১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি এই সপ্তাহেই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, ‘সক্ষমতা অনুযায়ী সারাদেশের জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে ২১টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে স্কুল শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আশা করছি এই সপ্তাহেই আমরা শুরু করতে পারবো।’
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সার্ভাইভারস কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা জানান।
খুরশীদ আলম বলেন, আমরা পরিকল্পনা করেছি প্রাথমিকভাবে আগারগাঁয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে টিকা দেয়ার। তাহলে আমরা এক সাথে অনেক শিশুকে দিতে পারব। এটা তো চাইলে হবে না, জায়গা পেতে হবে, লোকবলের বিষয় আছে।
তিনি বলেন, স্কুল শিক্ষার্থীদের তালিকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করবে। আমরা তাদের বিস্তারিত সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মে দিয়ে দিব। আমরা যেকোনো একটা টিকা দেয়ার আগে টেস্ট রান করি। ৫০-১০০ জন যেটুকু পারি সেটা দিয়ে করবো। তাদরকে দিয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ করবো। এরপর বড় আকারে দিব। শিশুদের টিকা কেন্দ্র আলাদা হবেও বলে জানান তিনি।
পড়ুন: স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্মতি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এর আগে এ মাসের শুরুতে ১২ বছরের অধিক শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশের ১৮ বছরের নিচে স্কুলশিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্মতি দিয়েছে।
তিনি বলেন,‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকার বিষয়ে তাঁর পরামর্শ চাইলে তিনি আমাদের অনুমোদন দিয়েছেন।’
পড়ুন: কুড়িগ্রামের চরে টিকাদান শুরু
১২ বছরের অধিক শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে: শিক্ষামন্ত্রী