নির্বাচন
সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানো যাবে না: ডা. ফরহাদ
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেছেন, সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর নিকৃষ্ট শাসক শেখ হাসিনা। তাই তাদের রাজনীতি করার সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব দ্রুত নির্বাচন দিন।’
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শরীয়তপুর পৌরসভা মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সংস্কারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অতীতে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া সংস্কার করেছেন। আর ভবিষ্যতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সংস্কার হবে।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী মামলা-হামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিত্ব ছাড়া রাষ্ট্রের সংস্কার সফল হবে না: তারেক
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আমাদের বিজয় হবে। আর জনগণের ভোটের মাধ্যমেই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে।’
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরন এবং সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি একেএম নাসির উদ্দীন কালুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী।
৩ ঘণ্টা আগে
দ্রুত সময়ে নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দিন: মির্জা ফখরুল
গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা মূল লক্ষ্য উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দিন।
তিনি বলেন, দেশে যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচন দিলে তা আর হবে না। আমরা লড়াই করতে চাই লড়াই করে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার তিস্তা বাঁচাও অবস্থান কর্মসূচির জনতার সমাবেশে এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের আগামী দিনের কান্ডারি দেশনায়ক তারেক রহমান গণতান্তিক সরকারের জন্য মানুষকে সংগঠিত করে যাচ্ছেন। আমরা নির্বাচন দিয়ে আমাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে চাই—যারা আমাদের কথা সংসদে বলবে।’
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আপনি নিরপেক্ষ। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিরপেক্ষ থাকলে হবে না, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আপনার পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা আমাদের পায়ের উপর দাঁড়াতে চাই। আমাদের ন্যায্য হিসাব আমরা বুঝে নিতে চাই। বন্ধুত্ব থাকবে তিস্তার ন্যায্য হিস্যার ক্ষেত্রে কোনো বন্ধুত্ব নেই। এ আন্দোলন মানুষের বেঁচে থাকার আন্দোলন। লড়াই ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না আমরা লড়াই করে তিস্তা ন্যায্য হিস্যা বাস্তবায়ন করতে চাই।
বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সংগীত শিল্পী বেবী নাজনীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
'জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ -স্লোগানে অবস্থান কর্মসূচি পালনে নদী পাড়ে দলে দলে দেশের ১২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তিস্তা নদীর ১১টি পয়েন্টে এক যোগে টানা ৪৮ ঘণ্টার ওই অবস্থান কর্মসূচিতে ৫ জেলার কয়েক লাখ মানুষ জমায়েত হয়েছেন।
সোমবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, তিস্তা রেলসেতু ও তিস্তা সড়ক সেতুর মধ্যস্থানে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে নারী পুরুষ দলে দলে এসে অবস্থান নিচ্ছেন। ১১টি পয়েন্টের তাবু গেড়ে ভেতরে মানুষ বিছানা পেতে অবস্থান নিয়েছে। সেখানে লক্ষাধিক মানুষের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশাল বিশাল প্যান্ডেল ও শতাধিক তাবু টানানো হয়েছে। দুপুর গড়িয়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয় তিস্তা নদী পাড়।
অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার ১২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী পাড়ের গুরুত্বপূর্ণ ১১টি স্থানে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। শেষদিন ১৮ ফেব্রুয়ারি এসব মঞ্চে দিনভর থাকবে তিস্তা পাড়ের মানুষের সুখ দুঃখের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, ভাওয়াইয়া গানের আসর, ঘুড়ি উৎসবসহ নানান গ্রামীণ খেলাধুলা। এভাবে টানা ৪৮ ঘণ্টা তিস্তা নদীর তীরেই অবস্থান করবেন রংপুরের ৫টি জেলার কয়েক লাখ মানুষ।
সমাবেশের বিভিন্ন স্পটগুলোতে পৃথক পৃথকভাবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন— বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ, গণসংহতির সভাপতি জুনায়েদ সাকি।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের ইতিহাসে উত্তম নির্বাচনের বার্তা দেবে ইসি: কমিশনার আনোয়ারুল
চলমান জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে দেশের ইতিহাসের উত্তম নির্বাচনের বার্তা দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেছেন, ‘এবার ডিসি সম্মেলনে আমরা (ইসি) আমন্ত্রণ পেয়েছি। ১৮ ফেব্রুয়ারি ইসির জন্য একটি নির্ধারিত সেশন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হয়, নির্দেশনাও থাকে। আমাদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে, তাই আমরা যাব। এছাড়া নির্বাচনের পার্ট অ্যান্ড পার্সেল (অপরিহার্য) হলো জেলা প্রশাসন।’
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে ডিসিরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও রয়েছে। এবার যেহেতু অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, এই নির্বাচন না হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আমরা একটা উত্তম নির্বাচন করতে চাচ্ছি। যেকোনো মূল্যে সেটা করতে হবে। বার্তাটি আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
মাঠ প্রশাসন কমিশনের কথা শোনে না, এমন একটি সমালোচনা রয়েছে; এক্ষেত্রে কী করে তাদের কথা শোনানোর নির্দেশনা দেবেন— এমন প্রশ্নে জবাবে কমিশনার বলেন, ‘এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, এই প্রশাসনকে নিয়েই হয়েছে। যেহেতু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ বা প্রভাব থাকবে না, সেহেতু আমরা আশাবাদী যে সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন হবে। কারণ আমাদের সামনে ভালো উদারহরণও রয়েছে, খারাপ উদাহরণও রয়েছে। কমিশন বিশ্বাস করে খারাপ উদাহরণ সৃষ্টি হবে না এবং উত্তম নির্বাচন হিসেবে এটি বাংলাদেশের ইতিহাস হবে।’
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে: ইসি সানাউল্লাহ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি এসেছে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায়, সেখানে দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবিও এসেছে। আপনাদের ভাবনা কী—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের এ বিষয়ে বলার সময় আসেনি। আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। আরও সময় লাগবে আমাদের। এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না, সময়ই আমাদের গাইড করবে।’
ডিসিদের দলীয় মানসিকতার বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনের কাজে সহায়তা করতে সবাই বাধ্য। যখন তফসিল হবে ও ইসি যখন মনে করবে, যেখানে যে নিরপেক্ষ ডিসিকে পদায়ন করা প্রয়োজন, তখন সেই বিষয়ে কমিশন কঠোর থাকবে।’
নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, কমিশন এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি, তবে আমরা পাইলটিং করতে পারি।’
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ প্রসঙ্গে এই কমিশনার বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। বর্তমান যে আইন, সেটির কিছু পরিবর্তন না হলে যেমন আছে, তেমনই থাকবে। আর আইন পরিবর্তন হলে মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী হবে। আমরা আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিচ্ছি। এটি জটিল প্রক্রিয়া।’
বর্তমান আইনে পুনর্বিন্যাস করার সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সংশোধন হলেই হবে। প্রশাসনিক ব্যবস্থার সুবিধা, উন্নয়ন কর্মের সুবিধা, জনসংখ্যার বিষয়, ভৌগোলিক অবস্থা ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতেই, তারপর মানুষের চাহিদার বিষয়টিও দেখতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নির্বাচন কমিশনের কাছে যথোপযুক্ত মনে হলে সেটিই হবে। কোনো সময়সীমা নির্ধারণ না করা হলেও যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি করা হবে।’
১ দিন আগে
নির্বাচনের নামে প্রতারণা করেছে বিগত সরকার: তারেক রহমান
বিগত সরকার নির্বাচনের নামে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল।’
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নড়াইলে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘বিগত পালিয়ে যাওয়া সরকার বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধবংস করে দিয়েছে। অর্থনীতি, স্বাস্থ্য শিক্ষা, নির্বাচন ব্যবস্থা অর্থনীতি সবকিছু ধবংস করছে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান। এ সময় তিনি বলেন ‘আগামীতে দেশে তারেক রহমানের নেতৃত্বে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।’
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, সহসভাপতি ছিলেন জুলফিকার আলি মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন শাহরিয়ার রিজভী জর্জ।
আরও পড়ুন: সংস্কারের নামে বেশি সময়ক্ষেপণ না করার আহ্বান তারেক রহমানের
এছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাসহ জেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা সম্মেলনে অংশ নেন।
জেলা বিএনপির আয়োজনে নড়াইল সরকারি বালক বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলররা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জেলা বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচন করার কথা রয়েছে। নড়াইল শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
১ দিন আগে
ইউনূস সরকার নির্বাচন দিতে গড়িমসি করছে: রিজভী
জাতীয় নির্বাচন হওয়ার আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি দূরভিসন্ধিমূলক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ইউনূস সরকার নির্বাচন দিতে গড়িমসি করছে।’
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিভিন্ন জেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা নিয়ে ওঁৎ পেতে আছে। দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিয়ে সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে হবে।
জাতি এখন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। এ সময়ে ইউনূস সরকার নির্বাচন দিতে গড়িমসি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাসিনা পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছেন: রিজভী
রিজভী বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য এতো জীবন গেলো, সেই গণতন্ত্র ফেরাতে ভোটের জন্য চূড়ান্ত ডেডলাইন দিতে হবে এই সরকারকে।
তার আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সেরে নেওয়ার কথা বলেন রিজভী আহমেদ।
১ দিন আগে
আগে জাতীয়, পরে স্থানীয় নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
জাতীয় নির্বাচন সবার আগে, তারপরই স্থানীয় নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপি নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে প্রধান উপদেষ্টার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম সভায় বসেছিলেন কমিশনের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে তিনি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছেন। সংস্কার প্রতিবেদনগুলো নিয়ে আলোচনার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। এতে দলগুলো কমিশনগুলোর সঙ্গে কথা বলবে, এরপর একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে।’
আরও পড়ুন: কিছু মানুষ ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ‘এটিই ছিল আজকের (বৈঠকের) মূল কথা ও প্রাথমিক আলোচনা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে কথা বলেছেন। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের জন্য ঐকমত্য তৈরি হবে; সেটার ওপর ভিত্তি করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’
জাতীয় নাকি স্থানীয় নির্বাচন—কোনটি আপনারা আগে চাচ্ছেন, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, জাতীয় নির্বাচন সবার আগে হতে হবে, তারপরে স্থানীয় (সরকার) নির্বাচন।’
২ দিন আগে
ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানিয়েছেন ড. ইউনূস : ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য কাজ করছে বলে তাদের জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টা ও তার সঙ্গে যারা ছিলেন তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, খুব শিগগিরই তারা নির্বাচন আয়োজন করবেন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'তিনি (অধ্যাপক ইউনূস) বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের জন্য তারা কাজ করছেন।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ৯০ মিনিটের বৈঠকে বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তার দল আশা করে— সরকার তাদের এবং জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে ফখরুলের বৈঠক
রোডম্যাপ কবে ঘোষণা করবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা সরকার ঠিক করবে। ফখরুল বলেন, 'সম্ভবত ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তারা এ বিষয়ে কিছু বলবেন।’
বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
রবিবার বিকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বিএনপির আরেকটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এস নাছির উদ্দিনসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
১ সপ্তাহ আগে
আমরা চিরদিন থাকার জন্য আসেনি, নির্বাচন হলেই চলে যাব: উপদেষ্টা
আমরা চিরদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য আসেনি, নির্বাচন হলেই চলে যাব বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন যত তাড়াতাড়ি হবে, ততই আমাদের জন্য মঙ্গল।’
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত ভবন উদ্বোধনকালে এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘ সময় বেসিক কাজ করেছি, ডিপ্লোমেসি করেছি। এ দেশের সরকার অনেক উদার, পাহাড়ের একজন মানুষকে ডিপ্লোমেট বানিয়েছেন। এদেশের মানুষ বৈচিত্র্য বিশ্বাস করে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাঙালিদের পাশাপাশি যারা পাহাড়ি আছি তারাই দিয়েছি এই বৈচিত্র্য। সুতরাং এই বৈচিত্র্য ধরে রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
এ সময় সুপ্রদীপ চাকমা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার।
১ সপ্তাহ আগে
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনের দাবিতে ৬৪ জেলায় বিএনপির সমাবেশের ঘোষণা
দেশের ৬৪টি জেলায় পর্যায়ক্রমে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মোকাবিলা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও নির্বাচনি রোডম্যাপের দাবিতে এই বিক্ষোভ করবে দলটি।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমন তথ্য দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনীতি ঠিক করার প্রতিশ্রুতি প্রধান উপদেষ্টার
রিজভী বলেন, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি, যা শেষ হবে রমজানের আগে। পরবর্তীতে সব মহানগর ও বিভাগীয় সদরে সমাবেশ করা হবে।
দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা এসব বিক্ষোভে অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন। কোন জেলার বিক্ষোভে কোন নেতা অংশ নেবে—তা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ সময় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল করীম শাহিন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনাকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ কথা বলার সুযোগ দিয়ে ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে। ভারত তাকে (শেখ হাসিনা) আশ্রয় দিয়েছে, সেটা দিতেই পারে। কিন্তু তাকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দেওয়া যে, সে বলবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে…পার্শ্ববর্তী দেশে থেকে সে উসকানি দিচ্ছে, একটা অরাজকতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে এবং তাকে সমর্থন করছেন ভারতের নীতিনির্ধারকেরা। এটা অদ্ভুত ব্যাপার।”
আরও পড়ুন: রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, ‘এটা তো বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ, ভয়ংকর রকমের হস্তক্ষেপ! একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ওপর আরেকটি রাষ্ট্রের এরকম অবস্থান—এটা তো চরমভাবে আন্তর্জাতিক রীতিনীতির লঙ্ঘন!’
১ সপ্তাহ আগে
জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করছে নির্বাচন কখন হবে: শফিকুল আলম
আগামী জাতীয় নির্বাচন এ বছরের শেষ নাগাদ, নাকি আগামী বছরের জুনের মধ্যে হবে; তা নির্ভর করছে জুলাই চার্টারের ওপর বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচার বিভাগীয় ও প্রশাসনিক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এরপর সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে কিছু কিছু সুপারিশ তিনি তুলে ধরেন।
রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে নির্বাচনের কথা বলছে, সেখানে বর্তমান সরকার কী এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে যে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতেই হবে, প্রশ্নে শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা প্রথম থেকে বলছেন ছয়টি বড় সংস্কার কমিশন যে সুপারিশগুলো করবে, সেটা নিয়ে একটি ঐকমত্য কমিশন করেছে অন্তবর্তী সরকার। সেই কমিশনের প্রধান হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা নিজেই।’
‘ভাইস চেয়ারম্যান হলেন অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ। বাকি পাঁচটা কমিশন প্রধান এটার সদস্য। এই ছয়টি কমিশনের পুরো প্রতিবেদন নিয়ে দেশের সব রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবে ঐকমত্য কমিশন। তারপর একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে কতটুকু সংস্কার দ্রুত করতে হবে, কতটুকু পরে করা যাবে—কতটুকু করার জন্য সাংবিধানিক সংস্কার দরকার।’
তিনি বলেন, ‘যেসব সুপারিশে সবাই একমত হবে, রাজনৈতিক দলগুলো সেখানে সই করবে। এরপর যেটা দাঁড়াবে, সেটা হবে জুলাই চার্টার। সেটার বাস্তবায়ন বর্তমান সরকার কিছু করবে, পরবর্তী সরকার কিছু করবে। আর সেই বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবে—নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ নাকি আগামী বছরের জুনের মধ্যে হবে।’
আরও পড়ুন: নারী ফুটবলারদের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধের আশ্বাস শফিকুল আলমের
ছয়টি কমিশনের মধ্যে চারটির প্রতিবেদন গেল ডিসেম্বরের শেষ দিকে জমা দেওয়া হয়। আর আজ জমা দেওয়া হয়েছে বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন ও প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন।
বিচার বিভাগ পুরোপুরি স্বাধীন করার প্রস্তাব
বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কমিশনের সুপারিশে—এমন তথ্য দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘যদিও আগের সরকারগুলো বলেছে যে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। কিন্তু কার্যত বাংলাদেশের বিচার বিভাগ কোনোদিনও স্বাধীন ছিল না। নতুন প্রতিবেদনে বিচার বিভাগকে পুরোপুরি ও কার্যকরভাবে স্বাধীন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’
‘৩৫১ পাতার এই প্রতিবেদন বাস্তবায়ন করতে হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাংবিধানিক সংস্কারও লাগবে। বিচার বিভাগে স্বচ্ছতা আনতে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে তারা কিছু সুপারিশ দিয়েছেন। তার আলোকে কিছু কাজও রয়েছে। আপনারা দেখেছেন বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালার কথাও এসেছে সুপারিশে।’
স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস
বিচার বিভাগীয় কমিশনের সুপারিশে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিসের কথা বলা হয়েছে। শফিকুল আলম বলেন, ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সুপারিশ হচ্ছে, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস করা। বিশ্বের অনেক দেশে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস আছে। সারা দেশে প্রায় চার হাজার পাবলিক প্রসিকিউটর আছেন। এই পুরো পাবলিক প্রসিকিউটর আসলে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অনুগতদের মধ্য থেকে নিয়োগ দিয়ে এসেছে। কিন্তু স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস এলে আগের সেই চর্চা আর থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘বিসিএসে যেভাবে রিক্রুট হয়, সেভাবে এটা হবে। এটির মূল কারণ হলো—আদালতে ফৌজদারির মামলার ৪০ শতাংশ সরকারই দাখিল করে, দেখা যাচ্ছে পুলিশ এটা করে। পরে সরকারকে এই মামলাগুলো লড়তে হয়। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস যাতে ভালো হয়, সেই সুপারিশও করা হয়েছে।’
স্বাধীন তদন্ত সংস্থা
এছাড়াও প্রতিবেদনে স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা গঠনের কথা বলা হয়েছে বলে জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যেসব অপরাধ হয়, পুলিশই সেগুলোর তদন্ত করে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পুলিশকে রাজনৈতিক দলগুলো ব্যবহার করে। অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভুদের খুশি করতে তদন্ত করা হয়। আমরা অনেক দেখেছি, বাংলাদেশের বড় বড় মামলাগুলো পুলিশি তদন্তের কারণে কীভাবে কলুষিত হয়েছে। পুলিশের তদন্তগুলো খুবই রাজনৈতিক, অনেকক্ষেত্রে এগুলো ম্যানিপুলেট করা যায়।’
আরও পড়ুন: হাসিনার বিচার করা অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার: শফিকুল আলম
শফিকুল আলম বলেন, এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী বেঞ্চকে তারা ডিভিশনে (বিভাগীয় শহরে) সেটআপ করার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ, বাংলাদেশে জনসংখ্যা বাড়ছে। আগের হাইকোর্ট দেখেন, ১৯৭১ সালের পরে যে হাইকোর্ট, সেই একই হাইকোর্ট, একই জায়গায় আছে। এ জন্য হাইকোর্টের বেঞ্চগুলো বাড়িয়ে বিভাগে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
‘এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পুরো উপজেলা পর্যন্ত নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গরিব মানুষের জন্য আইনি সহায়তা আরও বাড়াতে বলা হয়েছে। এই কাজটা যাতে গ্রাম পর্যন্ত চলে যায়, এমন সুপারিশ করা হয়েছে। কারণ গ্রামগুলো এখন বড় হচ্ছে। আধুনিক জীবনের অনেক বিষয় এসে গেছে সেখানে। যে কারণে সেখানে অনেক মামলা হয়,’ বলেন প্রেস সেক্রেটারি।
তিনি বলেন, আর আইনজীবীদের রাজনীতি নিয়ে একটি নীতিমালা দেওয়া হয়েছে।
১ সপ্তাহ আগে