নির্বাচন
বিদেশি দূতাবাসগুলোকে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে ঢাকা
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি এবং দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় বিদেশি মিশনের প্রধানদের অবহিত করেছে সরকার। এ সময় বিদেশি দূতাবাসগুলোকে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে ঢাকা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এক বৈঠক বিদেশি মিশনের প্রধানদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন যে বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে, ব্রিফিংয়ে সেটা তাদের জানানো হয়েছে। তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাতেও আমন্ত্রণ জানানো হয়।
তিনি বলেন, এ ছাড়া স্বশস্ত্র বাহিনীসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সদাসতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছেন, এ বিষয়ে তাদের জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে দূতাবাসগুলোকে তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারেও আশ্বস্ত করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে ঢাকার দূতাবাসগুলোর প্রায় ৪০ জন কূটনীতিক উপস্থিত ছিলেন।
১ দিন আগে
জাপায় ফিরেছেন রাঙ্গা ও নূর মোহাম্মদ, স্থানীয় রাজনীতিতে চাঞ্চল্য
উত্তরে জাতীয় পার্টির ‘ঘাঁটি’ খ্যাত রংপুরে নড়েচড়ে বসেছে দলটি। ফিরিয়ে আনা হচ্ছে দলের হেভিওয়েট নেতাদের। ক্ষমা চেয়ে আবার জাতীয় পার্টিতে (জাপা) ফিরেছেন দলের সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। একই সঙ্গে রংপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ মন্ডলও ফিরেছেন দলে। তাদের ফিরে আসা জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে।
সবাই একসঙ্গে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাপার ‘দুর্গ’ উদ্ধারে নামবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এই দুই নেতা দলে ফেরায় নেতা-কর্মীদের মাঝেও প্রাণ ফিরেছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে দলের কো-চেয়ারম্যান রংপুর মহানগর জাপা সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এবং রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মো. আজমল হোসেন লেবুর হাতে ফুল তুলে দিয়ে জাপায় ফেরেন নুর মোহাম্মদ।
অবশ্য ওই রাতেই ফেসবুক লাইভে এসে নূর মোহাম্মদ মন্ডল দাবি করেন, তিনি এমনিতেই সাবেক মেয়রের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তবে জাপায় যোগ দেননি।
কিন্তু তার নিবার্চনি এলাকা পীরগঞ্জে উঠেছে আলোচনার ঝড়। জাপা নেতারা বলছেন, নুর মোহাম্মদ মন্ডলের সিগন্যাল পেয়ে ইতোমধ্যেই তারা মাঠে নেমেছেন।
অন্যদিকে, সোমবার রংপুর-১ আসন থেকে জাপার তিনবারের সাবেক এমপি, দলের সাবেক মহাসচিব ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেখা করে আবারও জাতীয় পার্টিতে ফিরেছেন।
সেদিন ফেসবুক লাইভে এসে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কাছে ক্ষমা চেয়ে দলে ফেরার কথা জানান তিনি। এ ঘটনায় রাঙ্গার নিজ উপজেলা গংগাচড়ায়ও নড়েচড়ে বসেছে ঝিমিয়ে থাকা জাপা নেতা-কর্মীরা।
এ ব্যাপারে জানতে বুধবার দুপুরে যোগাযোগ করা হয় মসিউর রহমান রাঙ্গার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দলের চেয়ারম্যান আমাকে ক্ষমা করেছেন। আমি জাতীয় পার্টিতে ফিরে এসেছি। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে রংপুর-১ আসন থেকে অবারও দলের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে চাই। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করতে প্রস্তুত আছি। আর যদি মনোনয়ন না পাই, তারপরও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাব না।’
দলের কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর জাপা সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘আমরা তাকে (রাঙ্গা) দলে আবারও সাদরে গ্রহণ করেছি। দলে তার অবদান ভোলার মতো নয়। আমরা আশা করি, শক্তিশালী জাপা মাঠে ভোটারদের মন জয় করবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-১ আসনে মসিউর রহমানকে ব্যাপক ভোটে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান। মসিউর রহমানও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন।
২০০১ সালে জাতীয় পার্টি থেকে এ আসনে সংসদ সদস্য হন মসিউর রহমান। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ফের এই আসনে ক্ষমতায় আসে জাপা। সেবার সংসদ সদস্য হন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার। ২০১৪ সালের নির্বাচনে মসিউর রহমান আবারও এই আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী হন। ২০১৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে আরও একবার জয়ী হয়ে তিনি জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ হন।
২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ২৬ জুলাই পর্যন্ত জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন মসিউর রহমান। তবে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর রওশন এরশাদের পক্ষ নেওয়ায় দলের সব পদ-পদবি থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অপরদিকে, তিন বড় রাজনৈতিক দলের ছায়ায় রাজনৈতিক অভিযাত্রা, দুর্নীতি মামলা ও জেল জীবনের মধ্য দিয়ে যাওয়া রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ মন্ডল আবারও ফিরেছেন তার রাজনৈতিক প্রথম ঠিকানা জাতীয় পার্টিতে।
স্থানীয় পর্যায়ে ‘দল পরিবর্তনে সেরা’ হিসেবে পরিচিত মন্ডলের এই দল পরিবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
নূর মোহাম্মদ মন্ডলের রাজনৈতিক জীবন জাতীয় পার্টির হাত ধরেই শুরু হয়। এই দল থেকেই ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
নব্বইয়ের দশকের গণঅভ্যুত্থানের পর হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হলে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে বিএনপি সরকারের পতন হলে ২০১৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং দলটির টিকিটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের উপজেলা নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন।
জানা গেছে, নূর মোহাম্মদ মন্ডল শুধু দল পরিবর্তনের জন্যই নন, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্যও আলোচিত। আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় গত ১৯ জুন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আদালত তার বিরুদ্ধে পীরগঞ্জে বন বিভাগের ৩ হাজার ১৩০ একরেরও বেশি জমি দখল করে নির্মিত ‘আনন্দনগর’ নামের একটি পিকনিক স্পট ও বিনোদন কেন্দ্র, আটটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ৯ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।
তবে এরই মধ্যে জাতীয় পার্টিতে ফিরে সংসদ সদস্য পদে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। ইউএনবিকে নুর মোহাম্মদ মন্ডল বলেন, ‘জাপা থেকে মনোনয়ন পেলে ভোট করতে আমার কোনো আপত্তি নেই।’ মাঠে তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে বলে দাবি করেন এই নেতা।
১ দিন আগে
টেলিভিশনে নির্বাচনি প্রচারে সব প্রার্থীকে সমান সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ ইসির
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব বেসরকারি চ্যানেলের নির্বাচনি প্রচারে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ইসি সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) ও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন মল্লিকের সই করা ওই চিঠি চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়, সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচনি পরিবেশ সৃষ্টি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে সকল প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে দিয়ে নির্বাচনি পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আসন্ন নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান, সাক্ষাৎকার, টকশো বা নির্বাচনি সংলাপ প্রচারের সময় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর প্রতি সমান সুযোগ নিশ্চিত করার বিষয়েও চিঠিতে বলা হয়।
রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫-এর বিধি ২৫ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে নির্বাচনি সংলাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দলের প্রতিনিধি কোনো ব্যক্তিকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিতে পারবে না।
চিঠিতে সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশনসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে নির্বাচনি সংলাপ বা অনুষ্ঠান প্রচারের ক্ষেত্রে সকল প্রার্থী যাতে সমান সুযোগ পান এবং কোনো দল বা প্রার্থীকে হেয়প্রতিপন্ন করা না হয়, সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
২ দিন আগে
বিএনপি সরকারে গেলে প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করা হবে: অমিত
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে দেশ থেকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন যশোর-৩ (সদর) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে শহরের একটি অভিজাত হোটেলে যশোর প্রেসক্লাব আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে তরিকুল ইসলামের সন্তান হিসেবে, আপনাদের ভাই হিসেবে, আমি এমন কোনো কাজ করবো না যাতে মাথা হেট হয়ে যায়। সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানই ছিল যশোরের রাজনীতির ঐতিহ্য। বিগত দেড় দশকে সেই ঐহিত্যকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। বিজয়ী হতে পারলে সেই ঐহিত্য পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নত যশোর উপহার দেওয়া হবে আমার প্রাথমিক দায়িত্ব।
নির্বাচনে প্রার্থীদের ঝুঁকির বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি স্রষ্টায় বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি, তিনি যা কপালে লিখবেন, তা-ই হবে। আর রাজনীতি মানেই হলো ঝুঁকি। বিগত ১৬ বছর আমিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা চরম ঝুঁকি নিয়েই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে রাজপথে থেকেছি। এখন নির্বাচনের সময় এসে সেই বিষয় নিয়ে ভাবলে হবে না। আপনারা শুধু দোয়া করবেন।
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরহাদের সঞ্চালনায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মো. ইসহক, অ্যাডভোকেট জাফর সাদিক, গোলাম রেজা দুলু, লোকসমাজের প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, যশোর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম, নগর সভাপতি চৌধুরী রফিকুল ইসলাম মুল্লুক চাঁদ, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আঞ্জারুল হক খোকন।
সাংবাদিকদের মধ্যে সভায় আলোচনা করেন যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ দিনু আহমেদ, লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্টু, প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবীর প্রমুখ।
২ দিন আগে
‘সামনে কঠিন পথ’, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
দেশে ‘ষড়যন্ত্র থেমে নেই’ উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সতর্ক করে বলেছেন, ‘সামনের পথ অসম্ভব কঠিন। কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে।’ এ অবস্থায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার লন্ডনের সিটি প্যাভিলিয়নে লন্ডন বিএনপির আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি এক বছর আগে আপনাদের বলেছিলাম যে, সামনে কিন্তু আমাদের কঠিন সময়। ষড়যন্ত্র থেমে নেই এবং এই নির্বাচনও কিন্তু খুব সহজ নয়। আপনারা অনেকেই কিন্তু ব্যাপারটা এখন বুঝতে পারছেন। এক বছর আগে যা বলেছি, সেটা কিন্তু হচ্ছে। এখন আমি আবারও বলছি, সামনের সময় কিন্তু খুব সুবিধের নয়। কাজেই সকলকে সজাগ থাকতে হবে, সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
হলভর্তি প্রবাসী বিএনপি কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কী ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারবেন?’ কর্মী-সমর্থকরা সমবেত কণ্ঠে ‘হ্যাঁ’ বলেন।
তখন তারেক বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই আমরা আমাদের এই যে পরিকল্পনার (দেশ গড়ার পরিকল্পনা) কথা বললাম, তা সফল করতে পারব, ঐক্যবদ্ধ থাকলেই আমরা আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারব, ঐক্যবদ্ধ থাকলেই আমরা বাংলাদেশে জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব।’
যুক্তরাজ্যের উদাহরণ টেনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই ব্রিটেনে যে আপনারা আছেন, এই দেশে জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা আছে বলেই এই দেশের মানুষ তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় না। বাংলাদেশের মানুষ বহু বহু যুগ ধরে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। কাজেই আসুন, বাংলাদেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার যদি ফিরিয়ে দিতে হয়, যেকোনো মূল্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ না থাকার কোনো বিকল্প নেই আমাদের।’
২ দিন আগে
বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ইইউ’র
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
এ উপলক্ষে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ইভার্স ইজাবসকে প্রধান পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ইইউ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২৬ সালে এটি হবে বিশ্বের যেকোনো স্থানের মধ্যে সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক অনুশীলন।
বিজ্ঞপ্তিতে ইইউ জানিয়েছে, ইউরোপীয় কমিশনের উচ্চ প্রতিনিধি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজা কালাস বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইভার্স ইজাবস বলেন, বাংলাদেশে ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশনের নেতৃত্ব পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি। এই মিশন নির্বাচনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ন তুলে ধরবে।
তিনি আরও বলেন, এই মিশন বাংলাদেশের জনগণ এবং তাদের শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সুরক্ষার আকাঙ্ক্ষার প্রতি ইইউর সমর্থনের বাস্তব উদাহরণ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মানদণ্ড অনুযায়ী পুরো নির্বাচনি প্রক্রিয়া মূল্যায়ন করবে। একই সঙ্গে প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ও মতবিনিময় করবে।
২ দিন আগে
‘নিরাপত্তা শঙ্কায়’ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নারায়ণগঞ্জের বিএনপির প্রার্থী
নিরাপত্তার শঙ্কার কথা জানিয়ে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর ও বন্দর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনের প্রার্থী এ ঘোষণা দেন।
মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। ঢাকায় ওসমান হাদির উপর গুলির ঘটনার পর তারা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।’ তাই পরিবারের অনুরোধেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, তিনি তার প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি জানাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
‘সংবাদ সম্মেলনেই এ কথা প্রথম জানালাম। বিষয়টি দলকেও বুঝিয়ে বলব,’ বলেন মাসুদুজ্জামান।
গত শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদি। চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়। গুরুতর আহত হাদিকে শুরুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও পরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সোমবার তাকে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে।
এ ঘটনার পর নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক দলের পক্ষ থেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করে তাদের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানানো হয়। এ অবস্থায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রাজনৈতিকভাবে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি এবং নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে কিছু উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
হঠাৎ করে তার দেওয়া এ ঘোষণায় আশ্চর্য হয়েছেন তার অনুসারী নেতা-কর্মীরাও। তাদের কেউ কেউ সংবাদ সম্মেলনে মাসুদের প্রতি ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দলের প্রার্থী মাসুদুজ্জামানকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের এভাবে ফেলে চলে যেতে পারেন না আপনি। আমরা অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আপনার পাশে নেমেছি। আপনার এ সিদ্ধান্ত আমরা মানি না।
জিয়া সমাজকল্যাণ পরিষদের মহানগর শাখার সদস্যসচিব নাঈম খন্দকার বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেও শহীদনগরে তিনি পূর্ব-নির্ধারিত একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। সেখান থেকে এসেই এমন ঘোষণা দিলেন। আমরা এ সিদ্ধান্তে আশ্চর্য হয়েছি। আমরা কিছুই জানতাম না।’
৩ দিন আগে
হাদির ঘটনা বিচ্ছিন্ন, নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা নেই: সিইসি
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই বলে পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলকভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর সকালে রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত আলোকিতে ‘জেনভোট ফেস্টিভ্যাল’ উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এবং সবার সহযোগিতায়। গতকালই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। তারাও পুরোপুরি প্রস্তুত।
‘নির্বাচন পর্যন্ত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সম্পূর্ণ প্রস্তুতির কথা গতকালই আমাদেরকে জানিয়েছে। আপনারা সব দুশ্চিন্তা ঝেড়ে দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে একটা সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন আমরা দেখতে পাব।’
এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি ঘটনাটিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন।
বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পথে বাধা কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা অবনতি হলো কোথায়? মাঝেমধ্যে দুই-একটা খুনখারাবি হয়। এই যে হাদির একটা ঘটনা হয়েছে, আমরা এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি।’
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার প্রসঙ্গ টেনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা তো সবসময় ছিল। আগে আহসানউল্লাহ মাস্টারের সঙ্গেও এ রকম হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা হয় বাংলাদেশে, এটা নতুন কিছু না।’
তিনি বলেন, ‘মিডিয়াসহ বিভিন্ন মহলে নির্বাচন নিয়ে কিছু আশঙ্কা হয়তো আছে, তবে আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সবার সহযোগিতা নিয়ে।’
এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা গতকালই আমাদের শীর্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। আমাদের বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তারা নিশ্চিত করেছে, নির্বাচনের সময় পর্যন্ত শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনে তারা সক্ষম। আপনারা মিডিয়াতে হয়তো দেখেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের প্রস্তুতির কথা আমাদের জানিয়েছে।
‘আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, নির্বাচন সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। জাতিকে আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন তা পরিপালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আশা করি, আমাদের পরবর্তী নির্বাচন হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পেছনে ফিরে যাইনি। এখন তরুণদের ওপর ভর করে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা আশা করি, আমাদের পরবর্তী নির্বাচন হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন। দেশের বিশেষ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ যখন আমি দেখি, তখন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আমি আরও বেশি উৎসাহিত বোধ করি।’
আসন্ন নির্বাচনকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে নির্বাচনের কমিশনের প্রধান বলেন, ‘আমি বারবার বলে থাকি, এই নির্বাচনটি একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন। কারণ এই নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আমরা ডাকযোগে (পোস্টাল ব্যালট) আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের আওতায় এনেছি। গত ৫৪ বছর ধরে যা হয়নি, এবার আমরা সেটা করছি।
‘এবার আমরা প্রায় ১০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ যারা ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকেন, তারা কোনোদিন ভোট দিতে পারতেন না। আমরা এবার তাদেরও ভোটের ব্যবস্থা করছি—পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। কারাবন্দিদের জন্য ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, প্রবাসীদের জন্য করা হচ্ছে এবং যেসব সরকারি কর্মচারী নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরে আছেন, তাদের জন্যও ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সর্বোপরি এবার একটি গণভোটও একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। এই সমস্ত দিক থেকে এটি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক। আমরা যে সাহস করে এই পথে নেমে পড়েছি, আমাদের এই সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে যদি আপনাদের সবার, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ থাকে, ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন একা সফল হতে পারে না। সবাইকে নিয়েই আমরা এটি করব।’
অনুষ্ঠানে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, সেকেন্ড সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল এফেয়ার্স) ফিলিপ বার্নিয়ার আর্ক্যান্ড, বৃটিশ হাইকমিশনের হেড অব পলিটিক্যাল টিমোথি ডাকেট, সুইডেন দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ইভা স্মেডবার্গ, আইএফইএস কান্ট্রি ডিরেক্টর পল গেরিন ও ইসি সচিব আখতার হোসেনসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
আজকের ‘জেনভোট ফেস্টিভ্যাল’-এ তরুণদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে মক ভোটিং, কমিকস, ক্যারিকেচার, আর্ট ফেস্টিভ্যালসহ নানা আয়োজন রয়েছে। ভোট সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের জন্য বসেছে স্টল এবং তরুণ ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ভোটারদের জন্য আকর্ষণীয় সেশনও আয়োজন করা হয়েছে।
এই উদ্যোগে সহযোগী হিসেবে রয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউকে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, সুইডিশ এম্ব্যাসি, ক্যানাডিয়ান তহবিল বা সিএফএলআই এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেকটোরাল সিস্টেমস।
৪ দিন আগে
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিরাপত্তা প্রটোকল দেবে সরকার
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পুলিশের পক্ষ থেকে সকল রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রেস উইং থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা এবং আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা, তাদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া, গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় হামলাকারী ও তার সহযোগীদের পুলিশ ইতোমধ্যে শনাক্ত করেছে। তাদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ইতোমধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে।
প্রেস উইং জানায়, প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য শুক্রবার রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
দেশের ভেতরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়েছে, পুলিশ ইতোমধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে ইতোমধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
প্রেস উইং বলেছে, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালকে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছে।
‘হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করা ও আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগত ভাবে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তার দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন।
‘ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন তারা অনতিবিলম্বে তার এবং ভারতে পলাতক তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের এ সকল ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
‘ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, শরিফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে এবং তারা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশের কাছে তাদের প্রত্যর্পণ করে।’
৫ দিন আগে
ভয়ভীতি, প্রলোভনের ঊর্ধ্বে উঠে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান সিইসির
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘আমাদের জাতির ইতিহাসে অনন্য ও গুরুত্বপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে দেশবাসীকে সমস্ত ভয়ভীতি ও প্রলোভনের ঊর্ধ্বে উঠে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১১) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণাকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল মালিকানা প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে মানসম্মত নির্বাচনের অনুপস্থিতি প্রায়ই আমাদের ঐতিহ্য এবং সামষ্টিক প্রত্যাশাকে ম্লান করেছে। এমনই এক প্রেক্ষাপটে ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। আমাদের ভাইবোন, সন্তানদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে, একটি সুষ্ঠ ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠান, যা জাতি হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করবে এবং বিশ্ব দরবারে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনারা একই প্রত্যাশা ধারণ করেন এবং একই অঙ্গীকারে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে এবারের নির্বাচন আমাদের জাতির ইতিহাসে অনন্য ও গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, প্রকৃত গণতান্ত্রিক ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত সংস্কার প্রশ্নে সিদ্ধান্তের নির্বাচন এটি। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে যা একটি নতুন অভিজ্ঞতা।
‘দ্বিতীয়ত, সংশ্লিষ্ট সকল রাষ্ট্রীয় ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের জন্য এই নির্বাচন হচ্ছে সক্ষমতা প্রমাণ করে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের অনন্য সুযোগ। তৃতীয়ত, দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের পর দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক দলসমূহের মাঝে সৌহাদ্যপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার ধারা প্রবর্তনের দাবি রাখে এই নির্বাচন।
‘চতুর্থত, প্রায় অকার্যকর পোস্টাল ভোট ব্যবস্থাকে পরিমার্জন করে এই নির্বাচনে একটি কার্যকরী রূপ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের অন্যতম চালিকাশক্তি, আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধা তথা প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের প্রথমবারের মতো ভোটের আওতায় আনা হচ্ছে। একইভাবে প্রথমবারের মতো ভোটের আওতায় আসছেন আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারগণ। এ ছাড়াও নিজ নির্বাচন এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি কর্মচারী এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিগণও পোস্টাল ব্যালেটের মাধ্যমে এবার ভোট দেবেন।’
ভোটারদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘ভোট আপনার শুধু নাগরিক অধিকারই নয়, বরং পবিত্র আমানত ও দায়িত্ব। এই দায়িত্ব সচেতনভাবে আপনারা পালন করবেন—এ আমার বিশ্বাস । যে কোনো ভয়নীতি, প্রলোভন, প্রবঞ্চনা এবং সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে উঠে নিঃসঙ্কোচে আপনাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন।’
নির্বাচনে ভোটারদের নিরাপদ ও উৎসবমুখর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান ও বাহিনী কাজ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আহ্বান জানান, ‘ধর্ম-গোত্র-গোষ্ঠী-লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলে এই আনন্দ আয়োজনে অংশগ্রহণ করুন। পরিবারের প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও সন্তান সম্ভবা মাসহ সকলকে নিয়ে ভোট দিতে আসুন। আমি আশা করি, আপনাদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোটের অনুষ্ঠান উৎসবে রূপ নেবে।’
প্রবাসী ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রবাসে বসবাসত প্রিয় ভোটারগণ প্রবাস থেকেই ভোটদানের জন্য নিবন্ধন কার্যক্রম গত ১৮ নভেম্বর থেকে চলমান আছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে ভোটদানের জন্য আপনারা নিবন্ধন করতে পারবেন। আপনারা এই সুযোগ গ্রহণ করে ভোটে অংশ নিন, দেশ গঠনে আপনাদের অধিকার বুঝে নিন।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো অপতথ্যে বিভ্রান্ত না হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান সিইসি। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হয়ে থাকে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে অসত্য তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার দিনকে দিন বেড়ে চলেছে। প্রতিপক্ষ দল ও প্রার্থীকে হেয় করার পাশাপাশি নারীদের প্রতি বিদ্বেষমূলক প্রচারণা আমাদের ঐতিহ্যকে ক্ষুণ্ন এবং নির্বাচনকে কলুষিত করে।’
দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এসব রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ, অসত্য এবং অসৎ উদ্দেশ্যে প্রচারিত কোনো তথ্যে কান দেবেন না এবং গ্রহণ করবেন না। মনে রাখবেন, অসত্য তথ্য শেয়ার করাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থী ও দলগুলোর উদ্দেশে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আসুন, আমরা আচরণবিধি মেনে একটি শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন নিশ্চিত করি। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা নিশ্চিত করে ভোটারদের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জনই হোক আপনাদের লক্ষ্য।’
নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আহ্বান, ‘নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর। কমিশনের অংশ হিসেবে আপনারা নির্ভয়ে সততা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। মনে রাখবেন, এ ব্যাপারে কোনো শিথিলতা বা গাফিলতি সহ্য করা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যম ও পর্যবেক্ষক সংস্থার ভূমিকা অপরিসীম। আপনারা স্বাধীনভাবে সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব, নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন—এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’
সবশেষে তিনি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সকল রাজনৈতিক দল ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ ভোটারদের আন্তরিক অংশগ্রহণ ও সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন। সেই সঙ্গে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সফল করে ‘আমাদের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায়’ ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
৮ দিন আগে