নির্বাচন
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে: আসিফ নজরুল
নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলিসি ডিসিশন উল্লেখ করে আইন ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) নির্বাচন নিয়ে তার সাম্প্রতিক বক্তব্যের ব্যাখ্য দিয়ে একটি বিবৃতিতে বলেছেন ‘এটি(নির্বাচনের তারিখ ও সময় ঘোষণার এখতিয়ার তার (প্রধান উপদেষ্টার) একার রয়েছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি।
ড. আসিফ বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ নির্বাচনপূর্ব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: সাকিবের প্রতি মানুষের ক্ষোভ অযৌক্তিক নয়: আসিফ নজরুল
তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, বাস্তবতার নিরিখে আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব হতে পারে। অনেকগুলো ফ্যাক্টর আছে।’
বেসরকারি টিভি চ্যানেল আই আয়োজিত 'আজকের পত্রিকা' শীর্ষক অনুষ্ঠানে দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী নির্বাচনের সময় জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
ড. আসিফ বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে।
এরপর নতুন নির্বাচন কমিশন ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে এবং তারপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিবৃতিতে ড. আসিফ বলেন, সেখানে এসব বিষয় পুরোপুরি ব্যাখ্যা করার সুযোগ তিনি পাননি। তবে সরকারের কথায় সবাই বুঝতে পারবেন, নির্বাচনে সংস্কার ও রাজনৈতিক ঐকমত্যের বিষয় রয়েছে। ‘এগুলোই ফ্যাক্টর। সংস্কারের কথাও বলেছি।’
তিনি বলেন, সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয়ে আমি কর্মসূচিতে আরও কিছু বিষয় ব্যাখ্যা করেছি।
উপদেষ্টা বলেন, এসব বিষয় ঠিক থাকলে আগামী বছর নির্বাচন হতে পারে। 'আমি আমার প্রাথমিক অনুমানও বলেছি।
এসব শর্তসাপেক্ষ ধারণা ও অনুমানকে কোনো গণমাধ্যম নির্বাচনি ঘোষণা হিসেবে উপস্থাপন করছে।
আসিফ নজরুল তার জবাবে বলেন, 'সত্যি বলতে, এটা ঠিক নয়।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেন আসিফ নজরুল
৩ দিন আগে
নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হবে না: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব(পিআর) ব্যবস্থা চালু হবে তা জনগণ কখনো প্রত্যাশা করে না।
তিনি বলেন, ‘এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও হতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের জন্য তা প্রযোজ্য হবে না। এই ব্যবস্থা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট এলাকার জন্য বিশেষ সুবিধা তৈরি করবে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) আজ নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মহাজাল এলাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাম্প্রতিক আন্দোলনের সমন্বয়ক ও নিহত ছাত্রদলের কর্মী জুনায়েদ আল হাবিবের পরিবারকে সান্ত্বনা ও অনুদান দিতে বিএনপিপন্থী প্লাটফর্ম 'আমরা বিএনপি পরিবার' এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ কসাইখানায় পরিণত হবে।’
আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল, নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী, নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ প্রমুখ।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রায়পুরা উপজেলার বাটিয়ারা মোড়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা স্বাধীন ও পিয়ালের নেতৃত্বে ছাত্রনেতা জুনায়েদকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় জুনায়েদের চাচা শফিক বাদী হয়ে স্বাধীন ও পিয়ালসহ ১৪ জনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা করেন।
অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কোন ধরনের সরকার ও নির্বাচন পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি উপযোগী?
৫ দিন আগে
গণতন্ত্র নির্বাচনসহ অনেক কিছুকে অন্তর্ভুক্ত করে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণতন্ত্র শুধু নির্বাচন নয়, এর মধ্যে ব্যক্তির স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়টিও জড়িত।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) নাজির উদ্দিন আহমেদ জিহাদের ৩৪তম শাহাদাতবার্ষিকী (শহীদ জিহাদ দিবস) উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তারেক বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার অপরিহার্য শর্ত। তিনি বলেন, গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন নয়, এর অর্থ মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপির অবিচল আস্থা অর্জন করতে হবে: তারেক রহমান
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করতে শহীদ জিহাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারেক।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী জিহাদকে ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকায় গুলি করে হত্যা করা হয়।
নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নাজির উদ্দিন আহমেদ জিহাদ একটি অবিস্মরণীয় নাম। বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্যই এই রক্তক্ষয়ী আন্দোলন হয়েছিল।
তিনি বলেন, শহীদ জিহাদ স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে সাহসিকতার সঙ্গে অগ্রণী ভূমিকা রাখে গিয়ে পুলিশ তার বুকে গুলি চালিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'এই নির্ভীক ছাত্রনেতা শাহাদাত বরণ করেছিলেন এবং তার আত্মত্যাগ সে বছর গণঅভ্যুত্থানকে ত্বরান্বিত করেছিল। যার ফলে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটে।’
তিনি বলেন, স্বৈরশাসক এরশাদ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন, আর জিহাদ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দৃঢ় প্রত্যয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন। তারেক বলেন, 'আমরা যদি তার স্বপ্ন পূরণ করতে না পারি তাহলে তার (জিহাদের) আত্মা কষ্ট পাবে।’
বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে 'শহীদ জিহাদ দিবস' পালন করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে দৈনিক বাংলা ক্রসিংয়ে জিহাদ স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
আমানুল্লাহ আমানের নেতৃত্বে নব্বইয়ের দশকের একদল ছাত্রনেতাও তার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জিহাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিবসটি উপলক্ষে জিহাদ স্মৃতি পরিষদ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: তারেক রাহমানের বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ করতে সমাবেশ ধামরাই উপজেলা বিএনপি-অঙ্গদলের
১ সপ্তাহ আগে
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন গ্রহণ করতে পারবেন: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার প্রশ্ন
সংস্কার ছাড়া মানুষ নির্বাচন গ্রহণ করতে পারবে কী না সে প্রশ্ন তুলেছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
রবিবার (৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে অধীন দুই মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে নিহত শিশুদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ
আপনাদের এখন অগ্রাধিকার কী সংস্কার, নাকি নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া- এ বিষয়ে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘আরে! নির্বাচনের দিকে যাবে কীভাবে সংস্কার ছাড়া? একি অদ্ভুত প্রশ্ন! সংস্কার হবে না, নির্বাচন হবে-সেই নির্বাচন নিতে পারবেন তো, সংস্কার ছাড়া?’
সেটা কতদিনে হবে-জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘জানি না, কতদিন।’
আপনাদের লক্ষ্য কী এখন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, কিন্তু নির্বাচন কমিশন তো এখনও পুনর্গঠনই হয়নি- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, এখনও অনেক কিছুই গঠন হয়নি। মাত্র দুই মাস সময় গেল, একটু সময় দিন।
তিনি আরও বলেন, এসব প্রশ্নের জবাব আপনারা পাবেন। নির্বাচন তো আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। সেটার জন্য একটা প্রেক্ষাপট তৈরি করতে হবে।
নির্বাচনের রোড ম্যাপ ও পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই আলোচনা এখনও আমাদের ক্যাবিনেটে হয়নি। এটা নিয়ে চেইন অব মিটিং চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে। এই ভাবনাটা এখনও আলোচনার মধ্যে আছে।
আরও পড়ুন: এবার শারদীয় দুর্গা পূজায় কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্ক্সবাদী দিশানায়েকের জয়
মার্কসবাদী আইন প্রণেতা অনুড়া কুমারা দিশানায়েকে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
রবিবার তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিকে ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ায় অভিযুক্ত পুরোনো রাজনৈতিক দলকে ভোটাররা প্রত্যাখ্যান করেছে।
শ্রমিক শ্রেণির সমর্থন এবং রাজনৈতিক অভিজাতবিরোধী প্রচার তাকে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। বিরোধী নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা এবং বর্তমান উদারপন্থী রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহেকে পরাজিত করে জয়লাভ করেন দিশানায়েকে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দিশানায়েকে পেয়েছেন ৫৭ লাখ ৪০ হাজার ১৭৯ ভোট এবং প্রেমাদাসা পেয়েছেন ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ৯০২ ভোট।
দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকট এবং এর ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক বিপর্যয় থেকে পুনরুদ্ধারে শনিবারের নির্বাচনটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
টুইটারে এক বার্তায় দিশানায়েকে বলেন, ‘এই অর্জন কোনো একক ব্যক্তির কাজের ফল নয়, বরং আপনাদের মতো কয়েক লাখ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আপনাদের প্রতিশ্রুতি আমাদের এতদূর নিয়ে এসেছে। এজন্য আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। এই জয় আমাদের সবার।’
২০২২ সালে খেলাপি হওয়ার পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পুনরুদ্ধার কর্মসূচির আওতায় শ্রীলঙ্কার ঋণ পুনর্গঠনসহ ভঙ্গুর পুনরুদ্ধারে বিক্রমাসিংহের নেতৃত্বের ওপর ভার্চুয়াল গণভোট ছিল এই নির্বাচন।
৫৫ বছর বয়সি দিশানায়েকে বলেন, কৃচ্ছ্রসাধনের পদক্ষেপকে আরও সহনীয় করতে তিনি আইএমএফ চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা করবেন। বিক্রমাসিংহে সতর্ক করে বলেছিলেন, চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো পরিবর্তন করার যেকোনো পদক্ষেপ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের চতুর্থ কিস্তি প্রকাশ করতে বিলম্ব করতে পারে; যা স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এটি দিশানায়েকের শক্তিশালী উত্থান। এর আগে ২০১৯ সালে পূর্ববর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মাত্র ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন।
দিসানায়েকের ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার জোটের নেতৃত্বে রয়েছে জনতা বিমুক্তি পেরামুনা বা পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট। এটি মার্কসবাদী দল যা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের জন্য ১৯৭০ ও ১৯৮০ এর দশকে দুটি সশস্ত্র বিদ্রোহ করে ব্যর্থ হয়েছিল। পরাজয়ের পরে, জেভিপি ১৯৯৪ সালে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে প্রবেশ করে এবং বেশিরভাগ সময় বিরোধী দলের মূল ভূমিকা পালন করে।
এনপিপি গ্রুপিংয়ে শিক্ষাবিদ, নাগরিক সমাজের আন্দোলন, শিল্পী, আইনজীবী ও শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন।
দিশানায়েকে ২০০০ সালে প্রথম সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তৎকালীন প্রেসিডেন্ট চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার অধীনে সংক্ষিপ্তভাবে কৃষি ও সেচমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তিনি ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং গোতাবায়া রাজাপাকসের কাছে হেরে যান। রাজপাকসে দুই বছর পরে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে প্রকাশ্য বিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হন।
বিক্রমাসিংহের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী সাবরি দিশানায়েককে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি ‘স্বচ্ছতা, সততা ও দেশের দীর্ঘমেয়াদি মঙ্গলের প্রতিশ্রুতি নিয়ে’ নেতৃত্ব দেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সাবরি।
৪ সপ্তাহ আগে
আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না: ড. বদিউল আলম
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না। এছাড়া নির্বাচনি অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিচার হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের অনেকেই পালিয়ে গেছে। নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাউকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হলে সে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না। আমি—ডামি, একতরফা ও মধ্যরাতের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ এ দেশে নির্বাচনি ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এফডিসিতে গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সুজনের হাফিজ-বদিউলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার আবেদন
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় সবাই অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিভিন্ন অজুহাতে দলীয়করণ করে সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে। অতিউৎসাহী হয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচারণ করেছে। তাই নির্বাচনি অপরাধে অভিযুক্ত সব ব্যক্তিদের বিচারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।
বদিউল আলম আরও বলেন, বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল রুটিন সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ থেকে ১৬ বছরের জঞ্জাল দূর করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরেও জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা হ্রাস পেতে পারে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি নেতা চাঁদের ওপর হামলা, পুলিশ আহত
তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর পরিকল্পিতভাবে নয়াপল্টনে হামলা চালিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। নির্বাচনের জন্য সমতল ক্ষেত্র প্রস্তত করতে পারেনি।
সে সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সরকারের রূপরেখা বাস্তবায়নের জন্য কয়েকটি কথিত দলকে নিবন্ধন দিয়েছে বলে জানান বদিউল আলম।
আরও পড়ুন: নিম্ন আদালতে কালো কোট-গাউন পরার আবশ্যকতা নেই: সুপ্রিম কোর্ট
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
১ মাস আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বেশির ভাগ দলের দাবি নির্বাচনের সময়সীমা
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলাদা মত বিনিময় সভায় এসব দাবি জানায় দলগুলো।
গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং স্বৈরাচার ও দুঃশাসন প্রতিরোধে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসন ও বিচার বিভাগসহ সব রাষ্ট্রীয় অঙ্গকে ঢেলে সাজাতে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন নেতারা।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সব রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও বিভিন্ন দাবির বিষয়ে পৃথকভাবে লিখিত প্রস্তাব পেশ করে। দলগুলোর শীর্ষ নেতারাও তাদের আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানান।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়: জামায়াত আমির
এরমধ্যে সাতটি ইসলামি দল জানায়, তারা প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক থাকার এবং আসন্ন দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়ের আসন্ন দুর্গাপূজায় যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ছয়টি ইসলামী দলের সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা দফায় দফায় মত বিনিময় সভা শুরু করেন।
সভায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, ধর্ম উপদেষ্টা এ এফ এম খালিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।
খেলাফত মজলিস, নিজামে ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জ্যেষ্ঠ নেতারা বেলা ৩টায় যমুনা পৌঁছান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের সঙ্গে এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন।
এরপর বিকেল ৪টায় ইসলামী আন্দোলনের নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট, ১২ দলীয় জোট, বাংলাদেশ জাসদ, গণফোরাম, জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতারাও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেন। রাত ৮টা পর্যন্ত এই আলোচনা চলে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমদ বলেন, তারা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পৃক্ত রাখার একমাত্র উপায় হচ্ছে নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ বা পূর্বাভাস দেওয়া।
তিনি বলেন, ‘এই রোডম্যাপ ছয় মাস বা নয় মাস পর্যন্ত হতে পারে। প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত বলে আমরা জোর দিয়েছি। নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন হবে ততই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, রাজনৈতিক দল এবং দেশের জন্য মঙ্গল।’
ওলি জোর দিয়ে বলেন, শান্তি, সুশাসন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করার আগে নির্বাচন পরিচালনা করা উচিত নয়। তিনি বলেন, ‘আগে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। দেশের মানুষের মধ্যে মানবিকতা ফিরিয়ে আনতে হবে।’
রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যস্ত রাখতে সরকার জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
নির্বাচন নিয়ে এলডিপির বক্তব্যের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেছেন, প্রতিটি ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি উত্তর দিকে যাই আর আপনি দক্ষিণে যান, তাহলে দেশের সমস্যার সমাধান হবে না। সব পক্ষের ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।’
এলডিপি নেতা আরও বলেন, তারা রাষ্ট্রীয় সংস্কারের বিষয়ে ৮৩ দফা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ড. ইউনূসকে তারা বলেছেন যে, ছোটখাটো কারণে যদি জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা যায়, তাহলে হাজার হাজার ছাত্র-মানুষ হত্যা এবং ১৫ বছর ধরে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীর গুমের জন্য দায়ী আওয়ামী লীগের নিবন্ধন কেন বাতিল করা হবে না? তাদের নিবন্ধন বাতিল করা একান্ত প্রয়োজন।
ওলি বলেন, তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক করে বলেছিলেন যে আগামী দিনে আরও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিগগিরই নির্বাচনের দিকে যাবে: বিএনপি
তিনি বলেন, ‘আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জানিয়েছি, তারা এখনও শঙ্কামুক্ত নয়। ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয়... যারা হাসিনার অনুগত ছিল তাদের বরখাস্ত করা হয়নি, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়নি। কেবল তাদের এক অবস্থান থেকে অন্য অবস্থানে স্থানান্তর করা সমস্যার সমাধান করবে না ... তারা দেশের শত্রু, তাদের জেলে ঢোকানো উচিত।’
ছয় দলের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক বলেন, 'আমাদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা তাকে (ইউনূস) বলেছি যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করতে এবং নির্বাচন আয়োজনে অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব এড়াতে।’
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর তারা অনতিবিলম্বে নির্বাচন আয়োজন করবেন।
মামুনুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইঙ্গিত দিয়েছেন এ জন্য প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা চলছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি যুক্তিসঙ্গত সময়সীমা গঠনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমার কথা বলিনি। আমরা নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নিয়ে আলোচনা করিনি।’
মামুনুল হক বলেন, বৈঠকে ইসলামি দলগুলো দুর্গাপূজায় মন্দির ও পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় তিনশ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। আমরা অনুরোধ করেছি, নির্বাহী আদেশ ও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব এসব মামলা প্রত্যাহার করা হোক।
ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের কারণে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে গত ১২ আগস্ট শাহ আলমের নেতৃত্বে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, সিপিবি, গণতন্ত্র মঞ্চ, বিজেপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, গণতান্ত্রিক বাম জোট ও এনডিএমের সিনিয়র নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ বিষয়ে দায়মুক্তি কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
১ মাস আগে
টানা তৃতীয়বার জয়ের দাবি মোদির, তবে সরকার গঠনে লাগবে জোট শরিকদের
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএর সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত নির্বাচনের তুলনায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার কাছে বেশ কিছু আসন হারানোর পরও টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পথে মোদি।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার পেছনে গত মেয়াদে তার শাসনামলে ভারতের মিশ্র অর্থনৈতিক রেকর্ড ও রাজনৈতিক মেরুকরণের মতো বিষয়গুলো প্রভাব ফেলেছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
মঙ্গলবার ফলাফল ঘোষণার পর বিজেপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে সমর্থকদের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘আজকের এই জয় বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের জয়। নির্বাচনে ভারতের ভোটাররা বিজেপি ও এর নেতৃত্বাধীন জোটের প্রতি অগাধ আস্থার প্রকাশ ঘটিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভারতের নির্বাচনে ভোটদানের বিশ্ব রেকর্ড, বিস্ময়কর বললেন সিইসি
দেশটির নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফল অনুসারে, মোদির এনডিএ জোট ২৯৪ আসনে জয়লাভ করেছে, যেখানে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন। তবে গতবারের তুলনায় এই সংখ্যা নিতান্তই কম। অন্যদিকে, বিজেপির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩২ আসন।
শুধু বিজেপি নেতারা জিতেছেন ২৪০টি আসনে। এর ফলে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠা অর্জনে ব্যর্থ হলো দলটি। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও ৩০৩ সিট পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও চাইলে শুধু তারাই সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করে বিজিপি।
২৭২ আসন না পাওয়ায় এবার আর এককভাবে সরকার গঠনের দিকে যেতে পারছে না দলটি। জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করতে হবে মোদির।
ফল ঘোষণার আগে মোদি জানিয়েছিলেন, তার দলের ৩৭০ আসনে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে এবং জোট শরিকরা আরও ৩০টি আসনে জিততে পারে। তবে ঘোষণার পর বিজেপির জন্য এটি বিপর্যয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ভারতীয় ভোটারদের আর সহজভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। চাকরি ও দেশের অর্থনীতি যে গুরুত্বপূর্ণ, ভোটাররা তার ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের ফল থেকে এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে, চাকরি নাগরিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনি জনসভায় 'অনুপ্রবেশকারী' বলায় মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগ মোদির বিরুদ্ধে
কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস-এর দক্ষিণ এশিয়া প্রোগ্রামের পরিচালক মিলান বৈষ্ণব বলেছেন, জোট শরিকদের সদিচ্ছার ওপর এখন ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হবে মোদিকে। যেকোনো নীতি নির্ধারণ, এমনকি সরকার গঠনের ক্ষেত্রেও তারা বড় সুবিধা চাইবে।
দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে প্রতাপ ভানু মেহতা নামের এক রাজনৈতিক ভাষ্যকার বলেছেন, ভোটের ফলাফল মোদির কর্তৃত্বকে দমন করেছে। তিনি নিজেই নিজের জন্য এই অবস্থান তৈরি করেছেন। আজ থেকে তিনি শুধুই একজন রাজনীতিক, জনগণ তার ক্ষমতা খর্ব করেছে।
সাত ধাপে ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা দীর্ঘ এ ভোট কর্মযজ্ঞে ভারতের ৬৪ কোটির বেশি ভোটার তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করেন।
‘বিজেপির পতনের’ এই নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর কংগ্রেস দাবি করেছে, এটি মোদির নৈতিক ও রাজনৈতিক পতন। আর এটাই তাদের জয়।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি জনতার জয়, গণতন্ত্রের জয়।’
তৃতীয়বার সরকার গঠন করে ভারতের অর্থনীতিকে বর্তমানের পঞ্চম অবস্থান থেকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া ভারতের প্রতিরক্ষা উৎপাদন বাড়ানো, যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, রপ্তানি বৃদ্ধি ও কৃষকদের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ৭৩ বছর বয়সী এ বিজেপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘বড় বড় সিদ্ধান্তের একটি নতুন অধ্যায় দেখবে দেশ। এটি মোদির গ্যারান্টি।’
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর পর প্রথম কোনো নেতা হিসেবে টানা তৃতীয়বার দেশ শাসন করতে চলেছেন মোদি। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে ৩০ বছর ধরে জোট সরকারে শাসিত হয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন: সিপিএ নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী শেখ হাসিনা-মোদি
৪ মাস আগে
ভবিষ্যতের জন্য নির্মল নির্বাচনি পরিবেশ রেখে যেতে চাই: ইসি
নির্বাচনের সময় অর্জিত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভবিষ্যতের জন্য একটি নির্মল নির্বাচনি পরিবেশ রাখতে চান বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা।
শনিবার বিকালে জিলা স্কুলের মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে তিনটি উপজেলার (সদর, চিরিরবন্দর ও খানসামা) প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিইসিসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানাল রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন
এসময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ভোটের সময় কোনো প্রিজাইডিং অফিসার অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া নিরপেক্ষ ও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনেরও আহ্বান জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতার আহমেদ, জেলা নির্বাচন অফিসার কামরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতির যে কোনো সংখ্যাই গ্রহণযোগ্য: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
নির্বাচন কমিশনারদের বেতন-সুবিধা সংক্রান্ত আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
৪ মাস আগে
সাতক্ষীরায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২০ বাড়ি ভাঙচুর, আটক ১৩
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ২০টি ঘর-বাড়ি ভাঙচুর ও পাঁচজন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে দুইজনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১৩ জনকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মোস্তাকিম এবং প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা শাহনেওয়াজ ডালিম গ্রুপের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-খসরুর জামিন
পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ নেওয়াজ ডালিম বলেন, বিজয়ী চেয়ারম্যান এ বি এম মোস্তাকিমের কর্মী খাজরা ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের মিলন পারভেজের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পিরোজপুর গ্রামের রিপন হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে একই গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম, সাইফুল ইসলামসহ পিরোজপুর গ্রামের কমপক্ষে পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা।
তিনি আরও বলেন, বুধবার সকালে বিচ্ছিন্ন হামলায় ভাঙচুর হয় বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম, কাদাকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দীপঙ্কর সরকার দ্বীপ, তেতুলিয়া গ্রামের সাইফুর রহমান, লিটন সরদার, প্রতাপনগরের আব্দুস সামাদসহ কমপক্ষে ২০ জনের বাড়ি। এছাড়া প্রতিপক্ষের কর্মী সমর্থকদের হাতুড়ি পেটায় গুরুতর আহত হয়েছেন খাজরা ইউনিয়নের চেউটিয়া গ্রামের আনিসুর রহমান ও তোয়ারডাঙ্গা গ্রামের ইমরান হোসেনসহ কমপক্ষে পাঁচজন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ রেস্টুরেন্টে হামলা-ভাঙচুর করে টাকা লুট, আহত ১০
৫ মাস আগে