ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেশটির 'অভ্যন্তরীণ বিষয়', তবে ভারত স্থিতিশীল সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।
মঙ্গলবার এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো ‘একে অপরের ওপর নির্ভরশীল’।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং সেই সংঘাতে দিল্লির সম্ভাব্য শান্তি স্থাপনকারীর ভূমিকার উল্লেখি করেন তিনি। পাশাপাশি ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির মন্তব্য, গাজা যুদ্ধ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় মেয়াদের প্রথম ১০০ দিনে বিদেশ সফরের কথা তুলে ধরেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফর বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রীর গভীরতার প্রতিফলন: জয়শঙ্কর
জয়শঙ্কর বলেন, ‘কী হবে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী এবং আমাদের দিক থেকে সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখতে চাই। আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভালো। আমাদের জনগণের সঙ্গে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো। আমি সম্পর্কটা সেভাবেই রাখতে চাই।’
ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনের ফল হিসেবে গত মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ঢাকা থেকে সামরিক বিমানে করে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের কাছে বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে অবতরণ করেন শেখ হাসিনা।
রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে তার লন্ডনে যাওয়ার কথা থাকলেও ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে, তাদের নিয়ম অনুযায়ী আশ্রয় বা সাময়িক আশ্রয়ের জন্য সে দেশে যেতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা
আপাতত শেখ হাসিনা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হেফাজতে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত মাসে জয়শঙ্কর ভারতের পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনার কার্যালয় 'খুব অল্প সময়ের নোটিশে' দিল্লিতে যাওয়ার অনুমতি চায়।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অবসরসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণে শেখ হাসিনাকে সময় দিতে প্রস্তুত ভারত সরকার।
গত সপ্তাহে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, তার দেশও ভারতের সঙ্গে আগের মতো সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। তবে এই সম্পর্ক হবে ‘ন্যায্যতা ও সমতা’ ভিত্তিতে।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
ইউনূস বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছ থেকে একটি অভিনন্দন বার্তাসম্বলিত ফোন কল পেয়েছেন।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, 'আমরা চাই বিশ্ব বাংলাদেশকে একটি সম্মানিত গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিক।’