টিকাদান
জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে দেশব্যাপী এইচপিভি টিকাদান অভিযান শুরু
ইউনিসেফ, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (গ্যাভি) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার জরায়ুমুখ ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) এর প্রতিষেধক টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে।
এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো, দেশের লাখ লাখ মেয়ে ও নারীদেরকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে রক্ষা করার মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যত সুরক্ষিত করা। প্রতি বছর হাজার হাজার নারীর জীবন কেড়ে নেয় এই জরায়ুমুখ ক্যান্সার।
এই টিকাদন কার্যক্রম প্রথমে ঢাকা বিভাগে শুরু হবে। পরে পর্যায়ক্রমে তিন ধাপে বাংলাদেশের মোট আটটি বিভাগে বাস্তবায়ন করা হবে।
এই কর্মসূচির আওতায় পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী এবং স্কুলে পড়ে না এমন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুসহ প্রায় এক কোটিরও বেশি মেয়েদের বিনামূল্যে এই এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে।
প্রথম পর্যায়ে, মোট ১৮দিন এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে। টিকা গ্রহণে উপযুক্ত মেয়েরা ভ্যাক্সেপি অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের মাধ্যমে ঢাকায় তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অথবা মনোনীত টিকাদান কেন্দ্রে এইচপিভি টিকা নিতে পারবে। ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের অন্য বিভাগের মেয়েদের এই টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার দেশের সকল জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকল্পে বদ্ধ পরিকর। ইতোমধ্যেই সরকার টিকা দ্বারা প্রতিরোধযোগ্য রোগের বিরুদ্ধে টিকা প্রদানের মাধ্যমে মা ও শিশু মৃত্যু এবং পঙ্গুত্ব রোধে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে। বৈশ্বিক কোভিড-১৯ অতিমারি মোকাবিলাতেও বাংলাদেশ সারাবিশ্বে নিজেকে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কলেরা টিকাদান কার্যক্রম শুরু ১৭ সেপ্টেম্বর
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রমের অসামান্য সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালে গ্যাভি কর্তৃক ভ্যাকসিন হিরো সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ ইপিআই কার্যক্রমের ইতিহাসে একটি মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা উপনীত হয়েছি, কারণ আজ আমরা জরায়ুমুখ ক্যান্সারের মত একটি প্রাণঘাতী রোগের বিরুদ্ধে ১ ডোজ এইচপিভি টিকা প্রদানের মাধ্যমে দেশকে জরায়ুমুখ ক্যান্সারমুক্ত করার মহৎ যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি।’
গ্যাভির সহায়তায় ইউনিসেফ ঢাকা বিভাগের মেয়েদের জন্য ২৩ লাখ এইচপিভি টিাকা সরবরাহ করেছে। সরকার প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কাছে পৌঁছাতে এবং স্কুল থেকে ঝরে পড়া ও এইচপিভি টিকা গ্রহণের উপযুক্ত পথ শিশুদের এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গ্যাভির কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডেলিভারি ম্যানেজিং ডিরেক্টর থাবানি মাফোসা বলেন, ‘জীবন রক্ষাকারী এইচপিভি টিকা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়ে বাংলাদেশের কিশোরীদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে অভিনন্দন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাপক পরিসরে এই কর্মসূচির বাস্তবায়ন বাংলাদেশে সব মেয়ের সুস্বাস্থ্য ও বিকাশ নিশ্চিত করতে এবং দেশে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে দারুণ সহায়ক হবে। জীবন রক্ষায় সাহায্যকারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই টিকা তৈরিতে সহযোগিতা করতে পেরে গ্যাভি গর্বিত।’
জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয় হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) থেকে। আর এইচপিভি টিকার মাত্র একটি ডোজই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘এটি দুঃখজনক যে বাংলাদেশে প্রতি বছর জরায়ুমুখ ক্যান্সারে বিপুল সংখ্যক নারীর মৃত্যু হয়। অথচ অল্প বয়সে মেয়েদের মাত্র এক ডোজ টিকা দিয়ে এই মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব। এইচপিভি টিকা প্রদানে সরকারকে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই টিকার মাধ্যমে দেশের কয়েক লক্ষ মেয়ে জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাবে, নিশ্চিত হবে কিশোরী মেয়েদের ভবিষ্যৎ।’
আরও পড়ুন: বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ: টিকাদান নিশ্চিত করতে দেশগুলোকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
এই টিকাদান কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং শিক্ষক, বাবা-মা ও ধর্মীয় নেতাদের এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করা হয়েছে, যাতে কোনো মেয়ে এই টিকাদান কর্মসূচি থেকে বাদ না পড়ে।
বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. বারদান জাং রানা বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার বিবেচনায় জরায়ুমুখ ক্যান্সার-এর অবস্থান দ্বিতীয়; দেশে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় এই জরায়ুমুখ ক্যান্সারের মাধ্যমে।’
তিনি বলেন, ‘অনুমান করা হয় যে বাংলাদেশে প্রতি বছর জরায়ুমুখ ক্যান্সারে প্রায় ৮ হাজার ৩০০টি নতুন কেস ধরা পড়ে এবং এই রোগে ৪ হাজার ৯০০ জন মারা যায়। আমরা এই পরিসংখ্যান পরিবর্তন করতে পারি যদি এখনই পদক্ষেপ নেই এবং নিশ্চিত করি যে, ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী প্রতিটি মেয়ে এইচপিভি টিকার একটি করে ডোজ পাবে। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর টিকাগুলোর একটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টিকা গ্রহণে উপযুক্ত মেয়েদের জন্য ঢাকা বিভাগে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু করায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানায়। এই উদ্যোগ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ উভয় ক্ষেত্রে আমাদের নারীদের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ এই টিকা প্রদানে সহযোগিতা করতে পেরে গর্ববোধ করে। পাশাপাশি এইচপিভি টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে উপযুক্ত কিশোরীদের সহায়তা করার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করে।’
তিনটি পর্যায় শেষ হলে এইচপিভি টিকা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এবং লেখপড়ার বাইরে থাকা ১০ বছর বয়সী মেয়েদের জন্য নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হবে। তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যকর ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে তাদের স্বাস্থ্যসেবা ও কল্যাণে বাংলাদেশ সরকার যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে, তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই টিকাদান কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: ১ ডিসেম্বর থেকে ৭ দিনব্যাপী করোনার টিকাদান কর্মসূচি
১ বছর আগে
১ ডিসেম্বর থেকে ৭ দিনব্যাপী করোনার টিকাদান কর্মসূচি
সরকার বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) থেকে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সাত দিনের বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি শুরু করবে।
আগামী ৭ ডিসেম্বর এই কর্মসূচি শেষ হবে বলে বুধবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) ও টিকাদান কর্মসূচির পরিচালক ডা.শামসুল হক।
তিনি বলেন, এই কর্মসূচির অধীনে প্রায় ৯০ লাখ লোককে টিকা দেয়া হবে। যেখানে ১৭ হাজার ১১৬টি দল কাজ করবে।
আরও পড়ুন: ৩ অক্টোবর থেকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডা. শামসুল হক আরও বলেন, কোভিড-১৯-বিষয়ক জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি (এনটিএসি) ভাইরাসের আরও বিস্তার রোধে কোভিড ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজ দেয়ার সুপারিশ করেছে।
তিনি বলেন, এনটিএসি প্রথম ধাপে সম্মুখ সারির যোদ্ধা, ষাটোর্ধ্ব নাগরিক এবং গর্ভবতী নারীদের চতুর্থ ডোজ দেয়ার সুপারিশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত শিশুসহ মোট জনসংখ্যার ৮৭ শতাংশ দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছে এবং ৭৩ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ -১১ বছরের শিশুদের পরীক্ষামূলকভাবে করোনা টিকা দেয়া শুরু
শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুরা করোনা টিকা পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
১১ অক্টোবর থেকে জেলা-উপজেলায় শিশুদের টিকাদান শুরু: স্বাস্থ্য সচিব
স্বাস্থ্য সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী ১১ অক্টোবর থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।
শনিবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে আয়োজিত ‘৫-১১ বছরের শিশুদের কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম বিষয়ক জাতীয় অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ'- শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
তিনি জানান, সবমিলিয়ে দেশে দুই কোটি ২৬ লাখ ৩৮ হাজার ৭৩৭ জন শিশুকে এই টিকার আওতায় আনা হবে।
সচিব বলেন, ‘আগামী ১১ তারিখ (অক্টোবর) থেকে পৌরসভা লেভেলে টিকা কার্যক্রম শুরু করবো। এতে করে কমিউনিটি পর্যায়ে আমাদের শিশুদের টিকা পৌঁছে যাবে। এরমাধ্যমে টিকা না পাওয়া বাকি শিশুরা আমাদের কভারেজে চলে আসবে।’
আরও পড়ুন: ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের টিকার অনুমোদন কানাডার
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক দেশেই বাচ্চাদের টিকা শুরু হয়নি, আমরা শুরু করেছি। প্রথম থেকেই টিকা প্রয়োগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বরাবর আবেদন করে রেখেছিলাম, আমরা অনুমোদন পাওয়ার পরপরই কার্যকর শুরু করে দিয়েছি। এর আগে থেকেই আমরা টিকার সোর্স নিশ্চিত করে রেখেছি।’
সচিব বলেন, ‘আমাদের মানুষের মধ্যে একটা অভ্যাস গড়ে উঠেছে, করোনা প্রকোপ বেড়ে গেলেই তাদের মধ্যে টিকা নেয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এমন মানসিকতার পরিবর্তন করা দরকার।’
আরও পড়ুন: ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেয়া শুরু
বরিশালে ২০ হাজার শিশুকে করোনার টিকা দেয়া হবে
২ বছর আগে
জাপানের প্রধানমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জনসংযোগ বিষয়ক মন্ত্রিপরিষদ সচিব নোরিয়ুকি শিকাতা বলেছেন, শনিবার রাতে কিশিদার সামান্য জ্বর ও কাশি দেখা দেয়। এরপর করোনাভাইরাসের জন্য পিসিআর টেস্ট করা হলে পজিটিভ ধরা পড়ে।
রবিবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিশিদা তার বাসভবনের আইসোলেশনে রয়েছেন।’
৬৫ বছর বয়সী কিশিদা গত সপ্তাহে গ্রীষ্মের ছুটিতে ছিলেন এবং সোমবার কাজে ফেরার কথা ছিল। কোথায় বা কীভাবে তিনি সংক্রমিত হয়েছেন তা স্পষ্ট নয়।
এই মাসের শেষের দিকে তিউনিসিয়ায় আফ্রিকান উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে অংশ নেয়ার কথা ছিল কিশিদার। এখন তিনি ভার্চুয়ালি সেই সম্মেলনে অংশ নেবেন। কিশিদা তার মধ্যপ্রাচ্য সফরও স্থগিত করেছেন।
জাপানে সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। যদিও দেশটির বেশিরভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অন্যান্য বিশ্ব নেতারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সুস্থ হয়েছেন।
পড়ুন: গাড়ি বোমা হামলায় ‘পুতিনের মস্তিষ্ক’ খ্যাত দুগিনের মেয়ের মৃত্যু
তুরস্কে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৫
২ বছর আগে
করোনা টিকাদানে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টিকাদান এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্যের প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসন।
তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বিশেষ করে নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবদানেরও প্রশংসা করেন।
সোমবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেন।
মঙ্গলবার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বৈশ্বিক ইস্যুতে অভিন্ন স্বার্থ ভাগ করে নেয় এবং আমরা ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।
সিসন বাংলাদেশ-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী বহুপাক্ষিক সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে, উভয় পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বহুপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা করেন।
তারা জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, খাদ্য নিরাপত্তা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে অগ্রাধিকারের বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
২ বছর আগে
শিশুদের করোনার পরীক্ষামূলক টিকাদান শুরু ১১ আগস্ট
দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের (৫-১১ বছর) করোনার টিকাদান কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে ১১ আগস্ট থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষামূলক টিকাদান কার্যক্রম শেষে ২৬ আগস্ট পুরোদমে শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।’
রবিবার নিপসম অডিটোরিয়ামে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আজও পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের বিশেষভাবে তৈরি ১৫ লাখ টিকা এসেছে। সব মিলিয়ে শিশুদের টিকাদানে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
আরও পড়ুন: দেশে পৌঁছেছে শিশুদের করোনার টিকা
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা টিকা কার্যক্রমে সফল হয়েছি। এশিয়ায় প্রথম স্থান অধিকার করেছি।’
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে এখনো প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে। তবে কিছুদিন পর আর দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া যাবে না বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ডোজের জন্য আমাদের কাছে যে পরিমাণ টিকা সংরক্ষিত আছে, সেগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তাই যারা এখনো টিকা নেননি, তারা দ্রুত টিকা নিয়ে নিন।’
২ বছর আগে
করোনার বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে মঙ্গলবার
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ৭৫ লাখ মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ দেয়ার লক্ষ্যে মঙ্গলবার থেকে সরকার আরেকবার ‘কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি’ শুরু করবে।
সোমবার মহাখালীর ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেসে (ডিজিএইচএস) আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘একযোগে সকল সরকারি মেডিকেল হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা ও সদর হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই কর্মসূচি চালানো হবে।’
তিনি বলেন, সফলভাবে কর্মসূচি সম্পন্ন করার জন্য স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সারা দেশে ১৬ হাজার ১৮১টি টিকাদান কেন্দ্র প্রস্তুত করেছে।
তিনি আরও বলেন, মোট ৩৩ হাজার ২৪৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৪৯ হাজার ৮৬৯ জন স্বেচ্ছাসেবক এই কর্মসূচিতে কাজ করবেন।
চার মাস আগে যারা দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন তারা বুস্টার ডোজ পাবেন বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মোট ৭৬ দশমিক ০৫ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন, ৭০ দশমিক ৩ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ এবং ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ লোক সারা দেশে তৃতীয় ডোজ পেয়েছেন।’
জাহিদ মালেক জানান, দুই দশমিক ৭৮ কোটি করোনা টিকা এখনও স্টকে রয়েছে।
৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার বিষয়ে মালেক বলেন, শিগগিরই টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি বলেন, সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ‘সুরক্ষা অ্যাপ’-এর মাধ্যমে শিশুদের নিবন্ধন করা উচিত।
তিনি বলেন,‘শিশুদের ফাইজার ভ্যাকসিন দেয়া হবে। এর জন্য একটি ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন প্রশংসাপত্রের প্রয়োজন হবে।’
এসময় অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুরা করোনা টিকা পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনায় আতঙ্কিত নই, তবে চিন্তিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
লালপুরে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক, ৫ গ্রামে টিকাদান
অ্যানথ্রাক্স আতঙ্কে দিন কাটছে নাটোরের লালপুর উপজেলার দেলুয়া গ্রামের অর্ধশত পরিবারের। অসুস্থ্য একটি গরু জবাই করে মাংস বিতরণের পর গ্রামের বেশ কয়েকজন নারী পুরুষের শরীরে দেখা দিয়েছে অ্যানথ্রাক্সের মত উপসর্গ। রোগটির বিস্তার রোধে আক্রান্ত গ্রামসহ চারিদিকের পাঁচটি গ্রামে শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মসূচি।
গত ৭ জুলাই নাটোরের লালপুর উপজেলার দেলূয়া গ্রামের কৃষক মইদুল ইসলামের একটি গাভি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। রোগাক্রান্ত ওই গাভিটি জবাই করে মাংস বিতরণ করা হয় আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশিদের মাঝে। অবশিষ্ট মাংস বিক্রি করে দেয়া হয়। এরপর থেকেই ওই মাংস কাটা ও নাড়াচাড়ার সঙ্গে জড়িতদের হাতে পায়ে ও মুখে ফোসকা পড়া ঘায়ের সৃষ্টি হতে থাকে। আতঙ্ক ভর করে মানুষের মাঝে। আক্রান্তরা ছুটে যান হাসপাতালে। চিকিৎসকের পরামর্শে আক্রান্ত গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম, কৃষক শাখাওয়াত হোসেন, গৃহবধূ বিলকিস বেগম, কৃষক মোহন আলী, হাবিবুর রহমান ভোলা ও আফতাব হোসেন নিজ নিজ বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্তদের বয়স ৩০ থেকে ৪৫ এর মধ্যে। গরু কাটার পর থেকে এ রোগ দেখা দিলেও রোগটি সম্পর্কে নিশ্চিত নন বলে জানান গাভীর মালিক মহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫৩
২ বছর আগে
করোনায় আরও ৩ মৃত্যু, শনাক্ত ১৭৯০
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে এক হাজার ৭৯০ জনের এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৮৮ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯০ জনে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৮২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৭ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৬৭৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ১০ হাজার ৪৭৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ১৭ শতাংশ।
পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি: কমলাপুর রেলস্টেশনে সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘনের মহোৎসব
বিশ্ব পরিস্থিতি
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ কোটি ৭৫ লাখ ২২ হাজার ১৪৪ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৩ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮৪ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা আট কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার ৪৬৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫৭ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩৫ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৯ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ২৭০ জনে।
পড়ুন: করোনার ভুয়া রিপোর্ট: সাহেদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
২ বছর আগে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নয়, টিকায় জোর দেয়া হচ্ছে: দীপু মনি
সম্প্রতি দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ না করে টিকায় জোর দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘করোনা বাড়লেও ১২ এর কম বয়সীদের টিকা দিতে পারলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের চিন্তা করছি না। এই মুহূর্তে স্কুল বন্ধের চিন্তা নেই তবে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
বুধবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা জানান।
এসএসসি পরীক্ষা কবে নেয়া হবে জানতে চাইলে দীপু মনি বলেন, বন্যার বিষয়টা দেখছি। বন্যাকবলিত এলাকায় বই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এসব এলাকায় যে পরিমাণ বই লাগবে ছাপিয়ে দেয়া হবে। বই দেয়ার পর দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে তারপর পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, যাদের এমপিও দেয়া হয়েছে, যোগ্য প্রতিষ্ঠানকেই দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে যদি কেউ মিথ্যা তথ্য দেয় তাহলে তাদের এমপিও বাতিল হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ধর্ম শিক্ষাকে তুলে দেয়া হয়েছে বলে একজন এমপি পাঠ্যপুস্তক নিয়ে কথা বললেও আবার সেটি সঠিক নয় যখন জানতে পেরেছেন তখন স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন, ভুল স্বীকার করে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তবে এসব বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে কথা বলতে হবে।
তিনি বলেন, ধর্ম শিক্ষা আছে এবং থাকবে। এটি নিয়ে মিথ্যা প্রচার কোনোভাবে কাম্য নয়।
নড়াইলের শিক্ষক লাঞ্ছনার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তদন্ত কিমিটি হয়েছে। শিক্ষককের জায়গা সম্মানিত জায়গা। এসব ঘটনাগুলো খুবই লজ্জাজনক, যারা শিক্ষক তারা শংঙ্কায় আছেন, আমরা তাদের পাশে আছি, থাকবো।
আরও পড়ুন: স্কুল থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে