নির্বাচন
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা হতে পারে: সিইসি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মক ভোটিং কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, তফসিল, আমরা আশা করছি, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে। তারিখগুলো (ভোটের দিন, মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়) তখনই জানতে পারবেন। তফসিল ঘোষণার সময়ই সব জানানো হবে।
আজ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মক ভোটিং কার্যক্রম চালায় নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আদর্শ পরিবেশে কীভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা যায়, তা দেখতেই এই কার্যক্রম। ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া জনগণকে দেখাতে এবং দুই ব্যালটে ভোট দিতে কত সময় লাগে—তা পরিমাপ করতেও এই মক ভোটিং করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কখনো ভালো ছিল না। এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। আগেও চুরি-ছিনতাই হয়েছে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গণভোটের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষ্য, গণভোট নিয়ে এখনো সেভাবে প্রচারণা শুরুই হয়নি। সরকার এবং ইসি একসঙ্গে ব্যাপক প্রচারণা চালাবে, সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। গণভোটের যে বিষয়গুলো, এটা আমাদের প্রচারণার একটা বিশাল অংশ জুড়ে থাকবে। প্রচারণাটা যখন শুরু হবে, তখনি না আপনি বুঝতে পারবেন যে মানুষ জানল কি জানল না!
৫ দিন আগে
৭ দেশে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুক্রবার পুনরায় চালু হতে পারে: ইসি
‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় ভোটাররা সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা প্রদান না করায় সাতটি দেশে সাময়িকভাবে স্থগিত থাকা প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুক্রবার পুনরায় চালু হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
দেশগুলো হলো— বাহরাইন, কুয়েত, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে ইসির আউট অব কান্ট্রি ভোটিং (ওসিভি) উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন প্রকল্পের টিম লিডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সেলিম আহমদ খান বলেন, ‘শুক্রবার সকালেই অ্যাপটি আবার চালুর চেষ্টা চলছে। ছুটির দিনে প্রবাসীরা যাতে সুযোগ নিতে পারেন—সেজন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।’
তিনি জানান, ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ চালুর পর অনেক প্রবাসী ভুল ডাক ঠিকানা দিয়েছেন। সঠিক ঠিকানা না থাকায় ডাক ব্যালট পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। বিষয়টি নজরে আসার পর সাত দেশে নিবন্ধন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
ইসি জানায়, সংশ্লিষ্ট সাত দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে আবেদনকারীরা সঠিক ঠিকানা প্রদান করেন। ঠিকানা যাচাই সম্পন্ন হলে আগামী সপ্তাহের শেষে ডাক বিভাগের মাধ্যমে ডাক ব্যালট পাঠানো শুরু হবে।
৭ দেশে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন স্থগিত
ব্রিফিংয়ে ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই চার্টার গণভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী ভোটার যুক্ত হবেন বলে ইসি আশা করছে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত মোট ৫৮,৫৬৩ জন প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে ৪৯,৭৭৭ জন পুরুষ ও ৮,৭৮৬ জন নারী।
সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে (১০,৯৫৬)। এরপর রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া (৯,০২৮), জাপান (৬,৩৩৫), কানাডা (৬,১৮৭), অস্ট্রেলিয়া (৫,৫৭০), দক্ষিণ আফ্রিকা (৪,৩৩০) ও সিঙ্গাপুর (২,৪০৪)।
জেলাভিত্তিক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১২,৪১১ জন প্রবাসী ঢাকা জেলায়, এরপর কুমিল্লা (৪,৩৪০), নোয়াখালী (৩,৭৫১), চট্টগ্রাম (৩,৬৪৫) ও সিলেট (৩,২১৯) থেকে ভোট দেবেন।
এটি দেশের প্রথম হাইব্রিড পোস্টাল ব্যালটিং সিস্টেম, যার মাধ্যমে বিশ্বের ১৪৩ দেশে থাকা প্রায় ৫০ লাখ প্রবাসীর জন্য ডাকভোটের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
৭ দিন আগে
৭ দেশে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন স্থগিত
‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় ভোটাররা সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা প্রদান না করায় সাতটি দেশে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে আয়েজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
নিবন্ধন স্থগিত রাখা দেশগুলো হচ্ছে— বাহরাইন, কুয়েত, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দেয়া ব্যাতিরেকে পোস্টাল ব্যালট পেপার কোনো ভোটারের কাছেই পাঠানো সম্ভব হবে না। এ কারণে বাধ্য হয়েই এই সাতটি দেশে নিবন্ধন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে একই দিনে অনষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের গণভোটে প্রথমবারের মতো প্রবাসী ভোটারদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ গত ১৮ নভেম্বর উদ্বোধন করে ১৯ জুলাই থেকে প্রাথমিকভাবে চালু করা হয়। পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার ৫৩ দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমদ বলেন, বুধবার (২৬ নভেম্বর) থেকে নির্বাচন কমিশন অঞ্চলভিত্তিক নিবন্ধনের সময়সীমা তুলে দিয়েছে। এখন থেকে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে ২৬ নভেম্বর রাত ১২ টা থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইন নিবন্ধন করা যাবে।
৭ দিন আগে
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারত থেকে পর্যবেক্ষক আসার অনুমতি বাংলাদেশ দেবে কি না, তা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা বলেন, এটি পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার, এ ব্যাপারে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সহায়তা না চাইলে পর্যবেক্ষকদের অনুমোদন বা আসার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। অন্তর্বর্তী সরকার বিদেশি পর্যবেক্ষক মিশনকে আলাদাভাবে কোনো সহায়তা দেবে না।
মো. তৌহিদ হোসেন জানান, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যেই আসন্ন নির্বাচনের পরিচালনার কাঠামো নির্ধারণ করেছেন এবং এর বাস্তবায়ন সম্পূর্ণভাবে কমিশনের ওপর নির্ভর করছে।
মিয়ানমারে বাংলাদেশ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, কেন পাঠাবো এটা হলো প্রথম প্রশ্ন। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
৮ দিন আগে
ভোটের সময় ৮ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আট দিনব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যাচাই-বাছাইয়ের পর সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ইসি। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির চার কমিশনার, সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন। বৈঠক শেষে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এসব কথা বলেন।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘মূলত পাঁচ দিনের ডেপ্লয়মেন্ট প্রোগ্রাম করা হয়। সেখানে একটা প্রস্তাব এসেছে, এটা যেন আট দিন করা হয়। নির্বাচনের আগে তিন দিন নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচন পরবর্তীকালে চার দিন। আমাদের ইনিশিয়াল প্রোগ্রামিং ছিল পাঁচ দিন। এখন প্রস্তাবনাটা আসছে, এটা আমরা পরীক্ষা করে দেখব।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সদস্য মাঠে থাকবে। প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আনসার-ভিডিপি থেকে আসবেন প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ সদস্য।’
এ ছাড়াও নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য মাঠে কাজ করবে। তবে আরপিও সংশোধনের পর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিত হবে বলে জানান তিনি।
ইসি সচিব বলেন, আইজিপি মহোদয় জানিয়েছেন যে, দেড় লাখ পুলিশ এই ইলেকশনে কাজ করবেন এবং সবচেয়ে বড় বাহিনীটা আসবে আনসার ভিডিপি থেকে। হোম সেক্রেটারি বলেছেন—বডি ওর্ন ক্যামেরা, ড্রোনের ব্যবস্থা থাকবে। কাজেই ভিজিলেন্সটা অনেক বেশিই হবে।’
সেনাবাহিনী ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে থাকবে, নাকি তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসেবে থাকবে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই ব্যাপারে আরপিওটা সংশোধন হয়ে আসুক। দুটো মতামতই আছে, কিন্তু তাদের কন্টিনিউয়েশনের পক্ষেই আলোচনা হচ্ছে। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার যেটা আছে...তার সঙ্গে আরপিও’র সাংঘর্ষিক যেন না হয়, সে জিনিসটা আমরা লক্ষ্য করব।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে, বৈঠকে কোনো শঙ্কার কথা আসেনি।
‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি। নিরাপত্তা পরিকল্পনার অনেক কিছু নির্বাচনে বাজেটের উপর নির্ভর করবে। বাজেট বরাদ্দের বিষয়টি পরে সিদ্ধান্ত হবে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন— স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান, সেনাবাহিনী প্রধানের প্রতিনিধি লেফট্যানেন্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, নৌ-বাহিনী প্রধানের প্রতিনিধি রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী, বিমান বাহিনী প্রধানের প্রতিনিধি এয়ার ভাইস মার্শাল রুশাদ দিন আসাদ, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, এনএসআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবু মোহাম্মদ সরোয়ার ফরিদ, ডিজিএফআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, আনসার ভিডিপি অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, কোস্টগার্ড মহাপরিচালক রিয়াল অ্যাডমিরাল মো. জিয়াউল হক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা, র্যাব হেডকোয়ার্টার মহাপরিচালক এ কে এম শহীদুর রহমান, এসবি’র অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (প্রশাসন ও অর্থ) জি এম আজিজুর রহমান, সিআইডি অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. ছিবগাত উল্ল্যাহ।
৪৫ দিন আগে
ভোটের মাঠে ৮ দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাখার প্রস্তাব বিবেচনা করবে ইসি
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাঁচ দিনের পরিবর্তে ভোটের আগে ও পরে মোট আট দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোটের মাঠে মূলত পাঁচ দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাখি। এবার আট দিন রাখার প্রস্তাব এসেছে— নির্বাচনের আগে তিন দিন, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচন-পরবর্তী চার দিন। এটি আমরা পরীক্ষা করে দেখব।’
আখতার আহমেদ জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনা সদস্য মাঠে থাকবে। এছাড়া নির্বাচনে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্য এবং ৫ থেকে ৬ লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য মাঠে কাজ করবে। তবে আরপিও সংশোধনের পর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিত হবে।
এর আগে, আজ সকালে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন এতে সভাপতিত্ব করেন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর বিভাগ; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ; পুলিশ সদর দপ্তর; বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার-ভিডিপি, ডিএজিএফআই, এনএসআই, এনটিএমসি, বিশেষ শাখা (এসবি) ও সিআইডিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
ইসি সচিব বলেন, বৈঠকে মূলত কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়— এর মধ্যে ছিল ভোটকেন্দ্র ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা, মাঠ পর্যায়ের বাহিনীর সমন্বয়, অবৈধ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, বৈধ অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি পর্যবেক্ষণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য ও প্রচারণা প্রতিরোধ, বিদেশি সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক ও মনিটরিং সংস্থাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় সাধারণ নাগরিকদের ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। তবে প্রয়োজনে নিরাপত্তা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে।
নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, “অবশ্যই নির্বাচন-উপযোগী পরিবেশ বিদ্যমান আছে। সেই পরিবেশকে আরও সুদৃঢ় করতেই আজকের আলোচনা, এবং এটি চলমান থাকবে,” বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
৪৫ দিন আগে
কিছু দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করলেও নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না: সালাহউদ্দিন
কিছু দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করলেও তা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমার জানা মতে, এনসিপি এবং চারটি বাম রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যেতে পারেনি। বলব না, স্বাক্ষর করেনি; স্বাক্ষর করার সুযোগ উন্মুক্ত আছে। আশা করি, তারা ভবিষ্যতে সনদে স্বাক্ষর করবেন। আগামী নির্বাচনের জন্য এটা বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, সহনশীলতা সবার মধ্যে আসবে। হয়তো তাদের কিছু দাবি দাওয়া আছে। সেটা সরকারের সঙ্গে আলাপ করবে। এক পর্যায়ে তারাও জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। আর গণতন্ত্রের মধ্যে তো সবাই একমত হবে এমন তো নয়। সেটা উন্মুক্ত আছে। ভিন্ন মত থাকতেই পারে।’
এ সময় ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শক্তি’ এখনো নানা উপায়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যা শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগেও স্পষ্টভাবে দেখা গেছে বলে অভিযোগ করেন সালাহউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধা নামে একটি সংগঠন আমাদের ও ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের একটা যৌক্তিক দাবি ছিল। সেই যৌক্তিক দাবিটা পূরণের জন্য আমি নিজেও স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, কথা বলেছিলাম। এবং সেটা ঐক্যমত কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ সঠিকভাবে এড্রেস করেছেন, সেটা প্রেসে বলেছেন এবং সংশোধন করেছেন। এরপরও তাদের অসন্তোষ থাকার কথা নয়।
‘যে সমস্ত বিশৃঙ্খলা হয়েছে আমরা খোঁজ নিয়েছি। এটা তদন্তনাধীন আছে। দেখা গেছে, এখানে জুলাই যোদ্ধাদের নামে কিছু সংখ্যক ছাত্র নামধারী, কিছু সংখ্যক উশৃঙ্খল লোক ঢুকেছে। সেটা ফ্যাসিস্ট সরকারের ফ্যাসিস্ট বাহিনী বলে আমি মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বাহিনী যে এখনো সমস্ত জায়গায় এই বিভিন্ন ফাঁক-ফোকরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, তা দৃশ্যমান হয়েছে। আমার মনে হয়, এখানে এটির সঙ্গে কোনো সঠিক কোনো জুলাই যোদ্ধা বা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কোনো সংগঠন অথবা কোনো ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে না।’
এর আগে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ২৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
৪৭ দিন আগে
উৎসবমুখর পরিবেশে জুলাই সনদে সই হবে, আশা প্রধান উপদেষ্টার
উৎসবমুখর পরিবেশে জুলাই সনদে সই হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় রাজনৈতিক নেতা ও ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এর মাধ্যমে (জুলাই সনদ) ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর পরবর্তী অধ্যায় রচিত হলো। সংস্কারের কথা আমরা বলে যাচ্ছিলাম, কিন্তু আপনার সেই সংস্কার প্রকৃতপক্ষে করে দেখিয়ে দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমরা গোটা জাতি একটা বড় রকমের উৎসবের মধ্যে শরিক হব। যে কলমগুলো দিয়ে সই করলাম, সেগুলো জাদুঘরে রক্ষিত থাকবে। মানুষ তাদের ভুলতে পারবে না, ইতহাস ভুলতে পারবে না।’
‘এটা (জুলাই সনদ) গোটা জাতির জন্য মস্ত বড় একটা সম্পদ হয়ে রইল। সেজন্য আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন।’
৫০ দিন আগে
বিভাজন সৃষ্টি করবেন না, দেশটাকে বাঁচান: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পিআর আমি নিজেই বুঝি না। জনগণ বুঝবে কী! গণভোট হতে হবে বা পিআর হতে হবে, না হলে ভোট হবে না— এইগুলো বাদ দেন। দেশের মানুষ একটি নির্বাচন চায়। পিআর দেশের মানুষ বোঝে না। পিআরটা আবার কি? আগে ভোট হোক, তারপর কার কী দাবি আছে সেটা সংসদে গিয়ে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আপনারা দেশটাকে বাঁচান, বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।’
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গোপালপুর স্কুল মাঠে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পিআর নিয়ে তর্ক-বিতর্ক পার্লামেন্টে গিয়ে হবে। যে সব মতে দলগুলো একমত সেগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর হবে, বাকি মতের জন্য গণভোট হবে। দয়া করে নির্বাচনটা দিয়ে এসব অস্থিরতা কাটান। আর হিংসার রাজনীতি চাই না, হিন্দু-মুসলিমের বিভেদ চাই না; সবাই মিলে শান্তিতে থাকতে চাই।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অতীতে সরকারে ছিলাম, কীভাবে পরিচালনা করতে হয় জানি। বিএনপি নির্বাচিত হলে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যকটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। কৃষকদের দিকে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া হবে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণ যাকে ভোট দেবে তিনি নির্বাচিত হবেন। আর ভাগাভাগি করবেন না, দেশটার ক্ষতি করবেন না। একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চাই। সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বের মধ্যে থাকতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু প্রতিষ্ঠান দাবি আদায়ে রাস্তায় নেমেছে, তাদের উদ্দেশ্য ভালো মনে হয় না। আপনাদের দাবিদাওয়াগুলো আপাতত বন্ধ রাখুন। আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না। পিআর নিয়ে মিছিল-মিটিং বন্ধ করুন। দয়া করে নির্বাচনটা হতে দিন। বাংলাদেশের মানুষ বাঁচুক। দেশের অস্থিরতা কাটুক। আপনাদের কাছে অনুরোধ, সঠিক সিন্ধান্ত নিন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আগামী ১৭ অক্টোবর সংস্কার সনদে সই হবে। কিসের সংস্কার? সংস্কার কাকে বলে? কী কঠিন কঠিন শব্দ! তারপরও আমরা করছি। কারণ সংস্কার হলো ঘরের টিন বদলানোর মতো। ঘরের দরজা বা টিন যেমন কয়েক বছর পরপর বদলাতে হয়, তেমনি রাজনীতিতেও কিছু সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। তাই আমাদের দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ও ছাত্ররা মনে করেছে দেশটাকে ঠিক করতে হলে সংস্কার করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিহিংসা ও বিভেদের রাজনীতি চাই না। আমরা চাই একটি শান্তির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক। আর ভাগাভাগি করবেন না, দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এবার সবাই মিলে সত্যিকার অর্থে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমি ১১ বার কারাগারে গেছি। শেখ হাসিনা আমাকে ভয় করত, যে কারণে কারাগারে পাঠাত। একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য আমাদের অনেক ছেলে প্রাণ দিয়েছে। তাই আসুন সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করি।’
এ সময় গড়েয়া ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীমতভক্তিবিনয় স্বামী মহারাজ, লসকরা গৌড়ীয় মঠ এর ধর্মীয় গুরু স্বামী ভক্তিকেতন মহারাজ, বিএনপির জেলা সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ দলটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন গড়েয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজওয়ানুল ইসলাম রেদো।
৫০ দিন আগে
আসন্ন নির্বাচন ঘিরে জাতিসংঘ মহাসচিবের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আগামী কয়েক মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় বাংলাদেশে চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার উদ্যোগে পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ সংহতি প্রকাশ করেন।
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আগামী কয়েক মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন আয়োজনে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাচ্যুত শাসকগোষ্ঠী ও তাদের দোসররা চুরি করা অর্থ ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এর জবাবে মহাসচিব গুতেরেস বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার উদ্যোগের প্রতি জাতিসংঘের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বৈশ্বিক পর্যায়ে জাতিসংঘের ধারাবাহিক ভূমিকারও প্রতিশ্রুতি দেন।
আরও পড়ুন: সম্পদ তার প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দিন: প্রধান উপদেষ্টা
বৈঠকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
বৈঠকে রাজনৈতিক সংস্কার, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত নৃশংসতার দায় নিরূপণ, সংরক্ষণবাদী শুল্ক নীতির কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্য উদ্বেগ এবং আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা মহাসচিবকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে যেসব সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে, তা অব্যাহত থাকবে এবং তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার ১৪ মাসের প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বের প্রশংসা করে গুতেরেস বলেন, বাংলাদেশের এ কঠিন উত্তরণ প্রক্রিয়ায় অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বকে তিনি সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখছেন।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলন আহ্বান করার জন্য মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, এ সম্মেলন রোহিঙ্গা সংকটকে বৈশ্বিক আলোচনায় অগ্রাধিকারে এবং আশ্রয় শিবিরে মানবিক সহায়তার জন্য জরুরি তহবিল সংগ্রহে ভূমিকা রাখবে।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন ও সংহতি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
৬৬ দিন আগে