নির্বাচন
নির্বাচন নিয়ে শরিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ১২ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে নতুন করে সংলাপ শুরু করল দলটি।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা বৈঠকে অংশ নেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি ও লেবার পার্টির নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে দলটির। পর্যায়ক্রমে শরিক দল ও জোটগুলো এই আলোচনায় অংশ নেবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য এ বিষয়ে বলেছেন, দেশের দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক অবস্থা, আগামী নির্বাচন, সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং প্রধান উপদেষ্টার সম্ভাব্য নির্বাচনি রোডম্যাপের বিষয়ে জোটের শরিকদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হবে। সবার পরামর্শের ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করা হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সুযোগ পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি: তারেক
বিএনপির এই নেতা বলেন, নিজেদের ঐক্য আরও জোরদারের দিকে মনোনিবেশ করার পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে জোটের শরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কথা বলার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্তদের ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ নামের একটি রাজনৈতিক দল গঠনের চলমান প্রচেষ্টা নিয়েও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
উদ্বেগ প্রকাশ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার ২০২৬ সালে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করার চেষ্টা করতে পারে, যাতে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ নিজেদের সংগঠিত করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়।’
‘কেউ রাজনৈতিক দল গঠন করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে, অন্তর্বর্তী সরকার ও রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় যদি কোনো দল গঠিত হয়, তাহলে আমাদের আপত্তি আছে। সংস্কারের বাহানায় একটি দলকে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য নির্বাচনে বিলম্ব করার বিরোধিতা করি আমরা।’
এর আগে, বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ২০২৫ সালের শেষে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে।
তার এক দিন পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ইঙ্গিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিএনপির
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে ইসি
নির্বাচনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য অনির্ধারিত বৈঠকে বসেছিল নতুন নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে দেশের ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
বৈঠকে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে কমিশন পুরোপুরি প্রস্তুত: সিইসি
গত ২ নভেম্বর সাবেক সচিব এ এম এম নাছির উদ্দিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
অন্য কমিশনাররা হলেন-সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমদ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
২ দিন আগে
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ইঙ্গিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিএনপির
জাতীয় নির্বাচন ২০২৫ সালের শুরুতে বা কৌশলগতভাবে বিলম্বিত করে ২০২৬ সালের দিকে নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক ইঙ্গিত বিএনপির মধ্যে তুমুল মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
যদিও কিছু নেতা সতর্কতার সঙ্গে দীর্ঘায়িত রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা অবসানের পদক্ষেপ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার সংকেতটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে অন্যরা সংশয় প্রকাশ করে এটিকে ‘রোডম্যাপ ছাড়া একটি অসম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি’ বলে অভিহিত করেছেন।
বিএনপি সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, দ্রুত নির্বাচন অতি প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে। আর বিলম্বিত নির্বাচন হতে পারে সময় কেনা এবং সরকারের প্রভাব বাড়ানোর কৌশলগত চেষ্টা।
বিএনপি নেতারা বলছেন, ‘সময়সীমা নিয়ে কয়েক মাসের অস্পষ্টতার পরে অবশেষে নির্বাচনের কথা শুনে ভাল লাগছে - তাড়াহুড়ো বা বিলম্বিত হোক না কেন - একটি কৌশলগত ভারসাম্যের কাজ বলে মনে হচ্ছে। সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ছাড়া আমরা সরকারের আসল উদ্দেশ্য অনুমান করতে পারছি।’
মিশ্র প্রতিক্রিয়া দলের মধ্যে আশা এবং সন্দেহ উভয়ই তুলে ধরে। বিএনপি নেতারা সম্ভাব্য আগাম শোডাউনের প্রস্তুতি বা দীর্ঘ অপেক্ষার জন্য প্রস্তুত হওয়ার চ্যালেঞ্জগুলো মূল্যায়ন করেন। এটি তাদের নিচের পর্যায়ে রাজনৈতিক ভিত্তি পরিবর্তন করতে পারে।
দলটির নেতারা বলেন, বিএনপি আগামী ৪-৫ মাসের মধ্যে নির্বাচনি সংস্কার কাজ শেষ করতে চায় এবং আগামী বছরের আগস্টের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। যাতে সরকারকে এক বছরের মেয়াদ পূর্ণ করার সুযোগ দেওয়া হয়।
তারা আরও মনে করেন, ২০২৬ সালের শুরুর দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে প্রধান উপদেষ্টা যে উল্লেখ করেছেন, তা তার সরকারের মেয়াদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার কৌশলের অংশ হতে পারে।
বিএনপি নেতারা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে সরকার সম্মত হতে পারে।
তারা বলছেন, অন্য রাজনৈতিক দলগুলো এতটুকু সময় দিতে রাজি হলে বর্তমান সরকারকে আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ দিতে পারেন তারা।
এর আগে সোমবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ২০২৫ সালের শেষের দিকে বা ২০২৬ সালের প্রথম দিকে ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে।
টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, 'বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে।’ ড. ইউনূস নির্বাচনের আগেই সব ধরনের সংস্কার সম্পন্ন করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণে আগামী নির্বাচন সম্পর্কে যা বলেছেন তাতে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই, কারণ তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বা রোডম্যাপ পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেননি। তবে আমরা কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি এবং আশা করছি সরকার অন্তত নির্বাচন নিয়ে ভাবছে।’
তিনি বলেন, তাদের দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, সরকার আন্তরিক হলে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। ‘আমরা আরও বিশ্বাস করি, সরকারের এক বছর মেয়াদ প্রয়োজনীয় নির্বাচনি ও অন্যান্য সংস্কার করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটি যৌক্তিক সময়সীমা। কিন্তু সরকারের ভেতরের কিছু লোক সংস্কারের নামে সময় কিনতে চায়, শুধু ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের গঠিত বিভিন্ন সংস্কার কমিশন চলতি মাসের শেষের দিকে তাদের প্রস্তাব নিয়ে আসতে পারে।
তিনি বলেন, ‘পরে সরকার এসব প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে এবং ঐকমত্যের মাধ্যমে সংস্কারের একটি রূপরেখা তৈরি করতে পারে। যে রাজনৈতিক সরকার নির্বাচনে জনগণের ভোটে সরকার গঠন করতে পারবে, সেই রাজনৈতিক সরকার তখন সংসদে সংস্কার কাঠামো বাস্তবায়ন করবে। এটাই প্রক্রিয়া হওয়া উচিত, কিন্তু সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার অভিপ্রায়ে এটাকে জটিল করে তুলছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে শেখ হাসিনার শাসনবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে যেসব রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে তাদের সঙ্গে তারা এখন কথা বলবেন। তিনি বলেন, 'আমরা সবাই আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে কথা বলব। খুব বেশি হলে নির্বাচনের জন্য আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। আমরা মনে করি, সরকার চূড়ান্তভাবে আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে সম্মত হতে পারে।’
তিনি বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটি তাদের পরবর্তী বৈঠকে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করবে এবং তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে কাজ করবে।
যোগাযোগ করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশন আন্তরিক হলে আগামী ডিসেম্বরের আগেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, কারণ সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে এবং বিদ্যমান সমস্যা থেকে উত্তরণের মাধ্যমে দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে একটি নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।
মোশাররফ বলেন, ‘নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করা হলে জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে থাকলে তারা ষড়যন্ত্র বরদাশত করবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বুঝতে হবে, আগাম নির্বাচন তাদের জন্য এবং দেশের জনগণের জন্য লাভজনক হবে।’
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পর সরকারের কার্যক্রম তারা সতর্কতার সঙ্গে তদারকি করবেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজনে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়। সরকার আন্তরিক হলে জনগণের ইচ্ছার আলোকে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।’
খসরু বলেন, সরকার সংস্কারের রূপরেখা দিতে পারে। কিন্তু নির্বাচিত সরকারই সংসদের মাধ্যমে এসব সংস্কার বাস্তবায়ন করবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমুন্নত রাখবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে শুধু নির্বাচনের সময় সম্পর্কে একটি ধারণা দিয়েছেন, 'কোনো সুস্পষ্ট রোডম্যাপ নেই।’
সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য কত সময় প্রয়োজন তা তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) স্পষ্ট করেননি। ‘আমরা আশা করি, তিনি একটি রোডম্যাপ দেবেন, যেখানে সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ের সময়সীমা নির্দিষ্ট থাকব ‘
৩ দিন আগে
শিগগিরই নির্বাচন হবে বলে আশা বিএনপির
জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিগগিরই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময়ই আশাবাদী। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করছি। আশা করি, জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী শিগগিরই একটি নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাবে।
ফখরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করে দেশ গড়ার নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশকে বৈষম্যহীনভাবে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
দেশের মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিজয়ের মাত্র কয়েক মুহূর্ত আগে বাংলাদেশের বরেণ্য সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, বিজ্ঞানী ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অপহরণ করে হত্যা করে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই করেছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও দেশ স্বাধীন করার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বনির্ভর নয়াগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের দল, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মুক্তি ও শান্তি কামনা করছি।’
এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।
দিবসটি উপলক্ষে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করে বিএনপি।
১ সপ্তাহ আগে
নির্বাচনের আগে বড় ধরনের সংস্কারের কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল সংস্কার এবং তার সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আগে বড় ধরনের সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের উপদেষ্টা এবং ইউএনডিপির সাবেক প্রধান লর্ড মার্ক মালক-ব্রাউনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ অঙ্গীকার পূনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
এক ঘণ্টার এ বৈঠকে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান, উন্নয়নমূলক বিষয়াদি, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: আমরা সবাই বাংলাদেশি: ধর্মীয় নেতাদের ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার প্রক্রিয়ার সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। শেখ হাসিনার একনায়কতন্ত্রের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠন করতে এ পর্যন্ত ১৫টি সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য এ সময় অধ্যাপক ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান লর্ড মালক-ব্রাউন।
বাংলাদেশি জনগণের কল্যাণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারলে তিনি আনন্দিত হবেন বলে জানান।
লর্ড মালক-ব্রাউনের সমর্থনের জন্য ড. ইউনূস তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জনগণের প্রত্যাশা মেটানো সরকারের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ।
এ সময় উন্নয়নকর্মী মার্থা চেন, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ ও জ্যেষ্ঠ সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সার্ক পুনরুজ্জীবিত হলে মানুষ সুফল পাবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
১ সপ্তাহ আগে
প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিতে হবে: রেজাউল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই বলেছেন, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসন ও ৫৩ বছরের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে নির্বাচন করতে হবে।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনের কথা বলে তারা মনে হয় ষড়যন্ত্রকারীদের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে। আমাদের জাতীয় ঐক্য থাকতে হবে। দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের নেতৃত্বে যারা আওয়ামী লীগকে আনতে চায় তারা দেশের শত্রু।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, অতীতের নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট তৈরি হয়েছে। তাই আমরা পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সাহাবাদের অনুসরণের কাফেলা। সাহাবাদের নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়ন করার জন্য এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাজপথে ব্যানার নিয়ে আওয়াজ করেছে।
আরও পড়ুন: জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বাংলাদেশের মানুষকে পরাজিত করতে পারবে না: মামুনুল হক
রেজাউল করীম বলেন, এই সংগঠনের অনেক ছাত্র শাহাদাত বরণ করেছে, আহত হয়েছে, পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হয়েছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে বলেছি- মানুষের আক্বিদা ও বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যাতে না যায়। তারপরও আপত্তি করার পরও ফারুকীকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। আশাকরি সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।
এসময় তিনি ইউসুফ আহমদ মানসুরকে সভাপতি, মুহাম্মাদ মুনতাসির আহমদকে সহসভাপতি ও শেখ মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানকে সেক্রেটারি জেনারেল করে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল বশর আজিজীর সভাপতিত্বে সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ মুনতাসির আহমদের পরিচালনায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল আউয়াল, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ভারত ভিসা না দেওয়ায় ভারতের ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন: সাখাওয়াত হোসেন
২ সপ্তাহ আগে
নির্বাচনের আগে জনগণের আস্থা অর্জন করুন: বিএনপি কর্মীদের প্রতি নজরুল
আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হতে জনগণের আস্থা ও সমর্থন আদায়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাইকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, প্রতারণার মাধ্যমে ভোটে জয়ের দিন শেষ। এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া, ডামি প্রার্থী দিয়ে কিংবা রাতে ভোট দিয়ে নির্বাচনে জেতার কোনো সুযোগ নেই। আমরা বছরের পর বছর লড়াই করে জীবন দিয়ে এটি পরিবর্তন করেছি।’
সোমবার (২ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহে দলীয় নেতাকর্মীদের একটি কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ কমিটি তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে দলের ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রস্তাবের ওপর এ কর্মশালার আয়োজন করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। ভোটাররা ভয়ভীতি বা বাধা ছাড়াই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। ‘জনগণকে বোঝানো এবং তাদের মন জয় করে সেই নির্বাচনে আমাদের অবশ্যই জয়ী হতে হবে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করলেন রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি বা অবাস্তব বার্তা দিয়ে জনগণকে ধোঁকা দিতে চায় না। ‘এজন্য আমরা দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে মূল্যায়ন করে কিছু রূপরেখা তৈরি করেছি। আমরা আমাদের পরিকল্পনা তৈরি করেছি। যাতে জনগণ বুঝতে পারে যে, আমরা তাদের ভাগ্য পরিবর্তন এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
নজরুল ইসলাম বলেন, দল ক্ষমতায় গেলে আমরা কী করতে চাই সে সম্পর্কে জনগণকে ধারণা দিতেই ৩১ দফা রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি, খালেদা জিয়ার ভিশন-২০৩০ এবং তারেক রহমানের ২৭ দফা প্রস্তাবের আলোকে বামপন্থী, ডানপন্থী ও গণতান্ত্রিক দলগুলো- যারা যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলেছিল, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সংস্কার রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা ব্যাখ্যা করেন যে, তারা প্রথমে তাদের নেতাকর্মীদের কাছে ৩১ দফা রূপরেখা উপস্থাপন করছেন, যাতে তারা এর মূল বার্তাগুলো পুরোপুরি বুঝতে পারেন এবং সঠিকভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা যদি ভুল বার্তা দেয় এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করে তাহলে আমরা জনসমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হব।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা বোয়িং মোল্লাকে কুপিয়ে জখম
২ সপ্তাহ আগে
ডিসেম্বরের পর নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন: গোলাম পরওয়ার
সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে ডিসেম্বরের পর নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক নয়, তারা ফ্যাসিস্ট। তাই গণতন্ত্রের সঙ্গে তাদের যায় না। এজন্য জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে কি যাবে না।’
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘যারা গণতন্ত্র ও মানুষ হত্যা করেছে, লাশ পুড়িয়ে ছাই করেছে এবং মানুষকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করেছে, তাদের এদেশের মানুষ রাজনীতি করতে দেবে কিনা সেটা জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’
আরও পড়ুন: কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে নয় জামায়াত: গোলাম পরওয়ার
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে সষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন।…তিনি পালানোর পর বাংলাদেশে তার লুকিয়ে থাকা দোসররা অনেক ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনে আমরা একসঙ্গে যেভাবে ঐকবদ্ধ ছিলাম, সেভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে যদি আমরা ঐকবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারি, তাহলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক মৃত্যু এদেশে নিশ্চিত।’
এ সময় মানিকগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির হাফেজ মাওলানা মো. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত আলী, ঢাকা উত্তর অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুর রহমানসহ দলটির বিভিন্ন নেতা।
আরও পড়ুন: খুলনা-৫: সম্পদ কমেছে নারায়ণ চন্দ্রের, মামলায় এগিয়ে গোলাম পরওয়ার
৪ সপ্তাহ আগে
এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চান ৬১.১% মানুষ, সব সংস্কার শেষে ৬৫.৯% : ভয়েস অব আমেরিকার জরিপ
সম্প্রতি সারা দেশে পরিচালিত ভয়েস অব আমেরিকার এক জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ৬১ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ মনে করেন এক বছরের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। আর সবগুলো সংস্কার করার পরই নির্বাচন আয়োজন করার পক্ষে মত দিয়েছেন ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ।
জরিপে দেখা যায়, ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ লোক চান দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে নির্বাচন আর ৮ দশমিক ৬ শতাংশ নির্বাচন চান ১৮ মাসের মধ্যে। সবচেয়ে কম ৫ দশমিক ৮ শতাংশ জনগণ চার বছর বা তার চেয়ে বেশি সময় পর আগামী জাতীয় নির্বাচন হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
কত দ্রুত নির্বাচন হওয়া উচিত এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলেছেন ৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ আর নির্বাচন কবে হওয়া উচিত সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি ১ দশমিক ১ শতাংশ।
গত ৫ অগাস্ট ছাত্রদের নেতৃত্বে একটি গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অগাস্টের ৮ তারিখ ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর কেমন আছে বাংলাদেশ, এ নিয়ে কী ভাবছেন দেশের নাগরিকরা, এ বিষয়ে অক্টোবরের ১৩ থেকে ২৭ তারিখ, ভয়েস অব আমেরিকা দেশব্যাপী একটি জরিপ করে।
জরিপটি ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার এডিটোরিয়াল নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালনা করে গবেষণা ও জরিপ প্রতিষ্ঠান ওআরজি-কোয়েস্ট রিসার্চ লিমিটেড।
ভয়েস অব আমেরিকার ঠিক করে দেওয়া সুনির্দিষ্ট (ক্লোজ এন্ড) প্রশ্নমালার উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার এসিস্টেড টেলিফোন ইন্টারভিউইং এর মাধ্যমে দেশের আটটি বিভাগে ১৮ বছর বা এর চেয়ে বেশি বয়সী এক হাজার মানুষের মধ্যে জরিপটি পরিচালিত হয়।
জরিপটি করা হয়, র্যান্ডম ডিজিটাল ডায়ালিং পদ্ধতিতে। বাংলাদেশ টেলিকম্যুনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের সর্বশেষ প্রকাশিত (২০১৭) অফিসিয়াল টেলিফোনে প্ল্যান থেকে বাংলাদেশের মোবাইল নম্বরগুলোর সম্ভাব্য সবধরণের কম্বিনেশন থেকে করা ওআরজি-কোয়েস্ট রিসার্চ লিমিটেড-এর নিজস্ব ডেটা-বেইজ থেকে জরিপটির স্যাম্পল নেওয়া হয়েছে। একটি আর-বেইজড প্রোগ্রাম ব্যবহার করে সিম্পল র্যান্ডম স্যাম্পলিং (এসআরএস) এর মাধ্যমে জরিপটির নমুনা বাছাই করা হয়েছে।
জরিপ পরিচালনা কাজে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের মাধ্যমে ওআরজি-কোয়েস্ট রিসার্চ লিমিটেড-এর ঢাকা অফিসের কল সেন্টার থেকে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ফোন করা হয়।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন জরিপটিতে মার্জিন অফ এরর ৩ দশমিক ১ শতাংশ। জরিপটির উত্তরদাতারা প্রায় একমাস আগে যেহেতু তাদের মতামত জানিয়েছেন তাই এখন জরিপটি করলে এর ফলাফল অনেকক্ষেত্রেই ভিন্ন হতে পারে।
এই জরিপের ফলাফল নিয়ে আগামী কয়েকদিন কয়েক পর্বে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে যাচ্ছে ভয়েস অব আমেরিকা। আজ থাকছে এর প্রথম পর্ব।
জরিপে অংশ নেওয়া শহরের জনগণের ৬০ দশমিক ৪ শতাংশ ও গ্রামে বাস করেন তাদের ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ আগামী এক বছরের মধ্যে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন চান। জরিপে অংশগ্রণকারী পুরুষদের ৫৭ দশমিক ৩ শতাংশ ও নারীদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ নির্বাচন চান এক বছরের মধ্যে।
তরুণদের মধ্যে (১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী) ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ এক বছরের মধ্যে আগামী নির্বাচন চান আর ৩৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের যারা জরিপে অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে এক বছরের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন চান ৫৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
শহরাঞ্চলের ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ ও গ্রামীণ এলাকার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ জরিপে অংশগ্রহণকারী চান আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে নির্বাচন। দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে মত দিয়েছেন জরিপে অংশ নেওয়া পুরুষদের ২০ দশমিক ৩ শতাংশ ও নারীদের ১৭ দশমিক ১ শতাংশ। ১৮ থেকে ৩৪ বছরের তরুণদের ১৫ দশমিক ২ ও ৩৫ ও তার চেয়ে বেশি বয়সের জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ২২ দশমিক ৪ শতাংশ মনে করেন দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে আগামী নির্বাচন হওয়া উচিত।
১৮ মাসের মধ্যে আগামী নির্বাচন করার পক্ষে মত দিয়েছেন শহরের ১০ দশমিক ৩, গ্রামের ৮, পুরুষদের ১২ নারীদের ৫ দশমিক ২, তরুণদের (১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী) ৮ দশমিক ৬ এবং ৩৫ বছর বা এর থেকে বেশি বয়সীদের মধ্যে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী।
চার বছর বা তার চেয়ে বেশি সময় পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে মত দিয়েছেন, শহরের ৬ দশমিক ২, গ্রামের ৫ দশমিক ৭, পুরুষদের ৬ দশমিক ৯, নারীদের ৪ দশমিক ৮, তরুণদের (১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী) ৭ দশমিক ৬,৩৫ বছর বা এর থেকে বেশি বয়সীদের ৪ শতাংশ মানুষ।
অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণের পর থেকেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে দ্রুত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের রোডম্যাপ প্রকাশের দাবি জানিয়ে আসছে।
কিন্তু, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এখনো নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি। তাদের বক্তব্য, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করার পরই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায়োরিটি 'সংস্কার'।
এদিকে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের প্লাটফর্ম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলছে রাষ্ট্র সংস্কার এর কাজগুলো শেষ হবার আগে নির্বাচন হলে আবার নতুন করে তাদের ভাষায় 'ফ্যাসিবাদের' আবির্ভাব ঘটবে। তারা বলছে, কেবল একটি নির্বাচন করার জন্য ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান হয়নি।
সেপ্টেবরের ২৩ তারিখ (২৪ তারিখ প্রকাশিত) বাংলাদেশের সেনাপ্রধান রয়টার্সের সাথে এক সাক্ষাৎকারে জানান, আগামী ১৮ মাসের মধ্যে যাতে নির্বাচন হতে পারে, সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো সম্পন্ন করতে এই সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনূসকে ভয়েস অব আমেরিকাতে দেওয়া তার এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদই নির্বাচনের তারিখ জানাবে।
ডক্টর ইউনূস এখনো নির্বাচনের কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা না করলেও অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ১৭ নভেম্বর তিনি বলেছেন, নির্বাচনি সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপও (রূপরেখা) পাওয়া যাবে। প্রয়োজনীয় কিছু অত্যাবশ্যকীয় সংস্কারের কাজ শেষ করেই নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। অবশ্য সংস্কারের জন্য নির্বাচন কয়েক মাস বিলম্বিতও করা যেতে পারে।
ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলার জনমত জরিপে তাই সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ এই বিষয় দুটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সব সংস্কার শেষ করে নির্বাচন চান ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ
বেশির ভাগ মানুষ (৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ) মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার যা যা সংস্কার করা প্রয়োজন মনে করবে তার সবগুলো করার পরই নির্বাচন আয়োজন করা উচিত আর শুধুমাত্র নির্বাচন সংক্রান্ত জরুরি সংস্কারগুলো শেষ করে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতার।
আগামী প্রতিবেদনে যা থাকছে
ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা পরবর্তী প্রতিবেদনে জরিপের আরও বিস্তারিত ফলাফল প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছে, যা বাংলাদেশের শাসন, সংস্কার এবং নির্বাচন সম্পর্কে জনসাধারণের মনোভাবের উপর আরও আলোকপাত করবে।
৪ সপ্তাহ আগে
আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল। তারা রাজনীতি বা নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে তা আমরা নির্ধারণ করতে পারি না।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ফেনীর ফুলগাজীর শ্রীপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। উপদেষ্টাকে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ নাকি আমরা দিয়েছি। এ কথাটি সঠিক নয়। আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।’
‘আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নাই। আমরা কখনও কোনো দলকে নির্বাচনে আনতে মানা (নিষেধ) করিনি। কিন্তু হাসিনাসহ যারা মানুষ খুন করেছে, বিদেশে টাকা পাচার ও দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। আর জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে- কাকে রাজনীতি করতে দেবে, আর কাকে দেবে না; এখানে আমরা কেউ নই, এ দায়িত্ব আমাদের নয়।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। রাতারাতি সবকিছু হয়ে যাবে না। ১৫ বছরের যে জঞ্জাল, সেটি সাফ করতে সময় লাগে। তারা অনেক কাজ করবে। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে তো। এখন কি আর আওয়ামী লীগের লোকজন অত্যাচার করতে পারে? উনাদের একটু সময় দিতে হবে। তারা কাজ শেষ করলে নিশ্চয়ই নির্বাচন হবে এবং জনগণের সরকার আসবে। আমরা বলেছি, এটি একটু তাড়াতাড়ি করলে ভালো হয়।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছেন। তাকে যে কষ্টে রাখা হয়েছিল তা চিন্তাও করতে পারবেন না। তারপরও কখনও তিনি মাথা নত করেনি; তিনি মাথা উঁচু করে এখনও দাঁড়িয়ে আছেন। বেগম খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ। আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছি।’
বন্যায় বিএনপি নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘বন্যায় এখানকার মানুষ অনেক কষ্ট করেছেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করেছেন। শত নির্যাতনের পরও আমরা বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। আর দেশের ওপর যারা এত অত্যাচার করেছে, তারা পালিয়ে গেছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু, চট্টগ্রাম বিভাগের সংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক ও ফেনী-১ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম মজনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা নিয়োগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই: ফখরুল
বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করলেন ফখরুল
১ মাস আগে