর্তমান সরকারকে অপসারণের কোনো বিকল্প নেই।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপিপন্থী বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র, ভোটদান এবং জনগণের অন্যান্য অধিকার না থাকায় অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এবং বিভিন্ন সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। এ কারণে জাতি এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেমেছে। এটি করতে বর্তমান শাসন অপসারণের বিকল্প নেই।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা তুমুল আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, জনগণের ভোট ও অন্যান্য সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ এখন বলছে যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, তারা তা পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। যারা লুটপাট, দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচার করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, তারা এটা ঠিক করতে পারবে না। যারা রাজনীতিকরণের মাধ্যমে বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে পারে না।’
আরও পড়ুন: জিয়ার জন্মবার্ষিকী: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল করার অঙ্গীকার বিএনপির
বিএনপি নেতা আরও বলেন, যেখানে আওয়ামী লীগ আছে সেখানে গণতন্ত্র নেই, কারণ দলটি যখনই ক্ষমতায় এসেছে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। কিন্তু বিএনপির ইতিহাস গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাস।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পতন নিশ্চিত করতে এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাদের দল ইতোমধ্যে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল শেখ হাসিনার সরকারকে অপসারণের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুযায়ী একটি গুণগত ও বাংলাদেশ বিনির্মাণ নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ২৭ দফাও পেশ করেছে।
তিনি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা ও দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনে পেশাজীবীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
মোশাররফ দেশের উন্নয়নে জিয়ার অবদান এবং অর্থনীতির পরিবর্তন এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, জিয়া একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হওয়ায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দল তাকে, তার দলকে এবং তার পরিবারকে ভয় পায়।
আরও পড়ুন: বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ফখরুলের
বড় ধরনের হামলা ও নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
বিরোধী দল বিএনপি সারাদেশে বড় ধরনের হামলা-নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘দেশে জঙ্গিবাদ নিষ্ক্রিয় মনে হলেও বিএনপি ছদ্মবেশে সক্রিয়। গোয়েন্দাদের কাছে এমন তথ্য রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেতু ভবনে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক আগেই গণতন্ত্র মুক্ত হওয়ায় বিএনপির আর গণতন্ত্র উদ্ধারের প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের জন্য বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: পরবর্তী সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী
আ.লীগ নেতা বলেন, তার দল জনগণের জানমাল রক্ষায় রাজপথে থাকবে এবং নির্বাচন পর্যন্ত তাদের গণপ্রচার ও শান্তি সমাবেশ অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে তার দলের সংঘর্ষের কোনো ইচ্ছা নেই বলে আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয় না।
অন্যদিকে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের কর্মসূচির দিনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দয়া করে কোনও পাল্টা কর্মসূচি রাখবেন না এবং বাধা দেবেন না। এ কারণে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার দায় আওয়ামী লীগ ও সরকারকে নিতে হবে।’
এর আগে সেতু ভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পদ্মা সেতুসহ সব সেতুতে শুধু রাষ্ট্রপতিকে টোল অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: বিনিময়ের জন্য জনগণের কাজ করে না আ.লীগ: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কারাভোগ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করে আন্দোলন সফল করতে তারা বদ্ধপরিকর।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ১০ দফা দাবি পূরণের অঙ্গীকারও করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে হবে এবং অবশ্যই আমরা সংসদ ভেঙে দিয়ে এবং নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে জাতীয় নির্বাচন করতে বাধ্য করব।’
সেজন্য সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাঁর অসাধারণ সাহস, তাঁর প্রজ্ঞা, তাঁর দূরদর্শিতা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
বিদেশে বাংলাদেশিদের সম্পদের বিষয়ে ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নতুন নেতারা জনগণের সম্পদ লুট করে বিদেশে এসব সম্পত্তি ক্রয় করছে।
তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ বাংলাদেশি বিদেশে, বিশেষ করে লন্ডনে বাড়ি কিনেছেন। তারাই নব্য আওয়ামী লীগার যারা দেশের সম্পদ লুট করে এসব বাড়ি কিনছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সারাদেশের মানুষ জানে আপনারা (আ.লীগ) সম্পদ লুটপাট করছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা সফরে ডোনাল্ড লুর বক্তব্য নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করছে: ফখরুল
সব মোবাইল ফোনে বিজয় কীবোর্ড বাধ্যতামূলক করার সরকারের পদক্ষেপেরও নিন্দা করেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, এই ‘বিজয় কীবোর্ড’-এর মালিক মোস্তাফা জব্বার, যিনি ডাক, টেলিযোগাযোগ তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী। একজন মন্ত্রী কখনই তার কোম্পানিকে সরকারের কোনো লাভজনক কাজে সম্পৃক্ত করতে পারবেন না এটাই নিয়ম। এক্ষেত্রে তারা সরকারি ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ্যে এমন কাজ করছে।
এর আগে শেরেবাংলা নগরে জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা জানান বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীরা।
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ জানুয়ারি থেকে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
আরও পড়ুন: জিয়ার জন্মবার্ষিকী: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল করার অঙ্গীকার বিএনপির
জিয়ার জন্মবার্ষিকী: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল করার অঙ্গীকার বিএনপির
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকীতে 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের' জন্য চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন সফল করার অঙ্গীকার করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দলের নেতা-কর্মীরা শপথ নেন।
এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করতে দেশের জনগণ জেগে উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘পুরো জাতি অন্ধকারে নিমজ্জিত। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং একদলীয় শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করতে সরকার জেগে উঠেছে।’
আমরা আশা করি, আমরা নতুন অঙ্গীকার নিয়ে জনগণকে সংগঠিত করতে পারব এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষা, বাংলাদেশ রক্ষা এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনে জয়ী হতে পারব।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান অল্প সময়ের মধ্যে বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে একদলীয় শাসনের অন্ধকার থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের আলোয় নিয়ে আসেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ দলের নেতারা জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত করেন।
পরে দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মির্জা ফখরুল।
এ দিন জিয়াউর রহমানের পোস্টারও প্রকাশ করে বিএনপি। তারা জাতীয় পতাকাও অর্ধনমিত রাখে।
আরও পড়ুন: জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি বিএনপির
জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
'আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সরকারকে পতনে বাধ্য করবে': ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করে বলেছেন, সরকার টিকে থাকার জন্য যতই দমন-পীড়ন করুক না কেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে পতন ঘটানো হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যখন একটি বর্বর ও দানবীয় শক্তি আমাদের সকল অর্জনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে... আমাদের প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, ছয় হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে।’
শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাম্প্রতিক আন্দোলনে নিহত কয়েকজন বিএনপি নেতার পরিবারকে সহায়তা প্রদানের জন্য এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী দলকে দমন করতে মরিয়া: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ব্যাপকভাবে মামলা ও দমনমূলক কর্মকাণ্ড সত্ত্বেও তাদের দলের চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রাখতে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত এবং নৈতিকভাবে শক্তিশালী রয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘যেকোনো ধরনের দমন-পীড়নকে উপেক্ষা করে আমরা এই ভয়ঙ্কর দানবকে (সরকারকে) শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে পরাজিত করব। আমরা এখানে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব। আমরা যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি তাতে আমরা অবশ্যই জয়ী হব।’
ফখরুল নিহত বিএনপি নেতাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, তাদের দল সব সময় তাদের পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তারা একটি আদর্শের জন্য এবং একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য এটি করেছেন: ‘সেই আদর্শ ও লক্ষ্য হলো আমাদের দেশকে দুঃশাসন থেকে মুক্ত করা এবং বাংলাদেশকে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য সকল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।’
তিনি দাবি করেন, গত বছরের ২২ আগস্ট থেকে চলতি আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে বা আওয়ামী লীগের ‘ক্যাডারদের’ নির্যাতনে এ পর্যন্ত বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করুন নতুবা রাজপথে নামবে জনগণ: সরকারকে বিএনপি
ফখরুল ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেন, ‘তারা (নিহত বিরোধী নেতাকর্মীরা) শহীদ হয়েছেন কিন্তু বীরের মতো। পালানোর সময় তাদের কেউ মারা যায়নি, কারণ তারা সামনে দাঁড়িয়ে বুলেট নেয়ার জন্য বুক পেতে দিয়েছিল। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ তাদের আত্মত্যাগ এদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
বিএনপি নেতৃত্বাধীন চলমান গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনে প্রাণ হারানো বাগেরহাটের নুর আলম তনু, ঢাকার মকবুল হোসেন এবং পঞ্চগড়ের আবদুর রশিদ আরেফিনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভিডিও কলে অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের ‘জনবিরোধী’ সিদ্ধান্ত: ফখরুল
পরবর্তী সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী
সংসদের পরবর্তী উপনেতা হতে যাচ্ছেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা,আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই পদের জন্য মতিয়া চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন, যা সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন সমর্থন করেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে উপনেতার পদটি শূন্য হয়।
ক্ষমতাসীন দলের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজেদা টানা তৃতীয়বারের মতো একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা নির্বাচিত হয়েছেন।
শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মতিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কৃষিমন্ত্রী ছিলেন।
সংসদে উপনেতা পদে কাউকে নিয়োগ দিতে বাধ্যতামূলক আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।
২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কাউকে উপনেতা হিসেবে নিয়োগ দেননি।
আরও পড়ুন: টানা তৃতীয়বার সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী
তবে আওয়ামী লীগ বরাবরই একজন সিনিয়র নেতাকে মন্ত্রী পদে বসিয়েছে।
মতিয়া পাঁচবারের সংসদ সদস্য।
এসময় আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের জনগণের কাছাকাছি থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন প্রণেতাদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তার কাছে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট কার্ড রয়েছে এবং যারা জনগণের সঙ্গে যুক্ত এবং তাদের নির্বাচনী এলাকায় ভালো কাজ করছেন, তারাই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন বলে বৈঠক সূত্র জানায়।
প্রধানমন্ত্রী সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘যারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, তাদের মনোনয়নের জন্য বিবেচনা করা হবে না।’
বিএনপির চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের চলমান আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চললে তাতে সরকারের কোনো আপত্তি নেই।
বৈঠকে শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে একজন আইনপ্রণেতা বলেছেন, ‘তবে তারা যদি অতীতে যেভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলন চালিয়েছিল, একইভাবে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের পথ অবলম্বন করে; তবে তাদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে তার সরকার এই মুহূর্তে নতুন কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে অংশ নেবে না। বরং চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করার ওপর জোর দেবে সরকার।
এদিন রাত ৮টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে।
প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের জনগণের সঙ্গে কথা বলতে এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সবাইকে জানানোর আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, সরকার আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হওয়ায় সাজেদা চৌধুরীকে অভিনন্দন
আ.লীগ নেত্রী সাজেদা চৌধুরী মারা গেছেন
সরকার সোশ্যাল মিডিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য ‘আইএলআইএস’ চালু করবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, সরকার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো পর্যবেক্ষণ এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী ও সরকারবিরোধী কার্যকলাপকে নস্যাৎ করার জন্য একটি ‘ইন্টিগ্রেটেড লফুল ইন্টারসেপশন সিস্টেম (আইএলআইএস)’ চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা-১০ আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. শফিউল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি জাতীয় সংসদে জানান।
দেশের অভ্যন্তরে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সরকার নজরদারি বাড়াবে কি না জানতে চান শফিউল।
জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এছাড়া ইন্টারনেটে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী ও সরকারবিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার জন্য ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স টেকনোলজি (ওএসআইএনটি) এর মতো আধুনিক প্রযুক্তি জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারে (এনটিএমসি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এ বিষয়ে আইএলআইএস চালুরও চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে জনদুর্ভোগ সহ্য করা হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) কার্যক্রমকে তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাখার পেছনে যুক্তি ব্যাখ্যা করে খান বলেন, ভোটের উদ্দেশ্য ছাড়া এনআইডি ব্যবহারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই নির্বাহী বিভাগের অধীনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন প্রক্রিয়া হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, বাস্তবতা বিবেচনায় অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এটি নির্বাহী বিভাগের অধীনে থাকা উচিত।
এজন্য এটিকে (এনআইডি কার্ড প্রদান) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অচিরেই সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জামায়াতের সঙ্গে কোনো সমঝোতা না: ওবায়দুল কাদের
জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সমঝোতা হয় নি বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘কোনো সমঝোতা না। যেহেতু জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। সেহেতু ভিন্ন কোনো উদ্যোগ নেয়া যুক্তিসংগত নয় বলে আমরা মনে করি।’
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা(বিএনপি) কর্মসূচি দিতে পারে, তাদের দফা আছে, দশ দফা আবার বলে এক দফা। তারপর দেখলাম, ২৩ দল, আবার ৫৪ দল। এখন শুনলাম আবার ৫২ দল একসঙ্গে ১৬ জানুয়ারি কর্মসূচি পালন করবে। এখন তাদের এই জগাখিচুড়ি ঐক্যের শেষ কোথায়, পরিণতি আমরা গত নির্বাচনে দেখেছি। অতিবাম, অতি ডান মিলিমিশে একাকার।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে ২ পুলিশ আহত
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গতকাল বিএনপির সমাবেশ দেখলাম, অবশ্যই বড় হয়েছে, অস্বীকার করে লাভ নেই। আমাদের দুটো মিটিং অনেক বড় হয়েছে। শহীদ মিনারের সমাবেশ বড় হয়েছে। মিরপুরে তো বিরাট সমাবেশ হয়েছে। আলোচনাসভা সমাবেশে রূপ নিয়েছে, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে। তাদের এই যে এত জোট, প্রেসক্লাবের সামনে, বিজয়নগরে, দেখলাম ফুটপাতে বসে আছে সমমনা ১২ দল। প্রেসক্লাবের সামনে দেখলাম, কয়েকটি চেয়ার, সেখানে আবার তাদের কর্মীদের চেয়ে সাংবাদিক বেশি। আর মঞ্চে আছে কিছু নেতা।’
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তাদের তো কোনো নেতা নেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনের নেতৃত্ব দেবেন। রাজনৈতিকভাবে তিনি আমাদের সভাপতি। তিনি আমাদের পরবর্তী নির্বাচনের নেতা। তাদের কে? তারা কখনও বলে বেগম জিয়া, কখনো বলে তারেক রহমান তাদের নেতা। কিন্তু তাদের নির্বাচন করার যোগ্যতা নেই। তারা অভিযুক্ত আসামি। কাকে তারা নেতা বানাবেন? গতবার কামাল হোসেন ছিল। পরে তাদের মানসম্মানও বিঘ্নিত হয়ে গেছে। সবাই জানেন, শেষ পর্যন্ত তিনিও(কামাল) হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এবার কী হবে, সময় বলে দেবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা রাজপথে আছি। আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে, আমাদের বিক্ষোভ করার কিছু নেই। তবে শান্তি সমাবেশ করব। শান্তির শোভাযাত্রা করব। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমাদের দায়িত্ব। আমরা সতর্ক অবস্থানে থাকব। আমাদের বিক্ষোভের কোনো কারণ নেই।
ফরিদপুরে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকাল কোথাও সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ফরিদপুরে যেটা হয়েছে, সেটা হচ্ছে তাদের মিটিং থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে সেটা বেশি দূর গড়ায়নি। সমাধান হয়ে গেছে। আর ময়মনসিংহে স্পটে কিছু হয়নি। তবে তাদের গাড়ি নাকি আক্রান্ত হয়েছে। ঢিল ছুড়েছে, এ রকম কিছু হয়েছে। ঢাকায় উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিএনপির সঙ্গে পাল্টা কোনো কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ১০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা কর্মসূচি পালন করেছি। পরের দিন ১১ জানুয়ারি আমাদের কর্মসূচি ছিল।
মহানগরী উত্তর-দক্ষিণ আমাদের যুবলীগ-ছাত্রলীগ, অন্য সহযোগী সংগঠন, মফস্বলের উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করেছি। এটি সবসময় হয়ে আসছে। এখানে পাল্টাপাল্টির কোনো বিষয় না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মিছিল থেকে জামায়াত শিবিরের ৮ নেতাকর্মী আটক
‘তবে বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। সেটা হচ্ছে সতর্ক পাহারায় থাকা। যাতে করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে না পারে এবং অশান্তি, বিশৃঙ্খলা সহিংসতার কোনো উপদান যুক্ত হতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকছি,’ বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে জামায়াতের সঙ্গে সরকারের কোনো সমঝোতা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ ধরনের প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যাপারে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
জামায়াতকে নিয়েই বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, তা সবাই জানেন। জামায়াত ছাড়া বিএনপির টিকে থাকাই দুষ্কর। নেতিবাচক রাজনীতি করতে করতে বিএনপি যেখানে গিয়ে পৌঁছেছে, তাদের বড় সমাবেশ, বড় মিছিল করতে হলে জামায়াতকে দরকার। জামায়াতের আবার একটি সমর্থক-কর্মীর ব্যাংক আছে। কাজেই সমাবেশ বড় করতে হলে, মিছিলে লোক বেশি আনতে হবে জামায়াত ছাড়া তাদের (বিএনপি) চলবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বারবার একই কথা বলেছি, সাম্প্রদায়িক শক্তির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর বিশ্বস্ত ঠিকানা বিএনপি। বিএনপি-জামায়াত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাদের একটিকে ছাড়া আরেকটি চলবে না।’
আরও পড়ুন: বিশ্বের কোথায়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই: ওবায়দুল কাদের
ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে আরও জেগে ওঠুন: জনগণের প্রতি ফখরুল
আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে দেশবাসীকে আরও জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে এবং আমাদের শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য সত্যিকারের জনগণের বাংলাদেশ গড়তে আমাদের এখন আরও বেশি করে জেগে উঠতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেয়ার সময় বিএনপি নেতা বর্তমান 'স্বৈরাচারী' সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য সর্বস্তরের জনগণকে তাদের চলমান যুগপৎ আন্দোলনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়া যার মাধ্যমে একটি গণমুখী সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশ ‘অবৈধভাবে’ বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহ করছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, আসুন আমরা সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাই। আমাদের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে যেতে হবে। এছাড়া দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা এই লক্ষ্যে এগিয়ে আসছেন এটি একটি ভাল লক্ষণ।
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসাবে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এবং দেশের আরও নয়টি বিভাগে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করেছে অন্যান্য সমমনা বিরোধী দল, জোট ও সংগঠনগুলো।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নয়াপল্টনে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি।
৩০ ডিসেম্বর ৩৩টি বিরোধী দলের গণমিছিলের পর এটি ছিল একযোগে আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি। এর আগে ৩০ ডিসেম্বর বিএনপিসহ ৩২টি সমমনা বিরোধী দল একযোগে আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হিসাবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে।
আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের রাজনৈতিক দল হিসাবে পরিচয় দেয়। আমরা জানি যে তারা অনেক পুরানো পরিচিত দল। কিন্তু এখন তারা তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় থাকার জন্য তাদের এখন পুলিশ ও আমলাদের ওপর নির্ভর করতে হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটের অধিকারের জন্য বর্তমান সরকারকে অপসারণে সব বিরোধী রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। তারা ১০ দফা দাবি আদায় করে এই আন্দোলন সফল করবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই আমরা রাজ্য সংস্কারের জন্য ২৭ দফার কথা বলছি।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বাড়ি তৈরি করছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকজন লুটপাট ও বিদেশে বিপুল অর্থ পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে।
এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ব্যাংকসহ সব প্রতিষ্ঠানে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধান টার্গেট জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় বাকশাল শাসন পুনরুদ্ধার করা। আমরা সরকারকে তা করতে দেব না। এই শাসনের পতন নিশ্চিত করতে আমরা জনগণের সঙ্গে একসাথে এগিয়ে যাব।
ফখরুল বলেন, তাদের দলের অনেক নেতাকর্মী এখনও অসহনীয় দুর্ভোগ সহ্য করে কারাগারে বন্দি।
তিনি সরকারের কাছে অবিলম্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানিসহ দলের গ্রেপ্তার হওয়া কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবি জানান।
ফখরুল অভিযোগ করেন, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে তাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলা চালিয়েছে।
আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকার বলত বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য কর্মসূচি ঘোষণা করে। তবে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ১০টি সমাবেশ ও পরবর্তী কর্মসূচির আয়োজন করেছি।
তিনি বলেন, আগামী দিনেও তারা একইভাবে জনগণের সঙ্গে একত্রে সরকারকে উৎখাত করতে এবং রাষ্ট্রের সংস্কারে তাদের ২৭ দফা বাস্তবায়নে তাদের সব কর্মসূচি পালন করবেন।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যাপক অংশগ্রহণে অবস্থান কর্মসূচি সফল করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, জনগণ জেগে উঠেছে বলে এই সরকারকে যেতেই হবে।
তিনি বলেন, আমরা এই শাসনকে নিচে ঠেলে সরিয়ে দিতে চাই না। আমরা একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে এর পতন নিশ্চিত করতে চাই।
আব্বাস বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী হওয়ায় তাদের দল কোনো সহিংসতার আশ্রয় নিতে চায় না। সরকার অহেতুক আতঙ্কে ভুগছে। বিএনপি কোনো বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি চায় না। আমরা সরকারকে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। এমনটা করলে পরিণতি ভালো হবে না। জোর করে ক্ষমতায় থাকার দিন শেষ।
তিনি তাদের দলের ১০ দফা দাবি মেনে নিয়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান।
এদিকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিলে এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।
এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ একই কর্মসূচি পালন করে, বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্কের কাছে ১২ দলীয় জোট, পুরানা পল্টনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এফডিসি ক্রসিংয়ে এলডিপি এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের পূর্ব পাশে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং আরামবাগে ক্লাব ও গণফোরাম (মন্টু)।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বানচালে নয়াপল্টনে সংঘর্ষ করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কর্মকর্তাদের অপসারণ করছে সরকার: মির্জা ফখরুল