নির্বাচন
আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল। তারা রাজনীতি বা নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে তা আমরা নির্ধারণ করতে পারি না।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ফেনীর ফুলগাজীর শ্রীপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। উপদেষ্টাকে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ নাকি আমরা দিয়েছি। এ কথাটি সঠিক নয়। আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।’
‘আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নাই। আমরা কখনও কোনো দলকে নির্বাচনে আনতে মানা (নিষেধ) করিনি। কিন্তু হাসিনাসহ যারা মানুষ খুন করেছে, বিদেশে টাকা পাচার ও দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। আর জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে- কাকে রাজনীতি করতে দেবে, আর কাকে দেবে না; এখানে আমরা কেউ নই, এ দায়িত্ব আমাদের নয়।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। রাতারাতি সবকিছু হয়ে যাবে না। ১৫ বছরের যে জঞ্জাল, সেটি সাফ করতে সময় লাগে। তারা অনেক কাজ করবে। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে তো। এখন কি আর আওয়ামী লীগের লোকজন অত্যাচার করতে পারে? উনাদের একটু সময় দিতে হবে। তারা কাজ শেষ করলে নিশ্চয়ই নির্বাচন হবে এবং জনগণের সরকার আসবে। আমরা বলেছি, এটি একটু তাড়াতাড়ি করলে ভালো হয়।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছেন। তাকে যে কষ্টে রাখা হয়েছিল তা চিন্তাও করতে পারবেন না। তারপরও কখনও তিনি মাথা নত করেনি; তিনি মাথা উঁচু করে এখনও দাঁড়িয়ে আছেন। বেগম খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ। আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছি।’
বন্যায় বিএনপি নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘বন্যায় এখানকার মানুষ অনেক কষ্ট করেছেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করেছেন। শত নির্যাতনের পরও আমরা বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। আর দেশের ওপর যারা এত অত্যাচার করেছে, তারা পালিয়ে গেছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু, চট্টগ্রাম বিভাগের সংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক ও ফেনী-১ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম মজনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা নিয়োগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই: ফখরুল
বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করলেন ফখরুল
১ দিন আগে
ছলচাতুরী বাদ দিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: সরকারকে বিএনপি
কোনো ধরনের ছলচাতুরীর আশ্রয় না নিয়ে অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রীয় সংস্কারের সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, যারা সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানকে 'দ্বিতীয় স্বাধীনতা' হিসেবে আখ্যায়িত করেন তারা প্রকৃতপক্ষে দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার বিরোধী।
তিনি বলেন, ‘কোনো প্রকার কুটকৌশল বা ছলচাতুরী ছাড়াই কবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তা জাতিকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিন। জাতি নির্বাচনের তারিখ জানতে চায়। আপনি যদি জাতিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে রাখেন তবে তাদের অলস বসে থাকা এবং আপনার প্রহসন দেখার কোনো কারণ নেই।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ৫ জন খালাস
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের পরিস্থিতি বর্তমানে অস্পষ্ট এবং আগামী দিনগুলোতে এটি আরও জটিল হতে পারে। ‘এই প্রতিকূল সময়ে আমরা বিশ্বাস করতে চাই, বর্তমান সরকার জাতিকে আশার আলো দেখাবে। কিন্তু আমি তাদের অনুরোধ করব, এমন কিছু করবেন না, যাতে জাতি আপনাদের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে।’
তিনি বলেন, আমাদের দল যখন নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে, তখন সরকারের ভেতরেই কেউ একজন বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে গেছে। ‘এর জবাবে আমরা যদি বলি আপনি নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন না, কারণ আপনি ক্ষমতায় থাকার জন্য মরিয়া।’
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি ১৭ বছর ধরে গণতন্ত্র ও মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য সংগ্রাম করছে। তিনি বলেন, ‘যারা বলছেন আমরা ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া, তারা ভুল করছেন। বাস্তবে আমরা মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করছি।
মুক্তিযোদ্ধা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সাবুর ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আজকের বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ও প্রজন্ম একাডেমি।
সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে সরকারের উপদেষ্টাদের বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের সমালোচনা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘এসব সংস্কার বাস্তবায়নে কত সময় লাগবে সে বিষয়ে আপনারা পরিষ্কার করে কিছু বলছেন না। বাস্তবে আমরা সংস্কারের কোনো লক্ষণ দেখছি না। নির্বাচন নিয়েও আপনারা স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সরকারের ভেতরের লোকজনও সংবিধান সংশোধন ও সংবিধান পরিবর্তন নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনের আপনি কে? সংসদ ছাড়া কি সংবিধান পরিবর্তন হবে? আপনাদের মনে রাখতে হবে, সংবিধান কোনো রুক্ষ খসড়া নয় যে আপনি নিজের ইচ্ছামতো পরিবর্তন করতে পারেন ‘
মির্জা আব্বাস বলেন, সরকার গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীজনের মতামত নেওয়া জরুরি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ না দিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা কিছু ব্যক্তি এখন দেশে ফিরে উচ্চস্বরে কথা বলছেন। ‘তারা সংবিধান পরিবর্তনের কথাও বলছেন।’
নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে সরকার নিজের অবস্থান স্পষ্ট না করায় দেশে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ শান্তি চায়, ত্রাণ চায়। যথেষ্ট হয়েছে- আমাদের শান্তি দিন, আমাদের স্বস্তি ফিরিয়ে দিন। আপনারা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এসেছেন, কিন্তু এখন কোনো সুস্পষ্ট রূপরেখা ছাড়াই সংস্কারের কথা বলছেন। আপনারা কী করতে চান তা জনগণকে স্পষ্টভাবে বলুন। জাতিকে অন্ধকারে রেখে আমরা আপনাদের যা খুশি তাই করতে দেব না।’
অহেতুক বিলম্ব না করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পদক্ষেপ নিতে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলেও আব্বাস আশা প্রকাশ করেন। আব্বাস বলেন, ‘দেশের মানুষ অতীতে একটি অনির্বাচিত সরকারকে মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কেন দেশে ফিরতে পারছেন না তা বোধগম্য নয়। ‘আমরা বুঝতে পারছি না, কেন তার মামলা বা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। অধ্যাদেশের মাধ্যমে এসব মামলা প্রত্যাহার করা যায়, কিন্তু আপনারা এটা করছেন না।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে ধাবিত করার অপচেষ্টা করছে সরকার: মির্জা আব্বাস
২ সপ্তাহ আগে
বসুরহাটে লিফলেট বিতরণ করে দ্রুত নির্বাচন চাইলেন বিএনপি নেতা আবেদ
বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফার পক্ষে লিফলেট বিতরণ করে দ্রুত সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় সহ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ।
সোমবার (৪ নভেম্বর) নোয়াখালীর বসুরহাট বাজারে লিফলেট বিতরণ করে তিনি এই দাবি জানান।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে জনগণের ভূমিকা চায় বিএনপি
এসময় তিনি বলেন, সরকারকে অবশ্যই দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এখনই নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিএনপির সবচেয়ে বেশি নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। গত ১৫ বছরেও গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রাণ দিয়েছে। হামলা-মামলা ও নির্যাতিত হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিদায় করতে বিএনপির অবদানই সবচেয়ে বেশি।
বসুরহাটের এই সংসদীয় আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার লিফলেট বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুর আলম সিকদার, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান রিপন। বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহ-সভাপতি মমিনুল হক ও শওকত হোসেন ছগীর প্রমুখ।
এর আগে রবিবার কবিরহাটের বিভিন্ন স্পটেও সাধারণ জনগণের মাঝে লিফলেট ও শনিবার কবিরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫০ কৃষক পরিবারের মাঝে বীজ ধান বিতরণ করেন।
এসময় কবির হাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ন আহ্বায়ক আরাফাত রহমান হাসান, কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব বেলায়েত হোসেন খোকনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় মুছাপুর ইউনিয়ন আয়োজিত দলের অফিস উদ্বোধন করেন বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ। পরে সেখানে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পতিত ফ্যাসিস্টদের ফিরতে দেবেন না: বিএনপি
২ সপ্তাহ আগে
জনগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচনের অপেক্ষায় থাকবে না: বিএনপি
বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য জনগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করবে না।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।’
তিনি বলেন, কিন্তু মূল সমস্যা থেকে বিচ্যুত হয়ে অন্য বিষয়ের দিকে নজর দিচ্ছেন তারা।
শুক্রবার(২৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সভায় উদ্বোধনী বক্তব্যে গয়েশ্বর এসব কথা বলেন।
কয়েকজন উপদেষ্টার বক্তব্যে যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
গয়েশ্বর বলেন, ‘আপনি যা কিছু করেন তার জন্য আমরা আলহামদুলিল্লাহ বলব, তবে এর একটি সময়সীমা থাকা উচিত এবং ধৈর্যের একটি সময়সীমা থাকা উচিত। নির্বাচনের দ্রুত রূপরেখা তৈরি করুন, তারপর বাকিটা করুন।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধই যথেষ্ট নয়, অস্ত্রধারীদের বিচার হতে হবে: বিএনপি
সরকার যদি সবকিছু সমাধানের চেষ্টা করে তাহলে কোনো কিছুই সফল হবে না বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা। ‘নতুন সংস্কারের প্রয়োজন নেই, কারণ জনগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করবে না।’
রাষ্ট্র সংস্কারের দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কারের জন্য মাসের পর মাস সময় লাগা উচিত নয়।
গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি ইতোমধ্যে ৩১ দফা সংস্কার রূপরেখা উপস্থাপন করেছে, যা সরকার পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে পারে।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার হওয়া উচিত। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনীতিবিদদের দিয়েই সমাধান করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় শুরু হওয়া বিরাজনীতিকরণের চক্রান্ত এখনো চলছে। 'রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতির মোকাবিলা করতে হবে'
তিনি বলেন, 'আপনারা (সরকার) যদি মনে করেন শুধু ছাত্ররাই আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, তাহলে আপনারা ভুল করছেন, আপনারা হোঁচট খাবেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সব শ্রেণি-পেশার মানুষের বহু বছরের আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি।’
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র চলছে, শিগগিরই নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: বিএনপি
৩ সপ্তাহ আগে
নির্বাচন করতে দেরি হলে বসে থাকবে না বিএনপি
আগামী জাতীয় নির্বাচন যৌক্তিক সময়ের মধ্যে না হলে দলের নেতাকর্মীরা বসে থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, 'আমরা চাই জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করে সংসদ ও সরকার গঠন করবেন। এটাই ছিল বিপ্লবের মূল বিষয়।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব দিয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তার দল সরকারকে একটি যৌক্তিক সময়সীমা দেবে। সেই সময় পেরিয়ে গেলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে জিয়াউর রহমানের বিএনপি নিশ্চয়ই ঘরে বসে চিনাবাদাম চিববে না। আগামীতে বাস্তবতার নিরীখে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, সরকার কী করে, তা তারা কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করবেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনি রোডম্যাপ না থাকায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সন্দেহ করছে জনগণ: বিএনপি
তিনি বলেন, এরপর আমরা অতীতে যা করেছি তা করব। ‘মৃত্যু পরোয়ানা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকা অবস্থায় আমাদের কাউকেই হত্যা করা যাবে না।’
'দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব' শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাগ্রত বাংলাদেশ।
কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করে গয়েশ্বর বলেন, কিছু দল এমন কিছু কর্মকাণ্ড করছে, যে তারা ভাবছে তারা ক্ষমতায় আসছে।
তিনি বলেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে তারা নিপীড়িত, কিন্তু তারা দেশ স্বাধীন করেনি... আমরা করেছি। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তি দেশের শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করে। তিনিও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে, যা সাহসী পদক্ষেপ। ‘এতে আমাদের আপত্তি নেই, তবে আপনি যে পদক্ষেপই নিন না কেন, সম্ভাব্য পরিণতিগুলো বিবেচনা করুন।’
তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতে ইসলামীর অনেক নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। ‘কিন্তু জামায়াত শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টকে নিষিদ্ধ করেনি।’
রিজভী বলেন, যারা বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে নৃশংসতা চালিয়েছে এবং মানুষ হত্যা করেছে এবং লুটপাটে লিপ্ত হয়েছে তারা এখনো স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করছে। ‘তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে এবং অন্যায়ের পরিণতির জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।’
এত মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে কীভাবে বিদেশে গেল জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কাকে জিজ্ঞেস করব? কারা তাদের পালাতে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করেছিল? এর জবাব কে দেবে? যারা ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা কীভাবে বিদেশে গেলেন? বিচারের মুখোমুখি না হয়ে অপরাধীদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ কে দিয়েছিল? সরকার কি এর জবাব দেবে?'
দেশের সাংবিধানিক সংকট রোধে বিএনপি নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: জাতি সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট প্রত্যাশা করে না: বিএনপি
৪ সপ্তাহ আগে
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে: আসিফ নজরুল
নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলিসি ডিসিশন উল্লেখ করে আইন ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) নির্বাচন নিয়ে তার সাম্প্রতিক বক্তব্যের ব্যাখ্য দিয়ে একটি বিবৃতিতে বলেছেন ‘এটি(নির্বাচনের তারিখ ও সময় ঘোষণার এখতিয়ার তার (প্রধান উপদেষ্টার) একার রয়েছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি।
ড. আসিফ বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ নির্বাচনপূর্ব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: সাকিবের প্রতি মানুষের ক্ষোভ অযৌক্তিক নয়: আসিফ নজরুল
তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, বাস্তবতার নিরিখে আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব হতে পারে। অনেকগুলো ফ্যাক্টর আছে।’
বেসরকারি টিভি চ্যানেল আই আয়োজিত 'আজকের পত্রিকা' শীর্ষক অনুষ্ঠানে দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী নির্বাচনের সময় জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
ড. আসিফ বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে।
এরপর নতুন নির্বাচন কমিশন ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে এবং তারপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিবৃতিতে ড. আসিফ বলেন, সেখানে এসব বিষয় পুরোপুরি ব্যাখ্যা করার সুযোগ তিনি পাননি। তবে সরকারের কথায় সবাই বুঝতে পারবেন, নির্বাচনে সংস্কার ও রাজনৈতিক ঐকমত্যের বিষয় রয়েছে। ‘এগুলোই ফ্যাক্টর। সংস্কারের কথাও বলেছি।’
তিনি বলেন, সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয়ে আমি কর্মসূচিতে আরও কিছু বিষয় ব্যাখ্যা করেছি।
উপদেষ্টা বলেন, এসব বিষয় ঠিক থাকলে আগামী বছর নির্বাচন হতে পারে। 'আমি আমার প্রাথমিক অনুমানও বলেছি।
এসব শর্তসাপেক্ষ ধারণা ও অনুমানকে কোনো গণমাধ্যম নির্বাচনি ঘোষণা হিসেবে উপস্থাপন করছে।
আসিফ নজরুল তার জবাবে বলেন, 'সত্যি বলতে, এটা ঠিক নয়।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেন আসিফ নজরুল
১ মাস আগে
নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হবে না: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব(পিআর) ব্যবস্থা চালু হবে তা জনগণ কখনো প্রত্যাশা করে না।
তিনি বলেন, ‘এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও হতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের জন্য তা প্রযোজ্য হবে না। এই ব্যবস্থা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট এলাকার জন্য বিশেষ সুবিধা তৈরি করবে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) আজ নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মহাজাল এলাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাম্প্রতিক আন্দোলনের সমন্বয়ক ও নিহত ছাত্রদলের কর্মী জুনায়েদ আল হাবিবের পরিবারকে সান্ত্বনা ও অনুদান দিতে বিএনপিপন্থী প্লাটফর্ম 'আমরা বিএনপি পরিবার' এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ কসাইখানায় পরিণত হবে।’
আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল, নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী, নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ প্রমুখ।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রায়পুরা উপজেলার বাটিয়ারা মোড়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা স্বাধীন ও পিয়ালের নেতৃত্বে ছাত্রনেতা জুনায়েদকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় জুনায়েদের চাচা শফিক বাদী হয়ে স্বাধীন ও পিয়ালসহ ১৪ জনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা করেন।
অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কোন ধরনের সরকার ও নির্বাচন পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি উপযোগী?
১ মাস আগে
গণতন্ত্র নির্বাচনসহ অনেক কিছুকে অন্তর্ভুক্ত করে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণতন্ত্র শুধু নির্বাচন নয়, এর মধ্যে ব্যক্তির স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়টিও জড়িত।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) নাজির উদ্দিন আহমেদ জিহাদের ৩৪তম শাহাদাতবার্ষিকী (শহীদ জিহাদ দিবস) উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তারেক বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার অপরিহার্য শর্ত। তিনি বলেন, গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন নয়, এর অর্থ মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপির অবিচল আস্থা অর্জন করতে হবে: তারেক রহমান
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করতে শহীদ জিহাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারেক।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী জিহাদকে ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকায় গুলি করে হত্যা করা হয়।
নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নাজির উদ্দিন আহমেদ জিহাদ একটি অবিস্মরণীয় নাম। বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্যই এই রক্তক্ষয়ী আন্দোলন হয়েছিল।
তিনি বলেন, শহীদ জিহাদ স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে সাহসিকতার সঙ্গে অগ্রণী ভূমিকা রাখে গিয়ে পুলিশ তার বুকে গুলি চালিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'এই নির্ভীক ছাত্রনেতা শাহাদাত বরণ করেছিলেন এবং তার আত্মত্যাগ সে বছর গণঅভ্যুত্থানকে ত্বরান্বিত করেছিল। যার ফলে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটে।’
তিনি বলেন, স্বৈরশাসক এরশাদ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন, আর জিহাদ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দৃঢ় প্রত্যয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন। তারেক বলেন, 'আমরা যদি তার স্বপ্ন পূরণ করতে না পারি তাহলে তার (জিহাদের) আত্মা কষ্ট পাবে।’
বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে 'শহীদ জিহাদ দিবস' পালন করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে দৈনিক বাংলা ক্রসিংয়ে জিহাদ স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
আমানুল্লাহ আমানের নেতৃত্বে নব্বইয়ের দশকের একদল ছাত্রনেতাও তার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জিহাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিবসটি উপলক্ষে জিহাদ স্মৃতি পরিষদ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: তারেক রাহমানের বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ করতে সমাবেশ ধামরাই উপজেলা বিএনপি-অঙ্গদলের
১ মাস আগে
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন গ্রহণ করতে পারবেন: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার প্রশ্ন
সংস্কার ছাড়া মানুষ নির্বাচন গ্রহণ করতে পারবে কী না সে প্রশ্ন তুলেছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
রবিবার (৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে অধীন দুই মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে নিহত শিশুদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ
আপনাদের এখন অগ্রাধিকার কী সংস্কার, নাকি নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া- এ বিষয়ে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘আরে! নির্বাচনের দিকে যাবে কীভাবে সংস্কার ছাড়া? একি অদ্ভুত প্রশ্ন! সংস্কার হবে না, নির্বাচন হবে-সেই নির্বাচন নিতে পারবেন তো, সংস্কার ছাড়া?’
সেটা কতদিনে হবে-জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘জানি না, কতদিন।’
আপনাদের লক্ষ্য কী এখন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, কিন্তু নির্বাচন কমিশন তো এখনও পুনর্গঠনই হয়নি- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, এখনও অনেক কিছুই গঠন হয়নি। মাত্র দুই মাস সময় গেল, একটু সময় দিন।
তিনি আরও বলেন, এসব প্রশ্নের জবাব আপনারা পাবেন। নির্বাচন তো আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। সেটার জন্য একটা প্রেক্ষাপট তৈরি করতে হবে।
নির্বাচনের রোড ম্যাপ ও পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই আলোচনা এখনও আমাদের ক্যাবিনেটে হয়নি। এটা নিয়ে চেইন অব মিটিং চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে। এই ভাবনাটা এখনও আলোচনার মধ্যে আছে।
আরও পড়ুন: এবার শারদীয় দুর্গা পূজায় কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১ মাস আগে
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্ক্সবাদী দিশানায়েকের জয়
মার্কসবাদী আইন প্রণেতা অনুড়া কুমারা দিশানায়েকে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
রবিবার তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিকে ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ায় অভিযুক্ত পুরোনো রাজনৈতিক দলকে ভোটাররা প্রত্যাখ্যান করেছে।
শ্রমিক শ্রেণির সমর্থন এবং রাজনৈতিক অভিজাতবিরোধী প্রচার তাকে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। বিরোধী নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা এবং বর্তমান উদারপন্থী রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহেকে পরাজিত করে জয়লাভ করেন দিশানায়েকে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দিশানায়েকে পেয়েছেন ৫৭ লাখ ৪০ হাজার ১৭৯ ভোট এবং প্রেমাদাসা পেয়েছেন ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ৯০২ ভোট।
দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকট এবং এর ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক বিপর্যয় থেকে পুনরুদ্ধারে শনিবারের নির্বাচনটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
টুইটারে এক বার্তায় দিশানায়েকে বলেন, ‘এই অর্জন কোনো একক ব্যক্তির কাজের ফল নয়, বরং আপনাদের মতো কয়েক লাখ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আপনাদের প্রতিশ্রুতি আমাদের এতদূর নিয়ে এসেছে। এজন্য আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। এই জয় আমাদের সবার।’
২০২২ সালে খেলাপি হওয়ার পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পুনরুদ্ধার কর্মসূচির আওতায় শ্রীলঙ্কার ঋণ পুনর্গঠনসহ ভঙ্গুর পুনরুদ্ধারে বিক্রমাসিংহের নেতৃত্বের ওপর ভার্চুয়াল গণভোট ছিল এই নির্বাচন।
৫৫ বছর বয়সি দিশানায়েকে বলেন, কৃচ্ছ্রসাধনের পদক্ষেপকে আরও সহনীয় করতে তিনি আইএমএফ চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা করবেন। বিক্রমাসিংহে সতর্ক করে বলেছিলেন, চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো পরিবর্তন করার যেকোনো পদক্ষেপ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের চতুর্থ কিস্তি প্রকাশ করতে বিলম্ব করতে পারে; যা স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এটি দিশানায়েকের শক্তিশালী উত্থান। এর আগে ২০১৯ সালে পূর্ববর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মাত্র ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন।
দিসানায়েকের ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার জোটের নেতৃত্বে রয়েছে জনতা বিমুক্তি পেরামুনা বা পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট। এটি মার্কসবাদী দল যা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের জন্য ১৯৭০ ও ১৯৮০ এর দশকে দুটি সশস্ত্র বিদ্রোহ করে ব্যর্থ হয়েছিল। পরাজয়ের পরে, জেভিপি ১৯৯৪ সালে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে প্রবেশ করে এবং বেশিরভাগ সময় বিরোধী দলের মূল ভূমিকা পালন করে।
এনপিপি গ্রুপিংয়ে শিক্ষাবিদ, নাগরিক সমাজের আন্দোলন, শিল্পী, আইনজীবী ও শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন।
দিশানায়েকে ২০০০ সালে প্রথম সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তৎকালীন প্রেসিডেন্ট চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার অধীনে সংক্ষিপ্তভাবে কৃষি ও সেচমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তিনি ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং গোতাবায়া রাজাপাকসের কাছে হেরে যান। রাজপাকসে দুই বছর পরে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে প্রকাশ্য বিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হন।
বিক্রমাসিংহের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী সাবরি দিশানায়েককে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি ‘স্বচ্ছতা, সততা ও দেশের দীর্ঘমেয়াদি মঙ্গলের প্রতিশ্রুতি নিয়ে’ নেতৃত্ব দেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সাবরি।
১ মাস আগে