বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
স্বাস্থ্য ও পরিচর্যার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক সংকটের মূলে লিঙ্গ বৈষম্য: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
কীভাবে স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজে লিঙ্গ বৈষম্য করা হয় এবং কীভাবে নারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যের ফলাফলগুলোকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে তা ব্যাখ্যা করে ‘স্বাস্থ্য ও যত্নের জন্য ন্যায্য ভাগ: লিঙ্গ এবং স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজের অবমূল্যায়ন’ শীর্ষক নতুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্বল্প বিনিয়োগের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। ফলে এতে দেখা যায় যে অবৈতনিক স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজের একটি দুষ্টচক্র তৈরি হয়েছে ও মজুরিভিত্তিক শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ হ্রাস পেয়েছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং লিঙ্গ সমতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে উঠে এসেছে এই প্রতিবেদনে।
বিশ্বব্যাপী বেতনভোগী বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা কর্মীদের ৬৭ শতাংশই নারী। এই অর্থ প্রদানের কাজ ছাড়াও, এটিতে অনুমান করা হয়েছে যে নারীরা সমস্ত অবৈতনিক সেবা কার্যক্রমের আনুমানিক ৭৬ শতাংশ সম্পাদন করেন।
বুধবার(১৩ মার্চ) জেনেভা থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে নারীদের দ্বারা পরিচালিত কাজগুলোর বেতন কম এবং কাজের পরিবেশ খারাপ থাকে।
প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে যে কম বেতন এবং চাহিদাযুক্ত কাজের পরিবেশ সাধারণত স্বাস্থ্য ও যত্ন খাতে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন সায়মা ওয়াজেদ
প্রাথমিকভাবে নারীদের দ্বারা সম্পাদিত পরিচর্যার কাজের অবমূল্যায়ন, মজুরি, কাজের পরিবেশ, উৎপাদনশীলতা এবং খাতের অর্থনৈতিক পদচিহ্নকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।
প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে যে স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজে কয়েক দশকের দীর্ঘস্থায়ী স্বল্প বিনিয়োগ যত্নের ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী সংকটকে বাড়িয়ে তুলছে।
সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার (ইউএইচসি) দিকে অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে সাড়ে ৪ বিলিয়ন মানুষ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার পূর্ণ কভারেজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, নারীরা আরও বেশি অবৈতনিক যত্নের কাজ গ্রহণ করতে পারে।
দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্ষতিকর প্রভাবের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান অবৈতনিক স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজ যত্নশীলদের স্বাস্থ্য এবং পরিষেবার মানকে আরও চাপে ফেলছে।
ডব্লিউএইচও'র হেলথ ওয়ার্কফোর্সের পরিচালক জিম ক্যাম্পবেল বলেন, 'ফেয়ার শেয়ার' প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজে লিঙ্গ-সমতাভিত্তিক বিনিয়োগ স্বাস্থ্য ও যত্নের মূল্যকে পুনরায় সেট করবে এবং ন্যায্য ও আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতিকে চালিত করবে। ‘আমরা নেতা, নীতি-নির্ধারক এবং নিয়োগকর্তাদের বিনিয়োগের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি: স্বাস্থ্য ও যত্নের জন্য ন্যায্য ভাগের সময়।’
প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজকে আরও ভালভাবে মূল্য দেওয়ার জন্য নীতি ও সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়েছে:
১. সব ধরণের স্বাস্থ্য এবং যত্নের কাজের জন্য কাজের অবস্থার উন্নতি করুন, বিশেষত অত্যন্ত নারীদের পেশার জন্য।
২. বেতনভুক্ত শ্রমশক্তিতে নারীদের আরও ন্যায়সঙ্গতভাবে অন্তর্ভুক্ত করা।
৩. স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা কর্মীদের কাজের পরিবেশ এবং মজুরি বৃদ্ধি করা এবং সমান মূল্যের কাজের জন্য সমান বেতন নিশ্চিত করা।
৪. যত্নের ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা, মানসম্পন্ন যত্নের কাজকে সমর্থন করা এবং যত্নশীলদের অধিকার ও কল্যাণ বজায় রাখা।
৫. নিশ্চিত করুন যে জাতীয় পরিসংখ্যান সমস্ত স্বাস্থ্য এবং যত্ন কাজের জন্য হিসাব, পরিমাপ এবং মূল্য দেয়।
৬. অবৈতনিক পরিচর্যা কাজের বোঝা কমাতে এবং স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করতে শক্তিশালী জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করুন।
স্বাস্থ্য ও যত্ন ব্যবস্থায় বিনিয়োগ কেবল ইউএইচসি-র অগ্রগতিকেই ত্বরান্বিত করে না, তারা অবৈতনিক স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজকে পুনর্বণ্টন করে।
যখন নারীরা বেতনভুক্ত স্বাস্থ্য ও যত্ন কর্মসংস্থানে অংশ নেয়, তখন তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়িত হয় এবং স্বাস্থ্যের ফলাফল আরও ভাল হয়। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সব ধরনের স্বাস্থ্য ও সেবার কাজে স্বীকৃতি, মূল্য এবং বিনিয়োগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ছুটিতে জনসমাগম ও নতুন ভ্যারিয়েন্টে ডিসেম্বরে করোনায় অন্তত ১০ হাজার জনের মৃত্যু: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
৯ মাস আগে
সায়মা ওয়াজেদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ায় তাকে বিশেষ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই অটিজম বিশেষজ্ঞ ও সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সায়মা ওয়াজেদকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যভার গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আরও পড়ুন: সোমবার দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন শেখ হাসিনা
বর্তমান পরিচালক ড. পুনাম ক্ষেত্রপাল সিং ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন এবং আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই পূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল।
এদিকে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের এই সম্মানজনক অর্জনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বর্তমানে জেনেভায় অবস্থানরত স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৫৪তম নির্বাহী বোর্ড মিটিংয়ে সায়মা ওয়াজেদের এই দায়িত্বপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো এত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে এরকম দায়িত্বশীল ও সম্মানজনক পদে দায়িত্ব পেলেন। এই প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের সম্মান ও মর্যাদা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি (সায়মা ওয়াজেদ) অটিজম আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে কাজ করে ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তার মতো একজন দক্ষ ব্যক্তিত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে দায়িত্বপ্রাপ্তিতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে এ অঞ্চলে আগামীতে নিশ্চিত অগ্রগতি আসবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কন্যা। তিনি জানেন কীভাবে কাজগুলো করতে হবে। তার এই দায়িত্বপ্রাপ্তিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় গর্ব অনুভব করছে, এবং সায়মা ওয়াজেদের আগামী দিনগুলোর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের বক্তব্যকালে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালো ডিক্যাব
কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ডিআরইউর শুভেচ্ছা
১০ মাস আগে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় সায়মা ওয়াজেদকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় সায়মা ওয়াজেদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) এক অভিনন্দন বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, এ বিজয় শুধু তার একার বিজয় নয়, বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের বিজয়। এ বিজয়ে আমরা গর্বিত।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নির্বাচিত হওয়ায় এ অঞ্চলের দেশগুলোর মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজমসহ সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে বাংলাদেশে যে নবযাত্রা শুরু হয়েছে, এ বিজয়ের ফলে তা আরও বেগবান হবে।
আরও পড়ুন: পাঠদান পদ্ধতিকে আন্তর্জাতিক মানের করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
১ বছর আগে
ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরডি পদে নির্বাচিত সায়মা ওয়াজেদ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার (এসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক (আরডি) হিসেবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন সায়মা ওয়াজেদ। নির্বাচনে তিনি ৮-২ ভোটে জয়ী হন।
বুধবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন- বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে মনোনীত যথাক্রমে সায়মা ওয়াজেদ ও ড. শম্ভু প্রসাদ আচার্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কমিটি আজ ভারতের নয়া দিল্লিতে তাদের ৭৬তম অধিবেশনে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক মনোনীত করতে ভোট দিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য সচিব।
সায়মা ওয়াজেদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (আগে টুইটার) অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘আমাকে পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য @WHOSEARO সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ধন্যবাদ!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি বিদায়ী আরডি ড. পুনম ক্ষেত্রপাল সিংকে আমাদের অঞ্চলের জনস্বাস্থ্যের জন্য এক দশক ধরে সেবা দেওয়ায় শ্রদ্ধা জানাতে চাই। একই সঙ্গে এই পদের জন্য মনোনয়ন পাওয়া ড. আচার্যের জন্যও বিশেষ শ্রদ্ধা। তার দীর্ঘ ও সফল কর্মজীবনে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জন্য একটি অমূল্য সম্পদ। আমি আশা করি আমাদের অঞ্চল তার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হবে।’
সায়মা বলেন, ‘আরও স্বাস্থ্যকর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া গড়ে তুলতে আমি প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ: টিকাদান নিশ্চিত করতে দেশগুলোকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
এরপর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ২০২৪ সালের ২২ থেকে ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের ১৫৪তম অধিবেশনে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে।
নবনিযুক্ত আঞ্চলিক পরিচালক ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং তিনি পুনরায় একবার নিয়োগের সুযোগ পাবেন।
সায়মা ওয়াজেদের উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে ৩টি আন্তর্জাতিক রেজুলেশনের খসড়া তৈরি করা, যেগুলো পরে জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলো গ্রহণ করেছে। সেগুলো হলো:
- ২০১৪ সালে ডব্লিউএইচও ৬৭ দশমিক ৮ (কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড কো-অর্ডিনেটেড এফর্টস ফর দ্য ম্যানেজমেন্ট অব অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার)
- ২০১২ সালে ডব্লিউএইচও-আরসি: সিইএ/আরসি৬৫/আর৮ (কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড কো-অর্ডিনেটেড এফর্টস ফর দ্য ম্যানেজমেন্ট অব অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটিস)
- ২০১২ সালে ইউএনজিএ: ৬৭/৮২ (অ্যাড্রেসিং দ্য সোশিওইকোনমিক নিডস অব ইনডিভিজুয়ালস, ফ্যামিলিস অ্যান্ড সোসাইটিস অ্যাফেক্টেড বাই অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারস, ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটেড ডিজঅ্যাবিলিটিস)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নেতৃত্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পানিতে ডুবে মৃত্যুহার কমাতে রেজ্যুলেশন
১ বছর আগে
'আমি সবসময় জানি আমি কে, আমাকে এমন এক মা বড় করেছেন যিনি একরাতে সবকিছু হারিয়েছেন'
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদের অন্যতম প্রার্থী সায়মা ওয়াজেদ ‘ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া’ উল্লেখ করে তার সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
অটিজম নিয়ে কাজ করা সায়মা ওয়াজেদ ভারতীয় ইংরেজি ভাষার সংবাদ চ্যানেল ডব্লিউআইওএন-এর কূটনৈতিক প্রতিবেদক সিধান্ত সিবালের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত হলে আমার আসল লক্ষ্য থাকবে- মানসিক স্বাস্থ্য, যা অত্যন্ত অবহেলিত এবং বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এটিকে সমগ্র স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিও নিশ্চিত করা।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অফিস ৬টি প্রধান আঞ্চলিক ইউনিটের মধ্যে একটি এবং ১১টি সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী সায়মা ওয়াজেদের মমত্ববোধ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে হওয়ায় তার রাজনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে সায়মা ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবসময় জানি আমি কে এবং আমি জানি যে সবসময় তা মনে করিয়ে দেওয়া হবে, তবে আমি শরণার্থী হিসেবেও বেড়ে উঠেছি, আমাকে এমন এক মা বড় করেছেন যিনি এক রাতে সবকিছু হারিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আপনি যখন খুব, খুব গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যন্ত সফল কারো কন্যা হন, তখন সবাই ধরে নেয় যে বিষয়গুলো আপনার পক্ষে অনেক সহজ হবে। তবে কঠোর পরিশ্রম না করলে আপনি সফল হতে পারবেন না।’
২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট ডব্লিউএইচও'র মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস ডব্লিউএইচও সিইএআরও’র পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের নাম সংশ্লিষ্ট সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানালেন সায়মা ওয়াজেদ
প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ থেকে মনোনীত সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও নেপাল থেকে মনোনীত ড. শম্ভু প্রসাদ আচার্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কমিটি ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য ৭৬তম অধিবেশনে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক মনোনীত করার জন্য ভোট দেবে।
এরপর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ২০২৪ সালের ২২ থেকে ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের ১৫৪তম অধিবেশনে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে।
নবনিযুক্ত আঞ্চলিক পরিচালক ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং একবার পুনরায় নিয়োগের যোগ্য হবেন।
আরও পড়ুন: ভাষা শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন সজীব ওয়াজেদ
১ বছর আগে
জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে দেশব্যাপী এইচপিভি টিকাদান অভিযান শুরু
ইউনিসেফ, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (গ্যাভি) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার জরায়ুমুখ ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) এর প্রতিষেধক টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে।
এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো, দেশের লাখ লাখ মেয়ে ও নারীদেরকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে রক্ষা করার মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যত সুরক্ষিত করা। প্রতি বছর হাজার হাজার নারীর জীবন কেড়ে নেয় এই জরায়ুমুখ ক্যান্সার।
এই টিকাদন কার্যক্রম প্রথমে ঢাকা বিভাগে শুরু হবে। পরে পর্যায়ক্রমে তিন ধাপে বাংলাদেশের মোট আটটি বিভাগে বাস্তবায়ন করা হবে।
এই কর্মসূচির আওতায় পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী এবং স্কুলে পড়ে না এমন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুসহ প্রায় এক কোটিরও বেশি মেয়েদের বিনামূল্যে এই এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে।
প্রথম পর্যায়ে, মোট ১৮দিন এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে। টিকা গ্রহণে উপযুক্ত মেয়েরা ভ্যাক্সেপি অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের মাধ্যমে ঢাকায় তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অথবা মনোনীত টিকাদান কেন্দ্রে এইচপিভি টিকা নিতে পারবে। ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের অন্য বিভাগের মেয়েদের এই টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার দেশের সকল জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকল্পে বদ্ধ পরিকর। ইতোমধ্যেই সরকার টিকা দ্বারা প্রতিরোধযোগ্য রোগের বিরুদ্ধে টিকা প্রদানের মাধ্যমে মা ও শিশু মৃত্যু এবং পঙ্গুত্ব রোধে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে। বৈশ্বিক কোভিড-১৯ অতিমারি মোকাবিলাতেও বাংলাদেশ সারাবিশ্বে নিজেকে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কলেরা টিকাদান কার্যক্রম শুরু ১৭ সেপ্টেম্বর
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রমের অসামান্য সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালে গ্যাভি কর্তৃক ভ্যাকসিন হিরো সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ ইপিআই কার্যক্রমের ইতিহাসে একটি মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা উপনীত হয়েছি, কারণ আজ আমরা জরায়ুমুখ ক্যান্সারের মত একটি প্রাণঘাতী রোগের বিরুদ্ধে ১ ডোজ এইচপিভি টিকা প্রদানের মাধ্যমে দেশকে জরায়ুমুখ ক্যান্সারমুক্ত করার মহৎ যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি।’
গ্যাভির সহায়তায় ইউনিসেফ ঢাকা বিভাগের মেয়েদের জন্য ২৩ লাখ এইচপিভি টিাকা সরবরাহ করেছে। সরকার প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কাছে পৌঁছাতে এবং স্কুল থেকে ঝরে পড়া ও এইচপিভি টিকা গ্রহণের উপযুক্ত পথ শিশুদের এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গ্যাভির কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডেলিভারি ম্যানেজিং ডিরেক্টর থাবানি মাফোসা বলেন, ‘জীবন রক্ষাকারী এইচপিভি টিকা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়ে বাংলাদেশের কিশোরীদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে অভিনন্দন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাপক পরিসরে এই কর্মসূচির বাস্তবায়ন বাংলাদেশে সব মেয়ের সুস্বাস্থ্য ও বিকাশ নিশ্চিত করতে এবং দেশে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে দারুণ সহায়ক হবে। জীবন রক্ষায় সাহায্যকারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই টিকা তৈরিতে সহযোগিতা করতে পেরে গ্যাভি গর্বিত।’
জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয় হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) থেকে। আর এইচপিভি টিকার মাত্র একটি ডোজই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘এটি দুঃখজনক যে বাংলাদেশে প্রতি বছর জরায়ুমুখ ক্যান্সারে বিপুল সংখ্যক নারীর মৃত্যু হয়। অথচ অল্প বয়সে মেয়েদের মাত্র এক ডোজ টিকা দিয়ে এই মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব। এইচপিভি টিকা প্রদানে সরকারকে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই টিকার মাধ্যমে দেশের কয়েক লক্ষ মেয়ে জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাবে, নিশ্চিত হবে কিশোরী মেয়েদের ভবিষ্যৎ।’
আরও পড়ুন: বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ: টিকাদান নিশ্চিত করতে দেশগুলোকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
এই টিকাদান কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং শিক্ষক, বাবা-মা ও ধর্মীয় নেতাদের এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করা হয়েছে, যাতে কোনো মেয়ে এই টিকাদান কর্মসূচি থেকে বাদ না পড়ে।
বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. বারদান জাং রানা বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার বিবেচনায় জরায়ুমুখ ক্যান্সার-এর অবস্থান দ্বিতীয়; দেশে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় এই জরায়ুমুখ ক্যান্সারের মাধ্যমে।’
তিনি বলেন, ‘অনুমান করা হয় যে বাংলাদেশে প্রতি বছর জরায়ুমুখ ক্যান্সারে প্রায় ৮ হাজার ৩০০টি নতুন কেস ধরা পড়ে এবং এই রোগে ৪ হাজার ৯০০ জন মারা যায়। আমরা এই পরিসংখ্যান পরিবর্তন করতে পারি যদি এখনই পদক্ষেপ নেই এবং নিশ্চিত করি যে, ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী প্রতিটি মেয়ে এইচপিভি টিকার একটি করে ডোজ পাবে। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর টিকাগুলোর একটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টিকা গ্রহণে উপযুক্ত মেয়েদের জন্য ঢাকা বিভাগে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু করায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানায়। এই উদ্যোগ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ উভয় ক্ষেত্রে আমাদের নারীদের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ এই টিকা প্রদানে সহযোগিতা করতে পেরে গর্ববোধ করে। পাশাপাশি এইচপিভি টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে উপযুক্ত কিশোরীদের সহায়তা করার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করে।’
তিনটি পর্যায় শেষ হলে এইচপিভি টিকা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এবং লেখপড়ার বাইরে থাকা ১০ বছর বয়সী মেয়েদের জন্য নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হবে। তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যকর ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে তাদের স্বাস্থ্যসেবা ও কল্যাণে বাংলাদেশ সরকার যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে, তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই টিকাদান কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: ১ ডিসেম্বর থেকে ৭ দিনব্যাপী করোনার টিকাদান কর্মসূচি
১ বছর আগে
বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের হারের উর্ধ্বগতি, দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ডব্লিউএইচও’র
জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শুক্রবার (১১ আগস্ট) একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে।
সেইসঙ্গে প্রতিবেদনে ডেঙ্গু আত্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং মশাবাহিত এই রোগ প্রতিরোধে ব্যক্তিপর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানোর কথা বলেছে। যেমন- লম্বাহাতা জামা-কাপড় পড়া ইত্যাদি।
ইউএন হেলথ এজেন্সি অনুসারে, জুনের শেষের দিক থেকে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া এই রোগে ১ জানুয়ারি থেকে ৭ আগস্টের মধ্যে মোট ৬৯ হাজার ৪৮৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ৩২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক্ষেত্রে মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ।
দেশের ৬৪টি জেলাতেই ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে।
শুধুমাত্র জুলাই মাসেই ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন রোগী রোগী শনাক্ত এবং ২০৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যা মোট শনাক্তের ৬৩ শতাংশ এবং মোট মৃত্যুর ৬২ শতাংশ।
দেশটির চলমান প্রাদুর্ভাব গত পাঁচ বছরের তুলনায় অত্যন্ত বেশি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: স্যালাইন সংকটের আশঙ্কায় রোগী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
১ বছর আগে
বাংলাদেশের নেতৃত্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পানিতে ডুবে মৃত্যুহার কমাতে রেজ্যুলেশন
বিশ্বব্যাপী পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্দেশ্যে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার চলমান অধিবেশনে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের যৌথ নেতৃত্বে একটি রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়েছে।
সোমবার(২৯ মে) জেনেভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত এ রেজ্যুলেশনটিতে ৭৪টি দেশ কোস্পন্সরশিপ করেছে।
রেজ্যুলেশনের ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দেশসমূহ তাদের বক্তব্যে স্বল্পোন্নত দেশসমূহে পানিতে ডুবে মৃত্যুহার সর্বাধিক উল্লেখ করে বলেন যে, অল্প খরচেই এ মৃত্যুহার কমানো সম্ভব। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো ইতোমধ্যে শিশুদের সাঁতার শেখানোর মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে।
বাংলাদেশ তার বক্তব্যে বলেন, যে মৃত্যুহার কমাতে আইন প্রবর্তন, প্রজেক্ট গ্রহণ এবং অর্থ বরাদ্দ করার মাধ্যমে পানিতে ডুবে মৃত্যুহার কমাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।এ রেজ্যুলেশনে দ্রুততার সঙ্গে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট এজেন্সিসমূহ, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং এনজিওদের সমন্বয়ে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি বাংলাদেশের ডা. নাজনীন আনোয়ার
বাংলাদেশে প্রতিদিন পানিতে ডুবে পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩০ জন শিশু মারা যায়। ১৮ বছর বয়স সীমার বিবেচনায় এ মৃত্যুহার ৪০। এ দু’টি পরিসংখ্যানের আলোকে বলা যায়, এ মৃত্যু প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়া হলে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে বাংলাদেশের সাফল্য ম্রিয়মান হয়ে যেতে পারে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পানিতে ডুবে সবচেয়ে বেশী মানুষ প্রাণ হারায়।
বিশ্বে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এ মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশী। এ রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার হবে যা পানিতে ডুবে মৃত্যুহার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের কূটনৈতিক ভাবমূর্তি বাড়বে বলে আশা করা যায়।
উল্লেখ্য যে, ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনে এ সংক্রান্ত প্রথম রেজ্যুলেশনও বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ডের উদ্যোগে গৃহীত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ত্যাগে যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিকতা শুরু
১ বছর আগে
প্রতি ৭ সেকেন্ডে একজন গর্ভবতী নারী বা নবজাতক মারা যায়: ডব্লিউএইচও
জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যেহানি এবং গর্ভবতী নারী-মা এবং শিশুর প্রাথমিক মৃত্যুহার কমাতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগতি আট বছর ধরে স্থবির হয়ে পড়েছে।
‘মাতৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং বেঁচে থাকা এবং মৃতপ্রসব হ্রাস’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে। যা অনুরূপ ঝুঁকির কারণ এবং কারণগুলো ভাগ করে এবং গুরুতর স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোর বিধান ট্র্যাক করে৷
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মহামারিতে মৃতের সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানের প্রায় ৫ গুণ বেশি: ডব্লিউএইচও
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে একটি বড় বৈশ্বিক সম্মেলনে নতুন প্রকাশনাটি চালু করা হয়েছিল।
সামগ্রিকভাবে বিশ্লেষণটি দেখায় যে, বেঁচে থাকার উন্নতি ২০১৫ সাল থেকে স্থবির হয়ে পড়েছে। যা বার্ষিক গড় হিসাবে দুই লাখ ২৯ হাজার মাতৃমৃত্যু দ্বারা প্রমাণিত। এছাড়া ১৯ লাখ মৃতপ্রসব (গর্ভধারণের ২৮ সপ্তাহ পরে মারা যায় এমন শিশু) এবং জীবনের প্রথম মাসে একটি চমকপ্রদ ২৩ লাখ শিশুর মৃত্যু হয়।
প্রতিবেদনটি দেখায় যে প্রতি বছর ৪৫ লাখেরও বেশি নারী এবং শিশু গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের সময় অথবা জন্মের প্রথম সপ্তাহে মারা যায়।
যা প্রতি সাত সেকেন্ডে একটি মৃত্যুর সমান।
এছাড়া যদি যথাযথ চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায়, তাহলে বেশিরভাগ মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য বা চিকিৎসাযোগ্য।
কোভিড-১৯ মহামারি ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য এবং ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট প্রসারিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।
১০ টির মধ্যে মাত্র একটি দেশের (১০০ টিরও বেশি জরিপ করা হয়েছে) তাদের বর্তমান পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল রয়েছে।
অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোতে মহামারির প্রভাবগুলোর ওপর সর্বশেষ ডব্লিউএইচও জরিপ অনুসারে প্রায় ২৫ শতাংশ দেশ এখনও অত্যাবশ্যক গর্ভাবস্থা এবং প্রসবোত্তর যত্ন এবং অসুস্থ শিশুদের জন্য পরিষেবাগুলোতে চলমান বাধাগুলো প্রতিবেদনে তুলে ধরে।
মাতৃত্ব-নবজাতক শিশু এবং কিশোরী স্বাস্থ্যের পরিচালক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ বার্ধক্য বিষয়ক ডা. আংশু ব্যানার্জি বলেছেন, গর্ভবতী মহিলা এবং নবজাতক বিশ্বব্যাপী অগ্রহণযোগ্যভাবে উচ্চ হারে মারা যাচ্ছে। এবং করোনা মহামারি তাদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আরও বিপত্তি তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যু, ভারতের তৈরি সিরাপ নিয়ে ডব্লিউএইচও’র সতর্কবার্তা
আমরা যদি ভিন্ন ফলাফল দেখতে চাই, তাহলে আমাদের অবশ্যই ভিন্নভাবে কাজ করতে হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় আরও এবং স্মার্ট বিনিয়োগ এখন প্রয়োজন। যাতে প্রতিটি নারী এবং শিশু তারা যেখানেই থাকুক না কেন স্বাস্থ্য এবং বেঁচে থাকার সর্বোত্তম সুযোগ রয়েছে।
সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোতে নবজাতক এবং মাতৃমৃত্যু সবচেয়ে বেশি। এ অঞ্চলগুলোতে ৬০ শতাংশেরও কম নারী ডব্লিউএইচও এর প্রস্তাবিত আটটি প্রসবপূর্ব চেকগুলোর মধ্যে চারটিও পান৷
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) কারিগরি বিভাগের পরিচালক ডা. জুলিটা ওনাবাঞ্জো বলেছেন, গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের সময় যে কোনও নারী বা যুবতীর মৃত্যু তাদের মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন।
এটি সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার অংশ হিসাবে মানসম্পন্ন যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোতে অ্যাক্সেস বৃদ্ধি করার জরুরি প্রয়োজনকেও প্রতিফলিত করে।
বিশেষ করে এমন সম্প্রদায়গুলোতে যেখানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাতৃমৃত্যুর হার স্থবির বা এমনকি বেড়েছে।
মাতৃত্বকালীন এবং নবজাতকের মৃত্যুহার মোকাবিলায় আমাদের অবশ্যই একটি মানবাধিকার এবং লিঙ্গ পরিবর্তনমূলক পন্থা অবলম্বন করতে হবে।
এবং এটি অত্যাবশ্যক যে আমরা অন্তর্নিহিত কারণগুলোকে নির্মূল করি যা আর্থ-সামাজিক বৈষম্য, অসাম্য, দারিদ্র্য এবং অবিচারের মতো দুর্বল মাতৃস্বাস্থ্যের ফলাফলের জন্ম দেয়।
বর্তমান প্রবণতাগুলোর ওপর ভিত্তি করে ৬০ টিরও বেশি দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে মাতৃত্বকালীন, নবজাতক এবং মৃত জন্মের মৃত্যুহার হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে প্রস্তুত নয়।
আরও পড়ুন: অসংক্রামক রোগে প্রতি দুই সেকেন্ডে ৭০ বছরের কম বয়সী ১ জনের মৃত্যু: ডব্লিউএইচও
১ বছর আগে
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন কৌশলগত পরিকল্পনা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বুধবার কোভিড-১৯ এর জন্য একটি নতুন কৌশলগত পরিকল্পনা জারি করেছে যা জরুরি প্রতিক্রিয়া থেকে দীর্ঘমেয়াদী কোভিড -১৯ রোগ পরিচালনায় রূপান্তরের দিকে মনোনিবেশ করে।
গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক প্রিপেয়ার্ডনেস, রেডিনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্ল্যান (এসপিআরপি) ২০২৩-২০২৫ কোভিড-১৯ এর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চতুর্থ কৌশলগত পরিকল্পনা।
জরুরি অবস্থা থেকে দীর্ঘমেয়াদী, টেকসই প্রতিক্রিয়ায় রূপান্তরের ক্ষেত্রে আগামী দুই বছরে কীভাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করা যায় সে বিষয়ে দেশগুলোর জন্য এই নথিটি একটি গাইড।
এক বিবৃতিতে হু জানিয়েছে, ‘যদিও আমরা কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় অনেক শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছি, ভাইরাসটি এখানেই রয়েছে এবং দেশগুলোকে অন্যান্য সংক্রামক রোগের পাশাপাশি এটি পরিচালনা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: করোনা সেরে ওঠা রোগীদের ডায়াবেটিস, শ্বাসযন্ত্র ও কার্ডিওভাসকুলার জটিলতার ঝুঁকি বেশি: গবেষণা
এতে আরও বলা হয়, ‘মহামারিটি আন্তর্জাতিক উদ্বেগের একটি জনস্বাস্থ্য জরুরি হিসেবে থাকুক বা না থাকুক, এসপিআরপি ২০২৩-২৫ কোভিড-১৯ পরিচালনায় দেশগুলোকে গাইড করতে কার্যকর হবে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আপডেট করা দুই বছরের কৌশলটি ২০২২ সালের এসপিআরপি-এর লক্ষ্যগুলোর ওপর প্রসারিত হয় এবং জাতিগুলোকে সাহায্য করে। কারণ তারা টেকসই, দীর্ঘমেয়াদী কোভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবস্থাপনার জন্য গুরুতর জরুরি প্রতিক্রিয়ার থেকে সরে যায়।
এদিকে, কোভিড-১৯ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য প্রবিধান জরুরি কমিটি বৃহস্পতিবার ১৫তম বারের মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালককে পরামর্শ দিতে বৈঠকে বসবে যে মহামারিটি এখনও আন্তর্জাতিক উদ্বেগের জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা কি-না।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে সোমালিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মসূচি চালু
১ বছর আগে