এবার কুড়িগ্রামের দুর্গম চরাঞ্চলে করোনার টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। চরে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা করোনার টিকা দিচ্ছেন। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ফলে টিকা নিতে পেরে খুশি চরবাসী।
সোমবার ইউনিসেফ ও জেলা তথ্য অফিসের সহায়তায় সদর উপজেলার চর সারডোব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক হাজারেও বেশি মানুষ এই টিকা নেন।
আরও পড়ুন: ২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উপহার দিবে রোমানিয়া
টিকাদান কর্মসূচিতে জেলা তথ্য অফিসের উপ পরিচালক নুরুন্নবী খন্দকার, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সহকারী সার্জন ডা. আতিকুর রহমান, স্বাস্থ্যকর্মী, রেড ক্রিসেন্ট সদস্য ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সারডোবের আলোর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ আগে জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে সদর ও রাজারহাট উপজেলার সারডোব, আলোর চর, শিতাইঝাড় ও জয়কুমরসহ কয়েকটি চরের প্রায় তিন হাজারেও বেশি মানুষকে নিবন্ধন করা হয়। রাজারহাটের অনার্স ক্লাব, দিশারী পাঠাগার ও সারডোবের আলোসহ স্থানীয় সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা এই কার্যক্রমে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: ফাইজারের আরও ২৫ লাখ টিকা আসছে
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও জেলা তথ্য অফিসের উপ পরিচালক নুরুন্নবী খন্দকার জানান, চরাঞ্চলের অনেকেই টিকা নিতে আগ্রহী থাকলেও দুর্গম এলাকা থেকে যাতায়াতে সময় ও অর্থ ব্যয় হওয়ায় টিকা কার্যক্রমের বাইরে থেকে যাচ্ছিলেন তারা। তাদেরকে সরকারের চলমান টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনার লক্ষ্যে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনার পর স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে টিকা দেয়া হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম জানান, পযার্য়ক্রমে আরও কয়েকটি চরে এই টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে।
আরও পড়ুন: অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রায় ৮ লাখ টিকা আসছে শনিবার
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, কুড়িগ্রামের বিপুল সংখ্যক মানুষ চরে বাস করে। তারা যেন টিকার বাইরে না থাকেন, সেজন্য চরে চরে গিয়ে টিকাদানের বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।