সম্পর্ক
পুলিশ-জনগণের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন জরুরি: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
পুলিশকে মানবিক হিসেবে গড়ে তুলতে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের পরে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত পুলিশ বাহিনী গঠন এখন সময়ের দাবি। যেকোনো উপায়ে পুলিশ বাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ছাত্ররা পুলিশকে সাহায্য করছে। তারা ট্রাফিক সামলানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজও করছে। পুলিশকে সহযোগিতা করতে থানায় থানায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নাগরিক কমিটি করে দেওয়া যেতে পারে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট হলে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২ বছরের মধ্যে মোংলা বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স’র (এসআইপিজি) উদ্যোগে ‘জনমুখী পুলিশ সেবা নিশ্চিতকল্পে পুলিশ কমিশন গঠন ও অন্যান্য সংস্কারের প্রস্তাব’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
বর্তমান সরকারের চলমান সংস্কার কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের পুলিশ কমিশন গঠন করা জরুরি। এছাড়া ৮ আগস্টের পর পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। এই পুলিশ কমিশন গঠন তাদের সে সময়ের দাবি ছিল, তারা আর রাজনীতিকরণের অংশ হতে চায় না।
উপদেষ্টা বলেন, এক ‘দানবিক পুলিশের’ থেকে ‘মানবিক পুলিশ’ গঠনের ক্ষেত্রে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন অপরিহার্য। এই স্বাধীন পুলিশ কমিশনের প্রধান হিসেবে একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে এবং এ কমিশন পাঁচ সদস্যের অধিক না হওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা তার মতামত তুলে ধরেন। এ সময়ে উপদেষ্টা পুলিশকে জনমুখী করার লক্ষ্যে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর স্বদিচ্ছা ও অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পুলিশের অনিয়ম দুর্নীতি দূর করতে পুলিশে বিদ্যমান তিন ধাপের নিয়োগ থেকে কমিয়ে দুই ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশের নিচের দিকের সদস্যদের সুযোগ সুবিধা অত্যন্ত কম। তাদের পদোন্নতির সুযোগ নেই। তারা যে পদে (কনস্টেবল) যোগদান করে আর সেই পথ থেকেই অবসরে যায়। যা কাম্য নয়। একজন বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট যখন আর পদোন্নতির কোনো আশা দেখেন না। তখন সে হতাশ হয়, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে।
নিচের দিকে পুলিশের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে পুলিশের দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে বলে তিনি অভিমত দেন।
তিনি আরও বলেন, একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জানা উচিত কীভাবে তার অধঃস্তন পুলিশ ডিউটি করে। দায়িত্ব পালন করতে কী কী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। এজন্য বিসিএস ক্যাডারভুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের সারদায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে এক বছরের জন্য থানায় সংযুক্ত করে তৃণমূল পর্যায়ে কীভাবে পুলিশ কাজ করে সেটি জানার ও বোঝার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া যেতে পারে।
পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জেলাভিত্তিক নিয়োগ কার্যক্রম গ্রহণ না করে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া ও তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আমার মতে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বাধীন পুলিশ কমিশনের মাধ্যমেই হওয়া উচিত।
সেমিনারের সঞ্চালনা করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এসআইপিজি পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌফিক এম. হক।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রিজওয়ানুল ইসলাম এবং পলিটিক্যাল সাইন্স এবং সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইশরাত জাকিয়া সুলতানা এ সেমিনারে দেশের পুলিশ সংস্কারের একটি সম্ভাব্য রোডম্যাপ এবং একটি সম্ভাব্য পুলিশ কমিশন গঠনের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
সেশনের সমাপনী বক্তব্য দেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী। তিনি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে গবেষণা ও সংলাপ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
সেমিনারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: নৌপথে পণ্য পরিবহনের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়া হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
১ মাস আগে
ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেবে ইউনূস-বাইডেনের বৈঠক: প্রেস সচিব
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে (নিউ ইয়র্ক সময় মঙ্গলবার সকালে) বৈঠক করছেন, যা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ককে নতুন স্তরে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে। বৈঠকটিকে একটি বিরল ঘটনা হিসেবেও মনে করা হয়।
নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় শুরু হওয়া বৈঠকের আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এ ধরনের বৈঠক খুবই বিরল। আমরা আশা করছি বৈঠকটি খুবই ফলপ্রসূ হবে।’
শফিকুল আলম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক বজায় রয়েছে এবং এই বৈঠকের মাধ্যমে এ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
তিনি বলেন, বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং বাংলাদেশের সংস্কার বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ভালো খবর যে, এই ক্রান্তিকালে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।’
শ্রমখাতের সংস্কার ও রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকটি দুই দেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের প্রতিফলন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিউইয়র্কে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনবিকে বলেন, এটি একান্ত বৈঠক হতে যাচ্ছে।
কর্মকর্তা আরও বলেন, এটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ কারণ গত কয়েক দশকে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেননি।
বৈঠকটি কমপক্ষে ১৫ মিনিট স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়া স্বাভাবিক নয় এবং ঢাকা আশা করছে এই বৈঠক থেকে একটি নতুন কৌশলগত অংশীদারিত্ব বেরিয়ে আসবে, যা সব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফর করছেন বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নিউইয়র্ক সফর নিয়ে প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট বাইডেন আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি মোকাবিলা, বৈশ্বিক সমৃদ্ধি এগিয়ে নেওয়া এবং মানবাধিকার রক্ষায় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিক গঠন ও উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে তাদের নিবেদনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
যেহেতু বাংলাদেশ আরও ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের রূপরেখা খুঁজছে, তাই যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা এই প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে এটি অধ্যাপক ইউনূসের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর প্রথম বিদেশ সফর।
উল্লেখ্য, এবারই প্রথম জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধান বৈঠক করলেন।
২ মাস আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখতে চায় ভারত: জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেশটির 'অভ্যন্তরীণ বিষয়', তবে ভারত স্থিতিশীল সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।
মঙ্গলবার এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো ‘একে অপরের ওপর নির্ভরশীল’।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং সেই সংঘাতে দিল্লির সম্ভাব্য শান্তি স্থাপনকারীর ভূমিকার উল্লেখি করেন তিনি। পাশাপাশি ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির মন্তব্য, গাজা যুদ্ধ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় মেয়াদের প্রথম ১০০ দিনে বিদেশ সফরের কথা তুলে ধরেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফর বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রীর গভীরতার প্রতিফলন: জয়শঙ্কর
জয়শঙ্কর বলেন, ‘কী হবে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী এবং আমাদের দিক থেকে সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখতে চাই। আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভালো। আমাদের জনগণের সঙ্গে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো। আমি সম্পর্কটা সেভাবেই রাখতে চাই।’
ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনের ফল হিসেবে গত মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ঢাকা থেকে সামরিক বিমানে করে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের কাছে বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে অবতরণ করেন শেখ হাসিনা।
রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে তার লন্ডনে যাওয়ার কথা থাকলেও ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে, তাদের নিয়ম অনুযায়ী আশ্রয় বা সাময়িক আশ্রয়ের জন্য সে দেশে যেতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা
আপাতত শেখ হাসিনা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হেফাজতে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত মাসে জয়শঙ্কর ভারতের পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনার কার্যালয় 'খুব অল্প সময়ের নোটিশে' দিল্লিতে যাওয়ার অনুমতি চায়।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অবসরসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণে শেখ হাসিনাকে সময় দিতে প্রস্তুত ভারত সরকার।
গত সপ্তাহে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, তার দেশও ভারতের সঙ্গে আগের মতো সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। তবে এই সম্পর্ক হবে ‘ন্যায্যতা ও সমতা’ ভিত্তিতে।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
ইউনূস বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছ থেকে একটি অভিনন্দন বার্তাসম্বলিত ফোন কল পেয়েছেন।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, 'আমরা চাই বিশ্ব বাংলাদেশকে একটি সম্মানিত গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিক।’
৩ মাস আগে
এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে 'অর্থবহ সম্পর্কের' ভিত্তি: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেছেন, দেশের আর্থিক খাতের সংস্কার নিয়ে বিস্তৃতভাবে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে এই আলোচনাকে অর্থবহ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় একাধিক বৈঠকে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।
জসীম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা মনে করি এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থবহ সম্পর্কের একটি ভিত্তি। আমরা ভবিষ্যতে বিভিন্ন স্তরে এই আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটি একটি ভালো ভিত্তি।’
আরও পড়ুন: ১৫ মিনিটের মধ্যে পরিবারকে বিদায় জানিয়ে বিজিবি সদস্যদের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে বলেছিল হামলাকারীরা: বিটিভিতে হামলা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তারা আর্থিক খাতের সংস্কার নিয়ে বিস্তৃতভাবে আলোচনা করেছেন এবং প্রাথমিকভাবে অর্থ পাচারের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছেন। কারণ বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে মার্কিন দক্ষতা ব্যবহার করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘সবে শুরু হয়েছে আলোচনা। চূড়ান্ত রূপ পেতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।’ মার্কিন পক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বাংলাদেশ আর্থিক খাতে সংস্কারের জন্য কিছু খাত চিহ্নিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এসব খাতে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
'আলোচনা অব্যাহত থাকবে' উল্লেখ করে জসীম বলেন, বাংলাদেশ মার্কিন প্রতিনিধি দলকে শ্রম ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে জানিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে দেখছে।
সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলটি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন।
ভারত সম্পর্কিত কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য আলাদা প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। ‘তাই এ ধরনের কোনো বিষয় এখানে আলোচিত হয়নি।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের বৈঠকের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গেলে কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন না।
তিনি বলেন, সেখানে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি তাদের সময়সূচি মিলে যায় তবে তারা একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ২৭তম পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের আন্তর্জাতিক অর্থবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রেন্ট নেইমান, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের দেখা ভেঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রে পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে খুব ভালো লাগছে। আমরা আমাদের অংশীদার বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সুযোগ সম্প্রসারণ, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা তৈরি, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা এবং জলবায়ু ঝুঁকি প্রশমনে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
মার্কিন প্রতিনিধি দলটি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছে। তারা বাংলাদেশের নতুন গতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধির পথে সমর্থন করে বলে জানায়।
অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর ঢাকার মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততাসহ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে শীর্ষ অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা।’
গত ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে এটাই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল।
যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন প্রয়োজনে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দুই দেশের মধ্যে শ্রম সংস্কার, বাণিজ্য সহজীকরণ, রোহিঙ্গা সংকট এবং জিএসপি সুবিধা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র সচিবের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন খুরশেদ আলম: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৩ মাস আগে
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী ভারতীয় হাইকমিশনার
আইসিসিআর বৃত্তি নিয়ে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য ভারতে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ভারতীয় হাইকমিশন।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যতের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, উভয় দেশের তরুণরা জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের অভিন্ন লক্ষ্যের মূল্যবান অংশীদার হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতীয় হাইকমিশনারের
এ উপলক্ষে সমবেত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে হাইকমিশনার ভার্মা তাদের কর্মজীবনের নতুন যাত্রায় স্বাগত জানান এবং দু'দেশের জনগণের মধ্যে দৃঢ় সংযোগ গড়ে তুলতে শিক্ষা ও জ্ঞান বিনিময়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন।
এ বছর বাংলাদেশের প্রায় ৫৫০ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন একাডেমিক কোর্সের জন্য মর্যাদাপূর্ণ আইসিসিআর বৃত্তি পেয়েছে।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি), দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি মর্যাদাপূর্ণ ভারতীয় প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিসিন, আইন, ভাষাতত্ত্ব, চারুকলা, সামাজিক বিজ্ঞানের মতো বিভিন্ন শাখায় স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি কোর্সে উচ্চতর পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন।
আইসিসিআর স্কলারশিপ প্রোগ্রাম ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভারতীয় হাই কমিশন বলেছে, তারা এই কর্মসূচিকে সমর্থন করতে এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যে জোরালো শিক্ষাগত বিনিময় প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা: হাইকমিশনার
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
৩ মাস আগে
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক জনকেন্দ্রিক হোক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ
বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে জনকেন্দ্রিক করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারের সময় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক সরকার বা দলের ও ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। আমরা চাই, জনসাধারণের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠুক। দু’দেশের মানুষের মাঝে এই বিশ্বাস তৈরি হোক যে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুব ভালো আছে।’
আরও পড়ুন: চলতি মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেবেন ইউনূস: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সোনালী অধ্যায় ছিল কিনা’এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মানুষের মনে সৃষ্ট ক্ষোভ প্রশমন করা সম্ভব বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দেশে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরে ভারতীয় গণমাধ্যম অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রচার করেছে। সেজন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম যারা বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশ করে, তারা এই দৃষ্টিভঙ্গি (ভারতীয় গণমাধ্যমের) গ্রহণ করেনি বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের একধরণের টানাপোড়েনের বিষয়টি স্বীকার করা উচিত বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, যেসব ইস্যুতে টানাপোড়েন চলছিল, এগুলো বর্তমান অন্তর্বতী সরকার এবং ছাত্র-জনতার এজেন্ডার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। কাজেই, এখানে দ্বন্দ্বের কোনো সুযোগ দেখি না।
পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও গতিশীল সম্পর্ক চাই। আমি মনে করি কোনো এক পর্যায়ে কোনো এক কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে একটু টানাপোড়েন ছিল। এখন স্বাভাবিক একটা সম্পর্কে যদি উন্নীত হয়, আমাদের সবার খুশি হওয়া উচিত।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে অংশ নিতে যাদের কাজ আছে শুধুমাত্র তাদের একটি ছোট বহর (প্রতিনিধি দল) নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কে যাবেন বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক যৌথ কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত রাশিয়ার
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছে রাশিয়া।
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি, সাংস্কৃতিক ও মানবিক যোগাযোগ জোরদার করতে সরকারি পর্যায়ে গঠনমূলক যৌথ কাজের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে দেশটি।
আরও পড়ুন: বেলগরোদ অঞ্চলে রাশিয়ার জরুরি অবস্থা ঘোষণা
অধ্যাপক ড. ইউনূসকে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় রুশ ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন বলেন, 'এটি সম্পূর্ণভাবে রাশিয়ান ফেডারেশন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
মিশুস্তিন রাশিয়ান ফেডারেশন সরকার এবং তার নিজের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান পদে নিয়োগ পাওয়ায় অভিনন্দন জানান। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব পালনের জন্য তার এই নিয়োগ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্ক বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনায় বিকশিত হচ্ছে।
মিশুস্তিন অধ্যাপক ইউনূসের সুস্বাস্থ্য, মঙ্গল এবং দায়িত্বশীল কর্মকাণ্ডে তার সাফল্য কামনা করেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার ৮২টি বসতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইউক্রেন
বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্ক জোরদারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ল্যাভরভ
৪ মাস আগে
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার সম্পর্ক হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো। চলতি বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
বুধবার (১০ জুলাই) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের গ্র্যান্ড বলরুমে ঢাকায় রয়্যাল থাই দূতাবাস এবং থাই ট্রেড সেন্টারের যৌথ আয়োজনে চার দিনব্যাপী (১০-১৩ জুলাই) "টপ থাই ব্র্যান্ড" ট্রেড ফেয়ার ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে গুণগত মানের দিকেও নজর দিতে হবে: শিল্পমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও জানান, সফরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদার করার ওপর জোর দেন উভয় দেশের নেতারা। এছাড়াও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) লক্ষ্যে শিগগিরই আলোচনা শুরু করার জন্য লেটার অব ইনটেন্ট সই করেন। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে উৎসাহ দেবে।
মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া (আসিয়ান) অঞ্চলে বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বছরের পর বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্রমাগত বাড়ছে। বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা আরও বাড়ানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতা বাড়াতে পারি; অবকাঠামো এবং কানেক্টিভিটি উন্নত করতে কাজ করতে পারি; বিশেষ করে থাইল্যান্ডের রানং বন্দর এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি শিপিং রুট স্থাপন করা যেতে পারে।
পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড বৃহত্তর সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানান মন্ত্রী।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য এখানে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বিদ্যমান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিল্পোন্নয়নে বিটাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে: শিল্পমন্ত্রী
বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করার কথা উল্লেখ করে সেখানে থাই বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান শিল্পমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে তৈরি পোশাক (আরএমজি), ওষুধ, হিমায়িত খাদ্য, ক্যাবল, চাল, কৃষিপণ্য, হস্তশিল্প, পাট, আলু ও সিরামিক ইত্যাদি পণ্যের রপ্তানি সম্প্রসারণ করতে চায়।
একইসঙ্গে বাংলাদেশ থাইল্যান্ড থেকে খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ, ক্যানিং, প্যাকেজিং, আইটি, পর্যটন, চিকিৎসা পর্যটন এবং চিকিৎসা কর্মীদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও দক্ষতা আমদানি করতে চায় বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন থাই দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ও মিনিস্টার কাউন্সেলর ফ্যানম থংপ্রায়াম ও মিনিস্টার কাউন্সেলর (কমার্শিয়াল) খেমাথাত আর্চাওয়াথামরং।
উল্লেখ্য, আকর্ষণীয় থাই পণ্যের এই মেলায় ৬৪টি থাই প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশে থাই পণ্যের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিয়েছে। মেলায় খাদ্যপণ্য, জুয়েলারি, স্বাস্থ্যসেবা, প্রসাধনী, বেডিং, স্পা, ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি, টেক্সটাইল, অন্তর্বাস, স্টেশনারি, গৃহস্থালি পণ্যসহ নানা ধরনের বিশ্বমানের থাই পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে।
আরও পড়ুন: বিএসটিআইকে আন্তর্জাতিক মানের করতে সরকার কাজ করছে: শিল্পমন্ত্রী
৫ মাস আগে
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে বিশেষ গুরুত্ব দুই প্রধানমন্ত্রীর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক সংহতি, সহযোগিতার নবক্ষেত্র উন্মোচন এবং জনগণের 'ফ্রেশ ম্যান্ডেট' বা নতুন রায় নিয়ে গঠিত দু'দেশের সরকারের সহযোগিতার মাধ্যমে গত দশকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি।
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তারা এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
শনিবার (২২ জুন) বিকালে ভারতের নয়াদিল্লিতে হোটেল তাজ প্যালেসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: তিস্তা: সংরক্ষণ-ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করতে শিগগিরই বাংলাদেশে আসছে কারিগরি দল
এ দিন সন্ধ্যায় ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাতের আগে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ভারতে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে পরপর তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে। গত ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণে যোগদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে আসা সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২১ থেকে ২২ জুনের এ সফর অত্যন্ত সফল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, 'দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী তাদের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও কর্মকর্তাদের দলগতভাবে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে একান্ত বৈঠক করেন। বৈঠকে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে দ্বিপক্ষীয় সব বিষয় আলোচনা হয়। এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানান।'
১০ সমঝোতা স্মারক:
বৈঠক শেষে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল পার্টনারশিপ, বাংলাদেশ-ভারত গ্রিন পার্টনারশিপ, সমুদ্র সহযোগিতা ও সুনীল অর্থনীতি, ভারতের ইন-স্পেস এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা, বাংলাদেশ ও ভারতের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সংযোগ সংক্রান্ত, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ভারতের ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউটের মধ্যে গবেষণা সহযোগিতা, কৌশলগত ও অপারেশনাল খাতে সামরিক শিক্ষা সহযোগিতায় ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ, ওয়েলিংটন-ইন্ডিয়া এবং মিরপুর ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের মধ্যে নতুন সমঝোতা স্মারক সই, স্বাস্থ্য ও ওষুধ সংক্রান্ত সমঝোতা নবায়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমনে ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি এবং বাংলাদেশ ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান সমঝোতা নবায়ন এবং মৎস্যম্পদের উন্নয়নে বিদ্যমান সমঝোতা নবায়নসহ মোট দশটি সমঝোতাপত্রে সইয়ের কথা জানান ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: ভারত সফরে যা যা আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
যেকোনো ফরম্যাটে ব্রিকসে যোগ দিতে ভারতের সমর্থন চায় বাংলাদেশ
৬ মাস আগে
চীনা ভাষা শিখে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বাড়াতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করলেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও
চীনা ভাষা শিখে দু'দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ে নিজেদের নিয়োজিত করে বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
বাংলাদেশে কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য ২৩তম 'চাইনিজ ব্রিজ' ওয়ার্ল্ড চাইনিজ প্রফিসিয়েন্সি প্রতিযোগিতায় দেওয়া বক্তব্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এই প্রতিযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
আরও পড়ুন: হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশন: গ্লোবাল রাউন্ডে অংশ নিতে চীনে বাংলাদেশ দল
শুক্রবার (৩১ মে) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
ঢাকার চীনা দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও শিক্ষা পেশাজীবীসহ ২৪০ জনেরও বেশি মানুষ এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
প্রতিযোগিতায় কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের নির্বাচিত ৯ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের বুশরা মুবাশ্বেরা মাহমুদ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এবং চীনে ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমির রেক্টর ড. মো. ওমর ফারুক সাংস্কৃতিক উপলদ্ধি বৃদ্ধিতে এই আয়োজনের ভূমিকা তুলে ধরেন এবং চীনের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রতিযোগিতার রানার-আপ চীনে ফাইনাল দেখবে। অন্যান্য প্রতিযোগীরা একটি চীনা গ্রীষ্ম/শরৎকালীন প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: চীনের চায়ের প্রতি গভীর আসক্তি বাংলাদেশিদের
৬ মাস আগে