নির্বাচন
নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূসের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চায় জামায়াত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জামায়াতে ইসলামী দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল এন চুলিক-এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমাদের খোলামেলা কথা হয়েছে। তারা বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা জানতে চেয়েছেন। তারা আগামী নির্বাচন কখন হবে, কীভাবে হবে এটা জানতে চেয়েছেন। তারা আরও জানতে চেয়েছেন সবগুলো দল সংস্কার চাচ্ছে, সেই সংস্কার কেমন হতে পারে এবং আমরা কি চাচ্ছি?’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না: জামায়াত আমীর
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আগামীতে দেশের দায়িত্ব পাই তাহলে আমাদের ইকোনমিক পলিসি এবং ফরেন রিলেশনটা কেমন হবে? তারা আমাদের রিজিওনাল বা আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়গুলোও জানতে চেয়েছেন। আমরা এ সমস্ত বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছি।’
জামায়াত আমির বলেন, তারা মাইনরিটি ইস্যু (সংখ্যালঘু) নিয়ে কথা বলেছেন, তারা নারী অধিকার ও লেবার রাইটস নিয়েও কথা বলেছেন। আমরা তাদের এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।
দেশ জটিল পরিস্থিতিতে আছে ও গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিবাহিত করার সময় আমেরিকার ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপ পুনর্বিবেচনা করার জন্য তাদের অনুরোধ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জানানোর অনুরোধ করেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের দলের ভেতরে গণতন্ত্র চর্চা করি এবং আমাদের দেশেও গণতন্ত্র চর্চা করতে চাই। এজন্য আমাদের যা করণীয় তা আমরা করব।
ডা. শফিকুর বলেন, জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম নির্বাচনকে জীবন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কেয়ারটেকার সরকার ফর্মুলা প্রস্তাবনার মাধ্যমে। যেটা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দলীয় স্বার্থে এটাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছিল। এখন আবার গোটা জাতি এটা চাচ্ছে এবং আমরা আশাকরি এটা আবার সংবিধানে সন্নিবেশিত হবে।
আরও পড়ুন: রাজনীতিবিদদের কাঁদা ছোড়াছুড়ি জনগণ পছন্দ করে না: মিয়া গোলাম পরওয়ার
তিনি বলেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় প্রশ্নে আমরা বলেছি, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এ বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন দিবেন। আমরা আশা করি ইলেকশনটা এ সময়ের মধ্যেই হবে। তবে আগামী রমযানের আগে হলে ভালো হয়। জুনের দিকে নির্বাচন দিলে তখন বর্ষা, ঝড়-ঝাপটাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসতে পারে। তখন আবার নির্বাচনটা পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। আমরা এজন্য চাচ্ছি, ঐ আশঙ্কার আগেই যাতে নির্বাচনটা হয়ে যায়।
আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে জামায়াতপ্রধান বলেন, ‘জাতি ট্রমাটাইসড! এখনো হাসপাতালে অনেক আহত-পঙ্গুত্ববরণকারীরা পড়ে আছেন। এখনো শহীদদের মা-সন্তান-স্ত্রীরা কান্না করছেন। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের বিচার অবশ্যই হতে হবে। তবে আমরা সঠিক বিচার ও শাস্তি চাই।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন ও জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগে
সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ঐকমত্য কমিশনের দুই সদস্যের সঙ্গে শনিবার (১২ এপ্রিল) এক বৈঠকে তিনি এই তাগিদ দেন। বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখা এমন তথ্য দিয়েছে।
বৈঠকে অংশ নেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ এবং সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) মনির হায়দার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে প্রফেসর আলী রীয়াজ ও ড. বদিউল আলম মজুমদার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে কমিশনের চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক ১৬ এপ্রিল
তারা জানান, বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা অব্যাহত আছে। শনিবার পর্যন্ত মোট ৮টি দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সময়সূচি নির্ধারণ করা আছে।
তারা আরও জানান, সংস্কার কার্যক্রমের বিষয়ে জনমত যাচাই এবং সে বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এ সময় কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা তথা সামগ্রিক সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেন।
৪ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক ১৬ এপ্রিল
জাতীয় নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে আলোচনার জন্য বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসবে। বিএনপির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, ‘বৈঠকটি ১৬ এপ্রিল দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হবে।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, সেটি দূর করতে আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছি। বৈঠকের পর নির্বাচন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আমরা জানাব।’
আরও পড়ুন: সংস্কার সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: বিএনপি মহাসচিব
তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠকে তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচন সংক্রান্ত একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপনের অনুরোধ করবেন। নির্বাচনের রোডম্যাপ যদি স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়, তবে বর্তমান যে অনিশ্চয়তা এবং অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা দূর হবে।’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনের সঠিক রোডম্যাপ কেবল বিভ্রান্তি দূর করতেই নয়, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আনতে সহায়ক হবে।’
বিএনপি নেতা জানান, ‘তারা নির্বাচন ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্তি করারও অনুরোধ করবেন।’
‘আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আগেই কথা বলেছি, তারা জানিয়েছেন, জুনের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সম্ভব। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পক্ষ থেকে নানা ধরনের বক্তব্যের কারণে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টাকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হবে।’
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির অপর স্থায়ী কমিটির বলেন, ‘আমরা সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করব, বিশেষত, নির্বাচন কবে হবে – এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাই।’
তিনি জানান, ‘সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, দ্রুত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে হবে, কারণ নির্বাচন নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ চায় বিএনপি: ফখরুল
এদিকে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য গেছেন। তবে, তিনি শিগগিরই দেশে ফিরে আসবেন এবং বৈঠকে অংশ নেবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন ওই নেতা।
বিএনপি প্রতিনিধি দল বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেবে যে, যদি সরকার অযথাই আগামী বছরের জুন পর্যন্ত ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করে, তবে বিএনপি সেটি কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
৭ দিন আগে
জুনের আগে ডাকসু নির্বাচনের দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের
চলতি বছরের জুন মাসের আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির একদল শিক্ষার্থী।
রবিবার (৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সায়মা হক বিদিশার কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তারা। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
স্মারকলিপি জমা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ডাকসু নির্বাচন পেছাতে একটি বিশেষ গোষ্ঠী উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জুনের আগে ডাকসু নির্বাচন আয়োজন না করলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
জুলাই অভ্যুত্থানের ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও ডাকসু নির্বাচনের কোনো রূপরেখা দেয়া হয়নি বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বারবার তাগাদা দেয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করছে বলে মন্তব্য করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, উপ-উপাচার্য শিক্ষার্থীদের দ্রুত নির্বাচন দেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের আয়োজন করার আহ্বান জানান তারা।
এর আগে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বারবার স্মারকলিপি দেয়ার পরেও নির্বাচনের কোনো সন্তোষজনক অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঢাবি প্রশাসনের কাছে নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করেছেন তারা। কালক্ষেপণ করা হলে বড় আন্দোলনের ডাক দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্ছ্বাস
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিবেচনা করছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্ব।’
তবে দ্রুত নির্বাচন দিতে গিয়ে কোনো ভুল হোক সেটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপ-উপাচার্য বলেন, সব কাজ গুছিয়ে একটি পরিচ্ছন্ন নির্বাচন দিতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। বিভিন্ন কমিটির মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি দ্রুত আগাচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
১০ দিন আগে
অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করব: প্রধান উপদেষ্টা
যত দ্রুত সম্ভব একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনই অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এমন অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের জনগণকে আশ্বস্ত করেছি যে, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন হলে আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অনুযায়ী আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করব। আমাদের জনগণ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত ও স্বাধীন সমাজের স্বপ্ন দেখেছিল যেখানে প্রতিটি সাধারণ মানুষ তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে।’
বাংলাদেশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালে লাখ লাখ সাধারণ নারী-পুরুষ, শিশু ও যুবক একটি নৃশংস সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসব্যাপী গণহত্যায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিল।
আরও পড়ুন: স্টারলিংক বাংলাদেশের ডিজিটাল জগতে বিপ্লব আনবে: প্রধান উপদেষ্টা
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, গত পনেরো বছরে আমাদের জনগণ বিশেষ করে যুবসমাজ, ক্রমাগত তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা সংকুচিত হতে দেখেছে। তারা রাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের অবক্ষয় ও নাগরিক অধিকারের অবমাননা প্রত্যক্ষ করেছে।’
তিনি বলেন, সাধারণ জনগণ একটি নৃশংস স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। কিন্তু স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে প্রায় ২ হাজার নিরীহ মানুষ, যাদের বেশিরভাগই তরুণ এবং ১১৮ জন শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
‘বাংলাদেশের জনগণ তার ইতিহাসে এক নবজাগরণ প্রত্যক্ষ করেছে। যেসব ছাত্রনেতা এই গণজাগরণে নেতৃত্ব দিয়ে শেখ হাসিনার দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করেছে, তারা তাকে অনুরোধ করেছিল এই সংকটময় মুহূর্তে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে। আমি আমাদের জনগণের স্বার্থে এই দায়িত্ব গ্রহণে সম্মত হয়েছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে তারা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই প্রবৃদ্ধি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বলিষ্ঠ ও সুদূরপ্রসারী সংস্কার গ্রহণ করবে। আমরা সুশাসন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই বিষয়গুলোই আমাদের পরিকল্পিত সংস্কারের মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, সরকার ইতিমধ্যে বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সংবিধান সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করেছে, যাতে জনগণের মালিকানা, জবাবদিহিতা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা যায়। এই কমিশনগুলো ইতিমধ্যে তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে, যা বর্তমানে সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করেছি। আমি নিজেই যার নেতৃত্ব দিচ্ছি এবং এতে ছয়টি কমিশনের প্রধানরা রয়েছেন। এই কমিশনগুলো যে সুপারিশগুলো জমা দিয়েছে, তা পর্যালোচনা এবং গ্রহণ করার জন্য এ কমিশন গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
সরকার প্রধান আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রতি আরো চারটি কমিশন গঠন করেছে, গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম এবং নারী অধিকার সংক্রান্ত নীতিগত সুপারিশ দেওয়ার লক্ষ্যে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করছি, তখন আমরা দেশের প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে অবিচলভাবে কাজ চালিয়ে যাব, তারা নারী হোক কিংবা জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু হোক।’
অনুষ্ঠানে থাই প্রধানমন্ত্রী এবং সম্মেলনের চেয়ারপার্সন পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রা, বিমসটেক মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মনি পান্ডে এবং বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
১৩ দিন আগে
সংস্কার সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: বিএনপি মহাসচিব
সংস্কার সম্পর্কে বিএনপির বক্তব্যকে একটি মহল ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে প্রচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারে বিএনপির সমর্থন রয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার (২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংস্কার সম্পর্কে আমাদের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। কিছু মহল প্রচার করছে, বিএনপি আগে নির্বাচন, পরে সংস্কার চায়। এটি পুরোপুরি মিথ্যা। আমরা বরাবরই সংস্কারের পক্ষে কথা বলেছি।’
‘আমরা বলেছি, একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য মিনিমাম যে সংস্কারগুলো করা দরকার সেগুলো করতে হবে। আমরা কখনোই বলিনি আগে নির্বাচন, পরে সংস্কার। এটা ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ চায় বিএনপি: ফখরুল
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার সংস্কার এবং বিচার বিভাগের সংস্কারের ওপর বিএনপির জোর সমর্থন রয়েছে বলে অভিমত দেন দলটির এই মহাসচিব।
সংস্কার সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘তারা জ্ঞানী মানুষ, পণ্ডিত লোক, বিশাল ডিগ্রিধারী। তাদেরকে আমরা শ্রদ্ধা ও সম্মান করি। কিন্তু তারা যদি জনগণের বাইরে গিয়ে কিছু করে আমরা সেটিকে সমর্থন করতে পারব না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্রই হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা। এখানে কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসার পরে স্বৈরাচারী হয়ে উঠলে জনগণই তাদের সরিয়ে দেবে। তাদের পরিস্থিতিও আওয়ামী সরকারের মতো হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব মতামত থাকবে। জনগণ বেছে নেবেন, কোনটি তাদের জন্য উপযোগী। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজস্ব নীতিমালা নিয়ে জনগণের কাছে যাবে এবং জনগণ যাদের সমর্থন দেবেন, তারাই সরকার ও পার্লামেন্ট গঠন করবে, এটাই গণতন্ত্র।’
এসময় জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
১৪ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করছে সরকার: রিজভী
ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার মতো পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধোঁয়াশা তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘ডিসেম্বর না জুন না মার্চ, একেক সময় এককটা কথা। এটা তো শেখ হাসিনার কিছু কথা-বার্তার সঙ্গে মিল পাওয়া যায়।’
শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশা-ভ্যান ও অটোরিকশাচালকদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে সবার ত্যাগ শিকার না করলে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে।’ জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর না জুনে—এমন দোদুল্যমান বক্তব্য না দিয়ে স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করে জাতিকে আশ্বস্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলেন যে, আন্দোলন কী করা হয়েছে শুধু নির্বাচন করার জন্য? নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলেই তো আন্দোলন হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করেননি শেখ হাসিনা। ক্ষমতা রক্ষার জন্য দেশকে একটি কারবালায় পরিণত করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে এলে আ.লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না, প্রশ্ন রিজভীর
অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে ব্যাপক আন্দোলনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হলেও জনগণের সমর্থন রয়েছে। সব আন্দোলনকারী দল তাদের সমর্থন দিয়েছে।’
জনগণের আস্থা ধরে রাখতে নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
দুঃখ প্রকাশ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এখনো ১২২টি গার্মেন্টেসের শ্রমিকরা কেন বেতন পায় না- এটা একটা বড় প্রশ্ন। প্রায় অর্ধশতাধিক গার্মেন্টস তারা বোনাস পায়নি কেন?’
‘সরকার হচ্ছে মালিক এবং শ্রমিক পক্ষের মধ্যে একটি লিয়াজোঁ অফিসারের ভূমিকা পালন করেন। এই জিনিসগুলোর দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তাবে। একজন শ্রমিক যদি না খেয়ে থাকে, ঈদের আগে সে যদি বেতন না পায় তাহলে শ্রমিকদের পরিবার ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারবে না। এইজনহিতকর পদক্ষেপ সরকারের দিক থেকে হওয়া উচিত। এটা সরকারের দেখা উচিত ছিল।’
আরও পড়ুন: উপদেষ্টারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন: রিজভী
রিজভী উল্লেখ করেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ১৭ জন রিকশাচালক প্রাণ হারিয়েছেন এবং তাদের পরিবার চরম দুর্ভোগ সহ্য করছে।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের রক্তের উপর গঠিত সরকার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অকাতরে জীবনদানকারী শিশু-কিশোর-তরুণ-নারী-রিকশা-ভ্যান শ্রমিকদের চালকদের রক্তের ওপর গঠিত সরকার।’
১৯ দিন আগে
রাষ্ট্র সংস্কারের পর নির্বাচনের কথা ভাবতে হবে: নুর
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আগে রাষ্ট্র সংস্কার ও জনআকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করতে হবে, তার পরে নির্বাচনের কথা ভাবতে হবে।
সোমবার (২৪ মার্চ) বিকালে পটুয়াখালী শহরের জেলা পরিষদ শিশুপার্কে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নুর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে একটি ফ্যাসিস্ট ও রাজনৈতিক দল।’ তাই সকল দল ও সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় পটুয়াখালীতে একটা সুন্দর ও সম্প্রীতির রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হোক সেই প্রত্যাশা করি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে নজর দিন।’
আরও পড়ুন: আয়নাঘরের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার করতে হবে: নুরুল হক
এছাড়া জনগণের ক্ষোভ বাড়ছে, প্রশাসনের অনেকে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে— সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ডাকসু্ এই সাবেক ভিপি।
গণঅধিকার পরিষদ পটুয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম লিটুর সভাপতিত্বে সভায় কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা, ইউনিট নেতারা ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
২৩ দিন আগে
ঐকমত্য কমিশনে মতামত জমা দিল জামায়াত, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে জোর
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিতে জোর দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে মতামত জমা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজের কাছে তাদের মতামত জমা দেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে, মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। সংবিধান, নির্বাচন, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ পাঁচটি বিষয়ের ওপর প্রস্তাব পেশ করেন তারা।
এ সময় সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে। আমীরে জামায়াতসহ নেতৃবৃন্দ প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত একটি অর্থবহ নির্বাচন দেওয়ার জন্য বারবার বলে আসছেন।
আরও পড়ুন: সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত হলে নাগরিকরা গর্বিত হতো: জামায়াত আমির
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়ের ব্যাপারে একটি ধারণা জাতির সামনে পেশ করা হয়েছে। আমরা তার সাথে দ্বিমত পোষণ করিনি।’
তিনি বলেন, আজকে আমরা পাঁচটি বিষয়ের ওপর আমাদের মতামত তুলে ধরেছি। কমিশনের প্রস্তাবের সাথে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা একমত হতে পারিনি; আবার অনেক বিষয়েই একমত হয়েছি। আমরা ব্যাখ্যাসহ আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি।’
‘আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছি। আমরা আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ শুরু করবেন,’ বলেন গোলাম পরওয়ার।
২৭ দিন আগে
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও যথাযথ প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৯ মার্চ) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
এর আগে গত ১৭ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন ও কী ধরনের সুবিধাগুলো পেয়ে থাকেন তা নিয়ে আলোচনা করেন।
আজকের বৈঠকে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উত্থাপিত বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তাদের, বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবস্থার উন্নয়নে তাৎক্ষণিক বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন ড. ইউনূস।
আরও পড়ুন: পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টার আজকের মূল নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে— পুলিশে প্রচলিত ঝুঁকি ভাতার প্রচলিত সিলিং তুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা, পুলিশের জন্য নতুন ৩৬৪টি পিকআপ ও ১৪০টি প্রিজনার ভ্যান কেনার উদ্যোগ নেওয়া, পুলিশের চলমান নির্মাণ প্রকল্পের ৭০ শতাংশের নিচে সম্পাদিত হওয়া প্রকল্পগুলোতে অর্থ ছাড় করা, ভাড়াকৃত ভবনে অবস্থিত ৬৫টি থানার জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ ছাড় করা এবং পুলিশের এসআই ও এএসআই র্যাংকের মোটরসাইকেল কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণের বিষয়টি বিবেচনা করা।
কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে জেলা পুলিশকে শ্রেণিবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়াও তিনি নিম্ন-কর্মদক্ষতার ইউনিটগুলোর কর্মক্ষমতা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালানোর ওপরও জোর দেন।
২৮ দিন আগে