নির্বাচন
রাষ্ট্র সংস্কারের পর নির্বাচনের কথা ভাবতে হবে: নুর
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আগে রাষ্ট্র সংস্কার ও জনআকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করতে হবে, তার পরে নির্বাচনের কথা ভাবতে হবে।
সোমবার (২৪ মার্চ) বিকালে পটুয়াখালী শহরের জেলা পরিষদ শিশুপার্কে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নুর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে একটি ফ্যাসিস্ট ও রাজনৈতিক দল।’ তাই সকল দল ও সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় পটুয়াখালীতে একটা সুন্দর ও সম্প্রীতির রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হোক সেই প্রত্যাশা করি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে নজর দিন।’
আরও পড়ুন: আয়নাঘরের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার করতে হবে: নুরুল হক
এছাড়া জনগণের ক্ষোভ বাড়ছে, প্রশাসনের অনেকে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে— সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ডাকসু্ এই সাবেক ভিপি।
গণঅধিকার পরিষদ পটুয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম লিটুর সভাপতিত্বে সভায় কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা, ইউনিট নেতারা ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
৭ ঘণ্টা আগে
ঐকমত্য কমিশনে মতামত জমা দিল জামায়াত, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে জোর
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিতে জোর দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে মতামত জমা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজের কাছে তাদের মতামত জমা দেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে, মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। সংবিধান, নির্বাচন, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ পাঁচটি বিষয়ের ওপর প্রস্তাব পেশ করেন তারা।
এ সময় সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে। আমীরে জামায়াতসহ নেতৃবৃন্দ প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত একটি অর্থবহ নির্বাচন দেওয়ার জন্য বারবার বলে আসছেন।
আরও পড়ুন: সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত হলে নাগরিকরা গর্বিত হতো: জামায়াত আমির
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়ের ব্যাপারে একটি ধারণা জাতির সামনে পেশ করা হয়েছে। আমরা তার সাথে দ্বিমত পোষণ করিনি।’
তিনি বলেন, আজকে আমরা পাঁচটি বিষয়ের ওপর আমাদের মতামত তুলে ধরেছি। কমিশনের প্রস্তাবের সাথে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা একমত হতে পারিনি; আবার অনেক বিষয়েই একমত হয়েছি। আমরা ব্যাখ্যাসহ আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি।’
‘আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছি। আমরা আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ শুরু করবেন,’ বলেন গোলাম পরওয়ার।
৪ দিন আগে
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও যথাযথ প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৯ মার্চ) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
এর আগে গত ১৭ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন ও কী ধরনের সুবিধাগুলো পেয়ে থাকেন তা নিয়ে আলোচনা করেন।
আজকের বৈঠকে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উত্থাপিত বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তাদের, বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবস্থার উন্নয়নে তাৎক্ষণিক বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন ড. ইউনূস।
আরও পড়ুন: পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টার আজকের মূল নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে— পুলিশে প্রচলিত ঝুঁকি ভাতার প্রচলিত সিলিং তুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা, পুলিশের জন্য নতুন ৩৬৪টি পিকআপ ও ১৪০টি প্রিজনার ভ্যান কেনার উদ্যোগ নেওয়া, পুলিশের চলমান নির্মাণ প্রকল্পের ৭০ শতাংশের নিচে সম্পাদিত হওয়া প্রকল্পগুলোতে অর্থ ছাড় করা, ভাড়াকৃত ভবনে অবস্থিত ৬৫টি থানার জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ ছাড় করা এবং পুলিশের এসআই ও এএসআই র্যাংকের মোটরসাইকেল কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণের বিষয়টি বিবেচনা করা।
কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে জেলা পুলিশকে শ্রেণিবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়াও তিনি নিম্ন-কর্মদক্ষতার ইউনিটগুলোর কর্মক্ষমতা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালানোর ওপরও জোর দেন।
৫ দিন আগে
ক্ষমতায় গেলে স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে হওয়া সব হত্যার বিচার করবে বিএনপি: তারেক রহমান
আগামী দিনে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ওই নির্বাচনে বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, তাহলে বিগত স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত ও শহিদ হয়েছেন, তাদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার করা হবে।
রবিবার (১৬ মার্চ) বিকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’–এর আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলনে গুম ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানে এই আয়োজন করা হয়। এতে বিগত দিনে গুম, খুন এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের বেশ কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিএনপি ও দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণের যে প্রত্যাশা, একজন রাজনৈতিক দলের সদস্য হিসেবে আমাদেরও প্রত্যাশা, সামনে একটি সুস্থ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং কারা সরকার গঠন করবে—বাংলাদেশের জনগণ এই নির্বাচনে তাদের সিদ্ধান্ত দেবেন।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে কোনো সংস্কারই কাজ আসবে না: আমীর খসরু
তিনি বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আগামীতে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব যে রাজনৈতিক দলই পাক না কেন, তাদের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে অবশ্যই একটি কর্মসূচি থাকতে হবে; সেটি হলো—যারা নির্যাতন ও অন্যায়ের শিকার হয়েছে, তাদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার করতে হবে।’
‘যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠুভাবে এই বিচার করতে হবে। কারণ আমরা যদি আগামী দিনে অন্যায়ের বিচারগুলো করতে না পারি এবং অন্যায়ের সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার যদি না হয়, তাহলে হয়তো-বা দেশে আবারও অন্যায় সংগঠিত হবে।’
বিএনপির এই সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘আমাদের দলের অবস্থান থেকে আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে পারি, বিএনপিকে বাংলাদেশের মানুষ যদি আগামীতে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেয়, তাহলে অব্যশই রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে যে, বিগত স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে জুলাই-আগস্ট মাসে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন এবং যারা শহিদ হয়েছেন, যাদের বিভিন্নভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেসব হত্যাগুলোর বিচার অবশ্যই আমরা করব।’
আরও পড়ুন: নারী-শিশু নির্যাতনে আইনি ও স্বাস্থ্য সহায়তায় বিএনপির ৮৪ সেল গঠন
‘আশা রাখবেন, আগামীতে আপনারা হতাশ হবেন না।... আমরা যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকি, তাহলে এই বাংলায় (নিপীড়নকারীদের) বিচার করতে অবশ্যই আমরা সক্ষম হব।’
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে যতগুলো রাজনৈতিক দল আছে, তারা তার এই প্রস্তাবে দ্বিমত করবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
৮ দিন আগে
গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী জাতিসংঘ মহাসচিব
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আরও বেশি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশ যেহেতু উল্লেখযোগ্য একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই আমি আরও বেশি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের বিষয়ে আশাবাদী।’
শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর এক হোটেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গুতেরেস বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের জন্য এক সন্ধিক্ষণ, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ন্যায়সঙ্গত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের লক্ষ্যে আপনাদের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করা।’
বাংলাদেশের জনগণের পাশে থেকে একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে জাতিসংঘ নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সংস্কার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে মনে করে জাতিসংঘ: বিএনপি
এ বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও পরিবর্তনের পথে এগোচ্ছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, জাতিসংঘ শান্তি, জাতীয় সংলাপ, আস্থা ও সংহতি প্রতিষ্ঠায় সর্বদা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে আমরা একত্রিত হয়েছি। এই সময়ে সংহতি ও মানবতার ওপর গুরুত্বারোপ করা আগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
‘এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখব, যাতে আপনারাই সামনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা ও সুযোগগুলো গ্রহণ করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তটি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে আমি সম্মানিত। এই রমজান সবার জন্য শান্তি, আশীর্বাদ ও নতুন আশা নিয়ে আসুক।’
৯ দিন আগে
জাতীয় ও গণপরিষদ নির্বাচনের নামে বিলম্ব করা চলবে না: ড. আসাদুজ্জামান
বিএনপি জাতীয় নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচনের নামে কোনোভাবেই নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে দেবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচনের নামে কোনোভাবেই নির্বাচনকে বিলম্বিত করা চলবে না, আর এটা আমরা হতেও দেব না।’
দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ ইসলামের সভাপতিত্বে শনিবার (১৫ মার্চ) ফরিদপুরে বিএনপির বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. রিপন বলেন, কেউ কেউ বলছেন দেশে একটি গণপরিষদ হবে, গণপরিষদ করার দায়িত্ব কে দিয়েছে তাদের।
তিনি আরও বলেন, সংস্করের নামে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার সুযোগ নেই। দেশি ও বিদেশি নানান ষড়যন্ত্র চলছে। অনির্বাচিত সরকার এদেশে মাথা গোজার চেষ্টা করছে—সেটা বিএনপি করতে দেবে না এদেশে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা বলব সংস্কার বা গণপরিষদের নামে কোনো কালক্ষেপণ না করে যত দ্রুত সম্ভব এদেশে একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
আরও পড়ুন: ৯০ দিনের মধ্যে আছিয়া হত্যার বিচার-রায় কার্যকর দেখতে চাই: ডা. শফিকুর
তিনি আরও বলেন, হাসিনা গত ১৬ বছর ভোট করেনি বলেই বিদায় নিতে হয়েছে এভাবে, পালাতে হয়েছে তাকে। দেশে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা আর যাতে ফিরিয়ে না আসে সে জন্য দরকার একটি সুন্দর নির্বাচন।
নেতা কর্মীর উদ্দেশে রিপন বলেন, দখল বাণিজ্য তখনই আসে যখন গণতন্ত্র থাকে না দেশে। জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে, আগামী নির্বাচন অনেক কঠিন হবে। মানুষের ভালোবাসা না পেলে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়—এমন কাজ করা থেকে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
বর্ধিত সভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহজাদা মিয়া, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাসুক, সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিএনপি নেত্রী হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
বর্ধিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদারেস আলী ইছা, বিএনপি নেতা সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, মো. আজম খান, রশিদুল ইসলাম লিটন প্রমুখ।
বিএনপির বিশেষ এই বর্ধিত সভায় ফরিদপুর জেলা সহ বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচটি জেলার দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
৯ দিন আগে
নির্বাচন পেছানোর আশঙ্কা যৌক্তিক: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সংস্কারের নামে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন পেছানো হতে পারে বলে জনমনে যে ধারণার জন্ম হয়েছে তা ভিত্তিহীন নয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার সংস্কারমূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। কিন্তু তাদের সংস্কার প্রস্তাবে আমি নতুন কিছু পাইনি, যা ইতোমধ্যে আমাদের ৩১ দফা প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সুতরাং সংস্কার ইস্যুকে নির্বাচন পেছানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জাতির ধারণা ভিত্তিহীন নয়।’
বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে বিএনপির ৩১ দফা প্রস্তাব নিয়ে এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস বলেন, বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব সংশোধন করে সরকার সংস্কার উদ্যোগ সম্পন্ন করতে পারে এবং দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করতে পারে।
আরও পড়ুন: সারা বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে রোজা-ঈদ করা যায় কি না, বিবেচনার অনুরোধ তারেক রহমানের
তিনি বলেন, 'সরকার এমনকি আমাদের ৩১ দফা প্রস্তাব সংশোধন করে জুন বা জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণাও দিতে পারে। সরকার বলেছে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে, কিন্তু অহেতুক বিলম্বের কারণ বুঝতে পারছি না।’
সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানোর পক্ষে মত দেওয়ায় কয়েকটি রাজনৈতিক দলেরও সমালোচনা করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য, কথা বলার অধিকারের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য আমাদের তাজা রক্ত দিয়েছি। কিন্তু এখন যখন ভোটের সময় এসেছে, তখন কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য নানা শর্ত আরোপ করছে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে যা খুশি তাই করেছে। তিনি বলেন, 'আপনারা (কিছু রাজনৈতিক দল) কি একই কথা ভাবেন? এই বাংলাদেশ কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এই বাংলাদেশ জনগণের। তাই ভেবেচিন্তে কথা বলুন, যাতে কোনো হিসাব-নিকাশ না করেই আমাদের কথা বলতে না হয়।’
আরও পড়ুন: নারী নির্যাতনসহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করুন: সরকারকে বিএনপি
কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, কিছু লোভী রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দল নিছক বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করে, কোনো বাস্তব কারণে নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে ভারত ভাগ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এই দলগুলো এর বিরোধিতা করে আসছে। তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র দেশপ্রেম নেই। তারা দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসে না। তারা যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে চায়।’
মির্জা আব্বাস বলেন, কোনো দল গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আসুন। আপনারা নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছেন কেন?’
তিনি বলেন, যারা দাবি করে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না, তাদের ব্যাখ্যা করা উচিত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে তাদের কতজন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। তিনি বলেন, এক মাসে আমাদের ৪২২ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। আপনাদের কতজন শহীদ হয়েছে?’
বিএনপির নেতিবাচক কর্মকাণ্ডকে ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের চেয়ে বেশি তুলে ধররা সাংবাদিকদের একটি অংশের সমালোচনাও করেন দলটির এই নেতা।
তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন দল, টেলিভিশন চ্যানেল ও ইউটিউবাররা সমন্বিতভাবে দলের বদনাম করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলছেন। ‘আমাদের কর্তব্য হচ্ছে আমাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এবং জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে এগুলোকে প্রতিহত করা।’
নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, 'তারা (অপরাধীরা) অন্যায় করে, চাঁদাবাজি করে, অপকর্ম করে, তারপর এর জন্য বিএনপিকে দোষারোপ করে। কথায় বা কাজের মাধ্যমে এই চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে হবে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজরা এখন বিএনপি-জামায়াতসহ সব দলে অনুপ্রবেশ করেছে। ‘এই চাঁদাবাজরা কমবেশি সব দলেই অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের চিহ্নিত করে হয় দল থেকে বহিষ্কার করুন অথবা পুলিশের হাতে তুলে দেন।’
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপিতে দুর্বৃত্ত, অপরাধী ও চাঁদাবাজদের কোনো স্থান নেই। তিনি বলেন, বিএনপিতে খারাপ লোকের কোনো স্থান হবে না—এটা মনে রাখবেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পেছাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এনসিপি: ফারুক
১২ দিন আগে
নির্বাচন পেছাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এনসিপি: ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের নিয়ে গঠিত ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি (এনসিপি) জাতীয় নির্বাচন পেছানোর জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ আন্দোলন সফল করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে জাতীয় নির্বাচনের পথ সুগম করেছে। কিন্তু নতুন দল (এনসিপি) এখন নির্বাচন পেছানোর জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। মানুষ এটা বলতে শুরু করেছে।’
নারীর প্রতি ব্যাপক সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, অনলাইনে হয়রানি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও ন্যায়বিচারহীনতার প্রতিবাদে বুধবার (১২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদের বিরোধীদলীয় সাবেক চিফ হুইপ ফারুক জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘সরকার যদি সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন পেছায়, তাহলে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা অবশ্যই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার অবশ্যই সংস্কার করবে, তবে দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
তিনি বলেন, এনসিপি গণপরিষদ ও সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজনের দাবি জানিয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমি সরকারকে বলতে চাই, আমি গণপরিষদ বুঝি না। আমি শুধু একটা জিনিসই বুঝি, আমার বিরুদ্ধে ৮৪টি মামলা ছিল, আর ১৬টার মধ্যে ৯ বছর আমি কারাগারে ছিলাম। একজন রাজনৈতিক কর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার আলোকে গণপরিষদ নয়, একটি নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলায় বাংলাদেশের সমর্থন চায় গাম্বিয়া
ফারুক আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা রাজনৈতিক দলগুলো একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠন করবে এবং সংসদে আলোচনা করে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব ড. ইউনূসকে দিয়েছে। ‘তাই তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলনে অংশ নেওয়া জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি, দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত সরকার ফ্যাসিবাদীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে এবং তাদের অপকর্ম উন্মোচন করতে সক্ষম হবে। ‘আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে একটি নির্বাচন আয়োজন করুন, যাতে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।’
১২ দিন আগে
একই সঙ্গে আইনসভা ও গণপরিষদ নির্বাচন সম্ভব: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ বিলোপের পাশাপাশি নতুন সংবিধান প্রণয়নে আগামী নির্বাচনে একই সঙ্গে আইনসভা ও গণপরিষদ নির্বাচন আয়োজন সম্ভব বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
ফ্যাসিবাদ-বিরোধী রাজনীতিবিদ, ছাত্র-শ্রমিক, পেশাজীবী, অ্যাক্টিভিস্ট, ওলামায়ে কেরাম ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ইফতার পার্টিতে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে নানা বিষয়ে মতপার্থক্য হতে পারে, তর্কবিতর্ক হতে পারে, নীতিগত বিরোধ হতে পারে, কিন্তু গণতান্ত্রিক সম্পর্ক, সংলাপ ও পারস্পারিক মিথস্ক্রিয়ায় এসব কারণে যেন কোনো ছেদ না পড়ে।’
বাংলাদেশবিরোধী শক্তিরা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের বিপদ এখনও কাটেনি উল্লেখ করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘নীতিগত বিরোধ থাকলেও ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলায় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। এনসিপি বাংলাদেশের শাসন-কাঠামোর গুণগত ও মৌলিক পরিবর্তন চায়। তাই আমরা একটি নতুন সংবিধানের মাধ্যমে একটি নতুন রিপাবলিকের কথা বলছি।’
বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রসঙ্গ টেনে নাহিদ বলেন, ‘সামনের নির্বাচনে একই সঙ্গে আইনসভা ও গণপরিষদ নির্বাচন সম্ভব। এতে করে একদিকে নতুন সংবিধান কায়েম হবে, অন্যদিকে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় নতুন পথের উত্তরণ ঘটবে।’
আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদের কারণে আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে: নাহিদ ইসলাম
সরকার সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য যে সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেই সময়ের মধ্যেই এসব কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব বলে জানান তিনি। বলেন, ‘সংবিধান সংস্কারের পাশাপাশি জনপ্রশাসন ও পুলিশ সংস্কারের প্রস্তাবগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধ্যাদেশ জারি করে সম্পন্ন করা উচিত।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হতে হবে। সরকারের একার পক্ষে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে সবার সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।’
এছাড়া নির্বাচনের সময়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ আচরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে প্রত্যাখ্যান করে রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনার ওপর জোর দেন এনসিপির আহ্বায়ক। বলেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিচার দ্রুত করতে হবে এবং বিচারের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগের ব্যাপারে রাজনৈতিক ফয়সালার পথে হাঁটতে হবে।’
১৩ দিন আগে
নির্বাচনের আগে বিচার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চায় এনসিপি
যেকোনো নির্বাচনে যাওয়ার আগে দৃশ্যমান বিচার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন দেখতে চান বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘শুধু নির্বাচনই নাগরিক পার্টির এই মুহূর্তে একমাত্র দাবি নয়, তার আগে আমরা দৃশ্যমান বিচার কার্যক্রম দেখতে চাই।’
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ টাওয়ারে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য নাগরিক পার্টির প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা বলেছি, সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি গণপরিষদ নির্বাচন দেখতে চাই। শুধু নির্বাচনই নাগরিক পার্টির এই মুহূর্তে একমাত্র দাবি নয়, তার আগে আমরা দৃশ্যমান বিচার কার্যক্রম দেখতে চাই।’
‘ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে জুলাই সনদ সই হওয়ার কথা, জনগণ দেখতে পাবে কোন রাজনৈতিক দল সংস্কারের পক্ষে আছে, কোন দল বিপক্ষে আছে—এই জুলাই সনদ আমরা নির্বাচনের আগে কার্যকর দেখতে চাই। ছাত্রদের পক্ষ থেকে জুলাই ঘোষণাপত্রের যে দাবি উঠেছিল, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা সেটার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।’
সারা দেশে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, জনপরিসরে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার যেন কঠোর অবস্থান নেয়। নারী নিপীড়নকারীদের যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনা হয়।’
আরও পড়ুন: ‘দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠায় ‘গণপরিষদ’ নির্বাচনের জন্য লড়াই করুন: নাহিদ
এ সময় আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থায় রয়টার্সে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারটি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘আমি রয়টার্সকে বলেছি, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নির্বাচন কঠিন হবে। তাদের বলি নাই নির্বাচন হবে না।’
‘আমি বলেছিলাম, এখন যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পুলিশ যে রকম নাজুক অবস্থায় আছে, এরকম নাজুক অবস্থায় নির্বাচন করাটা অনেক কঠিন হবে। এই পুলিশ প্রশাসনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের নেই। তাদের সক্ষমতা পরীক্ষা হয়নি দীর্ঘদিন ধরে। সে জায়গায় আমরা বলেছি, আমাদের অবশ্যই নির্বাচনের আগে যে পুলিশিং ব্যবস্থা আছে, আইনশৃঙ্খলার যে পরিস্থিতি আছে, সেটা অবশ্যই উন্নত করতে হবে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে, সামাজিক শক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে, সহযোগিতা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘রয়টার্সের ইন্টারভিউতে কিছু মিসকোট হয়েছে। আমি বলেছিলাম যে, আমাদের আর্থিক বিষয়ে সমাজের যে সচ্ছল মানুষ বা শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, তারা মূলত আমাদের সহযোগিতা করে। আমরা একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি। অনলাইন ও অফলাইন-কেন্দ্রিক। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে কার্যালয় স্থাপনসহ ইলেকশন ফান্ডিং রিচ করব। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে ভুল তথ্য এসেছে। এটা সংশোধনের জন্য অনুরোধ থাকবে।’
এনসিপির কার্যক্রম বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, আমরা এখন রাজনৈতিক নিবন্ধনের শর্তাবলী নিয়ে মনযোগী হচ্ছি। তৃণমূলে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছি। রোজার পর পুরোদমে শুরু করবো। আমরা নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করছি। জোট গঠনের বা নির্বাচনের প্রার্থীর বিষয়ে আমাদের অবস্থান ব্যক্ত করতে আরও সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনের সময়ের চেয়ে প্রেক্ষাপটকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা আমাদের জায়গা থেকে দাবি জানাচ্ছি। জুলাই সনদ আর জুলাই ঘোষণাপত্র আলাদা জিনিস। ঘোষণাপত্রের দাবি আরও আগে উঠেছিল ছাত্রদের পক্ষ থেকে। আর জুলাই সনদ প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করছিলেন যে, সংস্কারের ঐকমত্যের ওপর একটা চার্টার তৈরি হবে যেখানে বাংলাদেশের রূপরেখা ও সংস্কারের কী কী এখন করব, কী কী ভবিষ্যতে করব— এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের কাছে কমিটমেন্ট দিতে হবে। সেটাকে আমরা বলছি জুলাই সনদ।’
‘পরিবর্তন ও ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা থেকে মানুষ গণঅভ্যুত্থানে এসেছিল। এই দুইটা পূরণ করতে হবে। সেটা আমি বলেছি যে, আমরা যেন ভুলে না যাই বিচার; সংস্কারের মধ্য দিয়ে যেন আমরা নির্বাচনের দিকে যাই।’
এর আগে, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন জানান, আগামী ১০ মার্চ রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহিদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবে দলটি।
তারপর ১১ মার্চ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের পরিকল্পনার কথাও জানান আখতার।
এ সময় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের প্রধান সংগঠক সারজিস আলম, প্রধান সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৭ দিন আগে